Category: আইন শৃংখলা বাহিনী

  • নিষিদ্ধ লীগ নেতা-কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর

    নিষিদ্ধ লীগ নেতা-কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর

    রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই বৈঠক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠা মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সেনা সদরের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তাঁরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তাঁরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন। তাঁরা সেখানে এসব ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ওই মামলার তদন্ত করছে। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।

    এই মামলা তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। ‘তারা প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’, ‘প্রজন্ম ৭১’, ‘শেখ হাসিনা’সহ বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সদস্য। একটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে জানতে পেরেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ওই গোপন সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১২ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি বাসা থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা-পুলিশ। ওই দিন একই এলাকার একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী শামীমা নাসরিনকে (শম্পা) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ১৩ জুলাই ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, সোহেল রানা ও শম্পাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য যাচাই করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়।

    মেজর সাদিক নামের একজন আওয়ামী লীগের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে— এমন সংবাদের বিষয়ে আজ সেনা সদরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেজর সাদিকের বিষয়ে আমরা অবগত। তাঁর বিষয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলতে পারব।’

    ওই ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, এ রকম ঘটনা জানার পরে সেনাবাহিনীর হেফাজতেই তিনি আছেন। তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা এবং গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন বলেছেন, মেজর সাদিকের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংগঠিত করে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ভাটারা থানা এলাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ৭ নম্বর রোডের কে বি কনভেনশন সেন্টারের দ্বিতীয় তলা ভাড়া নেওয়া হয়। মেজর সাদিক সেদিন সরকার উৎখাতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

    ওই কনভেনশন সেন্টারের ব্যবস্থাপক মুজাহিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবে সারা দিন কনভেনশন হলের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিলেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, সেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীসহ সমবেতদের নাশকতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আরও অন্তত চারটি প্রশিক্ষণ হয়েছিল। তবে সবগুলো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

    মামলার তদন্ত সম্পৃক্ত ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা, উপস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রেপ্তার অন্যদেরও রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গোপন এই ষড়যন্ত্রে যাঁরা জড়িত ছিলেন, সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

  • আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

    আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

    আদালত অবমাননার মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

    বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

    এর আগে, আদালত অবমাননার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

    আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় কোনো পক্ষের জন্য সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে এক আইনজীবী নিয়োগ দেন আদালত।

    অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের পর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানিতে একজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও শেখ হাসিনা ও অপর অভিযুক্ত হাজির না হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানের অভিমত ট্র্যাইব্যুনাল শুনবেন বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেদিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওইদিন কোনো জবাব দাখিল না করায় তাদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- গত কয়েক মাস আগে শেখ হাসিনা একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথোপকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সত্যতা পায়। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।

    প্রসিকিউশন জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেননি। এ অবস্থায়, ট্রাইব্যুনাল এখন আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দিতে পারে।

  • জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি

    জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি

    জঙ্গি সংগঠন আইএস এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক মালয়েশিয়ার পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জুন) মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যম হারিয়ান মেট্রো”র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানান, সেলাঙ্গর এবং জোহর রাজ্যে গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া একটি পরিকল্পিত নিরাপত্তা অভিযানে তিন ধাপে এই আটকের ঘটনা ঘটে।

    এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাহ আলম এবং জোহর বাহরু সেশন কোর্টে দণ্ডবিধির অধীনে সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য অভিযোগ আনা হয়েছে।

    সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল আরও বলেন, অন্য ১৫ জনের বিরুদ্ধে নির্বাসনের আদেশ জারি করা হয়েছে। বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থি সংগঠন আইএস এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো উগ্র চরমপন্থি গোষ্ঠী বা বিদেশি ষড়যন্ত্রের স্থান মালয়েশিয়া হবে না। এ অভিযান পরিচালনায় নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা এবং দ্রুত পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশে বিশেষ শাখার প্রশংসা করেন।

    তিনি জানান, কেডিএন গোয়েন্দা ও নজরদারি জোরদার করছে। মালয়েশিয়াকে নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখার জন্য দেশ-বিদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ মালয়েশিয়াকে চরমপন্থি কার্যক্রম বা ট্রানজিট কেন্দ্র বানাতে চাইলে, তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

  • ছয় মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে অন্তর্বর্তী সরকার

    ছয় মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে অন্তর্বর্তী সরকার

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। এর ফলে এসব মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা চিরতরে সব কলঙ্ক ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’

    আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত (২৮ মে পর্যন্ত) ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কাজ চলছে। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কর্তৃক অবহেলার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

    মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করে কমিটি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছে।

    এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে রাজনৈতিক মামলার তালিকা পাঠাতে পারে।

    এর আগে ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল মধ্যে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল।

    তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে। ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

    আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল দুটিকে তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিটের (যেখানে প্রযোজ্য) মতো প্রাসঙ্গিক নথি না পাঠানোর জন্যও দোষারোপ করে বলেছেন যে, এটি মামলা প্রত্যাহার বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ।

    উপদেষ্টা সম্প্রতি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে জানান, ‘অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

    ইতোমধ্যে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলার তালিকাসহ এফআইআর ও চার্জশিট জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

  • আদালতে অপরাধ স্বীকার করে আ. লীগের ওপর দায় চাপালেন আউয়াল

    আদালতে অপরাধ স্বীকার করে আ. লীগের ওপর দায় চাপালেন আউয়াল

    চব্বিশের নির্বাচন যে ডামি ও প্রহসনমূলক ছিলো আদালতে সেটা স্বীকার করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল। এই ডামি নির্বাচনের দায় আওয়ামী লীগের ওপরে চাপান তিনি। এদিন আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত হাবিবুল আউয়ালের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ।

    আদালতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ক্ষমতার লোভ শেখ মুজিবও সামলাতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী ১ হাজার বছরেও এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

    এর আগে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে হাবিবুল আউয়ালকে আদালতে আনা হয়। প্রথমে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।

    শুনানিতে তিনি বলেন, এই আসামি (হাবিবুল আউয়াল) ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আমলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি এদেশে কলঙ্কজনক একটি নির্বাচন হয়। সেই ডামি নির্বাচনে আ.লীগ ও ২/১টি দল ছাড়া আর কেউ অংশ নেয়নি। সেই নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন, একতরফা, লোক দেখানো ও প্রহসনের নির্বাচন। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিতে পারেননি। তখন তিনি (আউয়াল) বলেছেন, ‘কেউ নির্বাচনে না এলে আমি কি বসে থাকব?’ তিনি ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। অন্যায় করেছেন বলেই তিনি গা ঢাকা দেন।

    শুনানিতে ওমর ফারুক আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে’। এত বড় মিথ্যা বলে তিনি কীভাবে তার ফ্যামিলির সামনে মুখ দেখান? ওইদিন সকাল ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। তার এক ঘণ্টা পর ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। অথচ আমরা দেখেছি কেন্দ্রগুলোতে কোনো মানুষ ছিল না। কুকুর-বিড়াল কেন্দ্রে শুয়ে আছে। ওই এক ঘণ্টা তিনি কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।’ কতটা হাস্যকর কথাবার্তা।

    শুনানিতে সরকারি এই কৌঁসুলি আরও বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনে থোক বরাদ্দ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। সংবিধান বহির্ভূত বক্তব্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রার্থনা করছি।

    আসামি পক্ষের আইনজীবী এমিল হাসান রুমেল তার রিমান্ড নামঞ্জুর চেয়ে বলেন, তার বয়স ৭০। তিনি অনেক দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। আমরা যেন ফ্যাসিস্ট দমাতে গিয়ে নিজেরা ফ্যাসিস্ট না হয়ে যাই। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল।

    তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের বক্তব্যের সঙ্গে আমিও একমত। নির্বাচনটি ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন ছিল। এসময় তাকে থামিয়ে বিচারক বলেন, প্রত্যেক জেলায় নির্বাচনী ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়। যেখানে যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদার একজন দায়িত্বে থাকেন। আগে যার ভাতা ছিল ২২ হাজার টাকা, সেটা আপনি ৫ লাখে উন্নীত করেছেন। এতে কি জনগণের টাকা অপচয় হয়নি? এ বিষয়ে তার জানা নেই জানিয়ে বলেন, পাঁচ বছরের মুদ্রাস্ফীতি হিসাব করে হয়তো ভাতা বাড়ানো হয়েছিল।

    এরপর বিচারক আবারও বলেন, এই যে ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়েছিল নির্বাচনের সময় কোথাও কি তারা সরেজমিনে গিয়েছিলেন? তখন আউয়াল বলেন, একজন রিটার্নিং অফিসারের অধীনে ৪-৫টা সংসদীয় আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাকে সহযোগিতা করতে আরও ৪-৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার থাকেন। একটা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ২ ভাগ দায়িত্ব কমিশনের, বাকি ৯৮ ভাগ দায়িত্ব মাঠ পর্যায়ে কাজ করা অফিসারদের।

    নির্বাচনের আগে এমন অবস্থা জেনে আপনি পদত্যাগ করলেন না কেন? বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই অবস্থায় পদত্যাগ করা সম্ভব ছিল না। আমার এক বন্ধুও আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল পদত্যাগের কথা, আমি বলেছি তুমি যদি আগে বলতা এমন ভয়ংকর নির্বাচন হবে, তাহলে আমি দায়িত্বই নিতাম না।

    আউয়াল পূর্বের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে বলেন, ৭২ এর সংবিধান প্রণয়নের তিন মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত ৭৩ এর নির্বাচনে আ.লীগ ২৯৩টি আসন পায়। সেই নির্বাচনও সুষ্ঠু ছিল না। ক্ষমতার লোভ এমন যে শেখ মুজিবও তা সামলাতে পারেননি। ৯৬ সালে আ.লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তী সময়ে তারাই আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সংবিধান সংশোধন করে।

    এসময় পাবলিক প্রসিকিউটর উত্তেজিত হয়ে আদালতকে বলেন, তিনি নিজেকে জাস্টিফাই করছেন। তার এসব বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। এসময় আউয়াল বলেন, জাস্টিফাই না করতে দিলে রিভলবার দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেন। এসময় উপস্থিত আইনজীবীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে এজলাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব তুলে ধরে আউয়াল বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী ১ হাজার বছরেও এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

    আধ ঘণ্টার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে গত ২২ জুন মামলা করে বিএনপি। পরে ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় মাদক ও অনলাইন গেমিংয়ে আসক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান

    সাতক্ষীরায় মাদক ও অনলাইন গেমিংয়ে আসক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান

    সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার(১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ।
    সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সেনাবাহিনী সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর ফাহিম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, জেলা সিভিল সার্জন ডা.আব্দুস সালাম, জামায়াতের জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক মেয়র তাসকিন আহমেদ চিসতি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকরতা, জেলা তথ্য অফিসার জাহেরুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আখতার বিউটি, জামায়াতের মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারী জয়নাব পারভীন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সুহাইল মাহদিন , মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুমসহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্যরা।
    এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অপরাধ দামনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বাল্যবিবাহ ও মানব পাচার প্রতিরোধ, শহরে যানজট নিরসন, সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন মাদক বিরোধী অভিযান, নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, বাজার মনিটরিং সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
    সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
    এসময় জেলার উন্নয়নে সার্বিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
  • ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

    ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজার থেকে বান্দরবান পর্যন্ত এলাকাকে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এমন সংবাদ ভারতীয় অনলাইন গণমাধ্যম ‘Northeast News’-এ প্রকাশিত খবরকে সরাসরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রোববার (১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    আইএসপিআর জানায়, এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বিনষ্টের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়ার মতো গুরুতর ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা একেবারেই অসত্য এবং বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার।

    আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে যে ধরনের অসত্য ও প্রমাণবিহীন দাবি তোলা হয়েছে, তা এক ধরনের কল্পনাপ্রসূত ষড়যন্ত্র এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে ভুল বার্তা ছড়ানোর অপচেষ্টা।

    আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সর্বদা পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে আপস না করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

    প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীকে ঘিরে যেভাবে সন্দেহের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর মতে তা কোনোভাবেই সাংবাদিকতার মানদণ্ডে পড়ে না। বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কুৎসা রচনার অংশ, যা দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনরায় জানিয়ে দিয়েছে-দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও সংবিধান রক্ষায় বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ ধরনের অপপ্রচারে তারা ভীত কিংবা বিচলিত নয়।

  • সারজিসকে সেনাবাহিনী : মবের নামে আর কাউকে ধ্বংস করার সুযোগ নেই!

    সারজিসকে সেনাবাহিনী : মবের নামে আর কাউকে ধ্বংস করার সুযোগ নেই!

    জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর শনিবার রাতভর সেনাবাহিনী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলেন।

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম সারজিস আলমকে বলেন,
    “শরীরে যতক্ষণ রক্ত আছে, আমরা দেশের বিরুদ্ধে কোনো অপকর্ম প্রচার করব না। আপাতত যারা জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করে, নাশকতা করে, মবের নামে আগুন জ্বালায় এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, তাদের কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এ ধরনের কাজের সুযোগ আর নেই।”

    গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের সেনপাড়া ‘দ্য স্কাই ভিউ’ বাসভবনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় জিএম কাদের বাসায় ছিলেন।

    শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম নগরীর পায়রা চত্বর মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা ও মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাপ শেষে সারজিস আলম বলেন,
    “যে কোনো সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামায়াত কিংবা এনসিপির কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তবে রাতে দেরিতে এ ধরনের কাজ দৃষ্টিকটু। আশা করছি, ভবিষ্যতে দিনের বেলা অফিস আওয়ারে ডেকে সহযোগিতার জন্য সবাই প্রস্তুত থাকবে।”

  • ঈদ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যাব এর বাড়তি নিরাপত্তা, চেকপোস্ট বসিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি

    ঈদ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যাব এর বাড়তি নিরাপত্তা, চেকপোস্ট বসিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
    পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৬। এরই অংশ হিসেবে র‍্যাব -৬ এর সিপিসি-১ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিনেরপোতা, লাবসা জিরো পয়েন্ট, কদমতলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।

    বুধবার (২৮ মে) রাতভর র‍্যাব সদস্যরা যানবাহন ও পথচারীদের তল্লাশি চালান এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। অপরাধ দমনের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে র‌্যাব সদস্যদের এ কার্যক্রম স্থানীয়দের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।

    এ বিষয়ে র‍্যাব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো: এহতেশামুল হক খান বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার নাশকতা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সাতক্ষীরার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলছি, যেন তারা নিজেরাও সচেতন থাকেন এবং যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে আমাদেরকে দ্রুত অবহিত করেন। র‌্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে।”

    র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি জঙ্গি তৎপরতা, মাদক, অস্ত্র ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যদের পাশাপাশি মোবাইল টিম ও টহল টিম সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে।

  • সাতক্ষীরায় চারটি স্বর্ণের বারসহ আটক-১

    সাতক্ষীরায় চারটি স্বর্ণের বারসহ আটক-১

    সাতক্ষীরায় চারটি স্বর্ণের বারসহ রুহুল আমিন (৬৮) নামের একজনকে আটক করেছে বিজিবি। আটক রুহুল আমিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত হানিফ মুন্সির পুত্র।

    বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোরে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক-এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ভোমরা বিওপির একটি বিশেষ আভিযানিক দল ৪৫৮ গ্রাম ৬০০ মিলিগ্রাম ওজনের ০৪ টি স্বর্ণের বারসহ তাকে আটক করে।

    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধীনস্থ ভোমরা বিওপির দায়িত্বাধীন সীমান্ত পিলার ২/৫-এস হতে আনুমানিক ০৪ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তেতুলতলা নামক এলাকা দিয়ে স্বর্ণ ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে গমন করবে এরুপ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অধিনায়কের নির্দেশে অত্র ব্যাটালিয়নের ভোমরা বিওপির একটি চৌকষ আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে কৌশলে অবস্থান গ্রহণ করে।

    এ সময় আভিযানিক দল ভোমরা সীমান্ত এলাকার দিকে ইজিবাইকযোগে গমনকালে তেতুলতলা নামক স্থান হতে সন্দেহভাজন বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ রুহুল আমিন (৬৮)কে আটক করে।

    পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে ০১টি মোবাইল এবং তার কোমর হতে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ০৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

    উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৪৫৮ গ্রাম ৬০০ মিলিগ্রাম যার মূল্য ছেষট্টি লক্ষ আশি হাজার আটশত পঁচাশি টাকা।

    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করতঃ স্বর্ণের বার সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে এবং আসামীকে থানায় সোপর্দের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন ছিল।

  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা

    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা

    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও ২১৮৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করে।

    কমিশনার আরও জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

  • যে কারণে ২৫২ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি

    যে কারণে ২৫২ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি

    শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকরি থেকে পুলিশের ২৫২ জন প্রশিক্ষণার্থী উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে- শৃঙ্খলা ভঙ্গ ছাড়াও এর পেছনে আরও কারণ রয়েছে।

    এদিকে অব্যাহতি পাওয়া একজন প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে দেওয়া চিঠির কপি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, চিঠিটি গতকাল ২১ অক্টোবর ইস্যু করা হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে- আপনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট এসআই/২০২৩ ব্যাচে গত ২০২৩ সালে ৫ মে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণরত আছেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্যারেড মাঠে গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিট হতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচ-২০২৩ এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন প্যারেড কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়ে পুলিশ একাডেমি কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সকল প্রশিক্ষণার্থীকে প্যারেড বিরতিতে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়। কিন্তু আপনি (প্রশিক্ষণার্থী এসআই) উক্ত সরবরাহকৃত নাশতা না খেয়ে হৈ চৈ করে মাঠের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। আপনি অন্যান্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের পরস্পর সংগঠিত করে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন। এছাড়াও আপনি অন্যদের সাথে হৈ চৈ করতে করতে নিজের খেয়াল খুশিমত প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান।

    একজন প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই হিসেবে এরূপ আচরণ এবং বিনা অনুমতিতে প্যারেড মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলা পরিপন্থি। আপনার এরূপ আচরণ মাঠের সার্বিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে চরমভাবে ব্যাহত করেছে এবং অন্য প্রশিক্ষণার্থীদেরকে শৃঙ্খলা ভঙ্গে উৎসাহিত করেছে মর্মে আপনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি) পুলিশ পরিদর্শক (সঃ) মো. মহসিন আলী বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের প্রেক্ষিতে ৩ অক্টোবর পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (ফিল্ড উইং) মো. সিদ্দিকুর রহমান এতদসংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেন।

    উপরোক্ত অভিযোগের কারণে প্রিন্সিপালের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) তিন দিনের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্ণিত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আপনি নির্ধারিত তিন দিন সময়ের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করেন। আপনার দাখিলকৃত কৈফিয়তের জবাব পর্যালোচনান্তে সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী সরবরাহকৃত নাশতা আপনি না খেয়ে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে হৈ চৈ করে মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান। আপনি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী তথা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেন। একজন প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আপনার এ ধরনের আচরণ চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও অসদাচরণের শামিল। আপনার উপরোক্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদ হিসেবে বিবেচিত সাব-ইন্সপেক্টর পদে কাজ করার পথে বড় ধরনের অন্তরায় ও অযোগ্যতার শামিল।

    এমতাবস্থায় আপনার এহেন শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের কারণে মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে ডিসচার্জ করণের বিষয়ে অনুমোদনের জন্য গত ১২ অক্টোবর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় পত্র প্রেরণ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ট্রেনিং-২) বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১৫ অক্টোবর আপনাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে ডিসচার্জ করণের আদেশ জারির বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকা কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং পিআরবি-১৯৪৩ এর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করেন। এমতাবস্থায় প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অদ্য ২১ অক্টোবর পূর্বাহ্নে ডিসচার্জ করা হলো।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে অব্যাহতি পাওয়া কয়েকজন শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক জানান, ওই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আগে ৪০তম ক্যাডেট এসআই-২০২৩ ব্যাচের উপ-পরিদর্শকদের একাংশকে ১৯-২৩ অক্টোবর ছুটিতে পাঠানো হয়। আগের দিন ১৮ অক্টোবর এই ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় তাদের একাডেমিতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এর আগেই শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শকদের স্থানীয় থানাগুলোয় বরখাস্তের আদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    এ বিষয়ে একাডেমির অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভুঞা বলেন, প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের চাকরি থেকে ‘ডিসচার্জ’ করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেককে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। ৪০তম ব্যাচের আউটসাইডার ক্যাডেট হিসেবে মোট ৮০৪ জন প্রশিক্ষণরত ছিলেন। তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২৫২ জনকে ডিসচার্জ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না। শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাদের ডিসচার্জ করা হয়েছে।

    তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে কেউ বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ক্যাডেট এসআই সদস্যদের ট্রেনিং শুরু হয়েছিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৪ নভেম্বর।

    এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাজশাহীর বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজও হঠাৎ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে সারদায় ২৫২ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

  • পুলিশ রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় না: আইজিপি

    পুলিশ রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় না: আইজিপি

    অনলাইন ডেস্ক :

    পুলিশ রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় না। আইন ও বিধি রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

    নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে সব সদস্য আছেন আমার দৃষ্টিতে কারও রাজনৈতিক বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়নি। আমি আইন ও বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করি।

    আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ আসবে সেটি মোকাবিলা করতে হবে সেটা আমার আইনি দায়িত্ব। এই দায়িত্ব অর্পিত করা হয়েছে। এই দায়িত্ব পালনে আমি বাধ্য। আইন প্রয়োগ করতে আমাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, আইন পড়ানো হয়েছে এবং আইন প্রয়োগে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া হয়। জনগণের জান-মাল রক্ষায় যা যা করা দরকার সেটাই করা হবে।

    সম্প্রতি পুলিশ পুরাতন ও অকেজো অস্ত্র দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে এমন অভিযোগের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা অভিযানে তাদের কাছে যে অস্ত্র পেয়েছি সেগুলো দিয়েই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অমূলক।

    বিদেশে অবস্থানরত এক প্রবাসীর ফেসবুকে স্ট্যাটাসের অভিযোগে তার মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌধুরী মামুন বলেন, এই বিষয়টি আমি পরিষ্কার করতে চাই। আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি, খুলনার জামায়াতে ইসলামীর একজন নায়েবে আমিরের বাড়িতে নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে একটি ষড়যন্ত্র চলছে।

    অনেকে জড়ো হয়েছে এমন তথ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। পরে আমরা জানতে পেরেছি ওই নারীর ছেলে প্রবাসী, সে ফেসবুকে সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আমরা তথ্য পেয়ে অভিযান চালাই। সেখানে আমরা ডিজিটাল ডিভাইস, বই পেয়েছি, মোবাইল পেয়েছি। এর আলোকে মামলা নেওয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই উদেশ্যমূলক গ্রেফতার করা হয়নি বলে তিনি জানান।

  • বিজিবি সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অভিযানে   বাকাল চেকপোষ্ট থেকে স্বর্ণেরবার উদ্ধার

    বিজিবি সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বাকাল চেকপোষ্ট থেকে স্বর্ণেরবার উদ্ধার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অভিযানে দায়িত্বপূর্ণ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাজীপুর সীমান্তের (বাকাল চেকপোষ্ট) থেকে ০৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
    বিজিবি’র সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে অদ্য ১৮ মে ২০২৩ তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকায় সাতক্ষীরা গাজীপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ হতে ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, লে: কর্ণেল মো: আশরাফুল হক এর নেতৃত্বে বাকাল চেকপোষ্টের একটি চৌকষ আভিযানিক দল আলীপুর ইট ভাটা সংলগ্ন এলাকায় গোপনে অবস্থান করে। এ সময় চোরাকারবারীরা মোটর সাইকেলযোগে বর্ণিত এলাকায় আগমনের পর বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটর সাইকেল রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া মোটর সাইকেল তল্লাশী করে ০৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে । উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৮১৬ গ্রাম ৪২০ মিলিগ্রাম যার মূল্য ৬৮,০০,৭৭৮/- (আটষট্টি লক্ষ সাতশত আটাত্তর) টাকা। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করতঃ স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় দুদুকের আয়োজনে সততা সংঘের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত 

    সাতক্ষীরায় দুদুকের আয়োজনে সততা সংঘের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ” স্লোগানে খুলনা বিভাগের ২০ টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সততা সংঘের সমাবেশ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত  হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১১  টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা বিভাগের পরিচালক মোঃ মঞ্জুর মোরশেদ’ র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক। 
    এসময় তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সততা স্টোর’র মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য নিচ্ছে, টাকা দিচ্ছে। সততা স্টোরে কোন বিক্রেতা নেই। শিক্ষা জীবনে যদি এভাবে তারা সততার চর্চা করে তাহলে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে তারা সততা থেকে এক চুলও বিচ্যুতি হবে না।
     সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ আতিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ আবুল কালাম বাবলা প্রমুখ। 
    এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, আব্দুর রব ওয়ার্ছী, শেখ তৌহিদুর রহমান ডাবলু, সাকিবুর রহমান বাবলা প্রমুখ।
     সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা বিভাগের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ।

  • সাতক্ষীরায় জেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় জেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ মে) দুপুর ২টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির’র সভাপতিত্বে জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন জেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানউল্লাহ-আল-হাদী, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরা’র উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, কলারোয়া পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সডক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকতার হোসেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অজিত কুমার সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাস, পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারি পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জিয়াউর রহমান, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. আব্দুল্লাহ, জেলা হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের জেলা প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা প্রমুখ। জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় ২০১৩ সালের নাশকতা ও হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে, মাদক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল স্থানান্তর লাবসা বাইপাসে কাজের অগ্রগতি, কালিগঞ্জ বাস-টার্মিনাল স্থানান্তর, ভোমরা স্থলবন্দরের বিরাজমান সমস্যা, যানজট নিরসন প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল।

  • সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি

    সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি

    সকল বিষয়ে দুদুকে দোষারোপ করবেন না,  দুদুকের এখতিয়ারের বাহিরে কিছুই করা সম্ভব নয় – দুদুক

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “রুখবো দূর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ” এই স্লোগানে সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত)  মোঃ জহুরুল হক। 

    এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশন, খুলনার পরিচালক মোনজুরুল মোরশেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মোঃ কাজী মনিরুজ্জামান, দুদকের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী পরিচালক তারুণ কান্তি ঘোষসহ জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অভিযোগকারিগন উপস্থিত ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় স্বাস্থ্য বিভাগ, রেজিষ্ট্রি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দূর্ণীতি তুলে ধরা হয়।

    সদর উপজেলার জনৈক ব্যক্তি অর্ভিযোগ করেন,সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল তুলতে তার ৩ হাজার টাকা লেগেছিল। উত্তরে সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সি জানান,দলিল তুলতে ৮০০ টাকা লাগে। সাথে লাগে ১০০ টাকা। ৩ হাজার টাকা কে নিয়েছে,তা তার জানা নেই।

    অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক বলেন,রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতির বিষয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের আশ^াস দেন কমিশনার।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতির বিষয়ে জনৈক ব্যক্তি তার অভিযোগে বলেন,বিনেরপোতা এলাকায় কুন্দুরডাঙ্গী খালের এক কি.মি. খনন করেছিল মৎস্য অধিদপ্তর। পরবর্তীতে সেই খালের একই জায়গায় খনন দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

    এছাড়া গোবিন্দপুর থেকে বিনেরপোতা অভিমুখী ৫কি.মি. বেড়িবাঁধ সংস্কারে ৩ কোটি টাকা খরচ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও ঠিকাদারের যোগসাজসে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

    তহশীলদার মহসিন আলীর বিরুদ্ধে ৪০ টাকার খাজনা জমা দিতে ১৬০০ টাকা ও এক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে নামপত্তন করিয়ে দেওয়ার নাম করে ৪০০ হাজার টাকা নিয়েও কাজ না করা বা টাকা ফেরৎ না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। সাথে সাথে ওই তহশীলদার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়।

    দুর্নীতির বড় অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজকে নিয়ে। মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সময় ৫০ লাখ টাকার এসি, ফার্নিচার ও ল্যাবের বিভিন্ন যত্রাংশ কেনা হয়েছিল। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস সেই সব জিনিসপত্র ব্যবহার না করে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে দুদক কমিশনারের কাছে। এছাড়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র কল্যাণ তহবিলের ৮০ লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আশাশুনি উপজেলার গোকুলনগরের ফারুক হোসেন জানান, বেআইনিভাবে আশাশুনি সহকারি জজ আদালতে তার বিচারাধীন দেঃ ৪৮/২০ নং মামলার নথিতে নিয়মবহির্ভুতভাবে সংযোজনের ব্যাপারে পেশকার শফির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তার আবেদন উপস্থাপন করা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন যে, এখানে যে সমস্ত অভিযোগ উপস্থাপন করা যায়নি সেগুলো প্রতি বুধবার তার অফিসে অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে উপস্থাপন করা যাবে।

    এসব অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক বলেন,৩৬টি অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত হবে।

  • উন্নত জাতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই: এসপি মনিরুজ্জামান

    উন্নত জাতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই: এসপি মনিরুজ্জামান

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : উন্নত জাতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা মানবিক মূল্যবোধ ও মেধা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম। মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে পুলিশকে তথ্য দিন ও পুলিশ কে সহযোগীতা করুন। মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, মাদক পরিবহনে নিয়োজিত ব্যক্তি, মাদক সংক্রান্তে অর্থ লেনদেনকরী, এবং মাদক ব্যবসায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী ব্যক্তিদের তথ্য দিন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    শনিবার (১৩ মে) সকালে সাতক্ষীরা জেলা রেফারী ফুটবল টুর্ণামেন্ট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এসব কথা বলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
    “মাদককে না বলুন, খেলাধুলাকে হ্যাঁ বলুন” এই প্রতিপাদ্যে জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের আয়োজনে দিন ব্যাপি সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে জেলার ফুটবল রেফারিবৃন্দের অংশ গ্রহণে ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বাবলা, জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান বাবু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ মোঃআমিনুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কালিগঞ্জ সার্কেল আমিনুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, ডিআইও-১ ইয়াসিন আলম চৌধুরী, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলু আক্তার, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রহমান, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম রেজা প্রমুখ।
    এসপি সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। শহীদ শেখ কামাল ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মানোন্নয়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতেন এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করাতেন। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে।