ন্যাশনাল ডেস্ক: মিয়ানমারের থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী রাজ্য ক্যারেনের একটি সেনা ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সংখ্যালঘু আদিবাসীদের বিদ্রোহী দল। রয়টার্স জানায়, দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সেনা ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালায় ক্যারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন, কেএনইউ বিদ্রোহীরা। সেনা ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কেএনইউ এর মুখপাত্র প্যাদো শা তাও নি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এই খবর জানান। স্থানীয়রা জানান, থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী সাওলিন নদীর কাছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়। আশেপাশের গ্রাম থেকেও বন্দুকযুদ্ধের শব্দ পান তারা। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ১৯৪৯ সাল থেকেই মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ক্যারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর আবারও সক্রিয় হয় বিদ্রোহী দলগুলো। গত মাসে ক্যারেন বিদ্রোহীরা আরেকটি সামরিক ঘাঁটি দখলে নেয়। জবাবে আদিবাসীদের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
ন্যাশনাল ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে ৩১৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ডিএমপির হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ বলেন। মামুনুলের ব্যাংক একাউন্টে ৬ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, “জুনায়েদ বাবুনগরীর ছেলের বিয়েতে উপস্থিত হন মামুনুল হক, জুনায়েদ আল হাবিবসহ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আহমদ শফিকে সরিয়ে দিয়ে বাবুনগরীকে আমির করার পরিকল্পনা হয়।”
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১৪০ কেজি মাছ বিনষ্ট করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া মৎস্য সেট থেকে সাত্তার গাজীর ছেলে আজহারুল ইসলামকে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে দন্ডবিধি আইনে ৩৫ হাজার টাকা ও ৪০ কেজি বাগদা চিংড়ি বিনষ্ট করা হয়েছে। একই অপরাধে মির্জাপুর গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেনকে কাকবাসিয়া নারায়ণ চন্দ্র সরকারের বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০০ কেজি বাগদা চিংড়ি চেউটিয়া নদীতে ফেলা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে একবছর ধরে বন্ধ রয়েছে যাত্রী পারাপার । তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণার পরে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি’র টহল । অবৈধ যাতায়াত বন্ধে ব্যাপক উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন বিজিবি’র কর্মকর্তারা। সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, সীমান্তে বিজিবি’র পেট্রলিং বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে লোকবল। অবৈধ যাতায়াত বন্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সীমান্তে কর্মরত বিজিবি’র কর্মকর্তারা জানান, সাতক্ষীরা সীমান্তে কাটাতারের বেড়া না থাকায় অবৈধভাবে যারা ভারতে- বাংলাদেশে যাতায়াত করেন তাদের নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়। আমরা সর্বদা চেষ্টা করি অবৈধভাবে যাতে কেউ পারাপার না হতে পারে। বিশেষ করে ইছামতিসহ সীমান্ত কিছু নদীর কারণে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে বেশ বেগ পেতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সীমান্ত এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রচুর লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে যারা কাজের জন্য ভারতে যান, তাদের অধিকাংশ অবৈধভাবে যান। সাতক্ষীরা সীমান্তে কমপক্ষে ১৭ টি কথিত ঘাট রয়েছে। রয়েছে কথিত ঘাট মালিক। জনপ্রতি সাত হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকায় তাদেরকে কোলকাতায় পৌছে দেওয়া হয়। দু’তিন দিনের জন্য টাকা নেওয়া হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। যারা কাজ করেন,তাদের বছরব্যাপী থাকতে হয় ভারতে। অন্যদিকে ভিসাতে ৩ মাসের মধ্যে ফেরত আসতে হয় বলে তারা অবৈধভাবে যাতায়াতটাকে শ্রেয় ভাবেন। এদিকে করোনা ঠেকাতে গত বছরের এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট। এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ যাত্রী প্রতিদিন ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত করতেন। চিকিৎসা,ব্যবসা,কেনা-কাটা ও পর্যটনের টানে এসব ব্যক্তিরা ভারতে যেতেন। সীমিত সংখ্যক ভারতীয় ব্যবসার জন্য অথবা আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসতেন। এক বছরেরও বেশি সময় ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় সীমাহীন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সাতক্ষীরা অঞ্চলের নাগরিকদের। বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া ব্যক্তিদের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুন। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে যেতে না পেরে বাধ্য হয়ে তাদের ভারতে যেতে হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। এপ্রসঙ্গে ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার বিশ^জিৎ সরকার জানান, সরকারি আদেশে গতবছরের এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট। তবে পণ্যবাহি ট্রাকের ভারতীয় চালকগণের যাতায়াত রয়েছে। তবে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি: যশোর জেনারেল হাসপাতাল খেকে কোভিড-১৯ রোগী শেফালী রানী সরদার পালিয়ে তার গ্রামের বাড়ী কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিনশ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে অবস্থান করার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়ী লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। জানাগেছে গত ২৩ এপ্রিল ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় শেফালী রানী সহ ১০ জন কোভিড রোগীকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৩ এপ্রিল ভর্তি করে। ২৫ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে শেফালী রানী সরদার বয়স (৪০), স্বামী- মনোতোষ সরদার (৪৮), তিনি তার গ্রামের বাড়ী কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিনশ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে চলে আসেন। সেখানে অবস্থান করাকালীন গোপন সংবাদের সুত্র ধরে ২৬ এপ্রিল সোমবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার রবিউল ইসলামের নির্দেশে দক্ষিন শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার ও দক্ষিনশ্রীপুর করোনা এক্সপার্ট টিমকে অবহিত করলে ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার ও দক্ষিনশ্রীপুর করোনা এক্সপার্ট টিম লিডার দেবাশীষ বিশ্বাস, সহকারী টিম লিডার ইয়াসমিন আরা মুক্তা সহ টিমের অন্যান্য সদস্য, গ্রাম পুলিশ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেফালী রানী সরদারের বাড়ী লকডাউন ঘোষনা করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এদিকে কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের দিলিপ দত্তের ছেলে শ্রীকলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিশির দত্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলায় করোনার দ্বিতীয় ধাপে দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হলো।
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনকে অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ করে পাটকেল ঘাটা থানায় বদলী করা হয়েছে। শনিবার তিনি নতুন কর্মস্থল পাটকেলঘাটা থানায় যোগদান করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দু’টি মোটর সাইকেলে উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনসহ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ কালীগঞ্জ উপজেলার ডেমরাইল গ্রামের মনোরঞ্জন মন্ডলের বাড়িতে এসে প্রথমে তক্ষক সাপ বিক্রি, পরে গাজা ও পরে জুয়া খেলার মিথ্যা অভিযোগ এনে মনোরঞ্জন ও তার ছেলে সরোজিতের হাতে হাতকড়া পরান। এ সময় তাদের ঘরে ঢুকে এসবেস্টার্স এর চাল ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্র। খবর পেয়ে মনোরঞ্জনের শ্যালক ইউপি সদস্য প্রশান্ত হালদার মোটর সাইকেলে তাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকেও মাদক দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন জিয়ারত হোসেন। স্থানীয় লোকজনও পুলিশের হুমকিতে তাদের বাড়িতে আসতে পারেনি। সরোজিতের কোমরে পুলিশ গাজার পুরিয়া দিতে মাদক ব্যবসায়ি বানানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে প্রশান্ত মেম্বরের সঙ্গে থাকা দেবেন মন্ডল ও সুভাষ মন্ডল কে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এসে তাদের হাতকড়া পরিয়ে মনোরঞ্জনের বাড়িতে রাখা হয়। বেড়াতে আসা মনোরঞ্জনের বড় ছেলে স্বপন মন্ডলের ভায়রাভাই শ্যামনগরের কাঁচড়াহাটি গ্রামের কমলেশ মন্ডলে ঘর থেকে বের করে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে পুলিশ। একপর্যায়ে মনোরঞ্জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চারজনকে ছেড়ে দিতে মেম্বর প্রশান্ত হালদারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেন। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় মেম্বরের মোটর সাইকেলসহ জিয়ারত আলী সরোজিত, কমলেশ, দেবেন ও সুভাষকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশান্ত মেম্বরের মোটর সাইকেলসহ তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মামলা দেওয়ার আগে হরিদাস মন্ডল কয়েকজন কমলেশের স্মার্ট কার্ড নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও উপপরিদর্শক জিয়ারত আলীকে দেখালেও দাবীকৃত উৎকোচ দিতে না পারায় কমলেশকে ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে শনিবার মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ। পরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কমলেশকে দুর্বল ধারায় চার্জশীট দেবেন বলে জানান মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জিয়ারত হোসেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ফলাও প্রকাশিত হয়। গত বৃহষ্পতিবার কমলেশ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। খবরের সূত্র ধরে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সরে জমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় অবশেষে বহুল আলোচিত দারোগা জিয়ারত হোসেন কে পাটকেলঘাটা থানায় বদলী করা হয়।
কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন বিট পুলিশিং কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। শনিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ২ টায় থানা এলাকার ৩ নং চাম্পাফুল ইউনিয়নে নির্মানাধীন বিট পুলিশিং কার্যালয়ে পরিদর্শনকালে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপির চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, সাংবাদিক আব্দুল করিম মামুন হাসান, আমিনুর রহমান, থানার উপ পরিদর্শক সঞ্জিব কুমার প্রমুখ। পরে তিনি তারালী ইউনিয়নের আম বাগান, লাইব্রেরী ও সবুজ পরিবেশ পরিদর্শন করেণ।
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বুধহাটা গ্রামের সোহেল সরদার নামের এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন এর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা তার বাড়ি লকডাউন করেন। এসময় লকডাউনকৃত বাড়িতে কোন কিছু প্রয়োজন হলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ, ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক সেখানে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা।
আশাশুনি প্রতিনিধি: লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২টি মামলায় সর্বমোট ১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও মুখে মাস্ক ব্যবহার না করায় আশাশুনি বাজার থেকে মৌজাদুল, পিন্টু ও প্রশান্তকে ৮০০ টাকা, বেউলিয়া বাজার থেকে সানু ও তন্ময়কে ৫০০ টাকা জরিমান করেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখ হতে দোকানপাট/শপিংমহল সমূহ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে অফিস সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। সেনা কমান্ড থেকে পাঠানো এক গোপন বার্তায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে।
১১ এপ্রিল নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সেনা কমান্ডের গোপন বার্তাটির কিছু অংশ গোপন সূত্রের মাধ্যমে সংবাদমাদ্যমটির হাতে এসেছে।
গোপন বার্তাটিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হলে আপনারা অবশ্যই তাদেরকে নির্মূল করবেন। কারণ দাঙ্গাকারীরা (আন্দোলনকারী) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে সশস্ত্র সংঘাতের দিকে চলে যাবে। সব পদের কর্মকর্তাদের এই আদেশ কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ইরাবতি জানিয়েছে, প্রথম নির্দেশনার ২দিন পর আরেকটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে।
এতে বলা হয়েছে, সব জরুরি নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্য সম্পূর্ণভাবে ও কৌশলগতভাবে সশস্ত্র থাকতে হবে। দাঙ্গাকারীরা আপনাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার দিকে অগ্রসর হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। দেশটিতে এরপর থেকে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
ফরিদপুরের সালথায় লকডাউনকে কেন্দ্র করে তাণ্ডবের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও ডিবির অভিযান অব্যাহত থাকায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে উপজেলা সদরসহ ৮ট ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম পুরুষশূন্য। গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন পুরুষেরা রাতের বেলায় বাড়িতে থাকতে পারছেন না। দিনের বেলায় হাতেগোনা কয়েকজন পুরুষকে দেখা গেলেও রাতে সে সংখ্যা নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। এদিকে হাটবাজারের দোকানপাট বন্ধ। তবে কিছু দোকান খোলা থাকলেও সেখানে নারী-শিশু ছাড়া পুরুষের দেখা মিলছে না।
সরেজমিনে এসব গ্রামগুলো ঘুরে নারী-শিশু ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। তবে কোনো কোনো গ্রামে বয়স্ক ও বৃদ্ধদের দেখা গেলেও তা সামান্য। বেশকিছু গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষ না থাকায় কৃষি ক্ষেত পরিচর্যার কাজ করছেন নারীরা।
জানতে চাইলে তারা বলেন,
আমরা পাট ও পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এটি পাটের মৌসুম। পাটের মধ্যে অনেক ঘাস হয়ে গেছে। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে, নাহলে পাট বড় হবে না। এরপর ক্ষেতে পানি, সার ও ঔষধ দিতে হবে। আমাদের পুরুষরা বাড়িতে থাকতে পারছে না। পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে। বাধ্য হয়ে এই কাজ আমাদের করতে হচ্ছে। তা নাহলেতো এই ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কি খেয়ে বাঁচবো?
পাট-পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত সালথা উপজেলায় এ বছর পাটচাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নারী বলেন,
বাবা, আমার দুটি ছেলে ঢাকা থাকে। স্বামী অসুস্থ, আমরা সেদিনের ঘটনার কিছুই জানি না। তবুও তাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ, শুনেছি যাকে ধরছে সেই আসামি হয়েছে। সেই ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের মসজিদে আজ ৫ দিন ধরে কোনো আজান হয় না। মসজিদের দিকে তাকালে চোখের পানি চলে আসে। কাল রোজা, ঘরে বাজার নেই। এখন আল্লাহই আমাদের ভরসা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্ষেত এখানে সার, পানি, ঔষধ, নিড়ানি দিতে হবে। তাই সরকারের কাছে আমার চাওয়া, যারা অপরাধী তাদের বিচার করুক। আর যারা নিরীহ তাদেরকে সুযোগ দেয়া হোক যেন আমরা কাজকর্ম করে খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি।
আরেক নারী বলেন,
আমার স্বামী পঙ্গু। সবসময় তার শরীর কাঁপে। তাকে ধরলেই তার জীবন চলে যাবে। তাই সে ভয়ে কোথায় চলে গেছে কোনো খোঁজ নেই। যাওয়ার সময় বলে গেছে আমাকে এই মুহূর্তে একটি বারি দিলে আমি বাঁচব না। তিনি আরো বলেন, তার কিডনি সমস্যা আছে। শুনেছি তাকেও আসামি দেয়া হয়েছে। অথচ সে এসবের কিছুই জানে না। বাসায় চাল নে,ই খেয়ে বাঁচার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ক্ষেতে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাই। আমরা বাঁচতে চাই।
অপর আরেক নারী বলেন, যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার আমরা চাই। এত বড় ক্ষতি তারা করেছে, এগুলাতো আমাদেরই সম্পদ, আমার এলাকা, আমাদের উপজেলা ক্ষতি করেছি আমরাই। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, সরকারের কাছে অনেক যন্ত্র আছে, সেগুলো ব্যবহার করে যারা প্রকৃত দোষী তাদের বের করে কঠিন শাস্তি দিক।
‘কিন্তু আমরা যে নিরীহ মানুষ, আমাদের মসজিদে আজান হচ্ছে না, রাত পোহালেই রোজা কিছুই কিনতে পারিনি, কি খেয়ে রোজা থাকব?’
তিনি আরও বলেন, একদিকে আমাদের ধান মাইরা গেছে, আবার পাটও মাইরা যাচ্ছে, আমরা কিভাবে চলব? আমার স্বামী নসিমন চালায়, কোথায় গেছে কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমরা ভাতে মরছি। আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেও মাফ পাওয়া যায়। আমরা অপরাধ না করেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাই, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক সহায়তা করছে। বিধবা, বয়স্ক ভাতা থেকে শুরু করে ঘর দেওয়া, সব ধরনের সুবিধা সে আমাদের দিচ্ছে। তবুও আমরা আমাদের সম্পদ নষ্ট করেছি। সেজন্য সবাই এখন দোষী। তাই আমার দাবি, নিরীহ মানুষদের নিরাপদে থাকারাসুযোগ করে দিয়ে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিক।
আরেক নারী বলেন,
আমাদের উপজেলায় যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তারা দূরে চলে গেছে। কিন্তু এজন্য নিরীহ মানুষগুলোকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ যাকে ধরছে সেই আসামি। তাই এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমরা গ্রামের মানুষ, আমরা এসবের ভেতর যাইনি, আমরা তার কাছে ক্ষমা চাই।
তিনি বলেন, রাত পোহালেই রোজা, কিন্তু একটি মসজিদে আজান নেই। আর মসজিদে আজান দিয়ে মানুষকে না ডাকলে আমরা কিভাবে রোজা থাকব?
আরেকজন নারী বলেন, আমরা গরিব মানুষ। অভাবের সংসার কিস্তি চালাতে হয়। পুরুষ মানুষ বাড়িতে নেই। কিস্তি নেয়ার জন্য লোকেরা বাড়িতে এসে বসে থাকে খারাপ ব্যবহার করে।
সোনাপুর বাজারের এক মুদিখানার দোকানদার বলেন, গত ৬ তারিখ থেকে দোকান করতে পারছি না। রাতের বেলা ঘুমাতে গেলে ভয় লাগে, কখন এসে ধরে নিয়ে যায়।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, এখানকার মানুষরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছে। বেশিভাগ যুবকেরা গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িতে নেই। আতঙ্কে অনেক দোকানপাটও বন্ধ আছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, সালথার সহিংসতার ঘটনার পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশ দিনরাত অভিযান চালাচ্ছে। তবে নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনো নিরীহ লোক হয়রানির শিকার হোক। আমরা ঘটনার দিনের সংগৃহীত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে গ্রেপ্তার করছি। তবে নিরীহ কাউকে যদি আটক করা হয়ই, তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আতঙ্কের কিছু নেই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে লোকজনকে পেটানো হয়েছে- এমন গুজব ছড়িয়ে সালথা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে ঘেরাও করে তাণ্ডব চালায় স্থানীয়রা। ওই তাণ্ডবের ঘটনায় ৫টি মামলা হয়েছে। এতে ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত প্রায় চার হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢাকার বাইতুল মোকাররম, সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে, গাজীপুর, সহ প্রভৃতি জায়গায় শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। এ সময় কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানেননি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। এমনকি কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। দেশব্যাপী পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের কর্মী-সমর্থকরা বাদ জুমা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে সমাবেশে মিলিত হন তারা। ঢাকার সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির আমির জুনায়েদ বাবু নগরী, মামুমুল হক প্রমুখ, অপরদিকে সিলেটের সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সিলেট জেলার সভাপতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা ফয়জুল হাসান কাদিমানী প্রমুখ। এদিকে সমাবেশ চলাকালে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম, সিলেটের কোর্ট পয়েন্ট ও আশেপাশে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে তৈরি করা হয় বাড়তি নিরাপত্তা। এদিকে গাজীপুর মহানগরের চৌরাস্তা জামে মসজিদ এলাকায় হেফাজতে ইসলাম ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তাদের র্পূবঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি প- হয়ে যায়। শুক্রবার বাদ জুমার পর হেফাজতকর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে সাত পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকেই গাজীপুর চৌরাস্তা ও বোর্ডবাজার জামে মসজিদের চারপাশে পুলিশ সশস্ত্র সতর্ক অবস্থানে থাকে। জুমার নামাজের শেষে দুপুর ২টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে হেফাজত কর্মীরা গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা জামে মসজিদ থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উঠতে চান। বাধা দিলে কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) শরীফুর রহমান জানান, হেফাজতে ইসলামের পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি তাদের মসজিদ চত্বরেই পালনের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা মহাসড়কে উঠার চেষ্টা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাক বিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হেফাজতকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা, শতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি করা হয়। এ ঘটনায় কেউ নিহত হননি। ইটপাকেলের আঘাতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে ভোক্তা পর্যায়ে পানযোগ্য বিশুদ্ধ খাবার পানির নিশ্চয়তা দিতে বানিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম (২২ মার্চ) সোমবার সাড়ে ১০টায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে বিশ্বাস ড্রিংকিং ওয়াটার ও ফাতেমা রিফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটারে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। জেলা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব সদস্য মোঃ সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ ফোর্সেসের সহায়তায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নে সাতক্ষীরার সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজারের বিশ্বাস ড্রিংকিং ওয়াটার ও কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাজারের ফাতেমা রিফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার প্লান পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরাতে অতিরিক্ত দায়িত্বরত সহ:পরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম (খুলনা)। পরিদর্শনকালে বিএসটিআই অনুমোদিত ও ল্যাবরেটরি না থাকলে বিশ্বাস ড্রিংকিং ওয়াটার প্লানে ৫ হাজার ও ফাতেমা রিফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার প্লানে ৫ হাজার টাকা মিলে মোট অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯’র ৪৩ ধারাসহ আন্যান্য ধারা লংঘন অপরাধে জরিমানা এ করা হয়েছে। এ সময়ে ৫০ প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও লিফলেট বিতরণ করেন। জনস্বার্থে এ মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, আল জাজিরার মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন জনগণ তথ্য দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আল-জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে আর্মি এভিয়েশনের বেসিক কোর্সের অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে খেলতে আসবেন না। সেনাবাহিনী দেশের গর্ব। এটিকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে নানান গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বাহিনী এখন অনেক সুসংহত। বাহিনী ঘৃণাভরে এসব প্রত্যাখান করেছে। পুরো চেইন অব কমান্ড সবাই-ই সতর্ক৷ সেনাবাহিনী সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এসব প্রচারণায় কিছুই হবে না বাহিনীর।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা অব্যাহতি পাওয়ার পরই ভাইয়েরা এসেছিল। আমরা সংবাদ সম্মেলনে সব বলবো। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি বজায় রাখতে কি করতে হবে সে ব্যাপারে আমি ওয়াকিবহাল। আল-জাজিরা যা করেছে সেটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় চিত্রধারণ প্রসঙ্গ তিনি বলেন, পারিবারিক কাজে অফিশিয়াল প্রটোকল ব্যবহার করিনি। সে সময়ই এমন কাজগুলো উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসবের চিত্রধারণ করা হয়েছে। সেনাপ্রধানকে হেয় করার মানে প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করা। আমার কারণে সেনাবাহিনী ও সরকার যাতে বিব্রত না হয়। সে ব্যাপারে আমি পূর্ণ সচেতন। তারা কাটপিস দিয়ে এসব বানিয়েছে। চক্রান্তকারীদের উদ্দেশ্য কোনোভাবেই সফল হবে না।
এর আগে গত ০১ ফেব্রুয়ারি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানিয়ে সেনা সদর বলেছে, বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীকে ‘হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে’ সেখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘মিথ্যা তথ্য’ প্রকাশ করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে সোমবার রাতে পাঠানো ওই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, পেশাগতভাবে অত্যন্ত দক্ষ, সকলের কাছে অতি গ্রহণযোগ্য সেনাবাহিনী প্রধানকে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া আল জাজিরা কর্তৃক অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিকভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িত করার অপপ্রয়াস সেনাবাহিনী ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি থানা পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত ২ আসামীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থানার পুলিশ ওয়ারেন্ট মূলে (সাজাপ্রাপ্ত) উপজেলার আনুলিয়া গ্রামের সুলতান শেখ এর ছেলে কামরুল শেখ ও ওয়ারেন্ট মূলে গকুল নগর গ্রামের রজব আলী মোড়ল এর ছেলে বাচ্চু মোড়লকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করেন। আটককৃত আসামীদ্বয়কে বিচারার্থে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।