Category: তালা

  • জেলা প্রশাসনের কোন এজেন্ট নেই-জেলা প্রশাসক

    জেলা প্রশাসনের কোন এজেন্ট নেই-জেলা প্রশাসক

    বিশেষ প্রতিবেদক: ‘জেলা প্রশাসনের কোন এজেন্ট নেই। জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাখিমারা টিআরএম বিলে যে সকল কৃষকরা এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তাদের দ্রুত এবং সহজ শর্তে টাকা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বুধবার সকালে তালা উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সুধিজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন এসব কথা বলেন।
    এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সাতক্ষীরা এলাকায় ব্যাপক খাস জমি থাকলেও নীতিমালা অনুয়ায়ী সেগুলো বন্দোবস্ত দেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া শালতা নদীসহ বিভিন্ন খাল ও বিলগুলো খনন করতে হলে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ হতে রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসনে পাঠালে প্রয়োজনীয় গ্রহণ করা হবে।’
    তিনি এলাকার উন্নয়নে সকলকে একসাথে মিলেমিশে কাজ করার আহবান জানান। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইখতিয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম এবং তালা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মতিউর রহমান, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, তালা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন, খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান, জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ শাহিনুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার মোঃ মফিজ উদ্দীন, আব্দুস সোবহান, মোড়ল আব্দুর রশিদ, সাস পরিচালক শেখ ইমান আলী, আওয়ামী লীগনেতা সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান এবং তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ।

  • তালার ৩শ বিঘা ঘেরের হারির না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ

    তালার ৩শ বিঘা ঘেরের হারির না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ

    শহর প্রতিনিধি: তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার ধানদিয়ায় ৩০০ বিঘা সম্পত্তি হারি নিয়ে হারির টাকা না দিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অবৈধভাবে ভোগ দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অবৈধ দখল চেষ্টা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তালা উপজেলার ধানদিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে আনন্দ কুমার দাশ।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা ধানদিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমাদের গ্রামের পূর্বে পাশে কপোতাক্ষ নদীর তীর অবস্থিত। গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস দক্ষিণ সার্শা বিল। উক্ত বিলে প্রায় ৩০০ বিঘা জমি আছে। যার মালিক অত্র এলাকার প্রায় ১০০টি পরিবার। বিলটি কপোতাক্ষ নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কপোতাক্ষ নদটি খননের কারণে উক্ত বিলটি আর জলাবদ্ধ থাকে না। কপোতাক্ষ নদ খননের পূর্বে যশোর কেশবপুর আলতাপোল গ্রামের মো. সেলিমুজ্জামান আসাদ স্থানীয় জমির মালিকগণকে কোন হারির টাকা না নিয়ে শুধুমাত্র পানি সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে বিলটি চারিপাশে ভেড়িবাধ দিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর মাছ চাষ করে আসছে। পরবর্তীতে বাংলা ১৪২১ সালে শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমের জন্য যত সামান্য হারির বিনিময়ে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু শর্ত থাকে প্রতি বাংলা সনের ১৫ই পৌষ এর মধ্যে হারির টাকা পরিশোধ করতে হবে। কথা থাকলেও বর্তমান বছরে এখনও পর্যন্ত কোন জমির মালিককে হারির টাকা দেননি তিনি।
    তিনি আরো বলেন, গত ৫/৬ মাস পূর্বে আসাদ অন্য কারো কথা চিন্তা না করে এবং কারো তোয়াক্কা না করে ঘেরের পানি না সরানোর কারণে কিছু বাড়তি ডাঙ্গা জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এঘটনায় তাল উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি সরেজমিনে তদন্ত আসেন। সিদ্ধান্ত হয় আগামীতে ঘের পরিচালনা করার জন্য কমিটি করতে হবে। আগামীতে বিলটিতে মাছ চাষ হবে না উন্মুক্ত করা হবে। সেটির সিদ্ধান্ত গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ গ্রহণ করবেন এবং তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
    পরবর্তীতে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে দক্ষিণ সারসা, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আক্তার হোসেন(সাহেব আলী)সহ আরও কিছু লোক ঘেরটি উন্মুক্ত করার জন্য কিছু জমির মালিকের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। অথচ স্বাক্ষর নেওয়ার দীর্ঘ ৫ মাস পরও ঘের উন্মুক্ত না করে তার ভাড়া করা লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে উক্ত ঘেরের ভেড়িবাধ সংস্কার শুরু করেছে। এ বিষয়ে কিছু জমির মালিকগন তার কাছে জানতে চাইলে সে হুমকি প্রদর্শন করে বলে আমি এখন থেকে ঘের করবো। তোদের ক্ষমতা থাকলে বন্ধ করিস। আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজত খাটাবো বলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।
    এঘটনার পর অত্র এলাকার জমির মালিকদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। কারণ উক্ত মেম্বর আক্তার হোসেন একজন দুধর্ষ প্রকৃতির ব্যক্তি। সে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে কোন সময় অত্র এলাকায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা উক্ত ব্যক্তিদের হাত থেকে আমাদের সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক উন্মুক্ত করার দাবিতে সাতক্ষীরা সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • তালায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    তালায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    তালা প্রতিনিধি: তালায় পানিতে ডুবে শুভশ্রী ভট্টাচার্য(৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে খালের পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।

    শুভশ্রী উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের শংকর ভট্টাচার্য’র কন্যা। সে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে দাদুর বাড়ি থেকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো।

    শিশু শুভশ্রীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    শুভশ্রীর দাদু তপন হালদার জানান, ছোট বেলা থেকে শুভশ্রী তাদের বাড়ি থাকতো। সে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে তার সাথে ¯œান করতে যায় শুভশ্রী। বাড়িতে ফিরে খুঁজে না পেয়ে ফের পুকুরে গিয়ে তাকে ভেসে থাকতে দেখে দ্রুত তালা হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

    তালা থানার অফিসার ইনাচার্জ মো. হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

    যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): যথাগোগ্য মর্যাদা জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলাব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিবেদকদের পাঠানো সংবাদের সমন্বয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    জেলায় ঐতিহাসিক মুুজিবনগর দিবস পালনের প্রধান কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপত্বিতে আলোচনা সভায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ^াস সুদেব কুমার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক মিসেস মোনয়ারা খাতুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান মিল্টন, জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. জাকির হোসেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ:
    ঐতিহাসিক মুজিনগর দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন, আর এসি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর মুহাম্মদ ফেরদৌস আরেফীন, ইংরেজি’র ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল’র ইন্সট্রাক্টর ধর্মদাস সরকার, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর রঞ্জন কুমার সরকার, পদার্থের ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা বাকী বিল্লাহ, আর এসি’র ইন্সট্রাক্টর শেখ আব্দুল আলম, রসায়নের ইন্সট্রাক্টর শংকর প্রসাদ দত্ত, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর(কম্পিউটার) মাসুদ রানা, জুনিয়ার ইন্সট্রাক্টর (ফার্ম মেশিনারী) অজিহার রহমান, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক বিষ্ণ চন্দ্র পাল এবং ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টর(সপ)’র গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ভাষা শিক্ষক(বাংলা ও সমাজবিজ্ঞান) শরিফুল ইসলাম।
    পলাশপোল স্কুল:
    পলাশপোল স্কুলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীমুর রহমান, সহকারী শিক্ষক যথাক্রমে মাওঃ আনারুল হাসান, সুদর্শন ব্যানার্জী, মঙ্গল কুমার পাল, জাহাঙ্গীর আলম, ইসরাইল আলম, রোকেয়া খাতুন, রেহেনা খাতুন, কানিজ ফাতেমা, রাজিয়া খাতুন, সাবিনা খাতুনসহ অত্র স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    এসময় বক্তারা বলেন, আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা এদেশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। পারতাম না স্বাধীনভাবে চলাচল ও চাকুরি করতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
    আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা:
    সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র উদ্যোগে ঐতিহাসিক ১৭এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ইংরেজি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, আহছানিয়া মাল্টি কমপ্লেক্স এর ত্বাবধায়ক আবু সোয়েব এ্যাবেল, সদস্য কাজি আমিরুল হক আহাদ প্রমুখ। এসময় বাংলা প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, আরবী প্রভাষক বৃন্দ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া
    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসা:
    গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান, মাস্টার আবুল হোসেন, মাও. কামরুল ইসলাম, শিক্ষক আদিত্য ঘোষ, শিরিনা খাতুন, তানজিলা খাতুন, নজরুল ইসলাম গউসুল আযম প্রমুখ।
    জেলা কৃষকলীগ:
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কাটিয়া বাজারস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এড. নওশের আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক আতিয়ার রহমান, পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ শামছুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক শাহ্ মোঃ আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স.ম তাজমিনুর রহমান টুটুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সদস্য মোঃ আব্দুল করিম, পৌর কৃষকলীগের আব্দুল খালেক মাস্টার, লাবসা ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহবায়ক রবিন মল্লিক, আগরদাড়ি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ঢালী, ঘোনা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, সরুলিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম।
    জেলা ছাত্রলীগ:
    সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এড. সাইদুজ্জামান জিকো, সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের শাইন আলম সাদ্দাম, সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান শিমুল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড. ফারুক হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলিউর রহমান মুকুল সহ জেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ:
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে মুজিবনগর জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কামালনগরস্থ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সেলিম হোসেনের সঞ্চলনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সাংগঠনিক আমিনুর ইসলাম সেলিম,সমাজকল্যাণ সম্পাদক আঃ আলিম, কুটির শিল্প সম্পাদক মোচ্ছাক সরদার, পৌর শাখার সভাপতি আঃ আলিম, সহ- সভাপতি আঃ বারী, আবুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি নুরলআমিন, ৬নং পৌর আবুল হোসেন, ৪নং পৌর সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন বাবু, ফিংড়ি আহবায়ক আহছান হাবিব, সহ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য আজিজুল, সদর শাখা মনিরুল ইসলাম মনি, পৌর সাংগঠনিক মিজান, পৌর ওয়ার্ড শাখার ফরমান সরদার,শহিদুল, জাকির হোসেন পল্টু, মোসা গাঈন, তাজিম, মাজেদ, শহিদুল, আগরদাড়ী আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিল্লু, সদস্য সচিব হেলাল, জাহিদ, রহমত, কালু,ইউপি সদস্য আঃ গফুর সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ। আলোচনার শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরত কামনা করা হয়।
    তালা:
    সাতক্ষীরার তালায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তালা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা থানার (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইখতিয়ার হোসেন,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    এ সময় মুজিবনগর দিবসের ওপর একটি বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    দেবহাটা:
    দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইনের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জসিম উদ্দীন, উপজেলার সখিপুর সাব রেজিস্টার পার্থ প্রতীম মুখার্জ্জী, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, দেবহাটা উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা লোকমান হোসেন প্রমুখ। বক্তারা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপজেলার কেবিএ কলেজে দিবসটি পালন করা হয়। কলেজে র‌্যালি শেষে অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক আবু তালেবের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আকবর আলী, সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার, সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শেষে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
    আশাশুনি:
    আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ দিবসের আয়োজন করা হয়।
    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসাবে চিত্র প্রদর্শনী শেষে “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দবিস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী, সমাজ সেবা অফিসার ইমদাদুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী আকতার হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, সমবায় অফিসার জি এম আনছারুল আজাদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ বিভিন্œ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

    কালিগঞ্জ:
    কালিগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে মঙ্গলবার বেলা ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুম, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুস সেলিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিত কুমার মন্ডল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব খান আসাদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মেদ প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর নগর দিবসের উপর বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলার কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈদ্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
    চৌমুহনী ডিগ্রী মাদ্রাসা:
    বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। তার ধারাবাহিকতায় ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় মাদ্রাসার হল রুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন আরবী প্রভাষক শহিদুল্যাহ, ইংরেজি প্রভাষক মোঃ জুবাইর ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আঃ জব্বার । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলা প্রভাষক মোঃ নুরুল আমিন।
    শ্যামনগর:
    ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে শ্যামনগরে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। দুপুর ২টায় শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এর আয়োজনে কলেজের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জি,এম আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাষক সুশান্ত কুমার বাবু লাল, নুরুজ্জামান টুটুল প্রমুখ। সভায় কলেজের সকল প্রভাষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
    শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকাল ৪টায় উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবি রঞ্জন মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি জি,এম আকবর কবির, উপদেষ্টা আফজালুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শোকর আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর, নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী প্রমুখ। এ সময় সকল সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
    বিকাল ৫টায় শ্যামনগরে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শোকর আলী, রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন, প্রভাষক সাঈদুজ্জামান সাঈদ, স ম আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, সুশান্ত কুমার বাবু লাল, ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান টুটুল, ছাত্রনেতা আল-মামুন লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • জামায়াতের রোকনসহ জেলায় আটক-৩৮

    জামায়াতের রোকনসহ জেলায় আটক-৩৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের রোকন মো.আব্দুল আজিজসহ ৩৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১১ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৫ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • পাটকেলঘাটায় ব্রীডার বীজ থেকে ভিত্তি বীজ ব্রি ধান ২৮ উৎপাদনে বাম্পার ফলন

    পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটায় এ বছর ব্রীডার বীজ থেকে ভিত্তি বীজ ব্রি ধান ২৮ উৎপাদনে বাম্পার ফলন হয়েছে। পাটকেলঘাটার প্রত্যান্ত অঞ্চালে এ বছর ব্রীডার বীজ থেকে ব্রি ধান ২৮ উৎপাদন করা হয়। সোমবার পাটকেলঘাটার তৈলকুপী, যুগীপুকুর, মৃর্জাপুরসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর খুলনা অঞ্চলের সহকারী আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার বুদ্ধদেব সেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কপোতাক্ষ সীডের প্রোপ্রাইটার বিশ্বজিৎ সাধু, কালাম সীড কোম্পানীর মো. আবুল কালাম, সোনামনি বীজ ভান্ডারের হাজী আঃ সোবহান, উষী সীডের কৃষিবিদ উত্তম মজুমদার, আহাদ সীডের আঃ আহাদ প্রমুখ।

  • তালায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ

    তালায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ

    তালা প্রতিনিধি: তালায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। উফশী আউশ ও নেরিকা আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রকল্পের আওতায় ৮১০জন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। সোমবার সকালে উপজেলা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সামছুল আলম। অন্যদিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৫টি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে কর্মসূচির বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
    উল্লেখ্য, খরিব-১/২০১৮-১৯ মৌসুমে উফশী আউশ ও নেরিকা আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মোট ৮শ দশ জন কৃষকদের মাঝে উপজেলা কৃষি অফিস এ বীজ ও সার বিতরন করে। কৃষকদের ৫ জনের প্রতি গ্রুপে বীজ ২৫কেজি, ইউরিয়া ১শ কেজি, ডিএপি ৫০ কেজি, পটাশ ৫০কেজি দেওয়া হয়।

  • বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার গণকবর, বধ্যভূমিগুলো উদ্ধার পূর্বক সংরক্ষণ ও সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন খড়িবিলা বিল আবাদানীর ১০০ একর খাস জমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরা’র নেতৃবৃন্দ। গত রোববার সকালে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, নিত্যানন্দ সরকার, চারুশিল্পী এম এ জলিল, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’র সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, এড. মুনির উদ্দিন, রওনক বাসার, লোকী ইকবাল প্রমুখ।
    নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল খুলনা, বাগেরহাট, ৯৬ গ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৬০০-৭০০ নির্যাতিত মানুষ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরদিন সন্ধ্যায় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা স্কুলের পিছনে দীনেশ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্তমানে ওই স্থানে বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। দীনেশ কর্মকার তার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন। এই পুকুর ও ডোবার অংশটুকু চলে গেছে জনৈক ব্যক্তির দখলে। বর্তমানে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে।
    সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকাল ব্রিজ ছিল পাক হানাদারদের আর একটি হত্যাযজ্ঞের স্থান। মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে হত্যা করে নিচে ফেলে দিত। এ অংশটুকু এখন এক প্রভাবশালীর দখলে চলে গেছে।
    এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী-মাহমুদপুর স্কুলের পেছনের পুকুর থেকে স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয় কয়েকশত মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি। সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় বৃহৎ গণকবর হিসেবে এটি চিহ্নিত হলেও এখন এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গায় স্বাধীনতা লাভের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় শত শত বাঙালি নারী, পুরুষ ও শিশু শরণার্থীকে। পরে তাদের গোবিন্দকাটি খালপাড় ও রূপালী ব্যাংকের পেছনে গণকবর দেয়া হয়। এসব গণকবরগুলোরও কোনো চিহ্ন নেই। শহরের সুলতানপুর পালপাড়া খালের ধারে হত্যা করা হয় সুরেন, নরেন ও কেষ্টপদ নামে তিন মুক্তিকামী যুবককে।
    গত ৯ বছর ধরে মহাজোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও এখানকার গণকবর এবং বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। নতুন প্রজন্মসহ অনেকে জানেনা মুক্তিযুদ্ধের ওই ইতিহাসের কথা। এসকল গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারিভাবে আজও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
    বর্তমানে ইতিহাস গাঁথা ওই সব গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো চলে গেছে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে। সাতক্ষীরার গণকবর ও বধ্যভূমির বিষয়টি বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো। আর বধ্যভূমির বিষয়গুলো যেন নতুন প্রজন্মের কাছে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
    এদিকে সম্প্রতি সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পলাশপোল মৌজার খড়িবিলা বিল আবাদানির ১০০ একর সরকারি খাস সম্পত্তি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত খাস জমি সাতক্ষীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে অনেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অথচ এখনো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের জন্য সুদুর রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রামে যেতে হয়। যা এ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয় বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই সাতক্ষীরায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণ হবে বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    ডেস্ক রিপোর্ট: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ বাঙালি সংস্কৃতির ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখকে এভাবেই আবাহন করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগ্রত হয়েছে গোটা জাতি। পহেলা বৈশাখ, একটি নতুন দিন। একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। বাঙালির প্রাণের আর মনের মিলন ঘটার দিন ‘পহেলা বৈশাখ’। বাঙালি ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিয়েছে সব বিভেদ, জরা আর দুঃখ ভুলে। যা কিছু পুরনো আর জীর্ণ- তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান। প্রার্থনা একটাই-জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি।
    সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো ‘বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের’ খবর নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষ্যে নতুন করে সজ্জিত হয় সাতক্ষীরা জেলা। দিনভর জেলাব্যাপি পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলার প্রধান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন বাঙালীয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, এন.এস. আই’র সহকারি পরিচালক আনিসুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পৌরদিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসেন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।
    জেলা প্রশাসকের বাঙলোয়: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে স্বাগত জানিয়ে বাঙালী আনায় বৈশাখী উদ্যাপন করলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। জেলা অফিসার্স ক্লাব ও জেলা লেডিস ক্লাবের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় পান্তা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসকের বাংলো মিলন মেলায় পরিণত হয়। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনায় সকলেই সমবেত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক দেশী ফলের সমাহারে অতিথি পরায়ণতার মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান। খই, দই আর পান সুপারী, চিড়া, মুড়ির মোয়া, হরেক রকম মিষ্টি-মিঠাই আরো ছিল ঘোল, ডাব, তরমুজ, শাহী গজা আর হাওয়াই মিঠাই, ছিল বেলের সরবত। শনিবার সকালে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসকের বাংলোর এ আয়োজনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বৈশাখী এ অনুষ্ঠানে সকল অতিথিদের মাঝে পান্তা ও বিভিন্ন রকম ভর্তা পরিবেশন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারতহমিনা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলা পুলিশের আয়োজনে: জেলা পুলিশের আয়োজনে দুস্থ ও এতিম শিশুদের বৈশাখী আনান্দ উপভোগ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের বাসভবনে শতাধিক এতিম ও দুস্থ শিশুদের মাঝে বৈশাখী ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, পুলিশ সুপার পত্মী আকিদা রহমান নীলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক, সদর সারকেল মেরিনা আক্তার প্রমুখ। এ সময় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখের আনান্দ যেমন প্রতিটা মানুষ উৎযাপন করছে তখন আমাদের দায়িত্ব ছিল সমাজের দুস্থ অসহায় ও এতিম শিশুদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাথে আনান্দ ভাগা, ভাগি করে নেয়া, তাই নিজের দায়িত্ব বোদের জায়গাথেকে মানুশেন পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব: খরতপ্ত রুদ্র বৈশাখের প্রথম দিন শনিবার প্রাণের উচ্ছাসে মেতে উঠেছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। তীব্র দাবদাহের মধ্যে দীঘির জলে ঢেউ তুলে ভেসে আসা দখিনা বাতাসের প্রাণ জুড়ানো দোলায় ক্লাব ভবনে সকালেই বসেছিল এ উৎসব। শিশু থেকে বুড়ো বুড়িরাও প্রেসক্লাবের এই উৎসবে মেতে ওঠেন। উৎসবে আসা সকলকেই বাঙ্গালির চিরন্তন খাবার পান্তা ভর্তা আর নারকেল ও গুড় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
    প্রেসক্লাবের এই উৎসবে অংশ নেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজদ, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল বারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুরুল হক, শেখ হারুনার রশীদ, সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ, বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি, প্রেসক্লাব কার্য নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রেসক্লাবের প্রাণের মেলা বৈশাখি উৎসবের সাথে নিজেদের একাকার করে বরণ করে নেন নতুন বছরকে।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক ঝরা, অগ্নিশ্নানে সুচি হোক ধরা,’ শিক্ষার্থীরা নাচে ও গানে নতুন বছর ১৪২৫ পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয়। উৎসবের আমেজে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমারের সভাপতিত্বে বৈশাখী অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সুকুমার দাস, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এস.এম আফজাল হোসেন, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক আমানুল্লাহ আল হাদী, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শণ করে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য মাটির হাড়িতে মন্ডা মিঠাই বিশেষ মোড়কে প্রধান অতিথিকে উপহার দেওয়া হয়। এসময় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: নতুন বছর ১৪২৫ বরণ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে ক্যাম্পাসে বাঙালীআনা নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বর্ষবরণ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও একাডেমিক ইনচার্জ প্রকৗশলী ড. এম.এম নজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অলোক সরকার, ফারুক হোসেন, ঈসমাইল হোসেন, ছিদ্দিক আলী, বিল্পব কুমার দাস, এনামুল হাসান কম্পিউটার বিভাগীয় প্রধান মো. ফারুক হোসেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটাল বিভাগীয় প্রধান এবিএম ছিদ্দিকী, আর.এসি বিভাগীয় প্রধান মো. এনামুল হাসান প্রমুখ। আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার মো. হেলালে হায়দার।
    সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানানমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিদ্যালয়টি। শনিবার সকালে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করে। পরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন রকম পিঠা পুলির মেলার আয়োজন করা হয়। বিকালে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্মী শামীমা রুমা, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সামিমা ইসমত আরা, উম্মে হাবিবা, সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আবু সাঈদ, পহেলা বৈশাখ উদয়াপন কমিটির আহবায়ক সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আনিছুর রহমান, সহকারি শিক্ষক মমতাজ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক আনিছুর রহমান।
    সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ: সাতক্ষীরা ল কলেজের আয়োজনে ল স্টুডেন্টস ফোরামের সার্বিক সহযোগিতায় পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. এস এম হায়দারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১০টায় কলেজে আলোচনা, বাঙালী খাবারের আয়োজন ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায়, বাংলাদেশ হাইকোর্টের ডেপুটে অ্যাটর্নী জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আ ক ম রেজাওয়ান উল্লাহ সবুজ, ল কলেজের প্রভাষক এড. অরুন কুমার ব্যানার্জী, এড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, এড. মনির উদ্দীন. এড. শহীদ হাসান, এড. হোসনেয়ারা, এড. লাকী ইয়াসমিন, এড. নাঝমুন নাহার ঝুমুর, এড. শরীফ আজমীর হোসেন রোকন, ল স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাবুদ্দীন সাজু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শেখ মোখলেছুর রহমান, জান্নাতুন নাহার, আলমগীর কবীর সুমন, মোখলেছুর রহমান, পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক এসএম বিপ্লব হোসেন, কার্তিক চন্দ্র সাহা, প্রবল কুমার, পাপিয়া সুলতানা, সোহেলী পারভীন, বিন্তু পারভীন, মুন্সি মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, রোজিনা পারভীন, কার্তিক চন্দ্র, কাকলী, শাওন, তাহসিন কবীর খান, তাসনিম সুলতানা, নাসরিন সুলতানা, তাজনিম সুলতানা, সাথী, মামুন, তাজ নোভা, ইকতিয়ারসহ সাতক্ষীরা ল কলেজের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ল স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
    শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে শহরের সুলতানপুরস্থ আজাদী সংঘে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পতœী সালেহা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খোকন। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাক্কার, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ সভাপতি সবুর খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, শেখ হারুণ অর রশিদ, কবির হোসেন, নূরুল হক, রহমান, মনোয়ার হোসেন, নূরুল হুদা রনি, আলিফ, আশিক প্রমূখ।
    নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি: পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম বাঙ্গালী সংস্কৃতির চেতনা ও ঐতিহ্য লালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি। গতকাল সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা নয় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও অনেক যুগান্তকারী কাজ করে যাচ্ছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
    সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মাচারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইন-চার্জ এ.এইচ.এম. মুঞ্জুর মোরশেদ এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন শিববাড়ী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন করে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। দিনব্যাপী বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাং¯কৃতিক ক্লাব এর শিল্পীরা, এতে আবহমান বাঙ্গালী সাংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
    বিকালে এনইউবিটিকের ছাত্রদের সেকশন-বি ও ওয়েব ব্যান্ড দল এর পরিবেশনায় বৈশাখী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ কনসার্টে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি নিজেই সঙ্গিত পরিবেশন করেন। এনইউবিটিকের দিনব্যাপী এই বৈশাখী আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি নগরীর সর্বস্তরের মানুষের বিশাল জনসমাগম ঘটে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে এস.এস. আলী এন্ড কোং, লেক্সিকন, খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপ ও আবির্স।
    নবজীবন ইন্সিটিটিউট: বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার নবজীবনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ ১৪২৫। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নবজীবন ইনস্টিটিউটের উদ্দোগে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সাথে নিজস্ব ব্যানারে একটি বর্ণিল ও মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা বের করে। শোভা যাত্রায় বিশেষ আকর্ষন হিসাবে যোগ করা হয় গ্রামীন এবং পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য মন্ডিত গরুর গাড়ী,ঢেকী,হরিন,বিশাল আকৃতির ডাক ঘুড়ি,পালকি,ঘোড়ার গাড়ী, হাতি,বাঘ,বাঘ শাবক,হালখাতা মহরত,রিকসা,বেদেনী,নৌকা,সহ নানান আয়োজন। তালে তালে বাজানো হয় ঢাক, ঢোল ও ভেপু। দীর্ঘ এবং বর্নিল সাজের শোভা যাত্রাটি দেখে মুগ্ধ হন জেলা প্রশাসনের বিচারক মন্ডলি সহ হাজার হাজার দর্শক ও শ্রোতা। শোভা যাত্রাটি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌছালে মঞ্চ থেকে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে জেলার দ্বিতীয় স্থান অধিকারের ঘোষনা দেওয়া হয় । আনুষ্ঠানিক ভাবে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং পুরস্কার গ্রহন করেন নবজীবনের নির্বাহী পরিচালক ও নবজীবন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান তাারেকুজ্জামান খান, এসময় বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ,সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ,নবজীবন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম,উপাধ্যক্ষ মীর ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ, শিক্ষক শেখ বোরহান আলী সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নবজীবন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে চিংড়ী পান্তা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন রকম খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এসময় নবজীবনের সকল কর্মকর্তা,শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক গন উপস্থিত ছিলেন।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ: বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের পৌর শাখার আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পানতা ইলিশ ভোজ , র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের পৌর শাখার সভাপতি আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, আমন্ত্রতি অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যান সম্পাদক এড, আজাহার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব সেলিম হোসেন,অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে ছিলেন সংগঠনের পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সাংগঠনিক আমিনুল ইসলাম সেলিম, কুটির শিল্পী সম্পাদক মৌচাক সরদার, সৈয়দ আব্দুস সেলিম, আজিজুল ইসলাম, মোঃ হাফিজ, রোকনউদ্দীন প্রমূখ।
    থানাঘাটা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা ঈদগাহ ময়দানে ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু তাহের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির ফজর আলী, ইয়াকুব হোসেন, মহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, শফীকুল, আব্দুল্লাহ, গোলাম রসুল প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, মোঃ আসাদুজ্জামান।
    তালা: তালায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। তালা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসকল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
    ১৪২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বৈশাখী সোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। শোভাযাত্রাটির উদ্ধোধন করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্চ্ছো খানম,তালা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু,সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানসহ ১২টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ সামাজিক সংগঠন, স্কুল প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। শোভাযাত্রাটি তালা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
    পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
    এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল পান্তা ভোজ, পুকুরে হাঁস ধরা,লাঠিখেলা, ইত্যাদি। এছাড়া জালালপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ সাহিত্য সংসদের বর্ষ বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে পাটকেলঘাটার,কুমিরায় ৫দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
    পাটকেলঘাটা: ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈশাখ বরণের এ গানের মধ্যদিয়ে পাটকেলঘাটাসহ আশপাশের এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রাও মন্দিরে খাতা পুজা ও ,বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা,মধ্যদিয়ে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ । পাটকেলঘাটাস্থ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার বটমুলের সবুজ চত্বরে বর্ণিল মঞ্চে ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
    পাটকেলঘাটায় দিনব্যপী বিভিন্ন বৈশাখী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এরপর শিল্পী, সাংবাদিক,শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, নারী পুরুষ,শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাঙালীর চিরচেনা ঢাক-ঢোল,কাঁশর,সানাই,ঘোড়াগাড়িসহ বিভিন্ন সাজে সকাল ৮টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিরা সহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রবীন্দ্র সদনে এসে সমবেত হয়। এরপর সেখানে পান্তা ইলিশ ভোজনের সাথে সাথে মঞ্চে চলতে থাকে রবীন্দ্রসঙ্গীত.নজরুলগীতি পল¬ীগীতি,লালনগীতিও বাউলসহ বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান, আবৃত্তি ও নৃত্য। এরই মাঝে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আসাদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,অধ্যাপক বীরেন্দ্রনাথ মাহাতা, দেবজিৎমিত্র, অধ্যাপক প্রশান্ত রায়, প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন,ড. বিধান চন্দ্র ঘোষ, মোস্তাফিজুর রহমান,নারায়ন মজুমদার, বিশ্বাস আতিয়ার রহমান প্রমুখ । জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের মধ্যদিয়ে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর নেতৃত্বে র‌্যালি ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। কুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও পাটকেলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশাল র‌্যালী ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করে । এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে।
    দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা ১৪২৫ বর্ষবরণ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৮ টায় পালকী, গরুর গাড়ি ও নানারকম বাদ্যের তালে একটি বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবি বটতলায় শেষ হয়। এখানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য পান্তা উৎসবের আয়োজন ছিল। পান্তা খাওয়া শেষে আনুষ্টানিকভাবে দেশীয় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি বর্ষবরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরজ্জামান মনি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন, উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী. সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসমত আরা বেগম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নোহাগ হোসেন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও লাঠি খেলা, হা-ডু-ডু, সাতার সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়।
    বহেরা এ.টি মাধ্যমিক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা এ,টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আছাদুল হক এর সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক এমাদুল হকের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ। শোভা যাত্রা শেষে পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
    কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলামের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউপি এর প্যানেল চেয়ারম্যান বিকাশ সরকারের সভাপতিত্বে ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, কুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ও সদস্যা, ইউপি সচিব সহ কর্মচারী বৃন্দ।
    কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা শেষে কুলিয়া শহীদ মিনার চত্বরে পান্তা উৎসব উৎযাপন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বিধান বর্মন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ এর অর্থসম্পাদক মো. আছাদুল হক, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আযহারুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পরান চন্দ্র, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সহ ইউনিয়নের সকল স্তরের জনগন।
    পুষ্পকাটি সমবায় সমিতি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলানববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির সভাপতি শাহিনুজ্জামান রিপন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বাংলা নববর্ষের পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আ”লীগ এর সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, কুলিয়া ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মো. আসাদুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যা ফতেমা খাতুন প্রমুখ।
    কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ বরণ করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভোজ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পহেলা বৈশাখ সকাল ৮ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধকালী কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তারের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফুলতলায় উন্মুক্ত মঞ্চে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহামেদ মাছুম, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নববর্ষে উক্ত মঞ্চে বাউল ও লোকজ গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ, কালিগঞ্জ কলেজ, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কুশুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
    কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মানপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা সকাল হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এছাড়া সোতা-বেনাদনা মাঠে দিনটি উপলক্ষ্যে সারাদিন ব্যাপী ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে বালিয়াডাংগা মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসা, কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা, রামনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, রহমতপুর নবযুগ শিক্ষা সোপান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো বর্ষবরণ উদ্যাপন করে।
    শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহাড়ম্বরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শ্যামনগরে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫। কর্মসূচির মধ্যে লক্ষনীয় বিষয়গুলো ছিল বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ সকাল ৬ টায় সানাই, কাসাই ও ঢোল বদনের মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়। সকাল ৭ টায় মঙ্গল শোভা যাত্রায় উপজেলা সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী সংস্থা নববর্ষের ব্যানার সহ অংশ গ্রহনে এক বিশাল শোভাযাত্রা সংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্তরে সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। সকাল ৮ টায় ছাতিম তলায় অনুষ্ঠিত হয় পান্থা ভোজ উৎসব, সকাল ৯ টায় উপজেলা চত্ত্বরে বৈশাখী মেলা উদ্ভোধন, সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা, বেলা ২ টায় জারী গান, ৩ টায় সরকারী মহসীন ডিগ্রী কলেজ মাঠে সাংবাদিক বনাম সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রিতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮ টায় র‌্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি ঘটে।
    মুন্সীগঞ্জ: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহাসমারহে বর্ষ বরণ ১৪২৫ উদ্যাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে-৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন এবং হরিনগর হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যৌথ ভাবে অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করেছে। এছাড়াও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জহিরনগর দাখিল মাদ্রাসা, সুন্দরবন শিশু শিক্ষা নিকেতন ও বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী মুন্সীগঞ্জ কুলতলী বর্ষবরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলি সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরমধ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমীর বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি সবার নজর কাড়ে। এরপর পান্তা ভাত, কাঁচা ঝাল ও চিংড়ি মাছ পরিবেশন করা হয় । এ উপলক্ষ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী সন্ধ্যায় তাদের নিজস্ব শিল্পীদের সমন্নয়ে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চুনকুড়ি কালি মন্দির প্রাঙ্গনে আজ অনুষ্ঠিত হবে যাত্রানুষ্ঠান “কালো মেয়ের রাঙা পা।”
    আশাশুনি:
    বড়দল: আশাশুনির বড়দলে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের আয়োজনে এদিন সকাল ৭টায় এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি ডাঃ আলহাজ্ব এস এম মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. শিহাবউদ্দীন, সকল সহকারী শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    কাদাকাটি হাইস্কুল: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ উদ্যাপিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৭ টায় কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বর থেকে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খান। সহকারী শিক্ষক অবনী কুমার মন্ডলের পরিচালনায় এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নুর আলম, সহকারী শিক্ষক মাওঃ আফসার আলী, সুনীল কুমার রায়, নিজামুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, অসীম কুমার মন্ডল, ছাবিলুর রাশেদ, ফতেমা খাতুন, আরিফুর রহমান, রসময় মন্ডল, মিলন কুমার, শিরিন আক্তার খানম, ফাতিমা খাতুন, রুপনারায়ন রায়, আঃ রহিমসহ সকল কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    কুল্যা: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শনিবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ফিরোজ হোসেন মালীর নেতৃত্বে আরার গোবিন্দপুর লাঠি খেলা দল ও বাহাদুরপুর লাঠি খেলা দল অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত থেকে লাঠি খেলা উপভোগ করেন উপজেলা আ’লীগ সদস্য মেম্বর আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, মেম্বর আনোয়রা বেগম, সমাজ সেবক ইয়াহিয়া মোল্যা, আহাদ আলী প্রমুখ। এসময় লাঠি খেলা দেখতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রচুর দর্শক হাজির হন। খেলোয়াড়দের নানা শারীরিক কসরত দেখে মুগ্ধ হন তারা।

  • অপরিকল্পিত ও ধীর গতিতে চলেছে পাইকগাছার কপিলমুনি হাট-বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ

    অপরিকল্পিত ও ধীর গতিতে চলেছে পাইকগাছার কপিলমুনি হাট-বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সরকার ও এডিপি’র অর্থায়নে আরবান সেন্টার স্কীম সিটি রিজিয়ন ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট(সিআরডিপি) আওতায় পাইকগাছার কপিলমুনি হাট-বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের নির্দিষ্ট মেয়াদ ১ বছর আগে শেষ হলেও অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শম্ভুক গতির অপরিকল্পিত কাজের সর্বশেষ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আগামী বর্ষা মওসুমের আগেও তা শেষ হবেনা। অন্যদিকে বাজার অভ্যন্তরে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা বাচাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজসে স্থানীয় তহশীলদার পানি নিষ্কাষণের ড্রেন নির্মাণে গলি রাস্তাগুলো ব্যবহার করছে। কোথাও কোথাও ড্রেণ গুলি স্বর্পাকৃতিতে করা হচ্ছে। আর এমনটি হলে দক্ষিণ খুলনার অন্যতম প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র কপিলমুনি তলিয়ে ফের সেখানে স্থায়ী জলাবদ্ধতার পাশাপাশি ভবিষ্যতে রাস্তা নির্মাণে চরম সংকটের আশক্সক্ষা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সচেতন এলাকাবাসী।
    জানাগেছে, এলজিইডি খুলনার তত্বাবধানে ৭ কোটি ১৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ২ শ’ ৮৪ টাকা ৮৯ পয়সা বরাদ্দের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ পায় খুলনার রুপসা উপজেলার যোগীহাটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আইইএল এন্ড এফটি(জভি)। গত ৫ জুলাই ১৬’ থেকে শুরু করে কাজটি শেষ করার কথা ছিল গত ৪ জানুযারি১৭’ কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদের প্রায় ১ বছরেরও বেশী সময় অতিবাহিত হলেও প্রথম থেকেই মন্থর গতি, পরিকল্পনাহীনতা, অনিয়ম থেকে শুরু করে নানা সংকটে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
    প্রকল্পের আওতায় কপিলমুনি হাট-বাজার উন্নয়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন ও সুষ্ঠু চলাচলের জন্য কংক্রিট সড়ক নির্মানের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বাজারের বিভিন্ন স্থানে একযোগে খুঁড়ে রাখলেও একই গতিতে কাজ করতে না পেরে মূলত পিছিয়ে পড়ে তারা। বিশেষ করে গত বর্ষা মৌসুমে কাজ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ময়লা পানির-কাদার উপর ঢালই’র কাজ করে। কখনো কখনো বৃষ্টির মধ্যেও ঢালাইয়ের কাজ করে। এতে কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। পক্ষান্তরে চলতি শুষ্ক মওসুমে এক সাথে বিভিন্ন এলাকা খুঁড়ে মাটি উঁচু-নিচু করে রেখে বাণিজ্যিক কেন্দ্রটির স্বাভাবিক গতিতে মারাতœক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। বাজারের ইজারাদারের অতিরিক্ত চাপ ও অনুপ্রবেশে প্রতিবন্ধকতার দরুণ ইতোমধ্যে বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী কাশিমনগর এলাকায় চলে গেছে মাছ কাটা ব্যবসায়ীরা। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি ও রবিবার সাপ্তাহিক হাটবারে বিভিন্ন জেলাসদর থেকে আগত মালামালসহ হাটুরিয়াদের দূর্ভোগের অন্ত নেই। অনেক পাইকাররা হাটে আসাই বন্ধ করে দিয়েছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর পাশাপাশি কাঁচামালের উর্দ্ধগতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছেনা চলতি উৎপাদন মৌসুমেও।
    সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম দিকে সদরের পালপাড়া ও কালীবাড়ি সড়ক দু’টির নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিলেও ব্যস্ততম কলেজ রোড,পুলিশ ফাঁড়ি রোড,প্রেস ক্লাব রোড,কাপড় পট্টি থেকে অধিকাংশ রোড গুলির কোন কাজই শুরু করতে পারেনি তারা। আর কোন কোন সড়কে কাজ শুরু করলেও তা শেষ না কওে আরেকটি শুরু করেছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন খাময়োলীপনা ও পরিকল্পনাহীনতায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন কপিলমুনিবাসী। ভ্যান,সাইকেল থেকে শুরু করে মালবাহী কোন বাহনই ঢুকতে পারছেনা বাজার অভ্যন্তরে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের এমন ছন্নছাড়া গতিতে মোটেও ভাল নেই কপিলমুনির মানুষ। তারা এর প্রতিকার চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    এব্যাপারে কপিলমুনির হাট ইজারাদার মাসুম মোড়ল বলেন, অধিক টাকায় হাট ইজারা নিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছেন তিনি। অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজের অগোছালো ব্যবস্থাপনায় হাটের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘিœত হওয়ায় কোন ভাবেই আসল টাকা বাঁচানো তার জন্য দূরুহ হয়ে পড়েছে। আসন্ন বর্ষা মওসুমের আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ এগিয়ে নিতে না পারলে খানা-খন্দকে পানি জমে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পাওে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
    এদিকে উন্নয়ন কাজের মন্থর গতির সুযোগে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখলে শুরু হয়েছে মহোৎসব। সরকারের সকল প্রকার নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে যে যার মত আরসিসি বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। খোলা চাঁদণীতে রুম-রুম করে ঘর নির্মাণ করে চলে গেছে স্থায়ী দখলে। একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে অনেকেই নির্মাণ করেছেন পাকা ইমারত। হাটের জায়গা দখল করে কেউ নির্মাণ করেছেন ঘরের সিঁড়ি। বন্দোবস্তের বাইওে এস দখল করেছেন যাতায়াতের মূল রাস্তা। দীর্ঘ দিন পর বাজার উন্নয়নে চলমান কাজের স্বার্থে ও প্রত্যক্ষ্য-পরোক্ষাভাবে দখল ও দখল কাজে সহযোগিতা করতে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে তাই মুখ খুলছেননা কেউ।
    এ ব্যাপারে কপিলমুনি হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. কওছার আলী জোয়াদ্দার বলেন, অবৈধ দখলদারদেও উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সঠিক সময়েই তার বাস্তবায়ন হবে।
    এ ব্যাপারে কপিলমুনি ভূমি অফিসের তহশীলদার জাকির হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়টি তার দেখার কথা না। বিষয়টি তার হলে অবশ্যই ইউএনও স্যার তাকে জানাতেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাজের যথাযথ তদারকিহীনতাকেই দায়ী করছেন কেউ কেউ। তারা আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রকল্পের সমুদয় কাজের দাবি জানিয়েছেন।

  • জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা

    জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা

    ডেস্ক রিপোর্ট: জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। বক্তব্য রাখেন মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএসি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ. সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, এনএসআই সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, পিপি এ্যাড. ওসমান গণি, সড়ক ও জনপদ সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিম, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ গনি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, শামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিস সরদার, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্র নাথ দাস, বিআরটিএ’ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ্য ঐক্য পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু প্রমুখ। জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে, শহরের যানজট নিরসন, সাতক্ষীরা পৌর এলাকা সিসি টিভির আওতায় আনা প্রসঙ্গ, আগামী ২০ মে’র মধ্যে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক প্রাথমিক পর্যায়ে চলাচলের উপযোগি করে তোলা, বিনেরপোতায় অবৈধ স্থাপনা ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলার থানা ওয়ারী মামলা অনুযায়ী মার্চ ২০১৮ মাসে মোট মামলা হয়েছে ২শ’ ৪৮টি মামলা হয়েছে। এসময় সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় কমিটির সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার।

  • তালায় বোরোর আবাদ বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশক্সক্ষা

    তালায় বোরোর আবাদ বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশক্সক্ষা

    সেলিম হায়দার: তালায় আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে বোরোর বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। শেষ সময়ের অনাবৃষ্টি ও ঘাতক ছত্রাক ব্লাস্টের আক্রমণে এ বছর বোরো উৎপাদনে দেখা দিয়েছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা। এবছর শুরুতে পরিবেশ ভাল থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৬ শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়। কিন্তু ছত্রাক ব্লাস্টের আক্রমণে এখন লক্ষ্যমাত্রা অপূর্ণ থাকার সংশয় দেখা দিয়েছে।
    তালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবছর তালা উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৪ শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে গতবার বাজার মূল্য ভাল থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৭৫ হেক্টর বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ করেন কৃষকরা। এ বছর প্রথম থেকে আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকায় কৃষকদের পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও ধারণা করেছিল এবার তালায় বোরোর বাম্পার ফলন হবে। তবে উৎপাদন মৌসুমের শেষ সময়ে অনাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সাথে ঘাতক ছত্রাক ব্লাস্টের আক্রমণ সবার সব ধারণা পাল্টে দিয়েছে।
    এ ব্যাপারে কৃষক ও কৃষি বিভাগ পরষ্পরকে দোষারোপ করছেন। কৃষি বিভাগ বলছেন, ব্লাস্টের ব্যাপারে তৃণমূলের কৃষকদের আগেই সচেতন করা হয়েছিল। আর কৃষকরা বলছেন, ব্লাষ্টের পূর্ব অভিজ্ঞতা তাদের থাকলেও এবারের আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষে তৃণমূলের কৃষকদের সচেতনতায় বিশেষ কোন পরামর্শ দেওয়া হয়নি।
    এ ব্যাপারে তালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শামছুল আলমের কাছে বর্তমান পরিস্থিতিতে তালার বোরোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই কিছুটা ক্ষতি হবে। যেখানে বিঘা প্রতি তাদের পক্ষে ২০ মণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এখন ১৪/১৫ মণ উৎপাদন হবে। এ ব্যাপারে তালার ইসলামকাটির প্রদীপ ঘোষ, হাতবাশের নজরুল ইসলাম, পাঁচরখির কালাম হোসেন, বারুই হাটির সাত্তার সরদার জানান, নানা সংকটে শেষ সময়ে বোরো ধানের উৎপাদন হ্রাসের আশক্সক্ষা তাদের মধ্যে মারাতœকভাবে জেঁকে বসেছে। কোন কোন এলাকায় ধানের উৎপাদন খরচ না উঠারও আশক্সক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি তারা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কোন কোন এলাকায় সার ব্যবসায়ীদেরকেও দায়ী করেছেন। বিশেষ করে কৃষি বিভাগের পক্ষে প্রচারকৃত লিফলেটের সার-ওষুধের পরিবর্তে মুনাফালোভী দোকানীরা কৃষকদের নি¤œমাণের সার-ওষুধ ধরিয়ে দেয়ার বিষয়টিকেও দায়ী করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা শামছুল আলম আরো জানান, ঘাতক ছত্রাক ব্লাস্ট ধানের শীষ শুকিয়ে দেয় এবং ধান কাটার পর এতে চিটার পরিমাণই বেশী হয়।
    নাব্যতা সংকটে পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সাতক্ষীরার অধিকাংশ এলাকায় বছর জুড়ে থাকে পানি বন্দি। তাই জীবিকার একমাত্র মাধ্যম এক খ- জমিতে একমাত্র বোরো ধানের আবাদ তৃণমূলের কৃষকদের বেঁচে থাকার আশা জোগায়। তবে এবার নানামূখী সংকটে অধিকাংশ কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে। মৌসুমের চলতি এপ্রিলে মাঠে ধান পাঁকতে শুরু করেছে। কোন কোন এলাকায় কেবল ভারী হয়েছে শীষ। এমন অবস্থায় নানা সংকট উৎপাদনকে বাঁধাগ্রস্থ করায় রীতিমত বপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
    তৃণমূলের কৃষকরা জানান,প্রতি বিঘা জমি ১০ হাজার টাকায় হারি নিয়ে ধান চাষ করতে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। অনেকে আবার মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সূদে ঋণ কিংবা এক মাত্র সম্বল গবাদি পশু,গাছ বিক্রি বা স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে ধান চাষ করায় রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

  • ক্রসড্যাম নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে-জেলা প্রশাসক

    বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন সোমবার তালার ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প-প্রথম পর্যায়’ এর আওতাধীন পাখিমারা টিআরএমসহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তালা কপোতাক্ষ নদের উপর ক্রসড্যাম স্থাপন, পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কার, পাখিমারা টিআরএম বিলের পলি ব্যবস্থাপনা ও ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদান সমস্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তালা প্রেসক্লাব ও উপজেলা পানি কমিটির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে তিনি জালালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং “শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিজ সুশীল পল্লী” পরিদর্শন করেন।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন মতবিনিময় সভায় জনগণের বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেন।
    এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, টিআরএম প্রকল্প ২০২০ সাল পর্যন্ত চলবে। যে সকল কৃষকরা এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তাদের দ্রুত এবং সহজ শর্তে টাকা প্রদান করা যায় তা আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন পদ্ধতি বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিলে স্থাপিত সকল নেট-পাটা স্ব-উদ্যোগে তুলে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, ক্রসড্যাম নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কোন ধরণের অনিয়ম প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
    মত বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, তালা উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডো কাউন্সিলের প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, শালতা বাঁচাও কমিটির সভাপতি সরদার ইমান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    মতবিনিময় সভা শেষে তালা প্রেসক্লাব সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু ও উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে কপোতাক্ষ নদে ক্রসড্যাম না দিয়ে তিন মাস পর ক্রসড্যাম দেয়ার কারণ তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিচারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অতি দ্রুত এই ক্রসড্যাম স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করা। অতিদ্রুত বিল অধিবাসীদের ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদান সমাপ্ত করা। কারণ প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের কার্যক্রমে শেষ হলেও কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ ১ম বছরের জন্য ৬২% ও ২য় বছরের জন্য ২৫.৫২% প্রদান করা হয়েছে। জরুরীভাবে বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বেই পাখিমারা টিআরএম বিলের পেরিফেরিয়াল বাঁধের সংস্কার করা। কারণ বিগত বছরগুলোর ন্যায় যাতে বাঁধ ভেঙ্গে বা উপচিয়ে পার্শ্ববর্তী জনপদ প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এছাড়া গুরুত্ব প্রদান করে পাখিমারা টিআরএম বেসিনের দূরবর্তী পশ্চিমাংশে পলি অবক্ষেপনের ব্যবস্থা করা যাতে এলাকায় ভবিষ্যতে পরিবেশগত জটিলতা সৃষ্টি না হয়।
    এ সময় কপোতাক্ষ নদ রক্ষায় উপরোক্ত দাবী সমূহ বিবেচনা পূর্বক অববাহিকার ২০ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকার নিরাপত্তার স্বার্থে এবং চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে অবিলম্বে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক টিআরএম এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ টি পরিবারকে উত্তরণ কর্তৃক নির্মিত শহীদ আজিজ-সুশীল পল্লী পরিদর্শন করেন এবং সেখানে দ্রুত বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, কবরাস্থান ও পুকুর খননের আশ^াস প্রদান করেন।

  • পুলিশের অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ আটক-৬৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের দুই নেতা-কর্মীসহ ৬৮ জন আটক করা হয়েছে।
    গত বোরবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদকদ্রব্য। পরে বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৬ জন, কালিগঞ্জ থানা ১১ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৭ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • খুলনায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

    বিশেষ প্রতিনিধি: খুলনায় গোলাম মওলা(৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে তেরখাদা উপজেলার আটলিয়া গ্রামের খামার বিল এলাকায় এ হত্যাকা- ঘটে। এ সময় আরো চারজন আহত হন। তেরখাদা থানা পুলিশ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। নিহত গোলাম মওলা তেরখাদা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
    স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে স্থানীয় আটলিয়া গ্রামের খামার বিল এলাকায় কৃষকলীগ নেতা ঝিলু মুন্সী ও গোলাম মওলার মধ্যে বাকবিত-া হয়। পরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঝিলু মুন্সীর লোকজন গোলাম মওলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
    সংঘর্ষে আহত হন- গোলাম মওলার সমর্থক লিপি বেগম (৪৫), সোহেল শেখ (২৫), সাবিনা ইয়াসমিন (৪০) ও গোলাম মওলার ছেলে খালিদ শেখ (২৫)। আহতদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    গোলাম মওলার ছেলে খালিদ শেখ জানান, কৃষকলীগ নেতা ঝিলু মুন্সী ও তার বাবার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে সোমবার সকালে ঝিলু মুন্সী রামদাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার লোকজন নিয়ে তার বাবাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালেকুজ্জামান ইউপি পরিষদ সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • জেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

    জেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

    ডেস্ক রিপোর্ট: জেলার এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শুরু হলে বেশ কিছু জায়গায় অনুপস্থিতির ঘটনা ঘটেছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় আজ সোমবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমনা পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। জেলায় এবার ৩৮ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৬১৭জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছে। এদিকে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসমুক্ত, ফাঁসের গুজবমুক্ত এবং সুষ্ঠ ও সম্পূর্ন নকলমুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। তবে, প্রশপত্র ফাঁস ও নকল আতঙ্কে উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল।
    এবার শুধুমাত্র সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৮ টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৬১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৩জন, সরকারী মহিলা কলেজে ১ হাজার ৭৬২ জন, সিটি কলেজে ৮০৩ জন, দিবা-নৈশ কলেজে ৩৫০জন, ভালুকা চাঁদপুর কলেজে ২৬৬ জন, আলিয়া মাদ্রাসায় ৩৮৬ জন, পিএন স্কুল এন্ড কলেজে ৮৬২ জন ও সরকারী টেকনিক্যাল কলেজে ১০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করছে।
    সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন জানান, নকল ও প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে যা যা করা দরকার সব করা হযেছে। পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা না নিলে কেন্দ্র বাতিলের সুপারিশ করা হবে। তিনি আরো জানান, বিষয় ভিত্তিক কোন শিক্ষক যাতে পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শন করতে না পারে তার জন্য সকল কেন্দ্র সচিবকে জানানো হয়েছে।
    দেবহাটা প্রতিনিধি জানান: দেবহাটায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া ১ম দিনের পরীক্ষা নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় শুরু বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৭৬১ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৫ জন। এর মধ্যে দেবহাটার সখিপুর খানবাহাদুর আহছান উল্লা কলেজ কেন্দ্রে ১৯১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন অনুপস্থিত ছিল। হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৪৩২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২জন অনুস্থিত ছিল। দেবহাটা কলেজ কারিগরি (ভোকাশনাল) কেন্দ্রে ১৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ২জন। প্রথম দিনের পরীক্ষা নকলমুক্ত ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল-আসাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট প্রতিটা কেন্দ্রে যেয়ে তদারকি করেন। পরিদর্শন কালে নির্বাহী কর্মকর্তা হল সুপার, সহকারী হল সুপার, পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষাগুলো সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন।
    কলারোয়া প্রতিনিধি জানান: কলারোয়ায় সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ ২ এপ্রিল সোমবার পরীক্ষার প্রথমদিনে অনুপস্থিত ছিলো ৩২জন পরীক্ষার্থী।এইচএসসি, এইচএসসি (বিএম) ও আলিম পরীক্ষায় কলারোয়া সরকারি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ ও আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩০২৮ জন। এর মধ্যে প্রথম দিনে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিলো ২৯৪৮জন। অংশ নেয় ২৯১৬ জন পরীক্ষার্থী। উপজেলার মোট ১১টি কলেজ থেকে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো এইচএসসিতে ১৬জন ও এইচএসসি (বিএম)-এ ১৬ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে বিএম শাখায় সকাল সেশনে দ্বাদশ শ্রেণীর ও বিকেল সেশনে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন কেন্দ্রে সূত্রে জানা গেছে- কলারোয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৪৮৮জন। তাদের মধ্যে ৮০জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী। ফলে প্রথম দিনের নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিলো ৪০৮জন।বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৮৩০জন। অনুপস্থিত ছিলো ১১জন।শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ কেদ্রে মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ২৯২জন। অনুপস্থিত ছিলো ৫জন। আর বিএম পরীক্ষায় সকাল সেশেনে (দ্বাদশ শ্রেণি) পরীক্ষার্থী ছিলো ৪৯৭জন। অনুপস্থিত ছিলো ৬জন। সেখানে বিকালে সেশেনে বিএম পরীক্ষায় (একাদশ শ্রেণি) মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৪৭০জন।আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে বিএম পরীক্ষার সকাল সেশনে (দ্বাদশ শ্রেণি) মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২২৪জন। অনুপস্থিত ছিলো ১জন। বিকেল সেশনে বিএম পরীক্ষায় (একাদশ শ্রেণী) মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২২৭জন। অনুপস্থিত ছিলো ৯জন।এদিকে, পরীক্ষা শুরু ত্রিশ (৩০) মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীরা স্ব স্ব কেন্দ্রে প্রবেশ করে। উপজেলার সব কেন্দ্রে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করে সার্বিক পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন। আইন-শৃংখলা বাহিনী, কক্ষ পরিদর্শকসহ পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সকলে ছিলো অত্যন্ত সতর্কতায়। দরগাহপুর প্রতিনিধি জানান: দেশের সকল স্থানের ন্যায় দরগাহপুর কলেজিয়েট বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুটি ভেনুতে গত কাল সোমবার শান্তিপূর্ণ ভাবে এইচ এস সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে সকল কলেজ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন তারা হলেন বড়দল আফতাব উদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজ হতে ১৭৭ জন, শালিখা কলেজ হতে ১৮৬ জন ও দরগাহপুর কলেজিয়েট বিদ্যালয় হতে ৪৭২ জন। সর্বমোট-৮৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী অত্র কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে। তার মধ্য হতে অনুপস্থিত-৪ জন। পরীক্ষায় হল সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ আলী, ভেনু হল সুপার মাহবুবার রহমান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরপদ মন্ডল। পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে আছেন সহকারী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ রায়, প্রভাষক শাহাবুদ্দীন মোড়ল, সুশান্ত কুমার বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম ও মনিরুজ্জামান। পরীক্ষা চলাকালীন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট দেওয়ান আকরামুল হক, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভিজিলেন্স অফিসার বিজন কুমার মিত্র, ইউ এন ও প্রতিনিধি ভেটেনারী সার্জেন ডাঃ মিজানুর রহমান ও পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা এ বি এম ফিরোজ আহম্মেদ পরীক্ষা চলাকালীন সময় পরিদর্শন ও দায়িত্ব পালন করছেন। অত্র কেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নকল মুক্ত ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • পাটকেলঘাটায় গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন

    পাটকেলঘাটায় গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন

    পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা থানা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় পাটকেলঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে হল রুমে থানা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির ডাঃ এস এম হাদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ডাঃ মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আশরাফ উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ অপূর্ব মজুমদার। এসময় ডাঃ এস এম হাদিউজ্জামান কে আহবায়ক, ডাঃ শংকর কুমার দাশ কে সদস্য সচিব ও ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম,ডাঃ আলাউদ্দীন, ডাঃ আঃ করিম সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়। অপর দিকে দ্রুতই ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ থানা কমিটি ঘোষনা করা হবে বলে জানান। গত মাসে বাংলাদেশে সকল জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ের গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।

  • লেখক বদরুর ওপর চড়াও সন্ত্রাসী বাহিনী!

    লেখক বদরুর ওপর চড়াও সন্ত্রাসী বাহিনী!

    শহর প্রতিনিধি: তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর হামলা করেছিল। সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের সহায়তায় আমি ভাগ্যজোরে রক্ষা পেয়েছি। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
    গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তালার সেনপুর গ্রামের লেখক সাংবাদিক বদরু মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ওরফে সুহৃদ সরকার।

    তিনি বলেন, আমি একাত্তরের গনহত্যার ওপর একটি গ্রন্থ ও তথ্য চিত্র রচনার কাজ করছি। এরই মধ্যে বিটিভিতে ২৮ মার্চ তার একটি খ- চিত্র প্রচারিত হয়েছে।
    তিনি বলেন, আমি গত ১৩ মার্চ দুপুরে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের কাছে যাই। তিনি তখন পাটকেলঘাটা নার্সিং হোমে বসেছিলেন। বদরু বলেন ‘আমি আমার লিখিত গনহত্যার একটি খসড়া বিবরণ শীট তাকে দেখতে দিলে তিনি তা টেবিলের ওপর ছুড়ে ফেলে দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি অশালীন কথাবার্তাও বলেন। এমনকি আমাকে হুমকি দেন।

    আমি কামরা থেকে বেরিয়ে আসতেই শেখ নুরুল ইসলামের নির্দেশে তার বাহিনীর সদস্যরা আমার ওপর চড়াও হয়। শেখ নুরুল ইসলাম নিজেই আমাকে ধরার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন, আমার বোন সুফিয়া খাতুন ও ডা. গোলাম রসুল বাধা দেওয়ায় আমি রক্ষা পায়।
    তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে শেখ নুরুল ইসলাম ও তার বাহিনীর সদস্যরা আমাকে নানাভাবে হয়ারণী করছে। তারা যেকোনো সময় আমার ক্ষয় ক্ষতি করতে পারে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেখ নুরুল ইসলাম বলেন, এমন কোনো ঘটানাই ঘটেনি। এটি মিথ্যা প্রচার মাত্র’।