Category: জাতীয়

  • বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি: মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ

    বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি: মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমানের উপর দাওয়াতি কাজ করা তথা আল্লাহর দিকে আহবান করা ফরজ। এটা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। এজন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। তাদের মন, মগজ ও চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি। নবী রাসূলগণ ও সাহাবা আজমাইনেরা ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ করতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব আল্লাহর রাহে বিলিয়ে দিয়েছেন। এজন্য সাতক্ষীরা জেলার সকল আলম ওলামাকে নিজেদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানীর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। শনিবার (১১নভেম্বর) সাতক্ষীরা আলামিন ট্রাষ্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    জেলা ওলামা বিভাগের বিভাগীয় সেক্রেটারী মাওলানা ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ড. মোঃ রুহুল আমিনের পরিচালায় ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শুরাসদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী।

    দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে জামায়াত বদ্ধ জীবনযাপন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর সঠিক আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। কারণ ইসলাম পরাজিত হওয়ার জন্য আসেনি, সকল মতবাদের ওপর বিজয়ের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে আমাদের জন্য পাঠিয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং জান ও মালের কোরবানীর মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ী করার প্রত্যয়ে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।

  • “অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ পুনর্নির্মাণ”

    “অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ পুনর্নির্মাণ”

    বাংলাদেশ সরকার, ইউএনডিপি এবং ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জের অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে অরেঞ্জ বন্ড প্রবর্তন উদ্যোগটি একাধিক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত সংগ্রহের লক্ষ্য রাখে, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জ (আইআইএক্স) এর সহযোগিতায় “অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ পুনর্নির্মাণ” শীর্ষক একটি উচ্চ-পর্যায়ের পরামর্শ সভার আয়োজন করেছে। সভায়- বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনর্নির্মাণকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একটি রূপান্তরমূলক আর্থিক উদ্ভাবন হিসেবে অরেঞ্জ বন্ডের প্রবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরামর্শ সভাটি দেশের আর্থিক সংস্কারের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে, যা স্থিতিশীলতা এবং বৃদ্ধি সৃষ্টিতে সহায়তা করে, পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা এবং জলবায়ু কার্যক্রমকে সমর্থন করে।

    গত (৭ ই নভেম্বর ২০২৪) বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সভায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), ইউএনডিপি ও ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেইঞ্জ (আইআইএক্স) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।

    অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, একটি নতুন আর্থিক ক্ষেত্র হিসেবে অরেঞ্জ বন্ড এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে, তখন বিদেশী সাহায্যের ঐতিহ্যগত প্রবাহের হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা নতুন টেকসই অর্থায়ন সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করবে। এই প্রেক্ষাপটে, অরেঞ্জ বন্ডের প্রবর্তন—একটি উদ্ভাবনী ক্রস-কাটিং অ্যাসেট ক্লাস— লিঙ্গ সমতা এবং জলবায়ু কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিবে। এটি উল্লেখযোগ্য সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং দেশের পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন পথ তৈরি করবে। তারা আরো বলেন, এই উদ্যোগটি একাধিক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত সংগ্রহের লক্ষ্য রাখে, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে যেমন তৈরি পোশাক (আরএমজি), কৃষি, এবং ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এমএসএমই) এর জন্য ব্যবহৃত হবে।

    অনুষ্ঠানে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অরেঞ্জ বন্ডের মতো টেকসই অর্থায়নের উদ্যোগের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার ইতিবাচক প্রভাবের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “মানুষ ঝুঁকি-কম নিতে পারে, এবং ব্যাঙ্কগুলি প্রায়ই রক্ষণশীল পন্থা অবলম্বন করে ও বড় ঋণ পছন্দ করে। যাইহোক, আমাদের এটি পরিবর্তন করার একটি সুযোগ আছে। গ্রহণযোগ্য ঝুঁকি পরিমাপ তৈরি করে এবং অপ্রয়োজনীয় বাধা দূর করে, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে প্রত্যেকের, বিশেষ করে নারী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তাদের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থানগুলিতে  প্রবেশগম্যতা  রয়েছে।”

    ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জ (আইআইএক্স) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (র্সিইও) দূররীন শাহনাজ বলেন, “অরেঞ্জ বন্ড শুধু একটি আর্থিক উপকরণ নয়; এটি লিঙ্গ সমতা, জলবায়ু কার্যক্রম এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির পক্ষে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ।”
    বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেছেন, “অরেঞ্জ বন্ড বাংলাদেশের বৃহত্তর টেকসই আর্থিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে, যা একটি স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে জলবায়ু পদক্ষেপে লিঙ্গ সমতাকে একীভূত করে আমরা  জনগণের জন্য নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করতে পারি, বিশেষ করে নারী ও এমএসএমইদের জন্য, যা দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এজেন্ডা অর্জনে সহায়তা করবে।”

    প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, এই উদ্যোগের বৈশ্বিক গুরুত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন “বাংলাদেশ অরেঞ্জ বন্ড উদ্যোগ টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের চেতনা প্রতিফলিত করে। এই এসডিজি-সঙ্গত বন্ডটি আমাদের সাহসী ঘোষণা-একটি সেতু, যা আমাদের বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারের সাথে যুক্ত করে এবং সেইসাথে যে সমস্ত মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জন্য সম্পদ পরিচালনা করে।”

    অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী অরেঞ্জ বন্ডের সফল বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা এবং প্রতিশ্রুতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন
    বাংলাদেশে অরেঞ্জ বন্ড প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি জ্ঞাপন করে উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় অরেঞ্জ অঙ্গীকার স্বাক্ষরের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

  • অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ

    অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ

    অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ আর খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে সোয়া দুই শতাংশ।

    বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

    এর আগে আগস্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কমার পর অক্টোবরে আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। আর গত জুলাইয়ে দেশে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হারে।

    বাংলাদেশ প্রায় দুই বছর ধরে ক্রমবর্ধমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের ওপরে আছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর।

  • নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহ্বান জানালেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

    নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহ্বান জানালেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

    প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বুধবার (০৬ নভেম্বর) সকালে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে সাংবাদিকদের দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্র বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দুরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। এছাড়াও বন্দরটির সাথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেল ও নৌযোগাযোগ রয়েছে। এজন্য মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে। বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হবে। এতে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী যেমন বাড়বে, তেমনি চট্টগ্রাম বন্দরের উপর চাপ কমবে বলে দাবি করেন এই উপদেষ্টা।

    তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতেও মোংলা বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও, বন্দরের প্রচার-প্রচারণা তেমন নাই। বন্দর বলতে মানুষ চট্টগ্রামকেই বোঝে, এই চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।এজন্য আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত ও বিদেশী এ্যাম্বাসি অফিসকে প্রচার প্রচারণা চালানোর অনুরোধ করেছি। সাথে সাথে সমুদ্রগামী সকল জাহাজ ও সমুদ্রকেন্দ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানকেও মোংলা বন্দরের প্রচার-প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে।

    এর আগে সকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সভা করেন উপদেষ্টা। পরে মোংলা পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন এলাকা, ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) ও বজ্র ব্যবস্থাপনা এলাকা পরিদর্শন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এরিয়া ও স্থায়ী বন্দর জেটি এলাকা পরিদর্শন করেন। মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। এছাড়া বন্দরের উন্নয়নে চলমান প্রকল্পসহ নতুন নতুন প্রয়োজনীয় নানা প্রকল্প গ্রহনের আশ্বাস দেন এই উপদেষ্টা।

     

  • সংস্কার কাজের জন্য তহবিলের কোনো অভাব হবে না

    সংস্কার কাজের জন্য তহবিলের কোনো অভাব হবে না

    সংস্কার কাজের জন্য তহবিলের কোনো অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সব উপায়ে সমর্থন করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

    বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা পামপোলিনি।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করে বলে পাওলা পামপোলিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। তিনি বলেন, ‘বার্তা খুব স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনার সঙ্গে আছে। আমরা আপনার সংস্কারকে সমর্থন করতে চাই।’

    পাম্পালোনি জানান, সংস্কার কাজের জন্য তহবিলের কোনো অভাব হবে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেওয়া হবে।

    প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান। গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েনের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন। সেসময় উরসুলা ভন ডের লিয়েন বাংলাদেশকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে প্রধান উপদেষ্টা জানান।

    পাম্পালোনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে অন্যান্য অনেক দেশকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছে।

    ‘আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আপনার ভাষণ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এখন আমাদের এমন একজন আছে যার সঙ্গে বাংলাদেশে কাজ করা যেতে পারে। আপনার একা বোধ করার দরকার নেই। আমরা সত্যিই সমর্থন করতে আগ্রহী,’ পাম্পালোনি বলেন।

    ইইউ কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে আরও বেশি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির আহ্বান জানান, যা আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং বাণিজ্য বাড়াবে।

    রাষ্ট্রদূত মিলার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ব্যবসার সুযোগ খুঁজতে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন।

    প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের শ্রম অধিকার সংস্কারে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আশ্বস্ত করেন, যা আরও বিনিয়োগ আনার পথ প্রশস্ত করবে।

    ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখি… কোনো লুকোচুরি থাকবে না। আমরা এই গেমটি আর খেলতে চাই না,’ ইইউ কর্মকর্তাদের বলেন তিনি।

    ইইউ কর্মকর্তারা বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।

    ‘এই প্রথমবারের মতো আমরা এমন কিছু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেখেছি যা আমরা সমর্থন করি। তাই, আমরা আপনার ওপর নির্ভর করছি,’ পাম্পালোনি বলেন।

    প্রধান উপদেষ্টা আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়াতে নেপাল ও ভারতের সঙ্গে কাজ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অনুরোধ করেন।

    তিনি জানান, নেপালের ব্যাপক জলবিদ্যুৎ রয়েছে, যা নষ্ট হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত অন্যান্যরাও এর থেকে উপকৃত হতে পারে।

    প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাংলাদেশের তরুণদের দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান এবং দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল দলে বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সাম্প্রতিক অর্জন তুলে ধরেন তিনি।

    ‘তারা এসেছে এবং জয় করেছে, শুধু একবার নয়, দুবার,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অনুপ্রাণিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটি ইউরোপীয় ফুটবল দল পাঠানোর অনুরোধও করেন তিনি।

  • এমআরপির চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি

    এমআরপির চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি

    তামাক কোম্পানি আইন ভঙ্গ করছে এবং রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে
    বাংলাদেশে সবধরনের পণ্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে বিক্রি হলেও তামাকজাত দ্রব্য বিশেষত
    সিগারেট সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে এভাবে
    অবৈধভাবে ব্যবসা করে তামাক কোম্পানিগুলো এবং ভোক্তার অধিকার হরণ করে আসছে।
    একইসঙ্গে ব্যবসায়িক নীতি না মেনে অবৈধভাবে ব্যবসার মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার হাজার
    কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন, এনবিআরের তদন্ত
    প্রতিবেদন থেকে প্রমাণ হয়েছে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছে মতো
    প্যাকেটে মুদ্রিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করছে। তামাক কোম্পনির
    প্রতিনিধিরা খুচরা বিক্রেতাদের কোনো ধরনের ট্রেডমার্জিন না দিয়ে সিগারেট
    বাজারজাত করে এবং ভোক্তাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করতে খুচরা বিক্রেতাদের প্ররোচিত
    করে। বাড়তি খুচরা বিক্রয়মূল্যটিও তামাক কোম্পনির প্রতিনিধিরাই নির্ধারণ করে দেয়।
    এভাবে সর্বোচ্চ খচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে তারা ভোক্তা অধিকার
    সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ করছে, একই সাথে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।
    বিভিন্ন গবেষণা ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট
    বিক্রির পিছনে সব সবচেয়ে বড় বাধা তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ। চলতি বছরের বাজেটে
    সিগারেটের চারটি স্তরে মূল্য বৃদ্ধি ও করহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশে সিহারেট সবচেয়ে বেশি
    বিক্রি হয় খুচরা সলাকায়। এজন্য সরকার সিগারেটের মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করেছে যাতে ১
    শলাকা সিগারেটের মূল্যে খুচরা পয়সা না থাকে। যা অত্যন্ত ইতিবাচক ছিলো। কিন্তু বরাবরের
    মতো এবারও তামাক কোম্পানিগুলো ১ শলাকা সিগারেটের মূল্যে ভাঙতি পয়সা রেখে মূল্য
    নির্ধারণ করেছে ভাঙতি পয়সার অংশটুকু বাড়িয়ে নিয়ে পূর্ণ টাকায় বিক্রি করছে। এর
    মাধ্যমে সরকারের নীতিকে আরও একবার লঙ্ঘন করে রাজস্ব ফাঁকির পাশাপাশি ভোক্তাদের অধিকার হরণ
    করা হচ্ছে।
    জাতীয় বাজেটে সিগারেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং
    সিগারেটের মূল্য নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোড সিগারেটের প্যাকেটে সর্বোচ্চ খুচরা
    মূল্য মুদ্রণ এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের অধিক মূল্যে কোন পর্যায়েই সিগারেট বিক্র না করা
    নিশ্চিত করতে আদেশ জারি করেছে। তার পরও তামাক কোম্পানির ভোক্তা অধিকার বিরোধি
    কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর গবেষণায় উঠে এসেছে কোম্পানিগুলো
    সিগারেটের প্যাকেটে একটি মূল্য (এসআরপি) লেখে, কিন্তু খুচরা বিক্রির সময় ৫% থেকে
    ২০% পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করে। সিগারেটে খুচরা বিক্রয় মূল্যের ওপর কর পরিশোধিত হয়।
    প্যাকেটে লেখা এমআরপি’র ওপর কর পরিশোধ করে ভোক্তা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি করলে বাড়তি
    দামের ওপর সরকার কোন রাজস্ব পায় না, এর পুরোটাই তামাক কোম্পানির মুনাফা হিসাবে জমা
    হয়। এভাবে তারা বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।
    আবার জাতীয় বাজেটে সরকার যখন সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করে তখন তারা আগের
    অর্থবছরেরমূল্য লিখিত (এবং আগের অর্থবছরের মূল্যে কর পরিশোধিত) সিগারেট নতুন
    বর্ধিত মূল্যে বিক্রি করে। এভাবে তারা আরো একবার ভোক্তা অধিকার হরণ করে এবং রাজস্ব ফাঁকি
    দেয়।
    তামাক কোম্পানিগুলো দেশের আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করবে বলেই প্রত্যাশা করি। কিন্তু
    দশকের পর দশক এভাবে আইন ভেঙ্গে অবৈধভাবে ব্যবসা করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি এবং ভোক্তাদের

    অধিকার লঙ্ঘন করছে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এসব তামাক কোম্পানি বিগত দিনে ফাঁকি
    দেয়া অর্থ ফেরত নেয়ার পাশাপাশি দ্রুত আইনের বাস্তবায়ন করা জরুরি। এ বিষয়ে অর্থ
    মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্রিয়
    ভূমিকা রাখতে হবে এবং পারস্পরিক সমন্বয় বাড়াতে জবে বলে আমরা মনে করি।

  • আপনারা কোনোদিন পরিষ্কার নদী দেখেননি

    আপনারা কোনোদিন পরিষ্কার নদী দেখেননি

    আপনারা কোনোদিন পরিষ্কার নদী দেখেননি: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

    পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এখনকার প্রজন্ম পরিষ্কার নদী দেখে নাই, পরিষ্কার খাল দেখে নাই। আমরা নদীর জন্য মন খারাপ করি, কারণ আমরা ছোটবেলায় পরিষ্কার নদী দেখেছি।

    নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা কোনোদিন পরিষ্কার নদী দেখেননি, নদী পরিষ্কার হলে এটা কেমন হয়! মানুষের কত কাজে লাগে এটা আপনারা জানেন না। আজকে আপনাদের হাত দিয়ে যে খালটা পরিষ্কার হবে, এই খালটা যেন আগামীতেও পরিষ্কার থাকে। আগামী দিনের নেতা হিসেবে এ দায়িত্বটা কিন্তু আপনাদেরকে নিতে হবে।

    শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর রামপুরা-জিরানী খাল পরিচ্ছন্নকরণ অভিযান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

    উপদেষ্টা বলেন, আজকে সারা দেশে ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ৬৪টি খাল/ জলাশয় পরিচ্ছন্নকরণ অভিযানের ধারণাটি এসেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এবং এটাই হচ্ছে যুবকদের শক্তি।

    তিনি বলেন, এই খাল পরিচ্ছন্নকরণ অভিযানে অংশ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ অনেকেই। যারা বলেন সরকারের মধ্যে সমন্বয় নেই, কো-অর্ডিনেশন নেই, আমরা কিন্তু তা আস্তে আস্তে ভুল প্রমাণ করেছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকের এই খাল পরিচ্ছন্নকরণ অভিযান অত্যন্ত সুসমন্বয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এটাই তার বড় প্রমাণ

  • হাতি গর্তে পড়েছে ভেবে চামচিকা লাথি মারছে: জিএম কাদের

    হাতি গর্তে পড়েছে ভেবে চামচিকা লাথি মারছে: জিএম কাদের

    জাতীয় পার্টিকে নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সমালোচনা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘হাতি গর্তে পড়েছে মনে করে চামচিকা লাথি মারছে। তাদের অনেকের রাজনীতি করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।

    পানিতে না নামলে তো সাঁতার কাটা শেখা যায় না। তারা তো এখনো পানিতেই নামেনি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের কথা বলছে। আমরা তাদের কোনো আস্ফালনে ভয় পায় না। তারা ভবছে, জাতীয় পার্টি না থাকলে জাতীয় পার্টির ভোটগুলো তারা পাবে। কিন্তু না আমরা না থাকলে আমাদের ভোটগুলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো বড়দলগুলো পাবে।’

    শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    আগামীকাল জাতীয় পার্টির সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিতে পারে এমন অভিযোগ প্রশ্নে জিএম কাদের বলেন, ‘কোনো লোক আসলে আমরা কি বেছে বেছে বাদ দিতে পারবো? আর এলে ওদের ক্ষতিটা কী? তারা তো বাংলাদেশের নাগরিক, তারা যাদি আসতে চায়।’

    এ সময় কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জনগণের জন্য রাজনীতি করছে ভবিষ্যতেও করবে। কোনো শক্তিই তাদের দমাতে পারবে না।’

    তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থাকা সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আন্দোলন হলেও দেশ এখনো দুইভাগে বিভক্ত। এ সময় জাতীয় পার্টিকে কাছে টানার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান জিএম কাদের।

    জি এম কাদের অভিযোগ করেন, ‘দেশ বিভক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কে দোষী, কে নির্দোষ তারা ঠিক করে দিচ্ছে। এই রকম করেছিল শেখ হাসিনা। শাসকগোষ্ঠী বিচারের ঊর্ধ্বে। অফিস জ্বালিয়ে দেবেন, আইনের আওতায় আনা যাবে না?’ তিনি দাবি করেন, ‘হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে মামলার নামে হেনস্তা করা হচ্ছে।’

    শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো আমরা আবারও বৈষম্যের শিকার বলে উল্লেখ করে জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘২ নভেম্বর আমাদের সমাবেশ হবেই। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে জীবন দেব। ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে।’

    বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা দাবি করে জি এম কাদের বলেন, ‘হামলার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। হাতি গর্তে পড়েছে বলে এখন চামচিকাও লাথি মারে। তবে আমরা ভিত নই।’

  • নির্বাচন হওয়া উচিৎ চার বছর পর :উপদেষ্টা আরিফ

    নির্বাচন হওয়া উচিৎ চার বছর পর :উপদেষ্টা আরিফ

    আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের(বিএসআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে  এমন এক অভিমত ব্যক্ত করেন হাসান আরিফ।
    যেখানে তিনি  বলেন চার বছর পর পর জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

  • ৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

    ৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

    যারা পবিত্র হজ পালন করতে চান তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এতদিন হজ প্যাকেজ না থাকায় অনেকে নিয়ত করলেও নিবন্ধন করেননি। এবার দ্রুত করে ফেলুন। ৩০ নভেম্বরের পর নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না।

    বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ‌ক সংবাদ সম্মেলনে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা।

    খালিদ হোসেন বলেন, সৌদি সরকারের তরফ থেকে বারবার বলেছে, দ্রুত তাঁবু বুকিং দেওয়ার জন্য। যেহেতু আমাদের হজ প্যাকেজ ঘোষণা হয়নি সেজন্য নিবন্ধন কম হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেখিয়ে নিবন্ধনের সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর আর বাড়ানো হবে না। কারণ সৌদি সরকারকে কতজন যাবে সেই তালিকা দিয়ে তাঁবু বুকিং দিতে হবে।

    এর আগে প্রথম দফায় নিবন্ধনের সময় শেষ হয় ২৫ আগস্ট। এরপর তা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যারা হজে যেতে চান তাদের তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, চলতি বছর হজের নিবন্ধনের শুরু হয় ১ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের হজ কোটা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালন করার সুযোগ পাবেন। তবে সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করলে সুবিধাজনক জোনে তাঁবু বরাদ্দ পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে রিট করা হয়নি: সারজিস

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে রিট করা হয়নি: সারজিস

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে কোনো রিট করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

    সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

    সারজিস আলম লিখেছেন, ‘দুইটি রিট করেছি। আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সেই বিষয়ে প্রথম রিট, আর এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সব অ্যাক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সেই বিষয়ে দ্বিতীয় রিট করা হয়েছে৷ তিনি আরও লিখেন, দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই।

    এর আগে, আজ সকালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

    বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে। রিটে আওয়ামী লীগ যাতে কোনো পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিটি চালাতে না পারে তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।

  • ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে নজর রাখছে গোয়েন্দারা

    ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে নজর রাখছে গোয়েন্দারা

    নিষিদ্ধ করার পর ছাত্রলীগ যাতে রাজধানীসহ দেশের কোথাও কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে সেই প্রস্তুতি নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

    নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে সংগঠনটি সভা-সমাবেশ করতে পারবে না। এমনকি গোপন কোনো স্থানে একাধিক সদস্য মিলিত হলেও তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সভা-সমাবেশ করলে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেওয়া হবে।

    এই দুটি আইনেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

    গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

    পরদিন বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্রলীগকে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। পুলিশও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তাদের দমনের। নিষিদ্ধের পর প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেশের কোথাও তারা ঝটিকা মিছিল বের করে কি না তা নজরে রাখছেন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

    জানতে চাইলে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিসেবে তারা  কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারবে না। করলে মামলা দেওয়া হবে।’

  • যমুনায় মুখোমুখি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান

    যমুনায় মুখোমুখি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর সম্পর্কে অবহিত করেন।

    যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে শুক্রবার দেশে ফেরেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল -উজ-জামান। সফরে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতরে শান্তিরক্ষা মিশনের সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যান সেনাবাহিনী প্রধান।

    এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- আইএসপিআর জানায়, সফরে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    এতে বলা হয়, ১৭ অক্টোবর সেনাবাহিনী প্রধান নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের প্রত্যেকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • অর্ধশতাধিক এসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

    অর্ধশতাধিক এসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

    রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এবার প্রশিক্ষণরত অর্ধশতাধিক ক্যাডেট উপপরিদর্শকের (এসআই) কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

    সোমবার (২১ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শৃঙ্খলার সাথে না বসার কারণে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

    কৈফিয়ত তলব করা ওই এসআইদের সবাই ৪০তম ক্যাডেট-২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত।

    পুলিশ একাডেমির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি ওই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়। তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চাকরি থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। এবার প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সাথে না বসার কারণে অন্তত ৫৯ জন এসআইকে শোকজ করা হয়েছে।

    একাডেমি সূত্র জানায়, ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে গত ২১ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। পরে ২৪ অক্টোবর তৃতীয় দফায় আরো ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো. তারেক বিন রশিদ কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেন।

    প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে ২৪ অক্টোবর দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সাথে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সাথে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করেন।’

    এতে আরো বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

    এর আগে ১০ এসআইকে গত ২১ অক্টোবর দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের একটি কপিতে দেখা গেছে, যেসব অভিযোগে ২৪ অক্টোবর এসআইদের নোটিশ দেয়া হয়েছে, একই অভিযোগ ২১ অক্টোবরের চিঠিতেও। চিঠিতে বলা হয়, ১৬ অক্টোবর ওই একই সময়ে জিমনেসিয়ামে ‘এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং ইন অর্ডার টু ফেইস পলিটিক্যাল এইমড’ বিষয়ে ক্লাস ছিল।

    সেদিন বিশেষ অতিথি বক্তা ছিলেন পুলিশ একাডেমির সাবেক অধ্যক্ষ মো. নজিবুর রহমান। সেদিন এই এসআই শৃঙ্খলার সাথে না বসে এলোমেলোভাবে বসেন এবং হইচই করেন। তাকেও তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।

    তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. মাসুদুর রহমান ভূঞার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • আন্দোলন হলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না সরকারি চাকরির বয়সে

    আন্দোলন হলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না সরকারি চাকরির বয়সে

    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন বয়স আরও বাড়ানো নিয়ে আন্দোলন হলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

    তিন বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষা নয়, এ বিষয়ে জানতে চাইলেন তিনি বলেন, একই ব্যক্তি বারবার পরীক্ষা দিলে সবাই সুযোগ নাও পেতে পারে। সেসব বিষয় বিবেচনা করে সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। অবসরের সময় নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

    এর আগে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়স নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ অবসরের বয়স এখন যা আছে, তা-ই থাকবে।

    সভায় ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমার বিষয়টি রয়েছে।

    বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী।

  • রেকর্ড ৩৪৬০ শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি হবে ৪৭তম বিসিএসে

    রেকর্ড ৩৪৬০ শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি হবে ৪৭তম বিসিএসে

    ৪৭তম বিসিএসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আগামী নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ বিসিএসে কত শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে, তা জানতে চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল পিএসসি।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসির সেই চিঠির জবাবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। তাতে ৪৭তম বিসিএসে মোট ৩ হাজার ৪৬০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    পিএসসির তথ্যানুযায়ী, এবারের শূন্যপদের সংখ্যাটি বিগত ১০টি বিসিএসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ৪৬তম বিসিএসে ৩ হাজার ১০০ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি, যা এ বিগত ১০ বিসিএসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। সেই রেকর্ডও এবার ছাড়িয়ে গেলো।

    এদিকে, পিএসসিতে পাঠানো চিঠিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে প্রবেশের পদে নিয়োগের জন্য ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগসমূহের চাহিদা মোতাবেক তিন হাজার ৪৬০টি শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি জারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    কোন বিসিএসে কত শূন্যপদ ছিল
    সবশেষ ৪৬তম বিসিএসে শূন্যপদ ছিল ৩ হাজার ১০০টি। তার আগে ৪৫তম বিসিএসে ২ হাাজর ৩০৯টি, ৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৭১০টি, ৪৩তম বিসিএসে ১ হাজার ৮১৪, ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ৫২০, ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯, ৩৮তম বিসিএসে ২ হাজার ২৪, ৩৭তম বিসিএসে ১ হাজার ২২৬, ৩৬তম বিসিএসে ২ হাজার ১৮০টি, ৩৫তম বিসিএসে ১ হাজার ৮০৩টি এবং ৩৪তম বিসিএসে ২ হাজার ১৫৯টি।

    তবে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে প্রায় ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছিল। সাধারণ বিসিএসের সঙ্গে সেটিকে তুলনা করা হয় না বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র।

  • রাবির ভর্তি পরীক্ষা পাঁচ বিভাগীয় শহরে

    রাবির ভর্তি পরীক্ষা পাঁচ বিভাগীয় শহরে

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম এই পাঁচটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। গত প্রশাসনের আমলে এই পাঁচটি বিভাগের মধ্যে রংপুর ছাড়া বাকিগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    সর্বশেষ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নতুন করে রংপুর বিভাগকে যুক্ত করে পাঁচটি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।

    সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম এই পাঁচ শহরে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত প্রশাসনের আমলে রাজশাহীর বাইরে তিনটি আঞ্চলিক কেন্দ্র করা হয়, সেখানে রংপুরকে রাখা হয়নি। যার ফলে নতুন করে রংপুরকে আমরা একাডেমিক সভায় প্রস্তাবের ভিত্তিতে নতুন করে আঞ্চলিক কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।’

    এর আগে, গত ৩০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকার অভ্যন্তরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র বাড়ানোর কথাও হয়।
    প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে রংপুরকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রংপুর বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

  • সচিবালয়ে যাওয়া ৫৩ শিক্ষার্থী আটক!

    সচিবালয়ে যাওয়া ৫৩ শিক্ষার্থী আটক!

    বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে  এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় প্রকাশ এবং ফলাফলে ত্রুটি সংশোধনের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের দুটি প্রিজন ভ্যানে তাদের তোলা হয়েছে।

    এর আগে বেলা ৩টায় ফলাফল বাতিল ও পুনরায় মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে ৬ নাম্বার ভবনের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, মুগ্ধের বাংলায়- বৈষম্যের ঠাঁই নাই, তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র; আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
    তখন আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের স্লোগান বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান সচিবালয়ে দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

    একাধিক শিক্ষার্থীদের কথা হলে তারা জানান, আমরা সমতার ভিত্তিতে ফলাফল চাই। বোর্ড থেকে কাউকে ভালো ফলাফল দেওয়া হয়েছে আর কাউকে কম। অথচ আমরা ভালো লিখেছি। আমরা চাই দ্রুত সময়ে এই ফলাফল বাতিল করে বঞ্চিতদের পুনরায় মূল্যায়ন করা হোক।