Category: আবহাওয়া

  • অস্বস্তিকর গরমের দুই কারণ চিহ্নিত

    অস্বস্তিকর গরমের দুই কারণ চিহ্নিত

    ডেস্ক রিপোর্ট : গরমে যেন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাপমাত্রার পারদ যতটুকু দেখায়, তার চেয়ে ঢেরে বেশি উত্তাপ অনুভূত হয়। হাঁসফাঁস এই পরিস্থিতির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন নানা বয়সী মানুষেরা। অস্বস্তিকর এই গরমের দুই কারণ চিহ্নিত করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তাদের মতে, এখন যেরকম গরম পড়েছে তার প্রধান কারণ বাতাসের আর্দ্রতা। পাশাপাশি বৃষ্টি কম হওয়ার কারণেও এই দুরবস্থা। বর্ষা আসার আগেই কালবৈশাখীর কারণে গত বছর আবহাওয়া এতটা চরম অবস্থায় ছিল না। সে তুলনায় এবার বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। এই কারণেই এতটা গরম পড়েছে।
    গত বছর (২০২২ সালে) ৪ জুন দেশে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটেছিল। জ্যৈষ্ঠ মাসেই চলে এসেছিল বর্ষা। সে হিসেবে এবার সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে ১০ জুন। একেবার আষাঢ় মাসেই বর্ষার আগমন ঘটবে বলে মনে করছে আবহাওয়া অধিদফতর। তারা বলছে, ঋতুর পালাবদলের এই সময়টা খুব নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তো আছেই। সব মিলিয়ে বর্ষা এবার যেমন কিছুটা দেরিতে আসছে, তেমনি বৃষ্টি কম হওয়ারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
    আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ বছর বাতাসের আর্দ্রতা এত বেশি যে মানুষের শরীরে ঘাম বেশি হচ্ছে। সহজে শুকাচ্ছে না। এজন্য অস্বস্তিকর এক গরম অনুভূত হচ্ছে।
    আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী জুনের প্রথম সপ্তাহেই আসার কথা ছিল মৌসুমি বায়ুর। কিন্তু এখন তারা জানাচ্ছে, দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের উপকূলে আসবে এটি। এদিকে সারা দেশে এই বায়ুর বিস্তার লাভ করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। সেই হিসাবে তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ সারা দেশে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তবে তার আগে ১০ জুন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হবে। এতে কমে আসবে তাপমাত্রা।
    তবে আবহাওয়া অফিস থেকে এটাও জানানো হয়েছে, পুরো বর্ষা শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই গরম পুরোপুরি কমবে না। কারণ যে পরিমাণ তাপপ্রবাহ হচ্ছে তাতে মাটির উষ্ণতা অনেক বেড়ে গেছে।
    এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসেও বলা হয়, জুন মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে।
    এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
    তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট বিভাগসমূহ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
    তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকায় তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

  • তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে

    তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে

    মশাল ডেস্ক : আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে । তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
    আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী এবং সৈয়দপুর জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং সিলেট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, চাদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ সমূহের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদুু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
    পরবর্তী দু’দিনে সারাদেশের চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ডিমলায় ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  
    আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্ট হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে
    আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
    পূর্বাভাসে আরও বলা হয়,পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।
    ঢাকায় আজ দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ।
    ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৪২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ১১ মিনিটে।

  • ঢাকায় ১০২ কি.মি. বেগে কালবৈশাখী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির আভাস

    ঢাকায় ১০২ কি.মি. বেগে কালবৈশাখী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির আভাস

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে যাচ্ছেন এক তরুণী। ছবিটি ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে তোলা- ফোকাস বাংলা

    রাজধানীতে ১০২ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, বিকেলে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ১০২ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায়। তবে আগারগাঁওয়ে ঝড়ের গতি রেকর্ড করা হয়েছে ৭৪ কিলোমিটার। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাত ৯টায় ঝড় থেমে গেলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।

    আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় আগামী সাত ঘণ্টার জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত বয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহ বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করতে শুরু করবে। এটি টেকনাফ হয়ে সাধারণত প্রবেশ করে। অনেক সময় ৪-৫ দিন সময় লেগে যায়। এই মৌসুমি বায়ু প্রবেশের কারণে ঝড়টা কমে যাবে। বৃষ্টি দীর্ঘক্ষণ হবে। এখন যেমন অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হয় তখন হালকা বৃষ্টি হবে অনেক সময় ধরে। এখন যেমন কোন স্টেশনে ৪০-৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় তখন এটি ২০০ বা ৩০০ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি পরিমাণ হবে।  

  • দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে : নেই কোন সতর্ক সংকেত

    দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে : নেই কোন সতর্ক সংকেত

    ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
    আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। 
    আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ডিমলায় সর্বোচ্চ ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। 
    এছাড়া রাজারহাটে ২৪, চট্টগ্রামে ২৩, ময়মনসিংহে ২১ ও সন্দ্বীপে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। 
    পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
    এদিকে রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। 
    এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 
    গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও মংলায় ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রাজারহাটে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  
    পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিম বঙ্গ এবং এর কাছাকাছি  এলাকায় অবস্থান করছে। 
    ঢাকায় আজ পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। 
    সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।
    ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৩৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে।

  • সেন্টমার্টিনের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড

    সেন্টমার্টিনের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড

    অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এরই মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষজন।

    রবিবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সাবরাং ইউনিয়ন, সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গেছে। কিছু ঘরবাড়ি পুরোপুরি, কিছু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও বাতাস বইছে, কোথাও কোথাও গাছপালা ও কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে গেছে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি।

    এর আগে বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‌‘বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ওসব এলাকার ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে গেছে। তবে আঘাতের পর বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।’

    ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের সাবরাং ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার পুরো এলাকা নাফ নদ ঘেঁষা। এখানে ছয় শতাধিক ঘরবাড়ি। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে চার শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় হাজার মানুষজন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারি সহায়তা দরকার।’

    নাফ নদ তীরবর্তী জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা চম্পা বেগম বলেন, ‘ঝোড়ো বাতাস শুরু হওয়ার পর পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাই। ঝড় শেষে ফিরে দেখি, ঘরবাড়ি তছনছ। আশপাশের সবার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এখন কোথায় আশ্রয় নেবো বুঝতে পারছি না।’ 

    একই পাড়ার বাসিন্দা মো. আমিন বলেন, ‘এ রকম ঝোড়ো বাতাস আগে কখনও দেখিনি। পাড়ার সবাই আতঙ্কে ছিলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে ছিলাম। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তবে পাড়ায় ফিরে দেখি, নিজেদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকের ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। এখন নিরুপায় হয়ে বসে আছি।’

    ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘জেলার ১০ হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক আংশিক, বাকিগুলো পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হলেও এখন পর্যন্ত নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।’

    ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকা ঘুরে বাংলা ট্রিবিউনের টেকনাফ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, ডেইলপাড়া, জাদিমুড়া, কোনারপাড়া ও গলাচিপা এলাকায় প্রচুর গাছপালা এবং ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। উড়ে গেছে ঘরের চাল। এসব এলাকার মানুষকে সড়ক থেকে গাছ সরাতে দেখা গেছে। 

    সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, এখনও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঝোড়ো বাতাস বইছে। মাঝেরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও উত্তরপাড়ার বাড়িঘর এবং গাছপালা ভেঙে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

    সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে সেন্টমার্টিন উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙেছে ও গাছপালা উপড়ে গেছে।’

    ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা ১২ শতাধিক উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এসব ঘরবাড়ির কয়েক হাজার বাসিন্দা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। আপাতত তারা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকবেন, ঘরবাড়ি মেরামতের পর নিজেদের ঘরে উঠতে পারবেন।’ 

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান মুজিবুর বলেন, ‘অন্তত ১৮০০ গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আহত এক নারী সেন্টমার্টিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে সেন্টমার্টিনে ঝোড়ো বাতাসের গতি কমেছে। হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।’

    জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিকাল ৩টার দিকে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে গতিপথ বদলে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে ঘূর্ণিঝড়টি। এখন ভয়ের কিছু নেই। আঘাতের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এটি দুর্বল হয়ে পড়ায় প্রভাব কমে গেছে।’

  • কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কেন্দ্র

    কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কেন্দ্র

    ডেস্ক রিপোর্ট : উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কেন্দ্র আজ বেলা ৩ টায় মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের উপর অবস্থান করছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    আজ বিকেল ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
    আবহাওয়াবিদ খোঃ হাফিজুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
    উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
    কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। 
    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে।
    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

  • ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’; কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

    ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’; কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

    ন্যাশনাল ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এটি ক্রমশ বাংলাদেশের উত্তর-উত্তরপূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
    আজ দুপুর দেড়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
    ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
    আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিায়নমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ রাতে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘‘মোখা’র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। অতি   প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

  • ঘূর্ণিঝড় মোখা: সাতক্ষীরায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ৮৮৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

    ঘূর্ণিঝড় মোখা: সাতক্ষীরায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ৮৮৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

    সাতক্ষীরায় ৮৮৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানার আশংকা না থাকলেও ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এজন্য ইতোমধ্যে জেলার ৮৮৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৭১৮ স্কুল-কলেজকে বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের ধারণা ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া ৪১৬ মেট্রিক টন চাল, ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০ নগদ টাকা ও পাঁচ হাজার সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সাথে সাতক্ষীরা উপকূলের আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে বেড়িবাধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারসহ পর্যাপ্ত ও বালুর বস্তা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
    ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো জরুরী সভা করেছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ঝড়ের পূর্বেই সংকেত অনুযায়ী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর উপজেলায় ২ হাজার ৯৮০ জন এবং আশাশুনি উপজেলায় ১ হাজার ২০ জন সিপিপি সদস্য এবং রেডক্রিসেন্ট ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার পূর্বে প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর এবং শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
    সেই সাথে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে উদ্ধারকারী নৌযান হিসেবে স্পিডবোট, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইঞ্জিনচালিত নৌকা/ট্রলার এবং স্থলযান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া সকল উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের সদস্যদের ঝড়ের পরে রাস্তায় গাছ পড়লে তা অপসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কর্মী বাহিনীসহ প্রস্তুত রাখতে হবে বলা হয়েছে। এছাড়া কলারোয়া, তালা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা হতে যন্ত্রপাতিসহ প্রয়োজনীয় জনবল শ্যামনগর উপজেলায় সাময়িকভাবে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
  • অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’

    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’

    অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
    আজ সকাল সাড়ে ৮টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
    আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
    চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

  • শনিবার থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু

    শনিবার থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু

    অনলাইন ডেস্ক : আগামী শনিবার থেকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। 
    ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে আজ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি জানান, ‘শনিবার থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব বৃষ্টি শুরু হবে। এ সময় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে পারে।’
    আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ সন্ধ্যা নাগাদ আরও শক্তি অর্জন করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হতে পারে।
    এই ঘূর্ণিঝড়টি সিডরের মতো বিধ্বংসী হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিডরের যেসব বৈশিষ্ট্য ছিল এটিও সেদিকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র এখন ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে। গত ৩ ঘণ্টায় এটি ২৪ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। গতকাল এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। গতি পরিবর্তন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়টি রোববার ঠিক কখন উপকূলে আঘাত হানবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। 
    এদিকে আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিঁয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
    আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায় আজ দুপুর পৌনে ১২টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে আগামীকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সবোর্চ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

  • বুধবার সকালে ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়

    বুধবার সকালে ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়

    গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়াবিদদের আলোচনার বিষয় নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ । বলা হচ্ছে এটি যে কোনো সময় বাংলাদেশের ভোলা ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এই আশঙ্কার কারণে ইতোমধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি।
    জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে ক্রমেই এটি আরও শক্তিশালী হয়ে কাল বুধবার (১০ মে) ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
    এদিকে সোমবার (৮ মে) মধ্যরাতে সর্বশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে গত সোমবার মধ্যরাতে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে বলে জানান তারা।

  • দেশে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে

    দেশে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে

    মশাল ডেস্ক : আগামী তিন দিনে সারা দেশে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।
    অন্যদিকে, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জ জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।
    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যস্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
    গতকাল বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুরে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
    আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
    বৃহস্পতিবার ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে।

  • মৃদু তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে

    মৃদু তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে

    অনলাইন ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা সমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
    আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
    আজ সকাল ৬ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় সর্বোচ্চ ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মাদারীপুরে ২৫, গোপালগঞ্জে ২২ এবং বরিশাল ও যশোরে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
    ঢাকায় আজ পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৫ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ১২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিটে।

  • বার-বেঞ্চ সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ আইনজীবী নেতৃবৃন্দের

    বার-বেঞ্চ সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ আইনজীবী নেতৃবৃন্দের

    বার-বেঞ্চ সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ আইনজীবী নেতৃবৃন্দের

    ন্যাশনাল ডেস্ক : আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় আইনজীবী নেতৃবৃন্দ বার ও বেঞ্চের সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
    বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আয়োজিত বর্ধিত সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার আইনজীবী সমিতির (বার) নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত সভায় দেশের ৬৪ জেলা বারের সভাপতি ও সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকগণ অংশ নেন।
    তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক বার ও বেঞ্চের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। বার ও বেঞ্চের মধ্যে সম্পর্কের যে অবনতি তার উন্নতিতে আইনজীবীদের অভিভাবক হিসেবে বার কাউন্সিলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
    বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বার ও বেঞ্চ একে-অপরের পরিপূরক। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। বিচারাঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীকে অবহিত করুন। কিন্তু, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
    বর্ধিত সভায় আইনজীবীদের বেনোভোলেন্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। 
    এতে বক্তৃতা করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, বার কাউন্সিল সদস্য এডভোকেট মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, সিনিয়র এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।

  • কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা

    কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা

    কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা

    ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে । 
    দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং তা অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
    আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা ১০ দশমিক ৬, তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ২, দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৬, রাজশাহী, বদলগাছী ও সৈয়দপুর ১২ দশমিক ০, ডিমলায় ১২ দশমিক ৩, রংপুরে ১২ দশমিক ৫, কুমারকালী ১৩ দশমিক ০, যশোরে ১৩ দশমিক ২ এবং বগুড়া ও রাজারহাটে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    এদিকে বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ১২ দশমিক ০, রংপুরে ১২ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে ১৬ দশমিক ০, সিলেটে ১৭ দশমিক ০, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৪, খুলনায় ১৫ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। 
    পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
    আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
    এছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল এবং নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
    পূর্বভাসে আরও বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে । লঘুচাপের বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
    ঢাকায় আজ পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।
    ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫ টা ৪২ মিনিটে এবং আগামিকাল সূর্যোদয় ভোর ৬ টা ৪১ মিনিটে।