Category: জাতীয়

  • খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার: আসিফ নজরুল

    খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার: আসিফ নজরুল

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতা নিহতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিনকে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তিন দফা সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

    বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টায় লোকপ্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অর্থনীতি বিভাগ সমাবেশ করে। সবার শেষে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশের ব্যানারে আরেকটি সমাবেশ হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সবাই বৃষ্টিতে ভিজে কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রথম দিকে শিক্ষকরা ছাতা নিয়ে দাঁড়ালেও এক শিক্ষক ‘শিক্ষার্থীদের রক্তের কাছে এ বৃষ্টি কিছুই না’ বক্তব্যের পর তারা ছাতা গুটিয়ে ফেলেন।

    এরপর শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফার প্রতি সংহতি জানিয়ে শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে শেষ করেন।

    শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘যে হাত ছাত্র মারে, সে হাত স্বৈরাচার’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, আমার বোনের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’—প্রভৃতি স্লোগান দেন।

    নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশের কর্মসূচিতে আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এ সরকার করবে না। কারণ সরকার নিজেই খুনি। আজকে খুনি বাহিনী-খুনি সংগঠনকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুনি খুনির বিচার করবে না। খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে বইয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, পৃথিবীতে গণহত্যার পর গণহত্যার সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই সরকার গণহত্যা করার পর গণহত্যার শিকারদের আবার গণহত্যার জন্য দায়ী করে গ্রেপ্তার করছে। ধিক্কার জানাই এই সরকারকে।

    বাংলাদেশের বুকে গুলি করা হচ্ছে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের ছাত্রদের অনিরাপদ রেখে আমরা শান্তিতে বসে থাকব না। আমাদের অস্তিত্বে আঘাত হানা হয়েছে। দেশের বুকে গুলি করা হয়েছে। তরুণ হচ্ছে বাংলাদেশের হৃদয় এই হৃদয়কে আঘাত করা হবে। আমরা চুপচাপ মেনে নেব। এটা যেন সরকার না ভাবে। আজকে দাবি এসেছে সরকারের পদত্যাগের, খুনের বিচার না করতে পারলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

    আসিফ নজরুল বলেন, চোখের সামনে দেখলাম পুলিশের ইউনিফর্ম পরে গুলি করা হচ্ছে, ভিডিও দেখলাম, আবু সাঈদকে কিভাবে গুলি করা হচ্ছে। যুবলীগ ছাত্রলীগের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। অথচ আমাদের ছাত্ররা নাকি মারা গেছে সন্ত্রাসীদের গুলিতে। বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে। আজকে পত্রিকা খুললে দেখবেন।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, গত ৫৪ বছরের শাসনামলে মিথ্যার ঢিবি তৈরি করেছি। যেখানে উন্নয়ন চেতনার মিথ্যার খোলস দেওয়া থাকে। এগুলো ভেঙে পড়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলনের বিকাশ ঘটিয়েছিল, সেটা সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে।

    পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, আজকে পুলিশ আমার শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরেছে। তাকে কথা বলতে দিচ্ছে না। এই বাংলাদেশ কি আমরা দেখতে চেয়েছি। আমরা মানবাধিকারের কথা বলি, উন্নয়নের কথা বলি—অথচ প্রতিনিয়ত আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। আমাদের সহকর্মীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। কেন আবু সাইদের বুকে স্পষ্ট গুলি করে মারা হলো। অথচ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার গণতন্ত্র-মানবাধিকার কোথায় গেল?

    কর্মসূচিগুলোতে আরও বক্তব্য দেন লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাজনীন ইসলাম, অধ্যাপক ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, অধ্যাপক সাদিক হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক সেলিম রায়হান, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান মাসুদা ইয়াসমীন, ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বায়েজিদ ইসলাম কিশোর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশরেফা অদিতি হক প্রমুখ।

  • ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’। এই সময়ের মধ্যে মুক্তি না দিলে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

    মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আলটিমেটাম ঘোষণা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

    তিনি বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে আটকে রাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। ডিবি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে তাদের যদি নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে নাগরিকদের নিয়ে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলন করব।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জাতিকে, এ দেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। আমি নিজে বিব্রতবোধ করছি। স্বাধীনতার পর ’৭১-এর মতো সহিংসতা আর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হবে– এটা ভাবনায় ছিল না। অথচ স্বাধীনতার চেতনাই হচ্ছে বৈষম্যহীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এটা করতে না পারার দায় আমাদের নিতে হবে।’

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা, গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। এসব সংবিধান অনুযায়ী বেআইনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিলের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব ঘটনার নিন্দা, ধিক্কার জানানোর উপযুক্ত ভাষা আমাদের জানা নেই।  এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজকে শোক দিবস পালন করেন। জাতির সঙ্গে রসিকতা করেন? নাশকতার নামে ১০ হাজার গ্রেপ্তার করেছেন। আড়াই লাখ আসামি। হত্যা মামলায় কতজনকে গ্রেপ্তার করেছেন? পত্রিকায়-ফুটেজে দেখেছি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাতে অস্ত্র। ইউনিফর্ম পরা পুলিশ। সবাই চিহ্নিত। জ্বলন্ত প্রমাণ। এর পরও তো কাউকে দেখিনি গ্রেপ্তার করতে? নাশকতা কারা করেছে, আমরা তো এখনও প্রমাণ পাইনি। অথচ হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার করে ফেলেছেন। যেটার প্রমাণ রয়েছে, সেটির জন্য কাউকে ধরেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটেছে তা সবই সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আজকে আন্দোলন হচ্ছে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। এ দাবি অমূলক নয়।’

    ১১ দফা দাবি পেশ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা যে পদেই থাকুক না কেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, র্যা ব, আনসার, বিজিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী যারা গুলি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও স্বচ্ছ তদন্ত ও সঠিক বিচার হতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার এবং বল প্রয়োগ বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ বিশেষজ্ঞের অধীনে স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান তারা। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক।

  • বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সংঘাত-সহিংসতার পর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

    এছাড়া বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব/ সিনিয়র, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

    সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা হয়। এতে সরকারি হিসাবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন (বেসরকারি হিসাবে দুই শতাধিক) নিহত হয়েছেন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।

    সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। জোটটি মনে করে আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবির জড়িত। মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বুধবারের মধ্যে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।

    সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি, কারফিউ তুলে দেওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

  • তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  একই সঙ্গে তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জুডিসিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয় এজন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।’

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘এরইমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।’

    জার্মান রাষ্ট্রদূত উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মান) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।’

    রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত করে প্রেসসচিব বলেন, ‘যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নেই।’

    নাঈমুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে দেশব্যাপী শোক পালন করছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।

    জার্মান বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।’

    দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।’

    ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।’

    সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

  • খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না

    ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের খাওয়ানোর ছবি প্রকাশ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক টেবিলে তাদের খাওয়ানোর ছবি প্রকাশ করাকে জাতির সঙ্গে ‘মশকরা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ বিষয়ে বলেন, ‘জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না। ধরে নিয়ে এসে খাওয়ার টেবিলে বসাতে পারেন না।’

    দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা এবং ডিবির হেফাজতে থাকা ৬ সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট এ কথা বলেন। আদালত বলেন, ‘এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে? কেন করলেন এগুলো? জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না। যাকে নেন ধরে, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।’

    সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আবেদনকারী হয়ে সোমবার রিটটি দায়ের করেন। তারা হলেন মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

    রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী অনীক আর হক বলেন, রিটে আন্দোলনকারীদের ওপর যাতে গুলি না চালানো হয় এবং যে ৬ সমন্বয়ককে আটকে রাখা হয়েছে, তাদের এখনই ছেড়ে দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

    অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতকে বলেন, আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা দিতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। টিভিতে দেখানো হয়েছে তাদের লাঞ্চ (দুপুরের খাবার) করানো হচ্ছে। তারা ডিবি কার্যালয়ে কাটা চামচ দিয়ে খাচ্ছেন এই ছবি প্রকাশ হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে শুক্রবার কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরের দিন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

  • ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে: ডিবিপ্রধান

    ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে: ডিবিপ্রধান

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে খুব শিগগিরই তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।

    সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

    এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে হারুন অর রশীদ লিখেছিলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সাথে কথা বললাম। কি কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।’

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে মিরপুরের একটি বাসা থেকে নুসরাত তাবাসসুমকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।

    এর আগে গত শুক্রবার বিকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরও নিরাপত্তার কারণে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে গত শুক্রবার রাতে ডিবি জানায়।

  • অনির্দিষ্টকালের জন্য ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা স্থগিত

    অনির্দিষ্টকালের জন্য ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা স্থগিত

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত ২১ জুলাই ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এবার বাকি মৌখিক পরীক্ষাগুলো অনির্দিষ্টকালে জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৮ মে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়

    সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পিএসসির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় অংশ নেওয়া পিএসসির একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ৪৪তম বিসিএসে মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। গত বছরের ২৭ মে এ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রিলিমিনারিতে ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন। তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থী। তারাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

    ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশে ৫০, পররাষ্ট্রে ১০, আনসারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।

  • সহিংসতায় নিহত ৩৪ পরিবারকে সঞ্চয়পত্র-নগদ অর্থ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    সহিংসতায় নিহত ৩৪ পরিবারকে সঞ্চয়পত্র-নগদ অর্থ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের স্বজনরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

    রোববার (২৮ জুলাই) সকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবার গণভবনে আসেন। প্রধানমন্ত্রী ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন।

    প্রধানমন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অশ্রু সজল হতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

    এসময় অশ্রুসজল প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। বাপ-মায়ের লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি। ৬ বছর পর দেশে এসেছি। তারপর যখন এসেছি সারা দেশ ঘুরেছি। কারণ আমার বাবা বলত, দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে হবে। আমি সেই কাজটাই করার চেষ্টা করছি।

    তিনি বলেন, আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা ভাই হারানো। কাজেই আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আর আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার চেষ্টা থাকবে এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।

    এ সময় গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

  • মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার : প্রতিমন্ত্রী পলক

    মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার : প্রতিমন্ত্রী পলক

    আগামীকাল রোববার মুঠোফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর মোবাইল ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    পলক বলেন, আগামীকাল রোববার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবি-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।

  • তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    শুক্রবার রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

    সারজিস আলম বলেন, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    এর আগে বিকেলে আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ একটি বার্তা পাঠান। এতে তিনি বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাকে, নাহিদ ভাই আর বাকেরকে গৃহবন্দি করেছে ডিবি পুলিশ। ওয়ার্ডের সামনে, হাসপাতালে ডিবি পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। হাসপাতালের সামনে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের সব ধরনের কমিউনিকেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।’

  • মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী 

    মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী 

    মোবাইল ডেটা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রোববার। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শনিবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন। 

    প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মুঠোফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসে মোবাইল ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোববার সকাল ৯টার দিকে এই বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের পর মোবাইল ডেটা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    মোবাইলের ফোর-জি নেটওয়ার্ক আগামীকাল রোববার বা সোমবারের মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    প্রতিমন্ত্রী জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আইসিটি খাতে প্রত্যক্ষ ক্ষতি হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেনি, বরং ডেটা সেন্টার ও ফাইবার ক্যাবল পোড়ানোর কারণে এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

  • সরকারি-বেসরকারি অফিসে নতুন সময়সূচি

    সরকারি-বেসরকারি অফিসে নতুন সময়সূচি

    আগামীকাল রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ সূচি চলবে। শনিবার জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা বলেছেন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও কারফিউ জারির কারণে রোববার থেকে মঙ্গলবার (২১-২৩ জুলাই) সরকারি-বেসরকারি অফিসে ছিল সাধারণ ছুটি। এর আগের দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সে হিসাবে টানা পাঁচ দিন পর বুধবার (২৪ জুলাই) আংশিকভাবে খোলে সরকারি অফিস। গত ২৪ ও ২৫ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, সরকার বুধ ও বৃহস্পতিবার সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।

    এদিকে, অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হলেও সারাদেশে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকার থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

    তবে জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন।

    জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে, যা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে। এর মানে হলো জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস ও কর্মীরা তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী চলবেন।

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে সরকার শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে কারফিউ শিথিলের সময়সীমা।

  • জেনে নিন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন খুলবে

    জেনে নিন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন খুলবে

    ঢাকাসহ চার জেলা বাদে দেশের ৬০ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে খুলে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি দেখে আগামী রোববার থেকে পর্যায়ক্রমে এসব জেলার প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নাশকতার মামলার তদন্ত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন সরকারের চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং এক উপদেষ্টা। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

    সূত্র জানায়, সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়ে খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সভায় মন্ত্রীরা একমত হন, আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশের পরিস্থিতি দেখে তারপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো প্রতিবেদন সভায় বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে উঠে আসে, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর বাদে অন্য সব জেলার পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই চার জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে খুলে দেওয়া হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। সব ঠিক থাকলে আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন সমকালকে জানান, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। চালু ছিল জেলা ও উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়।

    গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি না।

    তবে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সরকারের মূল অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
    ১৬ জুলাই সারাদেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-পলিটেকনিকসহ সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজও বন্ধ রয়েছে।

  • আলটিমেটাম শেষ, আসতে পারে নতুন কর্মসূচি

    আলটিমেটাম শেষ, আসতে পারে নতুন কর্মসূচি

    সারাদেশে অবিলম্বে ইন্টারনেট চালু, কারফিউ তুলে দেওয়াসহ জরুরি চার দফা দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কদের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সেই আলটিমেটামের সময়সীমা শেষ হবে। আজকের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি দিতে পারে এই অংশটি। অন্যদিকে, নিজেদের ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ দেশব্যাপী গণসংযোগ করবে অপর পক্ষ।

    বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস ইসলাম বলেন, সারাদেশে অবিলম্বে ইন্টারনেট চালু করা, কারফিউ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে হল খুলে দেওয়া এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা প্রদান– এই চার দফা দাবিতে আমরা সরকারকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সেই আলটিমেটামের সময় শেষ হবে। এ দিন নতুন কর্মসূচি কী হতে পারে– তা নিয়ে দুপুরে আমরা বসব। এর পর বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব কিংবা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানাব।

    অন্যদিকে, ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির আরেকটি পক্ষ। গতকাল বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির ৫২ জন সমন্বয়ক যৌথভাবে এই বিবৃতি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া বুধবার দুপুরে ‘নিখোঁজ’ হওয়া সমন্বয়কদের খোঁজ পেতে বেলা ১১টা থেকে ১২টায় অন্তত ১০ মিনিট বাসাবাড়ি এবং অফিসের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছিল এই অংশটি। তবে তা করা হয়েছে কিনা– সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কর্মসূচি পালনের বিষয়ে জানতে এই পক্ষের সমন্বয়কদের ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

  • তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।

    কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এ কথা বলেন।

    ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ স্টেশন দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে, সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশটা যাতে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টাই করব। এদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে দেশ, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না। যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোন ধরনের মানসিকতা!

    ‘ঢাকা শহর যানজটে নাকাল, মেট্রো সেখানে স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।’, বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল, তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কিসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে, যা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।’

    ‘গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর ওপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল, তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে।’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

  • এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা স্থগিত 

    শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় চলমান এইচএসসির আগামী সপ্তাহের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলো আগামী ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট হওয়ার তারিখ ছিল। এ নিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৮টি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

    এর আগে, কোটা সংস্কার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের, পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।

    এইচএসসি পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে শুরু হয়।

  • আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি। এই আন্দোলনকে একটি অশুভচক্র ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

    বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে টিএসসিতে তিনি এ কথা জানান।

    হারুন অর রশীদ বলেন, ‘শুধু ষড়যন্ত্র নয় গাড়িতে আগুন, রেলের স্লিপার তুলে ফেলা, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা ও বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’

    ডিবিপ্রধান বলেন, ‘গতকাল রাতে বিএনপির অফিসে অভিযান পরিচালনা করে তাজা ককটেল, লাঠিসোঁটা ও অনেক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করি। কোমলমতি ছাত্রদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। এই গ্রুপটি অর্থ, আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও পানি সাপ্লাই দিয়ে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করছে। যারা এগুলো করেছে তাদের প্রত্যেকের নাম আমরা পেয়েছি। শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

    তিনি বলেন, ‘গতকালও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনেকের নাম বলেছেন।’

  • ঢাবিতে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন হাসপাতালে

    ঢাবিতে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন হাসপাতালে

    কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তা।

    বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে একে একে আহতের তাদেরকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুই জন হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের আফসানা জুঁই (২২) ও ইংরেজি বিভাগের আব্দুল হান্নান মাসুদ (২৪)।

    আহত সাংবাদিকরা হলেন- যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ি, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জানালিস্ট রতন মজুমদার, কালবেলা পত্রিকার আকরাম হোসেন ও জনি রায়হান, আলোকিত প্রতিদিনের ইমরান হোসেনসহ আরো কয়েকজন।

    লালবাগ থানার এসআই নাজমুজ্জামান জানান, ইডেন কলেজের ১ নম্বর গেট থেকে রিকশায় করে ফাঁড়িতে যাচ্ছিলেন আজিমপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ইব্রাহিম খলি। পথে নীলক্ষেত কোয়ার্টারের গেটে আন্দোলনকারীরা তাকে ধাওয়া হয়। ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে তার মাথায় গিয়ে আঘাত লাগে।

    ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাবির ভিসি চত্ত্বর, টিএসসি, শাহবাগ, নীলক্ষতসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আহত অন্তত ৩৫ জন এসেছেন চিকিৎসা নিতে। আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বেশ কয়েকজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।