ডেস্ক রিপোর্ট: রংপুরের জজ আদালতের বিশেষ পিপি রথিশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনাকে ২৯ মার্চ রাতেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও তার ‘কথিত প্রেমিক’ কামরুল ইসলাম জাফরী। হত্যার পর রাতে লাশটি বাড়িতে রাখা হয়। পরদিন সকালে আলমারিতে ভরে লাশটি নিয়ে গুম করা হয়। রংপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।
বুধবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টায় রংপুর নগরীর স্টেশন এলাকায় র্যাব-১৩ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, ‘পারিবারিক কলহ, সন্দেহ ও পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে স্ত্রী দীপা ভৌমিক তার স্বামী রথিশ চন্দ্রকে হত্যা করে। এই কাজে সহায়তা করেন তার কথিত প্রেমিক কামরুল মাস্টার।’
র্যাবের ডিজি বলেন, ‘গত ২৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ১০টার শয়নকক্ষে রথিশ চন্দ্রকে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। এ সময় তিনি অচেতন হলে স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও তার প্রেমিক কামরুল ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ শয়নকক্ষেই রাখা হয়।’
র্যাব ডিজি আরও বলেন, ‘পরের দিন শুক্রবার কামরুল মাস্টার ভোর ৫টায় ওই বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে সকাল ৯টায় কামরুল একটি রিকশাভ্যান নিয়ে আসে। পরে তারা লাশ গুম করার উদ্দেশে একটি আলমারি পরিবর্তনের নাম করে সেখানে লাশ ভরে রংপুর নগরীর তাজহাটের মোল্লাপাড়ার নির্মাণাধীন বাড়িতে বালু খুঁড়ে পুঁতে রাখে। আলমারি বহন ও লাশ ভ্যানে তোলার কাজের জন্য তিনজনকে কামরুল মাস্টার আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন।’
বেনজির আহমেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রথিশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ১১টায় তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতর থেকে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে রথিশের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিককে ঘটনাস্থলে নেওয়া হলে তিনি তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বালু খোঁড়াখুঁড়ি ও লাশ লুকানোর সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন সবুজ ইসলাম ও রোকনুজ্জামান। তাদের বাড়ি তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায়।’
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা ২৬ মার্চ কামরুল মাস্টারের নির্দেশে ৩০০ টাকার বিনিময়ে মোল্লাপাড়ার নির্মাণাধীন ভবনের নিচে বালু খুঁড়ে রাখে। পরবর্তীতে ৩০ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ওই লাশ বালু দিয়ে গর্তে ঢেকে রাখে তারা। কামরুল মাস্টার তাদের শিক্ষক হওয়ায় তারা আদেশ পালন করেছে বলে জানায়।’
বেনজির আহমেদ বলেন, ‘এই ঘটনায় রথিশের স্ত্রী দীপা ভৌমিক, তার কথিত প্রেমিক কামরুল এবং লাশ লুকিয়ে রাখার সঙ্গে জড়িত মোট চারজনকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এ সময় র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রংপুর রেঞ্জর ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Category: জাতীয়
-

রথিশকে হত্যার পর আলমারিতে করে লাশ নিয়ে যাওয়া হয়-র্যাব
-

প্রত্যেক জেলায় এসএমই পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে-প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের সকল জেলা-উপজেলায় এসএমই পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করবে। যেগুলো এসএমই শিল্পের প্রসারে উদ্যোক্তাদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিসের সেবা প্রদান করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের বিকাশে জেলায় এবং উপজেলায় এসএমই পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ পরামর্শ কেন্দ্রগুলো এসএমই শিল্প প্রসারে ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসাবে কাজ করবে।’
উদ্যোক্তাগণ ব্যবসা স্থাপন থেকে শুরু করে ব্যবসা স¤প্রসারণ, ব্যবসায়িক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ ও সহায়তা, পরামর্শক সেবা ইত্যাদি এই ওয়ানস্টপ সেন্টার থেকে গ্রহণ করতে পারবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি বিভাগীয় শহরে প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ৬ষ্ঠ জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৮’র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির লিখিত ভাষণে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শারিরীক অসুস্থতার দরুণ তাঁর ভাষণ প্রদান করেননি। এর পরিবর্তে তাঁর ভাষণের লিখিত কপি অনুষ্ঠানে বিতরণ করা হয়।
বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে এসএমই’র গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসএমই সবচেয়ে শ্রমঘন ও স্বল্পপুঁজি নির্ভর খাত হওয়ায়, এই খাতের মাধ্যমে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে অধিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ৯০ শতাংশ শিল্পই ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের অন্তর্ভুক্ত। তাই জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ। জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে দেশের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে তাঁর সরকার ‘জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬’ -তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শিল্প উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে গণ্য করেছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকারের গৃহীত কর্মসূচির ফলে দেশব্যাপী টেকসই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের দ্রুত প্রসার ঘটছে। উদ্যোক্তাবান্ধব নীতির কারণে প্রতিনিয়ত নারীরা ব্যবসায়ে মনোনিবেশ করছে। ফলে দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির অনেক সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।
এসএমই ফাউন্ডেশন এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে আজ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় পাঁচদিন ব্যাপী এই মেলার আয়োজক।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সভাপতিত্ব করেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শিল্প সচিব মো. আব্দুল্লাহ এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কেএম হাবিবুল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সফল এসএমই উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কারও বিতরণ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, কূটনিতিকবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সদস্যবৃন্দ এবং ক্ষুদ্র,মাঝারি এবং কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেই, তখন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। অনেক দেশ বিশ্বমন্দার অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু আমরা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে একটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বে এখন বাংলাদেশ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫২ মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশে উন্নীত।
সরকার প্রধান বলেন, বর্তমানে ১৯৯টি দেশে ৭৫০টি পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ৪১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানির হার বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে সারা দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইকোনমিক জোনসমূহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বাংলাদেশে কুটির শিল্পের সুদীর্ঘ গৌরবের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী জামদানি, নকশিকাঁথা এবং সিলেটের শীতল পাটি ইতোমধ্যে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-তালিকায় স্থান পেয়েছে।
উদ্যোক্তাগণ এ সকল পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর পাশাপাশি বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে পারেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশীয় কাঁচামালনির্ভর শিল্পায়নের পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক কাঁচামালের সহজলভ্যতা বিবেচনা করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পণ্যের বাজার অনুসন্ধান এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সে সব পণ্য উৎপাদন করতে হবে। মুষ্টিমেয় কয়েকটি পণ্যের ওপর রপ্তানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে আমাদের এখন রপ্তানি বহুমুখীকরণের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
এসএমই খাতের সম্প্রসারণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের খন্ডচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার নিজেরা ব্যবসা করে না। সহায়কের ভূমিকা পালন করে। ফলে আজ দেশে বেসরকারি খাত ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে।
তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত ২৬৭টি এসএমই প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ৬৭ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা।
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বিভিন্ন দেশের পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি আয়ত্বকরণ এবং পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সরকার প্রধান আশা প্রকাশ করেন- এসএমই মেলা দেশে উৎপাদিত এসএমই পণ্যের পরিচিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্রেতা আকর্ষণ ও বাজার স¤প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ ধরনের মেলা আয়োজনের মাধ্যমে এসএমই খাতের অনেক সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হবে এবং যথাযথ স্বীকৃতি পাবে।
আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ। -

মোবাইল ফোনের কারণে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে: রাষ্ট্রপতি
ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘এখন মোবাইল ফোন নিয়ে সবাই ব্যস্ত। এ কারণে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে। তাই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’ বুধবার (৪ এপ্রিল) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তনে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মনে করেন, প্রযুক্তি উন্নয়নের সহায়ক। তবে এই প্রযুক্তি যেন সর্বনাশের কারণ না হয় সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কারভাবে মনে রাখতে হবে, পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হওয়ার জন্য প্রযুক্তি বা মোবাইল ফোন কোনোভাবেই দায়ী নয়। বরং এর দায়দায়িত্ব ব্যবহারকারীর। আমাদের ইতিবাচক পরিবর্তন ও মানবতার কল্যাণে কাজে লাগানোর মধ্যেই প্রযুক্তির সার্থকতা নিহিত।’সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞানী ও বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।
-

‘বিএনপিকে নিয়ে খুব বেকায়দায় আছি’
বুধবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা সেতুমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন— বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেবেন কি না। এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেটি ডিএমপি কমিশনারের ব্যাপার। তারা বিএনপির সমাবেশকে নিরাপদ মনে করলে অনুমতি দেবে, নিরাপদ মনে না করলে অনুমতি দেবে না। এই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া, না দেওয়া নিয়েই আমরা বেকায়দায় আছি। অনুমতি দিলে বলে সরকার বাধ্য হয়ে অনুমতি দিয়েছে। আবার অনুমতি না দিলে বলে দেশে গণতন্ত্র নাই।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘সরকারকে বাধ্য করতে গত ৯ বছরে ৯ মিনিটের জন্যও বিএনপি কিছু করে দেখাতে পারেনি। তাদের শাসনামলেও আমাদের এমন দিন গেছে যে আমরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে পর্যন্ত দাঁড়াতে পারিনি।’
বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগকে অবান্তর দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকালও তারা স্বাধীনতা দিবসের র্যালি করেছে। অথচ যানজট হবে বলে আমরা সরকারি দল এই র্যালি করিনি। অনুমতি না দিলে এই র্যালি তারা কীভাবে করলো?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখন ইলেকশনের মুডে আছে, আন্দোলনের মুডে নয়। লিপ সার্ভিস দিয়ে এখন আর ভোট পাওয়া যায় না। ভোট পেতে হলে উন্নয়ন দেখাতে হয়, কাজ দেখাতে হয়। বিএনপির এমন কোনও কাজ নাই যা নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে।’ -

নেপালে বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত অন্তত ৫০
ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুগামী ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ৩.২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বোম্বাইডার ড্যাস কিউ৪০০ বিমানটি। টার্বোপ্রপ ইঞ্জিনচালিত এই বিমানটি রানওয়ের বদলে এয়ারপোর্টের একটি ফুটবল মাঠে দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। রানওয়েতে নামার বদলে বিমানটি বাইরে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন লেগে যায় তাতে। এখনও পর্যন্ত ১৭জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিমানটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানটিতে ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ৪ জন চালক ও বিমানকর্মী।
বিমানটি ভেঙে পড়তেই উদ্ধারকাজে নামে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার করা হয় একাধিক যাত্রীকে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল। চেষ্টা চলছে আগুন নেভানোর। বিমানটি ১৭ বছরের পুরনো বলে জান গিয়েছে। তবে এখনও দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট নয়।
-
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা অবৈধ্য গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বিএনপি নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। ওই প্রতিনিধি দলের সাথে সফর সঙ্গী হিসাবে আসছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা মমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঢাকার বিএনপি নেতা কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল।
কয়েকজন পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল ঢাকা মহানগরের সূত্রাপুুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ২০১৩-১৪ সালে সুত্রাপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার অভিযোগ থাকায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। কিন্তু তিনি পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের আর্শীবাদ পুষ্ট হওয়ায় নাশকতার আসামি হয়েও বুলবুল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোনীত হন। দায়িত্ব পাওয়ার পরে বুলবুল স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রকাশনীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সারা বাংলাদেশব্যাপি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নোট-গাইড সহায়ক পাঠ্য বইয়ের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।২০১৬-২০১৭ ও ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও তার আর্শীবাদ পুষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ীরা তার কথামত জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঠ্য তালিকায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই অন্তর্ভুক্ত করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেরুয়াারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) মো. জাকির সাতক্ষীরায় অসাধু পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের স্বাধীনতা বিরোধী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সাতক্ষীরার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান আহবায়ক যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের আপন ভাইপো ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু ও যুগ্ম আহবায়ক(১) বিএনপি-জামায়াত পন্থী কাইয়ুম সরকারকে চিঠি দিয়ে অবগত করেন।
কিন্তু এখনও জেলার পুস্তক ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এই বই বাজারজাত করে ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। আর তাদের ওই স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত করতে সার্বিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরায় আগমন করছেন বিএনপি নেতা বুলবুল।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা বুলবুল সাতক্ষীরার উর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে ওই সব গাইড জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য তালিকা থেকে বাদ না দেওয়ার তদবির নিয়ে আসছেন। আর এ কারণে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সংঘস্মারক ও সংঘবিধির ১৩ ধারা মোতাবেক সদস্য পদের অযোগ্যতা। জ) কোন প্রকাশনী ও পুস্তক ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বই পাঠ্য করাইলে তার সদস্য পদ থাকবে না। ট) গ্রন্থসত্ত্ব আইন: রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই প্রকাশ ও বিক্রয় করিলে। কিন্তু সারা দেশব্যাপি প্রকাশকরা টাকার বিনিময়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসায় বই পাঠ্য করায়। ফলে সংঘবিধি ১৩ জ ও ১৩ ট অনুযায়ী কোন প্রকাশনীর সদস্যপদ থাকার কথা না।
এঘটনায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আগে বিএনপি করতাম। এখন করি না।’ ১৩’র জ ও ট সম্পর্কে বললে তিনি এড়িয়ে যান। এঘটনায় সাতক্ষীরার পুস্তক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এদিকে, সাতক্ষীরার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন বই পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার সচেতন মহল। -

জনতোপের মুখে দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের কাগজপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন ডিডিএলজি
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরের লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় টনক নড়ে প্রশাসনের। ফলে গতকাল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। তিনি এসেই বলেন, ‘আমি রুটিন মাফিক পরিদর্শনে এসেছি।’ এসময় ইউপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ও স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে পালাতক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধের দূর্ণীতির অভিযোগ সম্বলিত কাগজপত্র তার নিকট জমা দিতে গেলে তিনি ‘নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিলমিশ করে নিতে বলেন’।
উক্ত তদন্ত কর্মকর্তার দূর্ণীতিবাজ বিএনপির সন্ত্রাসী নেতার পক্ষ গ্রহণ করায় প্রথম থেকেই উপস্থিত জনতা ও ইউপি সদস্যরা মনে মনে ক্ষব্ধ হতে থাকে। এমতাবস্থায় তদন্ত কর্মকর্তার উক্ত কথায় সবাই বিক্ষেভে ফেটে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান অভিযোগ গ্রহণ করেণ।
গত সোমবার বিকেলে লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরির্দশনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সচিব আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মাসুদা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম, রামপ্রসাদ সরকার, সাঈদ আলী সরদার, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ কাজী মনিরুল ইসলাম, জামির হোসেন, আব্দুল হান্নান প্রমুখ। উপস্থিত ইউপি সচিবসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ডিডিএলজির সামনে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।
তদন্তকালে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৩৭ লক্ষ টাকা এবং হাটের ১২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের সকল ফাইল আমার নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট নিয়ে নেন। যা তার নিজ হেফাজতে আছে।
বর্তমান সরকারের উর্দ্ধতন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা কিভাবে ২০১৩ সালের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত বর্তমানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের পক্ষে ভূমিকা গ্রহণ করায় স্থানীয় জনগণ ও সুধীমহলের মধ্যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মত তদন্তকর্মকর্তার ভূমিকা বতর্মন সরকারের রাজনৈতিক চেতনার প্রতিপক্ষ!উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম নাশকতা মামলায় পলাতক থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে জরুরি সভার আহ্বান করেন। সভায় চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের দুর্নীতি তুলে ধরেন ইউপি সদস্যরা।
তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে রাজি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রমে আলিম চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির বিষয়টি প্রাধান্য পায় এবং সকল কাগজপত্র গহণপূর্বক জেলা প্রশাসকের নিকট বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে উপস্থিত সদস্য ও জনগণকে আশ্বস্ত করে এলাক ত্যাগ করেন। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের অভিমত চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির সহযোগী ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক লাবসা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকলে তদন্ত নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
-

পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় মিড-ডে-মিল কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরল দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে খাবার পরিবেশন করেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জি,এম,এম, আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর গাজী আব্দুস সালাম, প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, আমজাদ আলী গাজী। বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক মুজিবর রহমান, ফাতেমা খাতুন, ছায়রা বেগম, আব্দুস সালাম, সমীরণ, খাবার প্রদানকারী অজিয়ার রহমান, পায়েল জামান, শিক্ষার্থী আসমা ও পলি খাতুন।
-

আজকের দিনটি কেমন যাবে?
আজ আপনার জন্ম হলে পাশ্চাত্য মতে আপনি কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকা। আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহ ইউরেনাস ও শনি। ১৭ তারিখে জন্ম হবার কারণে আপনার উপর শনির প্রভাব প্রবল। আপনার শুভ সংখ্যা: ৮,১৭,২৬। শুভ বর্ণ: নীলা ও গোলাপী। শুভ বার ও গ্রহ : রবি ও শনি। শুভ রতœ: গার্নেট ও নীলা।
চন্দ্রাবস্থান:আজ চন্দ্র তুলা রাশিতে অবস্থান করবে। ৬ষ্ঠী তিথি সকাল : ০৯:৫৬ পর্যন্ত, পরে ৭মী তিথি চলবে।
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল):আজ বন্ধের দিনে মেষ রাশির জাতক জাতিকারা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকবেন। জীবন সাথীকে নিয়ে বই-মেলায় ঘুরতে যেতে পারেন। খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায় ভালো আয় হতে পারে। আজ অংশীদারী ব্যবসায় অংশীদারের সাথে কোনো নতুন সাইট ভিজিটে যেতে পারেন। অবিবাহিতদের বিয়ের যোগ প্রবল।
বৃষ রাশি ( ২১ এপ্রিল-২০ মে):আজ বৃষ রাশির জাতিকারা সাংসারিক কাজে খুব ব্যস্ত থাকতে পারেন। গৃহে কোনো অতিথির আগমনের সম্ভাবনা। কাজের লোকেদের ওপর অকারনে চেচামেচি না করাই ভালো। আপনার মূল্যবান দ্রব্যাদি সাবধানে রাখুন। বাহিরে বেড় হওয়ার সময় মূল্যবাণ দ্রব্যাদি সতর্কতার সাথে বহন করুন। হটাৎ ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।
মিথুন রাশি (২১ মে-২০ জুন): মিথুনের বন্ধুরা আজ সন্তানের সাথে ভালো সময় কাটাতে পারেন। প্রেমিক প্রেমিকাদের বই মেলায় বেড়াতে যাওয়ার যোগ প্রবল। পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো পার্কে বেড়ানোর সুযোগ চলে আসবে। শিল্পীদের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে। চিত্রকর ও নাট্যাভিনেতারা বন্ধের দিনেও ব্যস্ত সময় পার করবেন।
কর্কট রাশি (২১ জুন-২০ জুলাই): পারিবারিক কাজে ব্যস্ততার দিন। গৃহ সংস্কার বা কোনো ফার্ণিচার মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনের আগমন হতে পারে। পারিবারিক পরিবেশ অনুকূল থাকবে। মায়ের শরীর স্বাস্থ্য ভালো হয়ে উঠবে। যানবাহ লাভের যোগ প্রবল। কোনো আত্মীয়র সহায়তায় কিছু সম্পত্তি সংক্রান্ত কাজের সমাধান হতে পারে।
সিংহ রাশি (২১জুলাই-২১ আগষ্ট): আজ সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবেশীদের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ভালো সংবাদ আশা করা যায়। ছোট ভাই বোনের সাথে কোনো মেলায় বেড়াতে যেতে পারেন। সাংবাদিক ও প্রকাশকদের কাজের চাপ বৃদ্ধি পাবে।
কন্যা রাশি (২২ আগষ্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আর্থিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। আজ খাদ্য ব্যবসায়ী ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা ভালো আয় করতে পারবেন। খুচরা বিক্রেতাদের বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে। বাড়ীতে শ্বশুড় শ্বাশুড়ীর আগমন হতে পারে। আজ কোনো ব্যক্তিগত ধারের টাকা ফেরত পেতে পারেন।
তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর-২১ অক্টোবর): আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। কোনো আলোচনা সভায় আপনার সিদ্ধান্তকে সকলে মেনে নিতে পারেন। শারীরিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। মনের জোর ফিরে পাবেন। কোনো বন্ধুর সাহায্য পেতে পারেন। ব্যবসায়ীরা কোনো সুদূর পরিকল্পনা করতে চলেছেন। কাজ কর্মে জীবন সাথীর সাহায্য পাবেন।
বৃশ্চিক রাশি (২২ অক্টোবর-২০ নভেম্বর): আজ কোথাও ভ্রমনে যেতে পারেন। বৈদেশীক কাজে ব্যবসায়ীদের বিদেশ যাওয়ার যোগ প্রবল। ব্যয় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায় কোনো চুক্তি করতে পারেন। বিদেশ থেকে কোনো ভালো সংবাদ পেতে পারেন। কোনো আত্মীয়র দেশে আগমনের যোগ দেখা যায়।
ধনু রাশি (২১ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): আজ বড় বোনের বিয়ের যোগ প্রবল। বন্ধুর সাথে কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতে হতে পারে। ব্যবসায় কিছু লাভের আশা করা যায়। বিদ্যার্থীরা কিছু অর্থ সাহায্য পেতে পারেন। ঠিকাদারদের আজ কোনো মিটিং এ অংশ নেবার সম্ভাবনা প্রবল।
মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): সামাজিক কাজে ব্যস্ততা বাড়বে। কোনো স্কুল কলেজ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সরকারী চাকরীজীবীদের ভ্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক কোনো নেতার সাথে আজ দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিদেশ সংক্রান্ত কাজে কোনো পরিকল্পনা সফল হতে পারে।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আজ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মীক কাজে কোথাও যেতে পারেন। কোনো মাজার বা দরগাহতে জিয়ারতের সম্ভাবনা বেশী। বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ে ব্যস্ত থাকতে চলেছেন। জীবীকার জন্য হটাৎ করে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। বৈদেশীক কাজের সাথে সম্পৃক্তদের দিনটি ব্যস্ততায় কাটবে।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): রাস্তাঘাটে কোনো প্রকার হয়রাণির শিকার হবার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো পরিচিতজনকে দেখতে হাসপাতালে যেতে হতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বিনিয়োগের সুযোগ পেয়ে যাবেন। মামলা মোকর্দ্দমা ও আইনগত জটিলতা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশে কর্মরত বন্ধুদের ছুটির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে।
জ্যোতিষ শাস্ত্রী ফকির ইয়াসির আরাফাত মেহেদী
সাংগঠনিক সম্পাদক (বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটি)
মোবাইল: ০১৭১৬-৬০৮০৮২
-

তালায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন
তালা প্রতিনিধি ( সাতক্ষীরা) : তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এতে সভাপতিত্বে করেন।
এ সময় সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের এ ঋণ জাতি কোন কিছুর বিনিময়ে শোধ করতে পারবেনা। তিনি বলেন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা বৃদ্ধি করেছে। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জমা পড়ে ৪শ’ ৪১টি এবং তলিকাভুক্তদের মধ্য থেকে অভিযোগ আসে ৫৬জনের বিরুদ্ধে। কমিটির সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়। অনলাইনে জমাকৃত আবেদনের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন এবং জামুকায় সরাসরি আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন এবং সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি জি.এম.এ সবুর, জেলা কমান্ডারের প্রতিনিধি মঈনুল ইসলাম, তালা উপজেলা কমান্ডার মফিজ উদ্দিন, মুবিম এর প্রতিনিধি শেখ আবুল খায়ের ও জামুকা প্রতিনিধি এম এম ফজলুল হক।
-

তালায় ছাগল পালনে যুব নারীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন
তালা প্রতিনিধি (সাতক্ষীরা) : জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে উন্নত পদ্ধতিতে ছাগল পালনের মাধ্যমে যুব উদ্যোক্তা উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবারের জীবন যাত্রার মানোন্নয়’র লক্ষ্যে তালায় যুব নারীদের ছাগল পালনে প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে এবং উইনরক ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এশিয়া ফারমার-টু-ফারমার প্রোগ্রামের আওতায় স্বেচ্ছায় কারিগরী সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে সাস কর্তৃক আয়োজিত ‘‘ক্লাইমেট স্মার্ট গোট রিয়ারিং ফর ইয়ুৎ এন্টারপ্রেনারশীপ ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা- সাস’র প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে স্বেচ্ছায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন আমেরিকার বিশেষজ্ঞ এবং ফারমার-টু-ফারমার ভলান্টিয়ার ড. পিটার অগাস্টাস ফ্লানাগান। তার বক্তব্য ও আলোচনাকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রশিক্ষনার্থীদের নিকট উপস্থাপন করেন এশিয়া ফারমার-টু-ফারমার প্রোগ্রামের এসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি ডাইরেক্টর ড. এস এম শামছুর রহমান।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে সাস কর্মকর্তা এ.কে.এম গোলাম ফারুক, মো. শাহ আলম, রুহুল আমীন, আব্দুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা- সাস এর উপকারভোগী ২০জন নারী অংশগ্রহণ করছে। ৩ দিনের এই প্রশিক্ষণ ২টি ব্যাচে অনুষ্ঠিত হবে এবং ৪০ জন যুব নারী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করবে।
-

পাইকগাছার সাম্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় সেরা
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জেলার পর এবার বিভাগীয় পর্যায়েও চিত্রাংকনে সেরা হয়েছে পাইকগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাম্য সরকার।
বৃহস্পতিবার খুলনা মডেল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার ১০জন প্রতিযোগীর মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত হয় সাম্য সরকার। সে পাইকগাছা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল গ্রামের স্কুল শিক্ষক বিমল কুমার সরকার ও পুষ্প রানী সরকারের একমাত্র ছেলে। সাম্য একজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী হলেও চিত্রাংকনে তার অসাধারণ প্রতিভা রয়েছে। এর আগে সে গত ৭ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে সেরা হয়। আগামী যেকোন সময় সাম্যকে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে হবে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ কুমার মন্ডল জানিয়েছেন।
এদিকে অসাধারণ কৃতিত্ব ও সাফল্যের জন্য সাম্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা-৬ সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলী।
-

৬ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত ২০০
এসবিএন : ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০০ জন মানুষ নিহত ও ৪৩৮৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
১৬ ফেব্র“য়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এসময় মন্ত্রী জানান, ২০১৩ সালে ঘুর্ণিঝড় মহাসেনে ১৭ জন নিহত এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৬০ কোটি টাকা এবং ২০১৪ সালে বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৬৯, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১২৮০ কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে ঘুর্ণিঝড় কোমেনে নিহতের সংখ্যা ৯ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপিত হয়নি। ২০১৬ সালে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুতে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১১২৭ কোটি টাকা, একই বছর বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭৮ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৮১৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনার (বরিশাল-৬) আরেক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, সৌদি আরব সরকারের অনুদানে প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
-

রাখাইনে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা মিয়ানমারের
এসবিএন : রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের
বুধবার রাতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর রাখাইনের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল হয়েছে। সামরিক বাহিনীর শুরু করা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শেষ হয়েছে, সান্ধ্য আইন শিথিল করা হয়েছে এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য সেখানে শুধু পুলিশ উপস্থিত আছে।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট দফতরের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ও উত্তর রাখাইনে সামরিক অভিযান শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, কিন্তু ওই এলাকার ‘শান্তি ও নিরাপত্তা’ বজায় রাখার স্বার্থে সামরিক বাহিনী অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে তারা।
গত বছরের ৯ অক্টোবর রাখাইন সীমান্তে একাধিক পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হয়। হামলায় পুলিশের ৯ সদস্যসহ ১৪ জন নিহত হন। হামলার পর রাখাইনে সহিংস অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ধরপাকড়, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, রাখাইনে দমন-পীড়নের মুখে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংস দমন-পীড়ন চালিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার।
-

স্বাধীনতা পুরস্কার: ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানের নাম মনোনীত
এসবিএন : সরকার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-২০১৭ প্রদানের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়।
পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গ্র“প ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীরবিক্রম আশরাফুল আলম, শহীদ মো. নজমুল হক,মরহুম সৈয়দ মহসিন আলী, শহীদ এন এম নাজমুল আহসান, শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, সাহিত্যে বেগম রাবেয়া খাতুন ও মরহুম গোলাম সামদানী কোরায়শী।
সংস্কৃতিতে প্রফেসর ডক্টর এনামুল হক ও ওস্তাদ বজলুর রহমান বাদল। সমাজসেবায় খলিল কাজী ওবিই।
গবেষণা ও প্রশিক্ষণে শামসুজ্জামান খান ও অধ্যাপক ড. ললিত মোহন নাথ (প্রয়াত) এবং জনপ্রশাসনে প্রফেসর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পদক বিতরণ করবেন।
-

বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু ৭১ বছর: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসবিএন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বাংলাদেশে নারী-পুরুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১.৮ বছর।
তিনি বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘২০০৫-২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৫ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৭১.৮ বছর। এরমধ্যে মহিলাদের ৭৩.১ বছর এবং পুরুষের ৭০.৬ বছর।’
গড় আয়ু বৃদ্ধিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ব সংস্থা ইতোমধ্যেই পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে সনদ প্রদান করেছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূল হয়েছে। নবজাতকের টিটেনাস বাংলাদেশে নেই। যক্ষা নিয়ন্ত্রণে রোগ সনাক্তকরণ ও ডটস পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান জোরদার এবং কার্যকর করা হয়েছে। সব সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ অন্যতম সমস্যা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজন্য অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের যথোপযুক্ত কর্মসূচি রয়েছে। যা বিশ্বের জন্য রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ার স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রায় ১৩ হাজার ১৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়নখাতে ১৩ হাজার ১১৪ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োজিত আছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমানে ৩০ প্রকারের ঔষধ এবং ২ প্রকারের পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ৯ হাজার কমিউনিটি গ্র“প গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার ক্ষমতা গ্রহণকালে দেশে মোট ১৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল। বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩১টি। অপরদিকে ২০০৯ সালে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল ৩৬টি। বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৬৫টি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হচ্ছে।
-

আস্থা ফেরাতে বিশ্ব ব্যাংককে ‘পদক্ষেপ’ নিতে হবে: আইনমন্ত্রী
এসবিএন : পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মামলায় হারের পর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর আস্থা ফেরাতে বিশ্ব ব্যাংককে ‘পদক্ষেপ’ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে অথবা যেসব কর্মকর্তা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই অবিচার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিকার পেতে পারে বিশ্ব ব্যাংক।’
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সন্দেহের বশে বিশ্ব ব্যাংক যে আচরণ করেছে, তার প্রতিকার চায় বাংলাদেশ। আপনারা জানেন, ১৪ দল এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। প্রতিকার ক্ষতিপূরণ দিয়েও হতে পারে। যে সব কর্মকর্তা আমাদের বিরুদ্ধে এই অবিচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েও প্রতিকার করতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কেউ যদি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কারও সম্মানহানি করে, তাহলে ওই ব্যক্তি নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য চুক্তি করেও বিশ্ব ব্যাংক পরে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে। তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নেই এখন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি কানাডার আদালত দুর্নীতির ওই অভিযোগকে গালগল্প, জল্পনা-রটনা ও অনুমানভিত্তিক বলে উল্লেখ করে মামলা বাতিল করে দেয়।
-

সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি
এসবিএন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে আনবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার তার সহকর্মী ৪ নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক প্রথম বৈঠকে তিনি তার এই লক্ষ্যের কথা জানান। বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে সিইসি আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন বলেও জানান ইসি কর্মকর্তারা। এর আগে বুধবার শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন বৃহস্পতিবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান তারা।
কর্মকর্তাদের আলোচনার সূত্র ধরে নতুন সিইসি বলেন, এই বাংলাদেশ কতগুলো অত্যন্ত সফল নির্বাচন উপহার দিয়েছে, আর যে নির্বাচনগুলো বিতর্কিত ছিল, তা কেন বিতর্কিত ছিল, তা বিশ্লেষণে আমি যাব না। একটা কথাই বলতে পারি, আপনারা অনেকেই বলেছেন যে ইনক্লুসিভ নির্বাচন ছিল না বলেই বিতর্কিত ছিল। কর্মকর্তাদের কাছে নিজের মনোভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন যদি প্রতিদ্ব›িদ্ধতামূলক না হয়; যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবেই। সুতরাং আমরা আশা করব, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
বৈঠকে সিইসি বলেন, আমার একটাই কথা, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা যারা সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসাবে যোগদান করেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের একটাই কথা-দল মত নির্বিশেষে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। তিনি বলেন, দেশে এ রকম আলোচিত ও সবার আগ্রহ আমাদের নিয়ে; অতীতে কখনও এমনটি হয়নি। সাধারণ মানুষ, দল, আন্তর্জাতিক সংস্থা সবার সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আশা করি, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব। এক্ষেত্রে ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি; তাদের উদ্দীপ্ত করতে এবং মনোবল বাড়াতে নানা নির্দেশনাও দেন তিনি।
ইসি সচিবালয় সার্বিক অগ্রগতি, কাজের পরিধি-কাঠামো ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে একটি ধারণাপত্রও নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সামনে তুলে ধরেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। কর্মকর্তাদের সাহসিকতা ও দৃঢ়তার উদাহরণ টেনে ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা জেসমিন টুলীর প্রসঙ্গ টানেন নূরুল হুদা।
সিইসি বলেন, জেসমিন টুলী যখন চট্টগ্রামে একেবারে নিরপেক্ষতার সঙ্গে, দৃঢতার সঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে পরিচালনা করে সফল একটা নির্বাচন উপহার দিলেন। তখন দেশবাসী তার দিকে তাকিয়ে ছিল। সমস্ত মানুষ বলেছিল, কীভাবে সম্ভব? তাকে কিন্তু কেউ প্রভাবিত করতে পারেনি, বা তার সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনো রকম কেউ বিব্রত বা বিচলিত করতে পারেনি। ইসির দক্ষতা সচিবালয়, মাঠ পর্যাছয়ের কর্মকর্তাদের সক্ষমতার বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই।
ইসি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনে অভয় দিয়ে নূরুল হুদা বলেন, যে দক্ষ জনবল রয়েছে তাতে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। শুধু একটা না, সামনে যেসব নির্বাচন আসবে তা দৃঢতার সাথে মোকাবেলা করব। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ হলে ইসির ক্ষমতা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন নূরুল হুদা। একজন নির্বাচন কমিশনারের কথা টেনে তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান জিরো টরারেন্স। কাউকে কোনো পর্যায়েই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা প্রাইভেটলি যে আলোচনা করেছি, তাতেও আমরা বলেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবো।
ইসির সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের সমর্থনের গুরুত্বও তুলে ধরে সিইসি বলেন, অংশীজনরা বলেছে-শুধু নির্বাচন কমিশনের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। স্টেকহোল্ডার যারা আছে, তারা যদি সহযোগিতা না করে এবং অংশগ্রহণ না করে, তা হলে সম্ভব নয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজের বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বাধীনতার কথা বলেন বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত সমঝোতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার নৈরাজ্য-সহিংসতা এবং বিএনপি জোটের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রশ্ন তুললেও নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলটি বলেছে, নতুন ইসির ভূমিকা এবং নির্বাচনকালীন সরকার দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। পরবর্তী নির্বাচন ঘিরে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে যে এখন নতুন ইসি, সে বিষয়ে নিজেও সচেতন নূরুল হুদা।