দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকে সকল শ্রেণির মানুষকে জানাই পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা ।


দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকে সকল শ্রেণির মানুষকে জানাই পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ হাসানের নেতৃত্বে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি, মারপিট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসি ঘণ্টাব্যাপি অবরোধ করেছে। রবিবার দুপুর একটার দিকে যশোর-সাতক্ষীরা রোডের সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক কলেজ মোড়ে এ সড়ক অবরোধ । ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাাবিতে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
লাবসা ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ হাসানের নেতৃত্বে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ ছাড়া ওই মোড়ের ব্যবসায়িদের কাছ থেকে ভয় ভীতি দিখিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করা হতো। গত ২০ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা দিয়ে কলেজ ফটক থেকে বাইরে বের হওয়া মাত্রা আবিদ হাসানের নেতৃত্বে দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র ফাহিমকে ছুরি দেখিয়ে মটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ফাহিমের সঙ্গে থাকা কয়েকজন ছাত্র ভয়ে ছোট বাবুর দোকানের মধ্যে অবস্থান নেয়। ছোট বাবুকে ওই ছাত্রদের দোকান থেকে বের করে দিতে বলে আবিদ হাসান। এ নিয়ে চোট বাবু ও আবিদ হাসানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। প্রতিবাদ করে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ি মুক্ত। পরে ফাহিমকে মারপিট করে তিন হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে আবিদ হাসান।
তিনি আরো জানান, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছোট বাবুকে তার দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যায় আবিদ। বাধা দেওয়ায় পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ি মুক্তকে মারপিট করা হয়। পরে ছোট বাবুর দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ছোট বাবুকে তুলে নিয়ে যাওয়ায পর পার্শ্ববর্তী বাগানে মারপিট করে আধঘণ্টা পর ছেড়ে দিলে সে প্রথমে থানায় যায়। পরে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পুলিশ এসে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা গ্রহণের আশ্বাস দিলে দুপুর দুটোর দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
স্থানীয় আহসান হাবিব, মুক্ত ও রিপনসহ কয়েকজন জানান, ছাত্রলীগ নেতা আবিদ হাসান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে। প্রতিবাদ করলেই নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ হাসান জানান, ছাত্রদলের কর্মীদের সঙ্গে তাদের মারামারি হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা জরুরী মিটিং ডেকে পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আবিদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেবেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফকরুল আলম খান জানান, যারা মারপিটের শিকার হয়েছেন তাদেরকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইন ডেস্ক : সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুরে ট্রাক চাপায় সজিব আহমদ (২২) নামের এক সিএনজি অটোরিকশাযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সজিব শেরপুর থানার কুলুরচর বেপারিপাড়া গ্রামের মৃত বিল্লাল আহমদের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের চিকনাগুল ইউনিয়নের শুক্রবারী বাজার নামক স্থানে দ্রুতগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশাকে (সিলেট-থ-১১-৮৮৪৯) চাপা দেয়। এতে চালক অটোরিকশা যাত্রী মো. সজিব আহমদ (২২) এবং অটোরিকশা চালক শাহিন (৩০) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সজিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় দুই জন আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।


অনলাইন ডেস্ক: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে গাম্বিয়ার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করলে প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে এতে সম্মতি দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। নজরুল বলেন, গাম্বিয়া জাতিসংঘের উপযুক্ত শান্তিরক্ষী মিশনে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব দেয়।
এম.নজরুল শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অনুমোদন সাপেক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন।
সফররত গাম্বিয়ান মন্ত্রী বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে এবং কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে গাম্বিয়ার বিস্তীর্ণ জমিতে যৌথভাবে চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশি জনশক্তি ও প্রযুক্তি গাম্বিয়ায় হস্তান্তরের প্রস্তাব করেন।
তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং গবেষণার ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিজমি হ্রাসের প্রবণতা সত্ত্বেও গবেষণা বাংলাদেশকে খাদ্য উৎপাদনে আত্ম নির্ভরশীল দেশে পরিণত করতে সহায়তা করেছে।
শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের নীতি উল্লেখ করে বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না এবং জনগণ এর প্রতি সাড়া দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য গাম্বিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছে।
গাম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরিং মোদুউ এনজিইস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সিচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ প্রতিষ্ঠার ৫০বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য মশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
সাতক্ষীরার কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস মোড় থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন স.ম আলাউদ্দিন চত্ত্বর প্রদিক্ষণ করে সঙ্গীতা সিনেমা হল মোড় হয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে আবার পোস্ট অফিস মোড়ে এসে মশাল মিছিলটি শেষ হয়।
সাতক্ষীরা জেলা জসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলুর সভাপতিত্বে মশাল মিছিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ।
বর্ণাঢ্য এ মশাল মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলী, কেন্দ্রীয় কৃষক জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ^াস আবুল কাশেম, আশাশুনি উপজেলা জাসদের আহবায়ক মোঃ সুরাত জামান, তালা উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোল্ল্যা আবদুর রাজ্জাক, কলারোয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, আশাশুনি উপজেলার সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রুবেল, জেলা শ্রমিক জোটের সদস্য সচিব সুকুমার পালিত, সদর উপজেলা যুবজোটের আহবায়ক আমিরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আবদুল আলীম, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক স্বপন শীল প্রমুখ।
মশাল মিছিলের আগে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত তালেবানী শক্তির পুনরুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য যে হুমকি ধামকি দিচ্ছে তা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগকে একলা চলো নীতি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের উপর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার পথে আসতে হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎকারী, জনগণের প্রাপ্য ও হক চুরি করে খেয়ে ফেলা দুর্নীতিবাজ লুটেরা, চাটার দল, চোরের দল; জনগণের পকেটকাটা বাজার সিন্ডিকেট, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং রাষ্ট্রের মৌলিক অস্তিত্ব অস্বীকারকারী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী রাজনৈতিক শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গীদের দমন করতে হবে।

মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরার সাংবাদিকতার নক্ষত্র, চলমান ডিকশনারী খ্যাত প্রতিথযশা প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ।বিবৃতিতে জেলা জাসদের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী ছিলেন সাতক্ষীরার সাংবাদিকতা জগতের প্রথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে যা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। সাতক্ষীরা জেলা জাসদের নেতাকর্মীরা তাকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
বিবৃতি দাতারা হলেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লস্কর, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোল্ল্যা আবদুর রাজ্জাক, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, আশাশুনি উপজেলার আহবায়ক মো. সুরাত উজ্জামান, সদস্য সচিব কবি রুবেল, কালিগঞ্জ উপজেলা জাসদের সভাপতি শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন মোঘল, নারী জোট জেলা শাখার সভাপিতি পাপিয়া আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, শ্রমিক জোটের আহবায়ক মোঃ বেলায়েত হোসেন, সদস্য সচিব সুকুমার পালিত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি এসএম আবদুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক তারিকুজ্জামান তারিক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানাবিধ শারিরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

মশাল ডেস্ক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমানে চারটা বিপদের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। সুতরাং বাংলাদেশকে যদি সামনের দিকে এগুতে হয়, তাহলে একদিকে অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত, তালবানি সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত বানচাল করে দিতে হবে। অপরদিকে বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে হবে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাসদের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, বৈশ্বিক সংকট আছে, কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজির জন্য নিত্যপণ্যের অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। সুতরাং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিদেশের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের বাজার সিন্ডিকেটকে যদি ধ্বংস করতে পারি, তাহলে অবশ্যই দ্রব্যমূল্য নাগালের ভেতর আনা সম্ভব হবে। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি শ্রমিক, গরিব ও মেহনতি মানুষের জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করা আহ্বান জানান তিনি।
১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, একলা চলা নীতিতে চলা আওয়ামী লীগর জন্য হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। জাসদ চায় স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাক এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ উত্তাপ আমাদের সীমান্তে এসে পৌঁছেছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি সমাধান হতে পারে।
জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপনের সঞ্চালনায় বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।
প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,জোসদ কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি রিয়াজ, জাসদের সহ সভাপতি আফরোজা হক রীনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দীন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাসদের স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, কুষ্টিয়া জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় কেন্দ্রীয় ও খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌর শাখার নেতারা প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ এমপি রবি’র
উপকূলীয় সুরক্ষার জন্য রাজস্ব থেকে জলবায়ু পরিববর্তন মোকাবেলায় সক্ষম বাঁধ নির্মাণের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজ। গতকাল আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তাবৃন্দ বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেন। ‘বাজেট ২০২১-২২: উপকূলীয় সুরক্ষা’ শীর্ষক এই সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্ট একশান নেটওয়ার্ক (ক্লিন)।

কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। সেমিনারে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা হলেন নারায়ণ চন্দ্র এমপি (খুলনা-৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি, (সাতক্ষীরা-২), জনাব নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি (ভোলা-৩), নাহিম রাজ্জাক এমপি (শরীয়তপুর -৩), আশেক উল্লাহ রফিক এমপি (কক্সবাজার -২), শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি (গাইবান্ধা -২), জাফর আলম এমপি (কক্সবাজার -২)। সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. আইনুন নিশাত, সিপিআরডির মোঃ শামসুদ্দোহা এবং ক্লিন-খুলনার হাসান মেহেদী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সৈয়দ আমিনুল হক।

এছাড়া প্রগতি পরিচালক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের বার্তাসম্পাদক জহুরুল কবীর প্রমুখ।

সৈয়দ আমিনুল হক উল্লেখ করেন, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ উপকূলীয় এলাকার জীবিকার কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং দরিদ্র লোকেরা সবচেয়ে ঝুঁকির থাকা উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাস করায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এরপরেও বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার বাজেট বরাদ্দ গতানুতিক এবং সংকট মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত। তিনি তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন: (১) বাঁধ নির্মাণের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা হিসেবে সরকারকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে, (২) তাৎক্ষণিক বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সরকারকে বাজেটসহ দায়িত্ব দিতে হবে এবং (৩) উপকূলীয় সুরক্ষা, বিশেষত প্রাকৃতিক সুরক্ষা, উপকূলীয় মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে একটি কার্যকরী বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এবং শহরের পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনীকায়নের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, যে একটি জাতীয় ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রয়োজন, যা সরকারকে উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দের দিক-নির্দেশনা দিতে পারে। বেড়িবাঁধ উন্নয়ন নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি আমরা এই বিষয়ে একটি রোডম্যাপের জন্য কাজ করছি। এটি সত্য ডে, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যতীত উন্নত বাংলাদেশের কল্পনা করা অসম্ভব, তাই উপকূলের সমস্যাকে কোনও অঞ্চলের আলাদা কোনও সমস্যা হিসেবে বিবেচনা না করে এটিকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

ডাঃ আইনুন নিশাত বলেন, বাজেট বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে, বাঁধ বিষয়ক পরিকল্পনায় এই পরিস্থিতি অনুপস্থিত। ‘ডেল্টা প্ল্যান’ এর আওতাধীন প্রকল্পগুলি পরবর্তী পঞ্চাশ বছরের দুর্যোগ পূর্বাভাসকে বিবেচনা না করেই গ্রহণ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষায় বিনিয়োগ করলে সেটা জাতীয় অর্থনীতিতে দ্বিগুণ ফেরত দিতে পারে। আমরা স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ করেন। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে আমরা জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিতে পারছি না। এ কারণেই কক্সবাজার জেলার কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সময়োপযোগী এবং বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে হবে। সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয় বিপর্যয়ের প্রভাব হ্রাস করতে পানি ব্যবস্থাপনার ও পরিকল্পনার জন্য ব্যাপক আয়োজন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটিই সম্ভব আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে।

আমরা এই বিষয়ে নীতি প্রণয়ন জোরদার করতে উপকূলীয় সাংসদদের নিয়ে একটি ‘ককাস’ গঠন করতে পারি। সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন যে, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কৌশল এবং পদ্ধতিকেসরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। এটা করা সম্ভভ হলে এটি অগ্রাধিকার পাবে। এর জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় প্রয়োজন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য পরিবেশ বান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এই নীতিমালায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প আয় তৈরিতে সক্ষম শিক্ষা বিস্তারকেও অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।
দুর্যোগের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে বাঁধগুলোর একটি মূল্যায়ন হতে হবে, এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিবেশগত বিষয়গুলো বিবেচনা করেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এনজিও, জনপ্রতিনিধি এবং সরকার- সকালের অংশ্রগহণের ভিত্তিতে একটি সুসংহত পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।
জিয়াউল হক মুক্তা

জহুরুল কবীর:
উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা। এশিয়ার বৃহত্তম সবুজ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এই জেলায় অবস্থিত। এই উপকূলের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগর। শক্ষিাঙ্গণরে মহা পুরুষ খানবাহাদুর আহসান উল্লাহ এই শহরের গর্ব। তাছাড়া শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যপক ডাঃ এম আর খান, ডাঃ রুহুল হক (সাবেক মন্ত্রী) (অর্থপেডিক্স), শৈল্য চিকিৎসক ডাঃ শ্যামাপদ পাল, ডাঃ আজিজার রহমান; বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানি ড. এম মতিয়ার রহমান; বিশ্ব বিখ্যাত বাঘ শিকারী পচাব্দী গাজী; প্রথম মুসলিম মহিলা কবি আজিজুননেছা খাতুন; বাঙালি লেখক/কবি মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী; বিশিষ্ট সাহিত্যিক সিকান্দার আবু জাফর; সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবেদ খান; বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আব্দুল মোতালেব; বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অমর মিত্র (৩০ আগস্ট, ১৯৫১) ও আবুল কাশেম মিঠুন, পরীমনি; প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমীন; চিত্রনায়ক আমিন খান ও রানী সরকার; নাট্যশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তারিক আনাম খান, আফজাল হোসেন, ফাল্গুনী হামিদ ও মৌসুমী হামিদ; বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী (একুশে পদকপ্রাপ্ত) সৈয়দ জাহাঙ্গীর; আব্দুল জলিল (ঈশিকা); ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার; নারী ফুটবলার সাবিনা; রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দীন (সদস্য, প্রাদেশিক পরিষদ-১৯৭০ ); এম মনসুর আলী (সাবেক মন্ত্রী), সৈয়দ কামাল বখত সাকি, সৈয়দ দীদার বখত; পশ্চিমবঙ্গ ভারতের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়; সাবেক সেনা প্রধান ভারতের শঙ্কর রায় চৌধুরী প্রমুখ জ্ঞানী-গুণিজন এই জেলার অহঙ্কার। ভোমরা স্থল বন্দর, চিংড়ি ও কাকড়া শিল্প এই জেলার বৃহৎ রাজস্ব আয়ের উৎস।
কপোতাক্ষ, ইছামতি (আদি যমুনা), কালিন্দী, কাকশিয়ালী, বেতনা(বেত্রাবতী), খোলপেটুয়া, গলঘেসিয়া, মরিচ্চাপ এই জেলার প্রধান প্রবহমান নদ-নদী সমুহ। এছাড়া প্রাণসায়র খাল জেলা শহরের প্রধান জল প্রবাহ।
জলবদ্ধতা, লোনা পানি, আন্তর্জাতিক সীমানা এই জেলার প্রধান সমস্যার উৎস। জেলার দক্ষিণ উপকূলীয় উপজেলার প্রায় অধিকাংশ ইউনিয়ন মিষ্টি পানির অভাবে বছরের বার মাস খাওয়ার পানি সঙ্কটে ভোগে। জেলার নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় প্রতিনিয়ত পানির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য ঘেরে লোনা পানি উঠানোয় বসতি এলাকাও লবনাক্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে খাওয়ার জন্য মিষ্টি পানির প্রচ- অভাবী এই উপকূল।
নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় নদীর তলদেশ উচুঁ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে নদীর পানি উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বসতি এলাকা অপেক্ষা নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নদীগুলো ওভারফ্লো হয়ে পানি বসতি এলাকায় প্রবেশ করায় বছারের প্রায় ১২মাস উপকূলের অধিকাংশ ইউনিয়ন পানির নিচে থাকে। ফলে পয়নিষ্কাশনের মারাত্মক অসুবিধায় ভোগে এলাকার মানুষ। গৃহপালিত পশুর জীবন যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি পানির নিচে থাকায় এলাকায় কৃষি উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়েছে খুলনা সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। হাতে গোনা কিছু মানুষ জলে এবং জঙ্গলে কাজ করলেও তাতে পরিবারে স্বচ্ছতা ফেরে না। অভাবের তাড়ণায় পিতামাতা শিশু কিশোরদের লেখাপড়া বন্ধ করে জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের কাজে পাঠাতে বাদ্য হচ্ছে। গত বছর শ্যামনগরের কয়েকটি পরিবারের একাধিক শিশু ঢাকা গাজীপুর ইট ভাটায় দাদন খাটতে যেয়ে প্রাণ হারায়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ হারে হ্রাস পাচ্ছে শিক্ষার হার। কর্মহীনতা যার প্রধান কারণ। সাতক্ষীরা উপকূলের নিন্ম শ্রেনীর বড় একটা গোষ্টি সুন্দরবন নির্ভর হয়ে হরে পড়েছে। কাঠ ও গোলপাতা কাটা, মধু আহরণ, পশু শিকার, মাছ ধরা ইত্যাদি এদের প্রধান পেশা হয়ে উঠেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবন। জঙ্গলের ঘনত্ব হ্রাস পাওয়ায় জনপদে চলে আসছে বাঘ, হরিণসহ বনজ প্রাণী। যার জন্য বনজীবীরা বাঘের মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
সাতক্ষীরা এমন একটা জেলা যেখানে সরকারি বে-সরকারি কোন কলকারকাখা নেই। আশির দশকে তৎকালিন বস্ত্রমন্ত্রী এম মুনছুর আলী একটি টেক্সটাই মিল (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) প্রতিষ্ঠা করলেও পরবর্তি সরকারের বাটপারেরা লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়। বর্তমানে এর (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) বিশাল জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই। জেলার সামন্য একটা জনগোষ্টি ভোমরা স্থল বন্দরের সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য এই জেলায় কোন কর্মসংস্থান না থাকায় বৃহত্তর চাকরী প্রার্থি রাজধানি মুখি হয়ে ওঠে।
সাতক্ষীরা ভারত সীমান্ত ঘেসা হওয়ায় উৎপাদন মুখি অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মূল্য সংকটে পড়ে। রাজধানি ঢাকা থেকে কাচামাল এনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে যে খরচ পড়ে দেখা গেছে পাশের রাষ্ট্র ভারতে তার দাম অনেক কম। আবার চায়না পণ্যের মূল্য আরো কম হওয়ায় ঢাকার মার্কেটেও স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য বেঁচা যায় না।
এরকম নানান সমস্যা ও জটিলাতার জেলা উপকূলীয় সাতক্ষীরা।
শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা থেকে সাতক্ষীরা বঞ্চিত। বিভিন্ন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সারা বছর আন্দোলন করলেও অদ্যবধি কোন জাতীয় বাজেটে দক্ষিণ উপকূলের জন্য বিশেষ কোন প্রকল্প গ্রহণ বা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
এমতাবস্থায় সাতক্ষীরাবাসীর প্রধান দাবীসমুহ উপকুলীয় নদ-নদীসমুহে প্রবাহ বাড়াতে নদী খননসহ আন্তনদী সংযোগ সৃষ্টিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণপূর্বক বরাদ্ধ দিতে হবে। মাওয়া থেকে সুন্দরবন (লিঙ্ক মোংলা, ভোমরা ও বেনাপোল বন্দর) মহাসড়কের আওতায় হাইওয়ে সড়ক ও রেল লাইন নির্মান করতে হবে। পদ্মার এপারে খুলনায় আন্তর্জাতিক আমদানি নির্ভর মার্কেট তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিকৃত পণ্য খুলনা থেকে দেশব্যাপী সরবরাহ করতে হবে। ভোমরা স্থল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গতা দিয়ে রাষ্ট্রীয় সকল আমদানী এখান দিয়ে করতে হবে। জেলার সাত উপজেলায় সাতটি পৃথক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সাতটি ২০ লাখ শ্রমিক নির্ভর ইকোনোমিক জোন তৈরি করতে হবে। ভারতের বিভিন কোম্পানীর ম্যানুফ্যক্সারিং কারখানা উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরাতে স্থাপন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা প্রধান স্থপনা সুন্দরবনের শক্তি বৃদ্ধিতে বনের ঘনত্ব বাড়াতে হবে। বিশাল বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষা সুন্দরবনের পরিধি দিনকিদিন সাগরে ভেঙে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরে সুন্দরবনের ভাঙন রোধে বিশেষ বাধ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এশিয়ার বৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরকে পর্যাটন নগর ঘোষণা করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নিত করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এমএলএসএস পদে প্রশাসনিক স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

‘আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আদালতের মাধ্যমেই ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আস্থা রাখি।’ মঙ্গলবার সাংবাদিক নির্যাতন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী বলেন, সাংবাদিকতা মানে সন্ত্রাস নয়। কোন সাংবাদিক অস্ত্র নিয়ে তথ্য সংগ্রহে যায় না। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি আইন-কানুন রাষ্ট্রিয় নীতিমালা সম্পর্কে কিছু না কিছু জানি। অধিকাংশ সময় ক্ষমতাশীল দূর্ণীতিবাজ আমলা আমাদের উপর আইনের খর্গ চাপিয়ে দেন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামর তারই উদাহরণ।
আশেক-ই-এলাহী

আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘কিন্তু, আইনের বাইরে একজন নাগরিক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবে, একজন লেখক হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক হিসেবে আমি বলতে চাই, স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে দেশের সব সাংবাদিককে এক হতে হবে। আমাদের এখন একটাই দাবী, চাই স্বাধীনতা ও নিরাপত্ত’।
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের ক্ষমতার অংশিদার নই, সুবিধা ভোগী নই। আমরা সরকার ও প্রশাসনের সহযোগী। আমরা দুর্নীতির খবর তুলে না ধরলে সরকার কীভাবে জানবে দেশে দুর্নীতি হচ্ছে। কাজেই আমরা সরকারের উপকার করার চেষ্টা করছি এবং রোজিনা ইসলাম তাঁর পেশাগত দায়িত্বপালন করে যাচ্ছিলেন।’
আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘সরকারের উচ্চ মহলকে বলব, আমাদের একটা মন্ত্রনালয় আছে (তথ্য মন্ত্রনারয়) আমাদের কাজের ফাঁকে ভুর-ভ্রান্তি হতেও পারে। তার জন্য এভাবে শারিরিক, মানোষিক, সামাজিক ভাবে হেনেস্তা না করে মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে কারণ দর্শষানো পূর্বক বিভাগীয় শাস্তির বিধান করতে পারেণ।
আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘আমি সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সাংবাদিকতা করতে এসেছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। সেই অধিকার কায়েম করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা যদি নির্যাতনের শিকার হন, তবে তা সাংবাদিকতার জন্য ভালো না, দেশের জন্য ভালো না, সুশাসনের জন্য ভালো না, এটা প্রশাসনের জন্য ভালো না, এটা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেও না।’
পরিশেষে বুকভরা আশা নিয়ে বলবো, নারী ও স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বর্থে অবিলম্বেসাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন।

মশাল ডেস্ক: দক্ষিণের মশালের বর্ষপূর্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আপোষহীন ও প্রতিবাদের একটি নূতন ধারা সাতক্ষীরার পত্রিকার জগতে দক্ষিনের মশাল তৈরী করেছে। সমাজের বঞ্চনার চিত্র দক্ষিনের মশাল যেভাবে তুলে ধরে তা সত্যেই উল্লেখ করারমত বিষয়। মশালের অঙ্গিকারের সাথে বাস্তব চলা একই সতোয় গাথা।

সভায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বঙ্গব্ধুর জন্ম শতবাষিকী আর স্বাধীনতার রজতজয়ন্তি মাসে দৈক্ষিনের মশালের পাচ বছরপূতির অনুষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ, সেকুলার বাংলাদেশ গড়ার পথে মশালের চলা- এটাই প্রমান করে। মানবতার পক্ষে, গণমানুষের দৈনিক এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রের্খে যাত্রা শুরু করে দৈনিক দক্ষিণের মশাল। যাত্রালগ্ন থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসাবে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সাতক্ষীরার গণমানুষের অধিকার আদায়ে আপোষহীন ভূমিকা পালন পালন করে। সাতক্ষীরার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। দক্ষিণের মশাল তার নামের সাথে সংগতি রেখে সমাজে অন্ধকার দূর করতে আলোর মশাল জ্বেলে এগিয়ে এসেছে।

গতকাল সোমবার পত্রিকাটির ৫ম বর্ষপূর্তিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক বণাঢ্য অনুষ্ঠানে অতিথীবৃন্দ এসব কথা বলেন। দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

ভয়েস অব সাতক্ষীরার সম্পাদক এম. কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথী হিসাবে উপস্থিত থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে. ফজলুল হক।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।

অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রিয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, লেখক, গবেষক ও ভাষাবিদ অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ ওলিউল্লাহ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাড. আজহার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, জেলা বাজাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রীস আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল ওয়াজেদ কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জিসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, পৌর কাউন্সিলক হিমেল, সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তি, প্রেসক্লাবের বিভাগীয় সম্পাদক আব্দুল জলিল প্রমুখ ।

সভায় বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা একটি উন্নয়ন বঞ্চিত জেলা। রাজনৈতিক বিষয়ের মতপার্থক্য ভুলে সাতক্ষীরার উন্নয়নে যৌথভাবে ভুমিকা রাখতে পারলে বঞ্চনার করলমুক্ত হবে সাতক্ষীরা।

সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে সাতক্ষীরাকে যুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা রাখার বিকল্প নেই। আগামী দিনে দৈনিক দক্ষিণের মশাল নির্ভিক লেখনির মাধ্যমে সমাজ বিনির্মানে ভূমিকা রাখবে বলে অতিথীবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বক্তব্য শেষে কেক কাটার মাধ্যমে অতিথীবৃন্দ দৈনিক দক্ষিনের মশালের উত্তরোত্তর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণ ও দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।