Category: জাতীয়

  • করোনা টেস্টের ফি প্রত্যাহার করুণ : জাসদ

    করোনা টেস্টের ফি প্রত্যাহার করুণ : জাসদ

    জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে সরকারি হাসপাতালে ২০০.০০-৫০০.০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩৫০০.০০ টাকা করোনার টেস্ট ফি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, সরকার যখন করোনা এবং করোনায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় লক্ষ কোটি টাকা প্রণোদনা ও থোক বরাদ্দ দেয়া এবং বিশালাকারের বাজেট প্রণয়নের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে সেখানে মহামারি পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের কাছ থেকে টেস্ট ফি আদায় করা সরকারের প্রয়োজন ছিল না। মহামারিতে টেস্ট করানো ও চিকিৎসাসেবা পাওয়া নাগরিক অধিকার। করোনার নেতিবাচক প্রভাবে কয়েক কোটি পরিবার যখন সরকারের ত্রাণ ও সহায়তা পাচ্ছে, কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন আয়হীন হয়ে পরেছে, কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্রের মধ্যে পতিত হয়েছে সেই মানুষদের কাছ থেকে টেস্ট ফি আদায় অমানবিক ও অযৌক্তিক। তারা বলেন, টেস্ট ফি দিতে না পারার কারণে বহু মানুষ টেস্ট করতে যাবে না। এতে সংক্রমণ, অসুস্থতা ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাবে। জাসদ নেতৃদ্বয়, সরকারি-বেসরকারি সব হাসাপাতালেই করোনার টেস্ট ফি প্রত্যাহার এবং বেসরকারি হাসপাতালে টেস্টের ব্যয় সরকারকে বহন করার দাবি জানান।

  • বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন” এর কেন্দ্রীয় কমিটি ও ফেডারেশনের ঢাকা নগর কমিটি গঠিত

    বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন” এর কেন্দ্রীয় কমিটি ও ফেডারেশনের ঢাকা নগর কমিটি গঠিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে পর্যটন খাতের অবদানের স্বীকৃতি, করোনায় কর্মহীন পর্যটন শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের পুনর্বাসনে প্রণোদনা প্রদান, ছাঁটাই বন্ধ ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সম্প্রতি সেগুন বাগীচাস্ত ভ্যানগার্ড মিলনায়তনে “বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কাস-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন” এর উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    “বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কাস-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন” এর আহবায়ক মোহা: রাশেদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভা থেকে মো: রাশেদুর রহমান কে আহবায়ক, আহসান হাবিব সেফ, ফারহানা ইয়াসমিন, মো: শামীম আহমেদ, সাহিদুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন, শরিফ আহমেদ, মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, খালেকুজ্জামান লিপন, মো: ইকবাল হোসেন কে যুগ্ম আহবায়ক এবং আহসান হাবিব বুলবুল কে সদস্য সচিব এবং ২০ জন নির্বাহী সদস্যসহ মোট ৩১ সদস্যের “বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কাস-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন” এর কেন্দ্রীয় কমিটি এবং

    মো: মুরাদ দেওয়ান সেফ কে আহবায়ক, রবিউল আউয়াল শেফ, মো: সালামত উল্লাহ, আরাফাত রুবেল, উমর ফারুক, আরিফ খান, নাজমুল ইসলাম, মো; সাজ্জাদ কে যুগ্ম আহবায়ক, খালেকুজ্জামান লিপন কে সদস্য সচিব ও ১২ জন নির্বাহী সদস্যসহ মোট ২১ সদস্যের “বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কাস-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন” এর ঢাকা নগর কমিটি গঠিত হয়।

  • করোনায় মারা গেলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তফরিদপুর জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম: জাসদের শোক

    করোনায় মারা গেলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তফরিদপুর জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম: জাসদের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ বৃহস্পতিবার ০২ জুলাই ২০২০ এক শোকবার্তায় গেলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত, মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের অধীনে সেক্টর জয়েন্ট নেভাল কমান্ডার, নৌ-কমান্ডো হিসাবে দুঃসাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফরিদপুর জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন এ জি মুহম্মদ খুরশিদ আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। বার্ধক্যজনিত ও বাতজ্বরের ব্যাথা নিয়ে ঢাকার মিরপুরের একটি হাসপাতালে ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় করোনা সংক্রামন সনাক্ত হলে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত বুধবার থেকে তিনি আইসিইউতে ছিলেন। তিনি আজ ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্না…..রাজেউন)। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে এবং তিন কণ্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    জাসদ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম বাবুল খুরশীদ আলমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতীয় বীর ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাদের অন্যতম। তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে চুপ করে বসে থাকেননি। যে কোনো মূল্যে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজনৈতিক ও সামরিক পথে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারা বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা এই মহান জাতীয় বীর মুক্তিযুদ্ধে দুঃসাহসিক ভুমিকা পালন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন দেশে ক্ষমতার লোভ-মোহ-অংশীদারিত্ব ত্যাগ করে প্রথম বিরোধী ও সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী দল জাসদ গঠন এবং ফরিদপুর জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে তোলা, ১৯৭৩ সালে ১ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদ দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, পরবর্তীতে জেল-জুলুম সহ্য করেও স্বৈরশাসন ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও সমাজবদলের লক্ষ্যে আপোষহীন ভুমিকা পালনের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকিবেন।

    বার্তা প্রেরক

    সাজ্জাদ হোসেন

    দফতর সম্পাদক

  • পাটকল বন্ধ ও শ্রমিককে সেচ্ছা অবসরে পাঠানোর ঘোষণায় শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এর উদ্বেগ

    পাটকল বন্ধ ও শ্রমিককে সেচ্ছা অবসরে পাঠানোর ঘোষণায় শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এর উদ্বেগ

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: রাষ্ট্রায়াত্ত ২৫ টি পাটকল বন্ধ ও ২৪,৮৮৬ জন শ্রমিককে সেচ্ছা অবসরে পাঠানোর ঘোষণায় শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এর উদ্বেগ

    করোনাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়াত্ত ২৫ টি পাটকল বন্ধ ও কর্মরত ২৪,৮৮৬ জন শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক এর মাধ্যমে অবসর প্রদানের ঘোষণায় শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম-এসএনএফ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। দীর্ঘ দিন যাবত এসব পাটকলে কর্মরত শ্রমিকরা পাটকল আধুনিকায়ন করার জন্য দাবী তুলে আসলেও কর্তৃপক্ষ পাটকলের আধুনিকায়ন করতে সক্ষম হয়নি। উপরন্তু এই করোনাকালীন সময়ে পাটকল বন্ধ করে শ্রমিকদের অবসরে পাঠানোর ঘোষণা অত্যন্ত মর্মান্তিক।

    বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে লোকসান গোনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)। তবে বিষয়টি সহজভাবে নিচ্ছেন না পাটকল শ্রমিকেরা। গোল্ডেন হ্যান্ডশেক এর মাধ্যমে অবসরে পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা এক হয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল রক্ষা শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে আন্দোলনে নেমেছেন। ইতোমধ্যে পাটকল শ্রমিকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। অন্যদিকে, এই কর্মসূচির পরই সরকারের শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সাথে পাটকল শ্রমিক নেতাদের বৈঠক কোন ফলাফল ছাড়াই শেষ হওয়ার পর শ্রমিকরা আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

    প্রকাশিত সংবাদে আরো জানা যায় যে, বিজেএমসির অধীন ২৬টি পাটকলের মধ্যে বর্তমানে চালু আছে ২৫টি। এর মধ্যে ২২টি পাটকল ও ৩টি ননজুট কারখানা। ঢাকা অঞ্চলে ৭টি, চট্টগ্রামে ১০টি ও খুলনা অঞ্চলে ৯টি পাটকল রয়েছে। পাটকলগুলোতে বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত বদলি ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। তবে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের আওতায় থাকবেন কেবল স্থায়ী শ্রমিকেরা।

    শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাট শিল্পের ভবিষ্যৎ ও এ শিল্পের সাথে স¤পৃক্ত সকল শ্রমিকের জীবিকার নিরাপত্তা বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দ্রুততার সাথে যথাযথ গবেষণা, অনুসন্ধান ও উন্নয়ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাট শিল্পকে টিকিয়ে রাখার এবং পাটকল শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।

    শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের পক্ষে:

    ড. হামিদা হোসেন
    আহ্বায়ক
    শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম

  • গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩৮ জন : মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৯২৬

    দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এবং এতে মৃত্যু বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার হাজার ১৯ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৯২৬ জনে।

    বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    তিনি নতুন একটিসহ মোট ৭০টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ হাজার ৯৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৮ হাজার ৩৬২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ দুই হাজার ৬৫৭টি।

    নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও চার হাজার ১৯ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৯২৬ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও চার হাজার ৩৩২ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬ হাজার ৪৪০ জনে।

    বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেশবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরা হয়।

    চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো করোনাভাইরাসের ছোবলে গোটা বিশ্ব মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি আট লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৯ হাজারের বেশি। তবে ৬০ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

  • চলনবিলে পাখি রক্ষায় পরিবেশ কর্মীদের প্রচারণা

    চলনবিলে পাখি রক্ষায় পরিবেশ কর্মীদের প্রচারণা

    ন্যশনাল ডেস্ক: চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পাখি শিকার বন্ধে প্রচারণা শুরু করেছেন স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম এলাকায় এই প্রচারণা চালানো হয়। এসময় কলম ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ফলজ ও ওষুধি বৃক্ষরোপন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেন পরিবেশ কর্মীরা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন- কলম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল কবীর, উপাধ্যক্ষ আবুল হোসেন, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মনোয়ার সুলতান প্রমুখ।

    চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় চলনবিলের পাখি শিকার বন্ধ ও বিল পারের মানুষদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বাজারে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

  • এইচএসসি পরীক্ষা কম সময়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে : শিক্ষামন্ত্রী

    এইচএসসি পরীক্ষা কম সময়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে : শিক্ষামন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক: এবারের এইচএসসি পরীক্ষা কম সময়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, সেটি আমরা কম সময়ে করতে পারি কি না? কমসংখ্যক পরীক্ষা নিতে পারি কি না? আমরা সব কিছুই ভাবছি।

    আজ শনিবার শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছরের এইচএসসির সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা তো তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। এখন হতে পারে যে, পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং এত লাখ লাখ পরিবার, এত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, এত প্রশাসনের মানুষ, এত শিক্ষক- সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব?

    তিনি আরো বলেন, শিক্ষা পরিস্থিতি অনুকূলে আসার ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই ১৫ দিন শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিতে হবে। তাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সময় দিতে হবে।

    সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।

  • স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি সংসদে

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি সংসদে

    ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনকে সরিয়ে অন্য কাউকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। এক্ষেত্রে সাবেক কৃষিমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এরআগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি’র সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।

    আজ মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থ-বছরের বাজেটের ওপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, মুজিবুর রহমান (চুন্নু) ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ।

    এই আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত দুরাবস্থার মধ্যে আছে। মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে। জনগণ মনে করে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকি মিনা কার্টুনের টিয়া পাখির দ্বারা চলছে।

    তিনি বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরি। সেইসব গ্রামের মানুষ আমাকে বলেছেন, আপনি তো সংসদে কথা বলতে পারেন। আপনি প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে দিতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দেওয়ার কথা বলেছেন সাধারণ জনগণ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের এই কথাটি জানালাম।

    এরআগে বিএনপির মো. হারুন অর রশীদ সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে চরম অব্যবস্থা-অনিয়ম চলছে। সরকারের লোকজন, বিএমএ বলছে, করোনায় মৃত্যুর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি করেছেন? ১০ দিন ধরে ফোন করে ও বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাড়া মিলছে না। ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেন। কমিটমেন্ট আছে, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেন।

    সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার জানান, দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির নয়জন সংসদ সদস্য এই ছাটাঁই প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা সময় বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাজেট পাসের আগে ওই দু’টি ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা।

  • করোনায় প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু

    করোনায় প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু

    ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

    সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি।

    মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিনা হক গণমাধ্যমকে জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন আবদুল্লাহ আল মোহসীন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

  • ‘নজিরবিহীন ইতিহাস’ গড়তে যাচ্ছে সংসদ

    ‘নজিরবিহীন ইতিহাস’ গড়তে যাচ্ছে সংসদ

    ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদে পেশকৃত বাজেটগুলোর মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো কোনো আলোচনা ছাড়াই পাস হতে যাচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের মেগাবাজেট। নিয়মানুযায়ী বাজেট পেশের পর এর ওপর সরকারি ও বিরোধীদলীয় এমপিরা প্রায় একমাস আলোচনা করে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব করা বাজেটে নানা সংশোধনী দেন।

    এরপর সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় নতুন অর্থবছরের বাজেট। কিন্তু মহামারী করোনার ঊর্ধ্বগতির মাঝে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বসা এই অধিবেশনটিতে বাজেটের ওপর কোনো আলোচনা করারই সুযোগ মিলেনি এমপিদের। গত ২৩ জুন মাত্র একদিন বাজেটের ওপর আলোচনা করা হয়। অবশেষে আর আলোচনা না করেই আগামীকাল মঙ্গলবার বাজেট পাস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয় সূত্র।

    এদিকে কোনো আলোচনার সুযোগ না দিয়েই এতো বড়ো একটি বাজেট সরকারের একক সিদ্ধান্তে পাস করে নেয়ার উদ্যোগে সমালোচনামূখর হয়ে উঠেছেন বিএনপি এমপিরা। ভার্চুয়াল অধিবেশন চালানোর প্রস্তাব দেয়া দলটির এমপিরা এটিকে দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে অভিহিত করে প্রস্তাবিত বাজেটকে মানুষ মারার বাজেট হিসেবেও মন্তব্য করেছেন। দলটির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও বাজেট পাশের দিন বিএনপির এমপিরা সংসদে যাবেন না এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

    দলটির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি এই বাজেট সেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বাজেট অধিবেশন আমরা ভার্চুয়াল করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য সে প্রস্তাব মিডিয়াতে এসেছে, সব জায়গায় প্রচার হয়েছে তারপরও সংসদ ভার্চুয়াল করা হয়নি। এর ফলে যেটি হলো সম্পূরক বাজেট ঘোষণার একদিন পরই সংসদ মুলতবি হয়ে গেছে। শুধু মাত্র ২৩ জুন বাজেটের ওপর আলোচনা হয়েছে। কেবল একদিন আলোচনা করে বাজেট পাস হওয়ার নজির বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই।

    তিনি বলেন, করোনা সংকটের মধ্যে যে বাজেট দিয়েছে, এটি নিয়ে সমালোচনা হবে সেটি সরকার আগ থেকেই আঁচ করতে পেরেছিল। সরকার চাইলেই এক মাসব্যাপী ভার্চুয়াল এই অধিবেশন চালাতে পারতো। সেখানে এমপিরা মন খুলে তাদের মতামত দিতে পারতেন। মূলত সরকারের ভুলগুলো ঢাকার জন্যই এক দিনের মধ্যে বাজেটের আয়োজন করেছে তারা।

    বিএনপির আলোচিত এমপি হারুনুর রশিদ বলেন, এই করোনার সময় যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে সেটিকে কেউ স্বাগত জানায়নি। আওয়ামী লীগের যারা বাজেট বিশেষজ্ঞ তারাও স্বাগত জানাননি। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সবাই বলেছেন, এটি একটা অস্বাভাবিক এবং কল্পনাবিলাসী বাজেট। করোনা সংকট উত্তরণের জন্য আমাদের যে রোডম্যাপ দরকার ছিল, এই বাজেটে সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। আমি সুস্পষ্টভাবেই বলতে চাই, সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকতে চায় তারা। সেজন্যই যেনতেনভাবে কোনো আলোচনা ছাড়াই বাজেট পাস করে নেয়া হচ্ছে। সরকারের এই ক্ষমতা লোভের কারণে আমরা পথ হারিয়েছি।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বড় কোনো সংশোধনী ছাড়াই আগামীকাল (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে পাস হচ্ছে। পরদিন ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এ বাজেট। ১১ জুন প্রস্তাবিত ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেটে ছোটখাটো দু-একটি বিষয় ছাড়া তেমন কোনো বড় সংশোধনীর সম্ভাবনা নেই। তবে মোবাইল ফোনের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার করা হতে পারে। একইভাবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়ে জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব বাড়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। কর ও ভ্যাট কাঠামোতে বড় কোনো পরিবর্তনও আসছে না।

  • স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

    স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব। আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাদুর্ভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাভাইরাসের মহামারিতে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। অথচ আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও সরকার সাহসিকতার সাথে এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছে।

    গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে অতিথি হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজের) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক বাদল মাদবর এসময় বক্তব্য রাখেন।

    খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা করেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপসহ আমেরিকা রাশিয়ায় লাখ লাখ মানুষ সনাক্ত হচ্ছে, আবার হাজার হাজার মানুষ সেখানে প্রাণ হারাচ্ছে। ইতালিতে দেড় লক্ষ সনাক্ত হয়েছে সেখানে ২৯ হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। বাংলাদেশে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমন ধরা পড়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা দেড় হাজার। মৃত্যুর হার বাংলাদেশে ১.২৩ শতাংশ। এটার মধ্য দিয়ে বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসকে আমরা কিভাবে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দায়িত্বশীল ভূমিকায় ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপিকে মানুষ আগামী দিনে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে।

    বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসকে নিয়ে রাজনীতি নয়। আমরা ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে দেখেছি, দুই লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছে , কোন ধরণের সাপোর্ট সরকারিভাবে দেয়া হয়নি, পশুপ্রাণী ও মানুষ এক সঙ্গে দাফন করা হয়েছে। একইভাবে গণকবর দেওয়া হয়েছে, অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে সেই রকম অবস্থার ধারেকাছেও নেই।

    খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মুখরোচক সমালোচনা করে আজকে বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত না করে সঠিক রাস্তায় আমাদের হাঁটতে হবে এবং সরকার যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছে সেই ব্যবস্থার কোন জায়গায় ত্রুটি আছে, সেই জায়গাগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অস্বীকার করার উপায় নাই, যে বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতার কিছুটা অভাব আছে। স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সরকার গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছেন। আজকে সেই জায়গাটিতে অভাব আমরা লক্ষ্য করছি।

    এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে শেখ হাসিনা ছাড়া এমন গণমাধ্যম বান্ধব নেতা আর আছে বলে আমার মনে হয় না। শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কথা যেভাবে চিন্তা করেন, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করেন। করোনাভাইরাসের এই মহামারীতে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য প্রণোদনার আওতায় নিয়ে এসেছেন। গত দুই মাস যাবত সরকার এই কর্মহীন মানুষদের পাশে থেকেছেন। অনেকেই অনেক ধরণের আশঙ্কা করেছিলেন, যে এখানে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছেন এই দুই মাসে এমন একটি সংবাদও প্রকাশ হয়নি, যে সংবাদে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।

    গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য গণমাধ্যম একটি স্তম্ভ। এটাকে দুর্বল করে বাংলাদেশে কখনও উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হতে পারেনা, এগিয়ে যেতে পারেনা। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রগতি গণমাধ্যম তুলে ধরেছে বলেই সমগ্র পৃথিবীতে প্রশংসা হচ্ছে। কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের পাশে আছেন এবং থাকবেন।

  • সরকারি পাটকল শ্রমিকদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে

    সরকারি পাটকল শ্রমিকদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে

    ন্যাশনাল ডেস্ক: ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছায় অবসরে পাঠানো হবে হ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে হ বছরের পর বছর লোকসানের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে পাটকলগুলো

    ক্রমাগত লাকসান রোধে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) পাটকলগুলোর ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছায় অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানো হচ্ছে। পাওনা পরিশোধের পদ্ধতিসহ শ্রমিকদের অবসরের বিষয়টি কিছুদিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। পরবর্তী সময়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর এ পাটকলগুলো পরিচালিত হবে না। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার আওতায় এগুলো পরিচালিত হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে শ্রমিকদের অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্তের কারণে অসন্তোষের আশঙ্কাও রয়েছে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। সরকারি পাটকলের শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের (অবসর) বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন মজুরি কমিশন অনুযায়ী শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি চূড়ান্ত করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বর্তমানে বিজেএমসির আওতায় পাটকল রয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে একটি (মনোয়ার জুট মিল) বন্ধ রয়েছে। পাটকলগুলোতে বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ২৪ হাজার ৮৫৫ জন। এছাড়া তালিকাভুক্ত বদলি ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। বেসরকারি খাতের পাটকলগুলো লাভ করলেও নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে বছরের পর বছর লোকসান গুনছে সরকারি পাটকলগুলো। লোকসান কাটিয়ে মিলগুলো চালু রাখতে প্রতি বছরই জনগণের করের টাকা দিয়ে আসছে সরকার। লোকসানে থাকা পাটকলগুলোর অর্থায়নের বিষয়ে গত বছরের ১৪ মে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে গত ১০ বছরে সাত হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পাটকলে আর কতদিন অর্থায়ন করব? গত ১০ বছরে তো আমরা সাত হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। এটা অনেক বড় টাকা।’ এভাবে বছরের পর বছর জনগণের করের টাকায় পাটকলগুলো টিকিয়ে রাখার বিপক্ষে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। পাটকলগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ তাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লোকসানের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের পাটকলগুলো। অনেক আশা নিয়ে বর্তমান সরকার পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবনে নানা পদক্ষেপ নিলেও লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। অব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক দলাদলি, সময়মত কাঁচাপাট কিনতে ব্যর্থ হওয়া, পাটের গুণগতমান ভালো না হওয়া, বেশি জনবল, শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) দৌরাত্ম্য, পুরাতন যন্ত্রপাতি, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই লাভের মুখ দেখছে না সরকারি পাটকলগুলো। গত সাত (২০১১-১৮) বছরে পাটকলগুলোর লোকসান দাঁড়িয়েছে চার হাজার কোটি টাকা। ফলে বকেয়া বেতনের দাবিতে মাঝে মাঝেই রাজপথ কাঁপাচ্ছেন শ্রমিকরা। উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গোটা দেশ। সারাদেশে চালু ২৫টি পাটকলের ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিকের বকেয়া বেতন-ভাতায় বছরে গুনতে হচ্ছে কয়েকশ’ কোটি টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে বিজেএমসির লোকসান ছিল ৭৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এরপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩৯৬ কোটি ৯৭ লাখ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫১৩ কোটি ৮ লাখ, পরের অর্থবছরে ৭২৯ কোটি এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৮১ কোটি ৫০ লাখ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৯৭ কোটি ১৮ লাখ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লোকসান হয়।

  • পুঁজিবাজারে লেনদেনে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা

    পুঁজিবাজারে লেনদেনে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা

    জাতীয় ডেস্ক: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

    ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আজ রবিবার (২৮ জুন)  লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থ্যাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ৯১৯ ও ১৩২৭ পয়েন্টে রয়েছে। এসময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

    এই সময় লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ১৩টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ১২৩টি কম্পানির শেয়ার।

    এদিকে, ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে সূচক নিম্নমুখী দেখা যায়। লেনদেনের শুরুর প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসইএক্স সূচক কমে ১ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ১ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচকের গতি কিছুটা নিম্নমুখীই থাকে। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। 

    সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ডিএসইতে দাম বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দশ কম্পানির তালিকায় আছে-বিএসসিসিএল, বেক্সিমকো ফার্মা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, কেয়া কসমেটিকস, সিএনএ টেক্সটাইল, ইন্দোবাংলা ফার্মা, ওয়ান ব্যাংক, একমি ল্যাব, গ্লাক্সো স্মিথ ও সিটি ব্যাংক।

    লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএএসপিআই সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ২৬০ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি নিম্নমুখী দেখা যায়।

    সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের তিনটি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে চারটি কম্পানির দর। আর ৩৪টি কম্পানি শেয়ারের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। 

  • টিএসসিতে ১০০ দিন খাবার বিতরণ শেষ করছেন সৈকত

    টিএসসিতে ১০০ দিন খাবার বিতরণ শেষ করছেন সৈকত

    জাতীয় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে করোনা পরিস্থিতিতে রান্না করা খাবার বিতরণের ১০০তম দিনে তানভীর হাসান সৈকত তাঁর এ উদ্যোগের সমাপ্তি টানবেন।

    বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ বাংলাদেশে বিস্তার শুরু করার পরপর পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার বিগত মার্চ মাস থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এমতাবস্থায়, অর্থনৈতিক স্থবিরতা তৈরী হয়। কর্মহীন হয়ে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষেরা।

    দুস্থ, অসহায় ও ভবঘুরে সাধারণ মানুষের অবস্থা বিবেচনা করে দেশের একজন নাগরিক ও জনগণের করের টাকায় পরিচালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নৈতিক দায়বোধের জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সদস্য ও ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর হাসান সৈকত তাদের কাছে রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় বিগত তিন মাস ধরে শহরের ছিন্নমূল, দিনমজুর এসব মানুষ যাদের নিজস্ব আবাসন বা খাবার ব্যবস্থা নেই তাঁদের ক্ষুধা মিটানোর সংগ্রামে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সারথী হয়েছেন তিনি। প্রথমে ব্যক্তিগত অর্থ ও উদ্যোগে তিনি তার কাজ পরিচালনা করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর্থিকভাবে কিংবা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করে সৈকতের এই উদ্যোগ সচল রাখতে সহায়তা করেছেন।

    এছাড়া সৈকত মহামারীর কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অন্তত ১২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন প্রতিদিনের খাবার রান্না করার কাজে তাদেরকে যুক্ত করে। টিএসসিতে অবস্থান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সৈকতকে এই কাজে সহযোগিতা করছেন। বর্তমানে প্রতিদিন টিএসসিতে অন্ততপক্ষে এক হাজার মানুষ তাঁর রান্না করা খাবার খেয়ে ক্ষুধা মেটাচ্ছেন।

    কিন্তু সরকার সাধারণ ছুটি তুলে নেওয়ার কারণে টিএসসিতে নিয়মিত খাদ্যসেবা গ্রহণ করা খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কাজ করার সুযোগ ফিরে এসেছে। তাই তাদেরকে কর্মসংস্থানমুখী করতে সৈকত তাঁর এ উদ্যোগের সমাপ্তি ঘোষণা করতে চান।

    এবছর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। তাই পিতা মুজিবের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে টিএসসিতে রান্না করা খাবার বিতরণের ১০০তম দিনে তানভীর হাসান সৈকত তাঁর এ উদ্যোগের সমাপ্তি টানবেন। পরবর্তীতে তিনি সুরক্ষা বিষয়ে কাজ করতে চান।

    আগামী ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে তানভীর হাসান সৈকতের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিতরণের সর্বশেষ দিন। তার আগে ৯৯তম দিনে আগামী ২৯ জুন, সোমবার তানভীর হাসান সৈকত স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে ছোট আকারে একটি সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন, যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি অনলাইনে যুক্ত হবেন।

  • উন্নয়ন- প্রবৃদ্ধি, বৈষম্য ও বাজেট

    উন্নয়ন- প্রবৃদ্ধি, বৈষম্য ও বাজেট

    জিয়াউল হক মুক্তা

    গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। এখানে বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার- অর্থনৈতিক ইতিহাস বলে যে, উচ্চতর প্রবৃদ্ধি কখনোই উন্নয়নের সমার্থক নয়, কিংবা উন্নয়ন পরিমাপের জন্য প্রবৃদ্ধিই একমাত্র সূচক নয়; বরং উচ্চতর প্রবৃদ্ধির সমান্তরালে জনগোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চ হারে বৃদ্ধি পায় বৈষম্য। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়; উচ্চতর প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দেশের রাষ্ট্র-সমাজ-সংস্কৃতিতে মানুষে-মানুষে বৈষম্য বেড়েই চলছে। তবে চাইলে প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে বৈষম্য মোকাবিলা করা সম্ভব।

    বৈষম্যের রয়েছে বিবিধ মাত্রা- আয়ের বৈষম্য, সম্পদের বৈষম্য, নারী-পুরুষ বৈষম্য, কেন্দ্রিক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, নারী-পুরুষ ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য, স্পৃশ্য-অস্পৃশ্যের বৈষম্য ইত্যাদি। এসব বৈষম্যের মধ্যে আবার রয়েছে ক্রসকাটিং সম্পর্ক; যেমন, আয়ের বৈষম্য প্রভাবিত হতে পারে নারী-পুরুষ বৈষম্য দ্বারা, স্পৃশ্য-অস্পৃশ্য বৈষম্য প্রভাবিত করতে পারে আয়ের বৈষম্য ইত্যাদি। বহুমাত্রিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সমতার সমাজ নির্মাণ করতে হলে তাৎক্ষণিক এবং আশু বা স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি বহুমাত্রিক নীতি-কৌশল-কর্মসূচি-প্রকল্প গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। যদিও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণবাদের মতো শোনাবে- আয় বৃদ্ধি পেলে মানুষের ক্ষমতা ও অভিগম্যতা বাড়ে, যা অপরাপর বৈষম্য কমাতে কিছুটা সহায়তা করে।

    অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনেক সূচকে বাংলাদেশ চমৎকার সাফল্য প্রদর্শন করার সাথে সাথে তীব্রগতিতে নাগরিকদের মধ্যে আয়ের বৈষম্য বাড়ার কথাটি কোনো নিন্দুকের মনগড়া ভাষ্য নয়, বরং সরকারি পরিসংখ্যানের। ২০১০ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত হাউসহোল্ড ইনকাম-এক্সপেনডিচার সার্ভে [এইচআইইএস] বা খানা আয়-ব্যয় জরিপ এবং এর অনুসরণে ২০১৬ সালে পরিচালিত আরও একটি জরিপের তথ্য অনুসারে উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশে অব্যাহতভাবে আয়ের বৈষম্য বৃদ্ধির সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। এমনকি সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলেও অব্যাহতভাবে আয়-বৈষম্য বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।

    কোনো দেশের আয়-বৈষম্য কতটা তা পরিমাপ করা হয় জিনি সহগ দিয়ে। জিনি সহগের মান যত কম হয়, আয়-বৈষম্য তত কমে; আর এর মান যত বেশি হয় আয়-বৈষম্য তত বাড়ে। এটা শূন্য হলে বোঝায় যে, দেশের সকলের মধ্যে চরম সমতা বিরাজ করছে; আর এর মান বাড়তে বাড়তে শূন্য দশমিক পাঁচ (০.৫) বা বেশি হলে বোঝায় যে, দেশে আয়-বৈষম্য চরমতম অবস্থায় পৌঁছেছে।

    পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭৪ সালে দেশে জিনি সহগের মান ছিল ০.২৪। ২০১০ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ০.৪৫৮। ২০১৬ সালে তা আরও বেড়ে হয়েছে ০.৪৮৩। ২০১৬ সালে দেশে সবচেয়ে ধনী ১০% পরিবারের হাতে ছিল আয়ের ৩৮.১৬%। এ সময় সবচেয়ে সম্পদশালী ৫% পরিবারে আয় বেড়ে হয়েছে ২৭.৯%, যেখানে সবচেয়ে গরিব ৫% পরিবারে আয় কমে হয়েছে ০.২৩% মাত্র। আয়-বৈষম্যের এ চিত্র শহরের চেয়ে গ্রামে আরও বেশি তীব্র। এ সময় গ্রামাঞ্চলে জিনি সহগ ০.৪৩ থেকে ০.৪৫-এ এবং শহরাঞ্চলে ০.৪৫ থেকে ০.৫-এ বর্ধিত হয়। গবেষকরা জানান যে, বাংলাদেশে যেহেতু গবেষণার সময় ধনী পরিবারগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না, সেহেতু বৈষম্যের সত্যিকার চিত্র আরও ভয়াবহ বলে অনুমান করা অসঙ্গত নয়।

    ২০১৮ সালে আয়-বৈষম্যের উল্লিখিত চিত্রের ওপর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি চারটি পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেছে। প্রথমত, দেশে আয়-বৈষম্য ছয় বছরে অনেক প্রকট হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এ সময়ে সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র ও নাজুক অংশটি আরও দরিদ্র হয়ে উঠেছে। তৃতীয়ত, সবচেয়ে ধনী অংশ দ্রুত আরও সম্পদশালী হয়ে ওঠায় তাদের মধ্যেই আয় আরও কেন্দ্রীভূত হয়েছে এবং চতুর্থত, দারিদ্র্যের মাত্রা গ্রামীণ দরিদ্রদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি।

    আয়-বৈষম্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেশের অর্থনীতিবিদরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মজুরি বৃদ্ধি ও কর্মসৃজনের মধ্যে সম্পর্কহীনতার কথা বলছেন; প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কর্মসৃজন ও প্রকৃত মজুরি বাড়েনি। ফলে দেশ দারিদ্র্য বিমোচনে শ্নথগতি ও অসমতার বৃদ্ধিতে তীব্রগতির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। আমার দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনে করে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে কম বরাদ্দের পাশাপাশি সুযোগের অসমতা আর সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিও আয়-বৈষম্য বৃদ্ধির কারণ। অর্থনীতিবিদদের মতে, আর্থিক খাতে ধনীরা বেইলআউট, ঋণ, ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ, কর মওকুফ, ভর্তুকি, লাইসেন্স ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে সহায়তা পান, গরিবরা তা পান না। উপরন্তু গরিবের জন্য যে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে তাও দুর্নীতির কারণে কমে যায়।

    বর্তমান অর্থমন্ত্রী যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দের পরও কেন আয়-বৈষম্য বাড়ছে তা খতিয়ে দেখা হবে ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সে খতিয়ে দেখার খবরের কথা কারও জানা নেই এবং ২০২০-২১ সালের বাজেটেও আয়-বৈষম্য নিরসনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি; বরং আয়-বৈষম্য বাড়ানোর পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছে।

    প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পদ আহরণের জন্য প্রত্যক্ষ করের বদলে পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়ানো হয়েছে; সব জনগণের ওপর ভ্যাটের মতো নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা নিয়মিত আয়কর প্রদানকারীদের ওপর ডাবল ট্যাক্সেশনের নামান্তর ও গরিবের সামান্য আয়ের ওপর হিংস্র থাবা বসানোর নামান্তর। এর পরিবর্তে প্রত্যক্ষ কর বাড়াতে হবে। করমুক্ত আয়সীমা সামান্য বাড়ানো হলেও নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের জন্য তা নাভিশ্বাসের নামান্তর; করমুক্ত আয়সীমা দশ লাখ টাকা করতে হবে। আগে আয়করের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৩০%, তা ২৫%-এ নামিয়ে এনে ধনীদের আরও ধনী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে; এ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০% আয়কর আদায়ের বিধান পুনর্বহাল করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ও লুটপাটের অর্থ পুনরুদ্ধার করতে হবে।

    বাজেটের আয়ের ক্ষেত্রে উল্লিখিত জনবান্ধব পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যয়ের ক্ষেত্রেও জনবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এরই মধ্য জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি সংসদে বাজেট আলোচনাকালে চার ধরনের ‘সর্বজনীন’ কর্মসূচি গ্রহণ, তার জন্য বর্ধিত বরাদ্দ প্রদান ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন; এগুলো হলো- সর্বজনীন শিক্ষা কর্মসূচি, সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি, সর্বজনীন সামাজিক-সুরক্ষা কর্মসূচি এবং সর্বজনীন খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি। এবারের বাজেটে এসব খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ রুটিন-বৃদ্ধির বাইরে উল্লেখযোগ্য কোনো বরাদ্দ পায়নি। আয়-বৈষম্য বিবেচনায় জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে নগদ সহায়তা বা কার্ড প্রদানের মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা বা নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। জাসদ এসব খাতে বর্ধিত বরাদ্দকে ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করে না, বরং বিনিয়োগ হিসেবে দেখে, যা পরে বহুগুণে ফেরত আসে।

    বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তীব্রভাবে বিরাজমান আয়-বৈষম্য নিরসনে বাজেটের আয় ও ব্যয় উভয় ক্ষেত্রে সমান্তরাল জনবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি আশু বা স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি নীতিকাঠামো বিবেচনা করতে হবে; গাছের শেকড় কেটে আগায় জল ঢাললে চলবে না; আশু বা স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপের মধ্যে থাকবে দুর্নীতি-দুঃশাসন-লুটপাট-অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতা-জবাবদিহি-সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপের মধ্যে থাকবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নের পদক্ষেপ, এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের মধ্যে থাকবে দেশের সংবিধান নির্দেশিত সমাজতান্ত্রিক নীতি-আদর্শের প্রয়োগ- আয়-বৈষম্যসহ সব ধরনের বৈষম্য মোকাবিলার জন্য।

    সাধারণ সম্পাদক, সিএসআরএল; জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক

    সংগৃহিত: দৈনিক সমকাল

  • পাটকল বন্ধ করার পায়তারার প্রতিবাদ জাসদের

    পাটকল বন্ধ করার পায়তারার প্রতিবাদ জাসদের

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে সরকারের ভিতরের একটি গোষ্ঠী রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের পায়তারা তীব্র প্রতিবাদ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি।

    শনিবার (২৭ জুন) এক বিবৃতিতে জাসদ নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ জানান।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১১ বছরে পাটকলগুলিকে লাভজনকভাবে পরিচালনা বিষয়ে সরকার, বিজেএমসি, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দফায় দফায় আলোচনায় পাট ক্রয়ে লোকসান-দুর্নীতি বন্ধে মৌশুমে যথাসময়ে কাঁচাপাট ক্রয় করা, কারখানা পরিচলন ব্যয়ে দুর্নীতি বন্ধ, পণ্য মোড়কে পাট ব্যবহার আইন ২০১০ প্রণয়ন করা, পাটকলগুলিকে আধুনিকায়ন করা, পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণসহ বাস্তবসম্মত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও প্রবস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু সরকারের ভিতরের এক গোষ্ঠী সেই সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করে পাটকলগুলিকে অচল করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। পাটগুলিকে অচল রেখে অলাভজনক করে ফেলার দায়িত্ব শ্রমিকদের না। পাটক্রয়, কারখানা পরিচালনা করা, উৎপাদিত পণ্য বিপননের কোনো ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি।

    তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে পাটের জেনোম আবিস্কার হয়েছে ও প্রধানমন্ত্রী যখন পাটের পুনর্জাগরণের কথা বলছেন তখন পাটকল ও পাটশিল্প ধ্বংসের জন্য অন্তর্ঘাত চালানো হচ্ছে। তারা পাটকল বন্ধ করার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা, পাটকলগুলিকে আধুনিকায়ন, পাট ক্রয়ে দুর্নীতি বন্ধ, পণ্য উৎপাদন বহুমুখীকরণ করা, পণ্যের মোড়কে পাট ব্যবহার আইন ২০১০ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন, পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতনভাতাসহ অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যায়াচুইটির টাকা পরিশোধ করার দাবি জানান।

  • জাসদ ঢাকা মহানগর উত্তরের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রুবি আক্তারের(৫৫) মৃত্যুতে জাসদের শোক

    জাসদ ঢাকা মহানগর উত্তরের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রুবি আক্তার(৫৫) আজ শনিবার ২৭ জুন ২০২০ রাত ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মহাখালী নিকেতন বাজারগলি নিজবাসায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, দুই ছেলে এবং ১ কণ্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বাদ আছর নিকেতন বাজারগলি লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে নামাজে জানাজা শেষে নিকেতন কবর স্থানে দাফন করা হবে।


    শোক:

    জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ শনিবার ২৭ জুন ২০২০ এক বিবৃতিতে জাসদ ঢাকা মহানগর উত্তরের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রুবি আক্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। অনুরুপ এক শোক বার্তায় জাসদ মহানগর সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মীর হোসাইন আক্তার এবং যুগ্ম সমন্বয়ক নুরুল আকতার, জাসদ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম ইদ্রিস আলী বলেন, রুবি আক্তারের মত সাহসী নেত্রীর মৃত্যুতে আমরা একজন প্রিয় সহকর্মীকে হারালাম। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।বার্তা প্রেরকসাজ্জাদ হোসেন
    দফতর সম্পাদক

  • আগে ঘরোয়া ক্রিকেট পরে আন্তর্জাতিক

    আগে ঘরোয়া ক্রিকেট পরে আন্তর্জাতিক

    ‘আমাদের ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে খেলার আগে অনেক বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। আর তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দরকার। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর মাঠে নামার আগে অন্তত তিন সপ্তাহ কঠোর ফিজিক্যাল ট্রেনিং করতে হবে।’ -মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

    দেশের বাইরে তিনটি আর ঘরের মাঠে দুটি, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মোট পাঁচটি সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলোয় আছে শুধু এশিয়া কাপ (সেপ্টেম্বরে), টি২০ বিশ্বকাপ (অক্টোবর-নভেম্বর) আর শ্রীলংকার সঙ্গে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ (ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে)। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। না হওয়ার সম্ভাবনাই খুব বেশি। কারণ টি২০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াই এটি আয়োজন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।

    যে দেশে খেলা হবে, সে দেশই যখন সম্ভব নয় বলে মনে করছে সেখানে ওই আসর হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলেই ধরে নেওয়া যায়। আগামী ১০ জুলাই সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি। এশিয়া কাপের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত আসবে খুব শিগগিরই।

    এখন যদি এ দুই আসর না হয় তাহলে এ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইগারদের মাঠে নামার সম্ভাবনা খুব কম। তবে আগামী দুই মাস অর্থাৎ আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের ভেতর করোনার তীব্রতা কমে অবস্থা ভালো হলে, তখন হয়তো স্থগিত হওয়া সিরিজগুলো আয়োজনের সম্ভাবনা থাকবে। অবশ্য সেটা নির্ভর করবে প্রথমত, করোনা ভালো হওয়ার ওপর, পাশাপাশি যাদের সঙ্গে সিরিজগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে সেই দেশের ক্রিকেট দলের ফ্রি থাকার ওপর।

    করোনা পরিস্থিতি ভালো হলেও চটজলদি বন্ধ হয়ে যাওয়া সিরিজ চালুর সম্ভাবনা কম। যে ৫টি সিরিজ বন্ধ রাখা হয়েছে, সেই দেশগুলো যদি করোনা সংকট কাটার পর ফ্রি থাকে তবেই না খেলার প্রশ্ন। ওই দলগুলো আবার অন্যত্র ব্যস্ত হয়ে পড়লে আর নিকট ভবিষ্যতে বন্ধ হওয়া সিরিজ খেলার সম্ভাবনা থাকবে না টাইগারদের।

    এ বিষয়ে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মনে করেন, সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলেও জাতীয় দলের মাঠে ফেরার জন্য কিছু নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে প্রধান নির্বাচক জানান, ‘খেলোয়াড়দের সুস্থতাই সবার আগে এবং কোনোরকম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে তাদের ঠেলে দেওয়ার কোনো ইচ্ছে আমাদের তথা বোর্ডের নেই।’

    নান্নু আরও জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের যথাযথ প্রস্তুতিও খুব দরকার। তার ব্যাখ্যা, করোনা সংকট কেটে অবস্থা ভালো হয়ে গেলে আর অল্প ক’দিনের প্রস্তুতিতে জোর করে মাঠে নেমে পড়ল জাতীয় দল- এমন ভাবা হবে চরম বোকামি।

    প্রধান নির্বাচকের মতে, ‘ক্রিকেটাররা এরই মধ্যে তিন মাসের বেশি সময় ধরে ঘরে। জানি, তারা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করছে। কেউ কেউ ঘরে নিয়মিত হালকা ফিজিক্যাল ট্রেনিংটাও করেছে। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে একজন ক্রিকেটারের তার চেয়ে বহু গুণ বেশি ফিটনেস দরকার। ক্রিকেটের পর্যাপ্ত স্কিল ট্রেনিং এবং সর্বোপরি মানসিক প্রস্তুতিও খুব প্রয়োজন। যার কিছুই এখন হয়নি।’

    নান্নু আরও বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে খেলার আগে অনেক বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। আর তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দরকার। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর মাঠে নামার আগে অন্তত তিন সপ্তাহ কঠোর ফিজিক্যাল ট্রেনিং করতে হবে। তারপর আরও অন্তত দুই সপ্তাহ স্কিল ট্রেনিং করা জরুরি।’

    প্রধান নির্বাচকের শেষ কথা হলো, ‘এই ৫ সপ্তাহের প্রস্তুতিই শেষ নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ম্যাচ প্র্যাকটিসটাও অত্যন্ত জরুরি। শুধু ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন আর সেন্টার উইকেটে নিজেকে ঝালিয়ে নিলেই হবে না। দরকার পর্যাপ্ত ম্যাচ প্র্যাকটিস। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই সে ম্যাচ ঘাটতি পোষাতে হবে। আমি মনে করি বর্তমানে ক্রিকেটাররা যে অবস্থায় আছে, সেখান থেকে তাদের টেস্ট-ওয়ানডে খেলার আগে অতি অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে।’

    ‘এখন যা অবস্থা, তাতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের আগে হয়তো তাও সম্ভব না। আমি খুব করে চাইব সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগেও যদি ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করা যায়, তাহলে অক্টোবরের মাঝামাঝি বা শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সম্ভব। এর আগে কোনোভাবেই না। ক্রিকেটারদের তো আগে মাঠে নামতে হবে। চার মাস ঘরে বসে থাকার পর হুট করে অল্প ক’দিন অনুশীলন করেই তো আর টেস্ট-ওয়ানডে খেলতে নামা সম্ভব না। সেটা ঠিকও হবে না। তাতে ভালোর চেয়ে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’