Category: জাতীয়

  • করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ২২ মৃত্যু

    ন্যাশনাল ডেস্ক: দেশে দীর্ঘতর হচ্ছে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর তালিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ২২ জনের নাম। ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ১৫৪ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৭ ও নারী ৫ জন।

    রোববার (০২ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনা থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা। https://3b060ecbd79c2d1c7410ac2772705d35.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-37/html/container.html

    একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৮৬৬ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জনে। মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৫ জনে।

    করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একদিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জনে।

    বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৩১শতাংশ।

    বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ৯ জন এবং সত্তরোর্ধ্ব দুইজন রয়েছেন।

    একদিনে মোট করোনায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন এবং রংপুর ও সিলেট বিভাগের একজন রয়েছেন।

    বৈশ্বিক সর্বশেষ

    গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৭০ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাত লাখ ১৬ হাজারের বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

  • খেলা ছেড়ে কী করবেন সাবিনা?

    খেলা ছেড়ে কী করবেন সাবিনা?

    দেশের গণ্ডি পেরিয়ে চার মৌসুম বিদেশি লিগে খেলেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। খেলেছেন মালদ্বীপ ও ভারতের ক্লাবের হয়ে, পেয়েছেন ব্যক্তিগত অনেক সাফল্যের দেখা। ফুটবলার সাবিনার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে। পরের বছরই অভিষেক জাতীয় দলে। সাতক্ষীরার কন্যা সাবিনা খাতুন আর পেছনে ফিরে তাকাননি।

    গত ১০ বছর ধরে তিনি দেশে, দেশের বাইরে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের বিজ্ঞাপন হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরছেন। অন্য দেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলা প্রথম তিন নারীর একজন সাবিনা। ভারতের ঘরোয়া লিগে খেলে পেশাদারিত্বের রঙটা আরও চকচকে করেছেন। বাংলাদেশ ও অন্য দুই দেশের ঘরোয়া ফুটবল খেলে নিজের নামের পাশে শতশত গোল যোগ করেছেন। তিন দেশের ঘরোয়া ফুটবলে আড়াইশ’র মতো গোল আছে সাবিনার।

    ক্যারিয়ারের শুরুর সময়টা ঠিক এখনের মতো সহজ ছিল না সাবিনার জন্য। মেয়ে হয়ে ফুটবল খেলায় ছিল একটা সামাজিক বাধা। তবে এখন সব বাধা কাটিয়ে উঠতে শিখেছেন সাবিনাসহ বাকি মেয়েরা। যাদের হাত ধরে নারী ফুটবলে নিয়মিতই সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ।

    ক্যারিয়ারের এ পর্যন্ত আসতে কী কী প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়েছে?- ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার এমন এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সাবিনা তুলে আনেন অতীতের সামাজিক একটি গোষ্ঠীর বাধার কথা। সাবিনা বলেছেন, ‘মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরে মাঠে খেলতে নামবেন সেটা মানতে পারতেন না অনেকেই। কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই। আমরা শিখেছি কিভাবে প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হয়।’

    একই সাক্ষাৎকারে সাবিনা জানিয়েছেন, খেলোয়াড়ি জীবন শেষেও তিনি থাকতে চান ফুটবলের সঙ্গেই। এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছেন কোচিংয়ের ‘বি’ লাইসেন্স। অবসরের পরে কোচিংকেই বেছে নিতে চান পেশা হিসেবে।

    সাবিনার ভাষ্য, ‘খেলা থেকে অবসরের পর কোচিংয়ে মনোনিবেশ করতে চাই। ইতোমধ্যে আমি এএফসি ‘বি’ লাইসেন্স সম্পন্ন করেছি। বাংলাদেশ দল নিয়ে আমি মেয়েদের খেলায় ব্যস্ত থাকার পরামর্শ দেবো। যা আমাদের সফল করে তুলবে। তাই প্রতি বছর লিগ আয়োজন করা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নারীদের লিগ অব্যাহত রাখবে।’

  • বাসের নিচে প্রাইভেটকার, কেটে বের করা হলো ৫ জনের লাশ

    বাসের নিচে প্রাইভেটকার, কেটে বের করা হলো ৫ জনের লাশ

    বাসের নিচে প্রাইভেটকার, কেটে বের করা হলো ৫ জনের লাশ

    সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার লামা তাজপুরের তানপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা প্রাইভেটকারের যাত্রী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে সিলেটগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট বাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতরা প্রাইভেটকারের যাত্রী। তারা ঢাকা থেকে সিলেটে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

    Accident-Sylhet

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের একটি বাস ও ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি প্রাইভেটকারের লামা তাজপুরের তানপুর এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসের নিচে ঢুকে যায় প্রাইভেটকার। সঙ্গে সঙ্গে প্রাইভেটকার দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত ও একজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এবং নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাস কেটে প্রাইভেটকার বের করে। সেই সঙ্গে হতাহতদের উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

  • চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন আজ

    চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন আজ

    বরেণ্য চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন আজ। আজকের এই দিনে ১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। একমাত্র ছেলে অনিক কানাডা থাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে ববিতা তার জন্মদিন কখনো ঢাকায় আবার কখনো কানাডাতেই উদযাপন করেন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানো সংগঠন ‘ডিসট্রেস চিলড্রেন ইনফ্যান্ট ইন্টারন্যাশনালে’র শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ববিতা কাজ করছেন। জন্মদিনে অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে বিশেষ একটা সময় কাটান।

    ববিতা বলেন, ‘একজন মুসলমান হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি। আমাদের যেমন জন্ম আছে, ঠিক তেমনি আছে মৃতু্য। একটি নির্ধারিত সময়েই বিধাতা আমাদের ভাগ্যে মৃতু্য রেখেছেন। তাই জন্মদিন আসা মানেই হলো আরও একধাপ মৃতু্যর দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই দিনটিকে ঘিরে অনেক বেশি আনন্দ-ফুর্তি করার আসলে তেমন কিছু নেই। তার মানে আমি এটাও বলছি না যে, সেলিব্রেট করা যাবে না। তবে তা যেন সীমাবদ্ধতার মধ্যেই হয়। এটাও মনে রাখতে হবে এখন আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। আমরা চাই সৃষ্টিকর্তা যেন খুব দ্রম্নত এই দুর্যোগ তুলে নেন।’

    ববিতার জন্মদিনের শুভ প্রহর শুরু হয় তার একমাত্র ছেলে অনিকের সঙ্গে কথা বলে। জন্মদিনের শুরুর প্রহরেই অনিক কানাডা থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠানোর পাশাপাশি তার সঙ্গে কথা বলেন।

    ববিতা বলেন, ‘অনিক বলে, ইউ আর দ্য বেস্ট মাদার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। সত্যি বলতে কী, সব সন্তানের কাছেই তার মা পৃথিবীর সেরা মা। আমি বুঝি অনিক আমাকে কতটা ভালোবাসে, অনুভব করে, শ্রদ্ধা করে।’

    ববিতা ৩৫০-এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক পুরস্কার। অভিনয়ে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিনয়ে তো ফিরতেই চাই। সে রকম গল্প নিয়ে কেউ এগিয়ে আসছে না। তাই অভিনয়ে আমাকে দেখা যায় না। ভালো কাজের ক্ষুধা সবসময় তাড়িয়ে বেড়ায়। আর অভিনয় থেকে শিল্পীর বিদায় বলতে কিছু নেই। মৃতু্যর আগ পর্যন্ত একজন শিল্পী অভিনয় করতে পারেন।’

  • সাতক্ষীরায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম

    সাতক্ষীরায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রিমান্ডের চতুর্থ দিনে অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে খুলনা র‌্যাব কার্যালয় থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরায় আনা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে সে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল সেই দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর লাবন্যবতী নদীর ব্রীজের উপর। বিকাল ৪টা ১১ মিনিটে সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। উৎসুক জনতা ভিড় জমালে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সেখানে তাকে নিয়ে ৫-৭ মিনিট থাকার আবারও তাকে র‌্যাবের গাড়ীতে উঠানো হয়। এ সময় সাহেদের মুখমন্ডল হেলমেটে ঢাকা ছিল, গায়ে ছিল গেঞ্জি ও র‌্যাবের নিরাপত্তা জ্যাকেট। ব্রীজের ওপর থেকেই আবারও তাকে গাড়িতে উঠিয়ে ফের খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় র‌্যাব। তদন্তের স্বার্থে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কিছু না জানানো হলেও দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সাহেদ করিম মাঝে মাঝে খুব ক্ষ্যাপাটে আচরণ করছেন। আবার কখনো কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন।
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এস.আই রেজাউল ইসলাম জানান,গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করা সমীচীন হবেনা।
    র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ এর এস.আই রেজাউল ইসলামসহ সাহেদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত র‌্যাব সদস্যরা।
    উল্লেখ্য ঃ এর আগে গত ১৫ জুলাই বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে করোনা টেষ্ট প্রতারনা ও জালিয়াতি মামলাার আসামী রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিমকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজের নিচ থেকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় একটি অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান র‌্যাব-৬ এর এস.আই রেজাউল ইসলাম। সাতক্ষীরার আমলী আদালত- ৩ এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব কুমার রায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত সোমবারই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আনা হয়।

  • লুই কানের নকশায় সাজবে জাতীয় সংসদ

    লুই কানের নকশায় সাজবে জাতীয় সংসদ

    মশাল ডেস্ক: জাতীয় সংসদ সাজবে লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী। বিষয়টি বেশ কয়েকবছর ধরেই আলোচনায় রয়েছে। আজ বুধবার জাতীয় সংসদের স্পিকার জানালেন, সংসদকে লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী অনুযায়ী সাজানোর বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। ঈদের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে সেই দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সংসদের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি। 

    আজ জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে ‘জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপত্য সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা’- শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

    স্পিকার বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের স্থাপত্য শৈলী আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দিত। সংসদ ভবনের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কারের ক্ষেত্রে সেকারণে অধিক যত্নশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি লুই আই কান এর মূল নকশা অনুসরণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী সংসদের সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্পিকার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

    সংসদের উত্তর প্লাজায় বিভিন্ন উইংয়ের অফিস কক্ষ, লবির আকার, কর্মকর্তাদের অফিসে প্রবেশের জন্য অটোমেটিক সেন্সর ডোর, অফিসারদের আগমন ও প্রস্থানের রাস্তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও প্রস্থানের রাস্তার নিরাপত্তা, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। 

    জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।

    এর আগে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আর্কিটেক্ট সাঈকা বিনতে আলম সংসদের উত্তর প্লাজায় স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিদের অফিস কক্ষ, কনফারেন্স রুম এবং বিভিন্ন উইং এর অফিস সর্বোপরি জাতীয় সংসদ ভবনের স্থাপত্য সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। 

    সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • অর্থবছরের শুরুতে রেমিট্যান্সের অবিশ্বাস্য চমক

    অর্থবছরের শুরুতে রেমিট্যান্সের অবিশ্বাস্য চমক

    মশাল ডেস্ক: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে করোনাভাইরাস মহামারির চলমান সংকটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে।জুলাই মাসের আরো দুই দিন বাকি থাকতেই পুরো জুন মাসের চেয়েও বেশি প্রবাসী আয় দেশে আসার রেকর্ড হয়েছে। চলতি মাসের মাত্র ২৭ দিনেই ২.২৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আশা করা যায় মাসের শেষে এটি ২.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাসে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত জুন মাসের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৯ শতাংশ এবং মে মাসের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি ছিল। এখন সেই রেকর্ড ভাঙল চলতি মাসের মাত্র ২৬ দিনেই। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। 

    পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.১১ বিলিয়ন  (২৮.০৭.২০২০ তারিখ পর্যন্ত) মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে।  বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এযাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ। গত ৩০ জুন ২০২০ তারিখে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬.০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি পৌছেছে ৩৭.১১ বিলিয়ন  মার্কিন ডলারের রেকর্ডে। বিগত ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশের বৈদিমিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২.৭১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ১ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সরকারের এ অভূতপূর্ব সাফল্যে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যাদের অক্লান্ত পরিাশ্রমে এ অর্জন সেই সকল প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

  • কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতি পদ থেকে এমপিদের বাদ দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি

    সম্প্রতি হাইকোটের রায় অনুযায়ী সংসদ সদস্যগণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২৭ জুলাই ২০২০খ্রী. তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী সংসদ সদস্যদের স্থলে বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গত ২৫ নভেম্বর ২০১৯ খ্রী. তারিখে হাইকোটে রীট পিটিশন নং ২৩০/২০১৭ মামলার রায় অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ২০২০ খ্রী. তারিখে ঐ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
    রায়ে বলা হয়, ফাজিল, কামিল মাদ্রাসাসহ সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে সাংসদকে সভাপতি করা সংবিধানের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সাতক্ষীরার শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের (কলেজ) গভর্নিং বডির সভাপতি পদে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্যের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
    এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ২৫ নভেম্বর ওই রায় দেন। বৃহস্পতিবার ছয় পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়েছেন বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী। হাইকোর্টের এই অভিমতের ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবেন না সাংসদেরা। এমনটাই জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী।
    বিভিন্ন রায় ও আদেশ পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেছেন, ‘এটি কাচের মতো স্পষ্ট যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে জাতীয় সংসদের সম্মানিত সদস্যগণ সভাপতি হিসেবে নিয়োগ/মনোনয়ন সংবিধানের মূল উদ্দেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সর্বজনশ্রদ্ধেয় সংসদ সদস্যদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে সার্বক্ষণিক নিবেদিত থাকতে হয়। এ ছাড়া গভর্নিং বডির সভাপতির পদ সংসদ সদস্যদের মহান পদের সঙ্গে একেবারেই বিপরীত। সংসদ সদস্যগণ তার নির্বাচিত এলাকাসহ সমস্ত দেশের উন্নয়নে নিবেদিত, অপর দিকে গভর্নিং বডির সভাপতি শুধু ওই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিবেদিত।’
    রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর তথ্যমতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ সালের ১৬ জুন এক আদেশে স্থানীয় সাংসদ এস এম জগলুল হায়দারকে শ্যামনগর উপজেলার আতরজান মহিলা কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এস এম আফজালুল হক ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে সভাপতির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেন। রুলে সাংসদকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে মনোনয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গেল ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইলিন ইমন সাহা ও মাহফুজুর রহমান লিখন।
    পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, প্রত্যেক সাংসদ তাঁর এলাকার কার্যত নির্বাচিত অভিভাবক, তিনি তাঁর এলাকার অভিভাবক হিসেবে সব গভর্নিং বডিরও অভিভাবক। তিনি কখনোই গভর্নিং বডির সভাপতির পদ পাওয়ার চেষ্টা করবেন না। একজন সাংসদকে দেশের সব মানুষের কল্যাণের জন্য যেমনিভাবে ভালো ভালো আইন প্রণয়ন করতে হয়, তেমনিভাবে তাঁর এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যও সার্বক্ষণিকভাবে নিজেকে নিয়োজিত রেখে দায়িত্ব পালন করতে হয়। একজন সাংসদকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হয়। অন্যদিকে গভর্নিং বডির সভাপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পদমর্যাদা সাংসদের নিচের পদমর্যাদার।
    রায়ে আদালত বলেছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচিত সাংসদ যদি গভর্নিং বডির সভাপতি হন, তাহলে কার্যত ওই গভর্নিং বডি একটি একক ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে বাধ্য। কারণ, নির্বাচিত সাংসদের ওপর কথা বলার সাহস গভর্নিং বডির কোনো সদস্যের থাকে না, এটাই বাস্তব সত্য।
    রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির বৃহস্পতিবার বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি আজ হাতে পেয়েছেন। রায়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদকে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গর্ভনিং বডির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া চিঠি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফাজিল, কামিল মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে সাংসদের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ বা মনোনয়ন সংবিধানের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলা হয়েছে। ফলে সাংসদেরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফাজিল, কামিল মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবেন না।

  • করোনার ‘জাল সনদ’, লন্ডন যেতে পারলেন না শাজাহান খানের মেয়ে

    করোনার ‘জাল সনদ’, লন্ডন যেতে পারলেন না শাজাহান খানের মেয়ে

    ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনার ‘জাল সনদ’র কারণে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানকে ফিরিয়ে দেয়া হলো বিমানবন্দর থেকে।

    রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাল সনদের নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে অনলাইন চেকে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।

    বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রোববার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০০১ ফ্লাইটে লন্ডন যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান ঐশী। ইমিগ্রেশনে তার সঙ্গে থাকা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট চেক করেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা। ইমিগ্রেশন পুলিশ ওই সার্টিফিকেট অনলাইনে চেক করলে সেটি পজেটিভ দেখায়। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

    এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় বিমানের লন্ডন ফ্লাইটে একজন যাত্রীকে যেতে দেয়া হয়নি।

    তবে তার পরিচয় প্রকাশ করেননি তাহেরা খন্দকার। তিনি একজন সাবেক মন্ত্রীর মেয়ে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পরিচয় কী, সেটা আমরা জানি না। তিনি বিমানের যাত্রী ছিলেন, ইমিগ্রেশনে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে গেছেন, কিন্তু অনলাইনে চেক করলে সেটা পজিটিভ আসে। সেজন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে লন্ডন যেতে দেয়নি।

    শিডিউল ফ্লাইটটি রোববার দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তবে এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসানের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০০১ ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল। ঐশী ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। তিনি ভিআইপি কাউন্টার দিয়ে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় তার করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে কোনো একটা ঝামেলা হয়েছিল। আমাদের ইমিগ্রেশন পুলিশ থেকে জানানো হলো যে, একজন যাত্রী করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আইইডিসিআরের সার্ভারে তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ। আমরা তাকে নিয়ে দ্রুত হেলথ ডেস্কে পাঠাতে বলি।

    তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর ঐশী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেস্কে আসেন। আমরা তার হাতে একটি করোনা ‘পজিটিভ’ সার্টিফিকেট দেখতে পাই। তার সার্টিফিকেট সার্ভারে সার্চ দিয়ে দেখতে পাই, তিনি সত্যিই করোনা পজিটিভ। এরপর অধিদপ্তর থেকে তাকে আর প্লেনে ওঠার অনুমতি দেয়া হয়নি।

    বিমানবন্দরে সকালে দায়িত্বপালনকারী এয়ারপোর্ট এপিবিএনের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদেশে যাওয়ার জন্য করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট না থাকায় ঐশী নামের এক যাত্রীকে লন্ডনে যেতে দেয়া হয়নি।

  • দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জন :  মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৭৪ জন

    দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জন : মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৭৪ জন

    মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের দেশে গত ২৪ ঘণ্টায়ও নতুন করে আরও ২ হাজার ৫২০ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। এইসময়ে মধ্যে সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    ফলে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জন হয়েছে এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

    গত ২৪ ঘণ্টায় মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ ও এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।

    ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৯ জন এবং নারী ৯ জন। এ পর্যন্ত যারা কোভিড আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ২ হাজার ২৬৬ জন, ৭৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী ৬০৮, ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ।

    শনিবার (২৫ জুলাই) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত বুলেটিনে সংযুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    ডা. সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯ হাজার ৬১৫টি। পরীক্ষা হয়েছে পূর্বের নমুনাসহ ১০ হাজার ৪৪৬টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৪৮০টি নমুনা।’

    কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৯০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

    তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৯ জন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সী ১ জন রয়েছেন।’

    এ পর্যন্ত বয়সভিত্তিক মৃত্যু শূণ্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, দশমিক ৬৩ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ১ দশমিক ০৪ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮২ জন, ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরে ১৯৪ জন, ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরে ৪০৭ জন, ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরে ৮৩৭ জন, ২৯ দশমিক ১২ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ১ হাজার ৩০৬ জন, ৪৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

    ডা. সুলতানা বলেন, যে ৩৮ জন গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৮ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন, বাড়িতে ৩ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে ১ জনকে।’

    এ পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৩৮৯, ৪৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ; চট্টগ্রামে ৭৭১ জন, ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ; রাজশাহী ১৬৭ জন, ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ; খুলনা ১৯৮ জন, ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ; বরিশাল ১০৯ জন, ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ; সিলেটে ১৩৪ জন, ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ; রংপুরে ১০৫ জন, ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬১ জন, ২ দশমিক ১২ শতাংশ।

    তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৪৯ জন, ছাড় পেয়েছেন ৪১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে গেছেন ৪৬ হাজার ৫৫৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৫৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২০২ জন।

    ডা. সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭০৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ২৩ হাজার ৪৬১ জন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৪ হাজার ১১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৯ হাজার ৪৫০ জন।

  • নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন জাহানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন জাহানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    ন্যাশনাল ডেস্ক: নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন জাহানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    শনিবার (২৫ জুলাই) ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলামের আদালত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের করা এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    এর আগে শনিবার সকালে ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে শারমিনকে আদালতে পাঠানো হয় বলে ডিবির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক।

    গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে শারমিন জাহানকে গ্রেফতার করে ডিবি রমনা বিভাগ।

    রাতেই গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিসি আজিমুল হক জানান, শারমিন জাহানকে গ্রেফতারের পর শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    ডিবি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানায় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মাস্ক জালিয়াতির ঘটনায় বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।

    মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোনও কোনও ফেইস মাস্কের বন্ধনী ছিঁড়ে গেছে, কোনো মাস্কের ছাপানো ইংরেজিতে লেখা ‘ত্রুটিপূর্ণ’ পাওয়া গেছে। এ ধরনের ত্রুটিতে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে, মাস্ক নিম্নমানের ছিল। এর ফলে কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারতো।

    ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশ শুক্রবার রাতে শারমিনকে শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। করোনা মহামারিতে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিএসএমএমইউয়ের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নকল এন-৯৫ মাস্ক দিয়েছে অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

    এর আগে মাস্ক জালিয়াতির ঘটনায় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করে জবাব দেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহান।

    অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, নকল মাস্ক সরবরাহ করার কোনো ইচ্ছে তাদের ছিল না। তাদের কাছে যেভাবে প্যাকেটজাত অবস্থায় মাস্কগুলো এসেছে, সেভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তারা সেসব মাস্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানায়।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন-১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত শারমিনের মালিকানাধীন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল গত ২৭ জুন ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ পায়।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর শারমিন ২০০২ সালে ছাত্রলীগের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটিতে কোনো পদ না পেলেও দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

    শারমিন ২০১৬ সালের ৩০ জুন স্কলারশিপ নিয়ে চীনের উহানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে উহানে লকডাউন শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তার শিক্ষা ছুটির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যে চীনে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের মার্চে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল নামে মাস্ক সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

    গ্রেফতার হওয়ার আগে নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগের বিষয়ে শারমিন জাহান বলেন, ‘আমরা নকল মাস্ক সরবরাহ করিনি। এসব প্রোডাক্ট চীন থেকে ইম্পোর্টেড। এগুলোতো আমরা তৈরি করিনি। আমরা শুধু সাপ্লাই দিচ্ছি। প্রডাক্ট খারাপ হলে, বিএসএমএমইউ প্রথমবারই আমাদের বলতে পারত। আমরা সেটা যাচাই করে দেখতে পারতাম।’

  • হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় : তাহেরের মৃত্যুদন্ড ঠান্ডা মাথায় খুন

    হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় : তাহেরের মৃত্যুদন্ড ঠান্ডা মাথায় খুন

    ১৯৭৬ সালে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল এম এ তাহের ও তাঁর সঙ্গীদের গোপন বিচার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। এতে তাহেরের মৃত্যুদন্ডকে ঠান্ডা মাথার খুন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।রায়ে বলা হয়, কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদ- হত্যাকা-। কারণ, ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদ- প্রদানে মনস্থির করেন। ওই হত্যাকা-কে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হিসেবে চিত্রিত করতে সরকারের প্রত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু জেনারেল জিয়া জীবিত নেই, আইন অনুযায়ী তাঁর বিচার সম্ভব নয়। তাই দ-বিধি অনুযায়ী তাঁর বিচার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এ হত্যার জন্য দায়ী কেউ জীবিত থাকলে সরকারের উচিত হবে তাঁদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা।১৯৭৬ সালে সামরিক আইন আদেশের মাধ্যমে সামরিক ট্রাইব্যুনাল গঠন, ট্রাইব্যুনালে তাহেরসহ অপরাপর ব্যক্তিদের গোপন বিচার এবং তাঁদের দেওয়া সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চারটি রিটের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২২ মার্চ বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। ১৯৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের মূল অংশ সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।২০১০ সালের ২৩ আগস্ট কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের, ভাই ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খান বীর বিক্রমের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ ও অপর ভাই আনোয়ার হোসেন, হাসানুল হক ইনু (সাবেক তথ্যমন্ত্রী), মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন ও মো. আবদুল মজিদ পৃথক রিট করেন।
    রায়ের অংশবিশেষ: রায়ে কর্নেল তাহেরকে জাতীয় বীর ও দেশের গৌরব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে আবু তাহের, আবু ইউসুফ খান, আনোয়ার হোসেন, হাসানুল হক ইনু, রবিউল আলম, জিয়াউদ্দিন, শামসুল হক, আবদুল হাই মজুমদার ও মো. আবদুল মজিদকে দেওয়া শাস্তিও অবৈধ বলা হয়। তাঁদের নাম ওই তালিকা থেকে মুছে দিতে বলা হয়েছে। জিয়াউদ্দিন, শামসুল হক, আবদুল হাই মজুমদার ও মো. আবদুল মজিদকে সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা অবৈধ ঘোষণা করে চাকরিতে পূর্ণ মেয়াদে বহাল ছিলেন ধরে নিয়ে তাঁদের বেতন-ভাতা ও অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। অনুলিপি পাওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করতেও বলা হয়।
    বিধান নেই, তবু দ-: রায়ে বলা হয়, এটা পরিষ্কার যে সামরিক আদালতে বিচার হয়েছে, সেই আদালতের বিচার করার এখতিয়ার ছিল না। ওই আদালতের মৃত্যুদ- দেওয়ার এখতিয়ার ছিল না। সর্বোচ্চ ১০ বছর শাস্তি দিতে পারতেন। যে আইনে তাহেরকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয় তখন সে আইনে মৃত্যুদ-ের কোনো বিধান ছিল না। তাহেরের ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর ১৯৭৬ সালের ৩১ জুলাই বিধান করা হয়। বিচারের সময় আদালতের সামনে এজাহার বা অভিযোগপত্রও ছিল না। আসামিরা জানতেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ। তাঁদের পক্ষে বক্তব্য দিতে কোনো আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই ওই বিচার কার্যক্রম ছিল অবৈধ। এ কারণে ওই বিচার-সংক্রান্ত সব নথিপত্র ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
    মওদুদের বই সম্পর্কে: মওদুদ আহমদের ‘ডেমোক্রেসি অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ অব ডেভেলপমেন্ট: এ স্টাডি অব পলিটিক্যাল অ্যান্ড মিলিটারি ইন্টারভেনশন ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রায়ে বলা হয়, এই বিচারের ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তান-ফেরত সামরিক অফিসারদের তুষ্ট করতে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দিতে মনস্থির করেছিলেন। জেনারেল জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন মওদুদ আহমদ। তিনি জেনারেল জিয়াউর রহমানের মুখ থেকে এই কথাগুলো শুনেছেন বলে বইয়ে দাবি করেছেন। তাই তাঁকে অবিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। রায়ে বলা হয়, এই মামলার শুনানির একপর্যায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আদালতকক্ষে প্রবেশ করলে আদালত তাঁর লেখা বই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাঁর লেখাকে স্বীকার করে নেন।

    তাহেরসহ ১৭ জনকে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালের গোপন বিচারে ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সাজা দেওয়া হয়। এরপর ২১ জুলাই ভোররাতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।

    সুত্র: প্রথম আলো

  • আজ কর্নেল তাহের  দিবস

    আজ কর্নেল তাহের দিবস

    আজ ইতিহাসের কালো দিন। কর্নেল তাহের হত্যা দিবস। জাতীয় বীর, সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম কর্নেল আবু তাহের কে পাকিস্তান ফেরত অফিসারদের তুষ্ট করতে আগে থেকেই নির্দ্ধারিত মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়। পৃথিবীর সকল মূল্যবোধ কে বির্সজন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ^াস ঘাতক জিয়া সাজানো আদালতে ১৭ জুলাই ফাসির রায় ঘোষনা দিয়ে ২১ জুলাই রায় কার্যকর করেন। পৃথিবীর কোন সমর নায়ক জিয়ায়মত এত হিং¯্র কাজ করেছে কিনা সেটি ইতিহাস সাক্ষ্য যে, রায় ঘোষনার ৩ দিন পরেই কার্যকর করার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন । মামলার প্রধান বাদী রায় শুনে মন্তব্য করেন ‘‘ ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই প্রহসন মূলক মামলায় তাহেরের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়।কর্নেল তাহেরের বিরুদ্ধে প্রহসনমুলক মামলার প্রধান অভিযোগকারী কর্মকর্তা বা প্রসিকিউটার ছিলেন এ টি এম আফজাল। তিনি তাহেরের মৃত্যুদন্ডের রায় শুনে নিজেই সবচেয়ে বেশী অবাক হন। তিনি একজন প্রসেকিউটর হিসাবে কখনও মৃত্যুদন্ড দাবী করেন নি। তার মতে এ রকম একটা সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অবাস্তব। কারণ তাহেরকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় তার জন্য তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া সম্ভব ছিল না- দেশে সে ধরনের কোন আইনই ছিল না। তাহেরের ফাঁসির আদেশ কার্যকরের দশদিন দিন পর আইন মন্ত্রণালয় আইনের ২০ তম সংশোধনী ধারা জারী করে এই আইনগত অসংগতি দুর করে।’ যা থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত তথাকথিত বিচারের নামে এক ঐতিহাসিক অবিচারের মাধ্যমে বিপ্লবী কর্নেল তাহেরকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে।
    এ মামলা প্রসংগে পরবর্তিতে ঘোষিত রায়ে আদালত বলেন. ‘কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদন্ড ঠান্ডা মাথায় খুন’। আদালত রায়ে উল্লেখ করে, ‘ এ মামলার সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য দিক হচ্ছে আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংবাদিক মি. লরেন্স লিফসুলৎজের সাক্ষ্য ও বিএনপি নেতা ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদেও লিখিত বইয়ে এ বিচার (সামরিক আদালতের বিচার) নিয়ে লেখা বিবেচনায় আনা। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তার ‘ডেমোক্র্যাসি এন্ড চ্যালেঞ্জ অব ডেভেলপসেন্ট: এ স্টাডি অব পলিটিক্যাল এন্ড মিলিটারী ইন্টারভেশন ইন বাংলাদেশ’ বইয়ে অত্যান্ত প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যক্ত করেছেন, এই বিচারের ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তান ফেরত সামরিক অফিসারদেও তুষ্ট করার জন্য কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়ার মনোস্থিও করেছিলেন। জেনারেল মজ্ঞুরের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সাংবাদিক লিফসুলৎজ একই বক্তব্য তার সাক্ষ্যে প্রতিধ্বনিত করেন। ’ রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ জেনারেল জিয়ার অতিঘনিষ্টজন ছিলেন। এই মাসলার শুনানীর এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। পওে আদালত তার লেখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি স্বীকার করেন যে, এই বক্তব্য তিনি সরাসরি জেনারেল জিয়ার মুখ থেকে শুনেছেন।’ এছাড়া তৎকালিন ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. এম এম শওকত আলীর এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসানের লিখিত দাবীসহ উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবীদেও মতামতের ভিত্তিতে আদালত এই সিন্ধান্তে এসেছে যে, কর্নেল তাহের বীর উত্তমের মৃত্যুর মূল আসামি জেনারেল জিয়াউর রহমান।’
    জাতী আজ তার শেষ্ঠ সন্তানকে জাতীয় বীরের মর্যাদায়ে আসিন করে যথাযত সম্মানের মাধ্যমে স্মরন করছে। আর আদালতের রায়ে হত্যাকারী জেনারেল জিয়া একজন ঠান্ডা মাথার খুনি হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত ।

  • আগামীকাল ১৬ জুলাই জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদকবীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চুর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী

    আগামীকাল ১৬ জুলাই জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদকবীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চুর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আগামীকাল ১৬ জুলাই জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চুর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াত নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির উদ্যোগে আগামীকাল ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে প্রয়াত নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি পালন করা হবে। এবার করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত আকারে পালন করা হচ্ছে।

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চুকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চু ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক ও প্রকৃত সমাজতান্ত্রিক নেতা। তিনি সমাজতন্ত্রকে শুধু মঞ্চের বক্তৃতার কথা হিসাবে না নিয়ে জীবনদর্শন হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। তার জীবনযাপন-সংস্কৃতিতে সমাজতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক আদর্শ ও নৈতিকতা বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত সম্পদ ও সম্পত্তি অর্জণের কোনো চেষ্টা করেননি। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীন দেশে প্রথম বিরোধী দল জাসদ গঠন-সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী আন্দোলন-গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ বিরোধী প্রগতিশীল আন্দোলন-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলন-১৪ দল গঠনসহ জাতীয় রাজনীতিকে প্রগতিশীল ধারায় পরিচালিত করতে অগ্রণী ও সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চুর সংগ্রামী আদর্শবাদী জীবন জাসদের নেতা-কর্মীদের চলার পথে প্রেরণার উৎস।

    তারা কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির কর্মসূচির অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দলের সকল জেলা ও উপজেলা কমিটিকে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রয়াত নেতা সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহবান জানান।

  • রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ যাতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য চলছে চিরুনি অভিযান

    রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ যাতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য চলছে চিরুনি অভিযান

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনার টেস্ট রিপোর্ট জালিয়াতিসহ একাধিক অপকর্মের হোতা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাতক্ষীরার সাহেদ করিমকে ধরতে পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য চলছে চিরুনি অভিযান। জেলা পুলিশ সীমান্তে যাওয়ার পথে বিভিন্ন গাড়ী তল্লাশী চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির পক্ষে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যা¤প কমান্ডার সিনিয়র এএসপি বজলুর রহমান। সন্দেহজনক মাইক্রো-প্রাইভেট তল্লাশী করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা শহরস্থ কামালনগরের একটি ফ্লাটে গতরাতে অভিযান চালানো হয়েছে। যেখানে সাহেদ করিম সাতক্ষীরায় অবস্থানকালে থাকতো। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ঢাকা যুগ্ম জজ ১ম আদালতের সিআর ১৪৮৮ নং মামলার সাজা প্রাপ্ত হওয়ার তার ওয়ারেন্ট পেন্ডিং রয়েছে ।

  • ডিপিএড প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে নেপ

    ন্যাশনাল ডেস্ক:

    নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মরত ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন ডিপিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউ (পিটিআই) গুলোতে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরুর পদক্ষেপ নিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ডিপিএড প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের জেলাওয়ারি তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

    নেপের ডিপিএড বোর্ড থেকে এসব শিক্ষককে তথ্য চেয়ে চিঠি সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

    জানা গেছে, আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ডিপিএড প্রশিক্ষণবিহীন এইচএসসি বা তদুর্ধ্ব শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের জেলাওয়ারী  সংখ্যা মন্তব্যসহ ডিপিএড বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। তবে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে পিটিআইগুলোতে প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের তথ্য বাদ দিয়ে প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের সংখ্যা পাঠাতে বলা হয়েছে। গত ১২ জুলাই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ডিপিএওড বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আলী।

  • করোনা : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ৪ ভাগের ১ ভাগই পজিটিভ

    করোনা : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ৪ ভাগের ১ ভাগই পজিটিভ

    ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৯৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট ২ হাজার ৩৯১ জনের মৃত্যু হলো। আর বাংলাদেশে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হলেন এক লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন।

    দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদে মধ্যে পুরুষ ৩০ জন আর নারী ৯ জন। আর এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮৯০ জন আর নারী ৫০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ এখন প্রতি চারজনের পরীক্ষায় একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। নাসিমা সুলতানা জানান, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৪২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে নয় লক্ষ ৫২ হাজার ৯৪৭টি। তিনি বলেন, এই সময়ে ৪ হাজার ৭০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৯৮ হাজার ৩১৭ জন সুস্থ হয়েছেন।

    শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ।

  • পাটশিল্পকে গলাটিপে মেরে সৎকারের পথ থেকে সরে আসুন: জাসদ


    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দেয়া এবং পিপিপির অধীনে পরিচালনার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে নিজ হাতে গলা টিপে পাটশিল্পকে মেরে ফেলা ও সৎকারের আয়োজন থেকে ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান। তারা বলেন, পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করার দায় শ্রমিকের না বরং যখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমুলকভাবে পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করা হয়েছে। পাটশিল্পের আধুনিকায়ন ও বহুমুখীকরণ না করে, পাট কেনায় যথাসময়ে টাকা বরাদ্দ না দিয়ে, পাটকেনায় দুর্নীতি ও চুরি বন্ধ না করে, কারখানাগুলি পরিচলনে দুর্নীতি ও চুরি বন্ধ না করে পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করা হয়েছে। তারা বলেন, পাটশিল্পের লোকসানকে অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হিসাবে চিন্থিত করা হয়েছে। গত ৪৪ বছরে পাটশিল্পে পুঞ্জিভূত লোকসান ১০হাজার ৫০০ কোটি টাকাসহ ব্যাংক ঋণের পরিমান ৫০ হাজার কোট টাকা। কিন্ত বিমান বা বিদ্যুতের কুইক রেন্টালসহ বড় লোকসানি খাতে প্রতি বছর অর্থাৎ এক বছরে যে পরিমান লোকসান বা অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা পাটশিল্পের ৫০ বছরের পুঞ্জিভূত লোকসানের চাইতেও বেশি। ২৫ টি কারখানা মানে শুধুমাত্র ২৫হাজার শ্রমিকই পাটশিল্প মানে বিশাল পাট অর্থনীতি। এককোটি পাটচাষী থেকে শুরু করে চট উৎপাদনের মাঝখানে, অগ্র ও পশ্চাতে আরও এককোটি মানুষ পাটকেন্দ্রিক অর্থনীতি-জীবন-জীবিকার সাথে যুক্ত।
    তারা বলেন, আদমজী বন্ধ হবার পর সেখানে আধুনিক পাটকারখানা গড়ে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি, আদমজীর জমি শিল্পপ্লট করে আরে কারখানার সবকিছু স্ক্র্যাপ করে জমি আর স্ক্র্যাপের হরিলুট হয়েছে। তারা বলেন, সরকারের পিপিপির অধীনে পাটকলগুলি চালু করার সদিচ্ছাও আদমজীর মত হরিলুটের খেলায় হারিয়ে যাবে। তারা পাটকলগুলি বন্ধ করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রতিটি পাটকারখানাকে একটি এন্টারপ্রাইজ হিসাবে পরিচালনার করার জন্য সরকার ও শ্রমিকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নতুন ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করার দাবি জানান। তারা বলেন, ২৫টি পাটকল বন্ধের জন্য যে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তা থেকে মাত্র ১২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ২৫টি পাটকল আধুনিকায়ন করে ২৫ হাজার শ্রমিককে মাসে ২৫ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। তারা বলেন প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে যখন পাটের জেনম আবিস্কৃত হয়েছে, পাটের পুনর্জাগরণের প্রচেষ্টা চলছে তখন পাটকল বন্ধ করে দেয়া এবং পাট অর্থনীতিকে পরিত্যক্ত করার আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।