খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শাকবাড়ীয়া খাল অবমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় উপজেলার মহারাজপুর বড়ব্রীজ এলাকায় স্থানীয় জনগণ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, মহারাজপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শাকবাড়ীয়া খালটি এলাকার সবচেয়ে বড় খাল। তবে সরকার কর্তৃক মৎস্য চাষীদের কাছে ইজারা দেওয়ার পর থেকে এটি সাব-লিজ দেওয়া হচ্ছে, যা ইজারার নিয়মনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৬ হাজার বিঘা জমিতে ফসল ফলাতে কৃষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খালটি পুনরদ্ধারের মাধ্যমে এলাকাবাসী কৃষি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (অবঃ) জি এম আনোয়ার হোসেন, কৃষক আলাউদ্দিন, লুৎফর রহমান মোল্লা, আবুল হোসেন গাজী ও আছাফুর রহমানসহ আরও অনেকে। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, শাকবাড়িয়া খালটি অবমুক্ত করা হয় এবং এর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা যায় তবে এলাকায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। এতে হাজার হাজার বিঘা জমি আবার চাষাবাদের আওতায় আসবে এবং কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে।স্থানীয়দের অভিযোগ, খালটি ইজারা দেওয়ার নামে মূলত একটি চক্র এর অপব্যবহার করছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা খালটি অবমুক্ত করার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খালটি অবমুক্ত করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান এবং কৃষকদের জীবন-জীবিকা সুরক্ষিত থাকে সে জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
Category: কয়রা
-

কয়রায় নৌবাহিনীর অভিযানে জেলিপুশকৃত চিংড়িসহ নারী আটক
খুলনার কয়রায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী এক অভিযান চালিয়ে ৬০ কেজি জেলি পুশ করা চিংড়ি জব্দ করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মোছাঃ তাসমিয়া (৩৭) নামের এক নারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে তার স্বামী আলাউদ্দিন ( ৪২)পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ২৮ জুন (শনিবার) সকালে মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি এলাকায় নৌবাহিনী এ অভিযান চালায়। অভিযানে নৌবাহিনীর সঙ্গে কয়রা থানা পুলিশ, বন বিভাগ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সদস্যরা ছিলেন। আটককৃত তাসমিয়াকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট জনাব রুলী বিশ্বাস তাৎক্ষণিক মোবাইল কোটের মাধ্যর্মে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ধ প্রদান দেন।
-

কয়রা উপজেলায় ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
২৫ জুন ২০২৫ তারিখ সকালে লিডার্স কয়রা শাখা অফিসে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জীবন জীবিকা নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি জনাব মোঃ শাহা আলম গাজী। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ ওমর আলী মোল্লা, ডলি রানী মন্ডল, সহ ফোরামের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ। সমন্বয় সভা পরিচালনা করেন লিডার্স এর সিনিয়র ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মোঃ সিরাজুল ইসলাম।সমন্বয় সভায় বক্তরা বলেন, লিডার্স দীর্ঘ দিন যাবত এই এলাকায় কাজ করে আসছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ, সুপেয় পানির সংকট, খরা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত জলবদ্ধতা এবং সেচের জন্য পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন হুমকির সম্মুখীন, ফলে অনুকুল আবহাওয়া অভাবে কৃষি উৎপাদন কমেছে। সভায় বিগত পরিকল্পনা পর্যালচনা এবং আগামীতে ফোরামের করনীয় বিষয় নির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে। -

কয়রায় লিডার্স এর বীজ ও জৈব সার বিতরণ
২৪ জুন ২০২৫ সকাল ১০:০০ সময় লিডার্স শাখা অফিস ঘড়িলাল, কয়রা ২১৬ জন কৃষক এর মাঝে লবণ সহনশীল ধান বীজ ও ২১৯ জন কৃষকের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ইউ পি সদস্য জনাব, মোঃ রেজাউল করিম আছের আলী আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব অলিউর রহমান মিরাজ , উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরাম এর সভাপতি জনাব মোঃ শাহা আলম গাজী, লিডার্স এর সিনিয়র ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মোঃ সিরাজুল ইসলাম, হিমাংশু মন্ডল। অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, লিডার্স দীর্ঘ দিন যাবত এই এলাকায় কাজ করে আসছে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ, খরা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত জলবদ্ধতা এবং সেচের জন্য পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ফলে অনুকুল আবহাওয়া অভাবে কৃষি উৎপাদন কমেছে। জলবায়ু সংকটের ভয়াবহ প্রভাব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে, পরিকল্পনা নিতে হবে এবং সম্মিলিত ভাবে কাজ শুরু করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই কঠিন সময়েও আমার যদি এক সাথে এগিয়ে চলতে পারি তবে আশার আলো নিভে যাবে না।
-

কয়রায় ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ২
নিজস্ব প্রতিনিধি : খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের হুদুবুনিয়া গ্রাম থেকে ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হুদুবুনিয়া গ্রামের প্রভাশ মন্ডলের বসত বাড়ি থেকে ৮ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। এসময় ২ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন হুদুবুনিয়া গ্রামের বিমল কৃষ্ণ মন্ডলের পুত্র প্রভাশ মন্ডল (৪৮) ও অসিত কুমার সানার পুএ দেবদাস সানা (২০)।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিনগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমাদী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মনির হাওলাদার ও এএসআই মোঃ আব্বাস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ দুইজনকে আটক করে।
আমাদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ মনির হাওলাদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ দুইজনকে আটক করি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় বন আইনে মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে এবং উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস আদালতের নির্দেশে মাটিতে পুতে বিনষ্ট করার প্রস্তুতি চলছে। -

উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উপকূলীয় এমপিদের
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ এমপি রবি’র
- জহুরুল কবীর:
উপকূলীয় সুরক্ষার জন্য রাজস্ব থেকে জলবায়ু পরিববর্তন মোকাবেলায় সক্ষম বাঁধ নির্মাণের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজ। গতকাল আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তাবৃন্দ বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেন। ‘বাজেট ২০২১-২২: উপকূলীয় সুরক্ষা’ শীর্ষক এই সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্ট একশান নেটওয়ার্ক (ক্লিন)।

কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। সেমিনারে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা হলেন নারায়ণ চন্দ্র এমপি (খুলনা-৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি, (সাতক্ষীরা-২), জনাব নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি (ভোলা-৩), নাহিম রাজ্জাক এমপি (শরীয়তপুর -৩), আশেক উল্লাহ রফিক এমপি (কক্সবাজার -২), শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি (গাইবান্ধা -২), জাফর আলম এমপি (কক্সবাজার -২)। সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. আইনুন নিশাত, সিপিআরডির মোঃ শামসুদ্দোহা এবং ক্লিন-খুলনার হাসান মেহেদী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সৈয়দ আমিনুল হক।
এছাড়া প্রগতি পরিচালক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের বার্তাসম্পাদক জহুরুল কবীর প্রমুখ।
সৈয়দ আমিনুল হক উল্লেখ করেন, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ উপকূলীয় এলাকার জীবিকার কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং দরিদ্র লোকেরা সবচেয়ে ঝুঁকির থাকা উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাস করায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এরপরেও বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার বাজেট বরাদ্দ গতানুতিক এবং সংকট মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত। তিনি তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন: (১) বাঁধ নির্মাণের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা হিসেবে সরকারকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে, (২) তাৎক্ষণিক বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সরকারকে বাজেটসহ দায়িত্ব দিতে হবে এবং (৩) উপকূলীয় সুরক্ষা, বিশেষত প্রাকৃতিক সুরক্ষা, উপকূলীয় মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে একটি কার্যকরী বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এবং শহরের পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনীকায়নের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, যে একটি জাতীয় ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রয়োজন, যা সরকারকে উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দের দিক-নির্দেশনা দিতে পারে। বেড়িবাঁধ উন্নয়ন নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি আমরা এই বিষয়ে একটি রোডম্যাপের জন্য কাজ করছি। এটি সত্য ডে, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যতীত উন্নত বাংলাদেশের কল্পনা করা অসম্ভব, তাই উপকূলের সমস্যাকে কোনও অঞ্চলের আলাদা কোনও সমস্যা হিসেবে বিবেচনা না করে এটিকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
ডাঃ আইনুন নিশাত বলেন, বাজেট বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে, বাঁধ বিষয়ক পরিকল্পনায় এই পরিস্থিতি অনুপস্থিত। ‘ডেল্টা প্ল্যান’ এর আওতাধীন প্রকল্পগুলি পরবর্তী পঞ্চাশ বছরের দুর্যোগ পূর্বাভাসকে বিবেচনা না করেই গ্রহণ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষায় বিনিয়োগ করলে সেটা জাতীয় অর্থনীতিতে দ্বিগুণ ফেরত দিতে পারে। আমরা স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ করেন। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে আমরা জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিতে পারছি না। এ কারণেই কক্সবাজার জেলার কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সময়োপযোগী এবং বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে হবে। সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয় বিপর্যয়ের প্রভাব হ্রাস করতে পানি ব্যবস্থাপনার ও পরিকল্পনার জন্য ব্যাপক আয়োজন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটিই সম্ভব আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে।
আমরা এই বিষয়ে নীতি প্রণয়ন জোরদার করতে উপকূলীয় সাংসদদের নিয়ে একটি ‘ককাস’ গঠন করতে পারি। সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন যে, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কৌশল এবং পদ্ধতিকেসরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। এটা করা সম্ভভ হলে এটি অগ্রাধিকার পাবে। এর জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় প্রয়োজন।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য পরিবেশ বান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এই নীতিমালায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প আয় তৈরিতে সক্ষম শিক্ষা বিস্তারকেও অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।
দুর্যোগের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে বাঁধগুলোর একটি মূল্যায়ন হতে হবে, এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিবেশগত বিষয়গুলো বিবেচনা করেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এনজিও, জনপ্রতিনিধি এবং সরকার- সকালের অংশ্রগহণের ভিত্তিতে একটি সুসংহত পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।
জিয়াউল হক মুক্তা -

কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হচ্ছেপশ্চিম সুন্দরবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পশ্চিম সুন্দরবন। প্রকাশ্যে দেখাগেছে যে, মিরগাং, কালিঞ্চী ও কৈখালীর কিছু কু-চক্রী মহল প্রকাশ্য দিবালকে সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে উজাড় করে দিচ্ছে। ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন।
একটি বিশেষ সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সন্দরবনের কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেন গোপন উৎকোচ গ্রহণ করে এই সব চোরাচালানীদের সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার সুযোগ করে দিচ্ছে। যদিও গত ২০১৪ সালের পর সুন্দরবনের চোরাচালানী বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু নতুন কওে তা আবারও শুরু হয়েছে। গরান, গেওয়া, সুন্দরী, পশুর মিরগাং বিভিন্ন প্রজাতিরগাছ টহলফাঁড়ীর পাশ দিয়ে যতিন্দ্রনগর গ্রামের উপর দিয়ে শ্যামনগর চলে যায়।
তবে চোরাচালানীদের দু’একজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে যে, বাড়ীতে কিছু জ¦ালানির প্রয়োজনে তারা ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেনকে বলে সুন্দরবনে যায়।
গত কয়েকটা প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এর পরও যদি এভাবে চোরাচালানীরা সুন্দরবনের গাছ কেটে উজাড় করতে থাকে তবে ধ্বংস হয়ে যাবে সুন্দরবন- এমন মন্তব্য সচেতন মহলের।
এ ব্যাপাওে মিরগাং টহলফাঁড়ীর অফিসার ইনচার্জ মহাসিন হোসেন বলেন, আমার জানামতে এমন ধরনের কোন কাজ চলছে না। তবে আমাদের অফিস ষ্টাফ কম হওয়ায় হয়তো এ ধরনের ঘটনা আমাদের জানার বাইরে ঘটতে পারে।
কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেনের সাথে ০১৭৮৮০৮০৮৭৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে গেলে ফোনটি বন্ধ থাকার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। -

কয়রায় করোনার মধ্যে চলছে সরকারী খালের পাকা ভবন নির্মানের কাজ
স্টাফ রিপোর্টার : কয়রায় করোনা উপেক্ষা করে চলছে সরকারী খাল দখলসহ ভবন নির্মানের কাজ। প্রশাসন যে সময় ব্যস্ত করোনা ভাইরাস প্রভাবমুক্তের কাজে সে সময় সকল নজরদারী এড়িয়ে পাকা ভবন নির্মানে করছে এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা এক ব্যক্তি । দখলদার উপজেলার ঘড়িলাল গ্রামের মৃত বারী খানের পুত্র আব্দুস ছামাদ খান। প্রশাসনের পূর্বের নিষেধাজ্ঞায় তার নেই কোন কর্নপাত। জানাযায়, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ঘড়িলাল বাজার সংলগ্ন ঘড়িলাল কাটা খালের উপর বিগত দুই বছর পূর্বে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি বালু ভরাট করে মাছের কাটা নির্মানের চেষ্টা করে। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিষেধাজ্ঞায় বালুভরাট অবস্থায় বন্ধ হয় কাজ। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশও যখন আতংঙ্কে দিশেহারা ঠিক তখনই ঘড়িলাল বাজারের সভাপতি পরিচয় দানকারী আব্দুস সামাদ খান প্রভাব খাটিয়ে পূর্বের নিষেধাজ্ঞার কোন তোয়াক্কা না করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ দোকান নির্মানের কাজ। রাতারাতী স্থাপনা নির্মান করতে নেওয়া হয়েছে একাধিক রাজমিস্ত্রী ও লেবার। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারি ছুটি থাকায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভুমি অফিসার মহোদ দের মুটোফনে অবগত করলে বিষয়টি তারা দেখবেন বলে আশ্বস প্রদান করেন। আব্দুস ছামাদ খান এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় চলাচল করে। বিষয়টি নিয়ে জানমনে এখন একটাই প্রশ্ন যে আদৌকি সরকারি যায়গা উদ্ধার হবে নাকি প্রভাবশালি ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সরকারি যায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়ে যাবে? এ বিষয়ে সাধারণ জনগণ উপজেলা প্রশাসন তথা ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবি সামছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে, বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে জানান,আমার কিছু জানা নেই।এদিকে উপজেলা নির্বহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন,অবৈধ স্থাপনা নির্মানের বিষয়টি আমি শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লোক পাঠিয়েছি।






