তালা প্রতিনিধি ॥
আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার তালা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ আব্দুস সালাম (২৬) না ফেরার দেশে চলে গেল। সে তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের সিরাজ মোড়লের পুত্র। বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে লিভার সিরোসিস (জন্ডিস) রোগে আক্রান্ত হয়ে এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় জানাজা শেষে বারুইহাটি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন কর হয়।
এদিকে করোনা ভাইরাসে এলাকাবাসীর আতংকের কারণে বৃহস্পতিবার দাফনের আগে সাংবাদিক আব্দুস সালাম ও তার পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করেছেন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার জানান, নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, আপাতত ঐ পরিবারের বাড়ির সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবে।
আব্দুস সালামের পিতা সিরাজ মোড়ল জানান, গত ২ সপ্তাহ যাবৎ লিভার সিরোসিস রোগের কারণে রক্তশুন্যতাসহ কোমরের ব্যাথায় ভুগছিলেন তিনি। গত ২৮ এপ্রিল মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবার তালা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রিফার্ড করে দেয়। কিন্তু সাতক্ষীরা হাসপাতালে ৭/৮ ঘন্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিল।
তিনি আরও জানান, করোনা সন্দেহে ডাক্তাররা তার ধারে আসেনি। বুধবার সকালে ডাক্তাররা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে বলে। বিকালে বাড়িতে আনার পথে মারা যায় সে। তরুন সাংবাদিক আব্দুস সালামের মৃত্যুতে তালা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
Category: তালা
-

তালায় তরুণ সাংবাদিক আব্দুস সালামের মৃত্যু: নমুনা সংগ্রহ
-

তালায় থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত এনামুল বাঁচতে চায়!
তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালায় থ্যালাসেমিয়াসহ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত এনামুল খাঁ (৪০) বাঁচতে চায়। সে তালা সদর ইউনিয়নের কিসমতঘোনা গ্রামের ইবাদুল খাঁর পুত্র। অর্থের অভাবে বর্তমানে সে তালা হাসপাতালে ধুঁকে ধুঁকে মরছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এনামুল খাঁ জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি মাসে ৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয় তার। স্থানীয় কয়েকজন দানশীল ব্যক্তি উক্ত রক্ত দিতে আর্থিক সহযোগিতাও করে থাকেন। কিন্তু তারপরও অনেক টাকার দরকার হয়। সম্প্রতি তার বাম পায়ের একটি আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে আঙ্গুল অপারেশান করে বর্তমানে সে তালা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেখানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। মাত্র ১০/১৫ হাজার টাকার অভাবে পায়ের চিকিৎসা থমকে গেছে তার। এছাড়া প্রতিমাসে রক্তের টাকা যোগাড় করতেও হিমশিম পোহাতে হয় তাকে।
তিনি আরও বলেন, তাদের ভিটেমাটি ছাড়া কোন জমি নেই। সংসারে কোন আয় রোজগার নেই। হতদরিদ্র পিতার পক্ষে তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সমাজের দানশীল ব্যক্তিসহ সরকারি ও বে-সরকারি পর্যায়ে সাহায্য কামনা করেছে এনামুল খাঁ। এজন্য তিনি নিজের ব্যবহৃত বিকাশসহ ০১৭২২-৯৪৫৬৮০ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। -

তালায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বাজার উদ্বোধন
তালা প্রতিনিধি ॥
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ”’বাজার যাবে আপনার দ্বারে”’ স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার তালায় ভ্রামমাণ বাজার চালু হয়েছে। তালা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলায় মোট ১৩ টি ভ্রাম্যমাণ বাজারের উদ্বোধন করা হয়।বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ভ্রাম্যমান বাজার উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা শুভ্রাংশ শেখর দাশসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে এ ভ্রামমাণ বাজার দেখা যাবে বলে উল্লেখ করেন উপজেলা কৃষি অফিসার।
প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একটি এবং সদর ইউনিয়নে দুইটি ভ্রামমাণ বাজার কাজ করবে বলে জানান তিনি।
এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি ক্রয়ে বাজারে গমন নিরুৎসাহিত করতে এটি একটি অলাভজনক সামাজিক উদ্যোগ। -

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ‘উত্তরণ
’
তালা প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ সরকারের পাশে থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মানবিক কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি নিজস্ব তহবিলসহ দাতা সংস্থা স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও ইউকেএইড, মিজেরিয়র জার্মানী, বোথ-এন্ডস নেদারল্যান্ডস ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় নিরলসভাবে জরুরী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
উত্তরণ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহিন শামস্ সাক্ষর বলেন, কোভিড-১৯ এর ব্যাপক আকারে বিস্তৃতি রোধে সরকারের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। ১৫ জন স্টাফ এবং ৩ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সকলকে বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার জন্য গত ১৫ মার্চ থেকে অদ্যাবধি বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা। একই সাথে স্থানীয় ও জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য উত্তরণ অক্সিজেন, নেবুলাইজার, পিপিই, মাস্ক ও বিভিন্ন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে যাচ্ছে যাতে হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা প্রদান করতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে উত্তরণ প্রথম পর্যায়ে গত ১৫ মার্চ তারিখ থেকে তালা সদর হাসপাতালকে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রথম কার্যক্রম শুরু করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ২৩ মার্চ থেকে করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে উত্তরণ নিজস্ব তহবিল হতে সাতক্ষীরা, খুলনা ও যশোর জেলার গ্রামগুলোকে জীবানুমুক্ত করাসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করে যা চলমান রয়েছে। উত্তরণ ব্লিচিং পাউডার, এন-৯৫ মাস্ক, পিপিই, সার্জিক্যাল ক্যাপ,সার্জিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস, কাপড়ের ক্যাপ, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ বোতল, স্যাভলন সাবান, হেক্সাসল, টিস্যু বক্স, সানগ্লাস, প্যানা, স্প্রে মেশিন, পলিথিন পিপি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ সমূহ হতদরিদ্র, ভলান্টিয়ার, হাসপাতাল, প্রশাসন, সেবা কর্মী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মধ্যে সরবরাহ করে জনসচেতনতায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে ।
উত্তরণ জরুরীভাবে “স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও ইউকেএইড” এর পক্ষ থেকে এ দুর্যোগ মোকাবেলায় ৪৫ দিনের জন্য জরুরী সহায়তা গ্রহণ করে। যার মেয়াদকাল ৩ এপ্রিল থেকে ১৭মে পর্যন্ত। উত্তরণ উক্ত ফান্ডের সহায়তায় যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায় ১৪০০ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে হাইজিন কিট প্যাকেজ (গোসলের সাবান ১০ টি করে , কাপড় ধোয়া সাবান ৫ টি , স্যানিটারী প্যাড ২ প্যাকেট করে, ট্যাপযুক্ত বালতি ১ টি করে, সর্জিকাল মাস্ক ৫০ টি করে, মগ ১ টি করে , ২ পৃষ্ঠার করোনা প্রতিরোধের নীতিমালা ১টি করে, মাস্ক ৫২০ প্যাকেট), সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ২ লাখ কপি, সচেতনতামূলক মাইকিং ২০দিন, সচেতনতামূলক প্যানা ৩১০টি, হাত ধোয়ার স্থান ১০টি, হোম কোয়ারেন্টাইন গাইডলাইন ৫ হাজার ৫শ’ কপি, রাস্তা ও জনসমাগম স্থান জীবানুমুক্ত করণ এক হাজার স্থানে, সচেতনতামুলক সামাজিক দুরত্ব বৃত্ত ২০ স্থানে, ব্লিচিং পাউডার ১হাজার কেজি কেজিসহ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ হতদরিদ্র জনগণ, ভলেন্টিয়ার, হাসপাতাল, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদেরকে প্রদান করার মাধ্যমে নিরাপদ রাখার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় উত্তরণ দাতা সংস্থা বোথ-এন্ডস, নেদারল্যান্ডস এর জরুরী অর্থায়নে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ৩৮টি অক্সিজেন সিলিল্ডার, ৩৮টি ফ্লোমিটার ও ৩৮টি নেবুলাইজার প্রদান করে সাধারণ মানুষের জন্য করোনা চিকিৎসা সেবায় হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তা সফল হয়েছে। এছাড়া উত্তরণ দাতা সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর জরুরী অর্থায়নে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি, দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় হতদরিদ্র ১ হাজার পরিবারের মধ্যে সাবান, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়। তাছাড়া ভলেন্টিয়ারদের নিরাপত্তা জনিত ৪০টি পিপিই ও ৪০টি গ্লাভস ও ৪০টি মাস্ক সরবারহ করা হয়।
উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম সরকার ও দাতা সংস্থার সাথে যুক্ত থেকে প্রাণঘাতী করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, সরকারের পাশাপাশি উত্তরণ করোনা সংক্রমণ মেকাবেলায় শুরু থেকে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। তারা জনসচেতনতার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, প্যানাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকরণ সরবরাহ করছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সিলিল্ডার, ফ্লোমিটার ও নেবুলাইজার প্রদান করেছে উত্তরণ। এছাড়া দরিদ্র পরিবারের মধ্যে হাইজিন কিট প্যাকেজ বিতরণ করে সংস্থাটি।
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, অত্র অঞ্চলে যে কোন দুর্যোগে এগিয়ে আসে উত্তরণ। সরকারের পাশাপশি সংস্থাটি করোনা ভাইরাস মোবাবেলায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিল্ডার, ফ্লোমিটার,সার্জিক্যাল মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ করেছে। এছাড়া জনসচেতনতায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে সংস্থার কর্মীরা। -

তালায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ঃ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
তালা প্রতিনিধি ।।
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবা অফিসের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইজার মোঃ আবু সাঈদ মোড়ল (৬৩) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…. রাজেউন)। সোমবার রাত ১১ টার দিকে তালা বাজারের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে চিকিৎসকরা জানান। এদিকে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে শ্রীমন্তকাটি গ্রামের বাড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, তালা থানার ওসি মোঃ মেহেদী রাসেল, প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মফিজ উদ্দীন, মরহুমের ভাতিজা তালা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্লাহ মোড়ল, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। -

তালায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে দুঃস্থ ও হতদরিদ্র নারী পুরুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল ) দুপুরে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ খাদ্য বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার,মেডিকেল অফিসার রওশন দায়েমী,ফারহা ফেসদৌস,রাজ্জাক হোসেন,তালা হাসপাতালের প্রধান সহকারী হাফিজুর রহমান,স্বাস্থ্য পরিদর্শক মীর মহাসীন হোসেন,স্যানিটারি পরিদর্শক শরীফ মোহাম্মদ আব্দুল মতিনসহ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রতিটি প্যাকেজে ১০ কেজি চাল,৫ কেজি আলু,১ লিটার তেল,১ কেজি ডাল,১ কেজি লবণ,১ কেজি পেয়াজ বিতরণ করা হয়। -
কালেরগর্ভে হারিয়ে যাওয়া “তিয়র রাজার” জীবন কাহিনী
॥ এম কামরুজ্জামান ॥
—————————-
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামে আমার জম্ম।
গ্রামটি তালা ও কলারোয়া উপজেলার একেবারেই সীমান্ত ঘেষা। এই গ্রামে আমার
বেড়ে ওঠা। শৈশব, কৈশোর
কেটেছে এই গ্রামেই।যখন একটু বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই শুনতাম “মানিকহার” গ্রামটি
ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ একটি গ্রাম। একসময় এখানে তিয়র রাজার বাসবাস ছিল। এই
রাজার ভিটেতে অনেক স্বর্ণ পুঁতে রাখা। মাটি খুঁড়লেই না-কি স্বর্ণ মেলে।
মনি-মুক্তার হার পাওয়া যায়। সেই ‘মনি-মুক্তার হার’ থেকেই গ্রামটির নামকরণ
“মানিকহার”। আবার কেউ বলেন গ্রামটির অতিত নাম “মণিঘর”। কালেরআবর্তে
গ্রামটির নাম হয়েছে “মানিকহার”।স্কুলে যখন পড়তাম তখন প্রায় বাবার সঙ্গে তিয়র রাজার দিঘীর পাড়ে যেতাম।
বিশাল দিঘী। কাকের চোখের মত জল। দেখলে গা চমকে উঠতো। তিয়র রাজার দিঘী
নিয়ে অনেক কল্প কাহিনী শুনেছি। এই এলাকায় বড় ধরনের কোন বিয়ে-সাদি হলে
আগের দিন সন্ধ্যায় জানান দিয়ে আসলে না-কি দিঘীর কিনারায় গাদিগাদি কাশার
থালা, গ্লাস,চামচ রেখে যেতো। বিয়ের পরে সন্ধ্যায় আবার দিঘীর পাড়ে সেগুলো
রেখে আসলে না-কি সেগুলো অদৃশ্য হয়ে যেত।২০ বছর আগেও তিয়র রাজার উচু ভিটেবাড়িতে গিয়ে সেই আমলের ইট, খোয়া, শুরকি
দেখেছি। দেখেছি বিশাল বিশাল একাধিক বট গাছ। কিন্তু এখন আর এসব দৃশ্যমান
নয়। অস্তিত্ব প্রায় বিলীন। ভিটেবাড়ি আগের মত আর উচু নেই। এখন সমতলভূমি।
ভিটেতে ফলে ফসল। তিয়র রাজার সেই জমিদারি আজ ব্যক্তিমালিকানায় দখল।
স্থানীয় প্রশাসন নজরদিলে হয়তো উদ্ধার হতে পারে তিয়র রাজার সেই
জমিদারিত্ব, ইতিহাস,ঐতিহ্য।কিন্তু গ্রামটির নামকরণের সঠিক ইতিহাস জানবার আগ্রহটা আমার সেই ছোটবেলা
থেকেই। অনেক বই-পুস্তক ঘেটেছি। কিন্তু বিস্তর নামকরণের কোন ইতিহাস আমার
চোখে পড়েনি।কৈশোরে বাবা-দাদাদের মুখে শুনতার রেডিও’তে তিয়র রাজার নাটক সম্প্রচার হয়
প্রতিবছর। বছরে না-কি একদিন। নিজ কানে শুনেছি। কিন্তু বহুদিন ধরে সেটাও
আর হয়না। কি কারণে সেই তিয়র রাজার নাটক এখন আর হয়না তা আমার জানা নেই।আজ দুপুরে ইন্টারনেট ঘাটতে গিয়ে চোখে পড়লো টিয়র রাজার সেই জীবন কাহিনী।
এটাই সঠিক ইতহাস কি-না তাও জানিনা।তবে পাঠকদের সামনে হুবহু সেটি তুলে ধরা হল :
—————————————————-
সাতক্ষীরা হইতে ১২ মাইল উত্তরে কলারোয়া থানার নিকটস্থ নওপাড়া-মণিঘর
গ্রাম ; ইহা গড়দানি নামেও অভিহিত। একটি মাটির গড়ের ভগ্নাবশেষ ও কতকগুলি
পুরাতন পুষ্করিণী এখানে দৃষ্ট হয়; এগুলি তিয়র রাজার কীৰ্ত্তি বলিয়া
কথিত।কিংবদন্তী, কোনও এক সময়ে জনৈক তিয়র জাতীয় ব্যক্তি যখন বিলে নৌকা
করিয়া মাছ ধরিতে ছিলেন, তখন একজন সন্ন্যাসী তাহাকে বিলটি পার করিয়া
দিতে বলেন । তিয়র সম্মত হইয়া সন্ন্যাসীকে লইয়া যখন বিলটি পার
হইতেছিলেন, তখন দেখিলেন সন্ন্যাসীর ঝোলার স্পৰ্শণ পাইয় তাহার নৌকার একটি
লৌহ পাট সোণায় পরিণত হইল।তিয়র বুঝিলেন ঝোলার মধ্যে পরশ পাথর আছে এবং লোভে পড়িয়া পাথরটি কড়িয়া
লইয়া সন্ন্যাসীকে গভীর জলে ফেলিয়া দিলেন ; জলে ডুবিবার সময়ে সন্ন্যাসী
অভিসম্পাত করিলেন যে তিয়র সপরিবারে বিনষ্ট হইবেন । পরশ পাথরের গুণে
তিয়রের বহু ধনদৌলত হইল এবং তিনি রাজা বলিয়া পরিচিত হইলেন। তিনি একটি
তুর্গ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন এবং ১২৬টি পুষ্করিণী খনন করাইয়া ছিলেন।অল্পকাল মধ্যেই বাংলার নবাব তাহার ধনসম্পত্তি প্রাপ্তির কথা শুনিয়া
তাহাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন । তিয়র ভাবিলেন হয়তো এরূপভাবে ধনপ্রাপ্তির
জন্য নবাবের হাতে প্রাণ হারাইতে হইতে পারে এবং পাছে মহিলাদের সন্ত্রম
হানি হয় এই জন্য সঙ্গে করিয়া একজোড়া বাৰ্ত্তাবাহী কপোত (পায়রা) লইয়া
গেলেন, বলিয়া গেলেন যে তাহার অবস্থা শোচনীয় জানিলে এবং মৃত্যু নিশ্চিত
বুঝিলে পায়রা দুইটি ছাড়িয়া দিবেন।তিয়র রাজাকে নবাব সসম্মানে ছাড়িয়া দিলেন। অশ্বপৃষ্ঠে তিনি যখন গৃহে
প্রত্যাগমন করিতেছিলেন, পায়রা দুটি হঠাৎ ছাড়া পাইয়া যায়।ঘরে পায়রা ফিরিতে দেখিয়া তিয়র রাজার স্ত্রী ও সন্তানগণ একটি নৌকায়
করিয়া বড় পুকুরের মধ্যস্থলে পৌঁছিয়া নৌকার তলদেশে ছিদ্র করিয়া
ডুবিয়া প্রাণত্যাগ করেন। তিয়র রাজা প্রাণপণ শক্তিতে ঘোড়া ছুটাইয়া ঘরে
ফিরিয়া দেখিলেন সব শেষ হইয়া গিয়াছে, তখন তিনিও বড় পুকুরে ডুবিয়া
প্রাণত্যাগ করিলেন ; এইরূপে সন্ন্যাসীর অভিশাপ পূর্ণ হইল।এই বড় পুকুরটিকে লোকে এখনও দেখাইয়া থাকে। গ্রামের যে স্থানে গড়ের
ভগ্নাবশেষ পড়িয়া রহিয়াছে উহাকে দানা-মণিঘর বা ‘ধনপোতার দান বলা হয় ;
লোকের বিশ্বাস উহার নীচে তিয়র রাজার ধনদৌলত প্রোথিত আছে।
( সূত্র :উইকিসংকলন ) -

তালায় বুরো বাংলাদেশ’র ২৩০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বুরো বাংলাদেশ’র বাস্তবায়নে তালা সদর ও খলিলনগন ইউনিয়নে ২৩০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে।
সোমবার ( ২৭ এপ্রিল ) সকাল ১১ টায় তালা উপজেলা পরিষদের সামনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন,খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু। এসময় উপস্থিত ছিলেন বুরো বাংলাদেশ এলাকার ব্যবস্থাপক অনুপ সরকার,বিএম রিপন মন্ডল, জাহাঙ্গীর আলম, মুকুল মন্ডল,মিঠুন মন্ডল,পিও মেহেদী হাসান,রবিউল ইসলাম,বিএ ইউসুফ আলী প্রমূখ।
এসময় প্রতিটি প্যাকেজে ১০ কেজি চাল,৫কেজি আলু,২কেজি ডাল,২ লিটার তেল,১কেজি লবণ,২টি সাবান, মাস্ক ও ব্লিচিং পাউডার বিতরণ করা হয়। -

করোনায় ২০০ দলিত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি।। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ২০০ দলিত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরার তালার উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নায়ন সংস্থা ও দলিতের বাস্তবায়নে ইউএনডিপি আর্থিক সহায়তায় ২০০ দলিত পরিবারের মাঝে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নে বি.জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উদ্দীপ্ত মহিলা সংস্থার পরিচালক জয়ন্তী রানী দাশ,দলিতের প্রজেক্ট অফিসার যোয়াকিন মন্ডল,ট্যাগ অফিসার আছাদুজ্জামান,হরিঢালী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মনিরুজ্জামাম হাজরা,উদ্দীপ্ত মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা দীলিপ কুমার,নাজমা খানম প্রমুখ।
এসময় প্রতিটি প্যাকেজে চাউল ১৫ কেজি,আটা ৫ কেজি,ডাল ২ কেজি,চিনি ২ কেজি,পেয়াজ ৩ কেজি,লবন ১ কেজি,চিড়া ১ কেজি এবং ২ টি করে সাবান দেওয়া হয়। -

ঢাকায় কাজে যেতে গিয়ে লাশ হলো তালার ছেলে
তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালার ছেলে গার্মেন্টসের কাজে যোগদান করতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন মোঃ আমানুল্লাহ ফকির (২০)। কিন্তু রাস্তায় পিকআপের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। আমানুল্লাহ তালা উপজেলার জেঠুযা গ্রামের মৃত মাজেদ ফকিরের ছেলে। এ সময় আহত হন পিকআপ চালক মোস্তাফিজুর রহমান (৩০)। তিনি উপজেলার কৃষ্ণকাটী গ্রামের দিদারুল মোড়লের ছেলে। যশোরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে ঐ চালক। নিহতের বড়ভাই মিঠু ফকির জানান, তার ছোট ভাই আমানুল্লাহ ফকির বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে তিনি বাড়িতে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। রবিবার সকালে তার চাকরিতে যোগদান কথা ছিল। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় শুক্রবার রাতে তালার কৃষ্ণকাটী এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি পানবহনকারী পিকআপে উঠে তিনি ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিক যশোরের সুতিঘাটা এলাকায় পিকআপ উল্টে তার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আমানুল্লাহ। এ সময় পিকআপ চালক আহত হন।
জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান শনিবার বিকালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। -

মিথ্যা তথ্যাদাতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সংবাদ সম্মেলন
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
মিথ্যা তথ্যাদাতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন তালা সদর ইউনিয়নের ৩ নং (জেয়ালা নলতা) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হোসেন আলী গাজী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে একটি কুচক্রী মহল তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীদের হেনস্তা করতে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। মহলটি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে চাল সরানোর ভুল তথ্য দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে ফাঁদে ফেলে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরের পর তালা সদর ইউনিয়নের ত্রাণের চাল রক্ষিত আছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তালা থানা পুলিশ ৩নং ওয়ার্ড জেয়ালা নলতা গ্রামের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম নিকারীসহ একই এলাকার যুবলীগ নেতা মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ রুহুল আমীন ও আসাদুল ইসলাম নিকারীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু সেখানে কোন কিছু না পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ফিরে আসেন। এ ঘটনায় প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যেমন হয়রানী ও বিভ্রান্তি করা হয়েছে, তেমনি দলীয় ঐ সকল নেতা-কর্মীদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, উক্ত মহলটি সরকারের ভাবমূর্তি ও এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে উক্ত মহলটি মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে তালা সদরের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। বর্তমানে ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন স্থানে চাল রেখে চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতা-কর্মীদৈর ফাঁসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। উক্ত ঘটনাও ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত বিষয় সমূহ তদন্ত পূর্বক উক্ত মিথ্যা তথ্যাদাতাসহ ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে তাদেরকে আটক পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য জোরালো দাবী জানানো হয় প্রশাসনের কাছে। তালা সদর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। -

উত্তরণের পক্ষ থেকে যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান
তালা প্রতিনিধি ॥
মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক আকারে বিস্তৃতি রোধে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শা হাসপাতালে ২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ২ টি ফ্লো মিটার, ২ টি নেবুলাইজার ও ১০০ পিস করে সার্জিক্যাল মাস্ক প্রদান করেছে বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ। বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ রায়ের হাতে উক্ত উপকরণ তুলে দেন উত্তরণ কর্মকর্তা সঞ্জয় আচার্য্যসহ সংস্থার স্টাফরা। এছাড়া অনুরুপভাবে জেলার চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শা হাসপাতালে উক্ত চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উক্ত সামগ্রী বুঝে নেন।
উত্তরণ “স্টার্ট ফান্ড এবং ইউকেএইড বাংলাদেশ”এর সহযোগিতায়“ ঊসবৎমবহপু জবংঢ়ড়হংব ভড়ৎ ঈঙঠওউ ১৯ রহ ঝধঃশযরৎধ ধহফ ঔধংযড়ৎব উরংঃৎরপঃ.” প্রকল্পের মাধ্যমে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জরুরী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানের অংশ হিসেবে উক্ত সামগ্রী প্রদান করেন। -

তালায় মেশিন দিয়ে ধান কাটা উৎসব উদ্বোধন
তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালা উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইরি-বোরো ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শিবপুর মাঠে উক্ত ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা খামার বাড়ির ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা খামার বাড়ির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জসিম উদ্দীন, সাতক্ষীরা কৃষি প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়র হারুন অর রশিদ,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদ পারভীন পাঁপড়ী, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাশ, ইকোকেপন লিঃ এর যশোরের টেরিটরি ম্যানেজার মোঃ আশিকুর রহমান, ইসাভেচিং ইঞ্জিনিয়র মোঃ আলমগীর হোসেন, টেরিটরি অফিসার মোঃ ফারুখ আহমেদ ও কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
তালার শিবপুর মাঠে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের যন্ত্র প্রদর্শনীতে কৃষক কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে জমির ধান কেটে ও মাড়াই করে উপস্থিত অতিথি ও কৃষকদের দেখান। কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন উন্নয়ন সহায়তায় কৃষক মজিবুর রহমান। যার মূল্য ২৯ লাখ ৫ হাজার টাকা সরকার ভর্তুকি দিয়ে ১৪ লাখ টাকা ।
উল্লেখ্য, এ বছর তালা উপজেলায় ইরি-বোরো জমি আবাদ হয়েছে ১৯০৫০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পার হেক্টর জমিতে ফলন হবে ৫.৫০ টন ধরা হয়েছে। -

তালা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পেলেন নতুন গাড়ি
তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার জন্য নতুন জিপ গাড়ি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সরকারের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদারের হাতে উক্ত জিপ গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। তালা উপজেলা পরিষদ পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। -

উত্তরণের পক্ষ থেকে কেশবপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান
তালা প্রতিনিধি ॥
মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক আকারে বিস্তৃতি রোধে যশোর জেলার কেশবপুর হাসপাতালে ২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ২ টি ফ্লো মিটার, ২ টি নেবুলাইজার ও ১০০ পিস সার্জিক্যাল মাস্ক প্রদান করেছে বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ। সোমবার (২০ এপ্রিল) বিকালে উত্তরণ “স্টার্ট ফান্ড এবং ইউকেএইড বাংলাদেশ”এর সহযোগিতায়“ ঊসবৎমবহপু জবংঢ়ড়হংব ভড়ৎ ঈঙঠওউ ১৯ রহ ঝধঃশযরৎধ ধহফ ঔধংযড়ৎব উরংঃৎরপঃ.” প্রকল্পের মাধ্যমে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জরুরী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানের অংশ হিসেবে উক্ত সামগ্রী প্রদান করা হয়। কেশবপুর হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দর কাছে উক্ত উপকরণ তুলে দেন উত্তরণ কর্মকর্তা সঞ্জয় আচার্য্য, পার্থ কুমার দে প্রমুখ। -

তালা হাসপাতালে উত্তরণের চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান
তালা প্রতিনিধি ॥
মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক আকারে বিস্তৃতি রোধে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ২ টি ফ্লো মিটার, ২ টি নেবুলাইজার ও ২০০ পিস সার্জিক্যাল মাস্ক প্রদান করেছে বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উত্তরণ “স্টার্ট ফান্ড এবং ইউকেএইড বাংলাদেশ”এর সহযোগিতায়“ ঊসবৎমবহপু জবংঢ়ড়হংব ভড়ৎ ঈঙঠওউ ১৯ রহ ঝধঃশযরৎধ ধহফ ঔধংযড়ৎব উরংঃৎরপঃ.” প্রকল্পের মাধ্যমে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জরুরী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদাসের অংশ হিসেবে উক্ত সামগ্রী প্রদান করা হয়। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদারের হাতে উক্ত চিকিৎসা সামগ্রী তুলে দেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এ সময় তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহিন শাম্স সাক্ষর, উত্তরণ কর্মকর্তা মোঃ রেজওয়ান উল্লাহ, হেদায়েত উল্লাহ মুকুলসহ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উত্তরণের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -
পাটকেলঘাটায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক নৈশ প্রহরীর মৃত্যু
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধিঃঃ পাটকেলঘাটায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আব্দুর রহিম নামের এক নৈশ প্রহরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সে পাটকেলঘাটা সদরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলী সরদারের পুত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। মৃত্যুর পূর্বে তিনি পাটকেলঘাটা বাজারে নৈশ প্রহরীর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।তাঁর পুত্র বিল্লাল হোসেন জানায়, তার বাবা দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে রোগে ভুগছিল। মঙ্গলবার(২১ এপ্রিল) ভোর ৭টার সময় নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান তিনি।পাটকেলঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ(ওসি) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যেহেতু তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে মারা গেছেন, তাই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। -

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে উত্তরণের মানবিক সহায়তা
তালা প্রতিনিধি ॥
বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ “স্টার্ট ফান্ড এবং ইউকেএইড বাংলাদেশ”এর সহযোগিতায়“ ঊসবৎমবহপু জবংঢ়ড়হংব ভড়ৎ ঈঙঠওউ ১৯ রহ ঝধঃশযরৎধ ধহফ ঔধংযড়ৎব উরংঃৎরপঃ.” প্রকল্পের মাধ্যমে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সাতক্ষীরা ও যশোরের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে। উত্তরণ সাতক্ষীরা ও যশোর জেলায় “স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও ইউকেএইড” এর সহায়তায় জরুরী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
উত্তরণের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী সঞ্জয় আচার্য্য জানান, উত্তরণ কোভিড-১৯ এর ব্যাপক আকারে বিস্তৃতি রোধে বাংলাদেশ সরকারের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় ১৫ জন স্টাফ এবং ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সকলকে বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার জন্য ১৫ মার্চ থেকে অদ্যাবধি বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে স্থানীয় ও জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য উত্তরণ অক্সিজেন, নেবুলাইজার, পিপিই, মাস্ক ও বিভিন্ন চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ করে যাচ্ছে যাতে হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা প্রদান করতে পারে।
তিনি আরও জানান, উত্তরণ সাতক্ষীরা ও যশোর জেলায় ৭০০ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে হাইজিন কিট প্যাকেজ প্রদান, জেলাব্যাপী ব্যাপক প্রচারে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, প্যানা, জনবহুল স্থানে হাত ধোয়ার স্থান স্থাপন, সামাজিক নিরাপদ দুরত্ব সার্কেল বাস্তবায়ন, হোম কোয়ারেন্টাইন গাইডলাইন প্রদান, রাস্তা ও জনসমাগম স্থান জীবানুমুক্ত করণে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো, জেলা-উপজেলা সকল হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ফ্লো মিটার এবং নেবুলাইজার প্রদানের মাধ্যমে উত্তরণ এর জাতীয় দুর্যোগময় এই সময়কালে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় একযোগে সরকারের সাথে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হুসাইন শাফায়াত এবং যশোর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে উত্তরণের এসব কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশসংসা করেন।
এদিকে উত্তরণ সরকারের সাথে যুক্ত থেকে প্রাণঘাতী করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহিন শাম্স সাক্ষর।