ন্যাশনাল ডেস্ক : তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম আরও কমেছে। জুলাই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৫ টাকা কমিয়ে ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। জুন মাসে এর দাম ছিল এক হাজার ৭৪ টাকা। সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আজ দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে বিইআরসির হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করা হয়। এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্যরা ও বিইআরসির সচিব।
বিইআরসি প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা দাম ৮৩ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী সাড়ে ৫ কেজি, ১২, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম কমেছে। যদিও বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় বলে ভোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে। এলপিজির পাশাপাশি গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমেছে। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ টাকা ৫৯ পয়সা।
Category: জাতীয়
-

দাম কমল এলপিজির
-

১৫ বছর আগে বাংলাদেশ কেমন ছিল, একটু চিন্তা করেন: প্রধানমন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলামেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বারবার ক্ষমতায় এসেছি বলেই একটা গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত আছে। এ জন্যই আজ বাংলাদেশের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এখন গ্রামে গ্রামে সেই হাহাকার নেই। তারপর আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আর আমাদের পেছনের দিকে তাকাতে হবে না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
সোমবার (৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে গাজীপুর, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাস; সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি, বাস, লঞ্চ স্টিমার পোড়ানো; ৫০০ জনের মতো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা—এই ধরনের ভয়াবহ অবস্থা আমরা দেখেছি। কাজেই সেই ধরনের অবস্থা আর সৃষ্টি করুক, আমরা চাই না। বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা যেন অব্যাহত থাকে; বাংলাদেশের মানুষ যেন শান্তিতে বাস করতে পারে; সবাই যেন উন্নত জীবন পায়—সেটাই আমরা চাই।
মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন। আশা করি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবেন। আজ থেকে ১৫ বছরের আগের বাংলাদেশ কেমন ছিল, একটু চিন্তা করেন। জনগণ আপনাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাদের আকাঙ্ক্ষা আপনাদের পূরণ করতে হবে। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি। দেশের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সবকিছুর উন্নতির মধ্য দিয়ে এই সময়ে বাংলাদেশ বদলে গেছে কিনা, সেটা আপনাদের থেকে জানতে চাই। আন্তরিকভাবে এই প্রচেষ্টা আমরা চালিয়েছি কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য।
জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে ফেরার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি এমন একটি দেশে এসেছিলাম, যেখানে আমার পিতা-মাতা ও ভাইদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে খুনিরা ছিল ক্ষমতায়। আর ছিল স্বাধীনতাবিরোধী, জিয়াউর রহমান যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পিতা-মাতার বিচারের জন্য আমাকে ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর এটা পেরেছি ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই।
বৈশ্বিক মহামারির প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও কোভিড-১৯-এর অতিমারির কারণে অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বব্যাপী। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়। বরং বাংলাদেশে তো আমরা এখনও বলিনি যে দুটো-তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবেন না, ৬টার বেশি ডিম কিনতে পারবেন না। পানি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিদ্যুৎ এতটুকুর বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে সেই অবস্থা চলছে। লন্ডনে বাজারে গেলে তো সীমিত জিনিসই কিনতে হবে। তার বেশি কেনা যাবে না। বিদ্যুৎ একটু ব্যবহার করলেই ফাইন দিতে হবে। গাছে পানি দেওয়া যাবে না। বালতিতে করে একটু একটু করে পানি দিতে হবে। পানি দিয়ে গাড়ি ধোয়া যাবে না। শুধু লন্ডন নয়, ইউরোপের সব জায়গায় এই একই অবস্থা।
নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলানবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলা
মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জানি জিনিসের দাম বেড়েছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঈদের আগে পাটগাতী বাজার (প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার বাজার) থেকেই ২০০ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। ওই বাজারে ৫৫ ইঞ্চি টিভিও পাওয়া যাচ্ছে। ওখানে কয়েকটি টিনের ঘর ছাড়া আর কিছু ছিল না।
১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর সারা দেশ ঘুরে বেড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি এ জন্যই যে দেশটাকে না চিনলে উন্নতি করবো কীভাবে? যখনই সরকারে এসেছি, সেই মোতাবেক কাজ করেছি, আজ উন্নয়নটা করতে পেরেছি। আমাদের কাজ জনগণের সেবা করা। আমরা সেই চেষ্টাটাই করেছি। আমাদের লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ করা।
এ সময় খুব শিগগিরই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করতে যাচ্ছে বলে জানান সরকারপ্রধান। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রমটা করেই আমাদের এই উন্নয়নটা করতে হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জনসংখ্যা বেশি। চাষ উপযোগী জমি কম। তারপরও আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারপরও যুদ্ধের কারণে আজ ভোজ্যতেল, গম, জ্বালানি তেল, চিনি—এ রকম অনেক কিছু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর দাম বিশ্বে বেড়ে গেছে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জানি এখানে অন্য দলেরও অনেকে আছেন। তারপরও কে ভোট দিলো, সেটা দেখে নয়, দেশের প্রত্যেক জনগণের জন্যই আমাদের কাজ করতে হবে। বিষয়টি এমন নয় যে আওয়ামী লীগের লোকজন পাবে, অন্যরা পাবে না। আমরা সবার জন্যই কাজ করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমাদের কাঁচা মরিচও আমদানি করতে হয়। কেন করতে হবে? জানি বর্ষাকালে ক্ষেতে পানি উঠে যায়। মরিচ তোলা যায় না বা মরিচ পচে যায়। সে জন্য সমস্যা হয়। এখন থেকে আমাদের কিছু ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। নিজেই আমরা গাছ লাগাবো, উৎপাদন করবো। ছাদবাগান অথবা ভাসমান বাগান করবো। ঝুলন্ত বাগান করবো। আমার এলাকায় কিন্তু আমি শুরু করে দিয়েছি। গণভবনও এখন মোটামুটি খামারবাড়ি করে ফেলেছি। আমার ছাদেও মরিচ গাছ আছে।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে এখন সম্মানের চোখে দেখে। আমরা এই উন্নতিটা করতে পেরেছি বলেই সম্ভব হয়েছে। -

সারা দেশের ১৯১ বিচারকের পদোন্নতি
ন্যাশনাল ডেস্ক : ২০১৮ সালে জুডিসিয়াল সার্ভিসে যোগ দেওয়া ১৯১ জন সহকারী জজকে সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) আইন ও বিচার বিভাগের (বিচার শাখা-১) এর জারি করা প্রজ্ঞাপনের থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতির আদেশে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সহকারী জজ বা সমপর্যায়ের বিচারকদের (তালিকা অনুসারে) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৬ -এর বেতন স্কেলের চতুর্থ গ্রেডে বেতনক্রম অনুসারে সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
এসব বিচারক পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদ বা সমপর্যায়ের পদে স্ব স্ব কর্মস্থলে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মরত থাকবেন। এছাড়া যোগদানের তারিখ থেকে তাদের পদোন্নতি কার্যকর হবে। -

বিদেশিদের নয় জনগণের সমর্থন দরকার : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য বিদেশিদের সমর্থন দরকার নেই, জনগণের সমর্থন থাকলেই চলবে।
তিনি আরো বলেন, জনগণের সমর্থন থাকলে বিদেশিদের সমর্থনে দরকার নেই। জনগণ এই দেশের মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে, আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে কিনা। সেটা নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ শনিবার দুপুরে জেলার মধুপুরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মধুপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হাদী নূর আলী খান, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, আব্দুল গফুর মন্টু, শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান শরিফ আহমদ নাছির।
এছাড়াও সভায় ফেডারেশনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে, পদ্মা সেতু, ফোর লেন রাস্তা, স্কুল- কলেজ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, গ্রামের উন্নয়ন, বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ, শিল্প কারখানাসহ সব দিকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। তিনি আরো বলেন, এ সকল উন্নয়নের কারণেই জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণের সমর্থন থাকলে কোন বিদেশি শক্তি আমাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। আমরা বিদেশি সহযোগিতা চাই না। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপিসহ যারা প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে হাত পাতছে, ধরনা দিচ্ছে, তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার জন্য। তাদেরকে বলতে চাই, কোনো বিদেশি প্রভু এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে পারবে না। সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো দেশে আবারও তান্ডব চালাতে চায়।
তাদেরকে সেটি করতে দেয়া হবে না। জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদের ও জীবনের নিরাপত্তা দেয়া বর্তমান সরকারের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ সর্তকতার সঙ্গে যে কোন ধরণের অপপ্রয়াস মোকাবেলা করা হবে।
সভায় ফেডারেশনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।বাসস
-

ডেঙ্গুতে আরও ৪৬ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১
ন্যাশনাল ডেস্ক : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এডিস মশাবাহী রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ জনে দাঁড়াল। এছাড়া গত এক দিনে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৬ জন।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৬ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরে ১০ জন।
বর্তমানে সারাদেশে এক হাজার ৩৮২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এক হাজার ৭৩ জন ও ঢাকার বাইরে ৩০৯ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ছয় হাজার ৩৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় চার হাজার ৯৩৫ জন ও ঢাকার বাইরে এক হাজার ৪০৪ জন।
একই সময়ে সারাদেশে ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা চার হাজার ৯১৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৮৩১ জন ও ঢাকার বাইরে এক হাজার ৮৭ জন।
প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন। -

কয়লা এসেছে, আবারও উৎপাদনে ফিরছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বন্দরে এসেছে এমভি অ্যাথেনা নামের একটি জাহাজ। কয়লা আসায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আবার উৎপাদনে ফিরছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত ৩টার দিকে জাহাজটি বন্দরে এসে পৌঁছায়। পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের পর এই প্রথম চালান নিয়ে আসা এমভি অ্যাথেনা জাহাজটি শুক্রবার বিকাল ৩টা নাগাদ লাইটার জাহাজের মাধ্যমে কয়লা খালাস শুরু করেছে। রাতে কোনও এক সময় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়বে জাহাজটি।
শনিবার (২৪ জুন) সকালে পুরো কয়লা খালাসের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পায়রার একটি দায়িত্বশীল সূত্র। এর আগে কয়লা সংকটে গত ৫ জুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে বিদ্যুতের ঘাটতি কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইন্দোনেশিয়ার বালিকপপন বন্দর থেকে জাহাজটি ছেড়ে আসে। শুক্রবার রাতে এটি বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছায়। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জার্জিস তালুকদার জানান, সকাল থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। দুপুরে এসব লাইটার জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে এসে পৌঁছাতে পারে। এ কয়লা দিয়ে শনিবার রাত থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে দেরি হয়। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে ১০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। রাতে কোনও এক সময় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়বে জাহাজটি। কয়লা আনলোড করা হলে ইউনিটগুলো চালু করতে পারবো।’ -

আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের (এএল) ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
তিনি আজ সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি এই শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা তাঁর দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আরেক দফা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক ওবায়দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এ দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
১৯৪৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দলটি পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। -

লোডশেডিং সহজে যাবে না, শঙ্কা সিপিডির
ন্যাশনাল ডেস্ক : বাংলাদেশে লোডশেডিং পরিস্থিতির সহসাই উন্নতি হবে না বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির আশঙ্কা‒ বাংলাদেশে আরও বেশ কিছু সময় লোডশেডিং থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রস্তাবিত পদক্ষেপ’ শীর্ষক সিপিডির আলোচনায় উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, গত এক বছরে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ও সম্প্রতি প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। কোথাও কোথাও ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না।
তিনি বলেন, আপনারা হয়তো আজকে, কালকে দেখবেন না। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে দেখবেন না। কিন্তু আমাদের অনুমান হচ্ছে‒ এই লোডশেডিং সহজে যাবে না। বাংলাদেশে আরও বেশ কিছু সময় লোডশেডিং থাকবে বলে আমাদের আশঙ্কা।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রায়ই বন্ধ থাকছে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) কাছে ২০ হাজার কোটি টাকার মত পাওনা রয়ে গেছে। জ্বালানি আমদানি করার জন্য যে এলসি খোলার দরকার বিপিসির, সেটি খোলা যাচ্ছে না। বিপুল পরিমাণ ঋণ করা হচ্ছে কেবলমাত্র জ্বালানি ব্যয় মেটানোর জন্য। এলএনজি আমদানি, বিদ্যুতে কৃচ্ছ্রতানীতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিসহ সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। বিভিন্ন উদ্যোগগুলো যে নেওয়া হচ্ছে সেগুলো প্রকারান্তরে খাত সংশ্লিষ্ট সমস্যা থেকে উত্তরণে খুব বড় ভূমিকা রাখছে না।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে অনগ্রিডে ২৪ হাজার, আর অফগ্রিডে প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট রয়েছে। এই বড় ক্যাপাসিটিটাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার পুরোটাই প্রায় আমদানি জ্বালানি নির্ভর।
আলোচনায় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, আইন পরিবর্তন করে গণশুনানি তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা বলতে না পারি কত হাজার কোটি টাকা কোথায় চুরি হয়েছে। কোথায় লুটপাট হয়েছে, কীভাবে হয়েছে তা যেন জানতে না পারি সে কারণে।’
তিনি বলেন, ২০২২ সালে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সময় দেখা গেল জ্বালানি উন্নয়ন ফান্ডের ৬৫ শতাংশ ব্যয় হয়নি। আর ৩৫ শতাংশ কোথায় কীভাবে ব্যয় করেছে সেটা কেউ বলতে পারছে না।
শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিলে টাকা দিয়ে যাচ্ছি। এগুলো না দিলে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমতো। আমাদের টাকার ওপরে সুদ নেওয়া হচ্ছে। এইভাবে আমরা ঠকছি।
তিনি বলেন, ট্রান্সমিশন-ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কাছে ১৪ হাজার কোটি টাকা জমা আছে। তার আগে আইন করে বিদ্যুৎ খাত, জ্বালানি খাত হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এখন ৮ ঘণ্টা, ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়।
জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, আগামী দিনগুলোতে জ্বালানি খাত আরও চাপে পড়বে ৷
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দেশে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকার পরও অনুসন্ধানে জোর নেই ৷ বারবার বলেও কাজ হয় না।
অন্যদের মধ্যে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক খসরু মো. সেলিম, ব্যবসায়ী নেতা মোস্তফা আজিজ চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন। -

পৃথিবীর বাসযোগ্য ১৭৩ শহরের তালিকায় ১৬৬তম ঢাকা
ন্যাশনাল ডেস্ক : পৃথিবীর বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৭৩টির মধ্যে ১৬৬তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। গত বছরের সূচকে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় নিচের দিক থেকে সপ্তম ছিল ঢাকা। গত বছর ১৭২টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৬৬তম। বিশ্বখ্যাত সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের সহযোগী সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে।
তালিকার নিচের দিক দিয়ে সপ্তম হয়েছে রাজধানী ঢাকা। এর সঙ্গে বাসযোগ্যতা বিবেচনায় তলানিতে থাকা শহরগুলো হলো সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক (১৭৩), লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি (১৭২), আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স (১৭১), নাইজেরিয়ার লাগোস (১৭০) ও পাকিস্তানের করাচি (১৬৯)।
স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, স্থায়িত্ব, অবকাঠামো ও পরিবেশসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর বিশ্বের ১৭৩টি শহরকে এই তালিকায় স্থান দিয়েছে ইআইইউ।
সূচকে ঢাকা স্থায়িত্বে ৫০, স্বাস্থ্যসেবায় ৪১ দশমিক ৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০ দশমিক ৫, শিক্ষায় ৭৫ এবং অবকাঠামোতে ২৬ দশমিক ৮ পেয়েছে। ঢাকার সঙ্গে যৌথভাবে ১৬৬তম অবস্থানে রয়েছে জিম্বাবুয়ের হারারে। আফ্রিকার শহরটি স্থায়িত্বে ৪০, স্বাস্থ্যসেবায় ২৯ দশমিক ২, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৫৬ দশমিক ৭, শিক্ষায় ৬৬ দশমিক ৭ এবং অবকাঠামোতে ৩৫ দশমিক ৭ পেয়েছে।
জরিপে ২০২৩ সালের জন্য ভিয়েনা আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে। ভিয়েনার অবকাঠামো, সংস্কৃতি, বিনোদন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার প্রশংসা করা হয়েছে বৈশ্বিক এ তালিকায়। ভিয়েনা দীর্ঘদিন ধরে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় রয়েছে।
অন্যদিকে বাসযোগ্যতার দিক থেকে শীর্ষ দশে রয়েছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনি, কানাডার ভ্যাঙ্কুভার, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, কানাডার ক্যালগেরি, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, কানাডার টরন্টো ও জাপানের ওসাকা। -

টেকনাফে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
ন্যাশনাল ডেস্ক :

উদ্ধার খায়রুল আমিন।
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত শিশু খায়রুল আমিনকে (১২) পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গহীন পাহাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে, ১৬ জুন খায়রুল অপহরণের শিকার হয়। সে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।
অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তাররা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা মরিচ্যাঘোনা বড়বিলের বাসিন্দা মো. আলম (২৭), আহম্মদ হোসেন (৫২), মো. পারভেজ (২০), আজিজা খাতুন (২১)।
পুলিশ জানায়, খায়রুল আমিন স্থানীয় একটি মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। ১৬ জুন সে রঙ্গিখালী এলাকায় তার বন্ধু ফরহাদের বাসায় যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়। পরে তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে পুলিশ অভিযান চালায়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, পুলিশ খায়রুলকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
-

ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে সাবমার্সিবল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা

ন্যাশনাল ডেস্ক : উদ্ধারকারীরা মঙ্গলবার আশা করেছিলেন, বিশেষ গভীর সমুদ্রের জাহাজ এবং মার্কিন নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের আগমনে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে নিখোঁজ পর্যটক সাবমার্সিবল খুঁজে পেতে মরিয়া প্রচেষ্টা আরো জোরদার হবে। মিনি সাবমেরিন তুল্য এই সাবমার্সিবলে থাকা পাঁচজনের অক্সিজেন দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এই উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্যাসেঞ্জার লাইনার ওশানগেটের ২১-ফুট (৬.৫-মিটার) দৈর্ঘের সাবমার্সিবল পাঁচজন ক্রুসহ পাঁচজন যাত্রী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য উত্তর আটলান্টিকের ওই এলাকায় গভীর অতলে যাত্রা শুরু করে। সাবমার্সিবলের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগে ব্রিটিশ লাইনারটি শেষবারের মতো সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে দুই মাইলেরও বেশী (প্রায় চার কিলোমিটার) নিচে সমুদ্র গভীরে দেখতে পেয়েছিল।
টাইটান নামের এই সাবমার্সিবলটিতে একজন ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার এবং একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ধনকুবের এবং তার ছেলে সহ তিনজন ফি প্রদানকারী যাত্রী বহন করছিল। ওশানগেট একটি ট্রাক গাড়ির আয়তনের এই সাবমার্সিবলের একটি আসনের জন্য ২৫০,০০০ ডলার নিয়েছে।
মার্কিন এবং কানাডিয়ান কোস্ট গার্ড জাহাজ এবং প্লেনগুলো ৭,৬০০ বর্গ মাইল সমুদ্রের সীমানায় তল্লাশি চালাচ্ছে, এই এলাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট রাজ্যের চেয়ে বড়, সাবমার্সিবলটি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল থেকে প্রায় ৪০০ মাইল দূর সমুদ্র গভীর থেকে আটলান্টিকের গভীর তলদেশে যাত্রা শুরু করে।
মার্কিন নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, গভীরতা থেকে ভারী বস্তু তোলার জন্য একটি বিশেষ উইঞ্চ সিস্টেম (টেনে তোলার যন্ত্র) এবং অন্যান্য সরঞ্জামসহ কর্মীরা মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেবেন।
পেন্টাগন বলেছে, তারা একটি তৃতীয় একটি সি১৩০ বিমান এবং তিনটি সি-১৭ মোতায়েন করছে, ফ্রান্সের সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট একটি গভীর সমুদ্রের আন্ডারওয়াটার রোবট পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে এবং এর বিশেষজ্ঞরা বুধবার এলাকায় আসবেন।
ইউএস কোস্ট গার্ড ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত জটিল অনুসন্ধান এবং ইউনিফাইড টিম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত উপলব্ধ সম্পদ এবং দক্ষতা বহন করার জন্য চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে।’
উদ্ধারকারীরা অনুমান করেছেন, যাত্রীদের কাছে দুই দিনেরও কম অক্সিজেন অবশিষ্ট রয়েছে, সাবটির ৯৬ ঘন্টা পর্যন্ত জরুরি অক্সিজেন সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে।
ফ্রেডরিক মঙ্গলবার দুপুর ১টায় (১৭০০জিএমটি) কাছাকাছি বলেছিলেন, ‘প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রায় ৪০ ঘন্টা শ্বাস-প্রশ্বাসের অক্সিজেন বাকি আছে।’
কর্তৃপক্ষ বলছে,টাইটান সমুদ্রে নামার দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে।
সাবমার্সিবলে রয়েছেন ব্রিটিশ হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, ওশানগেট এক্সপিডিশনের সিইও স্টকটন রাশ এবং ফরাসি সাবমেরিন অপারেটর পল-হেনরি নারজিওলেট। -

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে সহযোগিতা প্রদানে ফ্রান্সের আগ্রহ প্রকাশ
ন্যাশনাল ডেস্ক : মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে ফ্রান্স বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে আজ বুধবার সচিবালয়ে তার দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই এক সৌজন্য সাক্ষাতকালে এই আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।
এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশ ও ফ্রান্স বন্ধু-প্রতীম দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক তুলে ধরে বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং অকৃত্রিম বন্ধু।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটাইজেশনের ধারাবাহিকতায় বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’র সফল উৎক্ষেপণ বর্তমান সরকারের অন্যতম অর্জন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে স্যাটেলাইট ক্লাবের ৫৭তম গর্বিত সদস্যে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ দেশের টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের সম্প্রচারসহ দুর্গম অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে অভাবনীয় ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ‘২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।
এসময় মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে স্যটেলাইট যুগে বাংলাদেশের প্রবেশে ফ্রান্সের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে তার প্রচেষ্টা অবাহত রাখার কথা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি। -

নদী রক্ষা কমিশন দেশের ৫০ হাজারেরও বেশি নদী দখলকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে : খালিদ
ন্যাশনাল ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের ৫০ হাজারেরও বেশি অবৈধ নদী দখলকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে সারাদেশে অবৈধ দখলদারের সমন্বিত খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং জেলাভিত্তিক দখলদারের তালিকা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ৫০ হাজারের অধিক অবৈধ দখলদারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের নদ-নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি এবং নদী ও খাল দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে সকল জেলা প্রশাসককে অবৈধ দখলদারের এই তালিকা অনুসারে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য কয়েক দফায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা নদীসহ বিভিন্ন নদীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে নদীগুলো অনেকটা মুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের অধিক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের তথ্য জেলা প্রশাসকরা কমিশনে পাঠিয়েছেন। এছাড়াও, দেশের নদীগুলির নদীভিত্তিক অবৈধ দখলদার তালিকা ও উচ্ছেদ সংক্রান্ত অগ্রগতির তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৪৭টি জেলা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অবৈধ দখল ও উচ্ছেদের হালনাগাদ তথ্য রয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, জলাশয় ও জলাধারের অবৈধ দখল ও দূষণ রোধ, নাব্যতা পুনরুদ্ধার, পরিবেশ- প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা/অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর মাধ্যমে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এর অগ্রগতি নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে উপজেলা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহপূর্বক সারাদেশের নদ-নদীর একটি সমন্বিত তালিকা করা হয়েছে। এটি নদ-নদী সংরক্ষণের ভিত্তি হিসেবে কাজ। -

দেশেই টিকা উৎপাদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আমেরিকার ডিআইআইয়ের সমঝোতা স্বাক্ষরিত
ন্যাশনাল ডেস্ক : দেশে ১৩ রকমের টিকা উৎপাদনে রাষ্ট্রীয় ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এবং যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় আমেরিকার ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং মান-নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেটেড এর সিইও মার্ক এমালফারব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, বিএসএমএমইউ এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং ইডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এহসানুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন প্লান্টটি গোপালগঞ্জে প্রায় নয় একর জায়গায় স্থাপিত হবে। ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে করোনা ভ্যাক্সিন সহ প্রায় ১৩ রকমের ভ্যাক্সিন তৈরি করা হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের মাত্র ৫টি দেশ এই মানের ভ্যাক্সিন উৎপাদন করতে পারে। আমরাও উৎপাদনে চলে গেলে আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভ্যাক্সিন রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবো। এর সাথে আমাদের দেশে বহুসংখ্যক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।
আমেরিকার ডায়াডেক সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, তারা আমাদেরকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে, লোকবল ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে। এখানে তাদের কোন অংশীদারিত্ব থাকবে না। এখানে যে ভ্যাকসিনগুলো তৈরি হবে সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের হবে। এই বিষয়ে তারা আমাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি আগামী চার বছরে আমরা উৎপাদনে যেতে পারবো। এই প্লান্টে আমরা প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল ভ্যাক্সিন উৎপাদন করব। এই ভ্যাকসিন প্লান্ট তৈরিতে আমরা সাড়ে তিনশো মিলিয়ন ইউএস ডলারের আশ্বাস আছে। এরপর আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করতে হবে।
এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির এবং ডাইডিক ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেটেড এর সিইও মার্ক এমালফারব সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। -

হাইকোর্টের নির্দেশে দায়িত্ব ফিরে পেলেন সাতক্ষীরার পৌর মেয়র চিশতি
নিজস্ব প্রতিনিধি : হাইকোর্টের নির্দেশে নিজ দায়িত্ব পালন শুরু করলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি। বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মোঃ নাজিমউদ্দিন, প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, পৌরসভার সচীব মোঃ লিয়াকত আলী, প্রধান অফিস সহকারি প্রশান্ত ব্যাণার্জী সহ নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ।দায়িত্ব পালন শুরুতেই মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি বলেন, একটি নাশকতা মামলায় আমি জেল হাজতে যাওয়ার কারণে গত ৬ ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত তার বরখাস্তাদেশ এর উপর স্থগিতাদেশ দেন। এরপরও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেখিয়ে প্রধান নির্বার্হী মোঃ নাজিমউদ্দিন ও ১নং প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান পৌরসভার অর্থনৈতিক কর্মকাÐসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আবারো উচ্চ আদালতে গেছেন। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করায় স্বশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয় কাজী ফিরোজ হাসানকে। গত সোমবার আদালত প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানকে ভৎসনা করেন। আদালত না মানলে তাকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি জরিমানার করার কথা বলেন বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোঃ শওকত আলী চৌধুরী। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আব্দুর রহমান ১২ জুন এক চিঠিতে তার (চিশতি) দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত একটি চিঠি প্রধান নির্বাহীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান।চিশতি আরো জানান, হাইকোর্ট ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি তিনি বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় পৌরসভার নিজ কক্ষে য়োকার জন্য গেলে দরজায় তালা লাগানো ছিল। একপর্যায়ে তিনি নীচে এসে একটি কক্ষে বসে প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি তার কক্ষের তালা, মেয়রের ব্যবহৃত গাড়ির চাবি, পৌরসভার হাজিরা বহি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিছুই বুঝিয়ে দেননি। একপর্যায়ে একটি অফিস আদেশে সাক্ষর করে তা প্রধান অফিস সহকারির কাছে দিয়ে চলে যান। একসাথে পানির বিল চারগুণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনগণের ক্ষোভের ব্ষিয়ে তিনি বলেন, পৌরসভার কোটির বেশি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে অনিকে দিন ধরে। সেক্ষেত্রে পানির বিল অনেক আগে থেকেই বাড়ানোর জন্য তিনি সকল কাউন্সিলরদের মতামত চেয়েছিলেন। তবে তার অবর্তমানে যেভাবে পানির বিল বাড়ানো হয়েছে তা আইন সম্মত কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। তবে যে সমস্ত জায়গায় পানি সরবরাহ অপ্রতুল সেসব স্থানে যাঁচাই বাছাই না করে পানির বিল ধরিয়ে দেওয়া অগণতান্ত্রিক বলে তিনি মনে করেন। তবে তার অনুপস্থিতির সময়ে যদি কোন অর্থনৈতিক তছরুপের ঘটনা বা অন্য কোন অনিয়মের ঘটনা জানা যায় তা তিনি সাংবাদ সস্মেলন করে পৌরবাসিকে অবহিত করবেন।এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মোঃ নাজিমউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি এক চিঠির মাধ্যমে পৌর মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতিকে বুধবার দুপুর আড়াইটায় দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পর্কে এক চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানের কাছ থেকে লিখিতভাবে দায়িত্ব বুঝে নেননি। বিষয়টি তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি আস্ফলন করে মেয়রের রুম থেকে বেরিয়ে যান ####তার এই অসভ্য অসৌজন্যমুলুক আচরণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচিত মেয়র সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন। আমার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা না করলে আমি মহামান্য হাইকোর্টে কে জানাবো এবং তার বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। -

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা আর হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আর হবে না। নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ফলাফলের ভিত্তিতে অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদও দেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে আগের নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, কারিগরি অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মহসিনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেএসসি এবং জেডিসির আগের মতো বোর্ড পরীক্ষা হবে না। নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সনদ দেবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও পরীক্ষা নেওয়া হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এর ভিত্তিতে ফলাফল দেওয়া হবে, সনদও দেওয়া হবে।
তবে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যারা অষ্টম শ্রেণি পাসের পর কোনও কোর্সে নিযুক্ত হতে চাইবে, তাদের জন্য সনদ লাগবে, রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন পড়বে। সে কারণে রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকার আগেই অষ্টম শ্রেণি ও সমমানের ক্লাসের জন্য প্রচলিত জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করে। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা থাকবে না। ২০২৪ সাল থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায়। -

মূল্যস্ফীতি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এটা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বিস্তারিত জানান।
সভায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেন, তৃণমূলে সেচকাজে সোলার ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। কৃষিকাজে ডিজেলের পরিবর্তে সোলার ব্যবহার বাড়াতে হবে। কৃষিকাজে প্রতিবছর ডিজেলের ব্যবহার হয় ৮১ লাখ লিটার।
নতুন প্রকল্পের জন্য জমি কম ব্যবহার করতেও নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারিভাবে সোলার প্যানেল বানালে সরকারের পক্ষ থেকে সুবিধা দেওয়া হবে। বিদেশি অর্থ পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে দেশি মুদ্রার চাপ কমবে।
সভায় বিদেশি অর্থের বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণ ও সহায়তা ৫০ বিলিয়ন ডলার পাইপলাইনে আছে। এগুলো প্রকল্পে ব্যবহার করতে পারলে রিজার্ভে কাজে লাগবে এবং প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে। -

ঈদ-উল-আযহার ছুটি বাড়ল ১ দিন : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
ন্যাশনাল ডেস্ক : পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ছুটি একদিন বাড়িয়ে চারদিন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য ২৭ জুন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর ২৮ থেকে ৩০ জুন পূর্ব নির্ধারিত সরকারী ছুটি। তবে ১ জুলাই শনিবার ছুটি থাকায় এ বছর ঈদ-উল-আযহায় সরকারী ছুটি থাকবে ৫ দিন।
আজ সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৭ জুন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী ২৭ জুন সরকারের নির্বাহী আদেশে ছুুটি থাকবে। আমাদের দেশের মানুষ যাতে ঈদ-উল-আযহা পালন করতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন আগামী ২৭ জুন ছুটি থাকবে। ঈদের আগে এক দিন সরকারের নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। গত ঈদ-উল ফিতরের অভিজ্ঞতায় দেখলাম, একদিন সরকারী ছুটি বাড়ানোয় অনেক সুবিধা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গত ঈদে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। সে অভিজ্ঞতার আলোকে প্রধানমন্ত্রী এক দিন ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বহির্বিশ্বে বাজার খুঁজতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ ক্ষেত্রে ওআইসিভুক্ত (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) দেশগুলোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন। বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওআইসিভুক্ত দেশগুলো, যেখানে বাংলাদেশের মানুষও আছেন, সেখানে বাংলাদেশী পণ্য কেনার আগ্রহ দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে ফল-শাক সবজি। তাই সেখানে তা রপ্তানি করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই যেন নজর দেন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, এখনো সেসব দেশে কৃষিপণ্য যায়, সেটিকে এখন যেন বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বৈঠকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে যেসব এলাকা থেকে মাটি বা বালু তোলা নিষিদ্ধ ছিল, তার মধ্যে ফসলি জমি অন্তর্ভূক্ত ছিল না। এখন ফসলি জমিও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এর ফলে কোনো ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করা যাবে না। নদী পথের নাব্যতা বিনষ্ট করতে পারে, এ রকম হুমকি থাকলে সেখান থেকেও বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এ ছাড়া এখন অবৈধভাবে বালু বা মাটি তোলার যন্ত্র জব্দ করা যাবে। আর বালু পরিবহনের কারণে কোনো রাস্তা বা স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার ব্যয় পরিশোধ করবেন ইজাদারেরা। আর ইজারা কার্যক্রম অনলাইনে হবে।
বৈঠকে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ ২০২৩ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে জাল-জালিয়াতি বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব অপরাধের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
বৈঠকে ‘লক্ষীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি হলে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৫৭টি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশে ১১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে শরীয়তপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর’। আর ঠাকুরগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়’।
মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া, জাতীয় গ্রন্থাগার নীতি-২০২৩ এর খসড়া, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা, ২০২৩ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিমান চলাচল বিষয়ক চুক্তির খসড়া এবং বিমসটেক সনদের খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ আজ তাদের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির ৩১৬ কোটি টাকা এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রথম কিস্তির ৫৫ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন।