Category: করোনা ভাইরাস

  • সাতক্ষীরা গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১০৬ জনসহ মোট ২ হাজার ১৫৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে: ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৭৩ জনকে

    সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ১০৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে,এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ১৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৭৩ জনকে।
    এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারী করা হয়েছে। কেউ যাতে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। অপরদিকে, ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা নিজ দেশে ফিরতে পারলেও লক ডাউনের কারনে ভারতীয়রা তারা তাদের দেশে ফিরতে পারছেননা বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ওসি বিশ্বজিত সরকার।

  • করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরন তৈরী ও বিতরন

    করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরন তৈরী ও বিতরন

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরন তৈরী ও বিতরন শুরু হয়েছে। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার আয়োজনে ও ঢাকা ইনিভার্সিটি অ্যালমনাই এ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরার সহযোগিতায় শনিবার দুপুরে সংগঠনটিন নিজস্ব অফিসে সুবিধা বঞ্চিকদের মাঝে উক্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরন বিতরন করা হয়।
    এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার সভাপতি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম ফেরদৌস মিতুল, মেহেদী আলী সুজয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ, দপ্তর সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, সদস্য মাসুদ রানা, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
    উপকরনের মধ্যে ছিলো হ্যান্ডস্যানিটাইজার, মাস্ক, জীবানুনাশক স্প্রে, তরল সাবান ও ব্লিচিং স্প্রে প্রমুখ।
    এ সময় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ জানান, গত কয়েক দিনে তারা প্রায় ২ হাজার লিটার জীবাণু নাশক স্প্রে, প্রায় ১ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১ হাজার লিডার লিকুইড সোপ, ৩৫ হাজার মাস্কসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ধারাবাহিকভাবে বিতরণ করে যাচ্ছেন তারা। করোনা প্রতিরোধে তারা বলেন, সচেতনার কোন বিকল্প নেই। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হবেননা। এছাড়া নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাসহ ঘন ঘন দুই হাতে সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড যাবত পরিস্কার করা, হাঁচি, কাশির সময়ে টিস্যু অথবা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলার জন্য সাধারন নাগরিকের কাছে আহবান জানান।

  • বিশ্বের ২০০ দেশে পৌঁছে গেল করোনাভাইরাস

    বিশ্বের ২০০ দেশে পৌঁছে গেল করোনাভাইরাস

    ভয়াবহ করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো পৃথিবী। এর মধ্যে ভাইরাসটি ২০০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে।

    গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান  থেকে ছড়িয়ে পড়ে কভিড-১৯। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ২৪ হাজার জনের। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে এক লাখ ২২ হাজার মানুষ।

    সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২১১। এরপর স্পেনে মারা গেছে ৪ হাজার ৩৬৫ জন। চীনে মারা গেছে ৩ হাজার ২৯১ জন।

    গত আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে ছিল চীন। দেশটিতে সংক্রমণ থেমে যাওয়ায় ভাইরাসটির নতুন কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপ। ফলে গত কয়েক দিনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি ও স্পেন।

    এদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৭৮২ জন। স্পেনে ৫৭ হাজার ৭৮৬ জন মানুষকে আক্রান্ত করেছে কভিড-১৯।

    এ ছাড়া ইরানে মারা গেছে ২ হাজার ২৩৪ জন। ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৬৯৮। যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে এক হাজার ২৯৬ জন মানুষ। 

    করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন হয়ে গেছে অনেক দেশ। স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি-ব্যবসা-বাণিজ্য।

    শতাধিক দেশে বন্ধ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জনসমাগম রোধে। অধিকাংশ দেশ বাতিল করে দিয়েছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও ইউরোপে আক্রান্তের কমে এসেছে। তবে আমেরিকায় সে সংখ্যা বাড়ছে। তাই অঞ্চলটি করোনার নতুন উপকেন্দ্র হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

    এদিকে করোনাভাইরাসকে গোটা মানবজাতির জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গোটা মানবজাতিকেই এর মোকাবিলা করতে হবে বলে তিনি জানান। 

    কভিড-১৯ ভাইরাসের এখনও কোনো প্রতিষেধক আনতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের গবেষণায়। বিজ্ঞানীরাও রাতদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে চীন, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। 

    সূত্র- দেশ রূপান্তর / দেশবিদেশ
    এম এন  / ২৭ মার্চ

  • জেলাতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণ : নিম্ন আয়ের  পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে  প্রশাসন

    জেলাতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণ : নিম্ন আয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সাতক্ষীরার শত শত পরিবার। বাড়িতে অবস্থান করায় কাজ করতে পারছেন না তারা। নিম্ন আয়ের এ সব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ। বুধবার রাত থেকে এসব পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়। করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নিত্যিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
    এদিকে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে ৫০ হাজার করে টাকা এবং ৫ মেট্রিক টন চাল পাঠান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ উপজেলার দুস্থ মানুষের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। চাল, ডাল, তেলসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দুস্থদের বাড়িতে বাড়িতে পাঠানো হবে।
    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধের দোকানের সামনে সাদা গোল বৃত্যের মধ্য থেকে কেনাকাটা করার জন্য মানুষকে সচেতন করেন। করোনা থেকে জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ এবং মার্কিং করেন।
    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সাতক্ষীরা শহরের বকচরা এলাকায় বাইপাস সড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাতক্ষীরা সদর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত স্যালো মেশিন এবং পাইপ জব্দ করা হয়েছে।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলীর নেতৃত্বে একটি টিম সাতক্ষীরা শহর ও বড় বাজার এলাকায় টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আকরামুল হক এবং ইন্দ্রজিৎ সাহার নেতৃত্বে একটি টিম সাতক্ষীরা শহর, আলিপুর থেকে বাদামতলা হয়ে ভোমরা পর্যন্ত টহল কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরুল আমিনের নেতৃত্বে একটি টিম পুরাতন সাতক্ষীরা হতে ব্রহ্মরাজপুর বাজার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে লোক সমাগম পরিহার করে বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুর্শিদা খাতুন নেতৃত্বে একটি টিম খুলনা রোড হতে পাটকেলঘাটা বাজার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে লোক সমাগম পরিহার করে বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চায়ের দোকানে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং মুদি দোকানে একত্রে জমায়েত বন্ধ করতে বলা হয়।প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে বের না হতেও অনুরোধ করা হয় মাইকের মাধ্যমে।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমার নেতৃত্বে একটি টিম সার্কিট হাউজ হতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে লোক সমাগম পরিহার করে বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়া চা এর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
    আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় বুধহাটা ইউনিয়নের প্রত্যেকটি বাজার ব্লিচিং পাউডার দ্বারা স্প্রে করা হয় এবং এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ভাইরাস প্রতিরোধে স্প্রের ধারা অব্যাহত আছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস হতে প্রাপ্ত ১২ সেট চচঊ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আশাশুনিতে প্রদান করা হয়েছে। বিদেশ ফেরতদের শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বাড়িতে বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। আশাশুনির বুধহাটা, চাপড়া ও গোয়ালডাংয়া বাজারে সহকারী কমিশনার (ভূমি), আশাশুনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহ অভিযান কালে লোক সমাগম খুব কম দেখা যায় এবং বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরিমানা হয়নি।
    তালা উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলোর সামনে সাদা দাগ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দাগের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করছেন। প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ ঘরের বাহিরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি না করেন সে জন্য তাদের সতর্ক করাসহ সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়, মাইকিং অব্যাহত আছে। একইসাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া বাকী অন্যান্য দোকানদের তাদের দোকান বন্ধ রাখার আহবান। এছাড়া সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ করার জন্য ঘোষণা দেন।
    কলারোয়া উপজেলার কলারোয়া বাজারে জীবানুনাশক ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবানুনাশক পানি ছিটানো হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি), কলারোয়া বাজার, দমদম, সোনাবাড়িয়া, বুঝতলা ও গয়ড়া বাজারে ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান, মুদি দোকান ব্যতিত অন্যান্য দোকান বন্ধে পরিচালিত অভিযান পরিচালনা করে।
    কালিগঞ্জ উপজেলায় জীবাণুনাষক দিয়ে পুরো উপজেলা ধুয়ে ফেলা শুরু করছি। সরকারি আদেশ অমান্য করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
    শ্যামনগর উপজেলায় বাজারগুলোতে প্রতিটি দোকানের সামনে সাদা দাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন মানুষ নিরাপদ দূরত্ব বজার রেখে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে। শতভাগ হোম কোয়ানেন্টিন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
    দেবহাটা উপজেলায় বিদেশ ফেরত সকেলেই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১৫১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে: মোট ২ হাজার ৫২ জন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ১৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
    এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৫১ জন, আশাশুনি উপজেলায় ১৫৮ জন, দেবহাটা উপজেলায় ২৩২ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২৩৪ জন, কলারোয়া উপজেলায় ৬৩১ জন, শ্যামনগর উপজেলায় ৩১০ জন ও তালা উপজেলায় ২৩৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে।
    এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যেয়ে আগে আটকে থাকা বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা তারা নিজ দেশে ফিরতে পারলেও লক ডাউনের কারনে ভারতীয়রা তারা তাদের দেশে ফিরতে পারছেননা বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ওসি বিশ্বজিত সরকার

  • কলারোয়ায় চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইভমেন্ট (পিপিই) প্রদান করলেন   সংসদ সদস্য অ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ

    কলারোয়ায় চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইভমেন্ট (পিপিই) প্রদান করলেন সংসদ সদস্য অ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কলারোয়ায় চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইভমেন্ট (পিপিই) প্রদান করলেন সাতক্ষীরা-১ তালা-কলারোয়ার  সংসদ সদস্য অ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। পিপিই এর মধ্যে রয়েছে-হ্যান্ড গ্লাভস, চশমা ও মাথা থেকে পা পর্যন্ত গাউন জাতীয় এপ্রোন।

    বুধবার বিকেলে কলারোয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এন্ড এফপিও) ডাক্তার জিয়াউর রহমানের কাছে ৭ সেট পিপিই সরঞ্জমাদী প্রদান করেন অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, এম.পি। একই সাথে কলারোয়া থানা পুলিশকেও ২ সেট পিপিই প্রদান করা হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ, থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব শেখ মুনীর-উল-গীয়াস, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম, প্রধান সহকারী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এসময় অ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, এম.পি বলেন-বিশ্বব্যাপী জীবন ঘাতক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাতধোয়া, মুখে মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়িয়ে চলাসহ সার্বিক ভাবে সচেতন থাকলে করোনা ভাইরাস থেকে আমরা সুরক্ষিত থাকবো ইনশাআল্লাহ। আর যেকোন অসুস্থ রোগিদের যারা বিভিন্নভাবে সেবা প্রদান করেন সেই সকল চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকে নিজেদেরও সুরক্ষিত থাকতে হবে। তবেই তারা অন্যদের সুরক্ষিত রাখার কাজে সহায়তা দিতে পারবেন। এজন্য কলারোয়া হাসাপাতালকে পিপিই প্রদান করা হলো। পরবর্তীতে আরো পিপিই, মাস্ক, গ্লাভসসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদী প্রদান করা হবে বলে জানান কলারোয়া হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, এম.পি।

  • সাতক্ষীরা ১ হাজার ৯০০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে :গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩৯ জন

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ৩৩৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯০০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এদিকে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি শ্যামনগরের দাতনিখালী গ্রামের এস.এম সুলতান মাহমুদ সুজন নামের যুবকের শরীরে কোন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন না পাওয়ায় আইইডিসিআরের বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত জানান, তাকে বুধবার বিকালে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
    এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, বিদেশ ফেরতদের ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে,বাড়িতে টানানো হচ্ছে লাল ফ্লাগসহ তাদের হাতে মারা হচ্ছে সনাক্তকরন সিল। এছাড়া বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে সকল পর্যটন কেন্দ্র ও গোহাট। নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেলায় সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত। চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। এছাড়া করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে জেলার সকল নাগরিককে আগামী ১৪ দিন বাড়ির বাহির না যাওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
    এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গিয়ে আগে আটকে থাকা বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীরা যারা ভারত রয়েছেন তারা দেশে ফিরতে পারলেও লক ডাউনের কারনে ভারতীয়রা তারা তাদের দেশে ফিরতে পারছেননা বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ওসি বিশ্বজিত সরকার।

  • সাতক্ষীরা সমিতি ঢাকা’র সভাপতি র পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাক্স, গ্লাভস, সাবান ও  লিফলেট বিতরণ

    সাতক্ষীরা সমিতি ঢাকা’র সভাপতি র পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাক্স, গ্লাভস, সাবান ও লিফলেট বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাক্স, গ্লাভস, সাবান ও সতর্কিকরণ লিফলেট নিয়ে জনস্বার্থে মানুষের পাশে দাঁড়াল সাতক্ষীরা সমিতি ঢাকা। বুধবার (২৫ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাতক্ষীরা সমিতি’ ঢাকা’র সভাপতি এম খলিলুল্লাহ ঝড়–’র উদ্যোগে এ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সমিতি’ ঢাকা’র সভাপতি এম খলিলুল্লাহ ঝড়–, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সিনিয়র সহ-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাতক্ষীরা সমিতি ঢাকা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ করেছে।
    এছাড়াও দেবহাটা উপজেলা, শ্যামনগর উপজেলা, কালিগজ্ঞ উপজেলা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় সাতক্ষীরা সমিতি ঢাকা এর সভাপতি এম খলিলুল্লাহ ঝড়–’র পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাক্স, গ্লাভস, সাবান ও সতর্কিকরণ লিফলেট জনস্বার্থে বিতরণ করা হচ্ছে।

  • করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পৌর এলাকা জীবানু মুক্ত করতে ট্রাকে করে ব্লিচিং পাউডার স্প্রে করল

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পৌর এলাকা জীবানু মুক্ত করতে ট্রাকে করে ব্লিচিং পাউডার স্প্রে করল

    সাতক্ষীরা পৌরসভা
    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা পৌর এলাকা জীবানু মুক্ত করতে ট্রাকে করে ব্লিচিং পাউডার স্প্রে করা হয়েছে। বুধবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে থেকে শহর জীবানুমুক্ত করণের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। এসময় তিনি বলেন, ‘প্রতি ট্রাকে ১৫ হাজার লিটার পানির সাথে ৩শ’ কেজি ব্লিচিং পাউডারের মিশ্রণে পানি পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ডের রাস্তাগুলি স্প্রে করা হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে পৌর নাগরিকদের নিরাপদ রাখতে পৌর এলাকাকে জীবানু মুক্ত করা হবে। সেই সাথে পৌর নাগরিকদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্ক করতে ও সচেতন করতে পৌর এলাকায় মাইকিং, সতর্কিকরণ লিফলেট সাতক্ষীরা পৌর এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা পৌরসভা পৌর নাগরিকদের পাশে আছে এবং থাকবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎ¯œা আরা, ফারহা দীবা খান সাথী, অনিমা রানী মন্ডল, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শেখ আব্দুস সেলিম, পৌরসভার সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বিশ^াসসহ পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতা মূলক প্রচারিভাযান

    করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতা মূলক প্রচারিভাযান

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে বুধবার দুপুরে সচেতনতা মূলক নানা প্রচারিভাযান চালানো হয়েছে। এ সময় তারা প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ ঘরের বাহিরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি না করেন সে জন্য তাদের সতর্ক করাসহ সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরন করেন। একইসাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া বাকী অন্যান্য দোকানদের তাদের দোকান বন্ধ রাখার আহবান। এছাড়া সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ করার জন্য ঘোষনা দেন।
    সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, করোনা একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস। তাই এই ভাইরাস থেকে আমাদের মুক্ত হতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রাথমিকভাবে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। যদি কেউ এ নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে পুলিশ আজ থেকে তাদের উপর মৃদু এ্যাকশনে যেতে বাধ্য হবেন।
    এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) ইলতুৎ মিশ, বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, সদর সার্কেল মীর্জা সালাউদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, জামিরুল ইসলাম, বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

  • হোমকোয়ারেন্টাইনে মোট ১,৫৬২ জন : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি যুবকের শরীরে কোন করোনার ভাইরাসের সংক্রমন পাওয়া যায়নি, দেয়া হয়েছে ছাড়পত্র

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল আইসোলশনে ভর্তি শ্যামনগর উপজেলার দাতনিখালী গ্রামের এস.এম সুলতান মাহমুদ সুজন নামের ওই যুবকের শরীরে কোন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন পাওয়া যায়নি বলে আইইডিসিআরের বরাত দিয়ে নিশ্চিত হরেছেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত। তিনি দুপুর ২ টায় সাংবাদিকদের আরো জানান, তাকে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল ছেড়ে তিনি ফিরেছেন নিজ বাড়িতে।
    এদিকে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ৪০২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে গত ৮ দিনে বিদেশ ফেরত সাতক্ষীরার ১৫৬২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
    এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৬৩ জন, আশাশুনি উপজেলায় ১০৮ জন, দেবহাটা উপজেলায় ১৮৭ জন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২২২ জন, কলারোয়া উপজেলায় ৪৭০ জন, শ্যামনগর উপজেলায় ২০৪ জন ও তালা উপজেলায় ২০৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে।
    অপরদিকে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিদেশ ফেরতদের ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের বাড়িতে,বাড়িতে টানানো হচ্ছে লাল ফ্লাগসহ তাদের হাতে মারা হচ্ছে সনাক্তকরন সিল। এছাড়া বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে সকল পর্যটন কেন্দ্র ও গোহাট। নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেলায় সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত। চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত : করোনো ভাইরাস সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত : করোনো ভাইরাস সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে

    প্রেস নোট : করোনো ভাইরাস সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত হয়েছে।

    মঙ্গলবারও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে লাল নিশানা টানিয়ে দেন। একই সাথে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হাতে অমোচনীয় কালির সিল মেরে দেওয়া হয়। আর কোয়ারেন্টাইনের শর্ত ভঙ্গ করায় জরিমানাও করা হয় কয়েকজন প্রবাসীকে। একই সাথে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলাব্যাপী চলছে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ।

    এদিকে, করোনো সংক্রমণ রোধে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে সেনাবাহিনীর অগ্রগামী একটি দল সাতক্ষীরা পৌঁছে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সাথে বৈঠক করে তাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন।
    করোনো সংক্রমণ রোধে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লাল নিশানা টানিয়ে দেন। হোম কোয়ানন্টেনি নশ্চিতিে অভযিান চালয়িে ৬ হাজার টাকা জরমিানা কর।

    অপরদিকে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিখন বণিক মঙ্গলবার সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, মাধবকাটি ও কদমতলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় কদমতলা বাজারের এক ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    একইভাবে মিল বাজার ও কাটিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুর্শিদা পারভীন ও উম্মে মুসলিমা।

    আশাশুনিতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল ফ্লাগ টানানো ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ এবং বাজার মনিটরিংয়ে একাধিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

    শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নে বিদেশ ফেরত একজন হোম কোয়ারেন্টাইনের শর্ত ভঙ্গ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়।

    এছাড়া শ্যামনগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাথে করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    কলারোয়া উপজলোয় বাজার নয়িন্ত্রণে অভযিান চালয়িে ৩ হাজার টাকা এবং তালা উপজলোয় ৩ হাজার টাকা জরমিানা করা হয়।

  • করোনা আতঙ্কের মুখে সাতক্ষীরা : সীমান্তের চোরাইপথে ভারত থেকে দেশে ফিরে আসছে অনেক মানুষ

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ দুই দেশে করোনা আতঙ্কের মুখে সাতক্ষীরা সীমান্তের চোরাইপথে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসছে। তাদেরকে ভারতীয় বিএসএফ পুশব্যাক করে দিচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা না গেলেও গ্রামবাসী বলছেন সাতক্ষীরার একদল চোরাঘাট মালিক এসব মানুষকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে মাথাপ্রতি ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে। ফিরে আসা এসব নাগরিক করোনা ভাইরাস বহন করছে কিনা তা অজানা থেকে যাচ্ছে।
    আজ মঙ্গলবার সকালে ভারত ফেরত ৬ জন বাংলাদেশী নাগরিককে সাতক্ষীরা তলুইগাছা সীমান্তের একটি ঝোপজঙ্গলের মধ্যে অবস্থান করতে দেখা গেছে। স্থানীয় চোরাঘাট মালিক লিয়াকত আলী তাদেরকে বাংলাদেশে আসতে সহায়তা করেছেন। এ খবর জানতে পেরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল তার লোকজন নিয়ে ফেরত আসা ওই বাংলাদেশীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে সেখানে দ্রুত পৌছে যান। তার আগেই চোরাঘাট মালিক লিয়াকত আলী তাদেরকে সরিয়ে চোখের আড়ালে নিয়ে যায়। ধারনা করা হচ্ছে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌছে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
    এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সাতক্ষীরা সীমান্তের ১৩-১৪ জন চোরাঘাট মালিককে কুশখালি সীমান্তের নটিজঙ্গল এলাকায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। তারা ভারত থেকে লোকজন আসাকে উৎসাহিত করছেন। এজন্য এই সিন্ডিকেট মাথাপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা প্রতিনিয়ত তাদের কাছ থেকে আদায় করে আসছে। আজ সকালে আরও বেশকিছু নারীপুরুষ যারা ভারতে ছিলেন তারাও একই পথে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
    এদিকে করোনা আতঙ্কের কারনে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে নতুন করে কোন বাংলাদেশী অথবা কোন ভারতীয় যাতায়াত করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ভারতে থাকা বাংলাদেশী নাগরিক এবং বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিক যথাযথভাবে তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে পারলে তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন। এমন অবস্থায় সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে লোক পারাপার বৃদ্ধি পেয়েছে।
    তলুইগাছা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধ পন্থায় প্রবেশের বিষয়টি জানতে চাইলে সাতক্ষীরা ৩৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বলেন, তিনি খবর পেয়েছেন সাতক্ষীরা সীমান্তের কাছাকাছি রুদ্রপুর সীমান্ত দিয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সাতক্ষীরার তলুইগাছা বা অন্য কোন সীমান্ত দিয়ে এমন অবৈধ পারাপার হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে পারার পর আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। তলুইগাছা সীমান্তে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছে তা তিনি তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলেও জানান। তিনি বলেন ঘটনা যাই ঘটুক চোরাপথে কোনো দেশের নাগরিককে সীমান্ত পার হতে দেওয়া হবেনা । এবিষয়ে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।

  • সাতক্ষীরা গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১৯৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, এনিয়ে মোট ১১৬০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

    সাতক্ষীরা গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১৯৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, এনিয়ে মোট ১১৬০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় বিদেশ ফেরত আরো নতুন ১৯৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে গত ৮ দিনে বিদেশ ফেরত সাতক্ষীরার ১১৬০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল আইসোলেশানে রয়েছেন এক জন।
    তবে, বিদেশ থেকে আগত লোকের সংখ্যা গত ১ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ৯ হাজার ৬১৪ জন। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের বাইরে রয়েছে ৮ হাজার ৪ শ’ ৫৩ জন।
    সাতক্ষীরা জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, বিদেশ ফেরতদের ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে,বাড়িতে টানানো হচ্ছে লাল ফ্লাগসহ তাদের হাতে মারা হচ্ছে সনাক্তকরন সিল। এছাড়া বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে সকল পর্যটন কেন্দ্র ও গোহাট। নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেলায় সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত। চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।
    এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশে আটকে থাকা পাসপোর্ট যাত্রীর আসা-যাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও দু দেশেই নতুন করে কোন পাসপোর্ট যাত্রীকে প্রবেশাধিকার না থাকায় যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে।

  • করোনার জন্য প্রস্তুতি

    করোনার জন্য প্রস্তুতি

    মুহম্মদ জাফর ইকবাল

    বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা করোনাভাইরাসের কথা বলে আসছিলাম। আমি বিষয়টাকে কতটুকু গুরুত্ব দেব বুঝতে পারছিলাম না। সাংবাদিকরা এক-দুবার আমাকে করোনাভাইরাস নিয়ে কী করা উচিত, সেটা জিজ্ঞেস করেছেন, আমি যথেষ্ট বিনয় সহকারে বলেছি, আমি এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ নই, কিছু একটা বলে ফেলা উচিত হবে না। জনস্বাস্থ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা কী বলেন সেটাই আমাদের শোনা উচিত।

    এ রকম সময়ে আমার কাছে একটা গ্রাফ এসে পৌঁছেছে। এটা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যার একটা প্লট। বিভিন্ন দেশের তথ্য দেওয়া আছে এবং আমি অবাক হয়ে দেখলাম, সব দেশের রোগী বেড়ে যাওয়ার হার হুবহু এক। শুধু তা-ই নয়, ইতালির সঙ্গে তুলনা করে দেখানো হয়েছে, পৃথিবীর কোন দেশ ইতালি থেকে কত দিন পিছিয়ে আছে এবং সেই দেশগুলোর অবস্থা কত দিনের ভেতর ইতালির মতো ভয়াবহ হয়ে যাবে। আমি একটু বিস্ময় নিয়ে আবিষ্কার করেছি, সত্যি সত্যি তা-ই ঘটতে শুরু করেছে। একটুখানি চিন্তা করার পর বুঝতে পেরেছি, আসলেই তো এটাই ঘটার কথা। করোনাভাইরাসটি অসম্ভব ছোঁয়াচে এবং তথ্য অনুযায়ী আনুমানিক গড়ে ছয় দিনের ভেতর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। এভাবে বেড়ে যাওয়ার হারটার নাম ‘এক্সপোনেনশিয়াল’—বাংলায় ‘জ্যামিতিক হার’। বিজ্ঞান করতে গিয়ে এই গাণিতিক প্রক্রিয়াটি আমাকে অসংখ্যবার ব্যবহার করতে হয়েছে; কিন্তু মজার ব্যাপার, সব সময়ই এটা ব্যবহার করা হয়েছে কমে আসার জন্য। যখনই গাণিতিক সমাধানে এভাবে বেড়ে যাওয়ার সমাধান এসেছে, আমরা যুক্তি দিয়েছি, এটি বাস্তব সমাধান নয় এবং সেই সমাধানটিকে আক্ষরিক অর্থে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। এই প্রথমবার আমি বাস্তবজীবনে একটা উদাহরণ দেখতে পাচ্ছি, যেটা ছুড়ে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না এবং আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে।

    এক্সপোনেনশিয়াল কিংবা জ্যামিতিক হারে বেড়ে যাওয়া একটি খুবই বিপজ্জনক বিষয়। প্রথমে যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়, তখন আলাদা বা বিচ্ছিন্নভাবে এক-দুটি রোগী পাওয়া যায়। তাদের যদি ঠিকভাবে কোয়ারেন্টিন করে সারিয়ে তুলে নেওয়া যায়, তাহলে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। একবার যদি কোনোভাবে এটা এক্সপোনেনশিয়াল বা জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে, তখন সেটা থামানোর কোনো উপায় নেই। শুধু চীন সেটা করতে পেরেছে, ইউরোপের কোনো দেশ পারেনি। সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, হংকং—এই দেশগুলো খুবই বুদ্ধিমানের মতো সময়মতো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে করোনাভাইরাসকে জ্যামিতিক হারে বাড়তে দেয়নি। সারা পৃথিবীতে এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন দায়িত্বহীন দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আমরা এখন আমাদের চোখের সামনে এ দুটি দেশকে সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়ার ফল ভোগ করতে দেখব।

    করোনাভাইরাস এখন আর একটি নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়। এখন এটি সারা পৃথিবীর সমস্যা। সব দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই তথ্যভাণ্ডারে জমা হচ্ছে এবং সবাই সেটা দেখতে পাচ্ছে। তবে একজন সত্যি সত্যি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি না সেটা জানতে হলে একটা জটিল ও খরচসাপেক্ষ পরীক্ষা করতে হয়। (সত্য-মিথ্যা জানি না, খবরের কাগজে দেখেছি, আমাদের দেশে এ পরীক্ষা করার উপযোগী কীট নাকি রয়েছে মাত্র হাজারখানেক) কাজেই এই দেশে এখন খুব ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব বলে মনে হয় না। তাই এ দেশের জন্য আমরা যে সংখ্যাটি দেখছি, তার বাইরেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত কেউ আছে কি না সেটা নিয়েও একটু দুর্ভাবনা থেকে যায়। এ দুর্ভাবনাটা বিশেষ করে শুরু হয়েছে, যখন আমরা দেখতে পাচ্ছি করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাচ্ছে কিংবা বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা বিক্ষোভ করে কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। এই অবিবেচক মানুষ এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনরা দেশের কোনো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্ফোরকের মতো করোনাভাইরাসের রোগী জমা করে যাচ্ছেন কি না সেটি কে বলবে? এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেটে। যখন সবাই ধরে নিয়েছে, সেখানে মাত্র অল্প কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রোগী, তখন আসলে সেখানে কয়েক হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বসে আছে। হঠাৎ করে অনেক মানুষ মারা যেতে শুরু করেছে।

    আমি এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ নই, তবে গণিত, বিজ্ঞান বা পরিসংখ্যান দিয়ে দেখানো সংখ্যা বিশ্লেষণ করতে পারি এবং সেটাই করার চেষ্টা করছি। গত কয়েক দিন এ বিষয়টি নিয়ে লেখাপড়া করে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি যে ‘আমাদের কিছুই হবে না, সব কিছু নিয়ন্ত্রণের মাঝে আছে এবং সব কিছু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে’—এটা ধরে নেওয়া মোটেও ঠিক নয়। আমাদের দেশ গরম এবং এখানে জলীয়বাষ্প বেশি, তাই এই দেশে করোনাভাইরাস টিকতে পারে না, সেটা ভেবে নিশ্চিন্তে থাকাও মনে হয় ঠিক হবে না। কারণ মালয়েশিয়ার তাপমাত্রা ও জলীয়বাষ্পের পরিমাণ আমাদের দেশের মতোই; কিন্তু সেখানেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে। কাজেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, সময়মতো সাহসী ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা হাল ছেড়ে দিয়ে হতাশ হয়ে বসে নেই, তারা সাহায্যের হাত এগিয়ে দিয়েছে, নিজেরা ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ তৈরি করছে, সেটা চমৎকার একটা ব্যাপার। একজন মানুষ বিদেশ থেকে এসে কোয়ারেন্টিনে সময় না কাটিয়ে বাড়িতে চলে এসেছে, সে জন্য প্রামের মানুষ তার বাড়ি ঘেরাও করে ফেলেছে, সেটাও একটা ভালো লক্ষণ। বোঝা যাচ্ছে, মানুষ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিগুলোও সময়মতো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অসংখ্য অনুষ্ঠান কোনো রকম ভাবাবেগ ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে—সেটি অনেক বড় দায়িত্বশীল একটি ঘটনা। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সব রোগী বিদেশ থেকে আসছে, তাই সব ফ্লাইটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই পৃথিবীতেই অনেক দেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, তাই চাইলে আমরাও নিশ্চয়ই পারব। একটা ঘূর্ণিঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ তছনছ হয়ে যায়; কিন্তু আমরা ঠিকই সেটা সামলে উঠে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাই। তবে ‘আমরা কিছুই করব না, নিজে নিজেই সব কিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে’—সেটা কেউ যেন বিশ্বাস না করে। সামনের কয়েকটি সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়, এই সময়ে জাতি হিসেবে আমরা কতটুকু দায়িত্বশীল তার একটা প্রমাণ আমরা পেয়ে যাব।

    সারা পৃথিবী যখন একটা বিপদের সম্মুখীন, তখন আমরা নিরাপদে থাকব—সেটা কেউ আশা করে না। তবে এ ভাইরাসে শতকরা ৮০ জনের উপসর্গ হয় খুবই সামান্য। বিশেষ করে অল্প বয়সী শিশুদের বিশেষ কোনো সমস্যা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। কাজেই আতঙ্কের কোনো বিষয় নেই; তবে অবশ্যই সতর্কতার ও প্রস্তুতির বিষয় আছে। প্রস্তুতিটির কথা সবাই জানে, সেটি হচ্ছে—সামাজিকভাবে নিজেকে পুরোপুরি আলাদা করে ফেলা।

    আমরা জানি, ইউরোপের দেশগুলোতে করোনাভাইরাস ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার একজন গবেষকের লেখার একটি অংশ এ রকম—

    ‘করোনাভাইরাস তোমার দিকে এগিয়ে আসছে। এটি ছুটে আসছে এক্সপোনেনশিয়াল গতিতে। প্রথমে ধীরে ধীরে, তারপর হঠাৎ করে। এটি আর মাত্র কয়েক দিনের ব্যাপার কিংবা বড়জোর কয়েক সপ্তাহের। যখন এটি আসবে, তখন তোমার হাসপাতাল, ক্লিনিক থমকে যাবে। তোমার দেশের মানুষের তখন চিকিৎসা হবে হাসপাতালের মেঝেতে, করিডরে। অতি পরিশ্রমে ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত হয়ে যাবে ডাক্তার-নার্স। অনেকে মারা যাবে। তাঁদের তখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অক্সিজেন দেবে আর কাকে মারা যেতে দেবে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একটি মাত্র উপায়, সেটা হচ্ছে আজকেই নিজেদের সামাজিকভাবে আলাদা করে ফেলা। আগামীকাল থেকে নয়। আজকেই।

    তার অর্থ হচ্ছে, যত বেশি মানুষকে সম্ভব ঘরের ভেতর রাখা। এখন থেকেই!’

    আমরা অবশ্যই চাই, আমাদের অবস্থা যেন ইউরোপের মতো না হয়। আমরা চাই সবাই দায়িত্বশীল হয়ে যেন এই বিপর্যয় ঠিকভাবে কাটিয়ে উঠতে পারি।

    লেখক : কথাসাহিত্যিক। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

    সুত্র: দেশ-বিদেশ

  • করোনায় আক্রান্ত হওয়ার নতুন আরেক লক্ষণ চিহ্নিত

    করোনায় আক্রান্ত হওয়ার নতুন আরেক লক্ষণ চিহ্নিত

    নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার যেসব লক্ষণ এতদিন ধরে বলা হচ্ছিল; তার সঙ্গে এবার আরও একটি লক্ষণ যোগ হয়েছে। ঘ্রাণশক্তি লোপ পাওয়ার এই লক্ষণেও চেনা যাবে করোনায় আক্রান্তকে।

    ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য নতুন এই লক্ষণের কথা জানিয়েছে বলে রোববার বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

    স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সর্দি, হাঁচি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথা ছাড়াও করোনায় আক্রান্তরা ঘ্রাণশক্তিহীন হয়ে পড়েন। কোনও বস্তুর ঘ্রাণ পান না তারা। তবে ব্যাপারটি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।

    ফ্রান্সের স্বাস্থ্য সেবার প্রধান জেরোমি সালমন বলেন, যাদের নাক বন্ধ নয় বা এ রকম কোনও রোগ নেই কিন্তু হঠাৎ করে কিছুর ঘ্রাণ পাচ্ছে না তারা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন।

    তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে ব্যাপকহারে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে আক্রান্ত অনেকের অন্যসব লক্ষণ নেই কিন্তু তারা ঘ্রাণশক্তি হারাচ্ছেন।

    গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে; এরপর তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই মহামারিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজারের বেশি মানুষের; আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে।

    সূত্র: সমকাল