Category: আইন-আদলাত

  • আশাশুনিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

    আশাশুনিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে মাক্স পরিধান ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণের লক্ষে ভ্রাম্যমান আদালতে ১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলীফ রেজা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আশাশুনি সদরের ঔষধ ফার্মেসীর মালিক মনিরুজ্জামানকে ১ হাজার টাকা, হাসানুজ্জামানকে ২০০ টাকা, সিদ্দিককে ২০০ টাকা ও জিএম সাইফুজ্জামানকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় জনস্বার্থে মাক্স পরিধান নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, পিআইও সোহাগ খান, অফিস সহকারি আব্দুর রশিদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী ও জেরা প্রদান, এনিয়ে মোট ২০জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী ও জেরা প্রদান, এনিয়ে মোট ২০জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষ

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কলারোয়ায় সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছে। একই সাথে আসামীপক্ষের আইনজীবিরা তাকে জেরাও করেছেন। সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হুমায়ুন কবিরের আদালতে তার জবানবন্দী ও জেরার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। এনিয়ে এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২০ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। এদিকে, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদান শেষে সাক্ষ্য গ্রহন শেষ করা হরা হয়েছে। এ মামলায় আসামীদের পরীক্ষা (৩৪২) এবং যুক্তিতর্কের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর।
    এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, আসামীপক্ষে ছিলেন এ্যাড. আব্দুল মজিদ, অ্যাড.তোজাম্মেল হোসেন তোজামসহ কয়েকজন।
    ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা হিসাবে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধর্ষিতা মুক্তিযোদ্ধা পতœীকে দেখতে সাতক্ষীরায় আসেন। এদিন তিনি কলারোয়া হয়ে মাগুরা ফিরে যাবার পথে তার গাড়িবহর নিয়ে হামলার শিকার হন। সেখানে গুলি এবং মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুনরুজ্জীবিত মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ২০ জন সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহন করা হয়েছে। আজও আদালতে আসামী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।

  • জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলা আদালতে আরো এক জনের সাক্ষ্য


    নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে কলারোয়ায় তার গাড়িবহরে হামলা মামলায় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে রোববার আরো একজন সাক্ষ্য দিলেন। এ ছাড়া তিনজন পূনরায় সাক্ষী দেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন আদালত। রোববার আদালতে এ মামলায় যারা নতুন সাক্ষ্য দিলেন সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। এ ছাড়া কলারোয়ার আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম লাল্টু, মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী পূনরায় স্বাক্ষী দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথীকে কাঠগোড়ায় আহবান করেও তাকে জেরা করেননি আসামীপক্ষ।
    রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অতিরিক্ত এটর্ণি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি এটর্ণি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, ডেপুটি এটর্ণি জেনারেল শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সহকারি এটর্ণি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।
    আসামীপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদব ব্যারিষ্টার মাহাবুবউদ্দিন খোকন, অ্যাড.শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, অ্যাড, মিজানুর রহমান পিন্টু।
    ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখে মাগুরায় ফিরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে রাস্তার উপর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও তৎকালিন সাংসদ হাবিবুল ইসলামের হাবিবের নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতা কর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় তৎকালিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে এক ডজন দলীয় নেতা কর্মী আহত হয়।
    এ ঘটনায় থানা মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদি হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৭৫ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা নালিশী আদালত ‘ক’ অঞ্চলে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে এসটিসি ২০৭/১৫, এসটিসি ২০৮/১৫ দু’টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতে বিচারাধীন।
    ২০১৭ সালের ৯ ও ২৩ আগষ্ট আসামীপক্ষ মামলা তিনটির কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত করেন। দীর্ঘ তিন বছর পর আসামী পক্ষের মিসকেস খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট পেনালকোর্ডের মামলাটি(টিআর-১৫১/১৫) ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন। বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন ও অস্ত্র আইনের মামলা দু’টি গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফাজামান ইসলাম ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামিপক্ষের স্থগিতাদেশ ও আপিল খারিজ করে দেয়।
    অতিরিক্ত এটর্ণি জেনারেল এসএম মুনীর বলেন, এ মামলায় সাবেক সাংসদ ও বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বিরুদ্ধে সাক্ষীরা সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন। ২১ ডিসেম্বর আবারো সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য আছে।

  • আশাশুনিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা

    আশাশুনিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা


    আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির প্রতাপনগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে মোবাইল কোর্টে ড্রেজার মেশিন মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আায়ুব আলি গাজীর পুত্র হাফিজুল দীর্ঘদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালি উত্তোলন করে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে গড়–ইমহল খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় দোষি আইয়ুব আলী কে প্রাকৃত্রিক জলাধার সংরক্ষণ আইন- ২০০০ এর ৮(১) ধারায় ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

  • ব্যাংকের সিল ও বিআরটিএর নকল রশিসহ দালাল চক্রের ৩ সদস্য আটক

    ব্যাংকের সিল ও বিআরটিএর নকল রশিসহ দালাল চক্রের ৩ সদস্য আটক

    জহুরুল কবীর : সাতক্ষীরায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এনআরবিসি ব্যাংকের সিল ও ড্রাইভিং লাইসেন্সর ফি জমাদেওয়ার নকল রশিদসহ দালাল চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজীত সাহা এর নেতৃত্বে বিআরটিএ এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
    আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার কোরবান গাজীর পুত্র তুহিন ইসলাম, পলাশপোল সবুজবাগ এলাকার সাবুর আলীর পুত্র আবু সাঈদ, বেতলা এলাকার মোকবের আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন।
    বিআরটিএর সহকারী পরিচালক এ,এস,এম ওয়াজেদ হোসেন জানান, গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে বহুদিন ধরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি দালাল চক্র ভুয়া রশিদ বানিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহযোগিতায় কোর্টের উত্তর পাশে তুহিন কম্পিউটার নামক ফটোকপি ও কম্পোজের দোকানে অভিযান চালিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সর ফি জমা দেওয়ার নকল রশিদ ও এনআরবিসি ব্যাংকের নকল সিলসহ তিন জনের চক্রবদ্ধ একটি দলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, রবিবার সন্ধ্যায় তিনি নিজে বাদি হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. বুরহান উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আজ দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ফেনসিডিল সহ আটক -৩

    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ফেনসিডিল সহ আটক -৩


    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থেকে ৬৫ বোতল ফেনসিডিল সহ তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জের রাজ উল্লাহ মোড় টু শুইলপুর বারইপাড়াগামী ইটের সলিং রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে ৬৫ বোতল ফেনসিডিল সহ তিনজন মাদক চোরাকারবারি কে আটক করাহয়। আটককৃতরা হলেন, কালীগঞ্জ শুইলপুর গ্রামের মৃত আঃ জমাত আলী মোড়ল এর ছেলে সায়েম মোড়ল(৩৬) একুই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সবুজ হোসেন গাজী (৩০) ও মোক্তার গাজীর ছেলে আবু বক্কার (৩০)।
    এব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের আফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোঃ মোস্তফা আলম, এএসআই ইমামুল মোল্যা, এএসআই ইদ্রিস আলী সহ আশিক গালিব ও বাবুল হোসেন কে সাথে নিয়ে কালীগঞ্জের শুইলপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬৫ বোতল ফেনসিডিলসহ তাদের আটক করাহয়। পরে তাদের মাদক মামলায় দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • কলারোয়ায় চারজন কে কুপিয়ে ও জবাই করে খুনের ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হানুলের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর –

    কলারোয়ায় চারজন কে কুপিয়ে ও জবাই করে খুনের ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হানুলের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর –

    জহুরুল কবীর:  সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও জবাই করে খুনের দায়ে গ্রেফতার হওয়া নিহত শাহিনুরের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলামকে ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা আমলী আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার এই আদেশ দেন।
    গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় সিআইডি। আজ রোববার শুনানির জন্য তাকে আদালতে হাজির করাহয়।এর আগে বৃহস্পতিবার তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছিল।
    সাতক্ষীরা সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, রায়হানুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করা যাবে না। আদালতে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়ার হেলাতলা খলসি গ্রামে শাহিনুর রহমান, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে মাহি ও মেয়ে তাসনিমকে কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করে দুর্বৃত্তরা। তবে, ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় তাদের ৪ মাস বয়সী শিশু কন্যা মারিয়া। বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত শাহিনুরের শ্বাশুড়ি ময়না খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা (নং ১৪) দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে।

  • সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে ভডিওি ভাইরাল

    সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে ভডিওি ভাইরাল

    এসপরি নর্দিশেে প্রতবিন্ধী দুই ভাই-বোনকে নর্যিাতনকারী দুই আসামকিে গ্রফেতার করল পুলশি

    জহুরুল কবীর: গত ১৩ আগস্ট বলো সাড়ে ১১ টারদকিে সাতক্ষীরা শহররে প্রাণ সায়রে খালরে সাকনিস্থ ন্যাশনাল র্হাডওয়ার এর সামনে প্রতবিন্ধী দুই ভাই-বোনকে নর্যিাতনরে ঘটনা ঘট।ে

    নর্যিাতনরে ঘটনার একটি ভডিওি চত্রি সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়য়িে পড়।ে ভডিওি চত্রিটি সাতক্ষীরার পুলশি সুপার মোস্তাফজিুর রহমান এর দৃষ্টগিোচর হয়। তনিি সাথে সাথে নর্যিাতনকারীদরে গ্রফেতাররে নর্দিশে দলিে পুলশি তাদরে আটক কর।ে

    এবষিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফসিার ইনর্চাজ মোঃ আসাদুজ্জামান বলনে, প্রতবিন্ধীদরে নর্যিাতনকারী মূল আসামি মোঃ কামাল হোসনে নকিারী এবং নর্দিশেদাতা ও প্ররোচনাকারী আজজি নকিারী দরে গ্রফেতার করা হয়ছে।ে এ সংক্রান্ত,ে প্রতবিন্ধী দুই ভাই-বোনরে মামা এজাহার দাখলি করলে সাতক্ষীরা থানার মামলা নম্বর ৪৫ রুজু হয়। আসামি ০২ জনকে বজ্ঞি আদালতে প্ররেণ করা হয়ছেে বলে ও জানান তনি।ি

  • সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের

    সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের

    সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের

    মশাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে । নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে চরভদ্রাসন থানায় এই মামলা করেন। তিনি জানান, মামলায় শুধু নিক্সন চৌধুরীকেই একক আসামি করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানাকে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযাগ উঠেছে। এরকম একটি অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

    বুধবার (১৪ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সিইসি বলেন, ‘ফরিদপুর নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সংসদ সদস্য নিক্সন সাহেবের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করবো। হয়তো আজকে বা কালকের মধ্যে থানায় মামলা হয়ে যাবে। আমাদের নির্বাচনবিধি বহির্ভূত আচরণের জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট আলামত আছে, সেজন্য মামলা হবে। থানায় তদন্ত করে যেরকম পাবে, সেরকম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ভঙ্গের বাইরেও যদি কোনও অনিয়ম থেকে থাকে, সেগুলো নিয়ে আরেকটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

    তবে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘ওই ভয়েসটাই (কণ্ঠস্বর) আমার না। প্রথমে আমি এসিল্যান্ডকে (সহকারী কমিশনার, ভূমি) ফোন করেছিলাম। “আমি দেখতেছি”, বলে তিনি ফোনটা বন্ধ করে দেন। পরে আমি আপাকে (টিএনও) ফোন করলাম যে, “আপা আমার একটা লোক ধরা পড়ছে আপনি একটু দেখেন। সে কোনও অন্যায় করেনি, মাঠে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। তাকে বিজিবি ধরে নিয়ে গেছে। আপনি একটু ব্যবস্থা নেন।” এই কথাটুকুই আমি তাকে বলেছি।

    গত ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।

  • শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

    শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

    জহুরুল কবীর: বুধবার সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয় এঁর নির্দেশে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময়ে দেখা যায় লাইসেন্স গ্রহণ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের পূর্ব শর্তগুলো পূরণ ব্যতিরেকেই অনেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপরিউক্ত অপরাধের দায়ে প্রাইম ডায়াগনস্টিক ও সোনালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদ্বয়কে মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি( নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ- ১৯৮২ অনুযায়ী ৫০০০ টাকা করে অর্থ দন্ড ও ১০ দিন করে কারা দন্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

  • আদালতের রায় : সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে আবু আহম্মেদ-বাপ্পি নেতৃত্বাধীন কমিটি বৈধ

    আদালতের রায় : সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে আবু আহম্মেদ-বাপ্পি নেতৃত্বাধীন কমিটি বৈধ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : অবশেষে আদালত সত্যের পক্ষে রায় ঘোষনা করেছে । সাতক্ষীরার সাংবাদিক সমাজ ও নাগরিক সমাজের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে আদালতের রায়ে। পেশী শক্তির প্রশ্রয়ে এলাকা দখল করার মত অসৎ মানষিকতার মানষে তৈরী কমিটিকে অবৈধ্য ঘোষনা করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বৈধ্য কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন সাতক্ষীরার সহকারী জজ আদালত। একই সংগে নূরুল ইসলাম- মোজ্জাফারের কমিটিকে অবৈধ্য বলে রায় দিয়েছেন।
    বৃহস্পতিবার সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ নাছির উদ্দিন ফরাজি এ রায় দেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপির দায়ের করা মামলায় গত ৭ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের শুনানীর পর আজ এই রায় প্রদান করে আদালত। আদেশে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রেসক্লাবের আর্থিকসহ সকল দায় দায়িত্ব আবু আহমেদ ও মমতাজ আহমেদ বাপীর নেতৃত্বাধীন কমিটির নিকট হস্তান্তরের জন্য বলা হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারীর পর থেকে এই রায় ঘোষণা পর্যন্ত সকল প্রকার অনিয়মিত আর্থিক লেনদেনের জন্য জিএম নুর ইসলাম ও মোজাফ্ফর রহমানের নেতৃত্বাধীন কমিটি দায়ী থাকবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। রায়ে দায়িত্ব হস্তান্তরের এক মাসের মধ্যে গত ৪ জানুয়ারী-২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় অনুমোদিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যকরি কমিটি গঠনের লক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বলা হয়েছে।
    উল্লেখ্য গত ৪ জানুয়ারী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় ৬ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২০ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচনী তপশীল ঘোষণা করা হয়। এলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন পত্র বিক্রির পূর্বেই ২২ জানুয়ারী জিএম নুর ইসলাম ও মোজাফ্ফর রহমানের নেতৃত্ব সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব দখল করা হয়। তারা কোনরকম বৈধ প্রক্রিয়া ছাড়াই কমিটি ঘোষণা করে। এর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ অন্যান্যরা বাদী হয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখ সাতক্ষীরা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ২৩/২০২০ মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় বাদী পক্ষের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন।
    রায়ে আরো বলা হয়, “বাংলাদেশ একটি স্বীকৃত গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেই হিসেবে দেশের সকল স্তরের কমিটি বা নেতৃবৃন্দ অবশ্যই গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত হতে হবে। এটাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন তথা সংবিধানের স্প্রিরিট। একটি কল্যাণকর ও প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে কতিপয় সদস্য কতৃক কোন আইনগত প্রক্রিয়া ব্যতীত কোন নির্বাচিত কমিটিকে দখলচ্যুত করা দেশের আইন শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখনোর সমান বিবেচিত হয়, যা বেআইনী এবং আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সংবাদ মাধ্যম ফোর্থ স্টেট হিসেবে পরিচিত হয়। আর ঐ সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের দ্বারা এহেন অগণতান্ত্রিক বেআইনী কাজ রাষ্ট্র ও সমাজ প্রত্যাশা করে না। নির্বাচিত কমিটি কোন অন্যাই বা অনিয়ম করলে রাষ্ট্রের পক্ষ হতে তা সুরাহা করার জন্য আদালতসহ বিভিন্ন ফোরাম রয়েছে। কিন্তু তার শরণাপন্ন না হয়ে বিাদীপক্ষরা বাদী পক্ষের মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্বেই দখলচ্যুত করে নিজেরা কমিটি ঘোষণা করায় তাদের ঐ কার্য শুরুই হতে বাতিল বলে আদালতের নিকট প্রতিয়মান হয়। ফলে একটি বাতিল কমিটি দ্বারা স্থানীয় প্রেসক্লাবের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তাই অনতিবিলম্বে সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির নিকট প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণসহ দায়িত্ব হস্তান্তর প্রয়োজন বলে অত্র আদালতের নিকট প্রতিয়মান হয়।”

  • হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় : তাহেরের মৃত্যুদন্ড ঠান্ডা মাথায় খুন

    হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় : তাহেরের মৃত্যুদন্ড ঠান্ডা মাথায় খুন

    ১৯৭৬ সালে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল এম এ তাহের ও তাঁর সঙ্গীদের গোপন বিচার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। এতে তাহেরের মৃত্যুদন্ডকে ঠান্ডা মাথার খুন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।রায়ে বলা হয়, কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদ- হত্যাকা-। কারণ, ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদ- প্রদানে মনস্থির করেন। ওই হত্যাকা-কে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হিসেবে চিত্রিত করতে সরকারের প্রত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু জেনারেল জিয়া জীবিত নেই, আইন অনুযায়ী তাঁর বিচার সম্ভব নয়। তাই দ-বিধি অনুযায়ী তাঁর বিচার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এ হত্যার জন্য দায়ী কেউ জীবিত থাকলে সরকারের উচিত হবে তাঁদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা।১৯৭৬ সালে সামরিক আইন আদেশের মাধ্যমে সামরিক ট্রাইব্যুনাল গঠন, ট্রাইব্যুনালে তাহেরসহ অপরাপর ব্যক্তিদের গোপন বিচার এবং তাঁদের দেওয়া সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চারটি রিটের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২২ মার্চ বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। ১৯৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের মূল অংশ সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।২০১০ সালের ২৩ আগস্ট কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের, ভাই ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খান বীর বিক্রমের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ ও অপর ভাই আনোয়ার হোসেন, হাসানুল হক ইনু (সাবেক তথ্যমন্ত্রী), মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন ও মো. আবদুল মজিদ পৃথক রিট করেন।
    রায়ের অংশবিশেষ: রায়ে কর্নেল তাহেরকে জাতীয় বীর ও দেশের গৌরব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে আবু তাহের, আবু ইউসুফ খান, আনোয়ার হোসেন, হাসানুল হক ইনু, রবিউল আলম, জিয়াউদ্দিন, শামসুল হক, আবদুল হাই মজুমদার ও মো. আবদুল মজিদকে দেওয়া শাস্তিও অবৈধ বলা হয়। তাঁদের নাম ওই তালিকা থেকে মুছে দিতে বলা হয়েছে। জিয়াউদ্দিন, শামসুল হক, আবদুল হাই মজুমদার ও মো. আবদুল মজিদকে সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা অবৈধ ঘোষণা করে চাকরিতে পূর্ণ মেয়াদে বহাল ছিলেন ধরে নিয়ে তাঁদের বেতন-ভাতা ও অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। অনুলিপি পাওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করতেও বলা হয়।
    বিধান নেই, তবু দ-: রায়ে বলা হয়, এটা পরিষ্কার যে সামরিক আদালতে বিচার হয়েছে, সেই আদালতের বিচার করার এখতিয়ার ছিল না। ওই আদালতের মৃত্যুদ- দেওয়ার এখতিয়ার ছিল না। সর্বোচ্চ ১০ বছর শাস্তি দিতে পারতেন। যে আইনে তাহেরকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয় তখন সে আইনে মৃত্যুদ-ের কোনো বিধান ছিল না। তাহেরের ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর ১৯৭৬ সালের ৩১ জুলাই বিধান করা হয়। বিচারের সময় আদালতের সামনে এজাহার বা অভিযোগপত্রও ছিল না। আসামিরা জানতেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ। তাঁদের পক্ষে বক্তব্য দিতে কোনো আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই ওই বিচার কার্যক্রম ছিল অবৈধ। এ কারণে ওই বিচার-সংক্রান্ত সব নথিপত্র ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
    মওদুদের বই সম্পর্কে: মওদুদ আহমদের ‘ডেমোক্রেসি অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ অব ডেভেলপমেন্ট: এ স্টাডি অব পলিটিক্যাল অ্যান্ড মিলিটারি ইন্টারভেনশন ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রায়ে বলা হয়, এই বিচারের ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তান-ফেরত সামরিক অফিসারদের তুষ্ট করতে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দিতে মনস্থির করেছিলেন। জেনারেল জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন মওদুদ আহমদ। তিনি জেনারেল জিয়াউর রহমানের মুখ থেকে এই কথাগুলো শুনেছেন বলে বইয়ে দাবি করেছেন। তাই তাঁকে অবিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। রায়ে বলা হয়, এই মামলার শুনানির একপর্যায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আদালতকক্ষে প্রবেশ করলে আদালত তাঁর লেখা বই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাঁর লেখাকে স্বীকার করে নেন।

    তাহেরসহ ১৭ জনকে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালের গোপন বিচারে ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সাজা দেওয়া হয়। এরপর ২১ জুলাই ভোররাতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।

    সুত্র: প্রথম আলো

  • পুলিশের অভিযানে জব্দকৃত ৬৫৫ বস্তা গম আবারো ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ টি ইউনিয়নে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত

    পুলিশের অভিযানে জব্দকৃত ৬৫৫ বস্তা গম আবারো ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ টি ইউনিয়নে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত

    স্টাফ রিপোটার: পুলিশের অভিযানে জব্দকৃত ৬৫৫ বস্তা গম আবারো ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ টি ইউনিয়নে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান। রোববার ভার্চুয়াল শুনানী শেষে আজ সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে এ আদেশ দেন বিচারক।
    এর আগে এ মামলার পিপি (দুদক) মোস্তফা আসাদুজ্জামান দিলু জব্দকৃত আলামত পচনশীল হওয়ায় এর মধ্য থেকে ৫ কেজি নমুনা স্বরুপ রেখে বাকী সব আলমত বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের আদালতের কাছে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে উক্ত আদেশ প্রদান করেন।
    মামলার নথি ও পিপির আবেদন পর্যালোচনা শেষে আদলতের বিচারক জানতে পারেন যে, গত ২৫ জুন ২০২০ তারিখে কালিগঞ্জ থেকে ডিবিপুলিশের এস.আই হুসাইন মোস্তফা আলম ৬৫৫ বস্তা গম (৩৯ হাজার৩০০ কেজি) জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন । যার নং-নং ১৬৪৫, তাং- ২৬/৬/২০২০। একইসাথে ফৌঃকাঃ বিধি ৫৪ ধারা মোতাবেক আসামী শহীদুল ইসলাম, আব্দুল গণি, লিয়াকত সরদার ও আবু খালেক ঘোরামিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করেন এবং দুর্নীতি দমন কশিমন গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭/(ক)/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মোতাবেক গত ২৭/৬/২০২০ তারিখে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় দুদক পিপি গত ২৯/৬/২০২০ তারিখে আসামীদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করিলে গত ৩০/০৬/২০২০ তারিখে ভার্চুয়াল শুনানী অন্তে তা মঞ্জুর করা হয় এবং আসামীদের মামলায় গ্রেফতার দেখাইয়া হাজতী পরোনায়া ইস্যু করা হয়।
    আলামত যেহেতু পচনশীল দ্রব্য সেহেতু তা নষ্ট না করিয়া জনকল্যানে ব্যবহার করা সমীচিন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিচারক নথি পর্যালোচনা শেষে সম্প্রতি সুপার সাইক্লোন আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জবদকৃত আলামতের ৫ কেজি নমুনা স্বরুপ রেখে বাকী গুলো সব আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত দূর্গত এলাকা শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী, কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর, আশাশুনি সদর ও আনুলিয়া ইউনিয়নের মানুষের মাঝে বন্টনের লক্ষ্যে জেলা পুলিশকে দায়িত্ব দেন। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ বর্ণিত ৪ টি ইউনিয়নের ক্ষতিস্ত জনগনের মাঝে বন্টন শেষে আদালতকে একটি বন্টন প্রতিবেদন দাখিল করার জন্যও ওই আদেশে বলা হয়েছে। একই সাথে আদেশের অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা, দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনা ও বিজ্ঞপিপি দুদক বরাবর প্রেরন করার জন্য বলা হয়। উক্ত ভার্চুয়াল শুনানিতে এ সময় অংশ নেন দুদকের পিপি এড. মোস্তফা আসাদুজ্জামান দিলু ও জেল সুপার।
    উল্লেখ্য ঃ এর আগেও গত ২৮ মে ২০২০ তারিখে ৮১৭ বস্তা জব্দকৃত গম আম্পান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিতরণের নির্দেশ দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুষ্ঠভাবে ওই গম ক্ষস্থিগ্রস্থ এলাকার মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন।

  • প্রয়াত মন্ত্রীকে কটূক্তি; বেরোবি’র সেই শিক্ষক বরখাস্ত

    প্রয়াত মন্ত্রীকে কটূক্তি; বেরোবি’র সেই শিক্ষক বরখাস্ত

    সদ্য প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করা   বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মনিরাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানি শেষে তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। 

    ১৩ জুন সন্ধ্যার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজুম মনিরা তার নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করেন। তার এই পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে তাজহাট থানায় ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাত সোয়া ২ টার দিকে শিক্ষক সিরাজুম মনিরাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারি প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান জানান,  প্রয়াত মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিশ্ববিদ্যালযের নিয়ম অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জেল হাজতে থাকায় ডাক যোগে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়েছে। 
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মহিবুল ইসলাম জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত তাজহাট এর বিচারক উক্ত শিক্ষককে দুই দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

  • লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার নেপথ্যে ৪ ট্রাভেল এজেন্সি

    লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার নেপথ্যে ৪ ট্রাভেল এজেন্সি

    ন্যাশনাল ডেক্স:

    লিবিয়ায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ২৬ বাংলাদেশি। এছাড়া আরও ১১ জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে দেশের চারটি ট্রাভেল এজেন্সি ও অর্ধশতাধিক দালাল চক্র।

    পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য উদঘাটন করেন। এর ভিত্তিতে চার ট্রাভেল এজেন্সি ও ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।

    সিআইডির এক সূত্রে জানা যায়, অর্গানাইজড ক্রাইমের হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের উপপুলিশ পরিদর্শক এএইচএম রাশেদ ফজল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেছেন। মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে করা মামলাটিতে চারটি ট্রাভেল এজেন্সিসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০-৩৫ জনকে।

    মামলার এজাহারের ভাষ্য মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা হতাহতরাসহ আরও অনেককে ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় অবৈধভাবে পাচার করেন। এর মধ্যে ২৬ জনকে লিবিয়ায় হত্যা করা হয়েছে, পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ১১ বাংলাদেশি। 

    এই ঘটনার পেছনে রাজধানীর নাভীরা লিমিটেড এবং ফ্লাইওভার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে বলে সিআইডির তদন্তে উঠে আসে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক শেখ মো. মাহবুবুর রহমান ও শেখ সাহিদুর রহমান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার মুকুন্দপুরের মৃত আব্দুল মোতালেব শেখের ছেলে। এ দুটি ট্রাভেল এজেন্সি ছাড়াও পুরানা পল্টনের স্কাই ভিউ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও বাংলামোটরের লালন নামের আরেকটি ট্রাভেল এজেন্সির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। 

    সিআইডির হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের অনুসন্ধান বলছে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকসহ অন্য আসামিরা প্রলোভন দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রতারণামূলকভাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের পাচার করেছে। কিন্তু সেখানে পাঠিয়ে তাদেরকে কম বেতনে কঠিন শ্রমের কাজে নিয়োজিত করা হতো।

    এই মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের নাম : তানজিদ, বাচ্চু মিলিটারি, নাজমুল, জোবর আলী, জাফর, স্বপন, মিন্টু মিয়া, হেলাল মিয়া, কামাল উদ্দিন ওরফে হাজী কামাল, আলী হোসেন, সাদ্দাম, কামাল হোসেন, রাশিদা বেগম, নুর হোসেন শেখ, ইমাম হোসেন শেখ, আকবর হোসেন শেখ, বুলু বেগম, জুলহাস সরদার, আমির শেখ, দিনা বেগম, নজরুল মোল্লা, শাহদাত হোসেন, জাহিদুল শেখ, জাকির মাতুব্বর, আমির হোসেন, লিয়াকত শেখ, আ. রব মোড়ল, কুদ্দুস বয়াতী, নাসির, সজীব মিয়া, রেজাউল বয়াতী, শেখ মো. মাহবুবুর রহমান, শেখ সাহিদুর রহমান, হাজী শহীদ মিয়া, মো. খবি উদ্দিন ও মুন্নি আক্তার রূপসী।

    অর্গানাইজড ক্রাইমের হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের উপ পুলিশ পরিদর্শক এএইচএম রাশেদ ফজল জানান, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগীদের লিবিয়ার বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখে। মে মাসের মাঝামাঝি তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ত্রিপোলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদায়। সেখানে আসামিরা লিবীয় সহযোগীদের মাধ্যমে তাদের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। সেসব ছবি দেশে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। 

    মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসিমেদের সঙ্গে দরকষাকষির মধ্যে এক সুদানি স্থানীয় মানবপাচারকারীকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিহত মানবপাচারকারীর স্থানীয় সহযোগীরা গত ২৮ মে আসামিদের সহায়তায় হতভাগ্য পাচারকৃতদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় তাদের গুলিতে জুয়েল, মানিক, আসাদুল, আয়নাল মোল্লা, জুয়েল-২, মনির, মনির-২, সজীব, ফিরোজ, শামীম, আরফান, রহিম, রাজন, শাকিল, আকাশ, সোহাগ, মো. আলী, সুজন. কামরুল, রকিবুল, লাল চন্দ ও জাকির হোসেনসহ মোট ২৬ বাংলাদেশী নিহত হন। এছাড়া গুরুতর আহত হন আরও ১১ জন। 

  • সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি ভার্চুয়াল কোর্টে অংশ গ্রহন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এক জরুরী সভায়

    স্টাফ রিপোটার ঃ দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবেলায় সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহন করা হলেও সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি এ ধরনের কোর্টে অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমিতির এক জরুরী সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি এড. এম শাহ-আলমের সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উল্লেখ্য, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় এবং এর ব্যাপক বিস্তর রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সাধারণ ছুটির সময়ে নিন্ম আদালতে কেবলমাত্র জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুপ্রীম কোর্ট এক নির্দেশনা জারি করেন। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরী সাধারণ সভায় বক্তাগন বলেন, মফস্বল শহরে সর্বস্তরের আইনজীবীদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় এবং প্রত্যেকের ল্যাবটপ, স্ক্যানার ও প্রির্ন্টাস মেশিন না থাকায় এবং ইন্টারনেট ও ওয়াই-ফাই লাইন পর্যাপ্ত না থাকায় ভার্চুয়াল কোর্টে অংশ গ্রহন সম্ভব নয়। যে কারণ সমিতির সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে সদস্যদেরকে ভার্চুয়াল কোর্টে অংশ গ্রহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সমিতির কোন সদস্য যদি উক্ত সিদ্ধান্ত অমান্য করেন, তাঁর বিরুদ্ধে সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

  • চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালন : এক ঔষধের দোকানদার আটক

    চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালন : এক ঔষধের দোকানদার আটক

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় চিকিৎসককে লাঞ্চিত করার অভিযোগে ঔষধের দোকানদার মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে দোষী দোকানদারকে আটকের দাবিতে কর্মবিরতিসহ মানববন্ধন করেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি চলাকালে ব্যাপক দূর্ভোগের মধ্যে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদ্জ্জুামান জানান, দোকানদার মনিরুল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তৈয়েবুর রহমান গালিবকে লাঞ্চিত করায় চিকিৎসকরা তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন। এ ঘটনায় মনিরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তিনি আরো জানান, চিকিৎসকরা অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তৈয়ুবুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় এক রোগীর প্রেসক্রিপশনে লেখা নির্ধারিত ঔষধ না দেয়ায় তিনি সদর হাসপাতালের সামনে এস,এম ড্রাগ হাউসে যান। এসময় ওষুধ ফেরত না নিয়ে দোকানদার মনিরুল ইসলাম তার সাথে মারমুখি আচরণ করেন। একপর্যায়ে তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। এর প্রতিবাদে চিকিৎসকরা শনিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেন।
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, সমস্যার সমাধানে বর্তমানে আলোচনা সভা চলছে।