Category: করোনা ভাইরাস

  • পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী : ৮ কোটি মানুষ বিনামূল্যে চাল পাবেন ৬ মাস

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী : ৮ কোটি মানুষ বিনামূল্যে চাল পাবেন ৬ মাস

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যয় করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনা নিয়ে প্রতিনিয়ত মিডিয়ার মুখোমুখি। এরমধ্য যা সবাইকে চমকে দিল, সেটা হল, ২ টাকা দরে যাঁরা চাল পেতেন, তাঁদের এবার থেকে বিনামূল্যে দেয়া হবে। এটা শুধু দরিদ্রদের জন্য নয়। প্রায় আট কোটি মানুষ এই দরে চাল নিতে পারবেন আগামী ৬ মাস। গত শুক্রবার নবান্নে একথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। যারা এখন জরুরি পরিষেবায় যুক্ত থেকে যে সকল কর্মী নিরন্তর কাজ করছেন, তাঁদের পুজোর পর বিশেষ ছুটি দেবেন বলে জানিয়েছেন। বেসরকারি কর্মীদের হাজিরা ৫০ শতাংশ করার সূত্রটাই তার মাথা থেকেই এসেছে।

    মিডিয়া রিপোর্ট বলেছে, পশ্চিমবঙ্গের ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষের যে কেউ ২ টাকা করে চাল বিনামূল্যে পাবেন আগামী ৬ মাস পর্যন্ত।

    উপরন্তু করোনায় সাহায্যের জন্য স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড তৈরি করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কবল থেকে বঙ্গবাসীদের বাঁচাতে তিনি চিকিৎসার দিকেও ঝুঁকেছেন। মানুষকে সাহস দিচ্ছেন। নিমপাতা-তুলসীপাতা খাওয়ার দাওয়াই দিচ্ছেন। কখনও আবার মাস্কের অভাবে গেঞ্জির কাপড় ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা থেকে সতর্কতায় নিজে কী করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? গত শনিবার এক সাংবাদিক সম্মলনে তিনি বলেন, ” এক ঘণ্টা অন্তর সাবান দিয়ে কনুই পর্যন্ত হাত পরিষ্কার করুন। আমি যেমন নিজে তিনবার দিনে সাবান দিয়ে হাত ধুচ্ছি। দু’বার হাত স্যানিটাইজ করছি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারণ আমায় তো মানুষের সঙ্গে মিশতে হচ্ছে, যেটা উচিত নয়। কিন্তু আমি ঘরে ঢুকে গেলে কাজটা কে করবে! আমাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করতে হচ্ছে। আমি করব। কারণ মানুষ বাঁচলে আমার লাভ। আমার নিজের বাঁচার জন্য একটুও ইন্টারেস্ট নেই। মানুষ কি খাবে, তা নিয়েও দিদি উতলা। তার কথায়, কাঁচা খাবার খাবেন না এখন। ভাল করে সেদ্ধ করে খান। আমার অনেক ভাই-বোনেরা ডায়েটিং করেন। তাঁদের জন্য বলছি শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিন। যেসব খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন আছে খান। প্রোটিন খেলে কার্বোহাইড্রেটও খেতে হবে।

  • করোনা ভাইরাস সচেতনতায় উত্তরণ’র উদ্যোগ : তালায় হোম কোয়ারেন্টিনে ১২৩ জন


    তালা প্রতিনিধি ॥
    মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, সন্দেহভাজনদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা ও চিকিৎসকদের দক্ষতা সৃষ্টিসহ চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উত্তরণ এর উদ্যোগে নানান কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতার অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা তালার বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ এর উদ্যোগে ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক জরুরী স্বাস্থ্য বার্তা এবং স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
    সূত্রে জানাগেছে, তালা উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যপক প্রচারণা ও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস. এম. মোস্তফা কামাল’র নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ করোনা প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
    উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানাগেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাজস্ব তহবিল থেকে লাল নিশানা কাপড় ১২টি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে উপজেলায় একটি সেল গঠন করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু দিন দিন সারা দেশের ন্যায় তালা উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বত্র আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা প্রতিরোধে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণ না পাওয়াসহ চিকিৎসা সেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে তালার মানুষ। দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ন তালা উপজেলার মানুষদের সুরক্ষায় অতিদ্রুত মাস্ক ও জীবানুনাশক ওষুধসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণের জন্য সরকারের কাছে দাবী এখানকার মানুষদের।
    তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজিব সরদার জানান, অত্র উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তালা উপজেলায় ১২৩জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আগামীতে এসংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশংকা করে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। এছাড়া সকল কমিউনিটি ক্লিনিকসহ হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
    ডা. রাজিব সরদার বলেন, করোনা আশংকায় হাসপাতালের পরিবেশগত উন্নয়ন, ডাক্তারদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং জনসাধারনের স্বাস্থ্য নিরপাত্তার জন্য বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ এর পক্ষ থেকে বিশেষ গাউন, হ্যান্ড গ্লোবস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ নানান উপকরণ পাওয়া গেছে।
    এবিষয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, তালাসহ সাতক্ষীরা জেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে সমন্বয় করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র ডাক্তারদের নিরাপত্তা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। আর অতিদ্রুত তালা, পাটকেলঘাটা ও কলারোয়া উপজেলার ৩ থানার পুলিশ সদস্যদের মাঝে “ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ” বিতরণসহ জেলার ৭ উপজেলায় সাড়ে ৪ লাখ পরিবারের মাঝে জরুরী স্বাস্থ্য বার্তা এবং হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য করণীয় বিষয়ে লিফলেট, পুস্তক ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে খুলনা ও সাতক্ষীরার কয়েকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং থানায় অনুরুপভাবে উপকরণ বিতরণ করা হবে।
    তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই মূহুর্তে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবেলা করা কঠিন। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ভয়াবহ সংকটাপন্ন পর্যায়ে পৌঁছবে। এজন্য, সরকারের পাশাপাশি সকল এনজিও এবং ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহবান জানান।

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের  অভিযান

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অভিযান

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক  অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্রহ্মরাজপুর  বাজারে ২টি চায়ের দোকানে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলাকালে ঐ ২ দোকান হতে ২টি টেলিভিশন জব্দ করে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখেছে ।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের জনাব বেলায়েত হোসেন গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে এসে উন্মুক্ত ঘোরাঘুরি করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ তার বাসায় গিয়ে তাকে হোম কোয়ারেণ্টাইন মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঐ বাড়ীতে লাল ফ্লাগ টাংগিয়ে দেয়াসহ ঐ ব্যক্তির হাতে অমোচনীয় কালীর সীল দেয়া হয়েছে। অভিযানের সময় ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা পুলিশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি  ছিলেন।
    বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আকরামুল হক, ভোমরা স্থলবন্দরে অভিযান চালায়। আজকে ৭৫ ট্রাক পেয়াজ ভারত থেকে আসবে। আরো কাচা ফলমূল ভারত থেকে প্রবেশ করবে। পাথর বহনকারী ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরুল আমিন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করে এবং বাজার মূল্য যাচাই করে। অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায় যাচাইকৃত দোকান গুলোতে বাজার মূল্য স্বাভাবিক পাওয়া যায়। পণ্য তালিকা না  টাঙানোর অপরাধে চারটি দোকানে মোট ৬৫০০ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়।

    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমা সাতক্ষীরা বড়বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যাচাই করতে অভিযান পরিচালনা করে।

    তালা উপজেলার খালিলনগর ইউনিয়ন, জালালপুর ইউনিয়ন বিদেশ ফেরত আগত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে টানিয়ে দেওয়া হয়। বাসস্ট্যান্ডে স্প্রে করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের হ্যান্ডগ্লভস এবং মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে।

    দেবহাটা উপজেলায়  ১৯ টি টিম মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করছে।সচেতনতা, লিফলেট বিতরণ, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে  ১০০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নে হোম কোরান্টাইনদের বাসাই লাল ফ্লাগ স্থাপন করা হয়েছে। বাজারে পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক আছে।

    শ্যামনগর উপজেলায় Cyclone Preparedness Program (CPP) সদস্যদের সাথে মিটিং করা হয় এবং মিটিং শেষে  প্রায় ২০০
    প্রবাসীদের বাড়িতে  লাল ফ্লাগ স্থাপন করা হয়েছে।

    কালিগঞ্জ উপজেলায় ১২টি বাজারে ৫ সদস্যের একটি করে টিম কাজ করছে। বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক আছে।প্রতিটি মুদি দোকানে মূল্য তালিকা শোভা পাচ্ছে।

    আশাশুনি উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সিল মারা এবং লাল নিশানা লাগানোর কার্যক্রম চলমান আছে। বাজার মনিটরিং করে দেখা যায় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আছে।
    জনস্বার্থে এই ধরনের  অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • পৌর নাগরিকদের সব ধরনের সেবা দিতে সাতক্ষীরা পৌরসভা কাজ করবে-পৌর মেয়র চিশতি

    পৌর নাগরিকদের সব ধরনের সেবা দিতে সাতক্ষীরা পৌরসভা কাজ করবে-পৌর মেয়র চিশতি


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে ০৯টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) বেলা ১২টায় পৌর মেয়রের কার্যালয়ে লিফলেট বিলি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। এসময় পৌর মেয়র চিশতি বলেন, ‘সাতক্ষীরা পৌরসভার সকল নাগরিকদের করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে রক্ষা করতে এবং প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পৌরসভার ৩৬ হাজার গ্রাহকসহ সকল বাড়িতে পৌরসভার পক্ষ থেকে জনসচেতনতার জন্যে লিফলেট বিতরণ শুরু করা হয়েছে। পৌর নাগরিকদের সচেতন করার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ সম্ভব। সেই সাথে বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা-ঘাট সকল জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা লিফলেট বিলি করছে তাদেরকেও প্রতিরোধে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাতক্ষীরা পৌরসভায় ঢোকার মুখে নাগরিকদের হ্যান্ড ওয়াস দিয়ে হাত ধুয়ে পৌরসভায় প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পৌর নাগরিকদের সব ধরনের সেবা দিতে সাতক্ষীরা পৌরসভা কাজ করবে।’ এসময় পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২৭৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, এনিয়ে মোট ৯৬২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ২৭৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে গত ৭ দিনে বিদেশ ফেরত সাতক্ষীরার ৯৬২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল আইসোলেশানে রয়েছেন এক জন।
    এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৬৭ জন, আশাশুনি উপজেলায় ৫৫ জন, দেবহাটা উপজেলায় ১২১ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫৭ জন, কলারোয়া উপজেলায় ২৯৬ জন, শ্যামনগর উপজেলায় ১৪৩ জন ও তালা উপজেলায় ১২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে।
    তবে, বিদেশ থেকে আগত লোকের সংখ্যা গত ১ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ৯ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের বাইরে রয়েছে ৮ হাজার ৩ শ’ ৬২ জন।
    তবে, সাতক্ষীরা জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে আসা সকল প্রবাসীদেরকে ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
    এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশে আটকে থাকা পাসপোর্ট যাত্রীর আসা-যাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও দু দেশেই নতুন করে কোন পাসপোর্ট যাত্রীকে প্রবেশাধিকার না থাকায় যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে।

  • করোনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে: সিপিডি

    বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

    শনিবার ‘করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এমন অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

    ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এরকম একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সব সরকারেরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এর জন্য যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সেটার ওপর একটি বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং সঙ্গে স্বাস্থ্য তো রয়েছেই। সবার আগে স্বাস্থ্য, তারপর অর্থনীতি। 

    তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ, রাজস্ব ও মুদ্রানীতির ওপর স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি নানা প্রতিঘাত-অভিঘাত থাকবে। এর জন্য আমাদের যা দরকার তা হচ্ছে- সম্পদের পুনর্বণ্টন করা, রাজস্ব বাড়ানো এবং মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন আনা পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ফাহমিদা খাতুন বলেন, যেহেতু আমদানি, রপ্তানি, রেমিটেন্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক সাহায্য ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সুতরাং একটা বৈশ্বিক পর্যায় থেকে অর্থনীতির ওপর একটা অভিঘাত আসবে। আরেকটা হবে দেশের ভেতরে। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে একটা প্রতিঘাত আসবে। এ ছাড়া বিশ্ববাণিজ্যে যে শ্লথগতি, তার কারণেও একটা প্রতিঘাত আসবে, যার ফলে দেশগুলো কম্পিটিটিভনেস হারাবে। আর যেহেতু বিশ্বের চাহিদাও কমে যাবে, তাই বাণিজ্য সংকুচিত হয়ে আসবে। এর পাশাপাশি সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও একটা শ্লথগতি লক্ষ্য করা যাবে এবং ইতোমধ্যে তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    এর পাশাপাশি ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগেও এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তারা সামনের দিনে বিনিয়োগ করবেন কি করবেন না সেটা একটা বিষয়। আর এখন তো অর্থপ্রবাহের ওপরও একটা চাপ পড়বে। এর পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ের ওপরও একটা চাপ পড়বে, কেননা সরকারকে স্বাস্থ্য খাতে ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় করতে হবে, অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। সে কারণে সরকারের যে নিয়মিত ব্যয়গুলো রয়েছে সেটার ওপর এক ধরনের চাপ পড়তে পারে। এ ছাড়া সরকারের রাজস্ব আয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক খাতের ওপর বিরাট চাপ পড়তে পারে।

    উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বড় বড় খাতে অর্থ বরাদ্দ না দিয়ে ছোট ছোট খাতে, বিশেষ করে যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাদের প্রণোদনা দিতে অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন- একথা উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজস্ব আহরণের বর্তমান যে হার তাতে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এক লাখ কোটি টাকা রাজস্ব কম আহরণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি এখনকার জন্য না হলেও স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি একটি বিষয়।

    তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সংকটের সময় যখন চাহিদা দ্রুত কমে যায়, কর্মসংস্থান হারানোর প্রবণতা বাড়ে ও মানুষের আয় কমে যায়, তখন বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনীতিতে তারল্য বাড়ানো। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কীভাবে তারল্য বাড়ানো যায় তার একটা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একটি উপায় হতে পারে ট্রেজারি বন্ড বা বিল কেনার মাধ্যমে, আরেকটা হতে পারে সুদের হার কমিয়ে।

  • বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ স্থগিত

    বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ স্থগিত

    এপ্রিলের পাকিস্তান সফরের পর এবার স্থগিত করা হলো মে মাসের আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ড সফরও। ওই সফরে গিয়ে তিনটি করে ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। 

    শনিবার এক বিবৃতিতে সাদা বল ক্রিকেটের সিরিজ দুটি স্থগিতের কথা নিশ্চিত করে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড।

    করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সফরটি যে স্থগিত হবে, তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল। শুক্রবার ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের এক সিদ্ধান্তের পর যা নিশ্চিত হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের ১৮টি প্রথম শ্রেণীর কাউন্টি ক্লাব, এমসিসি এবং প্রফেশানাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে ইসিবি ঘোষণা দেয়, আগামী ২৮ মে পর্যন্ত দেশটিতে কোনো পেশাদার ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হবে না। সূচি অনুসারে ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের চারটি টিটোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২২ থেকে ২৯ মে’র মধ্যে। 

    এর আগে ১৪ মে আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে শুরুর কথা ছিল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি দুটি সিরিজই শনিবার স্থগিত করার ঘোষণা দেন ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রম। 

    এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ, ক্রীড়া আয়োজন এবং গণজমায়েতের বিষয়ে আইরিশ এবং যুক্তরাজ্য সরকারের পরামর্শ মেনে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আসন্ন সিরিজ স্থগিতের বিষয়ে একমত হয়েছে। ডিউট্রম তার বার্তায় বলেন, ‘কোভিড-১৯ যখন বৈশ্বিক মহামারি রূপ ধারণ করেছে, এবং দুই দেশের সরকার ও অংশীদার বোর্ডের পরামর্শ যখন সামনে সামনে এসেছে, তখন সূচিতে থাকা সিরিজটি স্থগিতের দিকেই এগিয়েছে। খেলোয়াড়, কোচ, দর্শক এবং বৃহৎ জনগোষ্ঠির কল্যাণ সুরক্ষার দায়িত্বও আমাদের আছে। যে কারণে আগামী কয়েক মাস আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে ‘নিরাপত্তাই প্রধান’ নীতিতে।’ সাত ম্যাচের সফরটি স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আইরিশ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা করার মতো অবস্থায় যাওয়ার পর দুই বোর্ড মিলে সফরের নতুন দিন নির্ধারণের বিষয়ে আমরা কাজ করে যাবো।’

  • ১০ হাজার পেরোল মৃত্যু, তালাবন্দি ক্যালিফর্নিয়া

    ১০ হাজার পেরোল মৃত্যু, তালাবন্দি ক্যালিফর্নিয়া

    বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল দশ হাজার। একই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। 

    আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশ পুরোপুরি তালাবন্দি করে ফেলার কথা ঘোষণা করেছেন সেখানকার গভর্নর। আগামী দু’তিন সপ্তাহে চিকিৎসা সরঞ্জামে টান পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নিউ ইয়র্কে। সেখানে জরুরি-পরিষেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের ছাড়া বাকি সব পেশার মানুষকে বাড়িতে থাকতে বলছেন গভর্নর। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’-এর প্রধান ডেভিড বেসলিও আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড-১৯-এ। গত কাল এ খবর জানার পরে তিনি যাঁদের যাঁদের কাছাকাছি গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে, তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। 

    মার্কিন বিদেশ দফতর দুনিয়া জুড়ে আমেরিকার সব দূতাবাস এবং কনসুলেটে ভিসা পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। আজ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। মার্কিন নাগরিকদের বিদেশ সফরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আগামিকাল থেকে কানাডা ও মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। আমেরিকা-প্রবাসী প্রভাবশালী ভারতীয় চিকিৎসকদল ফেডারেল ও স্টেট গভর্নমেন্টকে অনুরোধ করছেন, গোটা মহাদেশেই লকডাউন করা হোক। তাঁরা চাইছেন, নিজেই বাড়িতে আলাদা থাকুন নাগরিকেরা। আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা এখনও ২১৮। আক্রান্ত ১৫,৫০০ জন। 

    করোনা-বিধ্বস্ত ইটালিতে আরও পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ফের মৃত্যুর নয়া রেকর্ড— ৬২৭। করোনা প্রকোপের মধ্যে এই প্রথম এক দিনে এত মৃত্যু হল। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৬২৯ স্বাস্থ্যকর্মী। যাঁরা সরাসরি করোনা-রোগীদের জন্য কাজ করছেন, তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। এমনিতেই ইটালিতে মৃতের সংখ্যা টেক্কা দিয়েছে চিনকে। এখন তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ্পে কন্টে বলেছেন, কোয়রান্টিন করে রাখার নির্ধারিত মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। 

    ইটালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোবার্তো স্পেরানজ়া বলেছেন, ‘‘ইতিহাসে যত কঠিন মুহূর্তের সাক্ষী আমরা, তার মধ্যে এটা সব চেয়ে ভয়াল। একটা নতুন ভয়ঙ্কর শত্রু আমাদের জীবনে ঢুকে সব ওলোটপালট করে দিয়েছে। সামনে আরও কঠিন সময়। তবে আমার বিশ্বাস, সবাই মিলে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠব।’’ ইটালির উত্তর অংশ থেকে করোনা-আক্রান্ত রোগীদের এখন দেশের অন্যত্র পাঠাতে হচ্ছে। কারণ উত্তরের হাসপাতালগুলির সব আইসিইউ ভর্তি হয়ে গিয়েছে। লমবার্ডি থেকে অন্তত ৫০ জন রোগীকে দক্ষিণের দিকে পাঠানো হয়েছে। 

    ইটালির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ব্রিটেন যদি এখনই লকডাউন ঘোষণা না করে তা হলে সে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাও ভেঙে পড়বে। ব্রিটেনেও সুনামির মতো বাড়ছে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা। ব্রিটেনের সরকারি উপদেষ্টারাও বলছেন, সে দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সংক্রান্ত সব নির্দেশ এ বছরের অনেকটা সময় চালু রাখতে হবে। আপাতত তিন মাস সময় চেয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুক্রবার তিনি বলেন, সামজিক মেলামেশায় রাশ টেনে এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমানো সম্ভব হবে। শুক্রবার পর্যন্ত ব্রিটেনে করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৪। এত দিন গড়িমসি চললেও মহামারি রুখতে শুক্রবার রাত থেকে শেষ পর্যন্ত পাব, রেস্তরাঁ, জিম বন্ধ করে দিচ্ছে বরিসের প্রশাসন। আগামী তিন মাসও এই সব জায়গায় নাগরিক যাতায়াতে কিছুটা রাশ টেনেই রাখতে চাইছেন জনসন। 

    ফ্রান্সে মৃত্যু ৪৫০ ছুঁয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৭৮ জন। চিন, ইটালি এবং ইরানের পরে স্পেনেও মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। লকডাউন আর্জেন্টিনাতেও। পাকিস্তানে আজ করোনায় তৃতীয় মৃত্যু হয়েছে। সেখানে এখন ৪৫৩ জন কোভিড-১৯ পজ়িটিভ। 

    করোনা-আতঙ্কের মধ্যেই শুক্রবার অলিম্পিক টর্চ গিয়ে পৌঁছেছে জাপানের মিয়াগির হিগাশিমাতসুশিমায়। সেখানে জাপানি এয়ার সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্স গ্রিস থেকে আসা অলিম্পিক টর্চ নিয়ে প্রদর্শনী করেছে। আজ মাস্ক পরেই তা দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন তাঁদের দেশে স্কুলগুলিও ফের খুলে দেওয়া হবে। গত কাল সেখানে এক জন স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নিষেধে রাশ আলগা করার ব্যাপারে সায় দিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি যে কোনও সময়ে পাল্টে যেতে পারে বলে সতর্কও করে রেখেছেন তিনি।

  • করোনা :  প্রশাসনের মতবিনিময়

    করোনা : প্রশাসনের মতবিনিময়

    করোনো ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আজ শনিবার থেকেই সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে গঠিত টিম। ইতোমধ্যে জেলায় সকল গণজমায়েত নিষিদ্ধ ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া করোনো ভাইরাসকে ইস্যু করে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৪৫টি অভিযানের মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। সীমান্তেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
    শুক্রবার রাত ৮টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী মতবিনিময় ও পর্যালোচনা সভায় জেলা করোনো ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
    সভায় আরও জানানো হয়, সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠিত টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। তথ্য অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
    সভায় জানানো হয়, ১৯ মার্চ সম্প্রতি বিদেশ থেকে সাতক্ষীরায় আসা মানুষের তালিকা হাতে পাওয়া গেছে। এই তালিকা অনুযায়ী ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিদেশ ফেরত মানুষদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের শরীরে সিল মারার কাজও শুরু হয়েছে।
    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম মহিউদ্দিনসহ অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনেক জায়গায় ওয়াজ মাহফিল, নামযজ্ঞ, কীর্তনসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কঠোর হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাপক হারে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। যাতে মানুষ সচেতন হয়। জ¦র-সর্দি-কাশিসহ সংশ্লিষ্ট উপসর্গ থাকলে তাদের মসজিদে নামাজ না পড়তে যাওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যেখানে উৎপত্তি সেই চিনেই করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ কমে এসেছে। তারা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আর একটু সচেতন হয়ে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পারলে মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমরাও অবশ্যই এই মহামারী থেকে সাতক্ষীরাকে রক্ষা করতে পারবো। এজন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

  • সাতক্ষীরায় ১৬৯ জন বিদেশ ফেরত হোম কোয়ারেন্টিনে

    করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে বিদেশ ফেরত আরো ৮২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬৯ জন বিদেশ ফেরতকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলার শ্যামনগর উপজেলার দাতনিখালী গ্রামের এসএম সুলতান মাহমুদ সুজনকে সদর হাসপাতাল আইসোলেশানে নেয়া হয়েছে। তবে, পুলিশের তথ্য অনুযায়ী গত ১৮ দিনে সাতক্ষীরায় ৮ হাজার ৮৬৮ জন বিদেশ ফেরত লোক এসেছেন। এদর বেশীরভাগই ভারতীয় নাগরিক। তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

    ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে ঘুরাঘুরি করার জন্য সাতক্ষীরার কামালনগরের মালদ্বীপ ফেরত কামরুজ্জামানকে ১০ হাজার টাকা, শ্যামনগরের গোপালপুরের কুয়েত ফেরত রঞ্জু ইসলামকে ৫ হাজার টাকা ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের ইটালী ফেরত মাহিদুর রহমানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তাদেরকে বাধ্যতামুলক ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।

    পুুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাতক্ষীরায় ১ লা মার্চ হতে ১৮ মার্চ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৮৬৮ জন লোক বিদেশ থেকে সাতক্ষীরায় এসেছেন।এদের প্রায় ৮০% এসেছেন ভারত থেকে।

    জেলা পুলিশ ওই তালিকা অনুযায়ী সার্বিক খোঁজ নিচ্ছেন। বিদেশ ফেরত সবাইকে মনিটর করার সর্বোচ্চ চেস্টা করা হচ্ছে। বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আকাশলীনা, দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভসহ সাতক্ষীরা জেলার সকল পর্যটন এলাকা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনসাধারণকে পর্যটন এলাকায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সাথে জেলায় সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরন ও জরুরি সভাসহ নানা কর্মসুচি হাতে নেয়া হয়েছে।

  • এস এম মোস্তফা কামাল'র নির্দেশে গতরাতে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা

    জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয়ের নির্দেশে গতরাতে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক  অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়।
    ভারত থেকে আসা এক ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ সাহা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এবং সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
    সাতক্ষীরার সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের সৌদি আরব ফেরত প্রবাসী, মো: আব্দুল গাফফার এবং মালয়েশিয়া ফেরত প্রবাসী মোঃ আব্দুল বারী হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুবায়ের হোসেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রবাসীদের জরিমানা করেন এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেন।সেইসাথে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
    তালা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদেশ থেকে প্রত্যাগত ব্যক্তিদের হোন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এবং মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেন।
    আশাশুনি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদেশ থেকে প্রত্যাগত ব্যক্তিদের হোন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন, সচেতনতা মূলক প্রচারনা করেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন। ইউপজেলা নির্বাহী অফিসার জুম্মার নামাযের পর সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
    কালিগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল কোর্টের এবং লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি করোনা সম্পর্কিত সমন্বয়ের কাজ দ্রুত, সুচারু এবং সফলভাবে করার জন্য কাজিগঞ্জ উপজেলায়
     উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে Kaliganj Corona Fighting Team নামে একটি ফেসবুক দল অনলাইনে কাজ করে যাচ্ছে।
    দেবহাটা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাজার মনিটরিং করে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন এবং করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
    কলারোয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সচেতনতা মূলক প্রচারনা, লিফট বিতরণ এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
    আজ সকালে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ সাহা দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সুলতানপুর বড় বাজারে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করেন।
    সাতক্ষীরা জেলাতে ইতোমধ্যে সকল ট্যুরিজম স্পট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলায় বাজার মনিটরিং এর জন্য তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে এবং সকল চায়ের দোকান (টি স্টল) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
    কালিগঞ্জ উপজেলার বাশতলা বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে ৩৭০০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং মাইকে সচেতনতামূলক প্রচারণা করেন। 
    পুরো সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে, মসজিদে মসজিদে মাইকিং অব্যাহত আছে। সকল অফিসার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে মানষিক ভাবে প্রস্তুত আছে।

  • সাতক্ষীরায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৬৯ জন ॥ বিদেশ ফেরত ৮ হাজার ৮৬৮ জন, তিন বিদেশ ফেরতকে জরিমানা ॥ এক জন আইসোলেশানে ভর্তি,


    করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে বিদেশ ফেরত আরো ৮২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬৯ জন বিদেশ ফেরতকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলার শ্যামনগর উপজেলার দাতনিখালী গ্রামের এসএম সুলতান মাহমুদ সুজনকে সদর হাসপাতাল আইসোলেশানে নেয়া হয়েছে। তবে, পুলিশের তথ্য অনুযায়ী গত ১৮ দিনে সাতক্ষীরায় ৮ হাজার ৮৬৮ জন বিদেশ ফেরত লোক এসেছেন। এদর বেশীরভাগই ভারতীয় নাগরিক। তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
    ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে ঘুরাঘুরি করার জন্য সাতক্ষীরার কামালনগরের মালদ্বীপ ফেরত কামরুজ্জামানকে ১০ হাজার টাকা, শ্যামনগরের গোপালপুরের কুয়েত ফেরত রঞ্জু ইসলামকে ৫ হাজার টাকা ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের ইটালী ফেরত মাহিদুর রহমানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তাদেরকে বাধ্যতামুলক ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
    পুুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাতক্ষীরায় ১ লা মার্চ হতে ১৮ মার্চ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৮৬৮ জন লোক বিদেশ থেকে সাতক্ষীরায় এসেছেন।এদের প্রায় ৮০% এসেছেন ভারত থেকে।
    জেলা পুলিশ ওই তালিকা অনুযায়ী সার্বিক খোঁজ নিচ্ছেন। বিদেশ ফেরত সবাইকে মনিটর করার সর্বোচ্চ চেস্টা করা হচ্ছে। বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
    জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আকাশলীনা, দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভসহ সাতক্ষীরা জেলার সকল পর্যটন এলাকা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনসাধারণকে পর্যটন এলাকায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সাথে জেলায় সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরন ও জরুরি সভাসহ নানা কর্মসুচি হাতে নেয়া হয়েছে।