Category: করোনা ভাইরাস

  • জলায় নতুন করে সদর এমপি রবিসহ ৬ জন করোনা শনাক্ত, এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৩৯১ জন

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে সদর আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও একই পরিবারের তিনজনসহ মোট ৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত ৩৯১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
    করোনা আক্রান্তরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, শহরের ইটাগাছা এলাকার বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ আব্দুস সবুর, তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম, তার ছেলে দৈনিক যুগের বার্তার সম্পাদক আবু নাসের মোঃ আবু সাইদ, সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের প্রসাদ কুমার মজুমদার এবং তালা উপজেলার মুরাকোলিয়া গ্রামের হাজিরা বেগম।
    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে সোমবার দুপুরে পাওয়া নমুনা রিপোর্টে ৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সোমবার সকালে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাকী ৫ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো জানান।

  • আজ সাতক্ষীরায় রেকর্ড ৪৪ জন করোনা পজিটিভ

    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে আজ ১২ জুলাই, ২০২০ থ্রি. তারিখে ঘোষিত করোনার টেস্টের ফলাফলে মোট ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮০ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৩৮ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
    এর মধ্যে যশোরের ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের, মাগুরার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের, বাগেরহাটের ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের ও সাতক্ষীরার ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। পরীক্ষণ দলের সদস্য ও এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান, ড. শিরিন নিগার এসব তথ্য জানান

  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
    মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া মাঠপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে করোনা আক্রান্ত মাহমুদ হোসেন (৩৮) ও সদর উপজেলার বাঁকাল শেখ পাড়া এলাকার মৃত গোলাম মোক্তাদির ছেলে আব্দুস সাত্তার (৭৮)। তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৮ জুন জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেকিলে কলেজ হাসপাতালের ভর্তি হন মাহমুদ হোসেন। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সকালে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিৎিসাধীন অবস্থায় বিকাল ৩ টার দিকে তিনি মারা যান। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে তিনি আরো জানান।
    এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে আজ দুপুরে ভর্তি হন আব্দুস সাত্তার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তিনিও মারা যান।
    মেডিকেল তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিক আরো জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। টানানো হয়েছে লাল পতাকা।
    এদিকে, এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।

  • আশাশুনিতে করনা সন্দেহে এক ব্যক্তির বাড়ী লক ডাউন

    আশাশুনিতে করনা সন্দেহে এক ব্যক্তির বাড়ী লক ডাউন

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে করোনা ভাইরাস সন্দেহে এক ব্যক্তির বাড়ী লক ডাউন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা এ করোনা রোগীর বাড়ী লকডাউন করেন। উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইনতলা গ্রামের সুরেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র তারক চন্দ্র সরকারের জামাই সে পাইকগাছা উপজেলার সোলাধানা ইউনিয়নের সোলাধানা গ্রামের মহাদেবের পুত্র পলাশ রায়। তাকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা পজেটিভ ঘোষণার পর তিনি পালিয়ে আসে তার শ্বশুরবাড়ি। শ্বশুর বাড়ি থেকে শনিবার বিকালে স্থানীয় লোকের মুখে গুঞ্জন শুনে আবাার চলে সোলাধানা । লকডাউন কালে অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

  • কালিগঞ্জে করোনা উপসর্গে  এক ব্যক্তির মৃত্যু

    কালিগঞ্জে করোনা উপসর্গে এক ব্যক্তির মৃত্যু

    নিজিস্ব প্রতিনিধিঃ

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মাওলা বক্স (৪৭)। সে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের শেখ আতা এর পুত্র। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মাওলা বক্স প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নিজ গৃহে অবস্থান করছিলেন। তার মা রবিবার রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। সোমবার তার দাফন সম্পন্ন হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর ৫ টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে ডাক্তারেরা তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে খুলনা নিয়ে যাওয়ার পথে সকাল ৮ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকতা ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান, কুশুলিয়া ইউ পি  চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, ও কুশুলিয়া করোনা এক্সপার্ট টিমের টিম লিডার শেখ মাহামুদুর রহমান হাসান ও সদস্য শেখ আতিকুর রহমান সেখানে যান। তথ্য পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়ি লকডাউন করেছে ও মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছিল।

  • করোনা টেস্টের ফি প্রত্যাহার করুণ : জাসদ

    করোনা টেস্টের ফি প্রত্যাহার করুণ : জাসদ

    জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে সরকারি হাসপাতালে ২০০.০০-৫০০.০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩৫০০.০০ টাকা করোনার টেস্ট ফি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, সরকার যখন করোনা এবং করোনায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় লক্ষ কোটি টাকা প্রণোদনা ও থোক বরাদ্দ দেয়া এবং বিশালাকারের বাজেট প্রণয়নের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে সেখানে মহামারি পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের কাছ থেকে টেস্ট ফি আদায় করা সরকারের প্রয়োজন ছিল না। মহামারিতে টেস্ট করানো ও চিকিৎসাসেবা পাওয়া নাগরিক অধিকার। করোনার নেতিবাচক প্রভাবে কয়েক কোটি পরিবার যখন সরকারের ত্রাণ ও সহায়তা পাচ্ছে, কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন আয়হীন হয়ে পরেছে, কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্রের মধ্যে পতিত হয়েছে সেই মানুষদের কাছ থেকে টেস্ট ফি আদায় অমানবিক ও অযৌক্তিক। তারা বলেন, টেস্ট ফি দিতে না পারার কারণে বহু মানুষ টেস্ট করতে যাবে না। এতে সংক্রমণ, অসুস্থতা ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাবে। জাসদ নেতৃদ্বয়, সরকারি-বেসরকারি সব হাসাপাতালেই করোনার টেস্ট ফি প্রত্যাহার এবং বেসরকারি হাসপাতালে টেস্টের ব্যয় সরকারকে বহন করার দাবি জানান।

  • তালায় স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৩ জনের করোনা পজিটিভ : মোট আক্রান্ত ৩২

    তালা প্রতিনিধি :
    তালায় এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৩ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকালে তালা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নতুন আক্রান্তরা হলেন উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের মুড়াগাছা গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী আকরাম হোসেন বাবলু (৫৩), তালা সদরের রহিমাবাদ গ্রামের গৃহবধূ সাজেদা খাতুন (৩৬) ও সরুলিয়ার সুশান্ত কুমার ঘোষ (৪৪)। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারাহ ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ পর্যন্ত উপজেলায় ৬ নারীসহ মোট ৩২ জন করোনা পজেটিভ রোগি সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুইনারীসহ ৫ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
    তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, আক্রান্তদের বাড়িসহ আশেপাশের কয়েক বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সকলকে সর্তক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

  • দেশের সেবায় কাঁধে তুলে নেন করোনার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব আশাশুনির সফল করোনা যোদ্ধা গোলাম মোস্তফা

    দেশের সেবায় কাঁধে তুলে নেন করোনার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব আশাশুনির সফল করোনা যোদ্ধা গোলাম মোস্তফা

    আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার একজন সফল করোনা যোদ্ধা জিএম গোলাম মোস্তফা। পদবী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেনেটারি ইন্সেপেক্টর। দায়িত্ব বাড়ী, দোকান, বাজার পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে মানুষকে সচেতন করা। আইন অমান্য করে যদি কেউ নোংরা পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য পরিবেশন করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু সম্প্রতি মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন করোনার নমুনা সংগ্রহে। বিগত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে করোনার ডিউটি শুরু করেন ভোমরা স্থল বন্দরে। পরে ২০২০সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে নিজ কর্মস্থল আশাশুনিতে শুরু করেন করোনা উপসর্গ রোগীর স্যাম্পল বা নমুনা সংগ্রহ করা। খেয়ে না খেয়ে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে ছুটে চলেন তিনি।
    করোনার স্যাম্পল বা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বটি প্যাথলজি বিভাগের উপর বর্তালেও কোন আপত্তি ছাড়াই দেশ ও দেশের মানুষের সেবাই নিজের কাঁধে তুলে নেন করোনার নমুনা সংগ্রহের মত এমন একটি ভয়াবহ বা ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব। করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক একান্ত স্বাক্ষাতকালে সেনেটারি ইন্সেপেক্টর জিএম গোলাম মোস্তফা বলেন, শুধু দায়িত্ব পালনের জন্য নয়, দেশ তথা জেলা ও উপজেলার মানুষকে সুস্থ রাখতে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাক্ষাতকালে তিনি আরও বলেন এ ঝুঁকিপূর্ণ পেশা পালন করতে গিয়ে পরিবার পরিজন থেকে হতে হয়েছে একেবারে আলাদা। পরিবারকে সুস্থ রাখতে আলাদা একটি নির্জন বাসায় একাই বসবাস করেন এমনটিই জানান তিনি। তবে দুঃক্ষ প্রকাশ করে বলেন, নমুনা সংগ্রহ করি বলে জেলা সদরে বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনেক কর্মচারীই আমাদেরকে ঘৃনার চোখে দেখেন। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি। ঘৃনা বা হাজারও অপমান মেনে নিয়ে শত কষ্টো হলেও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পালনে তিনি কোন দিন পিছু পা হবেন না বলে প্রতিজ্ঞাবন্ধ হন। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে করোনার যোদ্ধার তালিকায় অধিকাংশ কর্মচারী তাদের নাম অন্তরভুক্তও করিয়েছে। যারা কিনা কখনও করোনা প্রতিরোধে অফিস থেকে বাইরে যাননি। এছাড়া অনেকে অফিসে বসেও টিএ-ডিএ বিল উত্তোলন করেছেন। তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামীতে সে সকল ভূয়া করোনা যোদ্ধার নাম মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তারা। সেনেটারি ইন্সেপেক্টর গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সনাক্ত ও করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনা মূলক প্রচারে মুগ্ধ আশাশুনি উপজেলাসহ ভোমরা স্থল বন্দরের সাধারণ মানুষ। ইতি মধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে একজন করোনা যোদ্ধায় ভূষিত হয়েছেন।

  • একদিনে ৬৪, করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

    একদিনে ৬৪, করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

    ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ জন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এনিয়ে মোট মারা গেলেন ১,৮৪৭ জন। এছাড়া একই সময়ে আরও ৩,৬৮২ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১,৪৫,৪৮৩ জন।

    আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    গতকাল সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৭,৮৩৭টি। এরমধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছিলেন ৪,০১৪ জন। মোট শনাক্ত হয়েছিলেন ১,৪১,৮০১ জন। আর গতকাল আরও ৪৫ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১,৭৮৩ জন। এছাড়া গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২,০৫৩ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৭,৭৮০ জন।

    আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

  • করোনায় প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু

    করোনায় প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু

    ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

    সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি।

    মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিনা হক গণমাধ্যমকে জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন আবদুল্লাহ আল মোহসীন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

  • করোনা মোকাবিলায় ঐক্যের ডাক বিশ্বনেতাদের

    করোনা মোকাবিলায় ঐক্যের ডাক বিশ্বনেতাদের

    সম্মেলনে অংশ নেওয়া ৪০ দেশের ৬৯০ কোটি ডলার তহবিলের প্রতিশ্রম্নতি ভ্যাকসিন যেন সবাই পায় তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিলেন নেতারা

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কমিশনসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে প্রায় ৬৯০ কোটি ডলার তহবিলের আশ্বাস পাওয়া গেছে। ‘ইইউ এক্সিকিউটিভ’ ও ‘অ্যাডভোকেসি গ্রম্নপ গেস্নাবাল সিটিজেন’র যৌথ উদ্যোগে ৪০টি দেশের সরকারের অংশগ্রহণে শনিবার অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক ভার্চুয়াল সম্মেলনে এই প্রতিশ্রম্নতি আসে। করোনাভাইরাসের পরীক্ষা-চিকিৎসা ও টিকা উদ্ভাবনে এই তহবিল ব্যয় করা হবে। সম্মেলনে জোরালোভাবে উঠে এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড মোকাবিলা ও সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিতের বিষয়টি। যখনই ভ্যাকসিন তৈরি হোক না কেন; সবাই যেন সেটা পায়, তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন বিশ্বনেতাদের অনেকে। সংবাদসূত্র : ডয়চে ভেলে, বিবিসি, রয়টার্স

    যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জাতীয় উদ্যোগের বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের প্রচেষ্টায় বৈশ্বিক সহযোগিতা গড়ার চেষ্টা করছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন বলেন, ‘যার যার প্রয়োজন, তাদের সবার ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেবল নিজেদের জন্যই নয়, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোও যাতে ভ্যাকসিন পায়, তা উচ্চ আয়ের দেশগুলোকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। এটি সংহতির জন্য বড় পরীক্ষা।’

    উরসুলার সঙ্গে একমত হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘কার্যকর ভ্যাকসিন যখনই আবিষ্কার হোক না কেন, বিশ্বনেতা হিসাবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হলো- সত্যিকার অর্থে সবাই যাতে এটা পায়, তা নিশ্চিত করা।’

    কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তহবিলের প্রতিশ্রম্নত অর্থের মধ্যে ইউরোপিয়ান কমিশন ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টম্যান্ট ব্যাংক যৌথভাবে ৪৯০ কোটি ইউরো (৫৫০ কোটি ডলার), যুক্তরাষ্ট্র ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, জার্মানি ৩৮ কোটি ৩০ লাখ ইউরো, কানাডা ৩০ কোটি কানাডীয় ডলার (২১ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার) ও কাতার ১০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে। এই তহবিল থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা, চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনের জন্য ব্যয় করা হবে। পাশাপাশি বিশ্বের দরিদ্রতম ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও এখান থেকে সহায়তা পাবে।

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ একযোগে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘স্বার্থপরতা প্রত্যাখ্যান করে আসুন সকলে একসঙ্গে এগিয়ে যাই।’ মহামারি প্রাদুর্ভাবে মারাত্মক আক্রান্ত দেশের অন্যতম ইতালিও একই অনুভূতি ব্যক্ত করে।

    এদিন এই সহযোগিতা-সম্মেলনের অংশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও অনলাইনে একটি ভার্চুয়াল কনসার্টও সম্প্রচারিত হয়। যাতে মাইলি সাইরাস, জাস্টিন বিবার, শাকিরা, ক্লোয়ি এক্স হল ও আশারসহ অনেক খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী অংশ নেন।

  • স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

    স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব। আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাদুর্ভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাভাইরাসের মহামারিতে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। অথচ আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও সরকার সাহসিকতার সাথে এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছে।

    গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে অতিথি হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজের) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক বাদল মাদবর এসময় বক্তব্য রাখেন।

    খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা করেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপসহ আমেরিকা রাশিয়ায় লাখ লাখ মানুষ সনাক্ত হচ্ছে, আবার হাজার হাজার মানুষ সেখানে প্রাণ হারাচ্ছে। ইতালিতে দেড় লক্ষ সনাক্ত হয়েছে সেখানে ২৯ হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। বাংলাদেশে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমন ধরা পড়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা দেড় হাজার। মৃত্যুর হার বাংলাদেশে ১.২৩ শতাংশ। এটার মধ্য দিয়ে বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসকে আমরা কিভাবে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দায়িত্বশীল ভূমিকায় ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপিকে মানুষ আগামী দিনে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে।

    বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসকে নিয়ে রাজনীতি নয়। আমরা ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে দেখেছি, দুই লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছে , কোন ধরণের সাপোর্ট সরকারিভাবে দেয়া হয়নি, পশুপ্রাণী ও মানুষ এক সঙ্গে দাফন করা হয়েছে। একইভাবে গণকবর দেওয়া হয়েছে, অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে সেই রকম অবস্থার ধারেকাছেও নেই।

    খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মুখরোচক সমালোচনা করে আজকে বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত না করে সঠিক রাস্তায় আমাদের হাঁটতে হবে এবং সরকার যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছে সেই ব্যবস্থার কোন জায়গায় ত্রুটি আছে, সেই জায়গাগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অস্বীকার করার উপায় নাই, যে বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতার কিছুটা অভাব আছে। স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সরকার গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছেন। আজকে সেই জায়গাটিতে অভাব আমরা লক্ষ্য করছি।

    এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে শেখ হাসিনা ছাড়া এমন গণমাধ্যম বান্ধব নেতা আর আছে বলে আমার মনে হয় না। শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কথা যেভাবে চিন্তা করেন, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করেন। করোনাভাইরাসের এই মহামারীতে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য প্রণোদনার আওতায় নিয়ে এসেছেন। গত দুই মাস যাবত সরকার এই কর্মহীন মানুষদের পাশে থেকেছেন। অনেকেই অনেক ধরণের আশঙ্কা করেছিলেন, যে এখানে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছেন এই দুই মাসে এমন একটি সংবাদও প্রকাশ হয়নি, যে সংবাদে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।

    গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য গণমাধ্যম একটি স্তম্ভ। এটাকে দুর্বল করে বাংলাদেশে কখনও উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হতে পারেনা, এগিয়ে যেতে পারেনা। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রগতি গণমাধ্যম তুলে ধরেছে বলেই সমগ্র পৃথিবীতে প্রশংসা হচ্ছে। কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের পাশে আছেন এবং থাকবেন।

  • বাসা-বাড়ি থেকেই করোনা পরীক্ষা করানো যাবে ৫শ টাকায়!

    বাসা-বাড়ি থেকেই করোনা পরীক্ষা করানো যাবে ৫শ টাকায়!

    স্বাস্থ্য ডেস্ক: করোনা সংক্রমনের সন্দেহ হলে বাসা বা বাড়ি থেকেই পরীক্ষা করানো যাবে- সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধাটি দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে এভাবে  নমুনা পরীক্ষা করাতে গেলে নির্ধারিত ফি দিতে হবে। সরকারি হাসপাতাল ও বুথে গিয়েও নমুনা পরীক্ষা করানো যাবে আগের মতো। দুই ক্ষেত্রেই ফি দিতে হবে। এখন পর্যন্ত সরকার বিনা পয়সায় এই স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। কর্মকর্তারা বলছেন,  বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রতিটি কিটের দাম পড়ছে তিন হাজার টাকা। যদি বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে একটি পরীক্ষার পেছনে সরকারের মোট খরচ পড়ে যায় পাঁচ হাজার টাকার মতো। তাই ফি যেটা নেয়া হবে তাকে নামমাত্রই বলতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে,সরকারি হাসপাতাল ও বুথে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে ফি দিতে হবে ২০০ টাকা। আর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করালে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে এই ফি নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানা গেছে।

    চলতি সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন জারি

    জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কারো শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না, তা জানার জন্য আমরা এখন যে নমুনা পরীক্ষা (আরটি-পিসিআর টেস্ট) করছি, তাতে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। তবে নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা একটি ফি নির্ধারণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

    করোনা পরীক্ষার জন্য কেন ফি নির্ধারণ করা হচ্ছে—এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দুই কারণে ফি নির্ধারণের পথে হাঁটছে সরকার।

    একাধিক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, করোনার কারণে সরকারের আয় কমে গেছে। একেকটি নমুনা পরীক্ষার পেছনে যে টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশের মতো দেশে এটি দুই থেকে তিন মাস বিনা মূল্যে করা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে সম্ভব নয়। দেশে যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। এ জন্য সরকার একটি ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এর অপব্যবহার হচ্ছে। অনেকের শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকলেও সন্দেহ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করাচ্ছে। সন্দেহ হলে পরীক্ষা নিরুৎসাহ করার জন্যও সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

    প্রতিটি কিটের দাম  তিন হাজার টাকা

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রতিটি কিটের দাম পড়ছে তিন হাজার টাকা। যদি বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে একটি পরীক্ষার পেছনে সরকারের মোট খরচ পড়ে যায় পাঁচ হাজার টাকার মতো। প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার। বাকিদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে না। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা অপচয় হয়। সে জন্য যাদের শরীরে করোনার উপসর্গ আছে এবং কেউ যদি মনে করে করোনার উপসর্গ থাকার আশঙ্কা প্রবল সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষা করাতে যাবে।

    তবে পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে এখনো তাদের নাগরিকদের বিনা মূল্যেই করোনার নমুনা পরীক্ষা করে যাচ্ছে। ভারতে সরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় কোনো টাকা নেওয়া হয় না। বেসরকারিভাবে সাড়ে চার হাজার টাকা নেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশি বেশি পরীক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। কারণ পরীক্ষা বেশি হলে করোনা রোগী শনাক্ত সহজ হয় এবং তাকে আইসোলেশনে নেওয়া যায়।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে গিয়ে নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিতে গত সপ্তাহে চিঠি পাঠানো হয়।

    অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছি।’

    বিনা মূল্যে পরীক্ষার  সুযোগে অপব্যবহার?

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে ৬৬টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি সরকারি, ১৮টি বেসরকারি। প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে, তার প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি ল্যাবে হচ্ছে। দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত সাত লাখ ১২ হাজার ৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন। অর্থাৎ মোট টেস্টের ১৮.৮১ শতাংশ পজিটিভ এসেছে। এসব তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বিনা মূল্যে পরীক্ষা করার সুযোগ থাকায় এর অপব্যবহার হচ্ছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা হয়, তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের শরীরে ন্যূনতম উপসর্গ থাকে না। এতে প্রকৃত আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করতে বিলম্ব হচ্ছে। তাঁরা জানান, পরীক্ষার ফির এই টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে চলে যাবে। সেই টাকা সরকার চাইলে স্বাস্থ্য খাতেই খরচ করতে পারবে।

    টাকা নেওয়া কি সংবিধানসম্মত?

    তবে ফি নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অসম্ভব, হতেই পারে না। এখানে যদি টাকার বিষয়টা আসে, তাহলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ পরীক্ষা করাতে আসবে না। বড়লোকেরা যাদের দরকার, তারা আসবে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়টা কি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে যায়?’

  • সারা বিশ্বে কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত

    সারা বিশ্বে কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় সারা বিশ্বে। এই মারণ ভাইরাসে সারা বিশ্বে মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটির বেশি মানুষ।

    শনিবার দিবাগত রাতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ছয়শ ৩৭ জনে। একই সময়ে বিশ্বে চার লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৩ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে নিয়মিত জীবনে ফিরে গেছেন ৫৪ লাখ ১৪ হাজার ৭২২ জন।

    করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫২৬ জন। তারপর রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৮৪ হাজার ২১৪ জন।

    ইউরোপ মহাদেশ থেকে রাশিয়া রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় স্থানে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬ জন। এছাড়াও, পাঁচ লাখ ৩০ হাজার আক্রান্ত নিয়ে এই তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।

  • ‘গুরুতর সমস্যা’য় যুক্তরাষ্ট্র: ডা. ফাউসি

    ‘গুরুতর সমস্যা’য় যুক্তরাষ্ট্র: ডা. ফাউসি

    যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি রাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণই নেই। উল্টো প্রতিদিন বাড়ছেই। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সংক্রমণ রোগ বিভাগের প্রধান ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘গুরুতর সমস্যা’য় নিমজ্জিত।

    শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, যা কিনা দেশটিতে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। দেশটিতে আক্রান্ত ২৪ লাখ আর মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ, যা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ‘থিংক ট্যাংক’ও দিশেহারা।

    কভিড-১৯ নিয়ে হোয়াইট হাউজ থেকে দুই মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্রিফিং দিল করোনাভাইরাস বিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্স। সেখানে অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, ‘এটির (কভিড-১৯ মহামারী) সমাপ্তি টানার একটিমাত্র উপায় আছে, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এটি শেষ করতে হবে। আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে আমরা সত্যিকার অর্থেই গুরুতর সমস্যায় রয়েছি। পরিশেষে যা হবে, একটি অঞ্চল অন্য অঞ্চলগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলবে।’

    কী কারণে এমন সমস্যা তাও ব্যাখ্যা করলেন ফাউসি। তার মনে হয়, অঞ্চলগুলো ‘খুব দ্রুতই খুলে দেয়া’র কারণেই সংক্রমণটা বেড়ে যাচ্ছে। আর নাগরিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলেও অভিযোগ তার।  ফাউসি বলেন, ‘মানুষজন অন্যদের সংক্রমিত করছে এবং আপনি হয়তো এমন একজনকে সংক্রমিত করছেন যে কিনা খুবই নাজুক। একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনার নিজের ওপর যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি আপনাকে কিছু সামাজিক দায়িত্বও পালন করতে হয়। আমরা যদি এই প্রাদুর্ভাবটি সত্যিই শেষ করতে চাই, তবে সবাইকে এটি অনুধাবন করতে হবে ও এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে।’ 

  • বগুড়ায় প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা সাইদুজ্জামানের করোনায় মৃত্যু

    বগুড়ায় প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা সাইদুজ্জামানের করোনায় মৃত্যু

    বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক সাইদুজ্জামান তারা (৭০) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

    গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল বিকেলেই তাঁর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে।

    বগুড়া থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক হাতিয়ার’-এর নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন সাইদুজ্জামান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. খায়রুল বাশার মোমিন তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। কদিন আগে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ২৪ জুন তিনি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। এরপর ২৫ জুন রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেলে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়ার সময় তিনি মারা যান।

    বগুড়া থেকে ১৯৭২ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক বাংলাদেশ’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন এই প্রবীণ সাংবাদিক। পরবর্তীতে একাধিক দৈনিকে কাজ করেছেন। 

    তাঁর মৃত্যুতে বগুড়া প্রেসক্লাব ও বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে বগুড়ার সাংবাদিক মহলে।

  • ‘সন্তানের টানে’ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরলেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী

    ‘সন্তানের টানে’ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরলেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী

    করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশী রাজু সরকার যেন একেবারেই মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বলছেন, সদ্য বাবা হওয়া রাজু সন্তানের প্রতি টানের কারণেই হয়ত জীবনের আশা ছাড়েননি।

    দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন রাজু। তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনায় চিকিৎসকরাও বিস্মিত হয়েছেন, যা তুলে ধরা হয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমসে।

    সিঙ্গাপুরে প্রথম যে কয়েকজন বিদেশি কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজু তাদের অন্যতম। 

    করোনাভাইরাসে দেহের ২৪ কেজি ওজন হারিয়েছিলেন রাজু। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার টান টক সেং হাসপাতাল (টিটিএসএইচ) থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।

  • গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেয়নি ঔষুধ প্রশাসন

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেয়নি ঔষুধ প্রশাসন

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ অ্যান্টিবডিও চিনতে পারছে না। অ্যান্টিবডি শনাক্তে তাদের কিটের সেনসিটিভি গ্রহণযোগ্য মাত্রার নিচে থাকায় রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেয়নি ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ার বিষয়টি চিঠি দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে গত ১৭ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট অ্যান্টিবডি চিনতে পারলেও সংক্রমণের প্রথমভাগে করোনা ভাইরাস শনাক্তে ‘কার্যকর নয়’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মূল্যায়ন কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অ্যান্টিবডি শনাক্তের অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মূল্যায়ন করে দেখেছে, অ্যান্টিবডি শনাক্তে ন্যূনতম সেনসিটিভিটি ঐ কিটে নেই।

    বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংকটের শুরুর দিকে যখন কিটের সংকট প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল, তখনই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তে কিট উদ্ভাবনের খবর দেন অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল। এরপর চীন থেকে কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) এনে কিটের স্যাম্পল তৈরির কাজ শুরু করেন তারা। গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের এই জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট দিয়ে ৫ মিনিটে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে, খরচ হবে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই বলে আসছে, এ ধরনের র্যাপিড কিটে পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ফলস পজেটিভ কিংবা ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এর মধ্যেই গত ২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত টেস্টিং কিটের নমুনা হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রতিনিধির কাছে কিটের নমুনা তুলে দেওয়া হয়। তবে সরকারের কোনো প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না। দীর্ঘ বিতর্কের পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তাদের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআরবিতে নমুনা জমা দেওয়ার অনুমতি দেয়। এরপর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ছয় সদস্যের কমিটি করে এবং ১৩ মে তাদের উদ্ভাবিত কিট বিএসএমএমইউতে জমা দেয়। ৩৪ দিন পর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত জানায়।