স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় আরো একজন করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় খুলনা পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো এ রিপোর্ট জানানো হয়। এ নিয়ে জেলাায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ জন।
করোনা আক্রান্তের নাম সোহাগ হোসেন (২৮)। তিনি সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার জানান, সোমবার সন্ধ্যায় খুলনা পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা রিপোর্টে সোহাগের করোনা পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তার বাড়ি লক ডাউন করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
Category: করোনা ভাইরাস
-
সাতক্ষীরায় আরো একজন করোনা শনাক্ত, এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত-৪৬
-

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভা সম্পন্ন
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয়ের সভাপতিত্বে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভায় সাতক্ষীরা-২ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, মেয়র সাতক্ষীরা পৌরসভা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, ডিডি এন এস আই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ডিআরআরও এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জুমের মাধ্যমে সভায় অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ
১। মাস্ক ছাড়া কেউ বাইরে আসলে তাকে জেল ও জরিমানা করা হবে।
২। আন্তঃ জেলা জনগণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
৩। জেলা অভ্যন্তরে প্রবেশের পয়েন্টে চেকপোষ্ট চলমান থাকবে।
৪। জেলার বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং জেলার ভিতর থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবেনা।
৫। সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, পৌরসভার প্রতিনিধি, বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি সার্ভিলেন্স টিম গঠন করা হলো। উক্ত কমিটি কর্তৃক বাস চালক এবং যাত্রীগণ স্বাস্থ্য বিধি যথাযথভাবে পালন করছে কিনা তা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৬। স্বাস্থ্য বিধি মেনে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার(ভূমি) কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
৭। জেলার প্রতিটি বাজারে ব্যবসায়ীগণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করবেন।
৮। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল ১০ টার আগে এবং বিকাল ৪ টার পরে দোকান খোলা রাখা যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৯। জনগণকে মাস্ক পরার বিষয়ে অবহিত করার জন্য জেলা / উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক মাইকিং করা হবে।
১০। ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১১। বাস টার্মিনাল অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সহকারী পরিচালক, বিআরটিএ, সাতক্ষীরার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
-
গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় আরো ৩ জনসহ মোট ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত
স্টাফ রিপোটারঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় আরো ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৪৩ জনের করোন শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া জেলা থেকে আজ পর্যন্ত মোট ৮৭৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের পজিটিভ ও বাকী সব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে দেবহাটা উপজেলার ২৫ জন, আশাশুনি উপজেলার ৩ জন, সদর উপজেলার ৬ জন, কলারোয়া উপজেলার ৫ জন, তালা উপজেলার ২ জন ও শ্যামনগর উপজেলার ২ জন। লক ডাউন করা হয়েছে শতাধিক বাড়ি। এছাড়া গতকাল করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন অফিসের ডাঃ জয়ন্ত সরকার।
-
করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোটার ঃ করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যবসায়ী দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আই.সি.ইউ বিভাগে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, তালা উপজেলার মাঝিয়াড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী গাজী শহিদুল ইসলাম (৬৫) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের কাথন্ডা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে কৃষক পিয়ার আলী (৩৫)।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, জ¦র ও শ^াস কষ্ট নিয়ে গত ২৮ মে বৃহস্পতিবার সকালে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী গাজী শহিদুল ইসলাম ও গত ২৭ মে বুধবার সকালে কৃষক পিয়ার আলী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কৃষক পিয়ার আলী ও শনিবার ভোর রাত দুই টার দিকে ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মারা যান।
তিনি জানান, উক্ত দুই ব্যক্তি মেডিকেলে ভর্তির পর পরই তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনও তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এস পৌছায়নি। তবে, দ্রুত তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত বরনকারী দুই ব্যক্তির বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
ডাঃ জয়ন্ত সরকার আরোও জানান, এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনের রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। ৯ টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। -

গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় আরো ৪ জনসহ মোট ৪০ জনের করোনা শনাক্ত
স্টাফ রিপোটার ঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় আরো ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া জেলা থেকে আজ পর্যন্ত মোট ৮১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৮০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৪০ জনের পজিটিভ ও বাকী সব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে দেবহাটা উপজেলার ২৫ জন, আশাশুনি উপজেলার ৩ জন, সদর উপজেলার ৫ জন, কলারোয়া উপজেলার ৫ জন, তালা উপজেলার ১ জন ও শ্যামনগর উপজেলার ১ জন। এদের মধ্যে তিন জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ৪ হাজার ৬৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৭৯০ জনকে
-
সাতক্ষীরায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ৩২ জন, শতাধিক বাড়ি লক ডাউন
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় আজ পর্যন্ত মোট ৭১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৩২ পজিটিভ ও বাকী সব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে দেবহাটা উপজেলার ২৪ জন, আশাশুনি উপজেলার ৩ জন, সদর উপজেলার ২ জন, কলারোয়া উপজেলার ২ জন ও তালা উপজেলার একজন। এছাড়া সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ৩ হাজার ৮৭১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৭১২ জনকে। এদিকে, স্থানীীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জেলায় করোনা আক্রান্তদের বাড়িসহ তাদের আশেপাশের শতাধিক টি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। সেখানে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। -

৫০ লাখ ছাড়াল করোনা আক্রান্ত, মৃত্যুর মিছিলে ৩ লাখ ২৯ হাজার মানুষ
কোভিড-১৯ মহামারীতে বিশ্বে আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ক্ষয়ক্ষতি। ইতিমধ্যে ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে সংক্রমণ। আর মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন অন্তত ৩ লাখ ২৯ হাজার মানুষ।
শুরু থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে বিশ্বে মোট আক্রান্ত অর্ধকোটি ছাড়িয়ে গেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার জনের। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ১৯ লাখ।
করোনায় আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলা ১ টা পর্যন্ত করোনায় বিশ্বে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৭ জন।
বিশ্বে মোট আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের, সাড়ে ১৫ লাখ। মৃত্যুর তালিকায়ও শীর্ষে দেশটি, ৯৩ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে।
আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে রাশিয়া, ৩ লাখ ৮ হাজার। দুই লাখ ৯১ হাজার আক্রান্ত নিয়ে তৃতীয়স্থানে ব্রাজিল।
চতুর্থস্থানে আছে যুক্তরাজ্য, আড়াই লাখ ছুঁই ছুঁই। পঞ্চমস্থানে স্পেন, ২ লাখ ৩২ হাজার। পাঁচ হাজার আক্রান্ত কম নিয়ে ষষ্ঠস্থানে ইতালি।
মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পরে যুক্তরাজ্য, ৩৫ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। তৃতীয়স্থানে ইতালি ৩২ হাজার ৩০০।
চতুর্থস্থানে ফ্রান্স, ২৮ হাজার ১০০। সাড়ে ২৭ হাজার ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে স্পেন আছে পঞ্চমস্থানে। ষষ্ঠস্থানে ব্রাজিল ১৮ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। এটি বিশ্বের ২১৩ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।১১ মার্চ করোনাকে মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
-

নিরাপত্তা পরিষদে করোনা-প্রস্তাব আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র
করোনাভাইরাস মহামারি রুখতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব তোলার কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাধায় তা হয়নি। কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভোটের জন্য প্রস্তাবটি উত্থাপনের কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র তা প্রতিহত করেছে।
এএফপি জানিয়েছে, গত মার্চ থেকে ওই প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার ওই প্রস্তাবটি পরিষদে তোলার পর তা পাশ হলে, বিশ্বের যেসব দেশে এখন যুদ্ধ কিংবা সংঘাত চলছে আপাতত তা সমন্বিতভাবে বন্ধ রাখার আহ্বান জানাতে পারতো নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাধায় তা আপাতত হচ্ছে না।
কূটনৈতিক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্বের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রস্তাব পাশে বাধা দিয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহরের এক বাজার থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই করোনাভাইরাস বিস্তারের জন্য চীনকে দায়ী করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন, উহানের একটি ভাইরোলজি ল্যাব থেকে করোনার ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ তিনি দেখেছেন। এই ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে শুল্কারোপের হুমকিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে কাছে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কিত তথ্য গোপন করেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরু থেকেই বলে আসছে, করোনাভাইরাসের উৎস প্রাকৃতিক, এটি ল্যাব থেকে ছড়ায়নি। ট্রাম্প সংস্থাটির অবস্থানকে চীনঘেষা আখ্যা দিয়ে তহবিল স্থগিত করেছে।
ডব্লিউএইচও ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে তদন্তে অংশগ্রহণের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানায়। তবে চীন সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তারা নিজেরা ভাইরাসের উৎস তদন্ত করে দেখার ঘোষণা দিয়েছে।
-

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা
সাম্প্রতিক সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে করনীয় নির্ধারণে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা আজ বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরার সভাপতিত্বে উক্ত মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইলতুতমিশ, সভাপতি- চেম্বার অফ কমার্স, শপিং মল সত্ত্বাধিকারীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
সভার শুরুতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা সবাইকে পড়ে শুনানো হয়। জেলার শপিংমলগুলোতে হাত ধোওয়া এবং স্যানিটাইজার এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে আহবান জানান জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে একদরে পণ্য বিক্রি, ব্যবসায়ীদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণ এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের বিষয়টি সাতক্ষীরা-২ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য সভায় তুলে ধরেন। সাতক্ষীরা-১ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য সভায় সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রনে কাপড় ব্যবসায়ী, জুতা ব্যবসায়ীদের সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম বা পিটিআই মাঠে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়টি তুলে ধরেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দোকানদারদের সচেতনতা এবং একদরে পণ্য বিক্রি করার বিষয়টি তুলে ধরেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, প্রতি দোকানে সিসিটিভি যুক্ত করতে হবে। সিভিল সার্জন সবাইকে ভিড় এড়িয়ে মাস্ক ব্যবহার করতে বলেন।
-
সাতক্ষীরাতে আরো একজনের করোনা পজেটিভ
আজ নারায়ণগঞ্জ ফেরত দেবহাটা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানরত শ্রমজীবীর করোনা পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে।
(সিভিল সার্জন,সাতক্ষীরা) -
সাতক্ষীরায় নতুন করে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি জেলায় ৪১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ,
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় নতুন করে কেউ এখনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে, জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২২৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২২৭ টি রিপোর্ট নেগেটিভ ও এক এনজিও কর্মীর রিপোর্ট গত কয়েকদিন আগে পজিটিভ এসেছে। এছাড়া জেলায় বিদেশ ফেরত মোট ৩ হাজার ৬২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মেডিকেল টেকনোশিয়ান তার কর্মস্থল থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়াস্থ ভাড়া বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন। এনিয়ে সাতক্ষীরায় বর্তমানে দুই জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। -

উপহার সামগ্রী নিয়ে করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে দেখতে গেলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোটার ঃ উপহার সামগ্রী নিয়ে করোনা আক্রান্ত যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের টেকনেশিয়ান মাহমুদুল হক সুমনকে দেখতে গেলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। রোববার বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়াস্থ তার ভাড়া বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী সুমনকে তিনি দেখতে যান।
এ সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে জেলা প্রশাসক সুমনের সাথে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থাসহ পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
জেলা প্রশাসক তাকে সাহস যুগিয়ে বলেন, গোটা সাতক্ষীরাবাসী তোমার সাথে আছে। মনোবল দৃঢ় রাখ। অবশ্যই আমরা এই বিপর্যয় থেকে মুক্তি পাবো। জেলা প্রশাসক তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দেশিত পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে দ্রুত আরোগ্য লাভের প্রার্থনা করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কর্মী মাহমুদুল হক সুমনের ছেলেকে চকোলেট, বিস্কুট ও ফলসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসকের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী। -
সাতক্ষীরায় মোট ৩ হাজার ৬২৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, জেলায় ৩৮৩ জনের নমুনা সংগ্রহ,
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ৩ হাজার ৬২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৫৫৭ জনকে। এছাড়া, জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৮৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২০৪ টি রিপোর্ট নেগেটিভ ও একটি পজিটিভ এসেছে। পজিটিভ ব্যক্তি তালা উপজেলার নগরঘাটাার এনজিও কর্মী সঞ্জয় সরকার। তিনি বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোশিয়ান মাহমুদুর রহমান সুমন তার কর্মস্থল থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়াস্থ ভাড়া বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন। এনিয়ে সাতক্ষীরায় বর্তমানে দুই জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। -
তালায় এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত
তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটায় সঞ্জয় সরকার নামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট ইউনিট থেকে তার করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে মর্মে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত।আক্রান্ত ব্যক্তি তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের কাপাসডাঙ্গার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব সরদার জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে তার বাড়িসহ সংস্পর্শে আসা সকলের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি বুঝে তিনি বাড়িতে থাকবেন না হাসপাতালে ভর্তি হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, এই প্রথম সাতক্ষীরা থেকে পাঠানো কোন ব্যক্তির নমুনা করোনা পজেটিভ হলো। এর আগে যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মেডিকেল টেকনিশিয়ান কর্মস্থল থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় এসে শহরের উত্তর কাটিয়াস্থ ভাড়া বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
-

করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন টিকা আবিস্কারের পরে কি দরিদ্র দেশগুলোর মানুষ এটি পাবে?
ফার্নান্দো দুয়ার্তে -বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস
বিশ্বজুড়ে এই মূহুর্তে করোনাভাইরাসের টিকা আবিস্কারের জন্য মোট ৪৪টি প্রকল্পের কাজ চলছে। বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের যেসব দল এই কাজে নিয়োজিত কেইট ব্রোডেরিক তাদের একটি দলের সদস্য। তিনি একজন অনুজীব জিন বিজ্ঞানী।
কেইট ব্রোডেরিক কাজ করেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ইনোভিওতে। এই কোম্পানিটি আশা করছে এ বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ তারা কোভিড-নাইনটিনের টিকার দশ লাখ ডোজ তৈরি করতে পারবে। কিন্তু এই টিকা কোথায় পাওয়া যাবে, কাদের দেয়া হবে?
ডক্টর ব্রোডেরিকের মনে এই প্রশ্ন মাঝেমধ্যেই উঁকি দিচ্ছে। স্কটল্যান্ড এর এই বিজ্ঞানীর এক বোন কাজ করেন বৃটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএসের একজন নার্স হিসেবে।
“আমার বোন প্রতিদিন রীতিমত লড়াই করছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য। সুতরাং আমি অবশ্যই চিন্তিত এই টিকা আসলে কারা পাবে এবং সবার কপালে এটি জুটবে কীনা। এই টিকাটা আমাদের তৈরি করে রাখতেই হবে।”
টিকার মজুতদারি
ইনোভিওর মত কোম্পানি যে টিকা তৈরি করার চেষ্টা করছে সেসব টিকা ধনী দেশগুলো মজুতদারী করার চেষ্টা করবে কিনা এখনই সেরকম একটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption ভ্যাক্সিন অ্যালায়েন্সের সেথ বার্কলি (বিল গেটসের ডানে) আহ্বান জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ এর টিকা যেন সমানভাবে বন্টন করা হয়।
যেসব বিশেষজ্ঞ এরকম উদ্বেগের কথা বলছেন তাদের একজন এপিডেমিওলজিস্ট সেথ বার্কলি। একটা ইমিউনাইজেশন গ্যাপ বা টিকা নিয়ে বৈষম্য তৈরি হতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি।
সেথ বার্কলি হচ্ছেন দ্য ভ্যাক্সিন অ্যালায়েন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী। এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে বিশ্বের দরিদ্রতম ৭৩টি দেশের মানুষের কাছে টিকার সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।
“করোনাভাইরাসের টিকা হয়তো এখনো তৈরি হয়নি কিন্তু এসব বিষয়ে আমাদের এখনই কথাবার্তা বলা দরকার”- বলছেন ডক্টর বার্কলি।
“আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে ধনী দেশগুলোতে যাদের টিকা দরকার তাদের জন্য তো বটেই, গরীব দেশগুলোতেও যাদের টিকা দরকার তাদের জন্যও যথেষ্ট পরিমাণে টিকা তৈরি করা।”
“আমি অবশ্যই চিন্তিত। দুস্প্রাপ্য জিনিস নিয়ে বাজে কাজ সবসময়ই হয়েছে। এখানে আমাদের অবশ্যই সঠিক কাজটা করতে হবে”- বলছেন ডক্টর বার্কলি।ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption হেপাটাইটিস-বি এর ভ্যক্সিন দরিদ্র দেশগুলোতে পৌঁছাতে বহু সময় লেগে গিয়েছিল।
তার এই আশঙ্কা একেবারে ভিত্তিহীন নয়। এর আগের অনেক টিকার ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। সম্প্রতি একটি জার্মান সংবাদপত্র একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে একটি খবর দিয়েছিল যাতে বলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি টিকা কেবলমাত্র মার্কিনিদের জন্য কেনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
এই টিকাটি তৈরি করছিল জার্মান বায়োটেকনোলজি কোম্পানি কিউরভ্যাক।
হেপাটাইটিস বি টিকা নিয়ে বৈষম্য
টিকার ক্ষেত্রে এই বৈষম্যের সবচাইতে বড় উদাহরণ হচ্ছে হেপাটাইটিস-বি টিকা। বিশ্ব লিভার বা যকৃতের ক্যান্সারেরর সবচেয়ে বড় কারণ হেপাটাইটিস-বি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এটি এইচআইভির চেয়ে ৫০ গুণ বেশি সংক্রামক।
২০১৫ সালে বিশ্বে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ২৫ কোটি ৭০ লাখ।
১৯৮২ সালে ধনীদেশগুলোতে এই ভাইরাসের টিকা চলে আসে। কিন্তু ২০০০ সাল পর্যন্ত গরীব দেশগুলোর দশ শতাংশের কম মানুষকে এই টিকা দেয়া গেছে।
টিকার এই বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে ‘গ্যাভি’ বলে একটি সংস্থা। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস এটি গড়ে তুলেছেন। টিকাদানের ক্ষেত্রে যে মারাত্মক বৈষম্য, সেটি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে পেরেছেন তারা। কারণ বিশ্বের বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আর বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরেছেন তারা এটি নিয়ে।ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption বিল গেটস
এক্ষেত্রে বড় কাজ করছে এমন আরেকটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ‘কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন্স। ২০১৭ সালে নরওয়ে ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছিল সরকারী এবং বেসরকারি অনুদান থেকে পাওয়া অর্থ ব্যবহার করে টিকা উদ্ভাবন করার লক্ষ্যে।
এই প্রতিষ্ঠানটি সব টিকা সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পক্ষে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “কোভিড-নাইনটিন প্রমাণ করে দিয়েছে যে সংক্রামক ব্যাধি রাজনৈতিক সীমানা মানে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে ন্যায্যতা নিশ্চিত না করছি ততক্ষণ আমরা একটা সংক্রামক ব্যাধির বৈশ্বিক হুমকি মোকাবেলা করতে পারবো না।
দুধরণের বাস্তবতা
কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি আসলে দুধরণের।ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption বিরাট প্রয়োজন থাকলেও বহু গরীব দেশে পৌঁছেনি এইচপিভি ভ্যাক্সিন।
একটা উদাহারণ হচ্ছে গারডাসিল বলে একটি টিকা। মার্কিন ল্যাবরেটরি মেরেক এটি উদ্ভাবন করে ২০০৭ সালে। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) মোকাবেলায় তৈরি টিকাটি মার্কিন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায় ২০১৪ সালে।
বিশ্বে সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের (জরায়ুমুখ ক্যান্সার) জন্য মূলত দায়ী এই এইচপিভি। কিন্তু বিশ্বের স্বল্পোন্নত মাত্র ১৯টি দেশে এই এইচপিভির টিকা পাওয়া যায়। অথচ বিশ্ব জরায়ুমুখ ক্যান্সারে যত মৃত্যু ঘটে, তার ৮৫ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশে।
কেন এই সংকট? সেটা বুঝতে হলে আমাদের টিকা নিয়ে যে বাণিজ্য চলে বিশ্বজুড়ে, সেটা জানতে হবে।
টিকা থেকে মুনাফা
ঔষধ কোম্পানিগুলোর নিত্যদিনের যে ব্যবসা-বাণিজ্য, টিকা তার প্রধান অংশ নয়। বিশ্বের ঔষধের বাজার প্রায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের (২০১৮ সালের পরিসংখ্যান)। এর মধ্যে টিকা কেনা-বেচা হয় মাত্র ৪০ বিলিয়ন ডলারের।ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption ঔষধ কোম্পানিগুলোর মুনাফার সামান্যই আসে ভ্যাক্সিন থেকে।
ঔষধ তৈরির চেয়ে টিকা তৈরির আর্থিক ঝুঁকি কেন বেশি, সেটা এই পরিসংখ্যান থেকেই পরিস্কার বোঝা যায়।
টিকার গবেষণা এবং তারপর সেটি তৈরি করা বেশ খরচ সাপেক্ষ। আর টিকা বাজারে ছাড়ার আগে এটি নিয়ে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হয়, সেটির নিয়ম-কানুন বেশ কড়া।
আর সরকারি খাতের যেসব সংস্থা ঔষধ কোম্পানির কাছ থেকে টিকা কেনে, তারা অনেক কম দাম দেয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায়। ফলে মুনাফা করার মতো পণ্য হিসেবে টিকা তেমন আকর্ষণীয় নয়। বিশেষ করে সেসব টিকা যেগুলো একজন মানুষকে জীবনে মাত্র একবার নিতে হয়।
১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ২৬টি কোম্পানি টিকা তৈরি করতো। এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৫টিতে। কারণ ঔষধ কোম্পানিগুলো এখন রোগ প্রতিরোধে আগ্রহী নয়, তাদের আগ্রহ রোগের চিকিৎসায়।ছবির কপিরাইট AFP Contributor Image caption নিউমোনিয়ার কারণ ঘটায় এমন এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা প্রিভেনার। ২০১৮ সালে এটি ছিল ফাইজারের ব্যাপকহারে বিক্রি হওয়া একটি ঔষধ।।
তবে অবস্থা কিছুটা বদলেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান এবং বিল গেযুক্তরাজ্যে এইচপিভি টিকার দুটি ডোজের দাম প্রায় ৩৫১ ডলার। যুক্তরাজ্যে এটি শুধু ১২ আর ১৩ বছর বয়সীদের এটি বিনামূল্যে দেয়া হয়।
কিন্তু গ্যাভি নামের প্রতিষ্ঠানটি গরীব দেশগুলোতে কম খরচে টিকা দেয়ার লক্ষ্যে যে ব্যবস্থা চালু করেছে, তার অধীনে সেসব দেশে প্রতি ডোজ এইচপিভির খরচ পড়ে পাঁচ ডলারের মতো।
মুক্তবাজার নিয়ে উদ্বেগ
কাজেই ধনী দেশগুলোতে টিকা নিয়ে মুনাফার ভালো সুযোগ আছে। বিশেষ করে টিকা নিয়ে গবেষণা এবং এটি তৈরির প্রাথমিক খরচ তুলে আনতে।
ব্রিটেনের এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের হিসেবে একটা নতুন টিকা তৈরিতে প্রায় ১৮০ কোটি ডলার পর্যন্ত খরচ পড়ে।
“যদি আমরা বিষয়টি বাজারের ওপর ছেড়ে দেই, তাহলে কোভিড-নাইনটিনের টিকা কেবল ধনী দেশের মানুষেরাই পাবে”- বলছেন লণ্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক মার্ক জিট।ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption বিশ্বের মোট ভ্যাক্সিন ব্যবসার ৮০% বড় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর হাতে।
“এর আগে অনেক টিকা নিয়ে আমরা এরকম ঘটতে দেখেছি। কিন্তু এবার যদি এরকম কিছু ঘটে, সেটা হবে অনেক বড় এক ট্র্যাজেডি।”
ঐকমত্য
ইনোভিও যদি কোভিড-নাইনটিনের টিকা উদ্ভাবনে সফল হয়, এটির লাখ লাখ ডোজ তৈরির জন্য তাদের বড় কোন ঔষধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে পেৌঁছাতে হবে।
গত কয়েক বছরে অনেক ঔষধ কোম্পানি প্রকাশ্য অঙ্গীকার করেছে যে তারা সবাই যাতে টিকা পায় সেই লক্ষ্যে কাজ করবে।
গ্ল্যাক্সো-স্মিথ-ক্লাইন (জিএসকে) বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি ঔষধ কোম্পানি। কোভিড-নাইনটিনের টিকা আবিস্কারের অনেক উদ্যোগের সঙ্গে তারা জড়িত।
কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এমা ওয়ালমস্লে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কোভিড-নাইনটিনকে পরাস্ত করতে হলে স্বাস্থ্য খাতের সবাইকে এক সঙ্গেই কাজ করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বিজ্ঞানী, শিল্প, বাজার নিয়ন্ত্রক, সরকার এবং স্বাস্থ্যকর্মী সবার মধ্যে সহযোগিতা এই বিশ্বমহামারী থেকে মানুষকে রক্ষা এবং একটা সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
গ্যাভির সেথ বার্কলিও বললেন একই কথা। একটা ইমিউনাইজেশন গ্যাপ এড়াতে হলে একটা সমঝোতা এবং সহযোগিতা জরুরী।
“একটা টিকা সবার জন্য সহজলভ্য করার কাজটি রাতারাতি হবে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কেবল যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কেবল এই টিকা পাবে।”
“যেসব জায়গায় এই টিকা সবচেয়ে বেশি দরকার, সেখানে যদি আমরা এটা দিতে না পারি, তাহলে এই মহামারী চলতেই থাকবে।”
-

সীমান্তে চেকপোস্ট, কঠোর নজরদারি
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া, তালা, আশাশুনি ও শ্যামনগর সীমান্তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সদস্য ও এনজিও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা থেকে কোন মানুষ বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের জেলা থেকে কেঊ সাতক্ষীরায় প্রবেশ করতে পারবেন না। জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা সার্বক্ষণিক বিষয়টি তদারক করেছেন। -
করোনা প্রতিরোধ, ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সমন্বয় সভা আগামী শনিবার
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সাতক্ষীরা জেলায় চলমান ত্রাণ কার্যক্রম সুসমন্বয়ের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা আগামী ২ মে, সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাতক্ষীরাতে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মান্যবর সচিব, জনাব শেখ ইউসুফ হারুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ সভায় জেলার জনপ্রতিনিধিগণ, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন। উক্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করবেন সম্মানিত জনপ্রশাসন সচিব। -
ভোমরার চৌবাড়িয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে খায়রুল নামের এক ব্যক্তির মৃত, নমুনা সংগ্রহ, বাড়ি লক ডাউন
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে খায়রুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী জানান, গত ৪/৫ আগে তিনি চট্টগ্রাম থেকে তার নিজ বাড়ি চৌবাড়িয়ায় এসেছেন। সেখানে তিনি একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। বাড়িতে আসার পর তিনি সর্দি, কাশি ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যান। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এছাড়া তার বাড়ি লক ডাউন করে সেখানে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। তবে, দেরীতে মৃত্যুর খবর পাওয়ায় মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার ।
মৃত ব্যক্তির ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তার পিতার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। তবে, তার সর্দি ও কাশি দীর্ঘদিনের রোগ।
এদিকে, সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ৩ হাজার ৫৭৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৫৪২ জনকে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আসোলেশনে রয়েছে ১ জন ও যুবউন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে আরো ৭ জন। এছাড়া, সাতক্ষীরা জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ১৭৩ টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ সাতক্ষীরা জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।