স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ৩ হাজার ৫৬৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৫৬৮ জনকে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আসোলেশনে রয়েছে ৪ জন ও যুবউন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে আরো ৭ জন। এছাড়া, সাতক্ষীরা জেলা থেকে মোট ২৯৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ১৫৩ টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ সাতক্ষীরা জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।
তবে, যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোশিয়ান মাহমুদুর রহমান সুমন ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে সেখান থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তিনি তার সাতক্ষীরা শহরের বাড়িতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তানসহ তার ১৬ জন নিকট আতœীয়ের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ
Category: করোনা ভাইরাস
-
সাতক্ষীরায় ৩ হাজার ৫৬৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ২৯৯ জনের নমুনা সংগ্রহ :যশোর থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় রয়েছেন একজন
-

জেলা করোনা কমিটি সিদ্ধান্ত
প্রেসরিলিজ: এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আজ জেলা করোনা কমিটি এই মর্মে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, আগামীকাল হতে জেলার বাইরে থেকে এসে কোন লোক সাতক্ষীরা জেলায় তার কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেনা এবং এ জেলা থেকে বাইরের কোন জেলায় কাজ করতে যেতে পারবেনা। তাঁকে তাঁর নিজস্ব কর্মক্ষেত্র এলাকায় অবস্থান করে অফিস আদালত, চিকিৎসাসহ অন্যান্য কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে জেলা পুলিশ সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত চেকপোষ্ট জোরালো করেছে। আগামীকাল থেকে জেলা পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং তাদের সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চেকপোষ্টে দায়িত্ব পালন করবেন। জেলার সকল সরকারি, বেসরকারি অফিসসহ কর্মক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি তাঁর অধস্তন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন কর্মকর্তা কর্মচারীকে অবহিত করবেন। চেকপোষ্টে কেউ আটক হলে তাঁর দায়িত্ব উক্ত অফিসকে নিতে হবে। কৃষি শ্রমিকগণ এ ঘোষণার বাইরে থাকবে, তারা যদি কৃষি কাজের জন্য বা ধান কাটতে জেলার বাইরে যেতে চায় তাহলে চেকপোষ্টে কর্মরত কর্মকর্তাগণ তাদেরকে সহায়তা করবেন। জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সকলকে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এস এম মোস্তফা কামাল
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
সাতক্ষীরা
-

করোনাকাল
মো. আহাদ উল্লাহ
যিনি একজন ডাক্তার এবং সাথে যদি অধ্যাপক লেখা থাকে উনি এই করোনাকালের মূহুর্তে মেজর জেনারেলের মতো দায়িত্ব পালন করার কথা। সমস্ত সম্মানীত অধ্যাপকেরাই এই যুদ্ধের নেতৃত্বে থাকার কথা। সচিব, মন্ত্রী, সরকার এরা শুধুই রসদ সরবরাহ করবে। ৮মার্চের আগেই বাংলাদেশ উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে সতর্ক বার্তা দিয়েছিল WHO. আশ্চর্যের বিষয় হলো ৪৫দিন পরে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি হয়েছে মেডিঃ অধ্যাপকদের নিয়ে। বলেছিলাম সরকার করোনার পিছু পিছু হাটছে, এইভাবে হেটে দেড় হাজার মাইল পিছনে পড়ে গেছে। এখন দৌড়াচ্ছে। আইইডিসিআর-এর দুই দুইজন রোগতত্ত্বের অধ্যাপক দিয়ে কতজনের কাশি হল, জ্বর হলো, গলা ব্যথা হলো, মারা গেলো, দুঃখ প্রকাশ এগুলো বলাচ্ছে। ব্রিফিংয়ে যে কি মজা পাইলো, রিজভী সাহেবের মতো। মাঝে মাঝে মন্ত্রী মহোদয়ও বুলেটিন পড়ছেন। মাননীয় মন্ত্রী হচ্ছেন এ যুদ্ধের জেনারেল। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব স্পোকম্যান হতে পারতেন সাথে বিটিভি থেকে দুজন ঘোষক নিতে পারতো। মনে হচ্ছে কোথাও একটি সমস্যা আছে। আসলে সংবাদ দেয়ার বা পাঠ করার জন্য অধ্যাপকদের এখন সময় নয় বা মানায় না। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (IEDCR) যে জনবল তাতে এই করোনা যু্দ্ধের জন্য প্রাথমিকভাবে ঠেকিয়ে রাখার জন্য একটি পদাতিক ডিভিশন দরকার। এই প্রতিষ্ঠানটি স্রেফ একটি বিগ্রেডের মতো, অনেক প্রকার বিগ্রেড ও রেজিমেন্ট নিয়ে তো একটি ডিভিশন। যেমন সেনা বাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন, সাভার। এই ডিভিশন শুধু ঢাকাকে রক্ষা করবে, তার জন্য সব আছে তাদের। তো, সারা দেশ! iedcr এরাতো সারাদেশে রোগ/রোগী চিহ্নিত করার ও গবেষণা করার একচ্ছত্র দায়িত্ব নিয়েছে, আর কেউ করবে না। বড় সমস্যা এই জায়গায়। এখন হযবরল। হ্যা সরকারী ভাবেই হবে, প্রতিটা সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে অঞ্চল ভাগ করে গাইড লাইন দিয়ে আগেই প্রস্তুত করা যেত। তা করা যেত, করবে না। এখন গলায় কাটা আটকে গেছে, বিড়ালের পা ধরবে, মাসিকে গিয়ে বলে আসবে, মুটি মুটি সাদা ভাত গিলেও তো হবে না। সারাদেশে ডাক্তাদের বডিল্যাঙ্গুয়েজ দেখে তাই মনে হয়। আমাদের যেহেতু চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত নয়, স্যাম্পল টেস্ট করেই কন্ট্রোল করে ফেলা যেত।
দঃ কোরিয়া জার্মানির রাস্তার গাড়ী চালকের পর্যন্ত স্যাম্পল নিয়ে রেন্ডম টেস্ট করে ভাল ও আক্রান্তদের আলাদা করে সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ভয়ের বিষয় হলো যাকে টেস্ট করা হলো এবং সে পজেটিভ হলো- সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশন ( সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া) করার কথা। টেস্ট করার আগের সমস্ত কন্ট্রাক্ট পারসন কে কে ছিল! এই প্রশ্নের উত্তরটা আইইডিসিআর দিচ্ছে না। বলছে কোয়ারান্টাইন (যে সময় পর্যন্ত রোগ সংক্রামণ আশঙ্কায় পৃথক রাখা হয়)এর কথা। সেটা কে বাস্তবায়ন করবে। যদি করেই থাকে ছড়ালো কেন? পুলিশ মিলিটারি দায়ী? প্রশাসন?
দায়টা আমাদেরও নিতে হবে। পুলিশ ঘরে ঢুকিয়ে গেলো, বসে রইলাম। আরে! মনে হল পুলিশের কাঁধে তো পুরানো বন্দুক! ধূররর! এ বন্দুকের গুলি ফুটে না, কিছুই করতে পারবে না। সামনে একজন সাংবাদিক বা ক্যামেরাম্যান থাকলে তো কথাই নেই। পিটাবে দূরের থাক, দুইহাত জোড় করে বলবে ঘরে যান, বাবা ঘরে যান। মজাই আলাদা! পাবলিক মজা লুটছে!
এদিকে ফেসবুকাররা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে এক ভিক্ষুককে নিয়ে। আরে! লোকটি পুঁজিবাদী বিশ্বের সব খবর রাখে। সে তো জানেই ইনভেস্ট একটা করলে প্রণোদনা পাবেই। তো পেয়েছে। কোটিপতিরা যেরকম পাবে, হাজার হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা।
মেম্বার, চেয়ারম্যান, ডিলার সবই তো চলতি সরকারের দলীয় লোক। কোনোভাবে হয়তো জেনে গেছে শেখের বেটি তাদের কোনো প্রণোদনা দিবেন না। তাই নিজেরাই চাল ডাল তেল নুন যা পারছে নিজ হাতে প্রণোদনা নিয়ে নিচ্ছে। ভাগে যারা কম পেয়েছিল তারাই পুলিশকে বলে দিয়েছে; করোনাকাল যাক টের…। চলবে…।
পুনশ্চঃ সারা গিলবার্টের টিকা সফল হলে কিরকম হবে এই গ্রহ ? পুরুষতান্ত্রিকদের মহিষ শক্তির দাপটওয়ালা, ওয়াজআলাদের চেহারা, স্বৈরাচারী শাসকদের ফরমান কোথায় যায়, সেটাও করোনাকালের মধ্যে হিসাবটা সবাই লিখে রাখবেন যেহেতু গিলবার্ট একজন নারী।(+ প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের গণসাংস্কৃতিক বিভাগের দায়িত্বে)
-

কোভিড-19 পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা
সম্মানিত জেলাবাসী,
আপনারা হয়তো জেনেছেন সাতক্ষীরা জেলার সদরে একজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত যশোরের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে চাকরি করতেন এবং সাতক্ষীরা থেকে যাতায়াত করতেন। গতকাল যশোরে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে সাতক্ষীরা চলে আসেন। আজ সকালে তার করোনা পজিটিভ হয়েছে মর্মে সিভিল সার্জন আমাকে জানিয়েছেন। আমি আক্রান্তের সাথে কথা বলেছি। সে যেন মানসিকভাবে চাঙা থাকে দুশ্চিন্তা না করে বা নিজেকে দোষারোপ না করে সে পরামর্শ দিয়েছি। বলেছি তোমার পাশে আছি। তুমি দ্রুত আরোগ্য লাভ করবা। ইতোমধ্যে ঐ বাড়িসহ তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে। যেহেতু তিনি একটি আক্রান্ত জেলায় হাসপাতালে চাকরি করতেন সে কারণে তার আক্রান্ত হওয়া খুব স্বাভাবিক। তদুপরি আমি সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকা বা খুলনায় তার পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে।
প্রিয় জেলাবাসী এ সংবাদে আতঙ্কিত না হয়ে অধিক সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। মনে রাখতে হবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ আজ আক্রান্ত বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা আক্রান্ত হয়েছে। তবে এটা ঠিক আমরা সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা নেওয়ার পরও অসচেতনতার জন্য আজ আমরা এমন সংবাদের মুখোমুখি। আমাদেরকে আরো সমন্বিতভাবে কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলা করতে হবে। আমি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই। আইডিসিআর কি বলে এবং কিভাবে চিহ্নিত করে তা দেখে আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আপনাদের অবহিত করবো।
জেলা প্রশাসক
সাতক্ষীরা
-

সাতক্ষীরায় এই প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রুগি সনাক্ত
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় এই প্রথম এক মেডিকেল টেকনোশিয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়িসহ তার আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে এবং টানানো হয়েছে লাল পতাকা বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি আরো জানান, একই বাড়িতে বসবাসকারী তার বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আক্রান্ত ব্যক্তি শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা ও যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোশিয়ান। তিনি প্রতিদিন সাতক্ষীরা থেকে শার্শায় গিয়ে অফিস করতেন। সেখানে তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে যশোর পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করান। আজ সকালে তার মেডিকেল রিপোর্ট পজেটিভ আসে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবরে জেলা শহরের সাধরন মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে -

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু, তার বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তথ্য গোপন করে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুবরণকারী যুবকের নাম হারুনার রশিদ সুমন (২৬)। সে কালিগঞ্জ উপজেলার ১০নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের কাঁমারগাতী গ্রামের ছবেদ আলী সরদারের ছেলে। সম্প্রতি সে ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসে। সেখানে একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তার বাড়িসহ তার আশে,পাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন কনরা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৫দিন আগে ওই যুবক ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি আসে। তার জ্বর ও কাশিকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হলে শুক্রবার গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সদর হাসডাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই যুবকের কাছে বারবার তার সাম্প্রতিক ইতিহাস জানার চেষ্টা করলেও সে ও তার আত্মীয় স্বজন মিথ্যা বলে আসছে। পরে মারা যাওয়ার পর তার আত্মীয় স্বজনরা বলছেন সে সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে। তথ্য গোপন না করলে তাকে করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো যেতো । এ নিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মৃতবরনকারী যুবকসহ তার স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে তার বাড়িসহ তার আশে পাশের ৬ টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। -

গণস্বাস্থ্যের কিটের ফলাফল ‘ওয়ান্ডারফুল’
করোনা ভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের ফলাফল ‘ওয়ান্ডারফুল’ বলে মন্তব্য করেছেন এর টাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বলেন, আক্রান্ত রোগীর রক্ত দিয়ে কিট পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল ওয়ান্ডারফুল। সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সরকারকে কিট হস্তান্তর করা হবে আনুষ্ঠানিকভাবে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) গণস্বাস্থ্যকে করোনা রোগীর রক্ত সরবরাহ করা হয়। আমাদের উদ্ভাবিত কিট পরীক্ষায়ও যার ফলাফল পজেটিভ পাওয়া যায়।
এর আগে মঙ্গলবার জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করছে না। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরে গণস্বাস্থ্যের প্রতিনিধি বসে থাকলেও তাদের করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, পরে মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করা হলে রক্ত সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়।
-
সাতক্ষীরায় ২ হাজার ৫৪৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ২৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ,
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ২ হাজার ৫৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৫২৬ জনকে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আসোলেশনে রয়েছে ২ জন এবং যুবউন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে আরো ৭ জন।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা থেকে মোট ২৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ৭৭ টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। বাকীদের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। -

প্রেস নোট : সাতক্ষীরা-সবাই করোনা নেগেটিভ
Inbox x 
এখন পর্যন্তঃ
বিশ্ব বাংলাদেশ আক্রান্ত ২৫,৮৬,৯৬৬ ৩773 মৃত ১,৭৯,৯৪৭ ১20 সুস্থ ৭,০৫,৮১৪ 92 সুত্রঃওয়ার্ল্ডোমিটার তারিখঃ ২৩/৪/২০২০ সময়ঃ সকাল ১১ টা সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ২60 জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। 66 জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসায় ০৩ টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮ টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০ টি নেবুলাইজার প্রস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ১০০ টি বিছানা প্রস্তুত রয়েছে।
১ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারা বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রায় ১১,২৪৮ মানুষ সাতক্ষীরায় এসেছিলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের বাড়িতে লাল পতাকা এবং স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ১১,২৪৮ লোকের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছিল। জেলা পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছিল।
কোভিড-19 পরিস্থিতি (২3/৪/২০20)
ক্রমিক নং পূর্বদিন পর্যন্ত সংখ্যা বর্তমান তারিখে সংখ্যা মোট সংখ্যা মন্তব্য ১. আক্রান্ত 0 0 ২. বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন 8460 3059 11519 ৩. প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ৩০৯৬ ০ 340 ৪. আইসোলেসন ৫ ০ ৫ ৫. কোয়ারেন্টাইন/আইসোলেসন থেকে ছাড়প্রাপ্ত 12,724 677 13401 ৬. আরোগ্যলাভকারী 0 0 0 ৭. মৃত্যুবরণকারী 0 0 0 ৮. ১ মার্চ ২০২০ থেকে বিদেশ প্রত্যাগত 11248 0 11248 ৯. ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তি 11248 0 11248 লাল পতাকা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে গত ১৪ দিনে নারায়নগঞ্জ, মাদারিপুর এবং শরিয়তপুর থেকে লক ডাউনের মধ্যেও ১২ হাজারের বেশি মানুষ সাতক্ষীরা জেলাতে এসেছে। যারা ফিরে আসছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩40 জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং অন্যান্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১২ জন, শ্যামনগর উপজেলায় 15৯ জন, আশাশুনি উপজেলায় 64 জন, দেবহাটা উপজেলায় 75 জন, তালা উপজেলায় 30 জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। আজ যারা এসেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক নিজে গত ৪ দিনে সকল উপজেলায় গিয়ে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছেন। নতুন আগত সকলের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের ব্যবস্থা নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে গ্রাম কমিটি গঠনের মাধ্যমে ঐসকল জেলা থেকে বাড়িতে আগত ব্যাক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন জোরদার করতে জেলা প্রশাসক নির্দেশনা দিয়েছেন।
উপজেলার নাম প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টাইন হোম কোয়ারিন্টাইন আশাশুনি 64 ৪১৮৭ দেবহাটা 75 ৪৯৩ কালিগঞ্জ 0 ১৮৭০ শ্যামনগর 159 ৩৭৬৭ কলারোয়া 1 ২০২ তালা 30 ১০০০ সদর 12 0 মোট 340 ১১৫১৯ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে আজ পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলাতে মোট বরাদ্দ পাওয়া গেছে ১১০০ মেঃ টন চাল, নগদ৫০,৫০,০০০/- টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য পাওয়া গেছে ১০,০০,০০০ টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ হতে বিতরণঃ
উপজেলা খাদ্য সহায়তা নগদ অর্থ শিশু খাদ্য প্রাপ্য পরিবারের সংখ্যা মন্তব্য ১ ২ ৩ ৪ ইতোমধ্যে ৮4,5০০ পরিবারকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 1. সাতক্ষীরা সদর 179 মেঃ টন 7,13,500/- 1,75,228/- ১79০০ 2. কলারোয়া 105 মেঃ টন 5,20,000/- 99,724/- 1০5০০ 3. তালা 122 মেঃ টন 5,92,000/- 1,01,724/- ১22০০ 4. আশাশুনি 113 মেঃ টন 5,93,000/- 1,01,435/- 113০০ 5. দেবহাটা 76 মেঃ টন 4,07,000/- 74,793/- 76০০ 6. কালিগঞ্জ 113 মেঃ টন 5,69,500/- 1,01,724/- 113০০ 7. শ্যামনগর 134 মেঃ টন 6,35,000/- 1,75,228/- ১3৪০০ 8. সাতক্ষীরা পৌরসভা 118 মেঃ টন 5,72,000/- 1,20,129/- 118০০ 9. কলারোয়া পৌরসভা ৪0 মেঃ টন 1,48,000/- 49,862/- 40০০ 10. মোট 1000 মেঃ টন 47,50,000/- 9,99,847/- 1,00,0০০ অবশিষ্ট ১০০ মেঃটন ৩,০০,০০০/- ১৫৩/- মোট ১১০০মেঃটন ৫০,৫০,০০০/- ১০,০০,০০০/- সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিসে ত্রাণ তহবিল খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের…
-

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগ হতে জাসদকে ৫হাজার মাস্ক প্রদান
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের পক্ষ থেকে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদকে পাঁচ হাজার মাস্ক প্রদান করা হয়েছে। জাসদের যুগ্ম সাধারণ আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম ও দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার ২৩ এপ্রিল ২০২০ সকাল ১০টায় বারিধারাস্থ চীনা দূতাবাসের মি. ফেংসহ উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মাস্কের প্যাকেটগুলো গ্রহন করেন।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, চীনের সরকার, চীনের জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, চীন নিজ দেশের করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের জনগণ ও দেশগুলির পাশে দাড়িয়ে সমানতালে বৈশ্বয়িক দায়িত্বও পালন করছে। তারা বলেন, চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এই বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভাতৃত্বপূর্ণ সর্ম্পক চিরদিন অটুট থাকবে। জাসদ এই মাস্কগুলি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামনের কাতারের যোদ্ধা ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে পৌছে দিবে। -
অবশেষে বেতন পেল জাতীয় ক্রিকেটার সাকিবের কাকড়া ফার্মের শ্রমিকরা
স্টাফ রিপোটার ঃ নানা জল্পনা কল্পনা শেষে অবশেষে বেতন পেল সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীতে প্রতিষ্ঠিত জাতয়ি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের শ্রমিকরা।
বুধবার বিকালে ১৫০জন শ্রমিকের যাবতীয় পাওনা হিসেবে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। যার সম্পূর্ণটাই সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে সেখানে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে মধ্যস্থতা করেন সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল ফেডারেশন ও সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরু হক, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিল্টন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্সসহ চিংড়ি বাংলা একাডেমির তিনজন কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি মিডিয়ায় আসলে ঢাকা থেকে একজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল ফেডারেশন ও সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হকের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি দেখভাল করার অনুরোধ জানান। নির্দেশনা পেয়ে তিনি মঙ্গলবার সাকিবের কাকড়া ফার্মে যান এবং সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে আসেন। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো তিনি সেখানে যান এবং ১৫০জন শ্রমিককে ডেকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেন। এসময় সেখানে ফার্মের তত্ত্বাবধায়ক সগীর হোসেন পাভেল ও ম্যানেজার সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত ঃ ২০১৬ সালে আইলা বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে বুড়িগোয়ালিনীতে রপ্তানিমুখী কাকড়া ফার্ম গড়ে তোলেন সাকিব। গত ৪ বছর ভালই চলেছে। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কাকড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। গত জানুয়ারিতে সর্বশেষ বেতন পায় শ্রমিকরা। এর মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য কয়েকবার দিনও পরিবর্তন করে ফার্ম সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল বকেয়া পরিশোধের জন্য সময় নিয়েছিল তারা। এর মধ্যে হঠাৎ সোমবার (২০ এপ্রিল) বকেয়া পরিশোধের দাবিতে ফার্মের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। যা ভিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে, শ্রমিকদের পাওনার বিষয়ে কিছুই জানতেন না সাকিব আল হাসান। যা তিনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান দিয়েছেন। -

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা নিবেদিত হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা : ভেন্টিলেশন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, নিবুলাইজার প্রস্তুত
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসায় ০৩ টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮ টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০ টি নিবুলাইজার পস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা নিবেদিত হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ১০০ টি বিছানা প্রস্তুত রয়েছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এনজিও উত্তরণের সহায়তায় সাতক্ষীরার জেলা ও উপজেলার হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। আজ সকালে এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
-

নরসিংদী থেকে সাতক্ষীরায় আসা ১৭০ জন ইটভাটা শ্রমিক আটক, পাঠানো হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে
স্টাফ রিপোটার ঃ নরসিংদীর ইটভাটায় কর্মরত ১৭০ জন শ্রমিক ট্রাক যোগে সাতক্ষীরার আসার সময় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের সদর হাসপাতাল মোড় থেকে ৬টি ট্রাকে থাকা ১৭০ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের সবাইকে শ্যামনগরের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
তাদের সবারই বাড়ি জেলার শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে নারায়নগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও নরসিংদিসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গত এক সপ্তাহে সাতক্ষীরায় জেলায় প্রায় ১২ হাজারের মত মানুষ প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৪৭ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ও বাকীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৭০ জন ইটভাটা শ্রমিককে শ্যামনগরের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে শ্যামনগরের ইউএনওকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। -
সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ৩ হাজার ৫৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে, ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৪৩২ জনকে, জেলায় মোট ২৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ৩ হাজার ৫৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৪৩২ জনকে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আসোলেশনে রয়েছে ৬ জন এবং যুবউন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে আরো ৭ জন।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা থেকে মোট ২৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ৩৫ টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। বাকীদের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। -
সাতক্ষীরায় জ্বর ও শ্বাস কষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু, জেলা ব্যাপী আতংক, বাড়ি লক ডাউন, নমুনা সংগ্রহ
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় জ্বর ও শ্বাস কষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা পশ্চিম পাড়ায় আব্দুর রহিম নামের এক নৈশ প্রহরী ও আশাশুনির কাকবাশিয়া গ্রামের রেজাউল করিম নামের এক কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের দুই জনেরই নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, জেলায় একদিনে দুই জনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা ব্যাপী আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
মৃত নৈশ প্রহরী আব্দুর রহিম তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা পশ্চিম পাড়ার ওমর আলী গাজীর ছেলে ও কলেজ শিক্ষক রেজাউল করিম আশাশুনির কাকবাশিয়া গ্রামের মৃত ফজর আলী গাজীর ছেলে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শওকত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য তাদের দু জনেরই নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আশাশুনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে জানাযা শেষে কলেজ শিক্ষক রেজাউল করিমের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। তিনি আরো জানান, ওই কলেজ শিক্ষকের বাড়িটি বর্তমানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, আপাতত ওই নৈশ প্রহরীর বাড়ির সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। -

১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে বাড়িতে ফিরলেন ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে আসা ১৩ বাংলাদেশী
স্টাফ রিপোটার ঃ দিনভর ভারতে ঘোজাডাঙ্গা জিরোপয়েন্টে অপেক্ষা শেষে গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে দেশে আসা ১৩ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী অবশেষে বাড়িতে ফিরলেন। তারা দীর্ঘ ১৪ দিন যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে আজ দুপুরে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল প্রধান মন্ত্রীর দেয়া উপহার খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেন। পরে তাদের জেলা প্রশাসনের একটি মাইক্রোবাস যোগে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ বদিউজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত, ডাঃ জয়ন্ত সরকার ও ডাঃ সাইফুল্লাহ আল-কাফি।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদেরকে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। -

সিরিয়া যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে তখন দেশটির তেল চুরি করছে আমেরিকা
আর্ন্তজাতিক ডেক্স:
আরবি ভাষী ডিজিটাল সংবাদপত্র রাই আল-ইয়োমে প্রকাশিত মতামতমূলক নিবন্ধে এ কথা তুলে ধরেন প্রবীণ সাংবাদিক আবদেল বারি আতওয়ান। তেল চোরাচালানে সহায়তাকারী স্থানীয়রা শেষ পর্যন্ত কামানের খোরাকে পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ফোরাত নদীর পূর্বাঞ্চলে সিরিয় তেল ক্ষেত্রগুলার ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলা। তাদের সঙ্গে এ তৎপরতা যোগ দিয়েছে আমেরিকার স্থানীয় মিত্ররাও।
তিনি আরও জানান, সিরিয়ার আল-হাসাকাহ্ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, কুর্দিস সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স বা কুর্দি সিরিয় গণতান্ত্রিক বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যদের নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে প্রচারণা শুরু করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ।
এ বাহিনী সিরিয়ার তেল ক্ষেত্রগুলোকে তাদের ভাষায় পাহারা দেবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলে ইউএস-এসডিএফের তেল চোরাচালান কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয় সে পদক্ষেপও নেবে। বিনিময় এ বাহিনীর সদস্যদের মাথাপিছু সাড়ে তিনশ’ ডলার সমপরিমাণ বেতন দেয়া হবে।
তেল চোরাচালান তৎপরতার লাভের অংকের বখরা প্রধানত পাবে ইরাকের কুর্দি শাসিত অঞ্চল, ঠিকাদার গোষ্ঠী এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের কিছু কোম্পানি।
আতওয়ান মনে করিয়ে দেন যে, সিরিয়ার তেল ও গ্যাসের কূপগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার বিষয়টি নির্লজ্জ ভাবেই প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এই তেল ক্ষেত্রগুলো যেন দায়েশ বা আইএসআইএল গোষ্ঠীর হাতে বা দামেস্ক সরকারের হাতে না পড়ে তা থেকেই রক্ষা করতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিরিয়া সরকার এ সব তেল-ক্ষেত্রের বৈধ মালিক হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে বঞ্চিত রাখতে আদা-পানি খেয়েই নামেন ট্রাম্প ও তার প্রশাসন।
কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলীয় সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি আত তানফ থেকে কয়েক ডজন সশস্ত্র সদস্য পক্ষত্যাগ করেছেন। আতওয়ান ধারণা করেন এর মধ্য দিয়ে আমেরিকার জন্য ভবিষ্যতে কি দাঁড়াবে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইরানের কুদস বাহিনীর সাবেক প্রধান কাসিম সোলাইমানি এবং ইরাকের জনপ্রিয় হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদিকে হত্যার পর গোটা অঞ্চলে মার্কিন বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে পৌঁছেছে। এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ইরাকি সংসদ সর্বসম্মত ভাবে সে দেশ থেকে মার্কিন ঘাঁটি সরিয়ে নেয়ার বিল পাস করেছে।
আর এ প্রেক্ষাপটে আতওয়ান বলেন, মার্কিন বাহিনী পরিশেষে এ অঞ্চল থেকে ভেগে যেতে বাধ্য হবে। বাগদাদের উত্তরে কিরকুক বা কে ১ এবং আত-তাজি ঘাঁটি থেকে যে ভাবে ভেগেছে একই ভাবে অবশেষে এই অঞ্চল ছেড়েও মার্কিনীদের পালিয়ে যেতে হবে। আর ফোরাত নদীর পূর্বাঞ্চলে সিরিয় তেল কূপগুলোর ওপর অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রতিষ্ঠা হবে দামেস্কের কর্তৃত্ব ।
তেল চোরাচালানে সহায়তাকারী কোনও কোনও কুর্দি গোষ্ঠীর কপালে কি জুটবেও সে কথা ব্যক্ত করেন খ্যাতনামা এ সাংবাদিক। তিনি বলেন, এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক মার্কিন সমর্থনের ওপর ভরসা করে কিছু কুর্দি গোষ্ঠী সিরিয়ার তেল চোরদের ভাড়াটে বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা অতীত থেকে কোনও শিক্ষা নেয় নি। তেল চুরির মার্কিন নিল নকশায় অংশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা কামানের খোরাকে পরিণত হবে।
সুত্র: এখন সময় :রবিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২০
