Category: দুযোগ

  • ফণি’র অগ্রভাগ বাংলাদেশে

    ফণি’র অগ্রভাগ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরইমধ্যে ভোলা, চরফ্যাশন, পাথরঘাঁটা, কলাপাড়া, লালমোহন, মঠবাড়িয়া, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ‘ফণি’র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে। যতটুকু শক্তি হারানোর কথা ছিল ততটুকু শক্তি হারায়নি ‘ফণি’। তাই শক্তি নিয়েই সন্ধ্যা নাগাদ এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করতে পারে।

    শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।

    তিনি বলেন, জনসাধারণকে আমরা অতিদ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করছি। কেননা উচ্চগতির বাতাস ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার সময় সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে। ফণি উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

     ফণির প্রভাবে বাঁধ ভেঙে পটুয়াখালী ও বাগেরহাটের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরইমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    এদিকে, ঘূর্ণিঝড়টি সকালে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে। এটি এখন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছে। পশ্চিমবঙ্গের হালদাবাড়ি, রায়দিঘী, ঝাড়খালি, পিরেজগঞ্জ, নামখানা, গঙ্গাসাগর, রোরখেলা ও কলকাতায় ফণির তাণ্ডব চলছে।

    ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ভারত অতিক্রম করে খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার রাতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ সময় খুলনা বিভাগের যশোর-কুষ্টিয়া এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার পর ঝড়টি কিছুটা হালকা হয়ে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে সারাদেশে শুক্রবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে ৫ তারিখ সকাল পর্যন্ত বিরতি দিয়ে চলবে।

    উপকূলীয় জেলাগুলোতে শুকনা খাবার, ওষুধ, পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব জেলা আক্রান্ত হতে পারে সেসব জেলায় নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।

    জেলা প্রশাসকদের ২০০ টন চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি প্রত্যেক ডিসিকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেয়া আছে।

    ফণির আঘাতে সবচেয়ে বেশি আক্রন্ত হতে পারে এমন এলাকাগুলো হল-  খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, ফরিদপুর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও তার আশেপাশের এলাকা।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকতে পারে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।

  • ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সাতক্ষীরায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সাতক্ষীরায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে উক্ত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল এসময় বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় জেলায় ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১১৬ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে লোকজন উঠতে শুরু করেছে। জেলায় এখনও ৭ নং সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। জেলার তিনটি ঝুঁকিপূর্ন উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। অপর চারটি উপজেলায়ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
    এছাড়া উপকুলীয় এলাকায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়। ইতিমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এসব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সতর্ক সংকেত হিসাবে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ১২শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ৬ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গগৃণ নির্মাণে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত জেলার সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
    প্রেসব্রিফিং এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আফম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী প্রমুখ।

  • শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা

    শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা

    নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উক্ত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার:), সুজন সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন, জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ উদ জামান সাঈদ। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আযুব ডলি, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ; সিপিপি কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও কর্মকর্তাবৃন্দ; সাংবাদিকবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে পানি বৃদ্ধি

    সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে পানি বৃদ্ধি

     দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় ১-২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
    বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা, খোলপেটুয়া, মাংলঞ্চসহ  অন্যন্য দিনের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকার আকাশ মেঘলা ও বাসাতের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
    এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় জেলার ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ৮৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় বলা হয়, জেলার ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়।
    সভায় বলা হয়, ইতোমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্তণ কক্ষের ফোন নম্বর ০৪৭১৬৩২৮১।
    সভায় জানানো হয়, জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩২শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১১৬ টন চাল, ১ লক্ষ ৯২হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে।
    সভায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশংকা করে বলা হয়, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর সর্তক সংকেত আসলে উপকূলীয় মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে হবে। যতদূর সম্ভব দ্রুততার সাথে মাঠের ফসল ঘরে তুলতে হবে। সংকেত প্রচারে ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়ার ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সাতক্ষীরাজেলা সদরসহ ৭টি উপজেলায় একটি করে কন্টোল রুম খোলা হয়েছে।

    এছাড়াও ৮৪টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব সরকাবি কর্মকতা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ৩ হাজার ৬৫৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুুত রাখা হয়েছে।
    জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জের সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুুত রাখার পাশাপাশি সেগুলোর চাবি দায়িত্বশীল লোকদের কাছে রাখতে হবে। যাতে সময় মতো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয় এবং মানুষ সঠিকভাবে সেখানে উঠতে পারে। এছাড়া প্রত্যেক মসজিদের মাইকে সতর্কতা বার্তা প্রচারের জন্য ইমাম ও সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
    এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার পায়ে হেটে উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ এলাকা মুন্সিগঞ্জ, পদ্মপুকুর, গাবুরা, রমজাননগর ইউনিয়নের মানুষকে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
    সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে সাতক্ষীরায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
    দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা এলাকার আবুল হোসেন বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ মে সাতক্ষীরা সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানে। এই আইলার ক্ষত এখন কাটিয়ে উঠতে পারেন এই এলাকার মানুষ। রাস্তাঘাটের বেহলা দশা, বেঁড়িবাধ ঝুঁকির মধ্যে আকাশে মেঘ দেখলে আমাদের ঘুম হামার হয়ে যায়। আবার শুনতে পাচ্ছি ঘুর্ণিঝড় ‘ফেনী’ আসছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
    বুড়িগোলিনী স্টেশন কর্মকর্তা কবীর উদ্দিন বলেন, বনপ্রহীদের ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি নিয়ে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। বনের ভেতরে অবস্থান করা নৌযানগুলোকে লোকালয়ে আনার জন্য বনপ্রহরীদের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।


    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার ভাটার তুলনায় পানি দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ১১ কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। সেগুলো মেরামতের জন্য জিও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
    শ্যানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুজন সরকার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুুতি আছে। আমাদের ১৪৩টি সিপিপি টিমের ২ হাজার ১০০স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ‘নবযাত্রা’ প্রকল্পের আওতায় আরও ১হজার ১০০জন কর্মী কাজ করছেন। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকার মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের প্রস্তুত থাকা এবং আশ্রয় কেন্দ্র ও সাইক্লোন সেন্টারগুলো প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের সর্তক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ উদ্ধার কালে সমস্যা না হয় সেই বিষয় মাথায় রেখে ইউপি মেম্বারের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ সদস্যরে একটি টিম করা হয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১২টি মেডিকেল টিম ও উপজেলায় একটি একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ১৫৫টি দ্বিতল সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে আমরা নির্দেশনা দেওয়া মাত্র তারা যেন সাইক্লোস সেল্টারে আসে। যারা আসবে না তাদের জোর করে সাইক্লোন শেল্টারে আনা হবে।


    জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম না করা পর্যন্ত সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দুটি জরুরী সভা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সাধারণ উপকূলীয় এলাকার মানুষের জান মালের ক্ষতি কমাতে করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সাথে সাথে উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষ গুলোকে নিরাপদে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। এছাড়ার সুন্দরবন ও সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ফোন নাম্বার ০৪৭১-৬৩২৮১।
    প্রসঙ্গত: ২০০৯ সালের ২৫ মে এই দিনে ১৫ ফুট উচ্চতা বেগের সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট সর্বনাশা ‘আইলা’ আঘাত হানে দক্ষিণ-পশ্চিম সুন্দরবন উপকুলীয় উপকুলীয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায়। প্রলয়ংকারী ঘূর্নিঝড় আইলার আঘাতে তছনছ হয়ে যায় দক্ষিণ-উপকুলীয় সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের হাহাকার কমেনি। এর পর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলিও ঝুকির মধ্যে। পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি নামক স্থানে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে জনবসতি গ্রাস করছে।
    এছাড়া বুড়িগোয়ালিনী, হরিনগরসহ প্রায় একশ’ কি. মি. বেড়ীবাঁধ হুমকির মুখে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কামালকাটি এলাকায় বেড়ীবাঁধ সংস্কারের কাজ হলে অন্যান্য বাঁধ গুলি কিছুদিন পর বেঙে যায়। আইলার পর থেকে খাবার পানির তীব্র সংকট ভূগছেন উপকূলীয় এলাকার মানুষ। গাবুরা ইউনিয়নের ১৫ টি গ্রামের মধ্যে ১৩টি গ্রামের মানুষদের খাবার পানির একমাত্র উৎস ‘পুকুর’। অনেকে মহিলাই ২/৩ কিঃমিঃ পাঁয়ে হেটে এক কলস পানি আনেন। নোংরা আবর্জনায় পরিপুর্ন হওয়ায়,এসব পানি পান করে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। কিছুটা স্বচ্ছল লোকেরা বিশ টাকা দরে পানির ড্রাম পাশের উপজেলা কয়রা থেকে কিনে আনছেন।

  • ‘ফণী’র প্রভাবে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা’


    ডেস্ক রিপোর্ট:

    Dainik satkhira

    খুলনা ও তৎসংলগ্ন মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার এর জন্য ৪ হুঁশিয়ারি সংকেত দেয়া হয়েছে। তবে শক্তিশালী এই আঘাত হানার ফলে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে দেয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ক্রমিক নম্বর ২৮ (আটাশ)-এ এসব সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে।

    আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাস থাকতে পারে। তবে সন্ধ্যার দিকে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।

    এবিষয়ে তিনি আরও বলেন, সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। প্রতি ঘন্টায় ১৭০ কিলোমিটার বাতাসের শক্তি হাজার কিলোমিটার ব্যাসের বিস্তার নিয়ে এ ঝড় শুক্রবার দুপুর নাগাদ ওরিশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ ওই বিজ্ঞপিতে যা বলা হয়েছে-

    আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১,০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

    উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

    উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    ব্যাপক শক্তি নিয়ে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় বাংলাদেশে যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্র। দেশের সবগুলো প্রস্তুতি কেন্দ্র ইতোমধ্যেই সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত।

    ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর বরগুনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের এলার্ট করা হয়েছে। কী কী করণীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়েছে তারাও সতর্ক আছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় তাহলে মাইকিং সহ লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে মাঠে নামার কাজও শুরু হবে।’

    এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
    এছাড়াও প্রস্তুত রয়েছে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টসহ আরও অনেক স্থানীয় সামাজিক সংগঠন।

  • সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি

    সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি


    Dainik satkhira

    ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এই দুর্যোগের সম্ভাব্য আঘাত হানার বিষয়ে জনগণকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে। জেলার তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি এবং কালিগঞ্জে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। অপর চারটি উপজেলায়ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

    সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন,সাতক্ষীরা জেলাকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় আনা হয়েছে ।সাতক্ষীরা থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ।এছাড়া মাছ ধরা সব নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে।
    এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় তিনি জানান জেলার ১৩৭ টি সরকারি সাইক্লোন সেন্টার এবং বেসরকারি পর্যায়ের আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে স্কুল ,কলেজ, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি সেন্টার দুর্যোগ কবলিত জনগণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে । নদী ও সমুদ্রে থাকা মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আশাশুনি ও শ্যামনগরে ৩৬৫৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। এসব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সতর্ক সংকেত হিসাবে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রক্ষায় সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে এক বা একাধিক মেডিকেল টীম গঠন করা হয়েছে। তাদের হাতে পর্যাপ্ত ওষুধ খাবার স্যালাইন মজুদ রাখা হয়েছে। জলযান ও স্থল যান, শুকনো থাবার , শিশু খাদ্য এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলা এবং উদ্ধার কাজ পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড,বিজিবি, আনছার ভিডিপি , রেড ক্রিসেন্ট , স্কুল কলেজের স্কাউট টীম এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও পুলিশ সদস্যদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ও তাদের সহযোগী কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। নারী শিশু প্রতিবন্ধী গর্ভবতী মা , রোগগ্রস্থ মানুষ এবং বৃদ্ধ, বৃদ্ধাদের উদ্ধারে অতি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জেলা প্রশাসক আরও জানান,জনগণের জানমালের পাশাপাশি গবাদি পশুর জীবন রক্ষায় উঁচু জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিকটেই যাতে পশু খাদ্য মেলে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সতর্কতা প্রচারের জন্য পাড়ায় পাড়ায় মসজিদের মাইক ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা সদর এবং সব উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। তিনি জানান সাতক্ষীরার মাঠভরা পাকাধান সম্ভব হলে দুই দিনের মধ্যে কেটে নেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলাগুলির নির্বাহী অফিসারগন ফণীর সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় পৃথক পৃথক সভা করেছেন।