Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
খুলনা Archives - Daily Dakshinermashal

Category: খুলনা

  • একদিনের ব্যবধানে খুমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যু

    একদিনের ব্যবধানে খুমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যু

    একদিনের ব্যবধানে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. রকমান (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

    এর একদিন আগে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রতিকান্ত ডাকুয়া (৮৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।

    খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মো. রকমান নামে এক যুবক খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ইউনিটের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি খুলনা মহানগরীর হরিণটানার রায়ের মহল এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ারের ছেলে। এ নিয়ে চলতি বছরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

  • ছাত্ররাজনীতিকে ‘না’ বললো খু‌বির সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থী

    ছাত্ররাজনীতিকে ‘না’ বললো খু‌বির সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থী

    সন্ত্রাস ও ছাত্ররাজনীতিকে না বলে শপথ নিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ৫ দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশনের শেষ দিনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে শপথ বাক্য পাঠ করান উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান।

    শপথে বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদক ও র‌্যাগিংমুক্ত রাখার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর আগে চার দিনে আরও আট শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীকে শপথ পড়ানো হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুনভাবে মুদ্রিত স্টুডেন্ট হ্যান্ডবুক বিতরণ করা হয়।

    নবীন শিক্ষার্থীদের ‘উইক অব ওয়েলকাম’ শীর্ষক ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক ওরিয়েন্টেশনের শেষ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ছাত্ররাজনীতিমুক্ত, সেশনজটবিহীন ও একাডেমিকভাবে শৃঙ্খলিত পরিবেশ। এখানকার একাডেমিক ক্যালেন্ডার নির্ধারিত সময়েই শিক্ষাক্রম শেষ করতে সহায়তা করে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।

    তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমেও আমরা সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বহুমাত্রিকভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তিনি শিক্ষাজীবনের অর্জনগুলোকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নূর আলম, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম।

    আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সালাউদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. এস এম তৌহিদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রিসোর্স পারসন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ‘কপিং এন্ড থ্রাইভিং ইন হায়ার এডুকেশন এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক একটি টেকনিক্যাল সেশন উপস্থাপন করেন। এ ছাড়াও আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আলমগীর হোসেন, সেন্টার ফর প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মোছাঃ তাছলিমা খাতুন এবং খানজাহান আলী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. খসরুল আলম রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন উপস্থাপন করেন।

    ওরিয়েন্টেশনের শেষ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, পরিসংখ্যান, ব্যবসায় প্রশাসন এবং হিউম্যান রিসোর্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

  • ডুমুরিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত: শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা

    ডুমুরিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত: শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা

    “সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ডুমুরিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো এক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ। পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) ডুমুরিয়ার আয়োজনে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর এমআইপিএস প্রকল্পের সহযোগিতায় বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ডুমুরিয়া মহিলা কলেজে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শেখ শহিদুল ইসলাম, ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা, জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা প্রতিনিধি মাওলানা আজাহারুল ইসলাম এবং ডুমুরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিএফজি কোঅরডিনেটর শেখ ফরহাদ হোসেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পবিত্র কোরআন, গীতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতীকী বার্তা দেওয়া হয়।
    সঞ্চালনায় ছিলেন এরিয়া কোঅর্ডিনেটর এস.এম. রাজু জবেদ ও ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মো. আবু তাহের।

    সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও আলোচনায় অংশ নেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের খুলনা রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মাসুদুর রহমান।
    ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সহকারী অধ্যাপক ও পিস অ্যাম্বাসাডর মো. আব্দুল হালিম ডালি।

    বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশ বহু ধর্ম, জাতি ও সংস্কৃতির মিলনস্থল। এই দেশের শক্তি ধর্মীয় সম্প্রীতি। বিভেদ নয়, আমাদের প্রয়োজন ঐক্য, সহনশীলতা ও মানবিকতা।” তারা ধর্মীয় উস্কানি ও গুজব থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং সমাজে শান্তি বজায় রাখতে ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন।

    সভায় প্রস্তাব আসে প্রতিটি ইউনিয়নে ‘সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি’ গঠনের এবং নিয়মিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের।
    সংলাপের শেষাংশে ১১ দফা ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে অংশগ্রহণকারীরা স্বাক্ষর করেন।

  • বাংলা নববর্ষ উদযাপনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল আয়োজন

    বাংলা নববর্ষ উদযাপনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল আয়োজন

    পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কেন্দ্রিয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈশাখী মেলা। মেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। উচ্ছ্বাসে ভরা বর্ণিল এই শোভাযাত্রা ছিল উৎসবমুখর।

    নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের তৈরী বিভিন্ন মুখোশ, বিশালাকৃতির কাঠামো, ভাস্কর্য, কাঠের তৈরি স্ট্রাকচার ও মুখোশগুলো বৈশাখী শোভাযাত্রাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ক্যাম্পাসের খোলা স্থান রঙিন আলপনা, ফেস্টুন ও ব্যানারে সজ্জিত করা হয়েছে।

    এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।

  • কুয়েটে নিষিদ্ধ রাজনীতি

    কুয়েটে নিষিদ্ধ রাজনীতি

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) নিষিদ্ধই থাকছে রাজনীতি। একইসঙ্গে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনসহ পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৮তম (জরুরি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ।

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কুয়েটে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ঘোষিত রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি বহাল থাকবে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।

    এ ছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৩ এর ধারা ৪৪(৫) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী চাকরিচ্যুত করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তদন্তসাপেক্ষে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।

    এদিকে গতকাল মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং একইসঙ্গে সরাসরি জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হবে। প্রকৃত দোষী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবে।

    কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম. এম. এ. হাসেম, সদস্য শহীদ স্মৃতি হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আবু জাকির মোর্শেদ ও সদস্যসচিব সহকারী পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) শাহ মুহাম্মদ আজমত উল্লাহ।

    খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের তত্ত্বাবধায়নে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় আহত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি পূরণের জন্য আজ বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময় পার হওয়ার পর তারা তালা লাগিয়ে দেন।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের আল্টিমেটাম ছিল। প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হয়নি। তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।

    এদিকে পাঁচ দফা দাবিতে আজ সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন। এই চিকিৎসাকেন্দ্রের দোতলায় চিকিৎসাধীন আছেন ভিসি মুহাম্মদ মাছুদ। মঙ্গলবার রাতে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি সেখানে আছেন।

    অপরদিকে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। পরে সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা কুয়েটে হামলা ও উসকানিতে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে শিববাড়ি মোড়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

  • কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

    কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে নগরীর রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের কুয়েটে মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    বর্তমানে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে আছে। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনা  ও নৌবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

     

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ম্যাসেনজার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া চলছিল। সোমবার তারা ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করে। মঙ্গলবার সকালে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। পরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়।

    বেলা ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। তারা  ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটায়, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌছালে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেয়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা কুয়েটের বাহিরেও ছড়িয়ে পড়ে।

    দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে কুয়েট পকেটগেটের বাইরে বিএনপি সমর্থিত বহিরাগতরা একজন ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ক্যাম্পাসের ভিতর ফেলে দেয়। এরপর থেকে সাধারণ ছাত্রদের ভেতর চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

    পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী একজোট হয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশ এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা  ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দেয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এতে প্রায় ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষে আহতদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে একের পর এক হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ পর্যন্ত চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে।কুয়েট সিভিল ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে ভিসির কাছে গেলে ছাত্রদলের ছেলেরা আমাদের হুমকি দেয়। তারা সিনিয়রদের লাঞ্চিত করে। আমরা ভিসির কাছে এই বিচার দিয়ে বের হয়ে আসার পর বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছি। পরে আশপাশের এলাকার বিএনপির লোকজন সঙ্গে নিয়ে তারা আবার হামলা চালায়। এতে অসংখ্য ছাত্র আহত হয়েছে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির মুখপাত্র মিরাজুল ইসলাম ইমন বলেন, বিনা উস্কানিতে ছাত্রদলের কর্মীরা ছাত্রদের রক্ত ঝড়িয়েছে। তারা কুয়েটের সদস্য সচিব জাহিদ ভাইকে রামদা দিয়ে ১০টা কোপ দিয়েছে,  জেলার আহ্বায়ক তাসনিম  ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রাতুলে পা ইট দিয়ে থেকলে দিয়েছে। অসংখ্য ছাত্র আহত। সব তথ্য পরে দিতে পারবো।

    খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইশতি দাবি করেন, ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে গেলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দেয়। পরে তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

    তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসাইন মিলন বলেন, কুয়েটের ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে বলে শুনেছি। আমরা হামলার নিন্দা ও জড়িতদের বিচার চাই।

    খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জন আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।

  • খুলনা বিভাগের ৫৮ শহীদ পরিবার পেল দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা

    খুলনা বিভাগের ৫৮ শহীদ পরিবার পেল দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা

    জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৮ শহীদ পরিবারের প্রতিটিকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

    অনুষ্ঠানে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মো. হাসানুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. তারিকুল ইসলাম, আশরফা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান বক্তৃতা করেন। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ।

    অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা জীবন দিয়ে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। এ বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়, দুর্বার ও সাহসের বাংলাদেশ। নতুন বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। এই অভ্যুত্থানের ইতিহাস নতুন বাংলাদেশের ছাত্রজনতার সংগ্রামের ফসল। ছাত্রজনতার আন্দোলনকে একটি মহল অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। অভ্যুত্থানকে বির্তকিত করার চেষ্টা এখনও চলছে। ছাত্রদের স্পৃহা, মনের আকাঙ্খা আমাদের বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। গত ১৫ বছর সকলক্ষেত্রে বৈষম্য ছিলো। আমাদের সমাজ ও বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে গড়ে তুলতে হলে সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

    অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও খুলনা জেলার সমন্বয়ক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • উপকূলীয় সংকট নিরসনে করণীয় শীর্ষক ২ দিন ব্যাপী কর্মশালার শুভ উদ্ভোধন

    উপকূলীয় সংকট নিরসনে করণীয় শীর্ষক ২ দিন ব্যাপী কর্মশালার শুভ উদ্ভোধন

    ২৫ অক্টোবর ২০২৪ রোজ শুক্রবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স আয়োজিত ‘উপকূলীয়
    সংকট নিরসনে করণীয় বিষয়ক কর্মশালার’ শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করা হয়। খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন
    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, পরিবেশবিদ, উন্নয়ন সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের
    অংশগ্রহণে এ কর্মশালা উপকূলের সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে
    আলোচনা করবে। কর্মশালাটি আয়োজিত হয়েছে উপকূলবর্তী মানুষের জীবনযাত্রা রক্ষা ও পরিবেশ
    সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্য।
    খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে আয়োজিত এ কর্মশালায় সাংবাদিক জনাব গৌরাঙ্গ নন্দীর
    সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার
    জনাব আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ
    ফোরামের সম্পাদক জনাব মাহফুজুর রহমান মুকুল, কালের কন্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক জনাব নিখিল
    চন্দ্র ভদ্র, উত্তরণের টেকনিক্যাল অফিসার জনাব শেখ সেলিম আক্তার স্বপন, কুয়েটের সহযোগী
    অধ্যাপক জনাব আনজুম তাসনুভা, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্লানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব
    ডঃ তুষার কান্তি রায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব
    মোল্যা শফিকুর রহমান , রূপান্তরের তথ্য অফিসার জনাব শেখ আব্দুল হালিম প্রমুখ। এসময় যশোর
    থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির আইন বিষয়ক সদস্য জনাব অনিল বিশ্বাস,
    ভুক্তভুগী শিলা রানী মল্লিক, মোংলা থেকে পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের মো. নূর আলম শেখ,
    নদীকর্মী হাছিব সরদার, শ্যামনগর থেকে জনাব রণজিৎ কুমার বর্মন, জনাব মানবেন্দ্র দেবনাথ,
    সাতক্ষীরা থেকে অধ্যক্ষ আশেক-ই-ইলাহী সহ আরো অনেকে।
    প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন শুধু ড্রেজিং করে নয়, নদী বাঁচাতে হলে অবশ্যই টিআরএম
    প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে। বিশেষ করে নদীর পলি এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা
    গ্রহন করতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, নদীর মাধ্যমে উপকূল বাঁচানো না গেলে উপকূলের সাথে
    সংযুক্ত জেলা, বিভাগীয় শহরগুলোতেও নানা ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাই নদী রক্ষা ও উপকূলীয়
    বোর্ড গঠন করা খুবই জরুরি।
    উক্ত কর্মশালায় উপকূলীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে
    সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্ব নিয়েও এ কর্মশালায় আলোকপাত করা হবে। কর্মশালার শেষ দিনে
    একটি প্রস্তাবনা ও কার্যকর পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে, যা ভবিষ্যতে উপকূলীয় অঞ্চলের
    স্থায়ী সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

  • কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী পালিত

    কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী পালিত

    ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা, তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়।

    ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর (২৯ আশ্বিন) বরিশাল জেলার আমানতগঞ্জের রেডক্রস হাসপাতালে জন্ম গ্রহন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর। পিতা ডাঃ শেখ ওয়ালীউল্লাহ (১৯৩০-১৯৯৬), মাতা শিরিয়া বেগম (১৯৩৯ – ২০০৪)। পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত সাহেবের মেঠ গ্রামে। ১০ ভাই-বোনর মধ্যে ছিলেন রুদ্র সবার বড়।

    বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দিবসটি উপলক্ষে কবির পৈতৃক বাড়ি মোংলার মিঠেখালীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘রুদ্র স্মৃতি সংসদ’। সকাল ৯টায় মিঠাখালী বাজার থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি মিঠাখালী বাজার প্রদক্ষিণ করে কবির মাজারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পরে সেখানে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের অনুজ সাংবাদিক সুমেল সারাফাত, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম শেখসহ রুদ্র স্মৃতি সংসদ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা।

    ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। অকালপ্রয়াত এই কবি নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্যচেতনা ও অসাম্প্রদায়িকবোধে উজ্জ্বল তার কবিতা। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি উচ্চারণ করেছেন অবিনাশী স্বপ্ন- ‘দিন আসবেই- দিন সমতার’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্র প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তার কাব্যের আরেক প্রান্তরজুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।

    মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। ‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

    শৈশবের অধিকাংশ সময় তাঁর কেটেছে নানাবাড়ি মিঠেখালি গ্রামে (বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত)। এখানকার পাঠশালাতেই তাঁর পড়াশুনা শুরু। ১৯৬৪ : দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন সাহেবের মেঠ গ্রামে তাঁর নানার নামে প্রতিষ্ঠিত “ইসমাইল মেমোরিয়াল স্কুল”-এ।

    উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান। কিশোর শহিদুল্লাহ যোগ দেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণআন্দোলনের কর্মসূচিতে। হরতাল, মিছিল, মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নেন তিনি।

    উল্লেখ্য, মৃত্যুর ৩২ বছর পরে এবছরের গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্ত অন্যান্যদের সঙ্গে ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নাম প্রকাশ করা হয়।

  • থানায় ঝুলিয়ে নির্যাতন : সাবেক ওসি কামরুজ্জামানসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

    থানায় ছাত্রদল নেতাকে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি এস এম কামরুজ্জামানসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

    রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নির্যাতিত সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হক টিটো বাদি খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলার অপর আসামিরা হলেন— তৎকালীন খুলনা সদর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. শাহ আলম, উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জেলহাজ্ব উদ্দিন, কনস্টেবল কাশেম, জাহিদ, তারক, ইস্রাফিল, তৎকালীন পুলিশ কমিশনার শফিকুর রহমান ও তৎকালীন ডেপুটি পুলিশ কমিশনারসহ অজ্ঞাত আরো অনেকে।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার শফিকুর রহমান ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ওসি এস এম কামরুজ্জামানসহ আসামিরা মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি ও সরকারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাহমুদুল হক টিটো ও ফেরদৌস রহমান মুন্নাকে জোরপূর্বক আটক করে। তাদের হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে ও চোখ গামছা দিয়ে বেধে থানায় নিয়ে আসা হয়।পরে মাহমুদুলকে হ্যাণ্ডকাপ পরা অবস্থায় থানা অভ্যন্তরে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশের বেধড়ক মারধরে বাদী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কামরুজ্জামান তখন পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘শালার জ্ঞান ফেরা, আমাদের আরো কাজ বাকি আসে।’ তখন আসামি এসআই মো. জেলহাজ্ব উদ্দিন চোখে মুখে পানি দিয়ে তার জ্ঞান ফেরান।

    তিনি কোনভাবেই বসতে পারছিলেন না। আসামিরা তাকে বার বার লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে তৎকালীন ওসি বাদীর পেটে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। বলে-‘ শালাকে ক্রসফায়ারের জন্য গাড়িতে উঠা, সব জানতে পারবো। তখন বাদী মেঝেতে পড়িয়া থাকলে পুনরায় আসামিরা পিটাতে থাকে।

    এতে তার হাড় ভেঙে যায় ও জখম হয়ে জ্ঞান হারান। পুলিশ কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশে পরে তাদের জেলহাজতে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার প্রধান আসামি বাদী ও ফেরদৌস রহমান মুন্না।

    মামলার বাদী বলেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় জেল হাজতে থাকার পর সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি আসামিদের রোষানল হতে মুক্তি পাননি। পরবর্তীতে বিভিন্ন দলীয় মামলায় তাকে আসামি করা হয়। এতে তাকে কারাভোগ করতে হয়। ওই নির্যাতনে তার মেরুদণ্ডে সমস্যা ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে একাধিক বার থানা ও পুলিশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও মামলা গ্রহণ করা হয়নি।

  • সাতক্ষীরা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিসএফজি ) সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

    সাতক্ষীরা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিসএফজি ) সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

     “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে সাতক্ষীরা সদর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিসএফজি ) সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে ৩ দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে । দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর MIPS প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় মানুষের মাঝে সকলক্ষেত্রে সম্প্রীতিপূর্ণ আচরণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে  ৩০ জুন ২০২৪ এবং ০১ ও ০২ জুলাই ২০২৪  তিন দিন ব্যাপী খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে পিস ফ্যসিলিটেটর ব্যাসিক (পিএফবিটি) প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সুস্থ্য ও শান্তি পূর্ণ পরিবেশ তৈরী এবং মানবিক সমাজ গঠনে মানুষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজে মানুষের মাঝে সৌহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশের অভাব রয়েছে । যার ফলে  সমাজের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ক্ষোভ বিক্ষোভ এবং বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়, বিশেষত রাজতৈকি, ধর্মীয় ও  জাতিগত বিবেধ, দ্বন্দ্ব নিরসনকে এই প্রশিক্ষণে প্রাধান্য দেয়া হয়।
    উক্ত প্রশিক্ষণে ফ্যসিলিটেটর হিসাবে ছিলেন ট্রেনিং  ও ক্যাপাসিটি এক্সপার্ট  উত্তম কুমার সরকার, এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস.এম. রাজু জবেদ, ডিস্ট্রিক্ট ফ্যসিলিটেটর নাজমুল হুদা মিনা এবং প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন রুবিনা আক্তার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ট্রেনিং এন্ড মবিলাইজেশন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এমআইপিএস প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর রেজবিউল কবির এবং মোঃ আবু তাহের।
    প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, জাসদ এর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও পিস এ্যাম্বাসেডর অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী্, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা দল এর সভানেত্রী এবং পিএফজি এম্বাসেডর ফরিদা আক্তার বিউটি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পিএফজি এম্বাসেডর কাজী আকতার হোসেন, সাংবাদিক এবং পিএফজি এম্বাসেডর  মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল এবং পিএফজি কো-অর্ডিনেটর অধ্যক্ষ পবিত্র মোহন দাস।আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, সাবেক অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা  প্রফেসর এস এ এম আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ; প্রফেসর ড. দিলারা বেগম,  সাবেক অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ; সাংস্কৃতিক কর্মী স ম তুহিন সহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ধর্মিয় নেতা, শিক্ষক এবং সুশিল সমাজের গুরুত্বপূর্ন প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে সকলে শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে অঙ্গিকারবদ্ধভাবে কাজ করতে যে সকল বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিলো সুষ্ঠ রাজনৈতিক পরিবেশ, দ্বন্দ্ব ও সহিংসতা নিরসন, নারীদের ক্ষমতায় ও অধিকার বাস্তবায়ন। এছাড়া রাজনৈতিক, ধর্মিয় ও জাতিগত সহিংসতা নিরসনে দল মত নির্বিশেষে পিএফজি কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারন করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাতে সকল জনগণকে সাথে নিয়ে আগামিতে কাজ করার ত্রৈমাসিক পরিকল্পনা গ্রহণ  করা হয়। সমাপনি বক্তব্যে খুলনা রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর মাসুদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন সংঘাত নয় সম্প্রীতির বাংলাদেশ স্থাপনে রাজনৈতিক, ধর্মিয় ও নৃগোষ্ঠিগত সহিংসতা নিরসনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পিএফজি অগ্রনি ভুমিকা পালন করবে এই প্রত্যাশা রেখে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
  • পাইকগাছায় ফুলেল শুভেচ্ছায় নব যোগদান কৃত সহকারি শিক্ষকবৃন্দ

    পাইকগাছায় ফুলেল শুভেচ্ছায় নব যোগদান কৃত সহকারি শিক্ষকবৃন্দ

    পাইকগাছায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৪জন নব যোগদান কৃত সহকারি শিক্ষক কে প্রধান ও সহকারি শিক্ষক সমিতি ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েন। উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের কে বরন করা হয়। বরন করার সময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ ঈমান উদ্দীন, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেন, ঝংকার ঢালী, সঞ্জয় দেবনাথ, দিবাশিষ দাশ, প্রধান শিক্ষক সমিতর সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়, সম্পাদক নুরুজ্জামান, সহকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এস কে আসাদুল্লাহ মিঠু, সম্পাদক রফিকুল ইসলাম গাজী, মোঃ লুৎফর রহমান, বিএম আক্তার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, তরুন সাধু, অলোক মৃধা, শেখ শহীদুল্লাহ, রুহুল আমিন, দিপক মন্ডল ও শাকিলা জামান প্রমুখ সহ নব যোগদান কৃত সহকারি শিক্ষকবৃন্দ।
  • প্রফেসর সাজ্জাদ ও আলমগীরকে খুকৃবি ভিসির অভিনন্দন

    প্রফেসর সাজ্জাদ ও আলমগীরকে খুকৃবি ভিসির অভিনন্দন

    বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পাওয়ায় প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আলমগীরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (খুকৃবি) এর ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী।

    এক অভিনন্দন বার্তায় খুকৃবি উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর সফলভাবে প্রথম মেয়াদে ইউজিসি’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকার তাদের দ্বিতীয় মেয়াদে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করায় উচ্চশিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

    উল্লেখ্য সোমবার (৫জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয় দু’টি পৃথক আদেশ জারির মাধ্যমে  আগামী চার বছরের জন্য তাঁরা সদস্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁরা প্রথম মেয়াদের অনুরূপ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন। প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন ও প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর এর প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হবে যথাক্রমে চলতি মাসের ১১ ও ১৫ তারিখে।

    ২০১৯ সালের ১২ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে সদস্য হিসেবে যোগদানের পূর্বে প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। এছাড়া ড. সাজ্জাদ রাশিয়ার মস্কো টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেম নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স ও একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।

    ২০১৯ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে সদস্য হিসেবে যোগদানের পূর্বে প্রফেসর আলমগীর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সিন্ডিকেট সদস্য, প্রভোস্ট এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে।

    তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি এবং জাপানের সাগা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

  • খুকৃবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সভাপতি পলাশ, সম্পাদক তুহিন

    খুকৃবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সভাপতি পলাশ, সম্পাদক তুহিন


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘নীল দল’ এর ২০২৩-২৪ সালের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ বোটানি বিভাগের শিক্ষক আরিফ সাদিক পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের শিক্ষক তুহিনুল হাসান।
    ২ এপ্রিল (রবিবার) খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পূর্বে গত ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত বিষয় নির্বাচনী কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তাঁরা। কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষক জান্নাত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক রাকিবুল হাসান রাব্বী, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ফিসারি বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের শিক্ষক অঙ্কুর চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পদে ওশেনোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক জেসমিন আরা, আইন ও দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক পদে পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে এগ্রিকালচারাল স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড বায়োইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক হুমায়রা ইয়াসমিন, শিক্ষা ও গবষেণা বিষয়ক সম্পাদক পদে ওশেনোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে হর্টিকালচার বিভাগের শিক্ষক আফসানা ইয়াসমিন, কৃষি ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে ক্রোপ বোটানী বিভাগের শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে সোসিওলজি এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষক রাসমিয়া সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে সোসিওলজি এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষক কাজী মৌসুমি আক্তার, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (পূর্ববর্তী কমিটির পদাধিকারবলে) ফিশারি রিসোর্সেস কনজারভেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক মোঃ মেহেদী আলম, ফিশারি বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের শিক্ষক সাদিয়া ইসলাম, ফার্ম পাওয়ার এন্ড মেশিনারি বিভাগের শিক্ষক মোছাঃ সাবিনা আলম, এগ্রিকালচারার স্ট্যাটিসটিক্স এন্ড বায়োইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মোঃ আরিফুল ইসলাম, সোসিওলজি এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষক প্রিয়াংকা গোস্বামী, পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক দিলরুভা আক্তার মীর নির্বাচিত হয়েছেন।
    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর চেতনা ও আদর্শ ধারণ, চর্চা এবং প্রচারসহ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে ও উন্নয়নে গঠনমূলক অবদান রাখা, সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কল্যাণে ও উন্নয়নে গঠনমূলক কাজ করে যাচ্ছে নীল দল।

  • Untitled post 19580

    পাইকগাছায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ-এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
    খুলনার পাইকগাছায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ উপজেলা শাখার উদ্যোগে শুক্রবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক আলোচনা সভা দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেন-এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য পিযুষ কান্তি মন্ডল, মোঃ মাহাফুজুল হক কিনু, সুজন কুমার রায়, প্রভাষক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, মনোজ কুমার মন্ডল, পৌর কাউন্সিলর কবিতা দাশ, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম (অবঃ আর্মি), সাংবাদিক বি.সরকার, সঞ্জিব মন্ডল, মোঃ আমিরুল ইসলাম, বাশারুল ইসলাম বাচ্চু, অসিত কুমার মন্ডল, অরবিন্দু কুমার সানা, রিপন রায়, সমারেশ বিশ্বাস, পলাশ বাছাড়, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ হাফিজুল ইসলাম, শেখ রাজু হোসেন, সবুজ ঢালী, নিউটন মিস্ত্রী, সুকৃতি মন্ডল, মোঃ কামরুজ্জামান, সমীরন কুমার সরদার। আলোচনা সভায় উপজেলা কমিটিতে সাংবাদিক বি.সরকারকে প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, সঞ্জীব মন্ডলকে সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও মোঃ আমিরুল ইসলামকে সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্তির জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা কমিটির নিকট পত্র প্রেরনের সিদ্ধান্ত হয়।

  • খুমেক হাসপতালে রোগীর চাপে মেঝেতেও জায়গা ফাঁকা নেই

    খুমেক হাসপতালে রোগীর চাপে মেঝেতেও জায়গা ফাঁকা নেই

    নিজস্ব প্রতিনিধি: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল। এই হাসপাতালে সাধারণ সময়েই অনেক রোগীর চাপ থাকে। এদিকে বর্তমানে দেশের ঘটছে ঋতু পরিবর্তন। এই সময়ে স্বাভাবিকের তুলনায় রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। ফলে বেড সংকটের পাশাপাশি পুরো চিকিৎসাসেবায় নেমে এসেছে ভোগান্তি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সিট না পেয়ে বারান্দার ফ্লোরে আশ্রয় নিচ্ছেন।
    রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের সামনের সিঁড়ি বেয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠতেই দেখা যায় বারান্দার ফ্লোরের দুই পাশে অসংখ্য মানুষ শুয়ে-বসে রয়েছেন। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, তারা আড্ডা বা খোশগল্পে মজে আছেন। কিন্তু কাছে যেতেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সেখানে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ পাটি ও কাঁথা বিছিয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। শুধু দ্বিতীয় তলায়ই নয়, গোটা হাসপাতালের বারান্দা-জানালার পাশে রোগী ও তার স্বজনরা এভাবেই অবস্থান নিয়ে সেবা গ্রহণ করছেন। মেডিসিন ওয়ার্ডের পাঁচটি ইউনিটের বারান্দা, সার্জারি ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে, ২, ৩, ৪ ও ৫ তলায় লিফটের সামনে, ব্লাড ব্যাংকের সামনের বারান্দা, চিকিৎসকদের কক্ষের সামনের মেঝেতেও শুয়ে আছেন অসংখ্য রোগী। মাঝখানের এক-দেড় ফুট খালি জায়গা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের লোকজন। এতে ধুলা উড়ে রোগীদের নাক, মুখ, চোখ ও খাবারের মধ্যে যাচ্ছে।
    রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে শয্যা নেই। ফলে বাধ্য হয়েই মেঝেতে অবস্থান নিতে হচ্ছে।
    চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। ফলে অবকাঠামো আর শয্যা সংকটে বাধ্য হয়েই রোগীদের ফ্লোরে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে চিকিৎসকরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনই কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।
    হাসপাতালের চিকিৎসক সিহাব হোসেন বলেন, বেড বাড়ানো প্রয়োজন। বেড বাড়লে অবশ্যই রোগীদের জন্য সুবিধা হয়।
    বেড সংকটের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগীর স্বজনদের যেন অভিযোগের অন্ত নেই। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে হলেও বেশিরভাগ নির্ভর করতে হয় বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ওপর। দালালের উৎপাত তো রীতিমতো সীমার বাইরে। হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে রয়েছে দালাল চক্রের অত্যাচার।
    খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট ডা. মো. নিয়াজ নওশেদ বলেন, মূলত যন্ত্রপাতি কম, কিছু মেশিন নষ্ট, পরীক্ষার কিট ও জনবল সংকটের কারণে সব পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
    খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ৫০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ১৫০০ ঊর্ধ্বে রোগী থাকছে। অর্থাৎ ৩০০ শতাংশের বেশি রোগীর সেবা দিচ্ছি। আমাদের সকল রোগীকে বেডে সংকুলান করতে পারি না, যার কারণে কিছু রোগী সবসময় ফ্লোরে থাকছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই বেডের অভাবে রোগী ফ্লোরে রাখছি। কিন্তু আমরা কাউকেই চিকিৎসা বঞ্চিত করছি না।
    খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান বলেন, এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাসপাতাল। এখানে খুলনা ছাড়াও পিরোজপুর, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জের রোগী আসেন। কোনো রোগীকেই কিন্তু ফেলে দেওয়ার নয়। আমাদের সব রোগীকেই ভর্তি করতে হয়। সবারই সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ৫০০ শয্যা অনুযায়ী হাসপাতালের জনবল কাঠামো। আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল নেই। শয্যাসংখ্যা কম থাকায় বাধ্য হয়েই অনেক রোগীকে মেঝেতে রাখতে হচ্ছে।
    তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকের ২৮৮টি পদের মধ্যে ৯২টি পদ খালি। অন্যান্য পদ শূন্য রয়েছে ৪৩টি। দুটি অপারেশন থিয়েটারে টেবিল রয়েছে আটটি। এ অবস্থায় ভর্তি থাকা প্রায় ১ হাজার ৫০০ রোগীর পাশাপাশি বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার রোগীর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। জনবল কম ও অবকাঠামো সমস্যা। রোগীরা বারান্দায়-মেঝেতে শুয়ে আছে। এটাতো আমাদের কাছেও ভালো লাগে না। সে জন্য আমরাও খুব কষ্টের মধ্যেই আছি। ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন, স্টাফরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন যাতে আমরা সবসময় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যেতে পারি।

  • জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিমূলক অভিযান : বিভিন্ন অপরাধে ০৪টি ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১৫,০০০/- জরিমানা




    খুলনা, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা 
    জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব শিকদার শাহীনুর আলম-এর নেতৃত্বে
    পরিচালিত তদারকিমূলক অভিযানে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আদায়কৃত জরিমানার  তথ্য :
      সময় : ১১.০০ হতে  ১.৩০টা পর্যন্ত
    মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় তদারকি করে রূপসা স্ট্যান্ডে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর
    পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও সংরক্ষণ করায় শেনন রিভার ভিউ ও ক্যাফে কে ৫০০০/-,
    সোহাগ হোটেলকে ২,০০০/-, সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীকে ৫০০০/-, বিদেশী কসমেটিকসে
    মূল্য না থাকায় বিগ বাজারকে ৩,০০০/- টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা
    হয়। এছাড়া বেশ কিছু দোকান তদারকি করা হয়।
    অভিযানে সর্বমোট আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ১৫,০০০/- টাকা।

    এ অভিযানে  সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার
    বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। ব্যবসায়িদের
    ক্রয়/বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শণ করতে অনুরোধ জানানো হয়
    এবং সচেতন করতে লিফলেট, প্যামপ্লেট বিতরণ করা হয়।
    এই তদারকিমূলক অভিযানে সহায়তা করেন সদর থানা পুলিশ ও ক্যাব প্রতিনিধি
    খুলনা। জনস্বার্থে এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  • খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র বিতরণ

    খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র বিতরণ


    বি.সরকার, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সরদার আলী আহসান, মুক্তিযোদ্ধা রণজিৎ সরকার, আমিনুল ইসলাম, কাজী তোর্কারম হোসেন টুকু, আব্দুল গফুর, ও জামিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপজেলার তালিকাভুক্ত ২৪১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত সনদপত্র এবং ১৩৪ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট কার্ড সহ সনদপত্র প্রদান করা হয়।