Category: আইন-আদলাত

  • নতুন সময়সূচিতে অফিস-ব্যাংক-প্রাথমিক বিদ্যালয়

    নতুন সময়সূচিতে অফিস-ব্যাংক-প্রাথমিক বিদ্যালয়

    রমজান মাসে স্কুল, ব্যাংক, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট নামাজের বিরতি থাকবে। গত ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।‌

    প্রথম রোজা থেকে এ সময়সূচি চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এবার রমজানের প্রথম দিন ছিল শুক্রবার, দ্বিতীয় দিন ছিল শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন শেষে গতকাল রোববার ছিল মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ফলে রমজানের তিনদিন পার হওয়ার পর আজ সোমবার থেকে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস।

    এদিকে গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্টের এক সার্কুলারে জানানো হয়, রমজান মাসের জন্য ব্যাংকের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সূচি অনুযায়ী রমজান মাসে লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। আর অফিস চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

    এর মধ্যে বেলা ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে।

    এদিকে গত বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় পবিত্র রমজান মাসে ১৫ (পনের) রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। এই সময়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে ক্লাস।

    সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজান মাসের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রমজান মাসে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অফিস চলবে সকাল নয়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। জোহরের নামাজের জন্য বেলা সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।

  • সাতক্ষীরা ল কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

    সাতক্ষীরা ল কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরা ল কলেজের ২০২২-২৩ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও এল এল বি শেষ পর্বের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কলেজের এম এ গফফার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মাদ আব্দুল আলিম আল রাজী।
    সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
    আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা দায়রা জজ(নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল) এম জি আজম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত জেলা জজ (১ম) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা জজ (২য়) বিশ^নাথ মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা জজ (৩য়) রাখিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা জজ(৫ম) মাসুম বিল্লাহ, পিপি এড. আব্দুল লতিফ, জিপি এড. শম্ভু নাথ সিংহ প্রমুখ।
    ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উদ্বোধন করেন ল কলেজের অধ্যক্ষ এড. এস এম হায়দার আলী।
    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রভাষক এড. হোসনেয়ারা হক, এড. সিরাজুল ইসলাম, এড. শহিদ হাসান, এড. নাজমুন নাহার ঝুমুর, এড. লাকী ইসলাম, এড. শরিফ আজমীল হুসাইন, ল স্টুন্ডেস ফোরামের সভাপতি সালাউদ্দীন রানা, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিমা পারভীন, প্রাক্তন সভাপতি এস এম বিপ্লব হুসাইন, নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাজু। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, কলেজের প্রভাষক এড. মুনির উদ্দিন।

  • তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। 
    বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।
    তারেক-জোবায়দা পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশ করায় বিচারক মামলার পরবর্তী কার্যকম অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
    এরআগে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ৩০ জানুয়ারি এ গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। 
    গেজেটে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংঘত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের ধার্য তারিখের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে।
    তারও আগে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
    ওইদিন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের কোনো মালামাল পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী প্রদক্ষেপ হিসেবে বিজি প্রেসের মাধ্যমে তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। 
    গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক রহসান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। তাদের গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আদালত তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
    এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 
    উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।

  • সাতক্ষীরা শহরে জায়গা দখল করে ক্লাব নির্মাণ বন্ধ করলো মোবাইল কোর্ট

    সাতক্ষীরা শহরে জায়গা দখল করে ক্লাব নির্মাণ বন্ধ করলো মোবাইল কোর্ট

    শহর প্রতিনিধি:

    শহরে সরকারি জায়গা দখল করে ক্লাব নির্মাণ বন্ধ করলো মোবাইল কোর্ট। এ সময় নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ১১ টায় শহরের কামালনগরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কামালনগর স্পোর্টিং ক্লাবের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে মোবাইল কোর্ট।  

    মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলী। এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলী বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে কামালনগর স্পোর্টিং ক্লাবের নির্মাণ কাজ হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই। এজন্য তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছি। 

    তিনি বলেন, আমরা নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করেছি। ভবিষ্যতে সরকারি জায়গা দখল না হয় সেদিকে জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। 

  • আসামি ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

    আসামি ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

    ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২২ (বাসস) : আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দু’আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 
    রোববার পুলিশের মুখে স্প্রে মেরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দু’জঙ্গি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। 
    বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনর্চাজ পুলিশের এস আই নাহিদুর রহমান ভুইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বরত পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফ হাসান ও আব্দুস সাত্তার।
    সোমবার ডিএমপি’র প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
    তিনি বলেন, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।
    এর আগে রোববার দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দু’আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সদস্যরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।
    এসময় আরও দু’আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। 
    এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞানামা আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়।
    কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
    রিমান্ডভূক্তরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আ. সবুর ও রশিদুন্নবী ভূঁইয়া। আসামিরা সবাই আনসার আল ইসলামের সদস্য।
    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। 
    এ পরিকল্পনার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দু’টি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
    মামলা এজাহারে আরও বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজন ভ্যানে করে আনা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
    এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যায়। 
    এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছা মাত্র আগে থেকেই দু’টি মোটরসাইকেলে অজ্ঞাতনামা আনসার আল ইসলামের ৫ থেকে ৬ জন সদস্য এবং আনসার আল ইসলামের আরও ১০ থেকে ১২ জন সদস্য অবস্থান করে। তারা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব (৩৪) মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. আ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে (২১) ছিনিয়ে নিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। এ সময় তারা দু’জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান ও সোহেলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

  • আগামীকাল থেকে আগের সূচিতে ফিরছে উচ্চ আদালত

    আগামীকাল থেকে আগের সূচিতে ফিরছে উচ্চ আদালত

    ১২ নভেম্বর, ২০২২ (বাসস) : সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম আগামীকাল রোববার থেকে আগের সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
    তবে নিম্ন আদালতের বিচারকাজ সকাল সাড়ে ১০টার পরিবর্তে সাড়ে ৯টায় শুরু হবে।
    সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বনীর সই করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী রোবরার থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু হবে। মাঝে ৪৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত বিচার কাজ চলবে।
    দেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে সকাল সাড়ে ৯টায় বিচারকাজ শুরু হবে। মাঝে ৩০ মিনিটের বিরতি দিয়ে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিচারকাজ চলবে।
    হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের অফিস সকাল ৯ টা থেকে মাঝে আধা ঘন্টা বিরতি দিয়ে ৫ টা পর্যন্ত চলবে।

  • মিয়ানমার জান্তাকে ‘অবিলম্বে’ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে হবে : জাতিসংঘ মহাসচিব

    মিয়ানমার জান্তাকে ‘অবিলম্বে’ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে হবে : জাতিসংঘ মহাসচিব

    নমপেন, ১২ নভেম্বর, ২০২২ (বাসস ডেস্ক) : জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শনিবার মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে ‘অবিলম্বে’ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশকে ঘিরে থাকা ‘অশেষ দুঃস্বপ্ন’ বন্ধ করার এটিই একমাত্র উপায়।
    গুতেরেস বলেছেন, ‘আমি মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে তাদের জনগণের কথা শুনতে, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার এবং দ্রুত গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। স্থিতিশীলতা ও শান্তির এটাই একমাত্র পথ।’
    নমপেনে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

  • সাংবাদিকরা নিউজের সোর্স প্রকাশে বাধ্য নয়: হাইকোর্ট

    সাংবাদিকরা নিউজের সোর্স প্রকাশে বাধ্য নয়: হাইকোর্ট

    ন্যাশনাল ডেস্ক: কোনও সাংবাদিক তার নিউজের তথ্যের সোর্স কারও কাছে প্রকাশ করতে বাধ্য নয় বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাষ্ট্র বনাম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর ৫১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়েছে।

    রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় আমাদের মতামত হলো, সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা সাংবিধানিকভাবে এবং আইনত দুর্নীতি এবং দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে সংবাদ পরিবেশন করতে পারবেন।’

    আদালত আরও বলেন, ‘এই মামলার শুনানি পর্যালোচনা করে এটাই প্রতীয়মান যে কোনও সাংবাদিক তার নিউজের তথ্যের সোর্স কারও কাছে প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে দেওয়া আছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, এটা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

    গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে উল্লেখ করেন আদালত। পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, ‘আধুনিক বিশ্বে জানার অধিকার সবারই আছে। গণমাধ্যমের কাজ হলো জনগণকে সজাগ করা। বর্তমান সময়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

    তবে ‘হলুদ সাংবাদিকতা গ্রহণযোগ্য ও সমর্থনযোগ্য নয়’ বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। আদালত তার রায়ে বলেন, ‘সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমের মনোযোগী হওয়া উচিত। জনস্বার্থে দুর্নীতি, অর্থপাচারসহ অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে আইন সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিয়েছে।’

  • প্রস্তুতি নেই রাষ্ট্রপক্ষের, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার শুনানি পেছাল

    ন্যাশনাল ডেস্ক: চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণার আট বছর পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি তিন মাসের জন্য মূলতবি করেছেন হাইকোর্ট। ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি শুনানির জন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
    মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এ বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এমন আদেশ দেন।
    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
    শুনানির শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘মাই লর্ড এ মামলায় প্রস্তুতি নিতে আরও সময় প্রয়োজন তিন মাস সময় চাই। তখন কোর্ট বলেন এর আগেও সময় নিয়েছেন।
    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল দেশের বাইরে ছিলেন প্রস্তুতি নিতে পারিনি। পরে আদালত এ সময় ধার্য করেন।
    এর আগে গত ২০ জুলাই শুনানির জন্য ১৮ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
    বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক ভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়। সিআইডি পুলিশ দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে। বিচারও একসঙ্গে শুরু হয়।

    ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ও অন্যান্য নথি অনুমোদনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টে আসে।

    দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় করা চোরচালান মামলার রায়ে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (যুদ্ধাপরাধে ফাঁসিতে দণ্ডিত ও কার্যকর) ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মোট ১৪ জনের ফাঁসির রায় দেন চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান।

    ১৪ জনের মধ্যে এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুর রহীম এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াও রয়েছেন।

    ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদী তীরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সংরক্ষিত জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালাস করে ট্রাকে তোলার সময় পুলিশ আটক করে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের সর্ববৃহৎ চালান ধরা পড়ার পর দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

    পরে তদন্তে দেখা যায়, চীনের তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে আনা হয় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘উলফা’র জন্য। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওই চালান ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। অস্ত্র উদ্ধারের পর ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগে একটি এবং ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে অন্য মামলাটি করা হয়। ওই দুই মামলায় আসামি ছিলেন মোট ৫২ জন, তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে খালাস দেয় চট্টগ্রামের আদালত।

    ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চোরাচালান মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ বি ও ২৫ ডি ধারায় ১৪ আসামির ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের আদালত। একইসঙ্গে হাই কোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। আর অস্ত্র আইনের ১৯ এ ধারায় ওই ১৪ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া অস্ত্র আইনের মামলার ১৯ এফ ধারায় তাদের দেওয়া হয় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড। একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় বিচারিক আদালতের ৫১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

    গত ১৬ জানুয়ারি আলোচিত এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্যে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠেছিল।

  • যুদ্ধাপরাধ : নেত্রকোণার খলিলুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড

    যুদ্ধাপরাধ : নেত্রকোণার খলিলুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড

    ন্যাশনাল ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোণার খলিলুর রহমানকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

    গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খলিলুর রহমানের রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
    গত ১৮ জুলাই চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন।
    ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত শেষ হয়।
    শুরুর দিকে এ মামলায় আসামি ছিল ৫ জন। এরমধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
    বাকি চার আসামি হলেন- নেত্রকোণার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ। তবে বিচার চলাকালে বাকি তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।

    এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপূর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন,অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়। এরমধ্যে এক অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, ১ জনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চার জনের মধ্যে দুই জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

  • সম্রাটের জামিন ঠেকাতে হাইকোর্টে যাচ্ছে দুদক

    সম্রাটের জামিন ঠেকাতে হাইকোর্টে যাচ্ছে দুদক

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি আগামী সোমবার আদালতে এ আবেদন দাখিল করতে পারব।

    সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিন দেন। 

    তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আগামী এক সপ্তাহ তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হবে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

    ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

    মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২২ মার্চ দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬-এ পাঠানো হয়।  

    উল্লেখ্য, ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়।

  • সাতক্ষীরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

    রাহাত রাজা:
    “বিনা খরচে নিন আইনি সহায়তা,শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা” এই
    প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২২
    উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড
    কমিটি সাতক্ষীরার আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দিবসটি উপলক্ষে জেলা জজ
    আদালত চত্বর প্রাঙ্গন থেকে বেলুন ও ফেষ্টুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ সুচনা করা
    হয়। এরপর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। ব্রাক সামাজিক
    ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি (সেল্প) সাতক্ষীরা প্রকল্পের আওতায়
    ব্রাকের জেলা ব্যবস্থাপক মোঃ হুমায়ুন কবির, অফিসার জাহিদা খাতুনও নাজির
    হোসেনের নেত্রিতে ব্রাকের একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালীও অংশ গ্রহন করে।
    র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আইনজীবী সমিতি
    সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়
    পরে জেলা জজ আদালত চত্বর প্রাঙ্গন অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন,
    জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান নবাগত জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ
    আব্দুল আলিম আল রাজী। এ সময় সেখানে আরো বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার পুলিশ
    সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
    ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম. জি আজম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট হুমায়ুন
    কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট রেজা রসিদ, জজ কোটের পিপি অ্যাড. আব্দুল
    লতিফ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী প্রমুখ।

  • চৌগাছায়  আপন দুই ভাইয়ের হত্যার ঘটনায় আপন দুই ভাই আটক

    চৌগাছায় আপন দুই ভাইয়ের হত্যার ঘটনায় আপন দুই ভাই আটক

                      

    স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের চৌগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় আপন দুই ভাইকে নৃশংস ভাবে হত্যার ঘটনায় আটক আপন দুইভাই আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

    ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত একই এলাকার আফজাল খানের ছেলে বিপুল ও মুকুলকে আটক করে। একইসাথে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি-হাসুয়া উদ্ধার করে।

    শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে দু’জনেই হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামিদের জাবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

     এর আগে এঘটনায় নিহত আয়ুব আলীর মেয়ে সোনিয়া খান বাদী হয়ে আটক দু’জনসহ আফজালের আরেক ছেলে বিল্লাল ও বিল্লালের স্ত্রী রূপালী বেগমকে আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা করেছেন।

    এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আয়ুব আলী পরিবারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বিল্লালেরা।

    ঘটনার দিন শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে আয়ুব আলী খানের সাথে দোকানদার মুকুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুকুলের পক্ষ নিয়ে বিল্লাল হোসেন ও বিপুল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। ওইসময় উত্তেজিত হয়ে আয়ুব আলী খানকে তারা কিল ঘুষিসহ মারপিট করে। আয়ুব আলী খান বাড়িতে ফিরে এই ঘটনা তার পরিবারের লোকজনকে জানান।

    পরবর্তীতে তার ভাই ইউনুছ আলী, ভাতিজা আসাদুজ্জামান খান রনিসহ আয়ুব আলী মুকুলের দোকানে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। দোকানের সামনে তাদের উপস্থিতি দেখে দোকানদার মুকুল, তার ভাই বিপুল, বিল্লালসহ আরেও কয়েকজন চাপাতি, হাসুয়া, লাটি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

    হামলায় ইউনুস আলী খান, আইয়ুব আলী খান ও আসাদুজ্জামান খান রনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদেরকে চৌগাছা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুছ আলী খান ও আয়ুব আলী খানকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এছাড়া আসাদুজ্জামান খান রনির মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

    এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌগাছা থানার ওসি তদন্ত ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

    তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। অপর দুইজনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।

    এদিকে, একই পরিবারের দু’ভাইকে বৃহস্পতিবার খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তাদের ভাতিজা লিমন হোসেন খান মারা গেছে। শুক্রবার একই বাড়িতে ছিল তিন তিনটি লাশ।

    নিহত লিমন হোসেন খান উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা খানের ছেলে। একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

  • দৈনিক কালের চিত্র অফিসে হামলা: সাবুসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

    দৈনিক কালের চিত্র অফিসে হামলা: সাবুসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

    স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের চিত্র অফিসে ককটেল হামলা, ভাঙচুর ও তিনজন সাংবাদিককে মারপিটের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। দৈনিক কালের চিত্রের ব্যবন্থাপনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খোকন বাদি হয়ে মঙ্গলবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম (দ্রুত বিচার) আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক ইয়াসমিন নাহার মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের (দীঘির ধার) এর আব্দুল করিমের ছেলে সাইফুল করিম সাবু, পলাশপোলের শেখ আবু সালেহ এর ছেলে শেখ জাহিদুর রহমান, তার ছেলে জাহিদ হাসান, দক্ষিণ পলাশপোলের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে রাসেদ সরদার, মধুমোল্লারডাঙির কওছার আলীর ছেলে শাহজাহান সিরাজ, একই এলাকার কওছার মোল্লার ছেলে আক্তারুজ্জামান, খোরশেদ আলমের ছেলে আক্তার হোসেন, শেখ মোশাররফ হোসেনের ছেলে শেখ আরিফ, পলাশপোল সবুজবাগের আবু বক্করের ছেলে রাজু, দক্ষিণ পলাশপোলের মধহবেগ এর ছেলে মুকুল হোসেন, উত্তর পলাশপোলের আব্দুস সবুর খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান, তালা উপজেলার কলাপোতা গ্রামের ইসমাইল মোড়লের ছেলে হামিদুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার উত্তর কুলিয়া গ্রামের নূর আলী গাজীর ছেলে আরশাদ আলী খোকন, সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের ফটিক ডাকাতের ছেলে সাহেব আলী, আশাশুনি উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গোলাম হোসেন খোকনের ছেলে মিলন হোসেন ও কালিগঞ্জের বাজারগ্রামের ছোট খোকনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, গত শনিবার সাতক্ষীরা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
    মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে শ্রমিক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম মহমান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন। আদালতের আদেশ গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। এরপর থেকে শ্রমিক নেতা শেখ জাহিদুর রহমানের সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। শেখ জাহিদুরের পক্ষের শ্রমিকরা শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালের চিত্র অফিস লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। 
    একইভাবে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রমিক লীগ নেতা সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে জাহিদুর রহমানসহ তার সমর্থক ১৫ জন শ্রমিক ও ৩০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী কালেল চিত্র অফিসের সামনে এসে ককটেল ও বোমা ছুঁড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে।
    পরে তারা কালের চিত্র অফিসে ঢুকে সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে ককটেল ছোঁড়ে, লোহার রড, হকি স্টিক, জিআই পাইপ দিয়ে পত্রিকা অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। একপ্লোচর মেশিন, দু’টি মোবাইল, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করা হয়। হামলা ও ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় সাংবাদি আশারাফুল ইসলাম খোকনসহ তিন সাংবাদিককে মারপিট করা হয়। 
    এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম খোকন বাদি হয়ে রবিবার রাতে থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। 
    উপরন্তু শেখ জাহিদুর রহমানের দায়েরকৃত কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যাপক আবু আহম্মেদসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে মামলা নেয় পুলিশ। কালের চিত্র অফিসে বসে খবরের কাগজ পড়ার সময় শ্রমিক নেতা আক্তারুজ্জামান মহব্বত ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীরের আদালত থেকে জেল হাজতে থাকা দু’ আসামীসহ সকল এজাহারভুক্ত আসামী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
    সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন অধ্যাপক আবু আহম্মেদসহ ১৭জনের জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আশরাফুল ইসলাম খোকনের দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনের মামলাটি এজাহার হিসেবেন গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ইয়াসমিন নাহার।

  • ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিকের ৬১ টি চেকের পাতা হারিয়ে যাওয়ায় থানায় ডায়েরী


    নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোমরায় নিউ মাহমুদপুর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি ও মালিকের নিজ নামের চেকের পাতা হারিয়ে/ খোয়া যাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. শামছুজ্জামান। এব্যপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী নং ১৫৬০, তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২। সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদপুর গ্রামের মৃত মাও. আব্দুল্লাহ’র পুত্র মো. শামছুজ্জামানের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিউ মাহমুদপুর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এল সি স্টেশন ভোমরা শাখার হিসাব নং-২৮২১২০০০০০০৮৯ ও মো. শামছুজ্জামান এর নিজ নামে সঞ্চয়ী হিসাব নং- ২৮২১১০০০১১১৭৯। উক্ত দুটি হিসাব নং এর নিম্ন বর্ণিত দুটি চেকের ৬১ টি পাতাগুলো হারিয়ে/ খোয়া গেছে বলে মো. শামছুজ্জামানের অফিসের অসাধু কর্মচারীরা জানায়। তাৎক্ষণিক নিম্ন বর্ণিত চেকের পাতাগুলো যাতে জাল স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে যে কোন ব্যাংকের শাখা হতে টাকা উত্তোলন করতে না পারে এজন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এল সি স্টেশন ভোমরা শাখার ব্যবস্থাপক বরাবর একটি আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. শামছুজ্জামান। হারানো/ খোয়া যাওয়া চেকের পাতার বিবরণ: মো. শামছুজ্জামান, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২৮২১১০০০১১১৭৯, হারানো চেক নং- ৯৯৯০৬৩৬, ৯১১৫১৫৭, ৯১১৫১৫৯ এবং নিউ মাহমুদপুর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী, চলতি হিসাব নং-২৮২১২০০০০০০৮৯ এর হারানো চেক নং- ৬২৯৬৭২২, ৬২৯৬৭৩২, ৬২৯৬৭৩৬, ৬২৯৬৭৪০, ৬২৯৬৭৪৩, ৩১৯৪৯৯৯, ৩১৯৫০১৪, ৩১৯৫০৭২, ১২৪৬৯২৪, ১২৪৬৯৫৭, ১২৪৭০০৫, ১২৪৭০৫৬, ১২৪৮০৬২, ১২৪৭০৮৪, ১২৪৭০৮৭, ১২৪৭১২৭, ১২৪৭১৪৩, ১২৪৭১৮৫, ১২৪৭১৯২, ১২৪৭২০১, ১২৪৭২২১, ১২৪৭২২৬, ১২৪৭২৫১, ১২৪৭২৫২, ১২৪৭২৬৩, ১২৪৭২৬৪, ১২৪৭৩০৫, ৪০৫৭২৫২, ৪০৫৭২৫৮, ৪০৫৭২৭২, ৪০৫৭২৭৬, ৪০৫৭২৮২, ৪০৫৭২৯২, ৪০৫৬৯৬৩, ৪০৫৬৯৬৬, ৪০৫৬৯৮৯, ৪০৫৬৯৭৬, ৪০৫৬৯৮৫, ৪০৫৬৯৯২, ৪০৫৬৯৯৫, ৩৮১৮৬৫১, ৩৮১৮৬৬৭, ৩৮১৮৬৮১, ৩৮১৮৬৯৬, ৬১৩০৫৫৬, ৬১৩০৫৬৪, ৬১৩০৫৬৬, ৬২৩০৫৮৫, ৬১৩০৫৯০, ৬২৩০৫৯৮, ৬১৩০৬১৩, ৬১৩০৬৩১, ৬১৩০৬৪১, ৬১৩০৬৪৩, ৬১৩০৬৪৯, ৬১৩০৬৬১, ৬১৩০৬৭৭ ও ৬১৩০৬৯৬।
    উল্লেখ্য, বিগত ২০১৪ সালে মো. শামছুজ্জামানের নিউ মাহমুদপুর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী অফিসের সাটারের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুরসহ মূল হিসাবের খাতাপত্রসহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং- ১১, তারিখ: ৩ এপ্রিল ২০১৪। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মো. শামছুজ্জামান।

  • নারী আইনজীবীকে আসামিদের হুমকি ; থানায় সাধারণ ডায়েরি

    নারী আইনজীবীকে আসামিদের হুমকি ; থানায় সাধারণ ডায়েরি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
    এক নারী আইনজীবীকে জীনবনাশের হুমকি দেওয়ায় সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
    সূত্র জানায়, বাবুলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী জর্জ কোর্টের সিআর ৩৭৭/২১ মামলার বাদী। উক্ত মামলার আইনজীবী শিউলি সুলতানা শুনানী অন্তে বিজ্ঞ আদালত আসামি পক্ষের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ৩০ মার্চ রাতে বাবুলিয়া গ্রামের শওকাত আলীর পুত্র সাইদুজ্জামান সাইদ, রসুলপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের পুত্র ওয়াজেদ আলী, ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র চঞ্চল, আব্দুল গফুরের পুত্র কামরুল আইনজীবী শিউলির বাড়িতে এসে খুন, জখমের হুমকি ধামকি প্রদান করেন। এ সময় তারা আইনজীবী শিউলির বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলেও শাসিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনজীবী শিউলি সুলতানা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আইনজীবী শিউলি সুলতানা জানান, আমি ঢাকা কোর্টে প্রাকটিস করি। কিন্তু বাবার মামলা হওয়ার আমি নিজে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় এসে শুনানি করি। আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তারা আমাকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করছে। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • শার্শা থানা প্রশাসন লক ডাউন এর ২য় দিনে কঠোর অবস্থানে

    শার্শা থানা প্রশাসন লক ডাউন এর ২য় দিনে কঠোর অবস্থানে

    আব্দুল জলিল(যশোর) প্রতিনিধি:
    যশোরের শার্শা উপজেলায় দ্বিতীয়  দিনের মতো লকডাউন কার্যকর করতে শার্শা থানা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।  লকডাউন উপেক্ষা করে বিভিন্ন অজুহাতে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরকে ঘরে ফেরাতে কঠোর অবস্থানে আছেন শার্শা- নাভারন  সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বদরুল আলম খাঁন এবং ওসি (তদন্ত)তরিকুল ইসলাম।
    শার্শা উপজেলা সীমানার শেষ বেলতলা বাজার সহ বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের সাড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে।যশোর – সাতক্ষীরা সীমানায়  অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে এখান থেকে যশোরের ভিতরে কোন যানবহন ও মটর সাইকেল  মুভমেন্ট পাস  ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছে না শার্শা উপজেলা প্রশাসন। শার্শা- নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান  বলেন, বিনা প্রয়োজনে বাজারে আসার চেয়ে পরিবার কে সময় দিন। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতংকিত।  আজও দেশে ৯৮ জন মৃত্যু বরন করেছেন। আপনারা আইন না মানলে আমরা আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। নিজে মাক্স পরুন এবং অপরকে পরতে সহায়তা করুন।
    শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম জানান, আজও শার্শাতে করোনায় ৩ জন মৃত্যু বরন করেছেন তা ছাড়া সে কারনে ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেউ বিনা প্রয়োজনে বাজারে আসবেন না। মনে রাখবেন আমার আপনার অবহেলায়  পরিবারের কান্নার কারন হতে পারে। তাই মাস্ক পড়ুন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করুন।

  • ঝাউডাঙ্গায় মাছের ঘের দখল করার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ


    ঝাউডাঙ্গা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গার হাজিপুর গ্রামের মাছের ঘের দখল করার অভিযোগে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।
    অভিযোগে প্রকাশ, হাজিপুর গ্রামের এ্যাডঃ আবুল ওহাব এর পুত্র স ম এনামুল হাসান দিপু ( ৪৭) জানান হাজিপুর মৌজার জেল নং ৭০ খতিয়ান নং ডি এস ২৬৯ ডি পি ৫৫৮-৮৪১ সাবেক দাগ ৩৬৪ হাল দাগ ৫৮২ মোট জমির পরিমান ১ একর ১৮ শতক তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি আমার মা আনোয়ারা বেগম, রৌফন আরা বেগম, মনোয়ারা বেগম, রওশানারা বেগম এর পৈত্রিক সম্পত্তি। উক্ত জমি হাজিপুর গ্রামের মৃত. আকবর সরদারএর পুত্র ইফতিয়ার রহমানের কাছে আনুমানিক ২০ বছর চুক্তি মাধ্যমে হারি দিয়ে আসছি, কিন্তু গত ৫ জুন সকাল ৯ টার সময় জানতে পারি হাজিপুর গ্রামের হাসনাবানু পারুল (৭০) স্বামী মাহাবুবর রহমান, শফিকুল আলম বাবলু(৪৫) পিতা মাহাবুবর রহমান, মিত ু(৪৭) স্বামী আব্দুল মজিদ, কোমরউদ্দীনের পুত্র আঃ মজিদ সহ আমাদের পৈতৃক ঘোর দখল ও ঘোরের ব্যাবহারিত ঘর ভেঙ্গে দেয়। তারা পানির মেশিন লুট করে নিয়ে যায়, এ বিষয়ে আমি সাতক্ষীরা সদর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
    পক্ষান্তরে হাজিপুর গ্রামের মৃতঃ আকবর সরদারএর পুত্র ইখতিয়ার রহমান জানান, আমি আনুমানিক ২০১১ সাল থেকে এই জমি হারি নিয়ে মাছ চাষ করি প্রতি ৩ বছর অন্তর নতুন চুক্তি হয়, সে ক্ষেত্রে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমার মিয়াদ আছে, তিনি আরো বলেন ৫ জুন সকালে আমি জানতে পারি আমার মস্য ঘোরের ঘর ও পানির মেশিন লুটপাট করছে খবর পেয়ে, আমার পুত্র ইসসাইলও আমার স্ত্রী ঘটনা স্থানে গেলে শফিকুলের ক্যাডার বাহিনী সহ ৫০-৬০ জন তারা আমাদের উপর খারাপ ব্যাবহার করতে থাকে, আমাদের জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকে, তারা আমার চোখের সামনে ঘরটি ভেঙ্গে দেয় এবং মেশিন তারা নিয়ে যায়। আমরা কোন প্রতিবাদ না করে জমির মালিক মেম্বর ও এলাকার লোকজনদের জানাই কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
    এ বিষয়ে ঝাউডাঙ্গ হাজিপুর ৩ নং ওর্য়াডের মেম্বার বিমল চন্দ্র ঘোষ জানান বাদী ও বিবাদীর সাথে আলোচনা কওে কোন সমাধানে না আসতে পেরে আইনী পদক্ষেপের পরামর্শ দেই। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই অহিদুরজ্জান জানান দু পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে, দুই পক্ষকে তাদের জমির দাখিলা সহ প্রয়োয়জনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে, কাগজপত্র জাচাই বাইজ করে আইনুগত ব্যাবস্ত গ্রহন করা হবে।