Category: কোটা সংস্কার আন্দোলন’২৪

  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জুলাই জুড়ে অনুষ্ঠান

    গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জুলাই জুড়ে অনুষ্ঠান

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানমালা’ আয়োজন করা হবে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় তা জানানো হয়েছে।

    ৩৬ দিনব্যাপী জুলাই স্মৃতি উদযাপনে যেসব অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে সেগুলো হলো—

    ১ জুলাই : মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জাসহ অন্যান্য উপসানালয়ে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা। জুলাই ক্যালেন্ডার প্রদান (অনলাইন-অফলাইন)। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সূচনা, চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। জুলাই শহীদ স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তি চালু।

    ৫ জুলাই : বিভিন্ন সময় অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন প্রচারে দেশব্যাপী পোস্টারিং কর্মসূচি চালু।

    ৭ জুলাই : julyforever.org নামে ওয়েবসাইট চালু।

    ১৫ জুলাই : ‘আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া’ শিরোনামে ১৫ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। জুলাই স্মৃতিচারণ। ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং জুলাইয়ের গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলইডি ওয়াল ইনস্টলেশন। প্রজেকশন ম্যাপিং। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।

    ১৯ জুলাই : ‘কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙ্গা’ ১৯ জুলাইয়ের ভিডিও, নরসিংদী, সাভার, ঢাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন। গণহত্যা ও ছাত্রজনতার প্রতিরোধ দিবস

    ২৪ জুলাই : শিশু শহীদদের স্মরণে ‘কী করেছে তোমার বাবা’ শিরোনামে ২৪ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। শিশু শহীদদের স্মরণে দেশব্যাপী কর্মসূচি। দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘২৪ এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্গন’ প্রতিযোগিতা। নারায়ণগঞ্জের শিশু শহীদ রিয়া গোপের স্মরণে অনুষ্ঠান। শিশু শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান, জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও গান। শিশু একাডেমিতে জুলাইয়ের শিশু শহীদদেরকে থিম করে একটি আইকনিক ভাস্কর্য স্থাপন। শিশুদের জন্য জুলাই আন্দোলনকে উপজীব্য করে গ্রাফিক নভেল প্রকাশ।

    ৩০ জুলাই : ‘চল চল চল’ ৩০ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ার। অনলাইনে জুলাই স্মরণ। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান।

  • নতুন কর্মসূচি দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    নতুন কর্মসূচি দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘শহীদি মার্চ’ নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

    আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করবে ছাত্ররা। বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে কর্মসূচি শুরু হবে।

    বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টিএসসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।

    মার্চ কর্মসূচিটি প্রথমে রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে নীলক্ষেত, সাইন্সল্যাব, কলাবাগান হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ যাবে। এরপর বিজয় সরণি, ফার্মগেট হয়ে কাওরান বাজার, শাহবাগ হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হবে।

    বৃহস্পতিবার এই শহীদি মার্চ কর্মসূচিতে রাজধানীর সব মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সারজিস আলম।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদারসহ সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কবৃন্দ।

    এদিকে জনমত গঠনে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী জনমত গঠনে বিভাগীয় ও জেলাগুলোতে সফর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।

    তিনি বলেন, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। এই কমিটি চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করবে।

    আবু বাকের মজুমদার বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে বিভাগীয় সফর শুরু করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যে সফরে আমরা সারা দেশের ঘটনাগুলো শুনবো। ছাত্রজনতা থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলব।

    তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হবে এবং বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্যরা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করবে।

  • আবারো সাধারণ ছুটি ঘোষণা সম্পর্কে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

    অসহযোগ কর্মসূচির ডাক এর পরিপ্রেক্ষিতে আবারো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য সাধারণ ছুটি আসবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    শনিবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার নিয়ে আমাদের একটি নির্দেশনা ছিল। তবে রোববার থেকে কীভাবে অফিস চলবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হয়তো কিছুক্ষণ পর আমরা এ বিষয়ে জানাতে পারবো।’

    এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের জরুরি বৈঠক চলছে। সন্ধ্যা ৭টার পর বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানাতে ব্রিফ করা হবে। এ সময় কারফিউ এবং অফিস টাইমের বিষয়ে জানা যেতে পারে বলে সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

    এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর অফিস আদালত স্বল্প পরিসরে খুলে দেয়া হয়। গত সপ্তাহের রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই); এই তিন দিন সরকারি ও বেসরকারি অফিস চলেছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আর বুধবার (৩১ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস চালু ছিল।

  • ‘অসহযোগ আন্দোলন’ সফলের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ নির্দেশনা

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আজ শনিবার দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ মিছিল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার ‘অসহযোগ আন্দোলন’। এ আন্দোলন সফল করতে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জারি করেছে বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা।

    শনিবার দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে এসব নির্দেশনা দিয়ে পোস্ট দেন।

    নির্দেশনাগুলো হলো-

    ১. কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
    ২. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।
    ৩. সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
    ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
    ৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
    ৬. সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
    ৭. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
    ৮. দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না।
    ৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
    ১০. জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
    ১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতিত কোনো ধরনের প্রটোকল, রায়ট ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
    ১২. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
    ১৩. বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
    ১৪. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
    ১৫. বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপনি-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

    হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে।

    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

  • রংপুরে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

    রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় অপেশাদার আচরণের কারণে এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এএসআই আমীর হোসেন রংপুর পুলিশ লাইন্সে এবং কনস্টেবল সুজন তাজহাট থানায় কর্মরত ছিলেন।

    আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

    তিনি জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ওই দু’জনের অপেশাদার আচরণ প্রমাণিত হয়েছে, যার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আবু সাঈদের সুরতহাল, সেদিনের ভিডিও, ছবি এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখছে। ওই ঘটনায় আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পরে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রংপুরসহ গোটা দেশজুড়ে। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

  • কোটা আন্দোলনে আহত আরও একজনের মৃত্যু

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মো. ইমন (১৭) নামের এই কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

    এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। ওই সময়ই আহত হয়েছিলেন ইমন। আজ তাঁর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪ জন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার আন্দোলন ঘিরে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২১৬ জনের।

  • সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।

    বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।’

    নাহিদ আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব৷’

    ‘শুধু শেখ হাসিনা নয়, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে৷ এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে৷ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে৷’—বলেন নাহিদ।

    যে স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে, তার সঙ্গে মানুষকে যোগ দেওয়া এবং পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান নাহিদ। তিনি কাল থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাটিও তুলে ধরেন।

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরবর্তীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের ঘটনায় ৯ দফা দাবি দিয়েছিল। এবার এক দফা দাবি তুলে ধরা হলো। আজ শহীদ মিনারে সামনের সারিতে অন্তত ছয়জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও আবদুল কাদের। তাঁদের মধ্যে নাহিদসহ তিনজন বক্তব্য দেন।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে। রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় একত্রিত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

    শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত প্রথম আলোর তিনজন প্রতিবেদক জানান, আজ শনিবার বেলা আড়াইটার পর থেকে দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময় যত গড়াতে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই।

    শহীদ মিনার ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হয়েছেন। ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে।

    এর আগে সকালে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের নেতারা।

    আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে তিনজনকে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাহবুব উল আলম হানিফ।

    দলীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আলোচনায় থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁদের এখনো যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ করা হবে।

    তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।

  • কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার বেলা সাড়ে সোয়া ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনারোড মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুর হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে খুলনারোড মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ,বিজিবিসহ প্রশাসনের সদস্যদের উপস্থিত থাকলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ছাত্রদের কোন ধরনের বাধা প্রদান করেনি। ছাত্ররা খুলনা রোড মোড় অবরোধ করে ২ ঘন্টা অবস্থান করে ফিরে যান। এসময় কোটা আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় নিহত সাতক্ষীরার আসিফ হাসানের নামে সাতক্ষীরার খুলনারোড মোড়কে আসিফ চত্বর নামকরণের দাবি জানান। আন্দোলন চলাকালে যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়।

  • রিমান্ড শেষে কারাগারে পার্থ

    কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    শুক্রবার (২ আগস্ট) দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মায়েরা রাজপথে

    ‘সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বস্তরের নারীরা। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসময় কর্মসূচিতে যোগ দেন হাজারও নারী ও অভিভাবক। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নির্বিচার হত্যা, হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান নারী সমাজ।

    আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন অভিভাবকরা। বিকেল পৌনে ৪টায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিবাদী নারী সমাজের ব্যানারে ‘শিক্ষার্থীদের গনতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের নির্বিচার হত্যা, হামলা গণপ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও সন্তান হত্যার বিচার দাবীতে মায়েরা রাজপথে’ শিরোনামে কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিভিন্ন পেশার অভিভাবকরা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

    গান, নৃত্য, মাইম ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন অভিভাবক ও শিশুরা। বিকেল সাড়ে ৪টায় ‘শিক্ষার্থীদের পাশে মা’ এই ব্যানারে আরেকদল নারী এসে যোগদান করেন মানববন্ধনে। জনতার ঢলে চেরাগী মোড় থেকে জামাল খান রোড পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে আন্দরকিল্লা হয়ে নিউমার্কেট এলাকায় সন্ধ্যা ৬টায় কর্মসূচি শেষ হয়।

    মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন নারী মুক্তি কেন্দ্রের আসমা আক্তার । তিনি প্রতিবাদী নারী সমাজের সমন্বয়ক। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গৃহিনী, নারী উদ্যোক্তা, ডাক্তার, ব্যাংকার ও সমাজকর্মীরা। নারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের পুরুষরাও যোগ দেয় মানববন্ধনে।

    এ সময় অভিভাবকরা ‘হামার বেটা মারলু কেনে, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘আমার সন্তান মরলো কেন, বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

    মানববন্ধনে মাথায় পতাকা বেধে দাঁড়িয়েছিলেন সমাজকর্মী শাহীন শিরীণ। পাশে নিজের ছোট শিশুর হাতে দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ছবি। শাহীন শিরীণ সমকালকে বলেন, ‘আমার সন্তান রক্তাক্ত হয়েছে মানে আমরাও রক্তাক্ত। এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের সন্তানদের গণকবর দেওয়া হয়। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। এই রাষ্ট্রই তো আমাদের সন্তানকে হত্যা করেছে।’

    মানববন্ধনে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন রিতু পারভিন। তিনি বলেন, ‘দেশের কোনো পরিস্থিতি হলে মায়েরা রাজপথে নামে? এতো হত্যা আর গণগ্রেপ্তার হল। তারপরেও এখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী যারা আটক হয়েছে তাদের জেলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলছে। ওরা তো শিশু। আমাদের শিশুরা কেন বিনা অপরাধে জেলে পরীক্ষা দিবে? আমরা তাদের মুক্তি চাই।’

    আরেক অভিভাবক ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকা কেনা অস্ত্র দিয়ে পুলিশ আমাদের সন্তানকে হত্যা করে। আমি বলতে চাই, আমাদের সন্তানকে না মেরে আমাদেরকে খুন করেন। ওরা আমাদের ভবিষ্যত। আপনারা আমাদের ভবিষ্যতকে হত্যার নেশায় মেতে উঠেছেন।’ সরকারের প্রতি এই জুলুম বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

  • শনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সারাদেশে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং পূর্বঘোষিত ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    সারাদেশের আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    শুক্রবার রাতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

  • ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৪২জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রশিদুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (প্রসিকিউশন বিভাগ) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    এর আগে দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা কিংবা নাশকতামূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় রুজু হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিনের শুনানি বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা সিএমএম কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটক হওয়াদের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনিসহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটককৃতের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রাদিসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা প্রদান করবে। আটক যেসব ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই, তাদের জামিনের ক্ষেত্রেও সরকার আইনি সহায়তা দেবে।

  • ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’। এই সময়ের মধ্যে মুক্তি না দিলে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

    মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আলটিমেটাম ঘোষণা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

    তিনি বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে আটকে রাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। ডিবি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে তাদের যদি নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে নাগরিকদের নিয়ে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলন করব।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জাতিকে, এ দেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। আমি নিজে বিব্রতবোধ করছি। স্বাধীনতার পর ’৭১-এর মতো সহিংসতা আর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হবে– এটা ভাবনায় ছিল না। অথচ স্বাধীনতার চেতনাই হচ্ছে বৈষম্যহীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এটা করতে না পারার দায় আমাদের নিতে হবে।’

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা, গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। এসব সংবিধান অনুযায়ী বেআইনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিলের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব ঘটনার নিন্দা, ধিক্কার জানানোর উপযুক্ত ভাষা আমাদের জানা নেই।  এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজকে শোক দিবস পালন করেন। জাতির সঙ্গে রসিকতা করেন? নাশকতার নামে ১০ হাজার গ্রেপ্তার করেছেন। আড়াই লাখ আসামি। হত্যা মামলায় কতজনকে গ্রেপ্তার করেছেন? পত্রিকায়-ফুটেজে দেখেছি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাতে অস্ত্র। ইউনিফর্ম পরা পুলিশ। সবাই চিহ্নিত। জ্বলন্ত প্রমাণ। এর পরও তো কাউকে দেখিনি গ্রেপ্তার করতে? নাশকতা কারা করেছে, আমরা তো এখনও প্রমাণ পাইনি। অথচ হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার করে ফেলেছেন। যেটার প্রমাণ রয়েছে, সেটির জন্য কাউকে ধরেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটেছে তা সবই সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আজকে আন্দোলন হচ্ছে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। এ দাবি অমূলক নয়।’

    ১১ দফা দাবি পেশ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা যে পদেই থাকুক না কেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, র্যা ব, আনসার, বিজিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী যারা গুলি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও স্বচ্ছ তদন্ত ও সঠিক বিচার হতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার এবং বল প্রয়োগ বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ বিশেষজ্ঞের অধীনে স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান তারা। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক।

  • বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সংঘাত-সহিংসতার পর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

    এছাড়া বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব/ সিনিয়র, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

    সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা হয়। এতে সরকারি হিসাবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন (বেসরকারি হিসাবে দুই শতাধিক) নিহত হয়েছেন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।

    সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। জোটটি মনে করে আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবির জড়িত। মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বুধবারের মধ্যে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।

    সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি, কারফিউ তুলে দেওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

  • তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  একই সঙ্গে তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জুডিসিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয় এজন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।’

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘এরইমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।’

    জার্মান রাষ্ট্রদূত উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মান) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।’

    রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত করে প্রেসসচিব বলেন, ‘যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নেই।’

    নাঈমুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে দেশব্যাপী শোক পালন করছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।

    জার্মান বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।’

    দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।’

    ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।’

    সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

  • মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার : প্রতিমন্ত্রী পলক

    মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার : প্রতিমন্ত্রী পলক

    আগামীকাল রোববার মুঠোফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর মোবাইল ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    পলক বলেন, আগামীকাল রোববার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবি-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।

  • তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    শুক্রবার রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

    সারজিস আলম বলেন, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    এর আগে বিকেলে আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ একটি বার্তা পাঠান। এতে তিনি বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাকে, নাহিদ ভাই আর বাকেরকে গৃহবন্দি করেছে ডিবি পুলিশ। ওয়ার্ডের সামনে, হাসপাতালে ডিবি পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। হাসপাতালের সামনে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের সব ধরনের কমিউনিকেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।’