Category: ক্রেতা-ভোক্তা

  • গণমাধ্যমে মতামত দেওয়ায় Huawei” কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংগঠক মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার নিন্দা ও অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান

    গণমাধ্যমে টেলিটকের ৫ম প্রকল্পে দুর্নীতি সম্পর্কে মতামত দেয়ায় চীনা কোম্পানী Huawei‘ কর্তৃক বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করায় গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে অবিলম্বে মিথ্যা, হয়রানিমুলক মামরা প্রত্যাহার করে জনগনের কন্ঠরোধ করার অপকৌশল বাদদিয়ে নাগরিকের স্বাধীন মতামত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করার দাবি করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।মহিউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমুলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত সরকারের স্বৈরচারী আচরণ ও সাধারন মানুষের কন্ঠরোধ করার বিপরীতে জুলাই আন্দোলনে বর্তমান অর্ন্তবতীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েই উদার গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীন মতামতের প্রদানে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। বিগত সরকারের নানা বঞ্চনা ও অবিচারের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের মতামত গণমাধ্যমসহ রাস্তায় সভা-সমাবেশ করে প্রকাশ করছেন। সরকার সেখানে কোন প্রতিবন্ধকতা ও বাঁধা তৈরী করেনি। কিন্তু পত্রিকায় মতামত প্রদানের জন্য মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলা করে জনগনের কন্ঠরোধ করার অপচেষ্টা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাবে নৈতিকতা পরিপন্থি ও ন্যায্য ব্যবসা প্রসারে বড় বাঁধা। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাবে তাদের এ ধরনের অসৌজন্যমূলক, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি অনেকটাই “শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অচচেষ্টা” কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বিটিআরসি এবং দুদকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে জনসমক্ষে প্রকাশের আহবান জানিচ্ছি।
    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি হিসাবে মহিউদ্দিন আহমেদ দেশে ভোক্তা অধিকার ও নাগরিক অধিকার লংগন হলেই সোচ্চার এবং প্রতিবাদে রাজপথসহ সর্বত্রই সক্রিয়। একটি প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করতে এধরনের অপকৌশল কোন সময়ই সফল হয় না। অধিকন্তু তারা যদি অনিয়ম বা ধরনের নিন্মমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহে জড়িত না হয় তাহলে যারা সংবাদটি প্রকাশ করেছেন, তার প্রতিবাদ দেয়া যেত, লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে মতামত প্রদানকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হাস্যকর বিষয়ে পরিনত করেছেন।
    বিবৃতিতে নেৃতৃবন্দ আরও বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার প্রত্যেক নাগরিককে দিয়েছে। আর ভোক্তা হিসাবে ভোক্তা স্বার্থ সংস্লিষ্ঠ সব বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রদানের স্বাধীনতাও জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তা অধিকারের অন্যতম। তাই কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সে অধিকার লংগনের কোন সুযোগ নেই। আর কেই যদি ভোক্তার সে অধিকার হরণ করতে চায় তার অর্থ হলো তিনি বা প্রতিষ্টান ভিন্ন কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এটি করছেন। যা ন্যায্য ব্যবসার পুরোপুরি পরিপন্থি। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বশীল নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর রহস্য উদঘাটন প্রয়োজন।
  • সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের ঝাঁজ চরমে

    সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের ঝাঁজ চরমে

    সাতক্ষীরায় কাঁচা মরিচের ঝাল কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে সাতক্ষীরার বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা ও ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। মসলা জাতীয় এই নিত্যপণ্যটির হঠাৎ করে দাম বাড়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। বাজারে নিত্যপণ্যের দামের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি দোকানে গিয়ে দেখা গেছে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪২ টাকা। ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি। এসময় ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে এই পণ্যটি আরো ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

    এদিকে ২৮০ টাকা কেজি দরের ভারতীয় এলসির কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। আর দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। যা কয়েকদিন আগে ছিল ২৫০ টাকা ও ২৮০ টাক কেজি। ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কিনতে পারলেও চমকে উঠছেন পেঁয়াজের বাজারে গিয়ে।

    সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারে আসা ক্রেতা শহরের নিউ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রফিকুল আলম বাবু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে পণ্যের দামের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। চরদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আমাদের মত সাধারণ ক্রেতাদের এত দামে পেঁয়াজ কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আর কয়েকদিন পরে হয়তো ২০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হতে পারে।

    বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা পলাশপোল এলাকার সিরাজুল ইসলাম জানান, মাত্র ৪/৫ দিনের ব্যবধানে বাজারে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১৪০ টাকা কেজি। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১১০ টাকা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মত লোকের সংসার চালনো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুলতানপুর বড়বাজারের খুচরা বিক্রেতা নিউ ফাতেমা ষ্টোরের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিন সকালে পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে কেজিতে ৫-৭ টাকা লাভে বিক্রি করি। এক বস্তা পেঁয়াজ কিনলে অনেক পেঁয়াজ বাদ যায়। এতে করে আমাদের লাভ তেমন হয়না। তবু খরিদ্দার ধরে রাখার জন্য সবধরণের পণ্য দোকনে রাখতে হয়। গত ৪/৫ দিনের ব্যবধানের দেশী পেঁয়াজ কেজি প্রায় ২৫-৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। যে কোন পণ্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেলে বিক্রির সময় অনেক ক্রেতার কথা শুনতে হয় আমাদের।

    সুলতানপুর বড়বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ি আব্দুল আজিজ জানান, স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ আজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪২ টাকা, যা ৪/৫ দিন আগেও ছিল ১১০-১১৫ টাকা কেজি। বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি। চাহিদা অনুযায়ি সরবরাহ কম থাকায় দেশী পেঁয়াজের দাম একটু বেশি বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। সরবরাহ বেড়ে গেলে আবার দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।

    ভোমরার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজের মালিক সভাষ ঘোষ বলেন, কয়েকদিন আগেও ভারত থেকে প্রায় ৭০ গাড়ি পেঁয়াজ আসতো। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০ গাড়ি করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানি কমে যাওয়ায় ভোমরা বন্দরে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি। এক বস্তা পেঁয়াজে অনেক সময় নষ্ট বের হয়। এছাড়া ক্যারিং খরচ দিয়ে শহরের পৌছাতে দাম একটু বেড়ে যায়। যে কারণে পোর্টের দাম থেকে বাজারের দামে কিছুটা তারতম্য ঘটে। তবে গতবারের তুলনায় এবার আমদানি অনেক কম হচ্ছে।

    ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান বলেন, আগে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০০ গাড়ি পেঁয়াজ আসতো ভারত থেকে। বেশ কয়েকদিন আগেও গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৭০ গাড়ি করে পেঁয়াজ ঢুকতো। এখন সেখানে গড়ে প্রতিদিন ৫০ -৫৫ গাড়ি করে পেঁয়াজ আসছে। গত ২০ অক্টোবর ভোমরা বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ এসছে ৪৮ গাড়ি, ২১ তারিখে ৪৯ গাড়ি, ২২ তারিখে ৩৯ গাড়ি, ২৩ তারিখে ৪৩ গাড়ি, ২৪ তারিখে ৭১ গাড়ি, ২৭ তারিখে ১০০ গাড়ি এবং ২৮ তারিখে ৬৭ গাড়ি।

    তিনি আরো বলেন, ক্যারিং ও ডিউটি সহ ভারত থেকে ব্যবসায়িদের পেঁয়াজ কেনা পড়ছে প্রায় ৯০ টাকা কেজি। বন্যার কারণে ভারতের দক্ষিনের প্রদেশ গুলোতে পেঁয়াজের দাম বেশি। এছাড়া ভারতের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারি এলাকা নাসিকের পেঁয়াজ এখনো উঠা শুরু করেনি। যে কারণে আমদানিকারকদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে বাজারে দামের উপর। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দেশী পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  • নিরাপদ সড়ক আন্দোলন জোরদারে চট্টগ্রামে পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) গঠিত

    নিরাপদ সড়ক আন্দোলন জোরদারে চট্টগ্রামে পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) গঠিত

    “সড়ক হোক সকলের জন্য নিরাপদ” শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় পর্যায়ে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর উদ্যোগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন জোরদারে পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) গঠিত হয়। ১০ অক্টোবর ২০২৪ নগরীর একটি রেস্টুরেন্ট এ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক, ছাত্র- যুবদের সমন্বয়ে গঠিত পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) সদস্য/সদস্যাদের ওরিয়েন্টেশন সভায় বিশিষ্ট কলামিষ্ট মুহাম্মদ মুসা খানকে আহবায়ক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জেসমিনা খানকে যুগ্ন আহবায়ক, দৈনিক পূর্বদেশের বার্তা প্রধান আবু মোশারফ রাসেলকে সদস্য সচিব ও তরুন সমাজ সংগঠক সাইদুর রহমান মিন্টুকে যুগ্ন সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রিয় কার্যকরী পর্ষদের সহ-সভাপতি ও চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিএসডিএফ)’র চেয়ারপার্সন এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে সহায়ক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট ঢাকার অ্যাডভোকেসী ও কমিউনিকেশনস এর প্রধান শাহেদা ফেরদৌস মুন্নী, অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিএসডিএফ)’র সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু।
    আলোচনায় অংশনেন ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ওসমান জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, চান্দগাঁও পাবলিক স্কুল ও কলেজের সভাপতি ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক লায়লা ইয়াছমিন, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি সায়মা হক, ছাত্র নেতা রাসেল উদ্দীন, সিদরাতুল মুনতাহা, রাইসুল ইসলাম, তানিয়া সুলতানা, মাইন বিন সেলিম প্রমুখ।
    ওরিয়েন্টেশনে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর স্ট্রেনদেনিং রোড় সেফটি অ্যাক্ট অ্যান্ড সিভিল সোসাইটি অ্যাকশন ইন বাংলাদেশ এর প্রকল্পের বিস্তারিত অবহিত করা হয়। একই সাথে প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) সদস্য/সদস্যাদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
    ওরিয়েন্টেশনে বিভিন্ন বক্তাগন বলেন ২০২১৮ সালে দেশব্যাপী ছাত্রদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রণিত হলেও অদৃশ্যকারনে সেটির বাস্তবায়ন না হয়ে পরবর্তীতে আইনটিকে দুর্বল ও যাত্রীর স্বার্থ সুরক্ষার পরিবর্তে মালিক ও শ্রমিক বান্ধব আইনে পরিনত করা হয়। ফলে সে আইনের কারণে দেশের গণপরিবহণে শৃংখলার পরিবর্তে যানজটে পরিনত হয়েছে। ৫ই আগষ্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে ছাত্ররা গণপরিবহনে শৃংখলা আনতে কঠোর পরিশ্রম করেন। কিন্তু ছাত্ররা রাজপথ ত্যাগ করার সাথে সাথে সেটি আবারও পুরানো চেহারায় ফিরে যায়। গণপরিবহণে শৃংখলা আনতে হলে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, যাত্রী ও মালিক শ্রমিকদের একযোগে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। আর এ কাজে নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে সড়কপথে মৃত্যুর মিছিল থামানো যাবে না।
    চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে গঠিত পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) অন্যান্য সদস্যরা হলেন, যুগ্ন আহবায়ক এম নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, ওসমান জাহাঙ্গীর, সদস্য রাসেল উদ্দীন, তানিয়া সুলতানা, সিরাতুল মুনতাহা, রাইসুল ইসলাম, ফারজিন হোসাইন, লাবিবা ফাইরুজ, লায়লা ইয়াছমিন প্রমুখ।
  • সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ধর্মঘট নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী বামমোর্চা’র তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ

    সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ধর্মঘট নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী বামমোর্চা’র তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ধর্মঘট নিষিদ্ধে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী বামমোর্চা। আজ ১৩ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার, সকাল সাড়ে ১১টায়, সেগুনবাগিচাস্থ আ ফ ম মাহবুবুল হক মিলনায়তনে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র সমন্বয়ক নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন এর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল চৌধুরী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সহ-সভাপতি বিপ্লব ভট্টার্যাচ্য প্রমূখ।
    বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সারের দাম বাড়ানো হয়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা। গত বছর আগস্টে কেজিতে সারের দাম বাড়িয়েছিল ৬ টাকা। আট মাসের ব্যবধানে আর্ন্তজাতিক সংস্থার ছাপে আবারো সারের দাম বাড়ানো হলো। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েই চলছে। এমনিতেই অর্থনৈতিক দুরবস্থায় বর্তমানে জনজীবন বিপর্যস্ত। এখন আবার সারের দাম বৃদ্ধি করে সরকার দেশের অর্থনীতির প্রধান উৎস কৃষিখাতে চাপ সৃষ্টির ব্যবস্থা করেছে। সারের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং কৃষির উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এর ফলে কৃষকের দুর্ভোগ আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে সারের মূল্য বৃদ্ধির এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবি জানান।
    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ধর্মঘট নিষিদ্ধে’ সংসদে যে বিল উত্থাপন করা হয়েছে তা শ্রমিকদের অধিকার হরণের শামিল। জননিরাপত্তার নামে শ্রমিকের অধিকার হরণ করার নয়া কৌশল এই বিল। এটি বিশ্বে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও জাতীয়ভাবে সংবিধান ও শ্রম আইনে সংরক্ষিত বিধানের খর্ব করা ছাড়া আর কিছু নয়। নেতৃবৃন্দ, শ্রমিকের ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার বিল প্রত্যাহারেরও জোর দাবি জানান।

  • ব্রয়লার মুরগি ও নিত্যপণ্যের  সিন্ডিকেটকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি ক্যাবের

    ব্রয়লার মুরগি ও নিত্যপণ্যের  সিন্ডিকেটকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি ক্যাবের

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: যেসব অসাধু ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে হাজার কোটি টাকা লুন্ঠন করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অন্যথায় সারাদেশে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

    বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্রয়লার মরগিরসহ নিত্য পণ্যের কারসাজিতে দায়িদের শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে সরকারের প্রতি এ দাবি জানান ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। 

    মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সহ সভাপতি  এস এম নাজের হোসাইন,  ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, সিপিবি এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় তরুন সংঘে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ফজলুল হক ও ন্যাপের সংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান। এসময় ক্যাবের অন্যান্য সদস্য এবং সাধারণ ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

    ক্যাবের সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্রয়লার মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।  এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। শুনেছি প্রতিযোগিতা কমিশনে সিন্ডিকেট তৈরিকারী করপোরেট কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  তবে মামলার মেরিট কোন দিকে যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান আছি। আমার চাই বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এ বিষয়ে পরিষ্কার করা দরকার। 

    তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগির সিন্ডিকেট যারা করেছে তাদের নাম সরকারের কাছে পৌছেছে।  এখন সরকারের সদিচ্ছা যদি থাকে তবে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে। 

    নাজের হোসাইন বলেন,  আমাদের দাবি একটাই,  যারা ব্রয়লার মরগিরসহ নিত্য পণ্যের কারসাজিতে দায়ি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। প্রতিকী মামলা দিয়ে যেন পার পাইয়ে দেওয়া না হয়। 

    হুশিয়ার দিয়ে তিনি বলেন,  এই মানববন্ধনের পর যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয় তবে ক্যাবের পক্ষ থেকে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ,  মানববন্ধন করা হবে।

    ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, এই রমজান মাসে সংযম করার কথা, কিন্তু তারা তা না করে ভোক্তাদের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।  আমরা ক্যাবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই,  যারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার কষ্টের টাকা লুন্ঠন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

    সিপিবি এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ব্রয়লার মুরগি বাংলাদেশের বাজারে অনেক চেহারা উন্মোচন করে দিয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর আগে প্রমাণ করে দিয়েছে একটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন করতে কতো টাকা খরচ হয় এবং বাজারে কতো টাকা বিক্রি হয়। এই একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে কি পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে তা আমরা বুঝলাম। সরকারের সংস্থায়ই এটা প্রমাণ করেছে। 

    তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগির আড়ালে চিনি সিন্ডিকেট আড়াল হয়ে গেলো, ব্রয়লার মুরগি আড়ালে বড় বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আড়াল হয়ে গেলো। তাদের অনেকই ব্রয়লার মুরগী নিয়ে  আজ কথা বলছেন কিন্তু নিজের লুটপাটের কথা বলছেন না। আমি পরিষ্কার বলতে চাই- রমজান মাসে মানুষকে কষ্ট দিয়েন না। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহন করুন।

    বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রমজানের এক মাস পূর্বেই জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ট্যারিফ কমিশন খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মিলে বহু বৈঠক অনুষ্ঠিত করে। কিন্তু এ সকল বৈঠকে ব্যবসায়ীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা রক্ষা করেনি উল্টো কর অসুবিধা নিয়ে তাদের নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। একশ্রেণীর অতি মুনাফা খোর মজুদার ও কর্পোরেট সিন্ডিকেট কারীরা হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে লোপাট করল। প্রতিযোগিতা কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেও এখন পর্যন্ত সেই মামলা আলোর মুখ দেখছে না। আজ পর্যন্ত বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার দায়ে একজন ব্যবসায়ী বা কার সাথে কারীদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

  • সাতক্ষীরায় ব্যাবসায়ী সেন্ডিকেটে দিশেহারা ক্রেতা

    সাতক্ষীরায় ব্যাবসায়ী সেন্ডিকেটে দিশেহারা ক্রেতা

     

     চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ

    সাতক্ষীরায়  কেজি দরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ প্রশাসনের নজরদারির পরও তরমুজের দামে নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিক্ষুব্ধ সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ। রমজান মাসে গরমে হাঁসফাঁস করছে শহরের শ্রমজিবী  মানুষ। তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রীষ্মের মৌসুমি রসালো ফল তরমুজের চাহিদাও বেড়েছে বেশ । কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা। সাতক্ষীরা শহরের বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা সব নিয়ম ভঙ্গ করে পিস হিসাবের পরিবর্তে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা তরমুজ নিয়ে সিন্ডিকেট করছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, এক কেজি তরমুজের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা । এতে পাঁচ কেজির একটি তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। অথচ, এই তরমুজ ১০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা পিসের পরিবর্তে কেজির দরে বিক্রি করছেন তরমুজ। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।

    তরমুজ ক্রেতারা বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার ব্যবসায়ীরা মিলেই সিন্ডিকেট গড়ে তরমুজের দাম বাড়িয়েছে। বাধ্য হয়েই তাদের বেঁধে দেওয়া দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং বা এই সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হলে দাম কিছুটা হলেও নাগালে আসতো বলে জানান তারা। অন্যদিকে বাজারে তরমুজ কিনতে গেলে তরমুজের চড়া দাম দেখে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। কৃষক একটি তরমুজ ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। অন্যদিকে বাজারে সেটির দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এখানে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। আর বর্তমানে ব্যবসায়ীদের নতুন সিন্ডিকেট কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে। ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসাবে তরমুজ কিনে বিক্রি করছেন কেজি দরে। তরমুজ পানীয় ফল হওয়ায় ওজনে অনেক ভারী। ফলে প্রতি কেজি তরমুজ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করেও হচ্ছে মোটা অঙ্কের মুনাফা তুলে নিচ্ছে। কেজি দরে তরমুজ বিক্রির সিন্ডিকেট বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ক্রেতারা। পলাশপোল থেকে তরমুজ কিনতে আসা দিনমজুর ফাহিম মুন্তাসির বলেন বাড়ি থেকে বলে দিছে তরমুজ নিতে। সারাদিন কাজ করে দুশত টাকা পেয়েছি তরমুজ কিনবো কীভাবে? রাজমিস্ত্রি মেহেদী বলেন আমার অসুস্থ মা তরমুজ খেতে চেয়েছে। ৪০ টাকা কেজি দরে ছোট একটি তরমুজ কিনেছি ১৫০ টাকায়।

    সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড় এলাকার তরমুজ বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন আগে আমরা পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করেছি। এখন আমরা কেজিতে তরমুজ বিক্রি করছি । তাতে একটি তরমুজের দাম পড়ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আড়ৎদাররা আমাদের কাছে কেজিতে তরমুজ বিক্রি করছে যে কারনে আমাদেরও কেজিতে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে। অপর দিকে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা হাটের মোড় এলাকার মেসার্স সুন্দরবন ফল ভান্ডারের শফিকুল ইসলাম, মেসার্স সততা ফল ভান্ডারের শহিদুল ইসলাম, মেসার্স মুকুল ফল ভান্ডারের মমিনুর রহমান সহ সকল আড়ৎদার ব্যবসায়ীরা মিলেই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেজি দরে তরমুজ কিনতে বাধ্য হচ্ছে ক্রেতারা। এবিষয়ে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা হাটের মোড় এলাকার মেসার্স সুন্দরবন ফল ভান্ডারের আড়ৎদার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন সকলের সাথে আমাকেও বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রয় করতে হয়। প্রতিদিন বাজারের খাজনা বাবদ ৩০০ করে টাকা দিতে হয় আওয়ামীলীগ নেতা কামরুলকে। অনেক তরমুজ ফাটা থাকে, পচে যায় বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যায় । বরিশাল থেকে আমারদের এই তরমুজ আনতে হয় অনেক খরচ হয় যে কারণে আমি অন্যদের মতো কেজিতে তরমুজ বিক্রয় করতে বাধ্য হয়েছি। এদিকে ফল ব্যবসায়ীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, ইতি মধ্যেই জেলা প্রশাসন নজরদারি শুরু করেছেন। কেজি দরে কোন প্রকার তরমুজ বিক্রয় করা যাবেনা। যদি কোন ব্যবসায়ি কেজি দরে তরমুজ ক্রয় করে থাকে তার প্রমাণ তুলে ধরতে হবে প্রশাসনের কাছে, অন্যথায় অন্যায় ভাবে বাজারে লোক ঠকিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। প্রশাসনিক কর্মকর্তার আমাদের সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন । প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারিতে তরমুজের দামে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করি। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের দাবী অবিলম্বে অসাধু ব্যবসা়য়ী সিন্ডিকেট বন্ধ করে নিম্ন শ্রমজিবী মানুষ কম টাকায় ক্র়য় করার দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • ব্রয়লার মুরগির দামে স্বস্তি।দুই দিনে কমল কেজিতে ৮৫ টাকা

    ব্রয়লার মুরগির দামে স্বস্তি।দুই দিনে কমল কেজিতে ৮৫ টাকা

    ন্যাশনাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে অস্থির ব্রয়লার মুরগির বাজার। গত শুক্রবার প্রথম রমজানের দিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। তবে দুই দিনের ব্যবধানে সেই চিত্র পাল্টেছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে কমেছে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা পর্যন্ত। এতে ভোক্তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

    খুচরা মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারীতে দাম বাড়লে আমাদেরও বেশি দামে মুরগি বিক্রি করতে হয়। এখন পাইকাররা দাম কমিয়েছেন, তাই আমরাও কম দামে মুরগি বিক্রি করতে পারছি। গতকাল নগরীর কাজীর দেউরি কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়। এছাড়া সোনালী মুরগি ৪০০ টাকা এবং দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ টাকায়। মুরগি বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, মুরগির বাজার প্রতিদিনই পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে বাজার নিম্নমুখী। আজকের বাজার হিসেবে আমাদের লোকসান দিয়ে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। এখন ১৯৫ টাকায় এখন যে মুরগি বিক্রি করছি, এগুলো কেনা পড়েছে প্রতি কেজি ২১০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণ করে পাইকাররা। এখন তাদের থেকে কিনে এনে ৫–১০ টাকা লাভে বিক্রি করি।

    এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা জানান, মুরগি দাম কমেছে কেজিতে ৮০ টাকা। কিন্তু বাড়ার সময় এক সাথে ১৩০ টাকা বেড়ে গেছে। এখনও মুরগির দাম দুইশ টাকা ছুঁইছুঁই। এই দামে এখনো অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার মুরগি কিনতে পারবে না। শুধুমাত্র মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে, এই অজুহাতে এত বেশি দাম বাড়া অস্বাভাবিক।

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স হলে ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন– আগামীকাল ২৪ মার্চ থেকে ১৯০–১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০–৪০ টাকা কমবে।

  • জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিমূলক অভিযান : বিভিন্ন অপরাধে ০৪টি ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১৫,০০০/- জরিমানা




    খুলনা, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা 
    জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব শিকদার শাহীনুর আলম-এর নেতৃত্বে
    পরিচালিত তদারকিমূলক অভিযানে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আদায়কৃত জরিমানার  তথ্য :
      সময় : ১১.০০ হতে  ১.৩০টা পর্যন্ত
    মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় তদারকি করে রূপসা স্ট্যান্ডে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর
    পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও সংরক্ষণ করায় শেনন রিভার ভিউ ও ক্যাফে কে ৫০০০/-,
    সোহাগ হোটেলকে ২,০০০/-, সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীকে ৫০০০/-, বিদেশী কসমেটিকসে
    মূল্য না থাকায় বিগ বাজারকে ৩,০০০/- টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা
    হয়। এছাড়া বেশ কিছু দোকান তদারকি করা হয়।
    অভিযানে সর্বমোট আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ১৫,০০০/- টাকা।

    এ অভিযানে  সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার
    বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। ব্যবসায়িদের
    ক্রয়/বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শণ করতে অনুরোধ জানানো হয়
    এবং সচেতন করতে লিফলেট, প্যামপ্লেট বিতরণ করা হয়।
    এই তদারকিমূলক অভিযানে সহায়তা করেন সদর থানা পুলিশ ও ক্যাব প্রতিনিধি
    খুলনা। জনস্বার্থে এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  • কমেনি সয়াবিন তেলের দাম, লিটার এখনো ১৯২ টাকা

    ন্যাশনাল ডেস্ক: লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকে বাজারে নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে বাজারে কম দামের এ তেল এখনো সরবরাহ করা হয়নি। ফলে ভোক্তাদের তেল কিনতে হচ্ছে আগের দাম অর্থাৎ ১৯২ টাকা লিটার দরে।
    বিক্রেতারা বলছেন, দাম কমানো হলেও সেই তেল এখনো বাজারে ছাড়েনি কোম্পানি। কম দামের তেল বাজারে আসতে ৫-৭ দিন লাগবে। নতুন দামের তেল না আসা পর্যন্ত যে তেল বিক্রি হবে, তা আগের দরে কিনতে হবে ভোক্তাদের।

    মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

    সোমবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে ৬৫ টাকা ও খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭ টাকা কমানো হয়। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা।
    বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নতুন দামের কোনো প্রভাব নেই। আগের দামেই (১৯২ টাকা লিটার) বিক্রি হচ্ছে। কোথাও নতুন দামে (১৭৮ টাকা) তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

    একজন ক্রেতা বলেন, খবরে শুনেছিলাম প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১৪ টাকা কমানো হয়েছে। বাজারে এসে শুনলাম আগের দামেই কিনতে হবে। কম দামের তেল নাকি এখনো বাজারে আসেনি। অথচ যখন কোনো পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, বিক্রেতারা সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়িয়ে দেয়। আর যখন কমানো হয়, তখন এক সপ্তাহেও কমে না।

  • ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ চায় ক্যাব

    ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ চায় ক্যাব

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি


    ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য ভোক্তা অধিদপ্তর যথেষ্ট নয়, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের জন্য ‘ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ চায় কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ২৩ মে সোমবার দুপুর ১২টায় ‘অতিমুনাফা ও প্রতারণার শিকার ভোক্তারা: আইন মানার তোয়াক্কাই নেই’ শীর্ষক এক অনলাইন ওয়েবিনারে সরকারের উদ্দেশ্যে এ দাবি করা হয়।
    ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের কাঠামো অনুযায়ী ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ভোক্তা অধিদপ্তরও যথেষ্ট নয়। এর জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রয়োজন। তবে আপাতত ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ‘ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ জরুরি। দাবি না মানলে আন্দোলনে যাবারও হুশিয়ারি দেয়া হয়।
    ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন ক্যাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু।
    ক্যাব এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এম সামসুল আলম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছি, হয়তো আমাদের আন্দোলনের পর্যায়ে যেতে হবে। আমরা ভোক্তা মন্ত্রণালয় চাচ্ছিলাম। ভোক্তা অধিদপ্তর ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে যথেষ্ট নয়, অন্তত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আপাতত ‘ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ চাই। নিশ্চিতভাবে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য সরকারের পলিসি বিভাগ উদ্যোগ নিবে এবং সরকারের যথাযথ প্রশাসন, তার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।
    তিনি বলেন, এখন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি ছাড়া আর কোথাও ভোক্তাদের যাবার জায়গা নেই। আমরাও কোন জায়গায় কোন কিছু বলে সুবিধা করতে পারছি না। আজকের এই সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের জন্য কেবলমাত্র ভোক্তা অধিদপ্তরই যথেষ্ট নয়, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় বিভাগ চাই।
    সিমেনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।
    তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের অসাধু তৎপরতা অপতৎপরতা ঠেকাতে ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশনের বাজার অভিযান পরিচালনা করছে। অপরাধের জন্য আদায় করা হচ্ছে জরিমানা, করা হচ্ছে সতর্ক। কিন্তু তারপরও অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না।

    সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এ অসাধু ব্যবসায়ীদের ভিত এতই শক্তিশালী যে সরকারী প্রশাসন যন্ত্র মনে হয় তাদের কাছে অসহায়, এরা টাকার জোরে সরকারি আমলা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিভিন্ন মিডিয়াকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেন। বরং এরকম জলজ্যান্ত মানুষ মেরে কোটিপতি হবার লোকের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ইতিপুর্বে একই কায়দায় গুড়োদুধে ময়দা মিশ্রিত করার হোতাসহ চিনি, সয়াবিন, চাল কেলেংকারী হোতাদের কোন শাস্তি হয়নি। তারা পর্দার আডালে আবার রেহাই পেয়ে যায়। আর সাধারন ভোক্তা হিসাবে জনগন অসচেতন ও অসংগঠিত, ভোক্তার অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞতা, ভোক্তা সংগঠনগুলিকে সরকারি উপেক্ষার কারনে প্রকারান্তরে বাংলাদেশকে ভেজাল ও নিন্মমানের খাদ্যের বাজার ও পরীক্ষাগারে পরিণত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ফলে মানুষ যা আয় রোজগার করছে তার সিংহভাগই ঔষধ ও চিকিৎসার খরচ যোগাতে চলে যাচ্ছে। সরকার ও বহু জাতিক দাতা সংস্থা গুলি ব্যবসায়ী ও চেম্বারগুলিকে নানা সুবিধা দিলেও ভোক্তাদের সচেতন করার জন্য কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে দেশে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যা ব্যবসায় সুস্থ ধারা বিকাশে বিশাল প্রতিবন্ধক।
    তিনি আরও বলেন, ব্যবসা শুধুমাত্র একটি অর্থ উপার্জনের উপায় নয়, এটা একটি সেবাও বটে। যার মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী ভোক্তাকে খাদ্য-পণ্য ও সেবা সার্ভিস দিয়ে সেবাও করছেন। পণ্যের মূল্য ঘষামাজা করে অতিমুনাফা আদায়ে সচেষ্ঠ হওয়াকে ব্যবসা বলা যাবে না। এটা প্রতারনা আর এই প্রতারনা ফৌজদারী অপরাধও বটে। তবে আইন দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সব সময় সম্ভব না ও হতে পারে। এজন্য প্রয়োজন অতিমুনাফালোভী, প্রতারক, মজুতকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা। তাহলেই হয়তো ব্যবসা-বানিজ্যে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত হবে।
    দেশে এমন কোন খাত নেই যেখানে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাথা চারা দেয়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে ড. এম সামসুল আলম আরও বলেন, আমরা ভোক্তারা অনেকটা বন্দী হয়ে গেছি। এই বন্দি দশা থেকে মুক্তি দেবার জন্য দেশের আইন, সরকারি প্রতিষ্ঠান কেউ-ই সফল নন।
    ভোক্তাদের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, আপনারা জেলায় জেলায় অন্তত একটা করে ঘটনা চিহ্নিত করুন। যাতে এসব ঘটনাকে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা আইনের আওতায় এনে আদালতে ফৌজদারি আইনে মামলা করা যায়। ভোক্তা অধিদপ্তরের হয়তো এখনও মামলা করার অধিকার নেই। তবে এই আইন করা হচ্ছে। কিন্ত একমাত্র সংগঠন ক্যাব, যাকে মামলা করার অধিকার দেয়া হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে প্রমাণ সহ এসব ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী ঘটনায় আদালতে যাব।
    সেমিনারে ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, আমাদের দেশে দুটি সময়কে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজির মহা উৎসব হিসেবে নেয়। এর মধ্যে রমজানের ঈদ এবং বাজেটকে সামনে রেখে দাম বৃদ্ধির কারসাজি শুরু করে ব্যবসায়ীরা। এবছর ঈদ এবং বাজেট কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগে থেকেই বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজেটকে সামনে রেখে আরেক দফা বাড়ানোর পায়তারা করছে।

  • ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে রমজানে দাম আরও বাড়বে: ক্যাব


    ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
    বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ক্যাব-এর উদ্যোগে অসাধু, মুনাফাখোর ও মজুতদার ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যাপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে এমন কথা জানানো হয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ক্যাব এর সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সামস এ খান (অবঃ)। এছাড়াও মানববন্ধনে আরও যাঁরা বক্তব্য প্রদান করেন তাঁরা হলেন: বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ক্যাবের য্গ্মু সম্পাদক ডাঃ মোঃ শাহনেওয়জ চৌধুরী প্রমুখ।
    এসময় নাজের হোসাইন বলেন, করোনায় মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। কিন্তু আমাদের কিছু অসাধু ব্যবাসায়ীদের কারণে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগীতা বন্ধ হয়নি। লকডাউনে দ্রব্যমূল্যের না বাড়লেও পরবর্তী সময়ে প্রতিযোগীতা করে পেঁয়াজ, আলু, সয়াবিন তেল থেকে শুরু করে দাম বাড়েনি এমন কোন পণ্যের তালিকা পাওয়া যাবে না।
    তিনি বলেন, আমরা এখানে কয়েকজন মাত্র দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলছি। আমরা বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন দফতরে ভোক্তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। কোন প্রতিকার হয়নি। সরকার ইদানিং কিছু উদ্যোগ নিলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দেশের এমন কোন পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। বেসরকারি ব্যবসায়ীরা যেমন দাম বাড়াচ্ছে সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বাড়াতেও প্রতিযোগীতা চলছে। একজন নি¤œ শ্রেণির বা প্রান্তিক মানুষের পক্ষে জীবন চালানো খুবই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার লোকজন পর্যন্ত পরিবার চালাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এখবরও আমরা পাচ্ছি।
    তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন- অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আপনাকে (সরকার) আরও কঠোর হতে হবে। তাদেরকে সতর্ক করবেন, তারা সতর্ক হবে না। কারণ চোর শোনে না ধর্মের কাহিনী। আমরা চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যদি শাস্তির ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে সামনে রমজান আসছে, তখন নিত্য পণ্যের দাম আরও বাড়বে। তাই এখনই সময় ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরার।
    এডভোকেট হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া বলেন, বিশ^ বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির উছিলা দিয়ে দেশের প্রায় সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এমনকি গরুর মাংসের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ^ বাজারে কি গরুর দামও বেড়ে গেছে? যারা অসৎ, যারা মুনাফাখোর, যারা মজুতদার, এই ধরনের ব্যবসায়ীদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য আমরা ক্যাব-এর পক্ষ থেকে সরকারের নিকট দাবি করছি।

  • আগামীকাল ক্যাবের উদ্যোগে দেশব্যপি দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

    কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর উদ্যোগে ‘অসাধূ, মুনাফাখোর ও মজুতদার
    ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যে বৃদ্ধির প্রতিবাদে’ একটি মানব বন্ধন আগামী
    বুধবার ৩০ মার্চ ২০২২ সকাল ১১.৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে অনুষ্ঠিত হবে।
    উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ক্যাব-এর সহ-সভাপতি জনাব এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব-এর
    সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া, ক্যাব-এর যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো: শাহনেওয়াজ
    চৌধুরী, ক্যাব-এর কোষাধ্যক্ষ ড. মো: মুঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার ও ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি
    বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সামস এ খান, এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাধারণ
    ভোক্তাগণ।

  • সাতক্ষীরায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

    সাতক্ষীরায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

    নাজমুল আলম মুন্না: “ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সাতক্ষীরায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২২ উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ১৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক) কাজী আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা কালেক্টর চত্তর হতে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে কালেক্টর চত্তর প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মিলিত হয়। ক্যাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তেব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন আমরা প্রত্যেকেই ক্রেতা আবার প্রত্যেকেই ভোক্তা। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে নৈতিকতায়, খাবারের মধ্যে ভেজার উন্নত দেশগুলো করেনা। রমজানে ইহুদি, খ্রীষ্টানরাও ছাড় দেয় কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা রমজানের অপেক্ষায় থাকে পুশিয়ে নিতে। এটা বড় অমানবিক ব্যাপার। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন করতে হলে সবার আগে আমাদের সকলকে মানুষ হতে হবে। তিনি কৃষকদের কথা উল্লেখ করে বলেন ধান সংগ্রহে কৃষকদের যেন কোন হয়রানী হতে না হয়। এছাড়া কোন পক্ষেরই যেন কোন সমস্যা না হয়। তিনি বিভিন্ন সেক্টরের কথা উল্লেখ করে বলেন আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কোন লোকের সংকট রয়েছে। যেমন প্রয়োজন মতো ডাক্তার নাই, বাজার তদারকিতে জনবল কম, খাদ্য অধিদপ্তরে কর্মকর্তা কম। তাছাড়া আমরা জনগণকে জনশক্তিতে পরিনত করতে পারিনি। তিনি আমাদের সকলকে নীতিনৈতিকতা বজায় রাখতে অনুরোধ করে বলেন ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত হলে আমাদের অধিকার নিশ্চিত হবে। সকল পন্যের দামে সমন্বয় করতে হবে। ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতের জন্য আমাদের অভিযান ছিল আছে এবং অব্যাহত থাকবে। ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ মোখলেছুর রহমান, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডাঃ জয়ন্ত, মার্কেটিং অফিসার এস,এম আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, সাংবাদিক নাজমুল আলম মুন্না, ক্যাব সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাকিবুর রহমান বাবলা, সনাক সভাপতি পবিত্র মোহন দাস, সাতক্ষীরা জেলা মাছ ব্যবসায়ী সভাপতি এস,এম আব্দু রব, মুদি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, দুগ্ধ খামার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ ঘোষ, হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। ()

  • কলারোয়ার জমে উঠেছে পটলের হাট: স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

    কলারোয়ার জমে উঠেছে পটলের হাট: স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ায় করোনার মধ্যে পটলের হাট জমে উঠেছে। এখানে সরকারি আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আবার এদের মধ্যে অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেন না। মঙ্গলবার সকালে কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া পটলের হাটে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই হাটে পটলের কেজি প্রতি দর যাচ্ছে-২৮ টাকা। এই হাটে মিন্টু, সালাম, কামাল বিশ^াস, আবু হাসান, আকরাম, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আড়ৎদারী করেন। তাদের ৭টি কাটার ম্যধ্যমে কৃষকরা পটল বিক্রয় করে থাকেন। এখান থেকে চিটাগাং, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, বগুড়া ও সিলেটে ট্রাক ভর্তি পাটল যাচ্ছে। সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শুক্রবার দুই দিন হাট বসে এই সোনাবাড়ীয়ার আম বাগানে। প্রায় প্রতি হাটে ১ থেকে দেড় কোটি টাকার পটল বিক্রয় করে থাকেন এখানকার চাষীরা। ঠিক যখন করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তখনি সোনাবাড়ীয়া পটলের হাটে সরকারী নির্দেশনা অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধি না মানা হচ্ছে না। এমনকি ওই হাটে মাস্ক ব্যবহার অনেক অংশে কমে গেছে। একই চিত্র লক্ষ করা গেছে কলারোয়ার কাজিরহাট পটলের হাটে।

  • সাতক্ষীরা শহরে সরকারি আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ দিনে মানহীন মাংস বিক্রি: ভয়াবহ রোগ সংক্রমণের আশংকা

    নিয়ম নীতির কোন বালাই নেই সাতক্ষীরা পৌরসভার কসাই খানায়। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সপ্তাহে ৩ দিন গরু-ছাগল জবাই নিষিদ্ধ। এই আইন অমান্য করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিদিন ইচ্ছা মতো যত্রতত্র গরু ছাগল জবাই করছে। জবাইয়ের পূর্বে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নেই কোনো ডাক্তার। ওলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গোশতের দোকান। সাতক্ষীরা শহর পরিণত হয়েছে কসাই খানায়। ফলে শহরের গোশত বাজার থেকে ভয়াবহ রোগ সংক্রমণের আশংকা দেখা দিয়েছে।

    জানা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভার একমাত্র কসাইখানা সুলতানপুর বাজারে অবস্থিত। কসাইখানায় প্রতিদিন গরু ছাগল জবাই চলছে। জবাইয়ের সময় প্রত্যেক মাংস বিক্রেতার লাইসেন্স ও জবাইকৃত পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। সপ্তাহে চারদিন শুক্র, শনি, মঙ্গল ও বুধবারে জবাই করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। জেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেনারী সার্জন, কম্পাউন্ডার ইসমাইল ও ড্রেসার মোঃ আবুল হোসেন সমন্বয়ে একটি পশু স্বাস্থ্য পরীক্ষণ কমিটি গঠন করা হয় এবং ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত জবাইখানায় পশু জবাইয়ের কথা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের পশু কসাইখানায় পশু না এনে তাদের দোকানে, এমনকি জনবহুল রাস্তার ধারে তাদের ইচ্ছা মতো পশু জবাই করছে। এভাবে প্রতিদিন কত পশু বিভিন্ন জায়গায় জবাই হচ্ছে তার কোন হিসাব নেই। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মীদের সহায়তায় এসব অনিয়ম হচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। এ কারণে মানহীন ও পচা মাংস হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত গরু ও মহিষের গোশতও দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল জবাইয়ের ক্ষেত্রেও নেই কোন ভিন্নতা। ব্যবসায়ীরা তাদের নিজের মতো করে নিজ নিজ দোকানে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ছাগল জবাই করছে, ভেড়া-বকরি ছাগল জবাইয়ের পরপরই হয়ে যাচ্ছে খাঁশি ছাগল। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোন কার্যক্রম নেই। সরকার কর্তৃক গৃহীত স্লাটার এ্যাক্ট মিট কন্টোল অনুসারে ৫০,০০০/- হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল থাকলেও তা কার্যকরী হচ্ছে না। এছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের নির্ধারিত মার্কেট ছেড়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও জনবহুল এলাকায় ইচ্ছা মতো গোশের দোকান স্থাপন করেছে। যার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

    প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষুরা রোগ, ম্যাড কাউ, ল্যাম্পিজ, সোয়াইন ফ্লু, এ্যানথ্রাক্স অত্যন্ত ছোঁয়াচে, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত গরু ছাগলের গোশত, রক্ত, লালা যে কোন মানব দেহে সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়া পোল্ট্রি মুরগির দোকানও শহরের যত্রতত্র গড়ে ওঠেছে। সেখান থেকেও মাত্রাতিরিক্ত রোগ সংক্রমণের আশংকা রয়েছে। রাস্তার ধারে ধুলাবালি, পোল্ট্রি মুরগির জবাইকৃত বর্জ্য এবং যত্রতত্র মাংসের দোকান হওয়ায় স্বাস্থ্যনীতি ঝুকির মধ্যে নিপতিত হচ্ছে। মাংসের দোকানগুলো একই মার্কেটে প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।

    গরু ছাগলের গোশত স্বাদে অতুলনীয়, পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। উচ্চ মাত্রার প্রাণীজ প্রোটিন। কোষ রক্ষণাবেক্ষণ ও রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। সুস্থ পশুর থেকেই উৎকৃষ্ট মাংস পাওয়া সম্ভব। এব্যাপারে সচেতন মহল, জেলা প্রশাসক মহোদয় ও পৌর মেয়র মহোদয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

  • বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি)র চেয়ারম্যান নিকট ক্যাব এর আবেদন “করোনা ভাইরাস কবলিত বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে অযৌক্তিক ব্যয় যৌক্তিক করে  বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমান”

    বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি)র চেয়ারম্যান নিকট ক্যাব এর আবেদন “করোনা ভাইরাস কবলিত বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে অযৌক্তিক ব্যয় যৌক্তিক করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমান”

    ক্যাব, কেন্দ্রিয় কমিটির জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম স্বাক্ষরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সারাদেশ এখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মহামারি কবলিত। দেশবাসী গৃহবন্দী। ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ। অর্থনৈতিক সকল কর্মকান্ড স্তব্ধ। বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ। জনবল ছাটাই চলছে। এ অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা সরকারের পক্ষে কতদিন দেয়া সম্ভব হবে তাও ভাবার বিষয়। টাকা ছাপিয়ে কেবলমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন দেয়া কোন সমাধান নয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রাক্কলিত রাজস্ব আহরণ অসম্ভব। রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় চরমভাবে হ্রাস পাচ্ছে। অর্থাৎ ধ্বস নামবে। উন্নয়ন খাত কোন অর্থ পাবে না। এমন অবস্থায় রাজস্ব ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব চাহিদা ব্যাপক হারে কমানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
    করোনা মহামারি মোকাবেলায় সরকার প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। কৃষি ও শিল্পসহ উৎপাদন খাত আর্থিক প্রণোদনা পাবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণকালে এবং পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি সচল রাখার লক্ষ্যে সরকারের উন্নয়ন পলিসিতে ব্যাপক রদবদলের প্রয়োজন হবে। বিদ্যমান উন্নয়ন নীতি ও কৌশল নিয়ে সরকারের পক্ষে এখন আর আগানো সম্ভব নয়, তা আর বলার বা ভাবার অপেক্ষায় নেই। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তথা ১৯৭১ সালে এবং পরবর্তী সময়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি অপেক্ষা করোনা বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে আরও অনেক বেশি বিপর্যস্ত। এমন আশঙ্কায় আমরা ভোক্তারা উদ্বিগ্ন। তবে কৃষি এবং কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পে উৎপাদন ব্যহত হবে না। সেজন্য বিপণন ব্যবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা দরকার।

    বাস্তবে দেখা যায়, এ পরিস্থিতিতে রাজস্ব ঘাটতি মোকাবেলায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সরকারের নিকট আর্থিক ঋণ বা অনুদান চাচ্ছে। রাজস্ব ব্যয় বা চাহিদা কমানোর কোন পরিকল্পনা নিচ্ছে না। সরকার যেসব খাত থেকে রাজস্ব আহরণ করে, সেসব খাত এখন অব্যাহত রাজস্ব ঘাটতির শিকার। সে ঘাটতি মোকাবেলায় তাঁরা এখন সরকারেরই মুখাপেক্ষী। ফলে সরকার ক্রমাগত আর্থিক চাপ বৃদ্ধির শিকার। উল্লেখ্য যে, ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত করোনা মহামারিতে চলতি বছরে যে রাজস্ব ঘাটতির শিকার হবে, তার পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার কম হবে না। অনুরূপ ক্ষয়-ক্ষতি গ্যাস খাতেও হবে। উভয় ঘাটতি বিদ্যমান অযৌক্তিক ব্যয় হ্রাস ও ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা হলে বিদ্যমান ও করোনাজনিত রাজস্ব ঘাটতি একদিকে যেমন মোকাবেলা করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে উভয়খাতে তেমন ভর্তুকির পরিমাণও কমবে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক দরপতনের কারণে তরল জ্বালানির আমদানি ব্যয় ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। ফলে সে দরপতন সমন্বয় করে তরল জ্বালানির মূল্যহার যেমন কমানো যায়, তেমন জ্বালানি খাতে করোনাজনিত রাজস্ব ঘাটতিও সমন্বয় করা সম্ভব।

    অতএব আলোচ্য প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে অযৌক্তিক ব্যয় হ্রাস এবং ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, কয়লা ও তরল জ্বালানির দাম কমানো এখন জরুরি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেয়েছে। ভোক্তার ভোগ ব্যয় এখন খুবই সীমিত। ফলে সরকারের রাজস্ব আসছে না। উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মূল্যহার যদি না কমে, তাহলে ভোক্তার ভোগ ব্যয়বৃদ্ধি পাবেনা। ফলে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি- এসব প্রবাহ বৃদ্ধি না হওয়ায় সরকারের রাজস্ব বাড়বে না। তাই সর্বাগ্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমিয়ে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে পণ্য ও সেবার দাম কমাতে হবে।

    বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মূল্যহার পর্যালোচনায় দেখা যায় ঃ
    ১. ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু করোনাজনিত কারণে রাজস্ব আহরণ বিঘিœত হওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়া ভর্তুকি বৃদ্ধি পাবে।
    ২. এ যাবৎ গ্যাসে কোন রাজস্ব ঘাটতি ছিল না। এ খাতে মজুদ অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এলএনজি গ্রিডে যোগ হওয়ায় চলতি অর্থবছরে সরকারকে ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশী ভর্তুকি দিতে হবে। করোনাজনিত কারণে গ্যাস খাতে রাজ্স্ব ঘাটতি আরোও বাড়বে। ফলে ভর্তুকিও বাড়বে।
    ৩. জ্বালানি তেল বরাবরই লোকসানে ছিল। বিগত বছরগুলিতে দরপতনের কারণে জ্বালানি তেলের আমদানি ব্যয় বিপুল পরিমাণে হ্রাস পায়। কিন্তু তা মূল্যহারে যৌক্তিক সমন্বয় না হওয়ায় বিপিসি’র বিপুল পরিমাণে লাভ হয়। করোনাজনিত কারণে আমদানি বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দরপতন হয়েছে। মূল্যহারে তা সমন্বয় না হওয়ায় বিপিসি’র লাভের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে-লাভে করোনা জনিত রাজস্ব ঘাটতি সমন্বয় হবে এবং তেলের মূল্যহারও কমানো যাবে।
    ৪. তেলের দাম বেড়েছে, দামের সমতা রক্ষায় গ্যাসের দাম বেড়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা এলপিজি’র দাম বাড়িয়েছে। তেল ও এলপিজি’র দরপতন হওয়ায় আমদানি ব্যয় কমলেও তেলের দাম কমেনি। এলপিজি’র দাম বেড়েই চলেছে।
    ৫. বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত শতভাগ কয়লা যে ওজন ও আদ্রতায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানির নিকট থেকে ক্রয় করে, সেই ওজন ও আদ্রতায় খনি কোম্পানি চীনা কোম্পানিকে ৮৫ ডলার মূল্যহারে বিল দেয়। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকট সে কয়লা বিক্রি করে ভ্যাটসহ প্রায় ১৫০ ডলার মূল্যহারে। কয়লা উৎপাদনে খনিকোম্পানির কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। চীনা কোম্পানির নিকট থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র সরাসরি কয়লা নেয় বলা চলে। অতএব বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক নয়। যৌক্তিক হলে এ বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কম হতো।
    ৬. মূল্যহার বেড়েছে বিদ্যুতে ০.৩৫ টাকা এবং গ্যাসে ৫ টাকা। গ্যাসে বছরে সবাসাকুল্যে ভর্তুকি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এ- ভর্তুকি বাড়বে। গণশুনানিতে প্রমান পাওয়া যায়, মোট গ্যাসের প্রায় ৫৬ শতাংশ তিতাসে ব্যবহার হয়। মুনাফাসহ তার বিতরণ মার্জিন ইউনিট প্রতি দরকার ৫ পয়সা। অথচ দেয়া হয়েছে ২৫ পয়সা। এমন অসংগতি সঞ্চালন, অন্যান্য বিতরণ ও গ্যাস উৎপাদন কোম্পানিতেও বিদ্যমান। বিদ্যুৎ খাতেও তা বিদ্যমান। বিদ্যুৎ খাত এর বাইরে নয়।
    ৭. আইওসি’র গ্যাস কেনা হয় ২.৫৫ টাকা মূল্যহারে। অথচ বাপেক্সের গ্যাস কেনা হয় ৩.০৪ টাকা মূল্যহারে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠনের শর্ত লংঘন করে এ তহবিলের অর্থ অনুদান হিসেবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নিয়োজিত দেশীয় কোম্পানি সক্ষমতা উন্নয়নে বিনিয়োগ না করে সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয়া হয়। তাতে গ্যাসের মূল্যহার কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পায়।
    ৮. বিনিয়োগকৃত মুলধনের ওপর তিতাস সুদ পায় ১৮ শতাংশ। সঞ্চালন ও অন্যান্য বিতরণ ও উৎপাদন কোম্পানি পায় ১২%। অথচ বিদ্যুৎ খাতভূক্ত সব কোম্পানি পায় ১০%। ব্যাংক আমনতের ওপর সুদ ৬%-এ নামানো হলেও ওইসব সুদ কমিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যহার কমানো হয়নি। তাছাড়া তিতাসে গ্যাস চুরির প্রতিকার করা হয়নি। বরং মিটারবিহীন চুলায় ব্যবহৃত গ্যাসের পরিমাণ হিসাবে বেশী দেখানোর সুযোগ রেখে গ্যাস চুরির সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে। সিস্টেমলস সুবিধা অন্য সব কোম্পানিকে দেয়া না হলেও তিতাসকে দেয়া হয়েছে ২%। এসব অসংগতি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির নিয়ামক।
    ৯. গ্যাসের উৎস নিশ্চিত না করেই পশ্চিমাঞ্চালে বিতরণ লাইন বসানো হয়েছে ৭ জেলায়। সেসব লাইনে গ্যাস নেই। এমন অনেক সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন স্বল্প ব্যবহৃত। ক্ষেত্র বিশেষে অব্যবহৃত। বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা, এমনি কি সঞ্চালন ও বিতরণ ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এমন অবস্থা দেখা যায়। করোণার কারণে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা হ্রাস পাওযায় এ পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। বিদ্যুৎ বা জ্বালানি সরবরাহে সম্পদ যে অনুপাতে ব্যবহার হবে সে অনুপাতে সম্পদের অবচয় ব্যয় ধরে মূল্যহার নির্ধারণ হয় না। সমূদয় সম্পদ মূল্য ধরে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যয়হার বৃদ্ধি পায়। ্সম্পদের ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায়এখন আরো বৃদ্ধি পাবে।
    ১০. করোণার কারণে রাজ্স্ব ঘাটতি বাড়বে। ফলে ভর্তুকিও বাড়বে। হিসাবে দেখা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা প্রায ২২ হাজার মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ চাহিদা প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট। বিপুল পরিমাণ উৎপাদনক্ষমতা উৎপাদনে নেই। স্বাভাবিক অবস্থায়ও চাহিদার তুলনায় উৎপাদনক্ষমতা উদ্বৃত্ত ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানির কথাও বলা হচ্ছে। গণশুনানীতে প্রমাণিত হয়, চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বছরে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভোক্তাদের অর্থে বিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন তহবিল গঠিত হয়। এ তহবিলের অর্থ অনুদান হিসাবে বিনিয়োগ করা বিধান ছিল। সে বিধান পরিবর্তণ করে অনুদানের পরিবর্তে সুদে বিনিয়োগ করার বিধান করা হয়। তাতে উৎপাদনে অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বৃদ্ধি পায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণ অর্থাৎ ২০ বছরের উর্দ্ধে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎপ্ল্যান্ট উৎপাদনে রেখে অযৌক্তিক ব্যয়বৃদ্ধি করা হয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা ।
    ১১. গণশুনানিতে প্রমাণ পাওয়া যায়, বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে চিহ্নিত অযৌক্তিক ব্যয়সমূহ হ্রাস করা হলে বছরে যথাক্রমে প্রায় ১০ ও ১২ হাজার কোটি সাশ্রয় হতে পারে।
    ১২. অর্থনীতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিসমূহ কস্ট প্লাস নয় শুধু কস্টভিত্তিতে পরিচালিত হলে প্রাক্কলিত রাজস্ব চাহিদা প্রায় ১০% গ্যাস ও তেলে, কয়লায় ৪০% এবং বিদ্যুতে ৫% হ্রাস পেতো। বিদ্যমান অবস্থায় রাজস্ব চাহিদা হ্রাসের পরিমান হতে পারে ১০ হাজার কোটি টাকা। সেই সাথে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি এসব গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনা হলে বিদুৎ ও জ্বালানীর সরবরাহ ব্যয় অনেক কমে আসবে। ঘাটতি হ্রাস পাবে। মূল্যহার কমানো যাবে।
    ১৩. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মজুদ অর্থের পরিমাণ কম-বেশী প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। ভোক্তার জমানতের অর্থের পরিমাণ কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা। এসব অর্থ বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ হলে ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা কমবে এবং সুদ বাবদ ব্যয় হ্রাস পাবে। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সরবরাহ ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় মূল্যহার কমানো যাবে।
    ১৪. গণশুনানিতে পেট্রোবাংলা, তিতাস, জিটিসিএল, এনএলডিসি, বড়পুকুরিয়া খনির দুর্নীতিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরা হয়। সেসব দুর্নীতি ও অপরাধ মুক্ত হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যয় যৌক্তিক হবে এবং মূল্যহার বৃদ্ধির প্রবণতা হ্রাস পাবে। মূল্যহার কমানো যাবে।
    ১৫. তাছাড়া বিগত গণশুনানিসমূহে প্রমাণ পাওয়া যায়, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে বিদ্যুৎ/গ্যাসের সরবরাহ ব্যয়হার হ্রাস পাবে এবং মূল্যহার কমানো যাবে। সে লক্ষ্যে বিগত একাধিক গণশুনানিতে অংশীজন প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দ্বারা গ্যাস অনুসন্ধান এবং বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সামর্থ বৃদ্ধির যথার্থতা নিরূপন করে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়নের প্রস্তাব করা হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দূর্নীতি মুক্ত করার লক্ষ্যে অপর একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব অনুরূপ কমিটিকে দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়।

    অতএব বিদ্যুতে ও জ্বালানির দাম কমানোর জন্য ক্যাবের পক্ষ থেকে নি¤œরূপ প্রস্তাব করা হলো ঃ
    ১. সকল ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাদ দিয়ে এবং ২০ বছরের বেশী বয়সী সরকারি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে উৎপাদনের বাইরে রেখে উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণক্রমে বিদ্যুতের মূল্যহার কমানো প্রস্তাব করা হলো,
    ২. বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও গ্যাস উন্নয়ন উভয় তহবিলের অর্থ সুদে বিনিয়োগের পরিবর্তে যথাক্রমে পিডিবি কর্তৃক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বাপেক্স কর্তৃক গ্যাস অনুসন্ধানে অনুদান হিসাবে বিনিয়োগক্রমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৩. বিদ্যুৎ/গ্যাস সরবরাহে সম্পদ অর্জন অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা রোধ করা হলে সরবরাহ ব্যয় হ্রাস পায় এবং মূল্যহার কমানো যায়। ফলে সম্পদ যে অনুপাতে বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানি সরবরাহে ব্যবহার হয়, অবচয় ব্যয় সেই অনুপাতে ধরে বিদ্যুৎ/গ্যাসের সরবরাহ ব্যয় নির্ধারণক্রমে মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৪. বিদ্যুৎ উপাদনে ব্যবহৃত কয়লার মূল্যহার কমিয়ে যৌক্তিক করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে বিদ্যুতের মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৫. ব্যক্তি খাত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্রয় রহিত করে এবং সরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের মূল্যহারে তেলের আমদানি ব্যয় হ্রাস সমন্বয় করে বিদ্যুতের মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৬. মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক করার লক্ষ্যে বিইআরসি আইন মতে বিইআরসি কর্তৃক এলপিজি ও জ্বালানী তেলের মূল্যহার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হলো,
    ৭. বিগত গণশুনানীতে বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে চিহ্নিত অযৌক্তিক ব্যয়সমূহ যৌক্তিক করে মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৮. অর্থনীতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানোর লক্ষ্যে ঃ (ক) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারি কোম্পানিসমূহ কস্ট প্লাস নয় শুধু কস্টভিত্তিতে পরিচালিত করা এবং (খ) সেই সাথে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি ইত্যাদি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনার প্রস্তাব সরকারের নিকট পেশ করার প্রস্তাব করা হলো।
    ৯. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মজুদ অর্থ ও ভোক্তার জামানতের অর্র্থ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ করে ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ১০. বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে অর্জিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অংশীজন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দ্বারা গ্যাস অনুসন্ধান এবং বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সামর্থ বৃদ্ধির যথার্থতা নিরূপন করে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়নের প্রস্তাব করা হলো,
    ১১. বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত দুর্নীতি মুক্ত করার লক্ষ্যে অপর একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়নের দায়িত্ব অনুরূপ কমিটিকে দেয়ার প্রস্তাব করা হলো।
    ১২. ওইসব কমিটি কর্তৃক প্রণীত কৌশলগত পরিকল্পনা বিইআরসির অনুমোদনক্রমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতভূক্ত সকল ইউটিলিটি ও সংস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যয় ন্যায্য ও যৌক্তিককরণের লক্ষ্যে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হলো।
    ১৩. বিগত অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব মতে ডিপিএম-এর পরিবর্তে ওটিএম-এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সকল ক্রয় নিশ্চিত করার প্রস্তাব করা হলো।’