Category: আইন-আদলাত

  • ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

    ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

    রাজধানীর পুরান ঢাকায় মো. সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় ছাত্রদল নেতা তারেক রহমান রবিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে স্বেচ্ছায় এ জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

    জানা যায়, আসামি তারেক রহমান রবিন রাজধানীর চকবাজার থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রবিনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন রবিন।

    অপরদিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় টিটন গাজী নামে আরেক আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১২ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিব উল্লাহ পিয়াস ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিডফোর্ডের সামনে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়। গত ৯ জুলাই এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে। এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) এবং তারেক রহমান রবিনকে (২২) কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে পাঁচদিন এবং তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

    নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।

    এদিকে পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্যে সোহাগকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দা ঝড় উঠেছে।

  • উপজেলায় অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো

    উপজেলায় অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো

    বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে একমত হয়েছে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, এক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানে যেসব উপজেলা জেলা সদরের নিকটবর্তী সেখানে আদালত স্থাপনের বিপক্ষে দলগুলো।

    সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলগুলো নীতিগতভাবে একমত প্রকাশ করে।

    ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য, জেলা সদর থেকে দূরত্ব ও যাতায়াত ব্যবস্থা; জনসংখ্যার ঘনত্ব ও বিন্যাস এবং মামলার চাপ বিবেচনা করে কোন কোন উপজেলায় স্থায়ী আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে হবে।

    বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত পরিচালিত হয়, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সবগুলো চৌকি আদালতকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন, না কি সেক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের সুযোগ রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে উপজেলা সদরে স্থাপিত কোনো আদালতের জন্য একাধিক উপজেলাকে সমন্বিত করে অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করা প্রয়োজন হলে, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

    উপজেলা আদালতগুলোতে সিনিয়র সহকারী জজ ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন করতে হবে। দেওয়ানি মামলা গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে বাস্তবানুগ করাও প্রয়োজন। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করতে হবে।

    আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, জেলা সদরের অতি কাছে যেসব উপজেলা সদর রয়েছে সেখানে অধস্তন আদালত প্রয়োজন হবে না। একইসঙ্গে জেলা সদরে উপজেলা অধস্তন আদালতের প্রয়োজন নেই। কোন উপজেলায় অধস্তন আদালত প্রয়োজন তার সংখ্যা নিরূপণের জন্য সমীক্ষার অনুরোধ করেন তিনি।

    আলোচনায় অংশ নেওয়া কয়েকটি দলের নেতা উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপন করা হলে দুর্নীতি বাড়বে বলে আশঙ্কা করেন। বিষয়টিতে দ্বিমত জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ।

    তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত হলে দুর্নীতি বাড়বে এটা ভুল ধারণা। বিচার প্রার্থীকে হয়রানি রোধ করতে বিচারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। দুর্নীতির বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

    এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপনে তাগিদ দেন। প্রয়োজনে সংসদীয় আসনের ভিত্তিতে দ্রুতই অধস্তন আদালত স্থাপনের প্রস্তাব করেন তিনি।

    কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে আগামী কত বছরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয় ঐকমত্য কমিশনকে।

    পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে বেশ কিছু পরামর্শ এসেছে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। সেগুলো নিয়ে বিরতির পরে আলোচনা শুরু হবে।

    এতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই সংক্রান্ত কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে বর্তমান যে বিধান রয়েছে তা ভয়াবহভাবে নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতকে এমনভাবে বেঁধে দেয় যে তার পক্ষে কিছুই করার থাকে না। তাই সংবিধানের ১৪১ ক, খ, গ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

    জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি হবে না। জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের দ্বারা নিশ্চিত করা নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই নাগরিকদের তাদের অধিকার প্রয়োগের জন্য আদালতে যাওয়া বন্ধ করা যাবে না।

  • বিতর্কিত মন্তব্য: ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি চাকরিচ্যুত

    বিতর্কিত মন্তব্য: ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি চাকরিচ্যুত

    ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেওয়ায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে ওএসডি সহকারী সচিব, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    বুধবার (২ জুলাই) বিভাগীয় মামলায় তাকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ গুরুদণ্ড দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৬ অক্টোবর তিনি নিজ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নিয়ে লিখিতভাবে জবাব দেন। তার জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

    এতে আরও বলা হয়, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এরপর তাকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব, পারিপার্শ্বিকতা এবং বিভাগীয় মামলার নথি পর্যালোচনা তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিধিমালা অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ সূচক গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    গত ৫ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

    শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ছাড়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশকিছু স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন তাপসী তাবাসসুম।

  • জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি

    জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি

    জঙ্গি সংগঠন আইএস এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক মালয়েশিয়ার পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জুন) মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যম হারিয়ান মেট্রো”র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানান, সেলাঙ্গর এবং জোহর রাজ্যে গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া একটি পরিকল্পিত নিরাপত্তা অভিযানে তিন ধাপে এই আটকের ঘটনা ঘটে।

    এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাহ আলম এবং জোহর বাহরু সেশন কোর্টে দণ্ডবিধির অধীনে সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য অভিযোগ আনা হয়েছে।

    সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল আরও বলেন, অন্য ১৫ জনের বিরুদ্ধে নির্বাসনের আদেশ জারি করা হয়েছে। বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থি সংগঠন আইএস এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো উগ্র চরমপন্থি গোষ্ঠী বা বিদেশি ষড়যন্ত্রের স্থান মালয়েশিয়া হবে না। এ অভিযান পরিচালনায় নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা এবং দ্রুত পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশে বিশেষ শাখার প্রশংসা করেন।

    তিনি জানান, কেডিএন গোয়েন্দা ও নজরদারি জোরদার করছে। মালয়েশিয়াকে নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখার জন্য দেশ-বিদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ মালয়েশিয়াকে চরমপন্থি কার্যক্রম বা ট্রানজিট কেন্দ্র বানাতে চাইলে, তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

  • ছয় মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে অন্তর্বর্তী সরকার

    ছয় মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে অন্তর্বর্তী সরকার

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। এর ফলে এসব মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা চিরতরে সব কলঙ্ক ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’

    আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত (২৮ মে পর্যন্ত) ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কাজ চলছে। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কর্তৃক অবহেলার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

    মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করে কমিটি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছে।

    এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে রাজনৈতিক মামলার তালিকা পাঠাতে পারে।

    এর আগে ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল মধ্যে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল।

    তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে। ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

    আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল দুটিকে তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিটের (যেখানে প্রযোজ্য) মতো প্রাসঙ্গিক নথি না পাঠানোর জন্যও দোষারোপ করে বলেছেন যে, এটি মামলা প্রত্যাহার বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ।

    উপদেষ্টা সম্প্রতি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে জানান, ‘অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

    ইতোমধ্যে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলার তালিকাসহ এফআইআর ও চার্জশিট জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

  • আদালতে অপরাধ স্বীকার করে আ. লীগের ওপর দায় চাপালেন আউয়াল

    আদালতে অপরাধ স্বীকার করে আ. লীগের ওপর দায় চাপালেন আউয়াল

    চব্বিশের নির্বাচন যে ডামি ও প্রহসনমূলক ছিলো আদালতে সেটা স্বীকার করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল। এই ডামি নির্বাচনের দায় আওয়ামী লীগের ওপরে চাপান তিনি। এদিন আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত হাবিবুল আউয়ালের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ।

    আদালতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ক্ষমতার লোভ শেখ মুজিবও সামলাতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী ১ হাজার বছরেও এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

    এর আগে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে হাবিবুল আউয়ালকে আদালতে আনা হয়। প্রথমে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।

    শুনানিতে তিনি বলেন, এই আসামি (হাবিবুল আউয়াল) ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আমলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি এদেশে কলঙ্কজনক একটি নির্বাচন হয়। সেই ডামি নির্বাচনে আ.লীগ ও ২/১টি দল ছাড়া আর কেউ অংশ নেয়নি। সেই নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন, একতরফা, লোক দেখানো ও প্রহসনের নির্বাচন। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিতে পারেননি। তখন তিনি (আউয়াল) বলেছেন, ‘কেউ নির্বাচনে না এলে আমি কি বসে থাকব?’ তিনি ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। অন্যায় করেছেন বলেই তিনি গা ঢাকা দেন।

    শুনানিতে ওমর ফারুক আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে’। এত বড় মিথ্যা বলে তিনি কীভাবে তার ফ্যামিলির সামনে মুখ দেখান? ওইদিন সকাল ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। তার এক ঘণ্টা পর ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান। অথচ আমরা দেখেছি কেন্দ্রগুলোতে কোনো মানুষ ছিল না। কুকুর-বিড়াল কেন্দ্রে শুয়ে আছে। ওই এক ঘণ্টা তিনি কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।’ কতটা হাস্যকর কথাবার্তা।

    শুনানিতে সরকারি এই কৌঁসুলি আরও বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনে থোক বরাদ্দ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। সংবিধান বহির্ভূত বক্তব্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রার্থনা করছি।

    আসামি পক্ষের আইনজীবী এমিল হাসান রুমেল তার রিমান্ড নামঞ্জুর চেয়ে বলেন, তার বয়স ৭০। তিনি অনেক দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। আমরা যেন ফ্যাসিস্ট দমাতে গিয়ে নিজেরা ফ্যাসিস্ট না হয়ে যাই। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল।

    তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের বক্তব্যের সঙ্গে আমিও একমত। নির্বাচনটি ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন ছিল। এসময় তাকে থামিয়ে বিচারক বলেন, প্রত্যেক জেলায় নির্বাচনী ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়। যেখানে যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদার একজন দায়িত্বে থাকেন। আগে যার ভাতা ছিল ২২ হাজার টাকা, সেটা আপনি ৫ লাখে উন্নীত করেছেন। এতে কি জনগণের টাকা অপচয় হয়নি? এ বিষয়ে তার জানা নেই জানিয়ে বলেন, পাঁচ বছরের মুদ্রাস্ফীতি হিসাব করে হয়তো ভাতা বাড়ানো হয়েছিল।

    এরপর বিচারক আবারও বলেন, এই যে ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়েছিল নির্বাচনের সময় কোথাও কি তারা সরেজমিনে গিয়েছিলেন? তখন আউয়াল বলেন, একজন রিটার্নিং অফিসারের অধীনে ৪-৫টা সংসদীয় আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাকে সহযোগিতা করতে আরও ৪-৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার থাকেন। একটা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ২ ভাগ দায়িত্ব কমিশনের, বাকি ৯৮ ভাগ দায়িত্ব মাঠ পর্যায়ে কাজ করা অফিসারদের।

    নির্বাচনের আগে এমন অবস্থা জেনে আপনি পদত্যাগ করলেন না কেন? বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই অবস্থায় পদত্যাগ করা সম্ভব ছিল না। আমার এক বন্ধুও আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল পদত্যাগের কথা, আমি বলেছি তুমি যদি আগে বলতা এমন ভয়ংকর নির্বাচন হবে, তাহলে আমি দায়িত্বই নিতাম না।

    আউয়াল পূর্বের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে বলেন, ৭২ এর সংবিধান প্রণয়নের তিন মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত ৭৩ এর নির্বাচনে আ.লীগ ২৯৩টি আসন পায়। সেই নির্বাচনও সুষ্ঠু ছিল না। ক্ষমতার লোভ এমন যে শেখ মুজিবও তা সামলাতে পারেননি। ৯৬ সালে আ.লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তী সময়ে তারাই আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সংবিধান সংশোধন করে।

    এসময় পাবলিক প্রসিকিউটর উত্তেজিত হয়ে আদালতকে বলেন, তিনি নিজেকে জাস্টিফাই করছেন। তার এসব বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই। এসময় আউয়াল বলেন, জাস্টিফাই না করতে দিলে রিভলবার দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেন। এসময় উপস্থিত আইনজীবীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে এজলাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব তুলে ধরে আউয়াল বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী ১ হাজার বছরেও এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

    আধ ঘণ্টার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে গত ২২ জুন মামলা করে বিএনপি। পরে ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

  • শেখ পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

    শেখ পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

    ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা মোট ১৫৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ জব্দের বিষয়টি ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।

    দুদকের সূত্র জানায়, জব্দ করা টাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটি রয়েছে ‘শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর নামে। এ ট্রাস্টের নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ৪৭৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৪ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’ (সিআরআই)-এর নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৫৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৩৬ টাকা, আওয়ামী লীগের নামে আটটি ব্যাংক হিসাবে ৩৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৩১ টাকা এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ১১৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের নামে দুটি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪৪ টাকা, আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে পাঁচটি হিসাবে ৫৬ লাখ ৭ হাজার ৭৪৩ টাকা, সায়মা ওয়াজেদের নামে পাঁচটি হিসাবে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৮৫৪ টাকা এবং শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার যৌথ নামে থাকা চারটি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৮৬২ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের মধ্যে শেখ হাসিনার নামে ১২টি হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৫ টাকা, শেখ রেহানার নামে দুটি হিসাবে ৮১ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ টাকা, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি হিসাবে ১ কোটি ১৭ লাখ ১৫ হাজার ২৭১ টাকা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে দুটি হিসাবে ১ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৪ টাকা এবং ববির বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিকের নামে রয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫০ টাকা।

    দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতের অনুমোদন নিয়ে আইনানুগভাবে এসব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে কমিশনের উপপরিচালক মনিরুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সময়কালীন বিভিন্ন ধাপে জব্দের আদেশ দিয়েছেন।

    দুদক আরও জানায়, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রাদওয়ান মুজিব ববি, শফিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাদের নিকটাত্মীয়দের নামে বিদেশে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে—বিলাসবহুল সম্পদেরও খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের উৎস ও বৈধতা খতিয়ে দেখতে বর্তমানে আন্তর্জাতিক তদন্ত সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় আদালতে ইভ্যালির সিইও রাসেলেকে কারাদন্ড

    সাতক্ষীরায় আদালতে ইভ্যালির সিইও রাসেলেকে কারাদন্ড

    চেক প্রতারণার মামলায় এবার ইভ্যালির সিইও মোহাম্মাদ রাসেলকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত। একই সাথে তাকে চেকে বর্ণিত টাকার সমপরিমান জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (২২ জুন) বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. হাবিবুর রহমান এই রায় দেন।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান এলাকার শেখ আব্দুল ওয়াজেদ কচির ছেলে শেখ তানজির আহমেদ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ইভ্যালিতে একটি অ্যাপাচি ১৬০ সিসির সিঙ্গেল ডিস্ক মোটরসাইকেল অর্ডার ও ক্রয়মূল্য পরিশোধ করেন।মোটরসাইকেলটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে না পারায় ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তাকে এক লাখ ৫৫ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করে। চেকটি নগদায়নের সর্বশেষ তারিখ ছিল ২০২২সালের ১১ জানুয়ারি। পরবর্তীতে বাদী চেকটি তার নিজ হিসাবে জমা দিলে চেকটি ডিজঅনার হয়। চেকটি ডিজঅনারের বিষয়ে ইভ্যালিকে লিগ্যাল (ডিমান্ড) নোটিশ পাঠানো হয়। ২২সালের ৩০ জানুয়ারি তারিখে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ নোটিশটি গ্রহণ করে। কিন্তু তারা বাদীর পাওনা অর্থ পরিশোধের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রতারিত হয়ে বাদী সাতক্ষীরা আমলী ১নং আদালতে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মাদ রাসেলের বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টে একটি মামলা দায়ের করেন।

    এ মামলায় আদালত রোববার ইভ্যালির সিইও মোহাম্মাদ রাসেলকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকে বর্ণিত টাকার সমপরিমান জরিমানা করেছেন। তবে, রায় ঘোষণাকালে আসামি মোহাম্মাদ রাসেল কাঠগড়ায় ছিলেন না।

    সাতক্ষীরা আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. এ বিএম ইমরান (শাওন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • ১২ ভুয়া কোম্পানি, ২ হাজার কোটি টাকা পাচার! সাবেক হাইকমিশনার ফাঁস

    ১২ ভুয়া কোম্পানি, ২ হাজার কোটি টাকা পাচার! সাবেক হাইকমিশনার ফাঁস

    প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ও তার স্বামী জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমেটেডের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
    তাদের (মুনা ও তার স্বামী) ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
    সোমবার (১৬ জুন) দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন।
    তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পরস্পর যোগসাজশে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসহ ১২টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নাম সর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক) থেকে ঋণ নিয়ে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেন।

  • ১৬ জুনের আগেই হাজিরা দিতে হবে শেখ হাসিনাকে? জারি হলো পরোয়ানা!

    ১৬ জুনের আগেই হাজিরা দিতে হবে শেখ হাসিনাকে? জারি হলো পরোয়ানা!

    জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১ জুন (রোববার) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আদালত আগামী ১৬ জুনের মধ্যে তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।

    উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠামো পুনর্গঠন করা হয় এবং এরপরই এই ঘটনায় প্রথম একটি বিবিধ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা এখন একটি পূর্ণাঙ্গ মামলায় রূপ নিয়েছে। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেয়। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী, তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়, যা তিনি পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।

    পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে মোট তিনটি মামলা চলছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত ঘটনাটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হয়েছে। এছাড়া, তাঁর শাসনামলে গুম ও হত্যার অভিযোগ এবং হেফাজতে ইসলামের মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় আরও দুটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।

  • জামায়াতকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা কানাডার ট্রাইব্যুনালের

    জামায়াতকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা কানাডার ট্রাইব্যুনালের

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় এবং তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে কানাডার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড (আইআরবি)। এই রায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি প্রোটেকশন অ্যাক্ট (আইআরপিএ) এর ধারা ৩৪(১)(এফ)-এর আওতায় কানাডার সরকারের করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

    এ সিদ্ধান্তটি আসে ২ বছর ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের পর, যা ২০২২ সালে কানাডার বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) একটি প্রতিবেদনের পর শুরু হয়েছিল। সিবিএসএ অভিযোগ করেছিল- জনৈক রহমান নামে এক ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর সদস্য (রোকন) হওয়ার কারণে কানাডায় প্রবেশের অনুপযুক্ত। কারণ সিবিএসএর মতে জামায়াত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত। তবে, ট্রাইব্যুনাল আজকের রায়ে এ অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছেন।

    এ রায়ের গুরুত্ব খুব বেশি। আইআরবির এ সিদ্ধান্তটি শুধু উক্ত রহমানের জন্যই নয়, বরং জামায়াতে ইসলামীর সুনামের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ ও নজিরবিহীন রায় বলে বিবেচিত হচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল দুটি পূর্ণাঙ্গ দিবস এবং অতিরিক্ত আরও আড়াই দিন শুনানি পরিচালনা করে। কয়েক হাজার পৃষ্ঠার নথিও এ সময় পর্যালোচনা করা হয়।

    এছাড়া, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদ ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়, যাদের সবাই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন।

    ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়

    সন্ত্রাসবাদের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই: রায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।

    বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য গ্রহণ: তিনজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষক এই মামলা চলাকালে সন্ত্রাসবাদ, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক আন্দোলন, ও ইসলামী সংগঠনগুলোর বিষয়ে শপথ নিয়ে সাক্ষ্য দেন, যা বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ এবং ধারাবাহিক বলে প্রমাণিত হয়।

    রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষনে জানিয়েছে যে, জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের শিকার হয়ে আসছে, বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে যারা ভিন্ন আদর্শ লালন করেন তারা জামায়াতের বিষয়ে বহু বছর ধরেই প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছেন।

    ২০২৪ সালের আগস্টের বাংলাদেশে অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।

    আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতি: এই রায় কানাডার ন্যায়বিচার, সততা ও সুবিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে এবং উল্লেখ করেছে যে কোনো সংগঠনকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক চাপ বা বিদেশি সরকারের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে সন্ত্রাসী ঘোষণা করা যায় না।

    জামায়াতে ইসলামীর জন্য আইনি বিজয়

    মামলায় জামায়াতে ইসলামীকে সফলভাবে প্রতিনিধিত্ব করেন ওডব্লিউএস ল-এর ব্যারিস্টার ওয়াশিম আহমেদ। এই রায় সম্পর্কে তিনি বলেন,“এই রায় জামায়াতে ইসলামী আইনি মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বিজয়। এটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে অভিযোগগুলোর ভিত্তি হতে হবে বাস্তব প্রমাণ এবং নিরপেক্ষ মূল্যায়নের ওপর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নয়।”

    গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া লিখিত সিদ্ধান্তে রহমানকে সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ ঘোষণা করা হয় এবং সিবিএসএর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করা হয়। এ রায় ভবিষ্যতে অনুরূপ মামলাগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করবে। কারণ অনেক সময়ই দেখা যায়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।

  • ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

    ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

    বাংলাদেশ ‘দন্ডবিধি ১৮৬০’ আইনের ১০০ ধারার ৩য় ধাপে বলা আছে – “কোন ব্যাক্তি যদি ধর্ষণের অভিপ্রায়ে আক্রমণ করে, তাহলে ঐ আক্রমণকারী হতে দেহের রক্ষার জন্য আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু ঘটানো যায়। এবং এই মৃত্যু ঘটানো ‘খুন’ বলে বিবেচ্য হবে না।”

    বাংলাদেশের দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০০ ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনের জন্য বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়ে এবং আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তা খুন হিসেবে গণ্য হবে না। এই ধারাটি আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কে বলে, বিশেষ করে ধর্ষণের বা যৌন নিপীড়নের পরিস্থিতিতে, যেখানে ভুক্তভোগী নিজেকে রক্ষা করার জন্য আইনগতভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।

    ধারা ১০০ এর ৩য় উপধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি আক্রমণ করে, তাহলে আত্মরক্ষার জন্য ঐ আক্রমণকারীকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা যেতে পারে, এমনকি তার মৃত্যু ঘটানোও জায়েজ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ঐ মৃত্যুকে “খুন” হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। অর্থাৎ, এটি আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।

    তবে, এই আইনের প্রয়োগের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে:

    ১.আক্রমণকারীর আক্রমণ ধর্ষণের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
    ২.ভুক্তভোগী যদি নিজের রক্ষা করার জন্য আক্রমণকারীকে আঘাত করেন এবং তা পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ও যুক্তিসঙ্গত হয়।
    ৩.আত্মরক্ষার প্রয়োজনে করা পদক্ষেপটি অতিরিক্ত সহিংসতার কারণে না হয়ে থাকে।
    ৪.এটা আইনের একটি ব্যতিক্রমী বিধান, যেখানে প্রয়োগকারী ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে আত্মরক্ষা করতে পারবেন। তবে, এই ধরনের ঘটনা বিচারক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করবে।

  • ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

    ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

    ইসকনকে আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থি সংগঠন হিসেবে দাবী করে সংগঠনটি নিষিদ্ধ এবং আইনজীবী হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল ১০ আইনজীবীর পক্ষে এই নোটিশ পাঠান।

    নোটিশ পাঠানো দশ আইনজীবী হলেন, মফিজুর রহমান মোস্তাফিজ, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল হান্নান ভূঞাঁ হৃদয়, তৌহিদুল ইসলাম শান্ত, আতিকুল ইসলাম, মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. রাসেল মাহমুদ, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহফুজুর রহমান ও আল মোমেন।

    নোটিশে বলা হয়েছে, ইসকন একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে উসকানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। সংগঠনটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধিকাংশ মৌলিক বিষয় স্বীকার করে না।

  • দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক

    দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক

    জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিবকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

    পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে একে একে ১৩ জনকে বের করে পুলিশের প্রিজনভ্যানের দিকে নেওয়া হয়।

  • শেখ হাসিনা কোথায়, জানতে চাইলেন ট্রাইব্যুনাল

    শেখ হাসিনা কোথায়, জানতে চাইলেন ট্রাইব্যুনাল

    জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

    এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত শেষ করতে আদালতে সময় প্রার্থনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনাল এ সময় জানতে চান শেখ হাসিনা কোথায়। তখন তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের দিন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন।

    তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে অনুরোধ জানাবে সরকার।

    পরে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালতে হাজির হওয়া আনিসুল হকসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

    আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।।

    এর আগে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে।

  • জুলাই গণহত্যা : প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালে তোলা হচ্ছে ১৪ জনকে

    জুলাই গণহত্যা : প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালে তোলা হচ্ছে ১৪ জনকে

    জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার মামলায় আগামীকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এরা সবাই কারাগারে রয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক এলাহি, আ. রাজ্জাক, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

    এর আগে গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

  • সাতক্ষীরা আদালতে ৩৪ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

    সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীনস্থ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৩৪ জন পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর), অতিরিক্ত পিপি, এপিপি, জিপি ও এজিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

    এতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাড. শেখ আব্দুস সাত্তার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাড. শেখ আলমগীর আশরাফ এবং সরকারী কৌশুলী-জিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাড. অসীম কুমার মন্ডল।

    এছাড়া ১৪ জনকে অতিরিক্ত পিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো, অ্যাড. মোস্তফা জামান, অ্যাড. গোলাম গনি দুদু, অ্যাড. এবিএম ইমরান শাওন, অ্যাড. আরিফুর রহমান আলো, অ্যাড. মো. জালাল উদ্দীন, অ্যাড. শিহাব মাসউদ সাচ্চু, অ্যাড. শেখ আবু সাঈদ রাজা, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম (৩), অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫), অ্যাড. আব্দুল জলিল, অ্যাড. সাঈদুর রহমান সাঈদ ও অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিক।

    ১২ জন এপিপি হলেন, অ্যাড. উম্মে হাবিবা রূপা, অ্যাড. নজরুল ইসলাম, অ্যাড. এসএম আজিজুল হক, অ্যাড. শাহানা ইমরোজ, অ্যাড. তারিক ইকবাল অপু, অ্যাড. শাহাদাত হোসেন (৪), অ্যাড. শেখ মাহমুদুল হাসান জিকো, অ্যাড. ফাতিমা ফারজানা ফেরদৌসি, অ্যাড. মো. শহিদুল ইসলাম (২), অ্যাড. মো. সাইফুজ্জামান মিঠু, অ্যাড. মো. হুমায়ুন কবির ও অ্যাড. বিএম মিজানুর রহমান মিন্টু।

    এছাড়া পাঁচজন এজিপি হলেন, অ্যাড. জিএম ফিরোজ আহমেদ, অ্যাড. মেহেদী হাসান, অ্যাড. শেখ আলাউদ্দীন, অ্যাড. হাসনাত মনির ও অ্যাড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (২)।

  • সদর থানা ও এটিএম বুথ পোড়ানো মামলার শুনানী পিছালো ২দিন

    সদর থানা ও এটিএম বুথ পোড়ানো মামলার শুনানী পিছালো ২দিন

    সাতক্ষীরা : গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের
    পর সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ
    ও পার্শ্ববর্তী এটিমএম বুধ পোড়ানোর পৃথক মামলায়
    গ্রেপ্তারকৃত জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম
    ফারুক খান মিঠু’র জামিন শুনানী পিছিয়ে আগামি ২৪
    অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ
    চাঁদ মোঃ আব্দুল আলীম আল রাজী আসামী পক্ষের আইনজীবীদের
    জামিন শুনানী শেষে বৃহত্তর শুনানীর জন্য এ দিন ধার্য করেন।
    গ্রেপ্তারকৃত নাসিম ফারুক খান মিঠু সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ
    পলাশপোলের আব্দুস সোবহান খানের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা
    চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় এক
    থেকে দেড় হাজার ক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা, ভাংচুর,
    লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় একই সময়ে থানার
    পার্শ্ববর্তী একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ ভাংচুর ও
    অগ্নিসংযোগ করা হয়। থানা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
    ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক তাপস কুমার ঘোষাল
    বাদী হয়ে অজ্ঞাত এক থেকে দেড় হাজার আসামীর বিরুদ্ধে গত ১৯
    সেপ্টেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। সাবেক যুবদলের সাধারণ
    সম্পাদক নাসিম ফারুক খান মিঠুকে ৫ অক্টোবর শনিবার দিনগত
    রাতে সেনা সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে আটক
    করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন বিকালে তাকে সদর থানায় সোপর্দ
    করা হয়। তাকে থানা ভাংচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত
    ১৪ অক্টোবর তার ৭ দিনের রিমান্ড শুনানি শেষে আমলি আদালত-৩ এর
    বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিন আহম্মেদ তার একদিনের রিমান্ড নামঞ্জুর
    করেন। ওইদিন তাকে এটিম বুথ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
    মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নি¤œ আদালতে জামিন না হওয়ায়
    মিঠু খানের পক্ষে তার আইনজীবীগন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে

    দুটি ক্রিমিনাল মিস কেস দাখিল করেন। মঙ্গলবার ছিল শুনানীর জন্য
    ধার্য দিন।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রবিউল ইসলাম নাসিম
    ফারুক খান মিঠুর জামিন শুনানীর দিন পিছিয়ে ২৪ অক্টোবর
    ধার্য করা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।