সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার পল্লীতে দুই কন্যা শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আব্দুল জব্বার শেখ (৬০) নামের এক লম্পটকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাটকেলঘাটা থানায় দুই শিশুর মধ্যে এক শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর বিকালে তাকে আটক করা হয়।
লম্পট আব্দুল জব্বার শেখ তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার গনেশপুর গ্রামের মৃত কেরামত শেখের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৪ ই এপ্রিল দুপুরে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার গনেশপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার শেখ তার প্রতিবেশি ওই দুই কন্যা শিশু মিষ্টি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে যৌন হয়রানি করে। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কিছু মোড়ল মাতব্বর দুই দিন ধরে রফাদফার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই শিশুর মধ্যে এক শিশুর মা আজ দুপুরে থানায় মামলা দায়েরের পর বিকালে আসামী আব্দুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মামলা নং-২। তারিখ-১৭.০৪.২০২০।
Category: তালা
-
দুই কন্যা শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক লম্পট আটক
-

তালায় বিষপানে গৃহবধূর অত্মহত্যা
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা তালায় বিষপান করে রওশনারা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। তিনি উপজেরার হাজরাকাটি গ্রামের লিয়াকত মোড়লের স্ত্রী এবং একই গ্রামের মোঃ মহিউদ্দীন জোয়ার্দ্দারের কন্যা। বুধবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে নিজ বাড়িতে বিষপান করলে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দা সেকেন্দার অবু জাফর বাবু জানান, দু’সন্তানের জননী রওশনারা বেগমের স্বামী লিয়াকত মোড়ল সম্প্রতি পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তার ছেলের গচ্ছিত ১৫ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে দুঃখে তিনি বুধবার বিকাল ৩ টার দিকে বিষপান করেন। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জারিন তাসমিন জনান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঐ গৃহবধূকে বেডে দেয়ার পরেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। -

তালায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এক সন্তানের জননী নিহত
তালায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরা বেগম(৩২) নামের এক সন্তানের জননী নিহত হয়েছেন। বুধবার((১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তালা উপজেলার খুলনা-পাইকগাছা সড়কের জাতপুর বাজারে রাস্তা পার হয়ে তার স্বামীর দোকানে যাওয়ার সময় খুলনাগামী দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মনিরা বেগম(৩২) গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তালা হসপিটালে পরবর্তিতে খুলনা ২৫০ শয্যা হসপিটলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত গৃহবধূ উপজেলার পাঁচরোখী গ্রামের মান্নান শেখের স্ত্রী। নিহত মনিরা বেগমের নাইম নামের ৭বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
-
তালা কাঁচা বাজার স্থানান্তর : নেয়া হয়েছে পুরাতন বি.দে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে
বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও সচেতনতা কাযক্রম অব্যাহত :
তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ।।
সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।মঙ্গলবার, (১৪ এপ্রিল ) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য উপজেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন। টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
মঙ্গলবার অভিযান কালে তালা কাঁচা বাজার থেকে সকল ব্যবসায়ীদের তরিতরকারি নিয়ে পুরাতন তালা বি.দে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে অস্থায়ী স্থানান্তর করা হয়।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এখানেই কাঁচা বাজার চালাতে হবে- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরন অব্যাহত রয়েছে।
করোনা সংক্রামন এড়াতে নিজেদের সতর্ক থাকা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ও সমাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করতে কাঁচাবাজার স্থানান্তর করা হয়েছে।
-

তালায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়
নিজস্ব প্রতিনিধি:তালা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে তালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জনপ্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার রবিউল ইসলাম, তালা থানা ওসি মেহেদী রাসেল,পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, তালা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রওশন দায়েমী, ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, এম মফিদুল হক লিটু, সাংবাদিক মোজাফ্ফার রহমান, আজিজুর রহমান রাজু, জাহাঙ্গীর আলম, মতিয়ার রহমান, আজিজুল ইসলাম, সরদার রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেন,গনেশ দেবনাথ, প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু,কামরুজ্জামান লিপু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হকসহ উপজেলার সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে কোন রকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হবে। এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইউপি চেয়ারম্যানদের কাজ করার জন্য আহবান জানান তিনি। -

তালায় দিনদুপুরে অগ্নিকান্ডে দু’টি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ।।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খানপুর গ্রামে দিনদুপুরে অগ্নিকান্ডে দু’টি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। সোমবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে তালা উপজেলার খানপুর গ্রামের ফজর সরদারের পুত্র কৃষক মোঃ সামাদ সরদারের বাড়িতে উক্ত ঘটনা ঘটে।
তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, দুপুরে রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে উক্ত অগ্নিকান্ডে পার্শ্ববর্তী বসতঘরও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় দারুণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষক সামাদ সরদার। তার মাথা গোঁজার কোন ছাই নেই। এ সময় তিনি পরিবারটিকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। -

প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন ॥ তালায় করোনার কারণে বিপাকে দুগ্ধ খামারীরা
সেলিম হায়দার ॥
করোনা ভাইরাসের কারণে দুধ বিক্রি না হওয়ায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুগ্ধ খামারীরা বিপাকে পড়েছে। অত্র উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হলেও বিক্রি করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকেই। প্রতিদিন খামারের দুধ বিক্রি করে চলতো প্রায় দুই হাজার মানুষের সংসার। কিন্তু খামারের এ দুধ বাইরে নিয়ে যেতে না পারায় অর্ধেক দামে এলাকায় বিক্রি করছেন তারা। মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হচ্ছে এক লিটার দুধ। অথচ বাইরে পাঠাতে পারলে এ দুধের দাম পেতো ৪৫ থেকে ৬০ টাকা। এজন্য দুধ বিক্রি নিয়ে তেমন কর্মব্যস্ততাও নেই খামারীদের মাঝে।
তবে তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সন্জয় বিশ্বাস বলেছেন, অত্র উপজেলায় উৎপাদিত তিনভাগের একভাগ দুধ অবিক্রিত হচ্ছে। এসব দুধ দিয়ে ঘি, ছানা, মাখন তৈরি করে তা বাজারজাত করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে খামারীদের।
তালার জেয়ালা ঘোষপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ জানান, তাদের খামারসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। উৎপাদিত দুধ সাতক্ষীরা, খুলনা ও যশোর জেলা শহরে অবস্থিত বিভিন্ন কোম্পানীসহ দোকানে বিক্রি করতেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কোন কোম্পানী বা দোকানীরা দুধ নিচ্ছে না। একদিন নিলেও চার দিন দুধ নেওয়া বন্ধ রাখছে। যেটা নিচ্ছে তার টাকাও বকেয়া পড়ে থাকছে। এ জন্য স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন খামারীরা।
খামারী বিপ্লব ঘোষ জানান, প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে সাতক্ষীরার বিনেরপোতা, খুলনার ব্র্যাক আড়ং, আঠার মাইল, কাশিমনগর ও জাতপুর প্রাণসহ বিভিন্ন কারখানায় তারা খামারের দুধ বিক্রি করতেন। কিন্তু এখন তারা নিয়মিত দুধ নিচ্ছে না। আর যা নিচ্ছে তার টাকাও বকেয়া পড়ে থাকছে।
আরেক খামারী জেয়ালা গ্রামের সুজন ঘোষ জানান, তিনি গ্রামে দুধ সংগ্রহ করেন। কিন্তু গত পাঁচ দিন দুধ বিক্রি করতে পারেনি। এ জন্য সোমবার (১৩ এপ্রিল) সবাইকে দুধ নিবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। করোনার প্রভাব না গেলে তিনি আর দুধ সংগ্রহ করবেন না।
তালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার উত্তরে (তালা ও ডুমুরিয়া) সীমানায় জেয়ালা গ্রাম। এ গ্রামের ঘোষপাড়ায় ১৫০টি পরিবারের প্রায় এক হাজার লোকের বসবাস। এ পাড়ায় মানুষের প্রধান কাজ কৃষি ও গাভী পালন। এখানে রয়েছে ছোট বড় ১৩৭টি দুগ্ধ খামার। এ দুগ্ধ খামারের আয়ে চলে তাদের সংসার।
সোমবার সকালে জেয়ালা ঘোষ পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, খামারে বাঁধা আছে ছোট বড় দেশি-বিদেশি গাভী। কেউ দুধ সংগ্রহ করছেন। কেউ খাবার দিচ্ছেন। কেউ ভাল পাত্রে দুধ রাখার চেষ্টা করছেন। কিভাবে কোথায় বিক্রি করা যায়, তা নিয়ে আালাপ করছেন তারা। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে কেউ বাইরে যেতে চাচ্ছেন না। সকলে বাড়িতে আছেন। প্রশাসনের ভয়ে দুএকজন বাইরে গেলেও যাচ্ছেন গোপনে।
এসব খামারে জার্সি, ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, হরেষ্টইানসহ বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। এরমধ্যে জার্সি, ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল গরুর সংখ্যা বেশি। এখানে যত গরীব পরিবারই থাকুক না কেনো, তাদের কমপক্ষে ৫টি গরু রয়েছে। আর যাদের অবস্থা মুটামুটি ভালো তাদের ৫ থেকে ৫০ টি করে গরু আছে।
এসব দুগ্ধ খামারীদের ভাষ্যমতে,‘দুধ তো আর নষ্ট করা যাবে না। যে ভাবে হোক কম দামে হলেও বিক্রি করতে হচ্ছে। দুধ নেওয়ার কোম্পানীগুলো দুধ নিচ্ছে না। দুধ নিলেও টাকা দিচ্ছে না। কিভাবে চলবে তাদের খামার। চলবে সংসার।’
খামারী বিপ্লব ঘোষ জানান, তার খামারে সাতটি গাভী রয়েছে। প্রতিদিন একটি গরুর পেছনে তার ২৫০ টাকার মতো খরচ হয়। দুধ বিক্রি করে তার খরচের টাকা উঠতো। বর্তমানে দুধ বিক্রি না হওয়ায় খরচের টাকা উঠছে না। এতে তিনি বিপাকে পড়েছে।
দুধ বহনকারী চালক জুয়েল গাজী জানান, দুধ বহন করে তার সংসার চলতো। কিন্তু করোনার প্রভাবে কেউ সড়কে উঠতে দিচ্ছে না। দুধ কোম্পানীগুলো দুধ তেমন নিচ্ছে না। এজন্য তিনি বাইরে যান না। বেকারত্ব সময় কাটছে বাড়িতে।
জেয়ালা ঘোষপাড়ার দিপংকর ঘোষ জানান, তার বাড়িতে ৯ টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন তার ২২ থেকে ২৫ কেজি দুধ উৎপাদন হচ্ছে। এ দুধ বিক্রির মধ্য দিয়ে চলতো তার সংসার। কিন্তু এ দুধ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে না। এমন বক্তব্য জেয়ালা দুগ্ধ পল্লীর অনেক খামারী।
পার্শ্ববর্তী আটারই গ্রামের আবু হারেজ সরদারের ছেলে আল-আমিন সরদারের খামারে বর্তমানে ৩০টি গাভি রয়েছে। এরমধ্যে ১০টি গাভি দৈনিক একশ’ লিটার দুধ দেয়। প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হয় ৩৫ টাকায়। বাকি গাভিগুলোও পর্যায়ক্রমে দুধ দেবে। কিন্তু পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় দারুণ বিপাকে পড়েছেন তিনি।
জেয়ালা ঘোষপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি দিবস ঘোষ জানান, তার নিজেরও প্রতিদিন ২৮০ লিটারের মতো দুধ উৎপাদন হয়। বর্তমানে এ দুধ বিক্রি হচ্ছে না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন তিনি। তার ভাষায়,‘খামারীরা এবার শেষ।’
তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সন্জয় বিশ্বাস জানান, অত্র উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হলেও তিনভাগের একভাগ অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। এছাড়া দুগ্ধপল্লী জেয়ালা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে উৎপাদিত প্রায় ১৫ হাজার লিটার দুধের মধ্যে ৫ হাজার লিটার অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। এসব দুধ দিয়ে ঘি, ছানা, মাখন তৈরি করে তা বাজারজাত করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে খামারীদের। তবে প্রাণ, ডেইরি মিল্ক, আড়ং, মিল্ক ভিটা প্রভৃতি কোম্পানি খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া মিষ্টির দোকানগুলো দুধ সরবরাহ করলে এ সমস্যা অনেকটা কমে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, অত্র জেলা গরুর দুধে সমৃদ্ধ। জেলায় প্রতি বছর ১.৯০ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়। যারমধ্যে এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন হয় তালা উপজেলায়। জেলায় ছোট বড় খামার রয়েছে ২ হাজার ৫০২টি। প্রথমদিকে খামারিদের দুধ অবিক্রিত থাকলেও বর্তমানে একটু স্বাভাবিক হয়েছে। তবে দুধের সদ্ব্যবহার করতে খামারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি । -

তালা উপজেলা জাসদের পক্ষ থেকে সাবান,মাস্ক লিফলেট বিতরণ
বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তালা উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ ইকবাল হোসেনের নির্দেশনায় ও “COVID-19 RESPONSE TEAM, TALA, SATKHIRA” গ্রুপের সহোযোগিতায়, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জাসদ “করোনা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন ও অন্যকে সচেতন করুন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে তালা উপজেলা জাসদের উদ্যোগে সচেতনতামূলক, সাবান,মাস্ক, লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৯ এপ্রিল দুপুর ১২ টায় তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজার পাঁচ রাস্তা চত্বর থেকে বের হয়ে শহরেরর প্রধান-প্রধান সড়কে,সাবান,মাস্ক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সাবান, মাস্ক, লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি” বিশ্বাস আবুল কাসেম, সাধারন সম্পাদক” মোঃ ফারুক হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক” রেভাঃ অমল সরকার,পাটকেলঘাটা থানার ডিএসবি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।দফতর সম্পাদক” আবু মুছা,আজিজুল ইসলাম, মোর্তজা, আরিজুল শেখ, খাইরুল ইসলাম,প্রমুখ। -
তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিলে অনুদান
তালা প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সয়ক্রমণের ফলে বাংলাদেশে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র, প্রান্তিকজনগোষ্ঠী ও খেটে-খাওয়া মানুষের সহায়তার জন্য উপজেলা ত্রাণ তহবিলে তালা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ৭৮ হাজার ২০শত টাকা জমা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (০৮ এপ্রিল) তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেনের কাছে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উক্ত অনুদানের অর্থ জমা দেন।
তালা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, ইতোপূর্বে আরো তিন ধাপে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। আমরা ইউএনও স্যারের কাজে সামান্য সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত। এ সময় তালা উপজেলাকে করোনামুক্ত রাখতে সকলে সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘ ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, অন্যকেও সুস্থ্য রাখুন।’ -

তালায় টিআরএম’র বাঁধ ভেঙ্গে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত, স্বেচ্ছশ্রমে মেরামতের চেষ্টা
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালায় টিআরএম এর বাঁধ ভেঙ্গে নি¤œঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকালে জোয়ারের পানির চাপে টিআরএম এর সংযোগ খালের বাঁধ ভেঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এলাকাবাসী বাঁধটি স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের কাজ করছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, কপোতাক্ষে বালিয়া অংশের নদীতে বাঁধ দেয়ায় নদীর জোয়ার-ভাটা বাঁধাগ্রস্থ হওয়ার কারণে আকস্মিক জোয়ারের পানির চাপে কয়েক ফুট বাঁধ ভেঙ্গে নি¤œ এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে। এতে কবরস্থানসহ কয়েকটি কয়েকটি বাড়ি সংলগ্ন নি¤œ এলাকায় পানি প্রবেশ করে। বালিয়া গ্রামের জব্বার মোড়ল, ইসমাইল মোড়ল, রবিউল সানা, মোমিন সানার বাড়িসহ বেশ কয়েটি পরিবার সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের মাছের ঘের, পুকুর ও ফসলী জমিতে পানি উঠে যায়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রাশেদ সানা বলেন, নদীর মুখে বাঁধ দিয়ে জোয়ার-ভাটার বাঁধাগ্রস্থ করায় এবং টিআরএম সংযোগ খালের বাঁধ মজবুত না হওয়ায় এলাকার কয়েকটি পরিবার হঠাৎ করে পানি বন্দি হয়ে পড়ে। এছাড়া টিআরএম এলাকার জমির হারির টাকা মালিকদের যথাসময়ে যথাযথ ভাবে না দেওয়ায় স্থানীয় অনেকেই এ বিলের ভিতর বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘের করায় পানি বিলের ভিতর প্রবেশ করতে পারছে না বলেই অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয় খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু জানান, অব্যবস্থাপনায় টিআরএম চালু হওয়ার কারণে বাঁধ ভেঙ্গে বালিয়া গ্রামের কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তার উদ্যোগে বিকালেই এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি মেরামতের কাজ করছে বলে জানান তিনি।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। তবে দ্রুত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -
তালায় করোনা সন্দেহে দুইজনের নমুনা সংগ্রহ
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ।।
সাতক্ষীরা তালায় এই প্রথম করোনা সন্দেহে দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই দুইজনই তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জানা গেছে, খলিষখালী গ্রামে জনৈক সহকারী ডাক্তার(৪২)ও জনৈকা বৃদ্ধ মহিলা(৮৫) বেশ কয়েক দিন যাবৎ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ নিয়ে এলাকার জনমনে নানা প্রশ্ন ও গুজব ছড়িয়ে পড়লে তারা নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ফোনে করে জানান।
মঙ্গলবার (৭এপ্রিল)সকালে তালা উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা খলিষখালী তাদের বাড়ীতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।
নমুনা সংগ্রহ করে করোনা ভাইরাসের জীবানূ আছে কিনা তা পরিক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তারে পাঠানো হয়েছে বলে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাজীব সরদার জানান,খবর পেয়ে মেডিকেল টিম নিয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য আমার তাদের বাড়ীতে গিয়েছিলাম। কভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করে টেষ্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তারে পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, তারা দু’জনই এখন হোম কোয়ারন্টিনে আছেন। এ সময় তিনি সকলে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মীরা সবসময় আপনাদের পাশে আছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,বিষয়টা আমি শুনেছি। আমি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জানের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তবে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় তিনি আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য ইউনিয়নবাসীকে অনুরোধ করেছেন । -

তালার খলিলনগরে কর্মহীন অসহায় ৩০০ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে সাতক্ষীরা তালার খলিলনগর ইউনিয়নে ৩০০ পরিবারকে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু শনিবার (৪ এপ্রিল) ইউনিয়নের চায়ের দোকানদার, সেলুন কর্মচারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেন। অসহায় ৩০০ পরিবারের মাঝে জিআরের ৮ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, খলিলনগর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও ট্যাক অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান,তালা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম হায়দার ও তালা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জয়যাত্রা টেলিভিশনের তালা উপজেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসমলাম প্রমুখ।
খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানান, ‘করোনো সংক্রমণ রোধে বাড়িতে অবস্থান করে সামাজিক দূরত্ব তৈরির বিকল্প নেই। এতে কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দিনমজুর সেলুন কর্মচারী,চায়ের দোকানদারসহ দুস্থদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ইউনিয়নে ২.৫০মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তালিকা প্রস্তুত করে এ ত্রাণ সহায়তা অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি।
প্রকাশ,করোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা,বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। -

করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে তালায় সেনাবাহনিীর টহল জোরদার করা হয়ছে
তালা (সাতক্ষীরা)প্রতনিধিি :
করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতরিোধে সাতক্ষীরা তালা উপজলোয় সনোবাহনিীর টহল জোরদার করা হয়ছে
বৃহস্পতবিার (০২এপ্রলি) তালা উপজলো নর্বিাহী র্কমর্কতা মোঃ ইকবাল হোসনেরে নতেৃত্বে সনোবাহনিী টহল দচ্ছিনে দনিভর। কউে যাতে অযথা ঘররে বাহরিে ঘোরাফরো না করনে এ জন্য এ টহল জোরদার করা হয়।
সামাজকি দূরত্ব না মানায় ৭ জনকে জরমিানা করছেে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভযিান পরচিালনা করনে উপজলো নর্বিাহী র্কমর্কতা মোঃ ইকবাল হোসনে।
জানা গছে,ে সরকারি নষিধে অমান্য করে সামাজকি দূরত্ব না মানায় ৭ জনকে ৬ হাজার ২০০ টাকা জরমিানা করা হয় ।
উপজলো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহনিীর কঠোর অবস্থানরে জনশূন্য হয়ে পড়ছেে ব্যাস্ততম উপজলো বাজারগুলো ।
উপজলো নর্বিাহী অফসিার মোঃ ইকবাল হোসনে বলনে, করোনা ভাইরাস প্রতরিোধ সবাইকে সামাজকি দূরত্ব বজায় রাখতে হব।ে বশিষে প্রয়োজনে ছাড়া কউে ঘররে বাহরিে বরে হবনেনা। বরে হলে তাদরে বরিুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নয়ো হব।ে
এদকি,ে নত্যি প্রয়োজনীয় জনিসিরে দোকান ও ঔষধরে দোকান ছাড়া বাকী অন্যান্য দোকান পাট অধকিাংশই বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাটে লোক-সমাগম খুবই কম। চলছে ভ্রাম্যমান আদালতরে অভযিান।
এদকিে করোনো সংক্রমণ রোধে তালা থানার ওসি মহেদেী রাসলেরে নতেৃত্বে অভযিান অব্যাহত আছ। -

ওয়ার্কার্স পার্টির স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা তালা উপজেলা খলিলনগর ইউনিয়নের হরিষচন্দ্রকাটিতে ১শ এবং তালা খানপুর আটারই ২শ পরিবারকে সাবান, ব্লিচিং, মাস্ক, বেবী ফুডস বিতরণ করা হয়। এপর্যন্ত তিন সহ¯্রাধিক পরিবারকে স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মহিবুল্লাহ মোড়ল, তালা উপজেলা সভাপতি কমরেড রফিকুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, খলিলনগর ইউনিয়নের সভাপতি কমরেড মনোজিৎ ঘোষ প্রমূখ।
তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, বর্তমান বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এর প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। বর্তমান সময়ে সচেতনতায় পারে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি দিতে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না এসে যতদূর সম্ভব নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য আহবান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরকে গরিব অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানান। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের সহযোগিতা করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্দেশিত যে সকল বিষয় বারবার জানানো হচ্ছে সে বিষয়গুলো মেনে চলার আহবান জানানো হয়। -
তালায় সামাজকি দূরত্ব না মানায় ১২জনকে জরমিানা
করোনা ভাইরাস (কোভডি-১৯) ঝুঁকি রোধ ও ভাইরাসরে বস্তিার রোধে সরকারি নষিধে অমান্য করে সাতক্ষীরায় তালায় সামাজকি দূরত্ব না মানায় ১২জনকে জরমিানা করছেে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ র্মাচ) এ অভযিান পরচিালনা করনে উপজলো নর্বিাহী র্কমর্কতা মোঃ ইকবাল হোসনে।
জানা গছে,ে সরকারি নষিধে অমান্য করে সামাজকি দূরত্ব না মানায় ১২জনকে ৫ হাজার ৬০০ টাকা জরমিানা করা হয়ছে।ে
করোনো ভাইরাসরে সংক্রমণ রোধে তালা উপজলোয় সাধারণ মানুষকে ঘরে ফরোতে ও সামাজকি দূরত্ব নশ্চিতিে অভযিান অব্যাহত রয়ছে।ে
উপজলো নর্বিাহী অফসিার মোঃ ইকবাল হোসনে জানান, করোনা একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস। তাই এই ভাইরাস থকেে আমাদরে মুক্ত হতে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। -

পাটকেলঘাটা করোনা ভাইরাস সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ
সুমন চক্রবর্তী, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি ॥
‘করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হোন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সোমবার (২৩মার্চ) সকাল ১১টায় পাটকেলঘাটা বাজারে অলিগলিতে বিভিন্ন শ্রেনির পেশার মানুষের মাঝে গনসচেতনা সৃষ্টি জন্য লিপলেট প্রচার প্রচারনায় শুভ উদ্বোধন করেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা শেখ নুরুল ইসলাম। এসময় প্রচারণায় অংশগ্রহন করেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাষ্টার শেখ আব্দুল হাই,সরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্বাস আতিয়ার রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আব্দুর রব পলাশ,পাটকেলঘাটা নিউজ ক্লাবের সভাপতি মফিদুল ইসলাম, তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজুর রহমান মধু,পাটকেলঘাটা যুবক্রীড়া ক্লাবের সভাপতি আবু হোসেন, পাটকেলঘাটা যুবক্রীড়া ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. রিপন হোসাইন,আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজসেবক শাহ-আলম টিটো, হাফিজ উদ্দীন,আব্দুর সাত্তার, আলাউর ইসলাম,তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মশিউর আলম সুমন,কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওসমান গনি প্রমুখ। -
পাটকেলঘাটায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা আদায়
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি ॥
পাটকেলঘাটায় অতি মুনাফা লাভের আশায় অধিক মুল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল আমিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এতে মুল্য তালিকা না থাকায় এবং অতিরিক্ত মুল্যে চাউল ও পেয়াজ বিক্রির দায়ে প্রদীপ স্টোরকে ২ হাজার টাকা, নিপা স্টোরকে ১৫০০ শ টাকা, আদি সততা ষ্টোর কে ২ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন দোকানে এবং সাধারন ক্রেতাদের সাথে কথা বলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় করোনার সচেতনতামুলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। -
করোনা ভাইরাস সচেতনতায় উত্তরণ’র উদ্যোগ : তালায় হোম কোয়ারেন্টিনে ১২৩ জন
তালা প্রতিনিধি ॥
মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, সন্দেহভাজনদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা ও চিকিৎসকদের দক্ষতা সৃষ্টিসহ চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উত্তরণ এর উদ্যোগে নানান কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতার অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা তালার বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ এর উদ্যোগে ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক জরুরী স্বাস্থ্য বার্তা এবং স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
সূত্রে জানাগেছে, তালা উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যপক প্রচারণা ও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস. এম. মোস্তফা কামাল’র নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ করোনা প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানাগেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাজস্ব তহবিল থেকে লাল নিশানা কাপড় ১২টি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে উপজেলায় একটি সেল গঠন করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু দিন দিন সারা দেশের ন্যায় তালা উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বত্র আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা প্রতিরোধে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণ না পাওয়াসহ চিকিৎসা সেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে তালার মানুষ। দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ন তালা উপজেলার মানুষদের সুরক্ষায় অতিদ্রুত মাস্ক ও জীবানুনাশক ওষুধসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণের জন্য সরকারের কাছে দাবী এখানকার মানুষদের।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজিব সরদার জানান, অত্র উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তালা উপজেলায় ১২৩জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আগামীতে এসংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশংকা করে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। এছাড়া সকল কমিউনিটি ক্লিনিকসহ হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ডা. রাজিব সরদার বলেন, করোনা আশংকায় হাসপাতালের পরিবেশগত উন্নয়ন, ডাক্তারদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং জনসাধারনের স্বাস্থ্য নিরপাত্তার জন্য বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ এর পক্ষ থেকে বিশেষ গাউন, হ্যান্ড গ্লোবস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ নানান উপকরণ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, তালাসহ সাতক্ষীরা জেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে সমন্বয় করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র ডাক্তারদের নিরাপত্তা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। আর অতিদ্রুত তালা, পাটকেলঘাটা ও কলারোয়া উপজেলার ৩ থানার পুলিশ সদস্যদের মাঝে “ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ” বিতরণসহ জেলার ৭ উপজেলায় সাড়ে ৪ লাখ পরিবারের মাঝে জরুরী স্বাস্থ্য বার্তা এবং হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য করণীয় বিষয়ে লিফলেট, পুস্তক ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে খুলনা ও সাতক্ষীরার কয়েকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং থানায় অনুরুপভাবে উপকরণ বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই মূহুর্তে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবেলা করা কঠিন। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ভয়াবহ সংকটাপন্ন পর্যায়ে পৌঁছবে। এজন্য, সরকারের পাশাপাশি সকল এনজিও এবং ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহবান জানান।