Category: আইন-আদলাত

  • ৩১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি খালেদা জিয়ার রিভিউ

    ডেস্ক রিপোর্ট: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল নিষ্পত্তি করতে আগামী ৩১ জুলাই সময়সীমা দিয়ে আপিল বিভাগের আদেশ রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনটি ওইদিন ৩১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

    আদেশে বলা হয়েছে, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল শুনানি শেষ করতে না পারলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।

    সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের মতে, আদালতের আজকের আদেশের ফলে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিলটি নিষ্পত্তি করতে ৩১ জুলাইয়ের যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল, তা শিথিল হল। অর্থাৎ ওই তারিখের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করতে না পারলে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।

    গত ৯ জুলাই এ আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

    আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    আজ আদালত থেকে বের হওয়ার পর জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত আজকে একটি আদেশ দিয়ে বলেছেন, আপনারা শুরু করেন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যদি সমাপ্ত না হয়, তাহলে পরবর্তীতে এ বিষয়টি আদালত পুনর্বিবেচনা করবে। আদালত এ আদেশ দিয়ে রিভিউ আবেদনটি স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) করেছেন।

    তিনি বলেন, আগে যেমন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন সেটি আর থাকলো না। আমরাও চাই এ মামলা শেষ করতে। প্রপারলি শেষ করতে চাই। কিন্তু এ মামলায় যে পরিমাণ ডকুমেন্টস রয়েছে তা শেষ করতে সময় লাগবে।

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে তিনি জামিনের আবেদন করেন। গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট তাকে চার মাসের জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করলে গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। পরে আপিল বিভাগের আদেশের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আজ এ আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬৪

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ৯ মাদক মামলার আসামীসহ ৬৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যা হতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০, কলারোয়া থানা থেকে ৭, তালা থানা থেকে ৩, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৮, শ্যামনগর থানা থেকে ১১, আশাশুনি থানা থেকে ৯, দেবহাটা থানা থেকে ৩ এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
    এ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ পিস ইয়াবা, ১০৫ গ্রাম গাজা, ৫টি মহিষ এবং ১টি মিনি ট্রাক। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি ৩১ জুলাই

    ঢাকা ব্যুরো : ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।

    আজ বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. ইমরুল কায়েসের আদালতে এই জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এবং জিয়া উদ্দিন জিয়া।

    আগামী ৩১ জুলাই এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

    এর আগে গত ৫ জুলাই ওই দুই মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালত।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। রায়ের পরই নাজিমুদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে।

  • হলমার্ক চেয়ারম্যান জেসমিনের ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ

    ঢাকা ব্যুরো : হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। আজ বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রাায় ঘোষণা করেন।

    কারাগারে থাকা জেসমিন ইসলামকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির করা হয়। রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের ২০ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    মামলাটিতে আদালত ৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলা পরিচালনা করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সফিকুল ইসলাম।

    মামলাটিতে ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মনজুর মোরশেদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জগঠন করে আসামির বিচার শুরু করেন। দণ্ডিত জেসমিন ইসলাম হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদের স্ত্রী। তারা উভয়ই হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায়ও আসামি।

    মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য-উপাত্ত পায় দুদক। এরপর দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী জমা না দিয়ে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। তবে সময় বাড়ানোর পরও সম্পদ বিবরণী দাখিল করা হয়নি। এ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন রমনা থানায় নন-সাবমিশন মামলা দায়ের করেন।

  • স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

    স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে আদালত। তবে, এ মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
    বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
    সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও আমের আলী সরদারের ছেলে শওকত হোসেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু তার স্ত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক লাখ টাকার বিনিময়ে ২০০৫ সালের ২৫ আগস্ট স্থানীয় শওকত হোসেন, মক্ষ্মী রানী সুন্দরী ওরফে ময়না, আব্দুল গফুর ও সাগর মাতব্বরের সহযোগিতায় ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। পরে সে পালিয়ে দেশে ফিরে আসে। এ ঘটনায় তার খালু আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ গাজীর ছেলে আতিয়ার রহমান গাজী বাদী হয়ে থানায় উল্লিখিত পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
    বুধবার এ মামলায় ছয়জন স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
    সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলো।
  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামীসহ আটক-৭২

    জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামীসহ আটক-৭২

     
    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি) : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১১ মাদক মামলার আসামী এবং ২ জামায়াত কর্মীসহ ৭২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা হতে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার সবকটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২৯, কলারোয়া থানা থেকে ৭, তালা থানা থেকে ৩, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১৮, শ্যামনগর থানা থেকে ৫, আশাশুনি থানা থেকে ৫, দেবহাটা থানা থেকে ২ এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
    উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০ পিস ইয়াবা, ৪ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৫০ গ্রাম গাজা, দুটি গরু, একটি মোটরসাইকেল এবং ২৫ প্যাক চা পাতা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইননুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহত ইমনের বাবা শেখ ইকবাল হাসান লিটন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি অফিসার সাইফুল ইসলামের প্রশংসা করে বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাটের সিআইডি ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম সঠিকভাবে তদন্ত করেছেন। তিনি সম্প্রতি এ মামলার বাদী আমার আপন ভাই শেখ আলমগীর হাসান আলমকে দীর্ঘ তদন্ত শেষে ইমন হত্যা মামলার মুলপরিকল্পনাকারী হিসাবে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। এ ঘটনার পর আমার আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর হাসান খোকন আমাকে ঘরের বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে রাখে এবং পরে আমার স্ত্রীকে ও আমাকে ভুল বুঝিয়ে আদালতে নিয়ে ৪ টি ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে সই করে নেয়। এর প্রতিবাদে আমি থানায় একটি জিডি করি। যার নং-২৯, তারিখ-০১.০৭.১৮।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আলম গ্রেফতারের দীর্ঘ ১২ দিন পর রোববার দুপুরের আলমের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমার ভাইকে একজন দায়িত্ববান লোক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। অথচ ইমন হত্যার এজাহার থেকে শুরু করে মামলা পরিচালনা পর্যন্ত কোন দায়িত্ব আমি তাকে দেয়নি। বরং এটাই সত্য যে আমি, আমার স্ত্রী এবং ছোট ছেলে রিমন কাউকে না জানিয়ে আমার ভাই আলম গত ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি নিজে বাদি হয়ে সুলতানপুরের শেখ বখতিয়ার রহমান বিপ্লব, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রাজা মোল্লা রনির বিরুদ্ধ থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। অথচ ইমন হত্যার বিষয়টি যে প্রথমে আমাাদের বাড়িতে খবর দেয় সেই আব্দুর রশিদ ওরফে মুচি রশিদ আদৌ আমার ছেলেকে চিনতোনা। সে একজন বাইরের লোক। তার বাড়ি সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামে।
    তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি আমার ছেলে ইমন তার চাচা আলমগীর হাসান আলমের কাছে গিয়ে ফিরে আসেনি। পরদিন ইমনের লাশ আমতলা মৎস্য ঘেরে পাওয়া যায়।
    তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে ইমনের সাথে আমার ভাই আলমের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ওই সময় বিরোধ তৈরী হয়। এ বিরোধের জেরেই আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছেলে ইমন হত্যাকা-ে জড়িতদের বিচার ও ফাঁসি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, শেখ বখতিয়ার রহমান বিপ্লব, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রাজা মোল্লা রনি।
  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪৭

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪৭

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৯ মাদক মামলার আসামি ও ১ জামায়াত কর্মীসহ ৪৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
    রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃত আসামিদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানার ১৪ জন, কলারোয়া থানার ৮ জন, তালা থানার ৩ জন, কালিগঞ্জ থানার ৬ জন, শ্যামনগর থানার ৬ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • ধরা-ছোয়ার বাইরে সুন্দরবনের দস্যুদের অস্ত্র সরবরাহককারী গডফাদাররা

    ধরা-ছোয়ার বাইরে সুন্দরবনের দস্যুদের অস্ত্র সরবরাহককারী গডফাদাররা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা সময় বনদস্যু বাহিনীর হাতে সম্পূর্ণ জিম্মি হয়ে পড়েছিল সুন্দরবনের পেশাজীবীরা। সরকারের আন্তরিকতায় বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়ায় ধীরে-ধীরে দস্যু মুক্ত হচ্ছে গোটা সুন্দরবন অঞ্চল।
    সম্প্রতি সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সুন্দরবনের শীর্ষ ২৬টি দস্যু বাহিনী। এই প্রক্রিয়ায় সুন্দরবনে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরমিাণ গোলাবারুদ উদ্ধার হলেও অস্ত্র যোগানদাতা গডফাদাররা গ্রেফতার না হওয়ায় পুরোপুরিভাবে বন্ধ হচ্ছে না সুন্দরবনের দস্যুতা। এসব গডফাদাররাই আবারো নতুন নতুন বাহিনী তৈরি করে সুন্দরবনে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ফলে নতুন করে সুন্দরবনের পেশাজীবী জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
    সুন্দরবনের সংশ্লিষ্ট জেলে, বাওয়ালীরা জানায়, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের (সাতক্ষীরা রেঞ্জ) বনজীবীরা বর্তমানে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছোটভাই বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই বাহিনী পরিচালনা করছে শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি এলাকার মাজেদ ভাঙ্গির ছেলে জাকির ভাঙ্গি।
    এই ছোটভাই বাহিনীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫ জন। তাদের কাছে ডাবল ও সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক, টুটুবোর রাইফলেসহ প্রায় ১৫টি অস্ত্র রয়েছে।
    সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালীরা বলছেন, এসব বাহিনীর কেউ সরকারে কাছে আত্মসমর্পণ করলে বা সুন্দরবনে মাঝেমধ্যে প্রশাসনের বিশেষ অভিযানে দস্যুদের দুই-একজন গ্রেফেতার বা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলওে দস্যুদের অস্ত্র যোগানদাতা গডফাদাররা সব সময় থেকে যায় ধরা-ছােঁয়ার বাইরে। যে কারণে সরকার চাইলেও সুন্দরবন থেকে দস্যুতা একেবারেই নির্মূল হচ্ছে না।
    র‌্যাব, পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব গডফাদারদের তথ্য, এদের মধ্যে কেউ কেউ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও আইনের ফাঁক-ফোকরে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে আসে।
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ, গাবুরা ও রমজাননগর ইউনিয়নের কিছু প্রভাবশালী ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে বনদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র যোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বহু আগে থেকেই। স্থানীয় জেলে বাওয়ালীরা জানায়, কিছু দিন আগে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু আলিফ ও মজনু বাহিনীর অন্যতম গডফাদার ছিল মুন্সিগঞ্জের সিরাজুল, বকুল মেম্বর, কালিঞ্চি এলাকার জামু ও রমজাননগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য লাল্টু। এদর মধ্য সিরাজুল ও জামু আলিফ বাহিনীর সাথ র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু লাল্টু মেম্বর গত বছর র‌্যাবের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পায়। মুন্সিগঞ্জের বকুল মম্বরকেও একবার আটক করছিল র‌্যাব। বর্তমানে সে ঐ এলাকায় র‌্যাবের সোর্স পরিচয়ে নানা অপকর্ম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
    নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক স্থনীয় এক বনজীবী অভিযোগ করে জানান, অস্ত্র ব্যাবসায়ী রমজাননগর ইউনিয়নর টেংরাখালি গ্রামের লাল্টু মেম্বর র‌্যাবের হাতে আটক হয়ছিল এরপর জামিনে ফিরে আসে। কিছুদিন আগে সে সুন্দরবনে ছোটভাই বাহিনীর কাছে ৪টি অস্ত্র সরবরাহ করছে। সেই অস্ত্রের টাকা নিয়ে ছোটভাই বাহিনীর সাথে তার দন্দ্ব চলছে। ভেটখালি বাজারে লাল্টু মেম্বর ও ছোটভাই বাহীনির প্রধান জাকিরের ভাই ইউনুসের মধ্যে এই টাকা নিয়ে হাতাহাতিও হয়েছে। জেলে বাওয়ালীদর এসব অভিযাগের প্রমাণও মিলেছে অনুসন্ধানে।
    লাল্টু মেম্বরের অস্ত্র ব্যাবসার বিষয়টি জানার পর যোগাযোগ করা হয় বর্তমানে সুন্দরবনে থাকা বনদস্যু ছোটভাই বাহিনীর প্রধান জাকিরের সাথে। জাকির বলেন, কিছুদিন আগে লাল্টু মম্বরের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে চারটি অস্ত্র ও একশত পিছ গুলি কিনেছি। সে নিজে সুদরবনে এসে আমাকে অস্ত্র দিয়ে গেছে। সম্প্রতি একটি ব্র্যাশ (অস্ত্র) ও কিছু গুলি কেনার জন্য ১০লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু সে অস্ত্র না দিয়ে তালবাহানা করায় আমি টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে। এ নিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে তার হাতাহাতিও হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে লাল্টু মেম্বর বলেন, আমি এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি। সুন্দরবনের মূল অস্ত্র ব্যবসায়ীরা আমাকে ফাঁসানোর জন্যই র‌্যাবের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। র‌্যাব আমাকে আটক করেছিল। বর্তমানে আমি জামিনে বাড়িতে আছি। ছোটভাই বাহিনীর প্রধান জাকিরের সাথে নৌকার টাকা নিয়ে পূর্বের একটি লেনদেন আছে। এটি জাকির দস্যুতা করতে যাওয়ার আগের ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর থানাতে বসাবসি হয়েছিল। তার অভিযোগ মিথ্যা আমি কোন অস্ত্রের ব্যাবসা করি না। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতেই তাকে দিয়ে এসব অভিযোগ করাচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের সাবেক ইউপি সদস্য বকুল বলেন, আমি সুন্দরবনে কোন ব্যাবসা করি না। বনদস্যুদের সাথেও আমার কোন সম্পর্ক নেই। প্রশাসনের সাথে আমার সু-সম্পর্ক থাকায় অনেকে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। এলাকার কোন জেলে বাওয়ালী বিপদে পড়লে আমি তাদের সগযোগিতা করি। এমনকি প্রশাসনের কেউ সুন্দরবনে অভিযান চালালেও তারা আমার সহযোগিতা নেয়। তবে সুন্দরবন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে সুন্দরবনে নিজেদের ব্যবসা ও অধিনস্থ জেলে বাওয়ালীদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই দস্যু বাহিনী গঠন ও অস্ত্র সরবারহ করে লোকালয়ের ব্যবসায়ী গডফাদাররা। বনদস্যুদের মধ্যে কেউ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার বা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলে আবারো নতুন নতুন বাহিনী তৈরি করছে মূলত তারাই। বিভিন্ন সময় এসব অস্ত্র ব্যাবসায়ি গডফাদাররা পুলিশ, র‌্যাব ও কোস্টর্গাডরে হাতে গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক ফোকরে বেরিয়ে এসে আবারো তাদের কার্যক্রম চলমান রাখে। ফলে সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সুন্দরবনের দস্যুতা একেবারেই বন্ধ হচ্ছে না।
  • সাতক্ষীরায় কর্মশালায় জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার গ্রাম আদালত কম খরচে স্বল্পসময়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার জনপ্রিয় মাধ্যম

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব নয়, নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে বিচার কাজ পরিচালনা করাই বিচারকের কাজ। বিচার করার ক্ষমতা মহান আল্লাহ প্রদত্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন নিজের বিবেক বিবেচনা ও প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন গ্রাম আদালত এখনকার সময়ে স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ে ন্যায্য বিচার পাবার উপযুক্ত মঞ্চ। বাংলাদেশ গ্রাম আদালত দিনের পর দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উল্লেখ করে তিনি বলেন তৃণমূল পর্যায়ের এই আদালতে দরিদ্র মানুষ বিশেষ করে নারী এবং বিভিন্ন পেশার পিছিয়ে পড়া সাধারন মানুষ স্বল্পতম সময়ে খুব কম খরচে বিচার লাভ করছেন। এই বিচার ব্যবস্থাকে আরও বেগবান করতে আরও কাজ করতে হবে।
    বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জেন্ডার ও গ্রাম আদালত বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সচেতনতামূলক এক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। তিনি আরও বলেন গ্রাম আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে প্রভাবিত করা সহজ নয়। কারণ বাদি বিবাদি এবং বিচার সংশ্লিষ্ট সকলেই স্থানীয় এবং একজন আরেকজনের সাথে পরিচিত। ফলে কোনো ভুয়া তথ্য সেখানে প্রভাব ফেলতে পারে না। ছোটখাট অপরাধের বিচার করে দেশের বিচার আদালতের ভার কমানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যিনি বিচার করবেন তিনি যেনো আইন সম্পর্কে সচেতন থাকেন এমন মন্তব্য করে জেলা ও দায়রা জজ বলেন গ্রাম আদালতের বিচারক যদি কোনো দলের হয়েও থাকেন তবু তার কর্তব্য বিচারক হিসাবে দল নিরপেক্ষ থাকা। কোনো পক্ষ কোনো ভাবেই যেনো রাজনৈতিক কারণে বিচার বৈষম্যের শিকার না হন সে বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন এভাবে গ্রাম আদালতের বিচারকগন যদি সাধারনের আস্থা অর্জন করতে পারেন তাহলে মানুষ যেমন ন্যায় বিচার পাবে, তেমনি গ্রাম আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা আরও প্রতিষ্ঠিত হবে। জেলা ও দায়রা জজ আরও বলেন সংবাদকর্মীদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তারা মানুষের কথা তুলে ধরেন। তবে তাদেরকে আইন সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে। যে কেউ কিছু একটা বলে দিল আর সেটা লিখে দিলাম এমনটি যাতে না হয় সেজন্য তাকে আইন জানতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি সাতক্ষীরা দুই একটি ঘটনা তুলে ধরে সিনিয়র সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রয়োজনে ‘সংবাদ ও আইন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আরও বলেন গ্রাম আদালত যতো বেশি শক্তিশালী হবে ততই স্থানীয় বিরোধ মীমাংসা করে শান্তির পথ প্রশস্ত হবে।
    স্থানীয় সরকার উপ পরিচালক শাহ আবদুল সাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। জেন্ডার স্পেশালিস্ট কামরুননেসা নাসরিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সহকারি পুলিশ সুপার ( হেড কোয়র্টার) মো. হুমায়ুন কবির, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সম্পাদক আবদুল বারী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট এড. গোলাম মোস্তফা, সচেতন নাগরিক সমাজের তৈয়ব হাসান বাবু, ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আবদুস শোকর আলি, কাশিমাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ডা. এসএম আবদুর রউফ, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, মহিলা পরিষদ সম্পাদক জোসনা দত্ত, বিভিন্ন ইউনিয়নের সংরক্ষিক মহিলা আসনের নারী সদস্য ও সাধারন সদস্য, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের সাতক্ষীরা অফিস প্রধান শরিফুল ইসলাম প্রমূখ।
    বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন গ্রাম আদালতকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করতে হবে। এই আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো ভুল তথ্য দিয়ে গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভূক্ত মামলা উচ্চ আদালতে পাঠানোর প্রবণতা রোধ করতে হবে। তিনি বলেন আমাদের সমাজে কিছ দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ রয়েছেন যারা প্রভাব সৃষ্টি করে গ্রাম আদালতকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকেন। ফলে সহজে যে বিচার পাওয়া সম্ভব ছিল তার পথ জটিল করে ফেলে তারা। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন গ্রাম আদালতকেও প্রমান করতে হবে যে মানুষ ন্যায় বিচার পেয়েছে।
    বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার বলেন যেসব বিষয় গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভূক্ত পুলিশ সে মামলা গ্রহন করে না। তিনি বলেন অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করে থাকেন এমন সব মামলা রেকর্ড করতে , কিন্তু পুলিশ খুবই সচেতন। পুলিশ বরং গ্রাম আদালতকে সাহায্য করবে। তিনি বলেন পুলিশ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করে । তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত ব্যবস্থা নেয়। তিনি বলেন পুলিশ সব সময়ই গ্রাম আদালত সিস্টেমকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এতে পুলিশের ওপর থেকে ভার অনেকটাই কমে যায়। এতে বাদি ও বিবাদী উভয়েই শান্তি লাভ করে। তিনি আরও বলেন বর্তমান পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশ অনুযায়ী ছোটখাট বিষয়ের মামলার জট কমে এসেছে। সদর থানায় এখন মাসে গড় পড়া ৯৭ টি মামলা হথো উল্লেখ করে তিনি বলেন এখন তা ৫৪ /৫৫ টিতে চলে এসেছে। তবে এর মধ্যে মাদক বিষয়ক মামলা বেশি। বিশেষ অতিথি প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন সংবাদকর্মীরা গ্রাম আদালতের সুফল পত্রপত্রিকায় তুলে ধরছেন। এতে বিচারপ্রার্থীরা উৎসাহিত হচ্ছেন। তিনি বলেন গ্রাম আদালতের প্রতিনিধিরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানালে তা আরও প্রচার লাভ করতে পারে।

    এর আগে সকালের অধিবেশনে কর্মশালায় বলা হয় দেশের ২৭টি জেলায় ১২৮টি উপজেলার ১০৮০ টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায় এখন বেশ সক্রিয় অবস্থায়। গত জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এসব আদালতে ৩২ হাজার ২৬৪টি মামলা এসেছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ হাজার ৫৬০টি। অন্য মামলাগুলি চলমান রয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয় মামলার রায় বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭ হাজার ৪০৫টি। এর মধ্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতিপূরন লাভ করেছেন বলে পরামর্শ সভায় উল্লেখ করা হয়। এতে আরও জানানো হয় মামলার আবেদনকারীদের মধ্যে ১০ হাজার ৫৮৫ জন নারী রয়েছেন। তারা বিচার লাভ করেছেন। নানাভাবে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ৪৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশী মানুষকে সচেতন করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
    কর্মশালায় আরও বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার তালা, আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের এই প্রকল্প চালু হয়েছে। সেখানে ১৬২৭টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৪১টি। এতে আবেদনকারী নারীর সংখ্যা ছিল ৩৩৯ জন। এসব পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, সাধারন মানুষকে সহজেই গ্রাম আদালত খুব স্বল্পতম সময়ে সুবিধা দিতে পারে। একে আরও কার্যকর করতে হলে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। অভিযোগের প্রেক্ষাপটে আদালতের কাঠামো গঠিত হয় উল্লেখ করে বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বিচারের রায় নিষ্পত্তি হয়। সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না করতে পারলে তা বাতিল হয়ে যায়। ন্যায়বিচার, শান্তিশৃংখলা রক্ষা এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালত আরও ভূমিকা রাখতে পারে বলেও র্ সভায় জানানো হয়।
    কর্মশালার সভাপতি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শাহ আব্দুল সাদী বাংলাদেশের গ্রাম আদালতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন স্বচ্ছতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম গ্রাম আদালত। এই মাধ্যমকে শক্তিশালী করতে গনমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে বলে জানানো হয়। গ্রাম আদালত পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়েও কথা বলেন তিনি। সমাজে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য দিয়ে মামলা জটিল করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রবনতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে যেমন বাদী বিবাদী দুই পক্ষের ব্যয় বৃদ্ধি পায় তেমনি তা নিষ্পত্তি করতেও বহু ভোগান্তির পাশাপাশি অনেক সময় লাগে। এজন্য গ্রাম আদালতকে আরও বেগবান করতে পারলে তৃণমূল পর্যায়ে শান্তিশৃংখলা রক্ষা সহজ হয়। বিশ্বের বেশী আইনের দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে আইন না মানার এক ধরনের সংস্কৃতি রয়েছে। আইনকে কেবলমাত্র কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রাখার প্রবণতা তেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি। বিচারকদের সব ধরনের প্রভাবমুক্ত থেকে বিচার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আদালত সমূহে মামলার জট যেমন কমবে তেমনি গ্রামে শান্তির সুবাতাস বইবে। উন্মুক্ত আলোচনায় আরও অংশগ্রহন করেন তাদের বক্তব্যে উঠে আসে বিচারের নোটীশ গ্রহন না করা, প্রভাবশালীদের বিচারের আওতায় আনার অন্তরায়, সম্পদের মূল্য বৈষম্য, বিচারকদের ভোটের রাজনিিত , বিচারকদের নির্বাচন রাজনীতি, বিচারকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিচারে নিরপেক্ষতা বজায়ে অন্তরায়সহ নানা বিষয়। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয় কর্মশালায়।

  • শ্যামনগরে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

    শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান মোল্যা ওরফে হাসান(৩৭) কে ইয়াবাসহ আটক করেছে পুলিশ।
    গত সোমবার রাতে কাঠালবাড়িয়া মাছের ঘেরের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার অপর দুই সহযোঘী পালিয়ে যায়। পুলিশ হাসানের দেহ তল্লাশি করে ২৩ পিচ ইয়াবা ও ব্যবহৃত ডিসকভার ১০০ সিসি মটর সাইকেলটি জব্দ করেছে। সে পশ্চিম বিড়ালক্ষ্মী গ্রামের আব্দুল গফফার মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
    শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল মান্নান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক এমদাদ হোসেন সহ পুলিশ দল ইয়াবা সহ হাসানকে আটক করে। হাসানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৫ বি (২) মামলা যা বর্তমানে স্পেশাল ট্রাইবুনাল কোর্ট ২১৮/১৭ বিচারাধীন এবং এ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে।

  • আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যা মামলার বাদি গ্রেফতার

    আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যা মামলার বাদি গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হাসান ইমন হত্যা মামলায় দীর্ঘ দেড় বছর পর এ মামলার বাদিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

    মঙ্গলবার সকালে মামলার বাদি নিহতের আপন চাচা আলমগীর হাসান আলমকে শহরের সুলতানপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাগেরহাট সিআইডি পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, ইমন হত্যার দেড় বছর পর এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার সত্যতা পাওয়ায় মামলার বাদি নিহতের চাচা আলমগীর হাসান আলমকে সকালে গ্রেফতার করা হয়। এরপর দুপুরে তাকে সাতক্ষীরার আমলী আদালত-১ এর বিচারক রাজীব কুমার রায়ের আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।

    সিআইডি সাতক্ষীরার সহকারী পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে নিহতের চাচা বাদি আলমগীর হাসান আলম জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ইমনকে তার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের ইকবাল বিশ্বাসের মাছের ঘেরে ফেলে রাখা হয়।

    পরদিন সকালে পুলিশ ইমনের লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পরপরই ইমনের আপন চাচা আলমগীর হাসান আলমের ইঙ্গিতে পুলিশ আমতলা থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ইখতিয়ার হোসেন বিপ্লব, সুলতানপুর থেকে কলেজ ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রেজাউল ইসলাম ওরফে রনি মোল্যাকে গ্রেফতার করে। পরে নিহতের চাচা আলমগীর হোসেন আলম বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

  • পৌরসভার সম্পত্তি জাল দলিল করে দখল : পৌর হস্তক্ষেপে তালাবদ্ধ

    পৌরসভার সম্পত্তি জাল দলিল করে দখল : পৌর হস্তক্ষেপে তালাবদ্ধ

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভার হস্তক্ষেপে অবৈধ দখলীয় দোকান ফারুক ইলেকট্রিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় শহরের পাকাপোলস্থ ফারুক ইলেকট্রিকে গিয়ে সদর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শফিকুল আলম বাবু, শেখ আব্দুস সেলিম ও মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথীর নির্দেশে দোকানটি বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হয়।

    এ ব্যাপারে পাশ্ববর্তী দোকান জালাল ইলেকট্রিকের মালিক মো. শাহাজালাল জানান, ১৪৪৯৯ দাগে পৌরসভার ২৭ ফুট জায়গা জাল দলিল করে ২০০৭ সাল থেকে ভোগ-দখল করে আসছে ফারুক ইলেকট্রিকের মালিক ফারুক।

    সে সময় বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকায় স্থানীয় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীর প্রভাব দেখিয়ে পৌরসভা থেকে আমার ডিসিআরকৃত জায়গাসহ পৌরসভার ২৭ ফুট জায়গা জবর দখল কওে নেয় ফারুক।

    জাল দলিলের মাধ্যমে নিজ দখলে রাখতে পৌরসভার সম্পত্তিকে অস্বীকার করে পৌরসভাকে বিবাদী করে একটি মামলা করে।

    সে মামলায় আদালতে বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় সে মামলায় হেরে যায় ফারুক এবং মামলাটি সেফকাষ্টোডি হয়েছে। আজ ২৭ জুন বুধবার পৌরসভার মাসিক মিটিং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

  • কাশিমাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মতবিনিময় সভা

    কাশিমাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মতবিনিময় সভা

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: কাশিমাড়ীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সংক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রালয়ের অধীনে মঙ্গলবার সকালে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে গ্রাম আদালত বিষয়ক সচেতনতা মূলক ভিডিও প্রদর্শনী ও গ্রাম আদালত বিষয়ক এ কমিউনিটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন, কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ। উপস্থিত ছিলেন কাশিমাড়ী ইউপি সচিব আব্দুস সবুর, ইশ্বরীপুর গ্রাম আদালত সহকারি মো. আব্দুল হান্নান, সমাজসেবক আলহাজ্ব শওকাত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল্লহ আল-মামুন প্রমুখ।

    সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, কাশিমাড়ী ইউপি গ্রাম আদালত সহকারি মহসীন আলম।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৬২

    জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৬২

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৩ মাদক মামলার আসামী ও বিএনপি-জামায়াতের ৩ নেতা-কর্মীসহ ৬২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

    গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮৬ পিচ ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানার ১৬ জন, কলারোয়া থানার ১২ জন, তালা থানার ৫ জন, কালিগঞ্জ থানার ১২ জন, শ্যামনগর থানার ৬ জন, আশাশুনি থানার ৬ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানার থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • কলারোয়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটক ছয় বাংলাদেশীকে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করলো বিএসএফ

    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের তারালী বিএসএফ ক্যাম্পে আটক ছয় বাংলাদেশীকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেছে বিএসএফ সদস্যরা। রবিাবর দুপুরে উপজেলা কাকডাঙ্গা সীমান্তের মেইন পিলার ১৩/৩ এস এর ৩ আরবি’র নিকট বিজিবি-বিএসএফের এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
    হস্তান্তরকৃতরা হলেন, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বুড়িখালী গ্রামের মৃত মঞ্জুর মোল্লার স্ত্রী মনিরা বেগম (৩২), একই উপজেলার ছিলুমপুর গ্রামের সাকু মোল্লার স্ত্রী মিরা বেগম (৫০), সাতক্ষীরার মাছখোলা গ্রামের মৃত কিনুপদ সানার স্ত্রী উর্মিলা সানা (৬০), খুলনার তেরখাদা থানার কুমিরডাঙ্গা গ্রামের গাউস শেখের ছেলে আকাশ শেখ (২৮), তার স্ত্রী পাখি বিবি (২২) ও শিশু পুত্র রিফাত শেখ (২)।
    কলারোয়ার কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়ক মনিরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে ৬ বাংলাদেশী অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করে। পরে তারা ভারতের তারালী এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় টহলরত বিএসএফ সদস্যরা অবৈধ পথে ভারতে আসা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ছয় বাংলাদেশীকে আটক করে তারালী বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আটক বাংলাদেশীদের ফেরত দেয়ার জন্য বিএসএফ সদস্যরা কলারোয়া কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে পত্র মারফত জানান।
    তিনি আরো বলেন, তাদের পত্র পেয়ে রবিবার দুপুরে দিকে কাকডাঙ্গা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা রাজি হলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ সদস্যদের নিকট আটক ছয় বাংলাদেশীকে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদেরকে কলারোয়া থানায় সোর্পদ করা হয়।
    এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, এ ঘটনায় বিজিবি বাদি হয়ে ৫ জনের নামে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। তিনি বলেন, আটককৃতদের রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • কালিগঞ্জে নাশকতার পরিকল্পনাকালে আটক-৩

    কালিগঞ্জে নাশকতার পরিকল্পনাকালে আটক-৩

    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতার পরিকল্পনার প্রস্তুতিকালে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার শাহিহাটি গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে মো. ছবিলার রহমান, ছবিলার রহমানের স্ত্রী মোছা. হাফিজা খাতুন, উজিরপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন।

    গত শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় এস আই নূর ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ২৬, তারিখ ২৪-০৬-২০১৮। রবিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।