Category: জাতীয়

  • আজ কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী

    আজ কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ মহীয়সী নারী কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী কাল। ‘জননী সাহসিকা’ হিসেবে খ্যাত এই কবি ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।
    সুফিয়া কামাল আজীবন মুক্তবুদ্ধির চর্চার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন এবং সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মারা যান।
    কবির জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে ‘সুফিয়া কামাল ও তরুণ প্রজন্ম’ বিষয়ক স্মারক বক্তৃতা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান আগামীকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলা একাডেমীর আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। স্মারক বক্তৃতা প্রদান করবেন আজকের পত্রিকার ডেপুটি এডিটর জাহীদ রেজা নূর।
    চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনকে এবছর সুফিয়া কামাল সম্মাননা প্রদান করা হবে।
    বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সুফিয়া কামালের ছিল আপোষহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আন্দোলনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।
    পাকিস্তান সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে তার প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন এবং তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।
    সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলি এবং একাত্তরের ডায়েরি তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ। সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উলে¬খযোগ্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক।

  • তিস্তায় পানি বেড়েছে, বন্যার শঙ্কা

    ন্যাশনাল ডেস্ক : শনিবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার কাছাকাছি- সমকাল

    দেশের উত্তরাঞ্চলে তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। উজানে বর্ষণ ও নেমে আসা ঢলে নদীর পানি তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় বিপৎসীমা (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ছুঁই ছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, তিস্তার উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গত পাঁচদিনে নদীর পানি সমতল পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টের পানি ৫২ দশমিক ২ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল।

    ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ বর্ষাকালে নদীর পানি বাড়া-কমার মধ্যে থাকবে উল্লেখ করে তিনি জানান, পানি বাড়লে তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সবসময় প্রস্তুত।

    এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার নদীপারের মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গঙ্গাচড়ার লক্ষিটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ‘তিস্তার পানি বেড়েছে বলে খবর পেয়েছি। সব এলাকায় সবসময় খোঁজ-খবর রাখাসহ আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’

    রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব সমকালকে বলেন, ‘শনিবার সকালে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় নদীর পানিপ্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার। যদিও পরে কমতে শুরু করেছে। এ সময়ে নদীর পানি বাড়বে-কমবে এটাই স্বাভাবিক।’

  • স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে আগে শিক্ষকদের স্মার্ট হতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে আগে শিক্ষকদের স্মার্ট হতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    শনিবার সকালে চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী- সমকাল

    শনিবার সকালে চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী- সমকাল

    স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের স্মার্ট হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল হাতিয়ার। আর শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর।’

    শনিবার সকালে চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত চাঁদপুরের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ-আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ এই চারটা হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ। এগুলো না হলে স্মার্ট নাগরিক হওয়া যাবে না, স্মার্ট অর্থনীতি হবে না, স্মার্ট সমাজ হবে না, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করা যাবে না।’

    তিনি বলেন, ‘যিনি সৎ, তিনি স্মার্ট। যিনি অসাম্প্রদায়িক, তিনি অবশ্যই স্মার্ট। সহমর্মী যিনি তিনি স্মার্ট, যিনি কর্মদক্ষ তিনি স্মার্ট। তাই দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষই হবে আমাদের স্মার্ট নাগরিক। তাই এই স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের স্মার্ট হতে হবে।’

    শিক্ষামন্ত্ররী বলেন, ‘মুখস্থ বিদ্যায় আর শিক্ষার্থীদের রাখতে চাইছি না। বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরাও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে আরও জোর দেব।’ তিনি বলেন, ‘৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য সুপার কিডস একটা প্রোগ্রাম রেখেছি। যেখানে কোডিং, ডিজাইনিং ও রোবোটিকস রয়েছে। আপনারা শিক্ষকরা এগিয়ে আসবেন, শেখাবেন। আপনারা যারা আইসিটি শিক্ষক আছেন, তারা এগুলো শেখাবেন। যারা আইসিটি ট্রেনিং পাননি তাদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’

    কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. জামাল নাছেরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্যরাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার প্রমুখ।

  • শেখ হাসিনার মমতা দেখে অভিভূত বিমানের যাত্রীরা 

    শেখ হাসিনার মমতা দেখে অভিভূত বিমানের যাত্রীরা 

    ন্যাশনাল ডেস্ক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যার মহান হৃদয় ও মমতার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করলেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছিলেন।
    সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফেরার পথে ফ্লাইটের যাত্রীরা বিস্মিত ও আনন্দিত হয়ে ওঠেন, যখন তারা দেখলেন যে, শেখ হাসিনা নিজেই তাদের সাথে দেখা করছেন। তিনি একের পর এক তাদের আসনে আসছেন ও বিমানের আরোহী সকলের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।
    শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে পরিপূর্ণ যাত্রীদের সাথে কথা বলেন। 
    প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্লাইটে তাদের আসনের পাশে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে অনেকেই বিস্মিত ও অবাক হয়েছেন।’
    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনার সাথে ছবি তুলতে চাইলে তিনি অনেক যাত্রীর অনুরোধ মেনে নেন।
    তিনি বাচ্চাদের সাথেও খুব স্নেহের সাথে কথা বলেন ও তাদের সাথে কিছুক্ষণ মজার গল্প করেন এবং কয়েকটি শিশুকে কোলে তুলে নেন। 
    এ সময় কয়েকজন যাত্রী গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের অপ্রত্যাশিত উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
    প্রধানমন্ত্রী ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’- এ যোগদান শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন।
    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট গতরাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

  • আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

    আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
    তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ তাদের ভোট দেবে, জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে, আর যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে। এটা গণতান্ত্রিক ধারা এবং তা অব্যাহত থাকবে।’
    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেনেভায় হিলটন হোটেলে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
    ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এটা ভাল করেই জানে যে তাদের খারাপ কর্মকা-ের জন্য তারা জনগণের কোন ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে।
    তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।’
    তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে তারা দেশের সম্পদ বিক্রি করার পূর্ব শর্ত মেনে নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিল।
    তিনি আরো বলেন, ‘সুতরাং জনগণ তাদের (বিএনপি) আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না এবং সে কারণেই তারা জনগণের ভোট পায় না।
    আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এতটা দুর্বল নয়। তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর নিয়ে হৈচৈ ছিল, তারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করবে, আমরা এম দুর্বল পর্যায়ে নেই যে তারা আমাদের পতন ঘটাবে, আমাদের সাথে জনগণ আছে, আমাদের শক্তি আমাদের জনগণ।’
    নির্বাচনকালীন তত্ত্ববাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি, কিন্তু বিএনপি এখনো তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।
    বিএনপি কি পাগল নাকি শিশু হয়ে গেল প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন, পাগল বা শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।
    তিনি আরো বলেন, চোরদের, স্বাধীনতা বিরোধীদের ও খুনিদের ক্ষমতায় এনে এনে আমরা বাংলাদেশকে অন্যের কাছে মাথা নত হতে দেব না।
    বিএনপি এখন নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে, নোংরা কৌশল অবলম্বন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা দিবালোকে মানুষ হত্যা করেছে, যারা লুটপাট করেছে, দুর্নীতি করেছে, দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়েছে, এটাই এখন মূল ইস্যু যে তারা দন্ডিত ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে কি না।”
    গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা আমাদের আন্দোলনের ফসল। এ জন্য আমার দলের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন। আর আমি গ্রেনেড হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছি।”
    গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার সুফল তুলে ধরে তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ বদলেছে, আজ দেশ উন্নত হয়েছে, আজ বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে।
    “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ যে মর্যাদা পেয়েছে তা নিয়েই এগিয়ে যাবে। “আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলব।”
    বাংলাদেশের যেকোনো সংকটে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখে।
    তিনি প্রবাসীদেরকে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ মাধ্যমে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানান।
    তিনি বিদেশে যেতে আগ্রহীদের দালালদের সম্পর্কে সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং নিবন্ধনের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে বিদেশে যাওয়ার আহ্বান জানান।
    এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ।
    অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯ জন

    গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯ জন

    ডেস্ক রিপোর্ট : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৯ জন। এদের ২৫ জন ভর্তি হয়েছে ঢাকায় এবং ১৪ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে।
    আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯৬২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৭৭৯ এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছে ১৮৩ জন রোগী।
    এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৪ হাজার ১২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ১৭৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯৫৩ জন। এদিকে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ২৯ জন মারা গেছেন।
    অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৩৫ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৩৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৭৬৫ জন।

  • কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদার চেয়ে ২১ লাখ ৪১ হাজার পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

    কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদার চেয়ে ২১ লাখ ৪১ হাজার পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক : দেশে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এ বছর সম্ভাব্য চাহিদার চেয়ে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। 
    তিনি বলেন, দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোনভাবেই বাইরের প্রাণীর উপর নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই।
    আজ বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহণ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
    মন্ত্রী জানান, এ বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি যা গতবছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি। এর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু। ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে।
    তিনি আরও জানান, এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। সে হিসেবে এ বছর ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
    মন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে দেশে পশু আসলে আমাদের অর্থ দেশের বাইরে অবৈধভাবে চলে যায়। এছাড়াও দেশের খামারে যারা পশু উৎপাদন করছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়গুলো কঠোরভাবে দেখার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
    তিনি আরও বলেন, কোরবানির হাটে এ বছর কোনভাবেই রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ পশু বিক্রি করতে দেয়া হবে না। এ লক্ষ্যে গত বছরের ন্যায় এবারও সারাদেশে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
    তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও রেলে কোরবানির গবাদিপশু পরিবহন করা হবে। এক্ষেত্রে রেল বিশেষ সুযোগ দেবে। খামারিরা যাতে পছন্দ অনুযায়ী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারে এবং জোর করে কেউ পথে পশু নামাতে না পারে সেজন্য খামারিরা চাইলে ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে পারবে।
    মন্ত্রী বলেন, কেউ খামারে পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা যাবেনা। কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলেও তাকে হাসিল দিতে হবে না। হাটে আনার পথে কেউ পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারাদার জোর করে চাঁদা বা হাসিল আদায় করতে পারবে না।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সে জন্য হাটে আনার পথে, বাড়িতেও পশু বিক্রি করা যাবে। তবে রাস্তায় হাট বসানো যাবে না। এ ছাড়া ডিজিটাল হাটের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করা যাবে।
    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মো. এমদাদুল হক তালুকদার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারগণ এবং জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণ সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

  • ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে পারে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র মন্ত্রী

    ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে পারে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র মন্ত্রী

    ন্যাশনার ডেস্ক : বাংলাদেশ শিগগিরই ব্রিকসের সদস্য পদ লাভ করতে পারে। 
    জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস এর দ্বিপাক্ষিক মিটিং রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাপোশার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতকালে বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ায় শিগগিরই বাংলাদেশের ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
    সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।
    তিনি আরো বলেন, ব্রিকস ব্যাংক সম্প্রতি বাংলাদেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ভবিষ্যতে ব্রিকস বাংলাদেশকে এতে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানাবে।
     মোমেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী আগস্টে তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী এতে যোগ দেবেন।
    ব্রিকসে বর্তমানে পাঁচ সদস্য রয়েছে। এরা হলো ব্রাজিল, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়া।
    ভবিষ্যতে আরো আটটি দেশ সদস্য পদ পাবে। যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়া রয়েছে। 
    পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের অর্থায়নের আরেকটি ক্ষেত্র হবে। এটা আমাদের জন্যে ভালো হবে যেহেতু আমাদের টাকা প্রয়োজন।’
    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশে একটি মিশন খুলতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনুরোধ জানিয়েছেন। 
    এর আগে মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেল্লাও একইস্থানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
     শেখ হাসিনা তাকেও ঢাকায় মিশন খোলার অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি আরএমজি পণ্য ও ঔষধ আমদানি করতে মাল্টার প্রতি অনুরোধ জানান।
    এর পর আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউনবো একই জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
    এ সময়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহসান ই-এলাহী এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল উপস্থিত ছিলেন।

  • জয়পুরহাটে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

    জয়পুরহাটে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ


    ন্যাশনাল ডেস্ক : কৃষি বান্ধব বর্তমানের সরকারের কৃষি উন্নয়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার কৃষকরা। চলতি  ২০২২-২৩ পাট উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। 
    স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসসকে জানায়, জয়পুরহাট জেলায় পাঁচ উপজেলা মিলে এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৪ শ ৯৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার  বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে রয়েছে তোষা জাতের পাট ৩ হাজার ৯৩ হেক্টর ও দেশী জাত রয়েছে ২৫ হেক্টর।  এতে পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন। পাট বীজ বপনের সময় জমিতে পানির প্রয়োজন হয়ে থাকে সেকারণে এবারে অত্যধিক খড়া থাকায় বীজ বপনে বিলম্ব হয়। তাই পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় কৃষি বিভাগ।    
    কৃষি বিভাগ জানায়, সরকারের পাট জাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতা মূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানী হিসেবে পাট কাটিকে ব্যবহার ও পাট চাষে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার  কারণে জেলার কৃষকরা পাট চাষে আগের থেকে বর্তমানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাট চাষ সফল করতে  কৃষি বিভাগ  হাতে- কলমে চাষিদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় সারের মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখাসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করে । ২০২১-২০২২ খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা  ছিল ২ হাজার ৯ শ ৮৫ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৩ হেক্টর বেশি। এরমধ্যে দেশী জাতের পাট রয়েছে ৩০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট রয়েছে ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর।  এতে পাটের  উৎপাদন হয়েছিল  ৩৮ হাজার বেল পাট। গত বছর প্রতিমণ পাট বিক্রি হয় প্রকার ভেদে  ২ হাজার ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ২শ টাকা মণ পর্যন্ত। বাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে পাটের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। সে কারণে দিন দিন জেলায় পাটের চাষ  বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। 
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান, চলতি  ২০২২-২৩ খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে  জেলায় ৩ হাজার ৪ শ ৯৫ হেক্টর  লক্ষ্যমাত্রার  বিপরীতে  ৩ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে  পাট চাষ হয়েছে।  এবার বৃষ্টিপাত একটু দেরিতে হওয়ায় পাট চাষও বিলম্ব হয়েছে ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।  চলতি মৌসুমে  ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

  • পার্লামেন্টের কাছে নতুন রুশ দূতাবাস নির্মান কাজ বন্ধ করে দেবে অস্ট্রেলিয়া

    পার্লামেন্টের কাছে নতুন রুশ দূতাবাস নির্মান কাজ বন্ধ করে দেবে অস্ট্রেলিয়া

    ন্যাশনাল ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে দেশটির পার্লামেন্টের কাছে একটি নতুন রুশ দূতাবাস নির্মাণে বাধা দেবে সরকার ।
    বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে লিজ নেয়া একটি জমিতে রাশিয়া নতুন দূতাবাস ভবন নির্মানের পরিকল্পনা করেছে।
    আলবেনিজ বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শ পাওয়ার পর, জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় এই উন্নয়নকে আটকাতে নতুন আইন করা হবে।
    তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পার্লামেন্ট হাউসের এত কাছে রাশিয়ার নতুন উপস্থিতির ঝুঁকি সম্পর্কে সরকার খুব স্পষ্ট নিরাপত্তা পরামর্শ পেয়েছে।’
    ‘লিজ নেয়া সাইটটি আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক উপস্থিতিতে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দ্রুত কাজ করছি।’
    নতুন আইন, যা দ্বিদলীয় সমর্থন অর্জন করেছে, এটি রাশিয়াকে অস্ট্রেলিয়ায় কূটনৈতিক পদচিহ্ন রাখতে বাধা দেয় না, শুধুমাত্র পার্লামেন্টের এত কাছে তার দূতাবাস তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল জায়গাটিকে পার্লামেন্ট ভবনের ‘সরাসরি সংলগ্ন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
    তিনি বলেন, ‘ক্যানবেরায় প্রস্তাবিত দ্বিতীয় রাশিয়ান দূতাবাসের প্রধান সমস্যা হল এর অবস্থান।’
    ‘সরকার সুস্পষ্ট পরামর্শ পেয়েছে যে, এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে এবং সেই কারণেই সরকার এই দীর্ঘস্থায়ী বিষয়টির অবসান ঘটাতে আজ সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করছে।’
    আলবানিজ বলেছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় রাশিয়ার কূটনীতিকদের কাছ থেকে কিছু ধাক্কা আশা করেছেন, যারা আগে আদালতের মাধ্যমে মামলায় লড়ার হুমকি দিয়েছিল।
    তিনি বলেন, ‘কী প্রতিক্রিয়া হয় আমরা তার জন্য অপেক্ষা করব।’
    ‘আমরা আশা করি না যে রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে কথা বলার অবস্থানে আছে।’
    রাশিয়ার দূতাবাস আগেই ঘোষণা করেছে, অস্ট্রেলিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও তারা নির্মাণ শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
    ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সাথে সাথে অস্ট্রেলিয়া সরকার চুক্তিটি বাতিল করার জন্য চাপাচাপি করছে।
    রাশিয়ার ফেডারেল সরকারের একটি সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল অথরিটির সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে ২০০৮ সালে সাইটটির লিজ অধিগ্রহণ করে।
    এখানে তার নতুন দূতাবাস নির্মাণের জন্য ২০১১ সালে ভবন নির্মানের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
    অন্যান্য আইনি উপায়ে ইজারা বাতিল করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার হস্তক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
    গত বছরের আগস্টে, সরকার ঘোষণা করেছিল যে, এটির ইজারা বাতিল করছে কারণ রাশিয়া তার ভবন অনুমোদনের দিকগুলো ভঙ্গ করেছে।

  • নির্বাচনের ক্ষেত্রে উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

    নির্বাচনের ক্ষেত্রে উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক : আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো বিতর্কিত ‍নির্বাচন কখনও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়নি এবং হবেও না। আমাদের সরকারের সময়ে কোনও নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করতে পেরেছি।
    বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় সফরে সুইজারল্যাণ্ডে অবস্থানকারী প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
    কাজিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতা দখল করতে আসেনি বরং জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছে, যাতে জনগণ তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’
    আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটের ওপর বিশ্বাসী জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময়ই দেশে ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইলের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করছে। জনগণ ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। আমাদের সরকার জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

    জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে যতগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জাতীয় সংসদের শূন্য পদের নির্বাচন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন/উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ যাকে ভোট দিয়েছে সে-ই নির্বাচিত হয়েছে। সরকারের সকল দফতর/বিভাগ এতে সহযোগিতা করেছে। আমরা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যারাই পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা পাঠাতে পারবে।’

    নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে দায়িত্বপালন করতে পারে সে জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, ভীতিহীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

    সংসদ নেতা বলেন, ‘দেশের জনগণ যাতে তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে সে লক্ষ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আমাদের সরকার সদা প্রস্তুত রয়েছে।’

    নির্বাচন কমিশন আইন-২০২২ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে সরকার যা যা আবশ্যক সে সকল বিধি প্রণয়ন করবে বলেও জানান সরকার প্রধান।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে যাবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে যা যা করার সবকিছু করবে।’

    সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত তিন যুগ ধরে সংসদে আমি গণতন্ত্র, আইনের শাসন, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিরলস কাজ করছি। বাংলাদেশের জনগণই আমার শক্তি, প্রেরণা। বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে যেকোনও ত্যাগ স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত আমি।’

    তিনি বলেন, ‘ধারবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার ফলে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।’

    বগুড়া-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের আওতায় ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫ হাজার ৭০১ গবেষককে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এতে তাদের ১১৫ কোটি ৫০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৫০ টাকা দেওয়া হয়।

    সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে আবারও অসন্তোষ প্রকাশ করি এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদা হানিকর কোনও হীন উদ্দেশ্যকে আমি কখনোই প্রশ্রয় দেবো না বলে উল্লেখ করি।’

    তিনি বলেন, ‘বক্তব্যের পর আমি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর বাঁধাই করা একটি চিত্রকর্ম উপহার দেই। বিশ্বব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিল তারা তা বুঝতে পেরেছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো বাংলাদেশের প্রতি তাদের অব্যাহত আস্থা ও সহায়তার পরিচায়ক।’

  • ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটির

    ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটির

    আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কমিটি ঈদুল আজহার ছুটি একদিন বাড়ানোর জন্য এবং ২৮ জুনের পরিবর্তে ২৭ জুন থেকে শুরু করার জন্য মন্ত্রিসভার কাছে সুপারিশ করেছে।
    আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঈদুল আজহার ছুটি আরও একদিন বাড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভার কাছে সুপারিশ করেছি।’
    তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা আমাদের সুপারিশ পাস করলে ২৮ জুনের পরিবর্তে ২৭ জুন ছুটি শুরু হবে এবং এর মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহার ছুটি হবে চার দিন।’
    বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, মহাসড়ক দিয়ে বাড়িমুখী যাত্রীদের অবাধ চলাচলের স্বার্থে ঈদের সময় সরকার রাস্তার পাশে অস্থায়ী পশুর হাট বসতে দেবে না।
    তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় মহানগরী ও আশপাশের অস্থায়ী পশুর হাট নিয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমরা ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা গরুর বাজারের জন্য খালি জায়গা নির্বাচন করবে যাতে নগরবাসী সহজেই তাদের কোরবানির পশু কিনতে পারে।’
    বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
    মন্ত্রী বলেন, মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই, বৈঠকে মাদক ও এর পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
    তিনি বলেন, ‘মাদকাসক্তি নিয়ন্ত্রণে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। মাদকাসক্তির কারণে কিছু পুলিশ সদস্যকে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমাদের সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে।’
    মোজাম্মেল গণমাধ্যমকে মাদক ও এর প্রভাব নিয়ে সংবাদ প্রচার ও নিবন্ধ প্রকাশ এবং আগামী প্রজন্মকে মাদকাসক্তি থেকে বাঁচাতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
    জঙ্গিবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং এটিইউ (অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট) গঠন করেছে। এ লক্ষ্যে দুই বিভাগের সদস্যরা কাজ করছেন।
    রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সিম কার্ড ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায় জড়িত। তারা বেপরোয়া এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যমান আইন তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথেষ্ট নয়।’
    বরিশাল সিটির মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার বিষযে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কমিটি সঠিক তদন্ত করে হামলার বিষয়ে পুলিশকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, ‘হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
    বিদেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার ও গুজব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থান করে টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনেকেই দেশে গুজব ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
    তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন কারণে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, কারণ দেশে তাদের কোনো অফিস নেই।”
    নিবন্ধনবিহীন অনলাইন গণমাধ্যমগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত নিবন্ধন করতে হবে। অন্যথায় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান মোজাম্মেল হক।
    দেশের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি বড় ধরনের কোনো ঘটনা পাওয়া যায়নি।

  • ৪৮ বছর পূর্ণ করলো বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র

    ৪৮ বছর পূর্ণ করলো বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র

    ‘মনসুর আহম্মেদ’

    ন্যাশনাল ডেস্ক :

    ৪৮ বছর পূর্ণ করলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দেশের প্রথম বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।
    রাঙ্গামাটি হতে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দুরে চট্টগ্রাম- রাঙ্গামাটি সড়কে অবস্থিত কেন্দ্রটি। বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটিই দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। ১৯৭০ সালের ৩০ জানুয়ারি এ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। রাঙ্গামাটির কাউখালীর বেতবুনিয়া ভূ- উপগ্রহ কেন্দ্র দেশের টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র।
    কেন্দ্রটির ছিল ৩০ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট বিশাল অ্যান্টেনা। কেন্দ্রটি চালুর পর থেকে ভূ-পৃষ্ঠ হতে ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে অবস্থিত ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইন্টেলসেট উপগ্রহের সাথে কাজ করে।
    মহাশূন্যে অবস্থিত উপগ্রহের সাথে কেন্দ্রের অ্যান্টেনার সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করা হতো।
    ঊর্ধ্বাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে শক্তিশালী অ্যান্টেনা দিয়ে তথ্য আদান-প্রদানের কাজ সম্পাদিত হয়। আন্তর্জাতিক টেলি যোগাযোগের জন্য বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ বিশ্বের ১১ টি দেশের সাথে টেলিফোন ডাটা কমিউনিকেশন, ফ্যাক্স, টেলেক্স ইত্যাদি আদান-প্রদান করে এটি।
    জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে আংশিক এবং ১৯৯৮ সালে জাপানের এনইসি কোম্পানী কর্তৃক ডিজিটাল সিষ্টেমের যন্ত্রপাতি দ্বারা স্টেশণটি সুসজ্জিত করা হয়।
    ২০১৮ সালের ১১ মে উৎক্ষেপণ করা হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ । এরই মধ্যে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ গ্রাউন্ডে স্থপিত হয় দ্বিতীয় গ্রাউন্ড স্টেশন। কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করার পর ২০১৮ সালের ১২ মে বাংলাদেশ এটি থেকে পরীক্ষামূলক সংকেত পেতে শুরু করে।
    এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরী বাসসকে বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়া ভূ- উপগ্রহ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেছিলেন।
    কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নকে থামিয়ে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপি-জামায়াতের দেশ পরিচালনাকালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে অচল করা হয়।
    তিনি বাসসকে আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারো এই বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি প্রাণ ফিরে পায়। বঙ্গবন্ধুর দেখানো স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে এই কেন্দ্রটি আবারো গৌরবের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।
    বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বেতবুনিয়া ভূ- উপগ্রহ কেন্দ্রটি দেখতে এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে বলে জানান তিনি।
    মহাকাশের বুকে লাল সবুজের চিহ্ন নিয়ে ঘুরপাক খাওয়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রন করে বেতবুনিয়ায় গ্রাউন্ড স্টেশন।
    স্যাটেলাইটটি নিয়ন্ত্রণে দেশে স্থাপিত দুটি গ্রাউন্ড স্টেশনের একটি এটি। অন্যটি গাজীপুরে।
    ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের নিয়োগকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। ২০১৬ সালে বেতবুনিয়ায় এই গ্রাউন্ড নির্মাণ করে। বর্তমানে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের নাম বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অন্যতম রূপকার বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে গ্রাউন্ড স্টেশনের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয়েছে।
    ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ থাকা দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত হয় বাংলাদেশের নাম যেই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

  • এএআইবিএস এর ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    এএআইবিএস এর ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটি (এএআইবিএস)– এর ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভা গত ১১ জুন, ২০২৩ তারিখে (রোববার) হাইব্রিড পদ্ধতিতে ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাহী ও সাধারণ পরিষদের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ প্রবাস থেকেও যোগ দেন।
    ব্যারিস্টার মনজুর হাসান ওবিই এর দুই মেয়াদ শেষ হবার কারণে ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ নতুন চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। এজিএম চলাকালীন তাহমিদ সামিকে নতুন নির্বাহী বোর্ডের সদস্য এবং ফাহমিদা ওয়াহাবকে সাধারণ পরিষদ সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এম. নাসেমুল হাই।
    বিদায়ী চেয়ারপারসন মনজুর হাসান ওবিই তার বক্তব্যে নবনির্বাচিত চেয়ারপারসন এবং নির্বাহী ও সাধারণ পরিষদের সদস্যদের স্বাগত জানান। তিনি আস্থা ব্যক্ত করেন যে নবনির্বাচিত সদস্যরা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাকে জোরদার করবেন। তিনি ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় একশনএইড বাংলাদেশ-এর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও যুবদের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টাকে অভিবাদন জানিয়ে রোহিঙ্গাদের উন্নয়নে এবং কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন অসাধারণ কাজের কথা উল্লেখ করেন।
    মনজুর হাসান ওবিই ২০১৭ সালের মে থেকে একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটি- এর বোর্ডের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠন এবং বোর্ডের পরিচালনা জোরদারে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য একশনএইড ব্যবস্থাপনা পর্ষদ, নির্বাহী পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের সদস্যরা তার অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দৃঢ় দৃষ্টি ও প্রত্যয়ের সাহসী এক ব্যাক্তিত্ব বলেও উল্লেখ করা হয় সভায়। তার মেয়াদকালে, তিনি বোর্ড এবং পরিচালনা পর্ষদকে শক্তিশালী করার জন্য অবদান রেখেছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেন বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সবাই।
    এসময় একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটি-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও এক্স-অফিসিও সেক্রেটারি ফারাহ্ কবির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শক্তিশালী পরিচালনা ব্যবস্থা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে নির্বাহী পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের সদস্যদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত সদস্যদের স্বাগত জানান যারা আগামী দিনে প্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্ব প্রদান করবে।
    সাধারণ পরিষদের সদস্যরা বার্ষিক সাধারণ সভা চলাকালীন বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০২২ অনুমোদন করেন। তারা প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০২৩ সালের প্রধান নিরীক্ষকও নিযুক্ত করেন। গত বছরের প্রধান কর্মকান্ড ও অর্জন নিয়েও আলোচনা হয় সভায়। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সভার সমাপ্তি হয়।

  • ‘ভায়েরা আমার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘ভায়েরা আমার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুশো বক্তৃতা সম্বলিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন।
    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকের শুরুতে ‘ভায়েরা আমার’ শিরোনামের বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, ‘ভাইয়েরা আমার (মাই ব্রাদার্স)’ নামটি প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন। এছাড়া তিনি বইটির ভূমিকাও লিখেছেন।
    প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম ভাষণগুলো সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন। জিনিয়াস পাবলিকেশন বইটি প্রকাশ করেছে।
    জাতির পিতার এই ভাষণ সমগ্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সকল ভাষণ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
    বইটির দুশো ভাষণের মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইভস থেকে পাওয়া টেপ/সিডি থেকে একশোরও বেশি ভাষণ সংগ্রহ করা হয়েছে।
    প্রতিটি ভাষণের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়েছে।
    বইটিতে প্রতিটি ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সূচিতে ভাষণের বিষয়বস্তু, সাল ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতির পিতার ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয়, সমগ্র বিশে^ এক অমূল্য সম্পদ।
    বইয়ের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, “নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়াই নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করতে হবে।”
    তিনি আরো উল্লেখ করেন,“জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। এই সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ ও জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক। ”
    বইটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ভাষণসমগ্রটি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও আগামী প্রজন্মের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।

  • চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন

    চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন

    ন্যাশনাল ডেস্ক : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, দেশে এক বছরের ব্যবধানে গম আমদানি ২৪ লাখ টন এবং চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন। আমদানি কম হওয়ায় দামের প্রভাব পড়েছে বাজারে।
    রবিবার (১১ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সপ্তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
    বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এফবিসিসিআই-সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    সিনিয়র সচিব জানান, দেশে চিনির চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি-নির্ভর। এ জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থির রয়েছে।
    তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেই সঙ্গে সঙ্গে দেশে সেই পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয় না। কারণ, আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে ডলারের দাম একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, শুল্কহার, অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যয় মূল্য নির্ধারণে প্রতিফলন ঘটে।
    তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আজ (রবিবার) থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর জন্য আমরা বলেছি। আশা করি, দুই-তিন দিনের মধ্যে নতুন দামে বাজারে তেল পাওয়া যাবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে তেলের দাম আরও কমানো যায় কিনা, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’ আসন্ন ঈদের আগে আরেক দফা দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
    তপন কান্তি ঘোষ জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরপরই বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত বাকি পেঁয়াজ দেশে এলে দাম আরও কমবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘গত এক বছরে চাহিদার বিবেচনায় দেশে চিনি, গম ও আদা ব্যতীত অন্য কোনও পণ্য সরবরাহে ঘাটতি নেই। ঈদুল আজহায় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে। চীন থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে আদার সংকট আছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা ব্যবসায়ীসহ সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।’

  • এশিয়ার ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশের ২ নারী

    এশিয়ার ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশের ২ নারী

    অনলাইন ডেস্ক : গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এশিয়ার ১০০ বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’। তালিকায় দুই বাংলাদেশি নারীর নাম এসেছে। তারা হলেন, গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী ও সেঁজুতি সাহা।
    ‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০’ শিরোনামে রোববার এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। অষ্টমবারের মতো এই তালিকা করা হলো।
    জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে হিমবাহ চক্র এবং কাঠামোগত ভূতত্ত্ব অনুসন্ধান, এমনকি মহাকাশ গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা গবেষক ও উদ্ভাবকদের এবার বেছে নেওয়া হয়েছে।
    গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় (জলভূমি পরিবেশবিদ্যা) বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডটিমের একজন বোর্ড সদস্য তিনি, যেটি বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কাজ করে। গাওসিয়া বাংলাদেশের জলজ বাস্তুতন্ত্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির প্রাণি সংরক্ষণে অবদানের জন্য ২০২২ সালে ওডব্লিওএসডি-এলজাইভার ফাউন্ডেশন পুরস্কার পান। এখন তিনি জলপথে প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকি বিষয়ে কাজ করছেন বলে এশিয়ান সায়েন্টিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
    সেঁজুতি সাহা একজন অণুজীববিজ্ঞানী। জীববিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি। আণবিক জিনতত্ত্বের এই গবেষক কাজ করছেন বাংলাদেশের চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে (সিএইচআরএফ)। সেঁজুতি সাহা ও তার প্রতিষ্ঠান সিএইচআরএফ বাংলাদেশের রোগীদের নমুনা থেকে নতুন করোনা ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম বিন্যাস উন্মোচন করে।
    শিশুদের আক্রান্ত করে এমন কিছু রোগ, যেমন ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া নিয়ে তিনি গবেষণা করেন। তিনি বিশ্বে প্রথম দেখান যে, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শিশুদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং শিশুর মেনিনজাইটিস রোগ হতে পারে।
    তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল পোলিও ইরেডিকেশন ইনিশিয়েটিভের বোর্ড মেম্বার পদে নিযুক্ত হন।
    ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীদের পরিচয় এবং তাদের গবেষণার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানী ওই ১০০ জনের তালিকায় রয়েছেন।

  • ভোজ্য তেলের নতুন দাম নির্ধারণ, ঈদের আগে আরো কমবে

    ভোজ্য তেলের নতুন দাম নির্ধারণ, ঈদের আগে আরো কমবে

    ন্যাশনাল ডেস্ক : সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
    তিনি আজ সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৭ম সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
    তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এখন থেকে প্রতি লিটার প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৯ টাকা হ্রাস করে ১৬৭ টাকা এবং পাম অয়েলের দাম ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।
    তিনি বলেন, আজ থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর জন্য আমরা বলেছি। আশা করি দুই-তিনদিনের মধ্যে নতুন দামে বাজারে তেল পাওয়া যাবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে তেলের দাম আরও কমানো যায় কিনা তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
    আসন্ন ঈদের আগে আর একদফা দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
    সিনিয়র সচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরপরই বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন দেশে এসেছে। অনুমোদন প্রাপ্ত বাকি পিঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরো কমবে।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত এক বছরে চাহিদা বিবেচনায় দেশে চিনি, গম ও আদা ব্যতীত অন্য কোনো পণ্যে সরবরাহে ঘাটতি নেই। ঈদুল আযহাতে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে। চীন থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে আদার সংকট আছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা ব্যবসায়ী সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
    তিনি জানান, দেশে এক বছরে ব্যবধানে গম আমদানি ২৪ লাখ টন এবং চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন। আমদানি কম হওয়ায় দামের প্রভাব পড়েছে বাজারে। দেশের চিনি চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থির রয়েছে।
    সিনিয়র সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে সঙ্গে সঙ্গে দেশে সেই পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয় না, কারণ আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে ডলারের দাম একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, শুল্কহার, অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যয় মূল্য নির্ধারণে প্রতিফলন ঘটে।
    বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।