Category: জাতীয় নাগরিক পঞ্জি

  • বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    ডেক্স রিপোর্ট :

    মোহাম্মদ নাসিম (২ এপ্রিল ১৯৪৮ – ১৩ জুন ২০২০) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালেও স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে ছিলেন।

    জন্ম ও শিক্ষা জীবন

    মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী[৩] এবং মাতা আমেনা মনসুর। পিতা মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[৪]

    পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

    রাজনৈতিক জীবন

    ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

    ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতির জীবন শুরু হলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি প্রভাবে তিনি ছাত্রলীগে যোগদান করেন। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। ১৯৮১ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাসিম। ওই সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সালের আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ একটি ছিল। এরপর থেকে বিভাগভিত্তিক সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। ২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। পরপর তিন মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৮৬ সালে নাসিম প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন (কাজীপুর) থেকে পাঁচবার বিজয়ী হন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ১/১১ সরকারের দেওয়া মামলার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। ঐ নির্বাচনে তার সন্তান তানভীর শাকিল জয় দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে নাসিমকে মনোনয়ন পান এবং বিজয়ী সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন।

    ব্যক্তিগত জীবন

    পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।

    মৃত্যু

    রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ২০২০ সালের ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। ওই দিনই কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে তার। এর চার দিন পর, চিকিৎসার সময় তার ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এরপর ৪ জুন অবস্থার উন্নতি হয়, তবে পুনরায় ৫ জুন ভোরে তিনি বড় ধরনের স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে আইসিইউতে রাখা হয়। তার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বোর্ড গঠিত হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এর মধ্যে পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস অনুপস্থিত পাওয়া যায়। ১২ জুন পরপর কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকার পরে পুনরায় অবস্থার অবনতি ঘটে। আজ ১৩ই জুন ঢাকায় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

  • সিএএ-কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক, সুপ্রিম কোর্টে মামলা কেরল সরকারের

    সিএএ-কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক, সুপ্রিম কোর্টে মামলা কেরল সরকারের

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হোক, এই আর্জি জানিয়েই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল কেরল সরকার। গত বছরের ডিসেম্বরে বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছিল পিনারাই বিজয়নের সরকার।

    বিজয়ন বলেন, “স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আমাদের রাজ্যে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। ধর্মনিরপেক্ষতার একটা নিদর্শন এই রাজ্য। শুরু থেকেই এ রাজ্যে গ্রিক, রোমান, আরবীয়, খ্রিস্টান, মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বাস করছেন। এটা আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে কখনওই নষ্ট হতে দেব না।”

    সিএএ প্রয়োগ করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিজয়ন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংসদের দুই কক্ষে সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কেরলেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে।”  

    সিএএ প্রয়োগ করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিজয়ন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংসদের দুই কক্ষে সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কেরলেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে।”   সুত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

  • মোদি ঠিক, ভারতজুড়ে এনআরসি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, পিছু হটলেন অমিত শাহ

    মোদি ঠিক, ভারতজুড়ে এনআরসি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, পিছু হটলেন অমিত শাহ

    মোদিই ঠিক। দেশের সর্বত্র জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) করা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ঝাড়খণ্ডে গোহারা হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল চাপের মুখে পিছু হটে একথা জানালেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে অবশ্য দেশজুড়ে এনআরসি হবে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু গত রবিবার দিল্লির জনসভায় ভিন্ন সুর শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়। মোদি বলেছিলেন, সারা দেশে এনআরসি করা নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। যার পরেই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। ছড়ায় নানান জল্পনা। তীব্র আক্রমণে নামেন বিরোধীরাও। মোদির ভাষণের দু’দিনের মধ্যেই নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেন অমিত শাহ। জানিয়ে দিলেন, দেশজুড়ে এনআরসি চালুর বিষয়ে সংসদ বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি। সঙ্গে আরও বলেছেন, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি (এনপিআর) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) মধ্যেও কোনও সম্পর্ক নেই।
    ২০২১ সালে দেশজুড়ে শুরু হবে জনগণনা। তার আগে চলবে এনপিআরে তথ্য সংযোজনের কাজ। মঙ্গলবার এই প্রস্তাবেই সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তারপরেই এদিন সংবাদসংস্থার মুখোমুখি হয়ে এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ জানিয়েছেন, এনপিআরের মাধ্যমে যে তথ্য সংগৃহীত হবে, তা কখনই এনআরসিতে ব্যবহার করা হবে না। কারণ দু’টির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতি ১০ বছর অন্তর দেশে জনগণনা করা হয়। অন্যদিকে, দেশের বাসিন্দাদের তালিকা তৈরি করা হয় এনপিআরের মাধ্যমে। এক রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে কত মানুষ বসবাস করছেন, তা জানতেই এনপিআর করা হচ্ছে। শাহ বলেন, ‘এটি একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। কংগ্রেস সরকারের আমলেও তা হয়েছে। এটা আমাদের ইস্তাহারের কোনও বিষয় নয়। আমরা এনিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতিও দিইনি। কংগ্রেস খুব ভালো একটি কাজ শুরু করেছিল। এনডিএ সরকার শুধুমাত্র পূর্বতন সরকারের পদাঙ্কই অনুসরণ করছে মাত্র।’
    সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দেশের বাসিন্দাদের নাম এনপিআরে নথিভুক্ত করা হয়। এর উপর ভিত্তি করেই গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল সরকার জানিয়েছে, তারা নিজেদের রাজ্যে এনপিআর করবে না। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিনারাই বিজয়নের কাছে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছেন অমিত শাহ। বলেছেন, এনিয়ে কোনও পক্ষেরই রাজনীতি করা উচিত নয়। এনপিআরের মাধ্যমে উপকৃত হবে দেশের গরীব মানুষরাই।
    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। তার মধ্যেই লোকসভায় দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সারা দেশে এনআরসি হবে। এমনকী, ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও একই দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু গত রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে দাঁড়িয়ে মোদি জানিয়ে দেন, দেশজুড়ে এনআরসি করার বিষয়টি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। মোদির এই বক্তব্যের দু’দিনের মধ্যেই ভোলবদল করলেন তাঁর সরকারের ‘নাম্বার টু’। বদলে গেল সুর।

  • বিজেপি হিন্দু-মুসলমান বিভাজন চাইছে, মোদি ঔদ্ধত্য ছাড়ুন: মমতা

    বিজেপি হিন্দু-মুসলমান বিভাজন চাইছে, মোদি ঔদ্ধত্য ছাড়ুন: মমতা

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং এনআরসি ইস্যুকে বিজেপি হিন্দু-মুসলমানে ভাগ করতে চাইলেও, ওই দুই আইনের বিরোধিতা গোটা দেশের মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী লাগাতার আন্দোলনে মঙ্গলবার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে বেলেঘাটার গান্ধী ভবন পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুরে সিমলা স্ট্রিট থেকে মিছিলের সূচনার আগে মমতা বলেন, ‘দেশের সর্বস্তরের মানুষ সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। বিজেপি এটাকে হিন্দু-মুসলমানে ভাগ করতে চাইছে। আমরা এই আন্দোলন করছি ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’র জন্য। অখণ্ড ভারতের সব মানুষের আন্দোলন এটা।’
    নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের নাম না করে এদিন মমতা বলেন, হোম মিনিস্টার সংসদে বলেছেন, সিএএ এবং এনআরসি দেশজুড়ে হবেই। আবার প্রাইম মিনিস্টার বলছেন, কই! আমরা তো এসব বলিনি। কী অদ্ভূত। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কে কী বলেছি, তা তো ‘পাবলিক ডোমেইন’-এ রয়েছে। আপনি কী বলেছেন, আর আমরা কী বলছি, সব জানতে পারছে মানুষ। ঔদ্ধত্য ছাড়ুন, অহঙ্কার ছাড়ুন। মমতার এই খোঁচার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এদিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীই ঠিক বলছেন। দেশজুড়ে এনআরসি হওয়ার কোনও কথাই মন্ত্রিসভায় হয়নি। প্রসঙ্গত, গত রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের সভায় নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, দেশজুড়ে এখনই এনআরসি করার কোনও পরিকল্পনা নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ভোলবদলকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
    সিএএ এবং এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে যোগী সরকারকে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, বড় বড় কথা! বাংলায় নাকি আইনের শাসন নেই! উত্তরপ্রদেশে তো আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। ১৬ জনকে গুলি করে মেরেছেন। আমাদের দলের প্রতিনিধিরা আক্রান্ত মানুষের পাশে যেতে চেয়েছিলেন। লখনউ বিমানবন্দর থেকে বাইরেই বের হতে দিল না। এরপরই সুর চড়িয়ে জে পি নাড্ডার নাম না করে তাঁর কলকাতার মিছিল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দিল্লি থেকে একজন উড়ে এল। বাবুরা হাঁটতেও পারেন না। গায়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা। গাড়িতে চেপে মিছিল করে গালিগালাজ দিয়ে টা টা করে চলে গেল। মমতার কথায়, আমরা বলছি সিএএ টা টা, এনআরসি টা টা। দৃশ্যত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমাদের প্রতিনিধিদের আটকে দিল। আমরাও তো পারতাম আটকাতে, কিন্তু তা করিনি। মানুষই এর জবাব দেবে। মহারাষ্ট্রে যোগ্য জবাব দিয়েছে। ঝাড়খণ্ডেও মিলেছে উপযুক্ত জবাব। ঝাড়খণ্ড, বিজেপি লণ্ডভণ্ড। ঝাড়ের উপর ঝাড়। এটাই মানুষের প্রতিবাদ, গণতন্ত্রের ঝাড়লন্ঠন।

  • বিক্ষোভে জ্বলছে উত্তরপ্রদেশ, মৃত ৬, গুলি চালায়নি, দাবি পুলিশের

    বিক্ষোভে জ্বলছে উত্তরপ্রদেশ, মৃত ৬, গুলি চালায়নি, দাবি পুলিশের

    দিনভর উত্তরপ্রদেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে প্রাণ হারালেন অন্তত ৬জন। সূত্রের খবর, বিজনৌরে দু’জন এবং সম্বল, ফিরোজাবাদ, মেরঠ ও কানপুরে একজন করে বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে গুলি চালানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের মধ্য়ে থেকেই গুলি চলেছে।

    উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিংহ বলেন, ‘‘আমরা একটা গুলিও চালাইনি। যদি গুলি চলে থাকে, তাহলে তা বিক্ষোভকারীদের মধ্য়ে থেকেই চলেছে।’’

    সরকারি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে শুক্রবার ফের বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায়। ফিরোজাবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সেইসময় পুলিশের গুলিতে এক জন প্রাণ হারান বলে জানা গিয়েছে।

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালেও বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর-সহ একাধিক জায়গায় পথে নামেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে ব্যাপক ভাঙচুরও চলে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়িতে। পরিস্থিতি  সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের।

  • সিএএ বাতিল করুন, মোদীকে ‘আবেদন’ মমতার, অন্য সুর ‘গণভোট’ নিয়েও

    সিএএ বাতিল করুন, মোদীকে ‘আবেদন’ মমতার, অন্য সুর ‘গণভোট’ নিয়েও

    এক দিকে সিএএ বিরোধী বার্তা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে। অন্য দিকে, সুর কিছুটা নরম বৃহস্পতিবারের ‘গণভোট’ মন্তব্য প্রসঙ্গে। দলীয় বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুক্রবার এই অবস্থানই নিলেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    সিএএ (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন) এবং এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি)-র বিরোধিতা যেমন চলছিল, তেমনই যে লাগাতার চালিয়ে যেতে হবে, এ দিনের বৈঠকে সে কথা দলকে জানিয়ে দিয়েছেন নেত্রী। তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত সব বিধায়ক ও সাংসদকে এ দিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। ডাকা হয়েছিল জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকেও। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানান সে কথা। তবে এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের প্রতি মমতার আক্রমণের সুর ছিল অপেক্ষাকৃত নরম। অমিত শাহকে নিয়ে সে ভাবে কোনও মন্তব্য এ দিন করেননি তিনি। আর প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্দেশে তাঁর আবেদন— ‘‘আপনি গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী, আপনি শুধু বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নন। আপনাকে আমি অনুরোধ করব, দয়া করে সিএএ এবং এনআরসি বাতিল করুন।’’