আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ আর নেই। বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৯ বছর বয়সে চিরপ্রস্থানের এ যাত্রায় শামিল হলেন শঙ্খ ঘোষ।
এমনিতেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন কবি, যা শারীরিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছিল তাকে। এর আগে জানুয়ারিতেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। শক্তি-সুনীল-শঙ্খ-উৎপল-বিনয়, জীবনানন্দ পরবর্তী বাংলা কবিতার এই পঞ্চপা-বের বাকি চার জনের পর এবার চলে গেলেন কবি শঙ্খ ঘোষ।
গায়ে জ্বর থাকায়, গত সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন কবি। ১৪ এপ্রিল বিকালে রিপোর্ট এলে জানা যায়, তিনি সংক্রমিত হয়েছেন। কোভিড সংক্রমণ ধরা পরার পর ঝুঁকি না নিয়ে বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকা তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
বুধবার সকালে তাকে ভেন্টিলেটরে দেওয়ার চেষ্টাও হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চিরতরে চলে গেলেন তিনি। দীর্ঘ কর্মজীবনে নানা ভূমিকায় দেখা গেছে শঙ্খ ঘোষকে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া এবং বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন।
১৯৯২ সালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরগ্রহণ করেন। বছর দুয়েক আগে ‘মাটি’ নামের একটি কবিতায় মোদি সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তিনি। সাহিত্যজীবনে একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘সাহিত্য অকাদেমি’ পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে কন্নড় ভাষা থেকে বাংলায় ‘রক্তকল্যাণ’ নাটকটি অনুবাদ করে ফের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি।
এ ছাড়াও রবীন্দ্র পুরস্কার, সরস্বতী সম্মান, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১ সালে তাকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে ভারতের তৎকালীন সরকার। শঙ্খ ঘোষ এর আসল নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। তার পিতা মনীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং মাতা অমলা ঘোষ।
১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বর্তমান চাঁদপুর জেলায় তার জন্ম। বংশানুক্রমিকভাবে পৈত্রিক বাড়ি বরিশালের বানারিপাড়ায়। তবে শঙ্খ ঘোষ বড় হয়েছেন পাবনায়। পিতার কর্মস্থল হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর পাবনায় অবস্থান করেন এবং সেখানকার চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় কলা বিভাগে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
Category: করোনা ভাইরাস
-

কবি শঙ্খ ঘোষ আর নেই
-

দেবহাটায় করোনাক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়ি লকডাউন
দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটায় আরোও একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের নাম কাশেম মোড়ল (৬৫)। তিনি উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের ভূমিহীন অধ্যুষিত জনপদ চারকুনি’র মৃত আদম মোড়লের ছেলে। সম্প্রতি তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে পরীক্ষা শেষে বুধবার কাশেম মোড়লের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বর্তমানে তিনি সামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে কাশেম মোড়লের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার আক্রান্তের বাড়িটি পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষনা করেন।
-
করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সংবাদদাতা: করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে, জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্ততঃ ১৬৩ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৩৭ জন। শুক্রবার ভোরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত ওই বৃদ্ধের নাম সামছুর রহমান (৮০)। তিনি শহরের পুরাতন সাতলমঘীরা এলাকার মৃত সেকেন্দার সরদারের ছেলে।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ¦র, সর্দি, কাশি, শ^াসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ৩ এপ্রিল সামছুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ওই ব্যক্তির লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। -

টানা ৭ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বাড়ছে: ডব্লিউএইচও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুনিয়াজুড়ে টানা সাত সপ্তাহ ধরে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। সোমবার জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডানম গেবিয়াসিস।
গত চার সপ্তাহ ধরে করোনায় মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে বলে জানান তিনি।
এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে টানা ছয় সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ কমেছিল বলে জানান ডব্লিউএইচও-এর এই মহাপরিচালক। তবে এখন তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে শনাক্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিস বলেন, সন্দেহপ্রবণ হওয়া, আত্মতুষ্টি এবং বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে অসঙ্গতির ফলে সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যেতে পারে। এটি আরও মানুষের জীবন কেড়ে নেবে।
তিনি বলেন, সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। তবে এটিই একমাত্র উপায় নয়।
সংক্রমণ মোকাবিলায় করোনা পরীক্ষা, মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার তাগিদ দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার ১৪৩। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জনের। -

কলারোয়ায় করোনা টিকা নিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তা
কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় বহুল প্রত্যাশিত করোনা টিকাদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধনের পর দিন সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: জিয়াউর রহমান ও

কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিল্লাল হোসেন করোনা টিকা নিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শফিকুল ইসলামসহ হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: জিয়াউর রহমান বলেন, এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি মহোদয় এই করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ও নিজে টিকা গ্রহন করে জনগনের মনে আশা ও সাহস যোগান। এরপর থেকে কলারোয়ায় ১৬৩জন করোনা নিবন্ধনকৃত ব্যক্তি টিকা গ্রহন করতে একে একে হাসপাতালে আসছেন। এ টিকাদান কার্যক্রম প্রতিদিন চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
-

টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের টিকা নেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সাতক্ষীরায় কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণের কার্যক্রম। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রোববার দুপুর ১২টায় এর উদ্বোধন করেন সদর আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি।
এরপর একে একে টিকা গ্রহণ করেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তাঞ্জিলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এমএম মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন, বিজিবি’র মাদ্রা কোম্পানী কমান্ডার (মেজর সিটি) নায়েক মীর আবু সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোববার থেকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। একটানা ১২ দিন এ কার্যক্রম চলবে। প্রথম দিনে জেলায় ৮৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিদিন তারা জেলায় এক হাজার ২০০ লোককে টিকা দিতে পারবেন। প্রতি হাসপাতালে ১৬ জন সেবিকা ও ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক টিকা দেয়ার কাজ করছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্ফা কামাল টিকা গ্রহণের পর বলেন, বিশ্বের অনেক ধনী দেশ থাকতেও বাংলাদেশের মত একটি দেশে এত তাড়াতাড়ি টিকা পাওয়া এবং তিনি তা গ্রহণে করতে পারায় নিজেকে গর্বিত বোধ করছেন। তিনি আরো জানান, এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তিনি এ সময় কোন গুজবে কান না দেয়ার আহবান জানান।
এদিকে রবিবার বেলা ১১টায় দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিশিল্ড টিকাদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এসময় উপজেলার মধ্যে প্রথম কোভিশিল্ড টিকা নেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিপ্লব মন্ডল। তিনি ছাড়াও প্রথম দিনে টিকা নিয়েছেন উপজেলার মোট ৩৮ জন ব্যাক্তি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা এপর্যন্ত দেবহাটা উপজেলাতে ৩৭০ ভায়াল কোভিশিল্ড টিকা পেয়েছি।
যা থেকে তিনহাজার সাতশ জনকে প্রথম পর্যায়ে এই টিকা দেয়া সম্ভব। কেবলমাত্র যারা অনলাইনে টিকার জন্য আবেদন করেছেন তারা টিকা নিতে পারবেন। তবে প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র মনোনীত সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা এবং ৫৫ বছরের উর্দ্ধে বয়স্ক নাগরিকদের কোভিশিল্ড টিকার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। বাকিরাও শীঘ্রই কোভিশিল্ড টিকা পাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এপর্যন্ত দেবহাটা থেকে প্রায় দেড়শ ব্যাক্তি অনলাইনে টিকার জন্য আবেদন করেছেন। টিকা প্রদানকালে ইউএইচএফপিও ডা. আব্দুল লতিফ, আরএমও ডা. বিপ্লব মন্ডল, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশার, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

কালিগঞ্জে নিজে গ্রহণের মাধ্যমে টিকা কাযক্রমের উদ্বোধন করলেন রুহুল হক এমপি
অপরদিকে দৈনিক দক্ষিণের মশালের কালিগঞ্জ শহর প্রতিনিধি মুহিবুল্লাহর পাঠানো তথ্য অনুযায়ী¡ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক। কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজে টিকা নিয়ে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর নিজে হাতে একজন ডাক্তার হিসাবে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী কে নিজে হাতে টিকা প্রদান করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন, মেডিকেল অফিসার মোয়াজ আরবার প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক আলহাজ্ব ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেন টিকা নেওয়াতে ভয়ের কিছু নাই। কোন গুজবে কান না দিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তার বিধানের জন্য নিবন্ধন করে এই টিকা গ্রহন করার অনুরোধ জানান। পরে তিনি হাসপাতালে ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
অপরদিকে তালা প্রতিনিধি শাহীনুর রহমানের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, তালা হাসপাতালের কোনো ডাক্তার বা নার্স ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় অগত্যা জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আমিনুর শেখ (৩১)’র শরীরে টিকা দিয়ে কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়। তিনি আটুলিয়া গ্রামের মৃত্যু সিরাজ শেখের পুত্র।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারিফ-উল-হাসান, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার মহমান, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মুর্শিদা পারভিন পাপড়ি’সহ হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) অনলাইনে আবেদনকৃত ১৭ জন ব্যক্তিকে টিকা প্রদানের তালিকা ভূক্ত করা হলেও কেহই টিকা নেননি। গ্রাম পুলিশ আমিনুর তালিকা ভূক্ত না হলেও তাকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভোধন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় হাসপাতালের সকল ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকলেও তারা টিকা নেননি।
এ বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা সদরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গ্রাম পুলিশ আমিনুর বলেন, হাসপাতালের কেহই টিকা নিতে রাজি না হওয়ায় আমি সাহস করে এগিয়ে গিয়ে টিকা নিয়েছি। আমি এখনো সুস্থ আছি, আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
ডাঃ রাজিব সরদার বলেন, আজ টিকা কার্যক্রম উদ্ভোধন হয়েছে, পর্যায়ক্রমে আমরাও টিকা নিব। আজ নিলেন না কেন বা হাসপাতালের কেহই টিকা না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কাজের ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, হাসপাতালের ডাক্তার বা নার্সরা টিকা না নেওয়া দুঃখজনক। সবার আগে তাদের টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভিতি দূর করতে হবে। তা না হলে সরকারের এ মহতি উদ্দ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। -

করোনায় আক্রান্ত হাসানুল হক ইনু, হাসপাতালে ভর্তি
অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিন দফায় পরীক্ষার পর গত ১৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর আগে ইনুর গানম্যান করোনা আক্রান্ত হন। এজন্য গত ১২ জানুয়ারি সকালে জাতীয় সংসদের কোভিড বুথে টেস্ট করান ইনু। দুপুরে টেস্টের ফলাফল পজিটিভ আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে এদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় টেস্ট করান। কিন্তু সেই রিপোর্টে নেগেটিভ আসে। পরে চিকিৎসকরা তাকে বাসায় আইসোলেশনে থেকে ৭২ ঘণ্টা পর আবার টেস্ট করতে বলেন।
বাসায় আইসোলেশনে থেকে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি হন। পরদিন ১৬ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় করোনা টেস্ট করা হলে ওইদিন রাতে ফলাফল পজিটিভ আসে।
সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে ডা. মহিউদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল আছে বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহিল কাইয়ুম।
-

সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গে বৃদ্ধ ও এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩ জানুয়ারি) সকালে ও সন্ধ্যায় সামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম সুব্রত কুমার মন্ডল (৮৪)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী গ্রামের মৃত মেঘনাথ মন্ডলের ছেলে। করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তি হলেন কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী মফিজুল ইসলাম (৫০)।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি হন কলারোয়ার শ্রীপতিপুর গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী মফিজুল ইসলাম (৫০)। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি মারা যান। হাসপাতালে ভর্তির পর তার নমুনা সংগ্রহ করে খুমেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি হন আশাশুনির পাইথালী গ্রামের সুব্রত মন্ডল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ জানুয়ারী পর্যন্ত মারা গেছেন ১২৭ জন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মুখপাত্র ডা. জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের দু’জনের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
-
টিকা কিনতে আগেভাগে বিশ্বব্যাংকের ঋণ চায় বাংলাদেশ
করোনাভাইরাসের টিকা কেনার জন্য জনসংখ্যার বিবেচনায় বাংলাদেশকে দ্রুত ঋণ মঞ্জুর করতে বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংকের নমনীয় ঋণ (আইডিএ) যেসব দেশ পায়, তাদের মধ্যে জনসংখ্যার আধিক্য বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ফলে টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশকে দ্রুত ঋণ মঞ্জুর করা দরকার।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা-২০২০ এর অংশ হিসাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের মধ্যে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মুস্তফা কামাল এ আহ্বান জানান বলে অর্থমন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার জানিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, টিকা আবিষ্কারের সাথে সাথে দেশের মানুষ যাতে পায় সরকার সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকার আশা করছে বিশ্বব্যাংক আইডিএ-১৯ এর আওতায় বাংলাদেশের জন্য যে বরাদ্দ রেখেছে তার অতিরিক্ত আরও ৫০ কোটি ডলার দেবে। যা দিয়ে টিকা কেনা, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণের কাজ করা যাবে।
এছাড়া করোনার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় নেওয়া প্রকল্প থেকে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে কমপক্ষে ২৫ কোটি ডলার জরুরি ভিত্তিতে ছাড় করার অনুরোধ করেন তিনি। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের দেওয়া ১০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার প্রশংসা করেন।

বিশ্বব্যাংক জব ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট(জব ডিপিসি) নামক প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে বাজেট সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে দুই কিস্তি ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এই বাজেট সহায়তার তৃতীয় কিস্তির ২৫ কোটি ডলার দ্রুত ছাড় করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের শর্তগুলো ইতিমধ্যে অনেকাংশে
পূরণ করা হয়েছে, বাকী শর্তগুলো দ্রুত পূরণ করা হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, আইডিএ-১৮ এর আওতায় বাংলাদেশ কোর আইডিএ হতে ৫০০ কোটি ডলার এবং এসইউএফ থেকে আরো ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে প্রকল্প নেওয়া ও বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখিয়েছে। যা আইডিএভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তিনি প্রকল্প নেওযা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করায়, আইডিএ-১৯ এর আওতায় বাংলাদেশকে গত বছরগুলোর তুলনায় বেশি পরিমাণে বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
-

করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২৭৪
অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৪ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন এবং নারী দুইজন। সবাই হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৬৬০ জনে।
করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০টি পরীক্ষাগারে ১২ হাজার ১৮৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১১ হাজার ৮৬৬টি পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৭৪ জন।
ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৯ জনে। মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৮টি।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৭৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ তিন হাজার ৯৭২ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৩৫৭ জন (৭৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৩০৩ জন (২৩ দশমিক ০২ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৪ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিনজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১০ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ১৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ছয়জন, চট্টগ্রামে একজন, রাজশাহী দুইজন, খুলনা দুইজন, বরিশাল একজন, সিলেট একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন।
-

করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৪ হাজার ছাড়ালো
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় (সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৫১৬ জন। গত এক দিনে আরও ২ হাজার ২০২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৯ জনে।
সোমবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
আইইডিসিআরের হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আরও ৩ হাজার ২৯৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
প্রায় এক মাস পর ২০ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। তা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। এরপর ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়ায় ২২ জুন।
করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায়। এরপর তা আড়াই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায় ১৭ জুলাই।
২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে; ১২ অগাস্ট পৌঁছায় সাড়ে তিন হাজারে। তারপর ১৩ দিনের মাথায় ২৫ অগাস্ট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই তালিকায় আরও ৫০০ নাম যোগ হতে সেই ১৩ দিনই লাগল। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বাংলাদেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ পেরিয়েছিল গত ২৬ অগাস্ট। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৭১ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৮৩ হাজারে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
-
দুই স্বাস্থ্য কর্মীসহ ৮ জন করোনা আক্রান্ত : মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৩৯
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে দুই স্বাস্থ্য কর্মীসহ ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। -

জেলায় আরো ২০ জনের করোনা পজেটিভ : হাসপাতালে মৃত্যু এক
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাত পোহালে নতুন নতুন ব্যক্তিদের নাম করোনার ডাইরীতে যুক্ত হতে দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্যকর্মী সহকারী কর্মচারী সহ আরো ২০ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা সনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৩১ জন। সনাক্ত হলেন যারা, আশাশুনী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মী সুরাইয়া আক্তার, দেবহাটা সখিপুর এলাকার মারিয়া মন্ডল রায়, ঐ এলাকার আব্দুল মজিদ, কালিগঞ্জ ভাড়াশিমলা এলাকার আব্দুর রউফ, বন্দকাটি এলাকার কাশেম আলী গাজী, নলতা এলাকার মর্জিনা শারমিন, তার স্বামী মকসেদুল হক, শহরের রসুলপুর নাহারা খানম, তারপুত্র ফারহান রহমান ও ফয়সাল রহমান, ঝাউডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সেমত কুমার অধিকারী, চন্দ্রনা রানী অধিকারী, উপজেলা কাছারী অফিসের আব্দুল আলিম, শহরের কদমতলা এলাকার আক্তারুল ইসলাম, ও সুলতানা জুবায়দা, কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গা গ্রামের আনছার আলী, তালা সদরের ফজিলা খাতুন, খলিশখালী সাইফুল্লাহ সরদার, সদরের বৈচনা গ্রামের হালিমা খাতুন, শ্যামনগর আবাদচন্ডিপুর গ্রামের গুরুচন্দর। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসক ডা: জয়েন্ত সরকার দৃষ্টিপাতকে জানান সনাক্তদের বাড়ি প্রশাসনের সহযোগিতায় লকডাউন করা হয়েছে। অপরদিকে গতকাল দুপুরে সামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সে যশোর জেলার ঝিকরগাছা মাটিঘাটা গ্রামের ওয়াব সরদারের পুত্র আজার (৬০) জানাগেছে, তিনি গতকাল দুপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে সামেকে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
-
করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই ঘন্টার ব্যবধানে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ ঘন্টার ব্যবধানে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্ততঃ ৮৭ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২৯ জন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের মৃত জিয়া উদ্দীনের ছেলে নেছার আহমেদ (৬৫), একই উপজেলার শ্রীকলা গোবিন্দপুর গ্রামের আহাদুল্লাহ’র ছেলে জামাত আলী (৭০) ও মৌতলা দুদলী গ্রামের মমতাজ উদ্দীনের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন(৭৮)।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ¦র ও শ^াসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের নেছার আহমেদ গত ২৩ আগস্ট দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭ টায় তিনি মারা যান।
এদিকে, একই উপসর্গ নিয়ে গত ২০ আগষ্ট সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন একই উপজেলার শ্রীকলা গোবিন্দপুর গ্রামের জামাত আলী। তিনিও আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে মারা যান।
এছাড়া, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২০ আগস্ট দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন একই উপজেলার মৌতলা দুদলী গ্রামের ফিরোজা খাতুন। তিনিও আজ সকাল ৯ টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে মারা যান। মৃত তিন জনেরই নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও এখনও তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাদের বাড়ি লকডাউনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের বলা হয়েছে। -
সাতক্ষীরায় নতুন করে এক চিকিৎসক ও এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের করোনা শনাক্ত, এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৯৯৬
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে এক চিকিৎসক ও এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৯৯৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৪ হাজার ৭৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৯৯৬ জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ৭৯১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। -
করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক বৃদ্ধসহ দু’জনের মৃত্যু, জেলায় উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ৮১ জন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ জ¦র ও শ^াসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক বৃদ্ধসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৮১ জন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, তালা উপজেলার খলিলনগর গ্রামের মৃত শরিফ হোসেনের ছেলে বৃদ্ধ ঈমান আলী (৯০) ও একই উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের মৃত জিতেন্দ্র নাথের ছেলে প্রশান্ত নাথ (৪০)।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ব¦ধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২১ আগষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন তালা উপজেলার খরিলনগর গ্রামের ঈমান আলী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ১৯ আগষ্ট একই উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের প্রশান্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে তিনিও মারা যান। মেডিকেলে ভর্তির পর পরই মৃত দুই ব্যক্তিরই নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত তাদের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে লকডাউন করা হয়েছে তাদের বাড়ি। তিনি আরো জানান, জেলায় করেনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৮১ জন। আর
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২৭ জন।




