Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
খুলনা Archives - Page 5 of 7 - Daily Dakshinermashal

Category: খুলনা

  • পাইকগাছা আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল

    পাইকগাছা আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল

    পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বার্ষিক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার পৌরসভা মাঠে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় দলীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আ’লীগনেতা আলহাজ¦ শেখ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান গাজী, নাহার আক্তার, আ’লীগনেতা রতন ভদ্র, উপাধ্যক্ষ আফছার আলী, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার, দিবাকর বিশ্বাস, রুহুল আমিন বিশ্বাস, রিপন কুমার মন্ডল, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, গোপাল চন্দ্র ঘোষ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ রবেন্দ্রনাথ সরকার, উপাধ্যক্ষ সরদার মোহাম্মদ আলী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু, জেলা যুবলীগনেতা শেখ আনিসুর রহমান মুক্ত, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডঃ এফএমএ রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক এম. মোসলেম উদ্দীন আহম্মেদ, সহ-সভাপতি তৃপ্তি রঞ্জন সেন। প্রভাষক বজলুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আ’লীগনেতা আলহাজ¦ মুনছুর আলী গাজী, আব্দুল হাকিম গোলদার, গাজী মিজান, সরদার গোলাম মোস্তফা, গোলক বিহারী মন্ডল, শেখ হেদায়েত আলী টুকু, গোলাম রব্বানী, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, জামাল উদ্দীন, আফছার উদ্দীন মোল্লা, মোঃ দাউদ শরীফ, কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু, ইউপি সদস্য শেখ রেজাউল করিম, ইজাহার আলী, যুবলীগনেতা শেখ শহিদ হোসেন বাবুল, শেখ আব্দুস সাত্তার, শেখ মাসুদুর রহমান, আজিবর রহমান, জগদীশ চন্দ্র রায়, আসিফ ইকবাল রনি, জাহিদুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস,এম, মশিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক তানজিম মোস্তাফিজ বাচ্চু, পৌর সভাপতি মাসুদ পারভেজ রাজু, সাধারণ সম্পাদক রায়হান পারভেজ রনি। উপস্থিত ছিলেন দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওঃ রইসুল ইসলাম।

  • মনের কষ্টে হাসপাতাল ছাড়লেন পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার

    মনের কষ্টে হাসপাতাল ছাড়লেন পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার

    পাইকগাছা প্রতিনিধি: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের অসৌজন্যমূলক আচরণে এবং তাদের অবহেলার কারণে মনের কষ্টে হাসপাতাল ছেড়েছেন পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার।
    প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সরকারিভাবে বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে আবুল বাজনদারকে চিকিৎসা দেয়া হলেও প্রায় ১ বছর ধরে তার ও তার পরিবারের প্রতি ডাক্তার, নার্স ও খাদ্য সরবরাহকারীদের অযতœ, অবহেলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণে মনের কষ্টে হাসপাতাল ছেড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, সে নিজের ইচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে।
    উল্লেখ্য, পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়াারি ঢাকা মেডিকেলে বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে সরকারিভাবে ভর্তি হয়। সেখানে ২ বছর ৪ মাস চিকিৎসা শেষে ডাক্তার, নার্স ও খাবার পরিবেশনকারীদের অযতœ, অবহেলার কারণে হাসপাতাল ছেড়ে তারা বাড়ী ফিরেছে বলে বাজনদারের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার দু’হাত ও দু’পায়ে প্রচন্ড শিকড় গজায়। যাতে তার হাত-পায়ের ওজন কমপক্ষে ১৫ কেজি হয়। বিরল এ রোগ নিয়ে দেশী-বিদেশী প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভর্তি করা হয় উক্ত হাসপাতালে। গত ২৬ মে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে আসার পর কথা হয় আমাদের এ প্রতিনিধির সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, তার ২৫টি অপারেশন হয়েছে। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তাররা বলেছে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়। যখন বাড়বে তখন অপারেশন করতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হেদায়েত হোসেন ও নুরুন্নাহার লতা আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করত। এ কারণে আমি ক্ষোভে, দুঃখে হাসপাতাল ছেড়ে আসেছি।
    মেডিকেলের চিকিৎসক ডা. শামন্তলাল সেন বলেন, আবুল বাজনদারের রোগ নিরাময়যোগ্য। তার চলে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। তবে সরকারিভাবে তার সাথে যোগাযোগ রাখা অব্যাহত রয়েছে। সে যখনই আসবে তখনই তাকে চিকিৎসা করানো হবে।

     

  • পাইকগাছায় ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

    পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযানে রোববার রাতে একটি চিংড়ি ঘেরের বাসা থেকে ২জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো লস্কর গ্রামের আব্দুল হামিদ গোলদারের ইয়াবা ব্যবসায়ী ছেলে বিল্লাল গোলদার (৩০), ইন্তাজ মোল্যার গাঁজা ব্যবসায়ী ছেলে সালাম মোল্লা (৩৫)। মাদকদ্রব্য মামলায় পুলিশ তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে বলে ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান।
    আগরদাঁড়ীতে শ্বশুর

  • খুলনাতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি

     

     

     

     

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক আজ একটি পরিদর্শনমূলক বাজার অভিযান মহানগরীর লবণচোরা এবং জিরো পয়েন্ট এলাকায় পরিচালিত হয়। অভিযানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরী, তৈরীকৃত আইসক্রীমের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও মূল্য উল্লেখ না থাকা এবং ক্ষতিকর ডাইং রং মিশিয়ে আইসক্রীম তৈরী করার অপরাধে কুদরতী লাচ্ছা সেমাই-কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ১৯,৫০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। লাচ্ছা সেমাই এর পাশাপাশি তারা আইসক্রীমও তৈরী করে।

    এছাড়া প্যাকেটের গায়ে মূল্য ও উৎপাদনের তারিখ না থাকায় সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী-কে আইন অনুযায়ী ১,০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। মোট আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ২০,৫০০/- (বিশ হাজার পাঁচশত) টাকা। জরিমানার অর্থ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলি স্বেচ্ছায় পরিশোধ করেন। উপস্থিত জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য তাদের মাঝে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়।

    অভিযানে সকলকে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব। এছাড়া সার্বিক সহায়তা ছিলেন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), খুলনা-এর প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তায় ছিলেন এপিবিএন, খুলনা-এর সদস্যবৃন্দ।

     

  • কয়রায় ২১ জলমহলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ টাকা

    কয়রা সংবাদদাতা ঃ  কয়রায় ২১ টি জলমহলে খাস আদায়ে বিগত বছরের চেয়ে সরকারি রাজস্বের টাকা কমেছে ১১ লক্ষাধীক টাকা। অথচ উক্ত ২১ টি জলমহলে বিগত বছরে অথ্যাৎ বাংলা ১৪২৪ সনে আদায় হয়েছিল ১৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫ শত টাকা এবং এবার সেই একই জলমহলে ১৪২৫ সনে খাস আদায় হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮ শত টাকা। ফলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ ১২ হাজার ৭ শত টাকা।

    উল্লেখ্য প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও খাস আদায়যোগ্য জলমহলের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে মাইকিং সহ নোটিশ বোর্ডে ২১ টি জলমহলের তালিকা টানানো হয় এবং সেখানে মৌজার নাম, জলমহলের আয়তন, সায়রত কেস নং, খাস আদায়ের সন এবং বিগত বছরের স¤া¢ব্যমূল্য উল্লেখ করা হয়্।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক হয়ে প্রচার করেন এবং সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে সর্বসাধারনের উপস্থিতিতে ওপেন ডাক শুরু হয়। কিন্তু ডাক শুরু হওয়ার সাথে সাথে  কতিপয় যুবক সাংবাদিক আকতারুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মাসুদ রানা এবং মঠবাড়ী গ্রামের আল আমিন সহ অনেক কে নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ধমক দিয়ে না ডাকার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়া সাধারণ মানুষ, জেলে, মৎস্য ব্যাবসায়ীকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং অনেককে ভয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে উপজেলা পরিষদে জলমহল ডাকার সময় দু’দফায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিন্তু তখন জলমহল ডাকার মত সাধারণ কোন মানুষ উপস্থিত ছিল না। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম বাহারুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা জলমহল ডাক থেকে সবাইকে বঞ্চিত করে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তিনি জলমহল পূনরায় সেল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন জানান, তিনি উক্ত জলমহল কিনতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ছাত্রলীগ তাকে পাগল বলে বের করে দিয়েছে। এ সম্পার্কে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোহসিন রেজা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ সহ কতিপয় ব্যক্তি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে এসব জলমহল ভাগাভাগি করে নিয়েছে এবং সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়েছেন এবং এজন্য তিনি উপজেলা প্রশাসন কে দায়ী করে পূনরায় টেন্ডার ডাকার দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য হড্ডা গ্রামের হোগলার খাল ১৪২৪ সনে ৩৬৯৬০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এবং এবার মাত্র ৭১০০০ টাকা। চরামুখা গ্রামের শিংজোড়া খাল ১৪২৪ সনে ১৭৬১৫৭ টাকা এবার মাত্র ১১০০০ টাকা। অর্জুনের খাল ১৪২৪ সনে ১৫২২৫০ টাকা এবার মাত্র ১৭০০০ টাকা। আমাদী খাল ১৪২৪ সনে ১২৫০৭৫ টাকা এবার মাত্র ৩১০০০ টাকা। অনুরুপ প্রতিটি খালে সরকারি রাজস্ব কমায় বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ছাত্রলীগের বাধার মুখে কয়রায় ২১ জলমহলের সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ টাকা
    কয়রা সংবাদদাতা ঃ ব্যাপক অনিয়ম আর ছাত্রলীগের বাধার মুখে কয়রায় ২১ টি জলমহলে খাস আদায়ে বিগত বছরের চেয়ে সরকারি রাজস্বের টাকা কমেছে ১১ লক্ষাধীক টাকা। অথচ উক্ত ২১ টি জলমহলে বিগত বছরে অথ্যাৎ বাংলা ১৪২৪ সনে আদায় হয়েছিল ১৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫ শত টাকা এবং এবার সেই একই জলমহলে ১৪২৫ সনে খাস আদায় হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮ শত টাকা। ফলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ ১২ হাজার ৭ শত টাকা। উল্লেখ্য প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও খাস আদায়যোগ্য জলমহলের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে মাইকিং সহ নোটিশ বোর্ডে ২১ টি জলমহলের তালিকা টানানো হয় এবং সেখানে মৌজার নাম, জলমহলের আয়তন, সায়রত কেস নং, খাস আদায়ের সন এবং বিগত বছরের স¤া¢ব্যমূল্য উল্লেখ করা হয়্। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক হয়ে প্রচার করেন এবং সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে সর্বসাধারনের উপস্থিতিতে ওপেন ডাক শুরু হয়। কিন্তু ডাক শুরু হওয়ার সাথে সাথে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় যুবক সাংবাদিক আকতারুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মাসুদ রানা এবং মঠবাড়ী গ্রামের আল আমিন সহ অনেক কে নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ধমক দিয়ে না ডাকার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়া সাধারণ মানুষ, জেলে, মৎস্য ব্যাবসায়ীকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং অনেককে ভয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে উপজেলা পরিষদে জলমহল ডাকার সময় দু’দফায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিন্তু তখন জলমহল ডাকার মত সাধারণ কোন মানুষ উপস্থিত ছিল না। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম বাহারুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা জলমহল ডাক থেকে সবাইকে বঞ্চিত করে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তিনি জলমহল পূনরায় সেল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন জানান, তিনি উক্ত জলমহল কিনতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ছাত্রলীগ তাকে পাগল বলে বের করে দিয়েছে। এ সম্পার্কে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোহসিন রেজা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ সহ কতিপয় ব্যক্তি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে এসব জলমহল ভাগাভাগি করে নিয়েছে এবং সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়েছেন এবং এজন্য তিনি উপজেলা প্রশাসন কে দায়ী করে পূনরায় টেন্ডার ডাকার দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য হড্ডা গ্রামের হোগলার খাল ১৪২৪ সনে ৩৬৯৬০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এবং এবার মাত্র ৭১০০০ টাকা। চরামুখা গ্রামের শিংজোড়া খাল ১৪২৪ সনে ১৭৬১৫৭ টাকা এবার মাত্র ১১০০০ টাকা। অর্জুনের খাল ১৪২৪ সনে ১৫২২৫০ টাকা এবার মাত্র ১৭০০০ টাকা। আমাদী খাল ১৪২৪ সনে ১২৫০৭৫ টাকা এবার মাত্র ৩১০০০ টাকা। অনুরুপ প্রতিটি খালে সরকারি রাজস্ব কমায় বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

  • ঘরে ফিরতে পারেনি অনেকেই

    ঘরে ফিরতে পারেনি অনেকেই

    ঘূর্ণিঝড় আইলার ৯ বছরে খুলনার কয়রা উপজেলার শত কিলোমিটার ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ অধিকাংশই অরক্ষিত থাকায় যে কোন মহুর্তে ঘটে যেতে পারে আরও একটি আইলা। ৯ বছর আগে জৈষ্ঠের এক দুপুরে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকুলবর্তী এলাকায় আঘাত এনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সে দিন সামুদ্রিক জলোচ্ছাসে উপকূল এলাকায় ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ ভেঙ্গে প্রবাল জোয়ারে লবন পানি ঢুকে পড়ে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে এবং ভেসে যায় হাজার হাজার ঘরবাড়ী, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ পানিতে ভেসে মারা যায় বৃদ্ধ ও শিশু সহ ৪১ জন। ধ্বংস হয় অধিকাংশ পাকা ও কাচা রাস্তা তবে ক্ষতির পরিমাণ আজও প্রকাশ করেনি সরকারি অথবা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান। এছাড়া গৃহ হারা অনেকেই আজও বাস করছে ওয়াপদা বেঁড়ীবাঁধ অথবা সরকারি কোন জায়গায়। ২৫ মে ২০০৯ দুপুরে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে আইলার পানিতে ভেসে যায় কয়রা সদর, মহারাজপুর, উঃবেদকাশি, দঃবেদকাশি, মহেশ্বরীপুর ও বাগালী ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে অনেক এলাকায় আইলার স্মৃতি এখনও বহন করে চলেছে রাস্তাঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির ও নিম্ম মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরবাড়ী। এছাড়া উল্লেখযোগ্য ভাবে আইলার স্মৃতি আজও বয়ে চলেছে সর্বনাসা পবনা বাঁধের পাশ্ববর্তী পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামে। এখানে প্রতাপ স্মরণী হাইস্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ উত্তরচক কামিল মাদ্রাসায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম খেয়া নৌকা পারাপার। অথচ পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামের এই রাস্তাটি ইট বিছানো পাকা রাস্তা ছিল এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় চলাচল করত প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হজার মানুষ কিন্তু সেখানে এখন ৪০ থেকে ৫০ ফুট পানি থাকায় পাশাপাশি ৩ টি খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শতশত কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে এসব খেয়া নৌকায় পারাপার হতে। কিন্তু আইলার ৯ বছর পরও নির্মাণ হয়নি মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামের এই রাস্তাটি। অনুরুপ আইলায় গৃহহারা হয়ে ৪নং কয়রা লঞ্চঘাটের পাশে, পবনা, দশাহালিয়া ও পাতাখালী গ্রামে বেঁড়ীবাঁধের উপর আজও অনেকেই বাস করছে। অপর দিকে উপজেলার কপোতাক্ষ, শাকবাড়ীয়া ও কয়রা নদীর শত কিলোমিটার ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ অধিকাংশ এলাকায় ঝুকিপূর্ণ হলেও সরকারি বরাদ্ধ না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধের মধ্যে দঃ বেদকাশি জোড়শিং, আংটিহারা, মাটিয়াভাঙ্গা, চরামুখা ও খাসিটানা। উঃ বেদকাশি ইউনিয়নের গাববুনিয়া, কাটকাটা, গাজী পাড়া, গাতিরঘেরি ও কাটমারচর। কয়রা ইউনিয়নের মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ২নং কয়রা, হরিণখোলা ও ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট। মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ী, দশহালিয়া, আটরা, গোবিন্দপুর ও লোকা। মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শেখ পাড়া, নয়ানি, হড্ডা ও কালীবাড়ী লঞ্চঘাট। এসব এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে আমাবশ্যা ও পূর্ণিমায় অধিক জোয়ারের সময় অনেক স্থান দিয়ে বেঁড়ীবাঁধ ছাপিয়ে লবন পানি ভেতরে প্রবেশ করে। এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধের যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দরকার সে পরিমাণ অর্থ না পাওয়ায় অনেক এলাকা অরক্ষিত রয়েছে। তিনি বলেন জরুরি কোন বরাদ্দ এই মহুর্তে না থাকায় ক্ষতি গ্রস্থ এলাকার জন্য অর্থ চাওয়া হয়েছে কিন্তু অর্থ পেতে দেরি হওয়ায় এবং চাহিদা মত অর্থ না পাওয়ায় সময় মত কাজ করা সম্ভব হয় না। উপজেলা চেয়ারম্যান মাওঃ আখম তমিজউদ্দীন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন ইউনিয়নের বেঁড়ীবাঁধের ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে সচিব মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, সচিব মহোদয় কয়রা উপজেলার ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধ পরিদর্শনের জন্য খুব শীঘ্রই কয়রা উপজেলায় আসবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়নে এবং স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা জানান,বিভিন্ন ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এবং গৃহহারাদের সেখানে পূর্ণবাসন করা হবে। তবে দঃ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান কবি শামছুর রহমান জানান তার ইউনিয়নে চারদিকে নদী বেষ্ঠিত এবং অধিকাংশ বাঁধ অরক্ষিত থাকায় ইউনিয়নের ৩২ হাজার জনগণ সব সময় আতঙ্কের মধ্যে আছে। অথচ পাউবোর কর্মকর্তাদের বার বার জানানো সত্বেও গুরুত্ব না দেওয়ায় যে কোন মহুর্তে ভেসে যেতে পারে সমগ্র ইউনিয়ন।

  • পুনর্বাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনপদের হাজার হাজার পরিবার

    পুনর্বাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনপদের হাজার হাজার পরিবার

    আজ ভয়াল ২৫ মে। সর্ব গ্রাসী আইলার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উপকূলজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত হাজার হাজার পরিবার এখনও পূর্নবাসিত হয়নি। আশ্রয়হীন জনপদে এখনও চলছে অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান ও খাবার পানির জন্য তীব্র হা-হা-কা-র। সর্বগ্রাসী আইলা আজও উপকুলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাজার, হাজার মানুষকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

    জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ মে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট সর্বনাশা ‘আইলা’ আঘাত হানে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনপদে। মুহুর্তের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও খুলনা জেলার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার উপকুলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ল-ভ- হয়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪-১৫ ফুট উচ্চতায় সমুদ্রের পানি এসে নিমিষেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ, হাজার হাজার গবাদী পশু আর ঘরবাড়ি। ক্ষণিকের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়ে লাখো পরিবার।

    লক্ষ লক্ষ হেক্টর চিংড়ি আর ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় উপকুল রক্ষা বাঁধ আর অসংখ্য ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বনাশা ‘আইলা’র আঘাতে শুধু সাতক্ষীরায় নিহত হয় ৭৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আর আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। প্রলংয়করী আইলা আঘাত আনার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর ও আশশুনির প্রতাপনগর এলাকায় মানুষের হাহাকার এতটুকু থামেনি। দু‘মুঠো ভাতের জন্য জীবনের সাথে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। আইলার পর থেকে এসব এলাকায় সুপেয় পানি সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। খাবার পানির জন্য ছুটতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল।

    আইলা কবলিত এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, উপকূলীয় বেড়িবাঁধ এখনও ঠিকমত সংস্কার হয়নি। ফলে উচ্চ বিত্ত থেকে শুরু করে নিম্মবিত্ত সবাই চালাচ্ছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত এ বিশাল জনপদে খুবইকম সংখ্যক সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

    আইলা’র ভয়াবহতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ও গাবুরা ইউনিয়নে বসবাসরত মানুষের চোখে মুখে এখনও ভয়ংকর সেই স্মৃতি। আইলার আঘাতের পর থেকে গোটা এলাকা উদ্ভীদ শুন্য হয়ে পড়ে।

    কৃষি ফসল ও চিংড়ী উৎপাদন বন্ধ থাকায় গোটা এলাকাজুড়ে তীব্র কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিয়েছে। কর্মহীন মানুষ অনেকেই এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে বাইরে চলে গেছে। অপরদিকে, বনদস্যুদের অত্যাচারে সুন্দরবন, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর উপর নির্ভরশীল এ এলাকার মানুষের জীবন যাপন দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

    ফলে বিকল্প কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারছেননা উপকূলীয় এ জনপদের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। আইলার পরপরই কিছু সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কাজের বিনিময় খাদ্য প্রকল্পের কাজ হলেও এখন আর কোনো কাজ হচ্ছে না। আর এ কারণেই ক্রমে ক্রমে বাড়ছে দরিদ্র ও হত দরিদ্রের সংখ্যা।
    এদিকে, আইলার ৯ বছর অতিবাহিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধগুলোর ভয়াবহ ফাঁটল দেখা দেয়ায় এবং সংস্কার না করায় সামান্য ঝড় কিম্বা বৃষ্টিতে ঝূঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে এ জনপদের কয়েক লাখ মানুষের। তাই উপকূলীয় এ জনপদের মানুষের সরকােেরর কাছে দাবি টেকসই উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও বেকার জনগোষ্ঠির কর্মস্থানের ব্যবস্থা করা।

  • কয়রাতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন : কয়রা উপজেলার বিপদাপন্নতা ও ঝুঁকি’ শীর্ষক পবেষণাপত্রের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

    কয়রাতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন : কয়রা উপজেলার বিপদাপন্নতা ও ঝুঁকি’ শীর্ষক পবেষণাপত্রের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সম্প্রতি কয়রা কপোতাক্ষ কলেজ মিলনায়তনে জলবায়ু পরিষদ, কয়রার উদ্যোগে ‘জলবায়ু পরিবর্তন : কয়রা উপজেলার বিপদাপন্নতা ও ঝুঁকি’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বাবু অদ্রিশ আদিত্য মন্ডল। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ঠ শিক্ষাবীদ ও লেখক অধ্যাপক আ.ব.ম. আব্দুল মালেক, কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রভাষক কাজী বাহরুল ইসলাম, সমাজ ও রাজনৈতিক কর্মি ইমদাদুল হক টিটু, আইসিটি ও স্কাউট শিক্ষক মেসবা উদ্দীন, আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের নেতা নিরাপদ মুন্ডা, উন্নয়ন কর্মি শাহানারা বেগম ও আরিফা খাতুন।
    সভায় বক্তাগণ বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি থাকা এলাকার মধ্যে কয়রা উপজেলা সবার সামনে। প্রকাশিত গবেষনাপত্রটি এ বাস্তবতার বিবেচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিষদ কয়রার সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর স্বাগত বক্তব্যবের মাধ্য শুরু হওয়া প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক, সমাজকর্মিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • এনইউবিটি খুলনাতে পরিবেশ বিশয়ক সেমিনার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজিতে অবস্থিত আমেরিকান কর্ণার খুলনার এনভায়রমেন্ট ক্লাবের উদ্যোগে বাংলাদেশ “ইয়োথ এনভায়রমেন্ট ইনিশিয়েটিভ” সহযোগিতায় পরিবেশ এর উপর দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে খুলনার প্রায় ১৫টি স্কুল ও মাদ্রাসার ৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে “গ্রীন লার্নিং” শিরোনামে পরিবেশ দূষন,বায়ু দূষন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টি করা হয়। সেমিনারের আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব রাজীব হাসনাত শাকিল, কো- আডিনেটর এনভায়রমেন্ট ক্লাব এনইউবিটি খুলনা, বাংলাদেশ ইয়োথ এনভায়রমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এর প্রশিক্ষক রবি সংকর হাওলাদার, বহ্নি শিখা চৌধুরী ও মো: আল মুমিন খান ¯েœহ প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন আমেরিকান কর্ণার খুলনার কো- অর্ডিনেটর ফারজানা রহমান।

  • এনইউবিটি খুলনাতে সামার সেমিষ্টার ২০১৮’র এ্যাডমিশন ফেয়ার

    এনইউবিটি প্রতিনিধি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনাতে সামার সেমিষ্টারের এ্যাডমিশন ফেয়ার শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ফেয়ার চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিন সহ সপ্তাহে ৭দিন এ ফেয়ার চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাডমিশন অফিস খোলা থাকবে। এ্যাডমিশন ফেয়ার উদ্বোধন করেন ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো: ইব্রাহীম। আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) জনাব এ.এইচ.এম. মনজুর মোর্শেদ। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    ফেয়ার চলাকালীন ভর্তি ফির উপর ৬০% সহ টিউশন ফির উপর বিশেষ ছাড় থাকবে।
    বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, ইংরেজী, সি.এস.ই, ই.ই.ই, সিভিল , আর্কিটেকচার ও অর্থনীতি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু আছে। এছাড়া স্মাতকোত্তর পর্যায়ে এম.বি.এ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ), এম.এ (ইংরেজী) ও এম.এস.এস (অর্থনীতি) কোর্স চালু আছে।

  • ধর্মতলার চা

    মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
    জ্বি মামা বসেন দিতাছি।
    শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
    খুলনা রেলওয়ে স্টেশন। তখন ঘড়ির কাটা ঠিক বিকাল চারটা। ট্রেন চলতে শুরু করলো…ঝক ঝক শব্দে উদ্দেশ্য যশোর শহর এক পলক দেখা। সাথে  সাইমুম, বায়জিদ এবং অামি। সময় বিকাল ৫.২০ মিনিট। যশোর স্টেশনের মনোরম প্রকৃতি অামাদের স্বাগত জানালো। প্রকৃতির শুভেচ্ছা সাদরে গ্রহণ করলাম কিন্তু অাসলে অামরা কোথায় যাবো কেউ জানিনা। ধর্মতলার চা

    তৈয়েবুর তামিম
    মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
    জ্বি মামা বসেন দিতাছি।
    শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
    খুলনা রেলওয়ে স্টেশন। তখন ঘড়ির কাটা ঠিক বিকাল চারটা। ট্রেন চলতে শুরু করলো…ঝক ঝক শব্দে উদ্দেশ্য যশোর শহর এক পলক দেখা। সাথে  সাইমুম, বায়জিদ এবং অামি। সময় বিকাল ৫.২০ মিনিট। যশোর স্টেশনের মনোরম প্রকৃতি অামাদের স্বাগত জানালো। প্রকৃতির শুভেচ্ছা সাদরে গ্রহণ করলাম কিন্তু অাসলে অামরা কোথায় যাবো কেউ জানিনা।
    মামা! অামরা এই প্রথম যশোর অাসছি এখানে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু অাছে যেমন: দর্শনীয় স্থান বা বিখ্যাত খাবারের কিছু? স্টেশনের পাশের দোকানীর কাছে প্রশ্নটা ছিলো বায়জীদের। দোকানী মামার সাদামাঠা উত্তর ‘না মামা এখানে তেমন কিছু নাই যা অাছে সব বহুদুরে। তবে ধর্মতলায় বিখ্যাত চা অাছে সেখানে যেতে পারেন’
    -সাইমুম দোকানী মামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিক্সা ভাড়া করলো। এবার উদ্দেশ্যটা ধর্মতলা। বিখ্যাত চা পান করা।
    মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
    মামা! বসুন দিচ্ছি।
    শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
    যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকায় তাঁর চায়ের দোকান। দোকানের নাম ‘ইয়াকুব টি স্টোর’। রাস্তার ঠিক পাশেই প্রায় চার হাত বাই অাট হাতের একটি ঘর। এই ছোট্ট ঘুপছি ঘরটিই এখন যশোর শহরের সবচেয়ে পরিচিত চায়ের দোকান।
    স্বল্প পুঁজি, তাই ছোট্ট ঘর। ঘর ছোট হলে কী হবে? কাস্টমারের কিন্তু কমতি নেই। চা বানাইতে দিনে প্রায় ২৫ কেজি দুধ লাগে তার।
    সদালাপী, বিনয়ী আর হাসিমাখা মুখ নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষটি সদা ব্যস্ত চা বানাতে আর সরবরাহ করতে। সাথে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা অার এই পুরো সময়টা তাকে যিনি সময় দিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন তার সহধর্মীনি।
    চা বানানোর প্রস্তুতিটাই একটু অন্যরকম। শতব্যস্ততার মধ্যেও সুন্দর করে চায়ের কাপ গুলো পরিষ্কার করা হয় যাতে কেউ তার দূর্নাম গায়তে না পারে তারপর  সারিবদ্ধ কাপগুলোতে ঢালা হয় গাভীর দুধ, এরপর মামা ঘন কালো লিকার এমন ভাবে প্রতিটা কাপে ব্যালেন্স করে ফেলতে থাকেন; দেখে মনে হয় ফোটায় ফোটায় লিকারের সাথে দুধের এক ধরনের সখ্যতা তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই সখ্যতা মিত্রতায় রূপ নেয়। আর এভাবেই লিকার আর দুধ এর এক গভীর আত্মীয়তায় তৈরি হয় যশোরের ধর্মতলার চা।
    স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ সব মিলিয়ে মননে একধরনের চাঞ্ছল্য তৈরি করে ধর্মতলার এই চা। দুধের রঙ ধীরে ধীরে সাদা থেকে অফ হোয়াইটের দিকে যেতে থাকে। বিকেলে একটু ভিড় তুলনামূলক কম থাকে তবে সন্ধার পরের চিত্র ভিন্ন। রাতের প্রহর বাড়ার সাথে সাথে দুধের লাল রঙ এর এক্সপোজার শুরু হয়, চা এর কাপে শুরু হয় ভৈরবী রাগ এর মাতোম।
    চা এ চিনি বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে রাত। আর দোকানের সামনে বাড়তে থাকে জনমানুষের ভীড়।
    জনমানুষের ভীড়কে দূরে ঠেলে সেখান থেকে অামাদের খুলনার উদ্দ্যেশে রাত ৮ টার ট্রেন ধরা। সুন্দর একটি উদ্দ্যেশ্যহীন যাত্রা এমন একটি গল্পেরূপ নেয় যা স্মৃতিপটে লেপ্টেথাকবে বছরের পর বছর। রাত ৯.৩০ এ নিউমার্কেট পৌঁছালাম সেখান থেকে সোনাডাঙ্গা  তারপর তিনজনের উদ্দেশ্য তিনদিকে বেড়িয়ে পড়া…
    মামা! অামরা এই প্রথম যশোর অাসছি এখানে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু অাছে যেমন: দর্শনীয় স্থান বা বিখ্যাত খাবারের কিছু? স্টেশনের পাশের দোকানীর কাছে প্রশ্নটা ছিলো বায়জীদের। দোকানী মামার সাদামাঠা উত্তর ‘না মামা এখানে তেমন কিছু নাই যা অাছে সব বহুদুরে। তবে ধর্মতলায় বিখ্যাত চা অাছে সেখানে যেতে পারেন’
    -সাইমুম দোকানী মামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিক্সা ভাড়া করলো। এবার উদ্দেশ্যটা ধর্মতলা। বিখ্যাত চা পান করা।
    মামা! তিনটা মালাই চা দিবেনতো।
    মামা! বসুন দিচ্ছি।
    শত ব্যস্ততার মাঝে কথাটা যিনি বলছিলেন তিনি ধর্মতলার ইয়াকুব মোল্লা। সবার কাছে পরিচিত ইয়াকুব মামা নামেই।
    যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকায় তাঁর চায়ের দোকান। দোকানের নাম ‘ইয়াকুব টি স্টোর’। রাস্তার ঠিক পাশেই প্রায় চার হাত বাই অাট হাতের একটি ঘর। এই ছোট্ট ঘুপছি ঘরটিই এখন যশোর শহরের সবচেয়ে পরিচিত চায়ের দোকান।
    স্বল্প পুঁজি, তাই ছোট্ট ঘর। ঘর ছোট হলে কী হবে? কাস্টমারের কিন্তু কমতি নেই। চা বানাইতে দিনে প্রায় ২৫ কেজি দুধ লাগে তার।
    সদালাপী, বিনয়ী আর হাসিমাখা মুখ নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষটি সদা ব্যস্ত চা বানাতে আর সরবরাহ করতে। সাথে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা অার এই পুরো সময়টা তাকে যিনি সময় দিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন তার সহধর্মীনি।
    চা বানানোর প্রস্তুতিটাই একটু অন্যরকম। শতব্যস্ততার মধ্যেও সুন্দর করে চায়ের কাপ গুলো পরিষ্কার করা হয় যাতে কেউ তার দূর্নাম গায়তে না পারে তারপর  সারিবদ্ধ কাপগুলোতে ঢালা হয় গাভীর দুধ, এরপর মামা ঘন কালো লিকার এমন ভাবে প্রতিটা কাপে ব্যালেন্স করে ফেলতে থাকেন; দেখে মনে হয় ফোটায় ফোটায় লিকারের সাথে দুধের এক ধরনের সখ্যতা তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই সখ্যতা মিত্রতায় রূপ নেয়। আর এভাবেই লিকার আর দুধ এর এক গভীর আত্মীয়তায় তৈরি হয় যশোরের ধর্মতলার চা।
    স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ সব মিলিয়ে মননে একধরনের চাঞ্ছল্য তৈরি করে ধর্মতলার এই চা। দুধের রঙ ধীরে ধীরে সাদা থেকে অফ হোয়াইটের দিকে যেতে থাকে। বিকেলে একটু ভিড় তুলনামূলক কম থাকে তবে সন্ধার পরের চিত্র ভিন্ন। রাতের প্রহর বাড়ার সাথে সাথে দুধের লাল রঙ এর এক্সপোজার শুরু হয়, চা এর কাপে শুরু হয় ভৈরবী রাগ এর মাতোম।
    চা এ চিনি বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে রাত। আর দোকানের সামনে বাড়তে থাকে জনমানুষের ভীড়।
    জনমানুষের ভীড়কে দূরে ঠেলে সেখান থেকে অামাদের খুলনার উদ্দ্যেশে রাত ৮ টার ট্রেন ধরা। সুন্দর একটি উদ্দ্যেশ্যহীন যাত্রা এমন একটি গল্পেরূপ নেয় যা স্মৃতিপটে লেপ্টেথাকবে বছরের পর বছর। রাত ৯.৩০ এ নিউমার্কেট পৌঁছালাম সেখান থেকে সোনাডাঙ্গা  তারপর তিনজনের উদ্দেশ্য তিনদিকে বেড়িয়ে পড়া…
  • এনইউবিটি’তে সামার সেমিষ্টার এ্যাডমিশন ফেয়ার

    এনইউবিটি প্রতিনিধি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনাতে সামার সেমিষ্টারের এ্যাডমিশন ফেয়ার শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ ফেয়ার চলবে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিনসহ সপ্তাহে ৭দিন এ ফেয়ার চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাডমিশন অফিস খোলা থাকবে। এ্যাডমিশন ফেয়ার উদ্বোধন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লি¬ন এর অধ্যাপক ও এন ইউ বি টি খুলনার এ্যাডভাইজার প্রফেসর ড. এ.টি.এম জহিরউদ্দীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. ইব্রাহীম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) জনাব এ.এইচ.এম. মনজুর মোর্শেদ। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    ফেয়ার চলাকালীন ভর্তি ফির উপর ৬০% সহ টিউশন ফির উপর বিশেষ ছাড় থাকবে।
    বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাাতক পর্যায়ে বিবিএ, ইংরেজী, সি.এস.ই, ই.ই.ই, সিভিল , আর্কিটেকচার ও অর্থনীতি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু আছে। এছাড়া স্মাতকোত্তর পর্যায়ে এম.বি.এ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ), এম.এ (ইংরেজী)ও এম.এস.এস (অর্থনীতি) কোর্স চালু আছে।

  • উৎপাদন মৌসুমের শুরুতেই পাইকগাছায় বাগদা চিংড়িতে মড়কের হানা

    বিশেষ প্রতিবেদক: উৎপাদন মৌসুমের শুরুতেই পাইকগাছার অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরে ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে মড়ক রোগ। চাষীরা কারণ হিসেবে এটাকে ভাইরাস সংক্রমণ বললেও মৎস্য অফিস মরা চিংড়িতে কোন রোগ বালাইয়ের চিহ্ন খুঁজে পাচ্ছেননা। অন্যদিকে এনজিও’র দাবি পানি ও খাদ্যই চিংড়ির ব্যাপক মড়কের জন্য প্রধানত দায়ী। তবে কোন পদ্ধতিতেই রোধ করা যাচ্ছেনা বাগদা চিংড়ির এ মড়ক। জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহ চিংড়ির উপযোগী লবন পানির স্বাভাবিক পরিবেশকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ। এমন অবস্থায় চিংড়ির বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের ভবিষ্যত নিয়েও নানাবিধ আশংকা তৈরী হয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন লোনা পানির জনপদের অধিকাংশ চাষীরা।
    উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সুন্দরবন উপকূলীয় পাইকগাছা উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমান ৩০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতেই আবাদ হয় লবণ পানির চিংড়ির। মৎস্য অফিস জানায়, এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সংকটে গত দু’বছর উৎপাদন ভাল হয়নি। সেবার মৎস্য অধিদপ্তর চিংড়ি উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৬ হাজার মেট্রিক টন।
    তবে গত বারের ন্যায় এবারো মওসুমের শুরুতেই ব্যাপক হারে চিংড়ির মড়কে একদিকে যেমন আশংকা তৈরী হয়েছে লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার, অন্যদিকে শুরুতে পোনার দাম ও জমির হারি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় আন্তর্জাতিক বজারে দেশের চিংড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম ভাল না থাকায় আগামীতে চিংড়ি চাষে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটাই মনে করছেন চিংড়ি সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ।
    প্রসঙ্গত ৮০’র দশক থেকে সুন্দরবন উপকূলীয় কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয় লবন পানির চিংড়ি চাষ। শুরুতেই উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দাম ভাল থাকায় মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে উপজেলার দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চিংড়ির চাষাবাদ। সোনার ধান, সোনালী আঁশ, সবুজ সবজি আর শষ্যের পরিবর্তে দিগন্ত জোড়া মাঠের সব দিকেই বিস্তার লাভ করে রুপালী পানি।
    ফসলের জন্য আর দীর্ঘ অপেক্ষা নয়,সকাল-সন্ধ্যা ঝাঁঝালো গন্ধের চিকচিকে পানির নিচ থেকে উঠতে থাকে সাদা সোনা বাগদা। কিছুদিনের মধ্যে পাইকগাছাকে চিংড়ি উৎপাদনের জন্য বিশেষায়িত করা হয় “সাদা সোনার রাজ্য” হিসেবে। অল্প সময়ের ব্যবধানে কোটি পতি বনে যান চিংড়ি চাষের সাথে সম্পৃক্তদের অনেকেই। তবে মূল জমির মালিকদের অবস্থা চলে যায় আরো তলানিতে। জীবিকার প্রধান মাধ্যম কৃষি শষ্যও আসেনা চাহিদানুযায়ী জমির হারিও পায়না। এক সময় জীবিকার ভিন্ন উপায় ও ঋণের দায় মেটাতে ঘেরের জমিটুকুও বাধ্য হয়ে তুলে দেয় ঘের মালিকদের কাছেই।
    তবে ১ থেকে দেড় দশকের মধ্যে ১৯৯৫ সালের পর থেকে চিংড়ি ঘেরে শুরু হয় “ভাইরাস” বা মড়ক রোগ সংক্রমন। ধীরে ধীরে তা বিস্তার লাভ করায় পুরোপুরি লাভের মুখে থাকা চিংড়ি শিল্পে নেমে আসে আকস্মিক ধ্বস। এভাবে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অনেকেই লাভের আশায় বছরের পর বছর ধার-দেনা করে চাষাবাদ টিকিয়ে রাখে। সফলতা না আসায় এক সময় চাপ সইতে না পেরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন। মাঝের দু’এক বছর কিছুটা ভাল হওয়ায় ফের কোমর বেঁধে মাঠে নামেন চাষীরা। তবে মাত্র এক বছর পর মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি ঘেরে আবারো মড়ক অব্যাহত থাকায় নতুন করে বন্ধের উপক্রম হয়েছে সম্ভাবনাময় এ শিল্প।
    চিংড়ি চাষী নোয়াকাটির জাহাঙ্গীর আলম,কাশিমনগরের শেখ রবিউল ইসলাম,নজরুল শেখ,জাহাঙ্গীর শেখ,প্রতাপকাটির বজলু জানান, এবছর মওসুমের শুরুতেই তাদের ঘেরে দেখা দিয়েছে চিংড়িতে মড়ক। এখন পর্যন্ত অনেকে দু/এক কেজি মাছও বিক্রি করতে পারেননি তারা। অনেক ঘেরে প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় অবমুক্ত’র সকল মাছই মরে সাবার হয়ে গেছে।
    ব্যাপক হারে অব্যাহত চিংড়ি মড়ক আসলে কি ভাইরাস সংক্রমণ? নাকি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব? এনিয়ে চিংড়ি চাষী, মৎস্য অধিদপ্তর ও চিংড়ির উপর মাঠ পর্যায়ে কাজ করা এনজিও গুলোও পরষ্পর বিরোধী কারণ দাবি করছে। চাষীরা এটাকে ভাইরাস সংক্রমণ বললেও মৎস্য অফিস মৃত চিংড়িতে খুঁজে পাচ্ছেননা কোন সংক্রমণ চিহ্ন। আর এনজিও গুলোর দাবি,পানি ও খাদ্য সমস্যাই প্রধানভাবে চিংড়ির ব্যাপকহারে মড়কের জন্য দায়ী।
    এ প্রসঙ্গে চিংড়ি চাষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা বে-সরকারি সাহায্য সেবী প্রতিষ্ঠান নিউ সানের এ্যাকুয়াকালচার প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর সুকুমার অধিকারী বলেন,চিংড়ি চাষে মড়ক রোধ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাটি ও পানি পরীক্ষা এবং তার সঠিক পরামর্শ প্রদানই তাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তারা নিয়মিত চাষীদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে উঠন বৈঠক করছেন। এ উপায়ে সফলতা এসেছে বলেও দাবি এ এনজিও কর্তার। তিনি বলেন, মাটি ও পানি দূষণ এবং চাষীদের অজ্ঞতাই চিংড়ির ব্যাপকহারে মড়কের জন্য প্রধানভাবে দায়ী।
    উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার মন্ডল জানান, মড়ক আক্রান্ত ঘেরের চিংড়িতে এখন পর্যন্ত তারা কোন জীবাণু বা সংক্রমণের চিহ্ন খুঁজে পাননি। তবে চিংড়ির এ ব্যাপক ভিত্তিক মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে না পারলেও মহস্য কর্মকর্তা, জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড দাবদাহে চিংড়ির লবন পানির উপযুক্ত পরিবেশ বাঁধাগ্রস্থ ও খাদ্য দূষণে মাছের মড়ক লাগতে পারে বলে মনে করেন।
    এদিকে চিংড়ির মড়ক রোধে বিভিন্ন কোম্পানি বাহারী সব প্রচারে বাজারজাত করছে নানাবিধ প্রতিষেধক। অনেকে আবার পরিবেশ বান্ধবের ধুয়ো তুলে নিজেদেরকে চিংড়ি বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করলেও মূলত তাদের কারো কোন পরামর্শেই চিংড়ির মড়ক রোধ না হওয়ায় মূলত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।

  • এনইউবিটিতে উন্নয়ন সাংবাদিকাতার উপর দিনব্যাপী সেমিনার

    এনইউবিটি প্রতিনিধি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজির ‘আমেরিকান কর্ণার খুলনার’ জার্নালিজম ক্লাবের উদ্যেগে ‘উন্নয়ন সাংবাদিকাতার উপর’ দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.এ.এস.এম. আসাদুজ্জামান। তিনি উন্নয়ন সাংবাদিকতার উপর নানা বিষয়ের আলোচনা করেন।
    অনুষ্ঠানে খুলনার বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বেতার, ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন আমেরিকান কর্ণার খুলার কো- অডিনেটর ফারজানা রহমান।

  • জনগণের উন্নয়নের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই-ড. মসিউর রহমান

    জনগণের উন্নয়নের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই-ড. মসিউর রহমান

    পাইকগাছা প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, জনগণের উন্নয়নের জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল আ’লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাহিনী দ্বারা নির্বাচনে জেতার দিন শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বাকী জীবনে পাইকগাছা-কয়রার মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ অঞ্চলের ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি সহ বিজ্ঞানী পিসি রায়, শহীদ এম,এ গফুর, ডাঃ সেলিমের নামে ব্রীজ ও সড়ক নামকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব করবেন বলে জানিয়েছেন। বিকাল ৩টায় পৌর সদরের শহীদ মিনার চত্ত্বরে উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সভায় বক্তব্য রাখেন, ড. মসিউর পতœী রওশানারা ইভা রহমান, জেলা আ’লীগনেতা ডাঃ মোহাঃ শেখ শহিদ উল্লাহ, নুরুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম রিপন, পৌর আ’লীগের আহবায়ক শেখ কামরুল হাসান টিপু, ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার, কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন, আমির আলী গাইন, জেলা পরিষদ সদস্য খালেদিন রশিদী সুকর্ণ ও হাবিবুল্লাহ বাহার, গাজী নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন খোকন, আকতারুজ্জামান সুজা, বিভূতি ভূষণ সানা, সুকৃতি মোহন সরকার, প্রভাষক ময়নুল সলাম, মাসুমা আক্তার, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, এস,এম, শামছুর রহমান, কাজল কান্তি বিশ্বাস, আবুল কালাম আজাদ, জহুরুল হক সানা, সায়েদ মোড়ল কালাই, কুদ্দুস সানা, আব্দুল ওহাব বাবলু, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, শফিকুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান সহ স্তরের দলীয় নেতাকর্মীরা।

  • বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার গণকবর, বধ্যভূমিগুলো উদ্ধার পূর্বক সংরক্ষণ ও সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন খড়িবিলা বিল আবাদানীর ১০০ একর খাস জমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরা’র নেতৃবৃন্দ। গত রোববার সকালে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, নিত্যানন্দ সরকার, চারুশিল্পী এম এ জলিল, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’র সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, এড. মুনির উদ্দিন, রওনক বাসার, লোকী ইকবাল প্রমুখ।
    নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল খুলনা, বাগেরহাট, ৯৬ গ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৬০০-৭০০ নির্যাতিত মানুষ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরদিন সন্ধ্যায় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা স্কুলের পিছনে দীনেশ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্তমানে ওই স্থানে বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। দীনেশ কর্মকার তার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন। এই পুকুর ও ডোবার অংশটুকু চলে গেছে জনৈক ব্যক্তির দখলে। বর্তমানে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে।
    সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকাল ব্রিজ ছিল পাক হানাদারদের আর একটি হত্যাযজ্ঞের স্থান। মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে হত্যা করে নিচে ফেলে দিত। এ অংশটুকু এখন এক প্রভাবশালীর দখলে চলে গেছে।
    এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী-মাহমুদপুর স্কুলের পেছনের পুকুর থেকে স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয় কয়েকশত মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি। সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় বৃহৎ গণকবর হিসেবে এটি চিহ্নিত হলেও এখন এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গায় স্বাধীনতা লাভের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় শত শত বাঙালি নারী, পুরুষ ও শিশু শরণার্থীকে। পরে তাদের গোবিন্দকাটি খালপাড় ও রূপালী ব্যাংকের পেছনে গণকবর দেয়া হয়। এসব গণকবরগুলোরও কোনো চিহ্ন নেই। শহরের সুলতানপুর পালপাড়া খালের ধারে হত্যা করা হয় সুরেন, নরেন ও কেষ্টপদ নামে তিন মুক্তিকামী যুবককে।
    গত ৯ বছর ধরে মহাজোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও এখানকার গণকবর এবং বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। নতুন প্রজন্মসহ অনেকে জানেনা মুক্তিযুদ্ধের ওই ইতিহাসের কথা। এসকল গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারিভাবে আজও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
    বর্তমানে ইতিহাস গাঁথা ওই সব গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো চলে গেছে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে। সাতক্ষীরার গণকবর ও বধ্যভূমির বিষয়টি বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো। আর বধ্যভূমির বিষয়গুলো যেন নতুন প্রজন্মের কাছে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
    এদিকে সম্প্রতি সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পলাশপোল মৌজার খড়িবিলা বিল আবাদানির ১০০ একর সরকারি খাস সম্পত্তি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত খাস জমি সাতক্ষীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে অনেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অথচ এখনো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের জন্য সুদুর রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রামে যেতে হয়। যা এ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয় বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই সাতক্ষীরায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণ হবে বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    ডেস্ক রিপোর্ট: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ বাঙালি সংস্কৃতির ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখকে এভাবেই আবাহন করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগ্রত হয়েছে গোটা জাতি। পহেলা বৈশাখ, একটি নতুন দিন। একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। বাঙালির প্রাণের আর মনের মিলন ঘটার দিন ‘পহেলা বৈশাখ’। বাঙালি ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিয়েছে সব বিভেদ, জরা আর দুঃখ ভুলে। যা কিছু পুরনো আর জীর্ণ- তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান। প্রার্থনা একটাই-জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি।
    সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো ‘বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের’ খবর নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষ্যে নতুন করে সজ্জিত হয় সাতক্ষীরা জেলা। দিনভর জেলাব্যাপি পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলার প্রধান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন বাঙালীয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, এন.এস. আই’র সহকারি পরিচালক আনিসুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পৌরদিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসেন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।
    জেলা প্রশাসকের বাঙলোয়: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে স্বাগত জানিয়ে বাঙালী আনায় বৈশাখী উদ্যাপন করলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। জেলা অফিসার্স ক্লাব ও জেলা লেডিস ক্লাবের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় পান্তা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসকের বাংলো মিলন মেলায় পরিণত হয়। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনায় সকলেই সমবেত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক দেশী ফলের সমাহারে অতিথি পরায়ণতার মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান। খই, দই আর পান সুপারী, চিড়া, মুড়ির মোয়া, হরেক রকম মিষ্টি-মিঠাই আরো ছিল ঘোল, ডাব, তরমুজ, শাহী গজা আর হাওয়াই মিঠাই, ছিল বেলের সরবত। শনিবার সকালে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসকের বাংলোর এ আয়োজনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বৈশাখী এ অনুষ্ঠানে সকল অতিথিদের মাঝে পান্তা ও বিভিন্ন রকম ভর্তা পরিবেশন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারতহমিনা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলা পুলিশের আয়োজনে: জেলা পুলিশের আয়োজনে দুস্থ ও এতিম শিশুদের বৈশাখী আনান্দ উপভোগ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের বাসভবনে শতাধিক এতিম ও দুস্থ শিশুদের মাঝে বৈশাখী ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, পুলিশ সুপার পত্মী আকিদা রহমান নীলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক, সদর সারকেল মেরিনা আক্তার প্রমুখ। এ সময় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখের আনান্দ যেমন প্রতিটা মানুষ উৎযাপন করছে তখন আমাদের দায়িত্ব ছিল সমাজের দুস্থ অসহায় ও এতিম শিশুদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাথে আনান্দ ভাগা, ভাগি করে নেয়া, তাই নিজের দায়িত্ব বোদের জায়গাথেকে মানুশেন পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব: খরতপ্ত রুদ্র বৈশাখের প্রথম দিন শনিবার প্রাণের উচ্ছাসে মেতে উঠেছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। তীব্র দাবদাহের মধ্যে দীঘির জলে ঢেউ তুলে ভেসে আসা দখিনা বাতাসের প্রাণ জুড়ানো দোলায় ক্লাব ভবনে সকালেই বসেছিল এ উৎসব। শিশু থেকে বুড়ো বুড়িরাও প্রেসক্লাবের এই উৎসবে মেতে ওঠেন। উৎসবে আসা সকলকেই বাঙ্গালির চিরন্তন খাবার পান্তা ভর্তা আর নারকেল ও গুড় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
    প্রেসক্লাবের এই উৎসবে অংশ নেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজদ, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল বারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুরুল হক, শেখ হারুনার রশীদ, সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ, বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি, প্রেসক্লাব কার্য নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রেসক্লাবের প্রাণের মেলা বৈশাখি উৎসবের সাথে নিজেদের একাকার করে বরণ করে নেন নতুন বছরকে।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক ঝরা, অগ্নিশ্নানে সুচি হোক ধরা,’ শিক্ষার্থীরা নাচে ও গানে নতুন বছর ১৪২৫ পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয়। উৎসবের আমেজে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমারের সভাপতিত্বে বৈশাখী অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সুকুমার দাস, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এস.এম আফজাল হোসেন, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক আমানুল্লাহ আল হাদী, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শণ করে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য মাটির হাড়িতে মন্ডা মিঠাই বিশেষ মোড়কে প্রধান অতিথিকে উপহার দেওয়া হয়। এসময় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: নতুন বছর ১৪২৫ বরণ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে ক্যাম্পাসে বাঙালীআনা নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বর্ষবরণ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও একাডেমিক ইনচার্জ প্রকৗশলী ড. এম.এম নজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অলোক সরকার, ফারুক হোসেন, ঈসমাইল হোসেন, ছিদ্দিক আলী, বিল্পব কুমার দাস, এনামুল হাসান কম্পিউটার বিভাগীয় প্রধান মো. ফারুক হোসেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটাল বিভাগীয় প্রধান এবিএম ছিদ্দিকী, আর.এসি বিভাগীয় প্রধান মো. এনামুল হাসান প্রমুখ। আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার মো. হেলালে হায়দার।
    সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানানমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিদ্যালয়টি। শনিবার সকালে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করে। পরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন রকম পিঠা পুলির মেলার আয়োজন করা হয়। বিকালে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্মী শামীমা রুমা, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সামিমা ইসমত আরা, উম্মে হাবিবা, সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আবু সাঈদ, পহেলা বৈশাখ উদয়াপন কমিটির আহবায়ক সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আনিছুর রহমান, সহকারি শিক্ষক মমতাজ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক আনিছুর রহমান।
    সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ: সাতক্ষীরা ল কলেজের আয়োজনে ল স্টুডেন্টস ফোরামের সার্বিক সহযোগিতায় পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. এস এম হায়দারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১০টায় কলেজে আলোচনা, বাঙালী খাবারের আয়োজন ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায়, বাংলাদেশ হাইকোর্টের ডেপুটে অ্যাটর্নী জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আ ক ম রেজাওয়ান উল্লাহ সবুজ, ল কলেজের প্রভাষক এড. অরুন কুমার ব্যানার্জী, এড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, এড. মনির উদ্দীন. এড. শহীদ হাসান, এড. হোসনেয়ারা, এড. লাকী ইয়াসমিন, এড. নাঝমুন নাহার ঝুমুর, এড. শরীফ আজমীর হোসেন রোকন, ল স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাবুদ্দীন সাজু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শেখ মোখলেছুর রহমান, জান্নাতুন নাহার, আলমগীর কবীর সুমন, মোখলেছুর রহমান, পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক এসএম বিপ্লব হোসেন, কার্তিক চন্দ্র সাহা, প্রবল কুমার, পাপিয়া সুলতানা, সোহেলী পারভীন, বিন্তু পারভীন, মুন্সি মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, রোজিনা পারভীন, কার্তিক চন্দ্র, কাকলী, শাওন, তাহসিন কবীর খান, তাসনিম সুলতানা, নাসরিন সুলতানা, তাজনিম সুলতানা, সাথী, মামুন, তাজ নোভা, ইকতিয়ারসহ সাতক্ষীরা ল কলেজের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ল স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
    শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে শহরের সুলতানপুরস্থ আজাদী সংঘে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পতœী সালেহা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খোকন। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাক্কার, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ সভাপতি সবুর খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, শেখ হারুণ অর রশিদ, কবির হোসেন, নূরুল হক, রহমান, মনোয়ার হোসেন, নূরুল হুদা রনি, আলিফ, আশিক প্রমূখ।
    নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি: পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম বাঙ্গালী সংস্কৃতির চেতনা ও ঐতিহ্য লালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি। গতকাল সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা নয় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও অনেক যুগান্তকারী কাজ করে যাচ্ছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
    সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মাচারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইন-চার্জ এ.এইচ.এম. মুঞ্জুর মোরশেদ এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন শিববাড়ী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন করে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। দিনব্যাপী বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাং¯কৃতিক ক্লাব এর শিল্পীরা, এতে আবহমান বাঙ্গালী সাংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
    বিকালে এনইউবিটিকের ছাত্রদের সেকশন-বি ও ওয়েব ব্যান্ড দল এর পরিবেশনায় বৈশাখী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ কনসার্টে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি নিজেই সঙ্গিত পরিবেশন করেন। এনইউবিটিকের দিনব্যাপী এই বৈশাখী আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি নগরীর সর্বস্তরের মানুষের বিশাল জনসমাগম ঘটে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে এস.এস. আলী এন্ড কোং, লেক্সিকন, খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপ ও আবির্স।
    নবজীবন ইন্সিটিটিউট: বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার নবজীবনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ ১৪২৫। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নবজীবন ইনস্টিটিউটের উদ্দোগে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সাথে নিজস্ব ব্যানারে একটি বর্ণিল ও মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা বের করে। শোভা যাত্রায় বিশেষ আকর্ষন হিসাবে যোগ করা হয় গ্রামীন এবং পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য মন্ডিত গরুর গাড়ী,ঢেকী,হরিন,বিশাল আকৃতির ডাক ঘুড়ি,পালকি,ঘোড়ার গাড়ী, হাতি,বাঘ,বাঘ শাবক,হালখাতা মহরত,রিকসা,বেদেনী,নৌকা,সহ নানান আয়োজন। তালে তালে বাজানো হয় ঢাক, ঢোল ও ভেপু। দীর্ঘ এবং বর্নিল সাজের শোভা যাত্রাটি দেখে মুগ্ধ হন জেলা প্রশাসনের বিচারক মন্ডলি সহ হাজার হাজার দর্শক ও শ্রোতা। শোভা যাত্রাটি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌছালে মঞ্চ থেকে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে জেলার দ্বিতীয় স্থান অধিকারের ঘোষনা দেওয়া হয় । আনুষ্ঠানিক ভাবে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং পুরস্কার গ্রহন করেন নবজীবনের নির্বাহী পরিচালক ও নবজীবন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান তাারেকুজ্জামান খান, এসময় বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ,সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ,নবজীবন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম,উপাধ্যক্ষ মীর ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ, শিক্ষক শেখ বোরহান আলী সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নবজীবন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে চিংড়ী পান্তা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন রকম খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এসময় নবজীবনের সকল কর্মকর্তা,শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক গন উপস্থিত ছিলেন।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ: বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের পৌর শাখার আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পানতা ইলিশ ভোজ , র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের পৌর শাখার সভাপতি আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, আমন্ত্রতি অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যান সম্পাদক এড, আজাহার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব সেলিম হোসেন,অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে ছিলেন সংগঠনের পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সাংগঠনিক আমিনুল ইসলাম সেলিম, কুটির শিল্পী সম্পাদক মৌচাক সরদার, সৈয়দ আব্দুস সেলিম, আজিজুল ইসলাম, মোঃ হাফিজ, রোকনউদ্দীন প্রমূখ।
    থানাঘাটা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা ঈদগাহ ময়দানে ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু তাহের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির ফজর আলী, ইয়াকুব হোসেন, মহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, শফীকুল, আব্দুল্লাহ, গোলাম রসুল প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, মোঃ আসাদুজ্জামান।
    তালা: তালায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। তালা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসকল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
    ১৪২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বৈশাখী সোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। শোভাযাত্রাটির উদ্ধোধন করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্চ্ছো খানম,তালা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু,সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানসহ ১২টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ সামাজিক সংগঠন, স্কুল প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। শোভাযাত্রাটি তালা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
    পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
    এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল পান্তা ভোজ, পুকুরে হাঁস ধরা,লাঠিখেলা, ইত্যাদি। এছাড়া জালালপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ সাহিত্য সংসদের বর্ষ বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে পাটকেলঘাটার,কুমিরায় ৫দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
    পাটকেলঘাটা: ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈশাখ বরণের এ গানের মধ্যদিয়ে পাটকেলঘাটাসহ আশপাশের এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রাও মন্দিরে খাতা পুজা ও ,বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা,মধ্যদিয়ে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ । পাটকেলঘাটাস্থ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার বটমুলের সবুজ চত্বরে বর্ণিল মঞ্চে ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
    পাটকেলঘাটায় দিনব্যপী বিভিন্ন বৈশাখী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এরপর শিল্পী, সাংবাদিক,শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, নারী পুরুষ,শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাঙালীর চিরচেনা ঢাক-ঢোল,কাঁশর,সানাই,ঘোড়াগাড়িসহ বিভিন্ন সাজে সকাল ৮টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিরা সহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রবীন্দ্র সদনে এসে সমবেত হয়। এরপর সেখানে পান্তা ইলিশ ভোজনের সাথে সাথে মঞ্চে চলতে থাকে রবীন্দ্রসঙ্গীত.নজরুলগীতি পল¬ীগীতি,লালনগীতিও বাউলসহ বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান, আবৃত্তি ও নৃত্য। এরই মাঝে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আসাদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,অধ্যাপক বীরেন্দ্রনাথ মাহাতা, দেবজিৎমিত্র, অধ্যাপক প্রশান্ত রায়, প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন,ড. বিধান চন্দ্র ঘোষ, মোস্তাফিজুর রহমান,নারায়ন মজুমদার, বিশ্বাস আতিয়ার রহমান প্রমুখ । জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের মধ্যদিয়ে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর নেতৃত্বে র‌্যালি ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। কুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও পাটকেলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশাল র‌্যালী ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করে । এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে।
    দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা ১৪২৫ বর্ষবরণ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৮ টায় পালকী, গরুর গাড়ি ও নানারকম বাদ্যের তালে একটি বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবি বটতলায় শেষ হয়। এখানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য পান্তা উৎসবের আয়োজন ছিল। পান্তা খাওয়া শেষে আনুষ্টানিকভাবে দেশীয় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি বর্ষবরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরজ্জামান মনি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন, উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী. সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসমত আরা বেগম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নোহাগ হোসেন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও লাঠি খেলা, হা-ডু-ডু, সাতার সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়।
    বহেরা এ.টি মাধ্যমিক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা এ,টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আছাদুল হক এর সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক এমাদুল হকের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ। শোভা যাত্রা শেষে পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
    কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলামের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউপি এর প্যানেল চেয়ারম্যান বিকাশ সরকারের সভাপতিত্বে ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, কুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ও সদস্যা, ইউপি সচিব সহ কর্মচারী বৃন্দ।
    কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা শেষে কুলিয়া শহীদ মিনার চত্বরে পান্তা উৎসব উৎযাপন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বিধান বর্মন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ এর অর্থসম্পাদক মো. আছাদুল হক, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আযহারুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পরান চন্দ্র, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সহ ইউনিয়নের সকল স্তরের জনগন।
    পুষ্পকাটি সমবায় সমিতি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলানববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির সভাপতি শাহিনুজ্জামান রিপন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বাংলা নববর্ষের পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আ”লীগ এর সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, কুলিয়া ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মো. আসাদুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যা ফতেমা খাতুন প্রমুখ।
    কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ বরণ করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভোজ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পহেলা বৈশাখ সকাল ৮ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধকালী কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তারের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফুলতলায় উন্মুক্ত মঞ্চে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহামেদ মাছুম, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নববর্ষে উক্ত মঞ্চে বাউল ও লোকজ গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ, কালিগঞ্জ কলেজ, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কুশুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
    কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মানপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা সকাল হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এছাড়া সোতা-বেনাদনা মাঠে দিনটি উপলক্ষ্যে সারাদিন ব্যাপী ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে বালিয়াডাংগা মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসা, কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা, রামনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, রহমতপুর নবযুগ শিক্ষা সোপান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো বর্ষবরণ উদ্যাপন করে।
    শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহাড়ম্বরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শ্যামনগরে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫। কর্মসূচির মধ্যে লক্ষনীয় বিষয়গুলো ছিল বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ সকাল ৬ টায় সানাই, কাসাই ও ঢোল বদনের মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়। সকাল ৭ টায় মঙ্গল শোভা যাত্রায় উপজেলা সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী সংস্থা নববর্ষের ব্যানার সহ অংশ গ্রহনে এক বিশাল শোভাযাত্রা সংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্তরে সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। সকাল ৮ টায় ছাতিম তলায় অনুষ্ঠিত হয় পান্থা ভোজ উৎসব, সকাল ৯ টায় উপজেলা চত্ত্বরে বৈশাখী মেলা উদ্ভোধন, সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা, বেলা ২ টায় জারী গান, ৩ টায় সরকারী মহসীন ডিগ্রী কলেজ মাঠে সাংবাদিক বনাম সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রিতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮ টায় র‌্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি ঘটে।
    মুন্সীগঞ্জ: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহাসমারহে বর্ষ বরণ ১৪২৫ উদ্যাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে-৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন এবং হরিনগর হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যৌথ ভাবে অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করেছে। এছাড়াও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জহিরনগর দাখিল মাদ্রাসা, সুন্দরবন শিশু শিক্ষা নিকেতন ও বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী মুন্সীগঞ্জ কুলতলী বর্ষবরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলি সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরমধ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমীর বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি সবার নজর কাড়ে। এরপর পান্তা ভাত, কাঁচা ঝাল ও চিংড়ি মাছ পরিবেশন করা হয় । এ উপলক্ষ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী সন্ধ্যায় তাদের নিজস্ব শিল্পীদের সমন্নয়ে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চুনকুড়ি কালি মন্দির প্রাঙ্গনে আজ অনুষ্ঠিত হবে যাত্রানুষ্ঠান “কালো মেয়ের রাঙা পা।”
    আশাশুনি:
    বড়দল: আশাশুনির বড়দলে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের আয়োজনে এদিন সকাল ৭টায় এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি ডাঃ আলহাজ্ব এস এম মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. শিহাবউদ্দীন, সকল সহকারী শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    কাদাকাটি হাইস্কুল: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ উদ্যাপিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৭ টায় কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বর থেকে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খান। সহকারী শিক্ষক অবনী কুমার মন্ডলের পরিচালনায় এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নুর আলম, সহকারী শিক্ষক মাওঃ আফসার আলী, সুনীল কুমার রায়, নিজামুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, অসীম কুমার মন্ডল, ছাবিলুর রাশেদ, ফতেমা খাতুন, আরিফুর রহমান, রসময় মন্ডল, মিলন কুমার, শিরিন আক্তার খানম, ফাতিমা খাতুন, রুপনারায়ন রায়, আঃ রহিমসহ সকল কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    কুল্যা: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শনিবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ফিরোজ হোসেন মালীর নেতৃত্বে আরার গোবিন্দপুর লাঠি খেলা দল ও বাহাদুরপুর লাঠি খেলা দল অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত থেকে লাঠি খেলা উপভোগ করেন উপজেলা আ’লীগ সদস্য মেম্বর আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, মেম্বর আনোয়রা বেগম, সমাজ সেবক ইয়াহিয়া মোল্যা, আহাদ আলী প্রমুখ। এসময় লাঠি খেলা দেখতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রচুর দর্শক হাজির হন। খেলোয়াড়দের নানা শারীরিক কসরত দেখে মুগ্ধ হন তারা।

  • সুন্দরবন রক্ষায় ৭৬ টি ক্যাম্পে পাহারায় মাত্র ১৭৮ বনরক্ষী

    নিজস্ব প্রতিবেদক: আধুনকি নৌযান থকেে শুরু করে আগ্নয়োস্ত্র,র্ পযাপ্ত জনবলসহ নানা সংকটে এক প্রকার খুড়য়েি চলছে বশ্বি ঐতহ্যি সুন্দরবন রক্ষার্ কযক্রম। ৬ হাজার ১৭ কলোিমটাির সুন্দরবনরে ৭৬ টি ক্যাম্পরে মাত্র ১৭৮ জন বনরক্ষী দয়েি চলছে এর রক্ষাণাবক্ষণে। আধুনকি সকল সুযোগ-সুবধাি থকেে বঞ্চতি এসব বনরক্ষীদরে নইে রশনেংি ও ঝুঁকভািতা,র্ সবন¤œি বতনে স্কলে নয়েি বনরে গহীনে অবস্থানরতরা ভোগ করতে পারননো সরকারি ছুটগুিলো। নানা সংকট ও সমস্যায় কারো মৃত্যু হলওে তাদরে পরবািরকে দয়ো হয়না কোন বতনে-ভাতা। এমন শত সংকট ও প্রতকূিলতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষার্ কাযক্রম।
    বন বভািগ জানায়, ৬ হাজার ১৭ কলোিমটাির আয়তনরে সুন্দরবনরে স্থলভাগরে পরমািণ ৪ হাজার ১৪৩র্ বগ কলোিমটাির। আর জলভাগরে পরমািণ ২ হাজার ৮৭৪র্ বগ কলোিমটাির।র্ পূব ও পশ্চমি এ দু’ভাগে বভক্তি সুন্দরবন বনবভািগে মোট ৪টি রঞ্জে রয়ছ।েে সুন্দরবনরে মধ্য দয়েি শতাধকি খাল ও নদী প্রবাহত।ি এ সকল খাল-নদী পর্রদশিনে ৭৬টি ক্যাম্প থাকলওে সব মলয়িেি বন প্রহরী রয়ছনেে মাত্র ১৭৮ জন। বর্স্তীিণ সুন্দরবনরে নরািপত্তায় নরস্ত্রি অল্প সংখ্যক বন রক্ষীদরে দয়েি পাহারার্ কাযক্রম তাই মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে
    সূত্র জানায়,র্ পার্শ্ববতী দশে ভারতরে সুন্দরবন অংশের্ কর্মরতাদরে ঝুঁকি ভাতা দয়ো হয় ২ লাখ টাকা। সুন্দরবনরে পশ্চমি বনবভািগ খুলনা রঞ্জরেে ভোমরখালী টহল ফাঁড়রি জনকৈ বর্নকমী বলন,ে বনরে ভতরে নয়মিতি টহলরে জন্য তাদরে কোনো আধুনকি নৌযান নই।ে এক ফাঁড়ি থকেে অন্য ফাঁড়তেি দ্রুত কোনোভাবে পৌঁছানো যায় না। বনরে ভতরে সব জায়গায় কাজ করনো মোবাইল মোবাইল নটর্ওেয়াক।
    তনিি আরো বলন,ে নয়মিতি বনদস্যু, বাঘ ও কুমররিে সঙ্গে লড়াই করে তাদরে সুন্দরবনে কাজ করতে হয়। তারপরও ইচ্ছা থাকা স্বত্তওে নানা প্রতকূিলতায় অনকে কাজ তারা করতে পারনে না। এসময় তনিি আরো বলন,ে দায়ত্বি পালনকালে ঝুঁকি ভাতা তো দূররে কথা, ভালো কাজরওে কোনো স্বীকৃতি পাননা তারা। অনুপ্ররণোর অভাবে কখনো কখনো তারা নরুিৎসাহতি হয়ে পড়ন।ে ভুক্তভোগী বর্নকমীরা জানান, পুলশি বভািগরে ন্যায় শতভাগ ফ্যামলিি রশনে, ঝুঁকি ভাতা,র্ কমরত অবস্থায় নহতি পরবািররে জন্য এককালীন অনুদান এবং সুন্দরবনসহ অন্যান্য বন বভািগরে জন্য শতকরা ৩০ ভাগর্ দুগম ভাতা পাবার জন্য সংশ্লষ্টি বন মন্ত্রণালয়রে আগে লখতিি আবদনে করা হলওে সাড়া না পাওয়ায় খানকটিা হলওে হতাশ তারা।
    বাংলাদশে বনপ্রহরী কল্যাণ সমতরিি সুন্দরবন পশ্চমি আঞ্চলকি শাখার সভাপতি সয়দৈ অলয়াির রহমান মলনি সাংবাদকদিরে জানান, বন রক্ষীদরে দাবতেি করা আবদনেটি বন মন্ত্রণালয় পার হয়ে লাল ফতািয় আটকে গছেের্ অথ মন্ত্রণালয়।ে
    পশ্চমি সুন্দরবনরে বভগিীয় বনর্ কর্মকতা বলন,ে বন বভািগরে স্টাফদরে দাবরি বষয়িটি বভন্নিি সময়র্ ঊধ্বতনর্ কতৃপক্ষকে জানানো হয়ছ।েে
    িিজিস্ব প্রতবিদেক: আধুনকি নৌযান থকেে শুরু করে আগ্নয়োস্ত্র, র্পযাপ্ত জনবলসহ নানা সংকটে এক প্রকার খুড়য়িে চলছে বশ্বি ঐতহ্যি সুন্দরবন রক্ষা র্কযক্রম। ৬ হাজার ১৭ কলিোমটিার সুন্দরবনরে ৭৬ টি ক্যাম্পরে মাত্র ১৭৮ জন বনরক্ষী দয়িে চলছে এর রক্ষাণাবক্ষেণ। আধুনকি সকল সুযোগ-সুবধিা থকেে বঞ্চতি এসব বনরক্ষীদরে নইে রশেনংি ও ঝুঁকভিাতা, র্সবন¤িœ বতেন স্কলে নয়িে বনরে গহীনে অবস্থানরতরা ভোগ করতে পারনেনা সরকারি ছুটগিুলো। নানা সংকট ও সমস্যায় কারো মৃত্যু হলওে তাদরে পরবিারকে দয়ো হয়না কোন বতেন-ভাতা। এমন শত সংকট ও প্রতকিূলতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষা র্কাযক্রম।
    বন বভিাগ জানায়, ৬ হাজার ১৭ কলিোমটিার আয়তনরে সুন্দরবনরে স্থলভাগরে পরমিাণ ৪ হাজার ১৪৩ র্বগ কলিোমটিার। আর জলভাগরে পরমিাণ ২ হাজার ৮৭৪ র্বগ কলিোমটিার। র্পূব ও পশ্চমি এ দু’ভাগে বভিক্ত সুন্দরবন বনবভিাগে মোট ৪টি রঞ্জে রয়ছে।ে সুন্দরবনরে মধ্য দয়িে শতাধকি খাল ও নদী প্রবাহতি। এ সকল খাল-নদী পরর্দিশনে ৭৬টি ক্যাম্প থাকলওে সব মলিয়িে বন প্রহরী রয়ছেনে মাত্র ১৭৮ জন। বস্তর্িীণ সুন্দরবনরে নরিাপত্তায় নরিস্ত্র অল্প সংখ্যক বন রক্ষীদরে দয়িে পাহারা র্কাযক্রম তাই মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে
    সূত্র জানায়, র্পাশ্বর্বতী দশে ভারতরে সুন্দরবন অংশে র্কমর্রতাদরে ঝুঁকি ভাতা দয়ো হয় ২ লাখ টাকা। সুন্দরবনরে পশ্চমি বনবভিাগ খুলনা রঞ্জেরে ভোমরখালী টহল ফাঁড়রি জনকৈ বনর্কমী বলনে, বনরে ভতের নয়িমতি টহলরে জন্য তাদরে কোনো আধুনকি নৌযান নইে। এক ফাঁড়ি থকেে অন্য ফাঁড়তিে দ্রুত কোনোভাবে পৌঁছানো যায় না। বনরে ভতের সব জায়গায় কাজ করনো মোবাইল মোবাইল নটেওর্য়াক।
    তনিি আরো বলনে, নয়িমতি বনদস্যু, বাঘ ও কুমরিরে সঙ্গে লড়াই করে তাদরে সুন্দরবনে কাজ করতে হয়। তারপরও ইচ্ছা থাকা স্বত্তওে নানা প্রতকিূলতায় অনকে কাজ তারা করতে পারনে না। এসময় তনিি আরো বলনে, দায়ত্বি পালনকালে ঝুঁকি ভাতা তো দূররে কথা, ভালো কাজরেও কোনো স্বীকৃতি পাননা তারা। অনুপ্ররেণার অভাবে কখনো কখনো তারা নরিুৎসাহতি হয়ে পড়নে। ভুক্তভোগী বনর্কমীরা জানান, পুলশি বভিাগরে ন্যায় শতভাগ ফ্যামলিি রশেন, ঝুঁকি ভাতা, র্কমরত অবস্থায় নহিত পরবিাররে জন্য এককালীন অনুদান এবং সুন্দরবনসহ অন্যান্য বন বভিাগরে জন্য শতকরা ৩০ ভাগ র্দুগম ভাতা পাবার জন্য সংশ্লষ্টি বন মন্ত্রণালয়রে আগে লখিতি আবদেন করা হলওে সাড়া না পাওয়ায় খানকিটা হলওে হতাশ তারা।
    বাংলাদশে বনপ্রহরী কল্যাণ সমতিরি সুন্দরবন পশ্চমি আঞ্চলকি শাখার সভাপতি সয়ৈদ অলয়িার রহমান মলিন সাংবাদকিদরে জানান, বন রক্ষীদরে দাবতিে করা আবদেনটি বন মন্ত্রণালয় পার হয়ে লাল ফতিায় আটকে গছেে র্অথ মন্ত্রণালয়।ে
    পশ্চমি সুন্দরবনরে বভিগীয় বন র্কমর্কতা বলনে, বন বভিাগরে স্টাফদরে দাবরি বষিয়টি বভিন্নি সময় র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষকে জানানো হয়ছে।ে