স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওনকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩.০১ মিনিটে, ৩.৩৭ মিনিটে ০১৯৪৫৭৯৮৫০৪ নাম্বার থেকে এবং রবিবার বিকাল ৪.২০ মিনিটে ও ৪.৩৭ মিনিটে ০১৯৫২৪৪১২০৪ নাম্বার থেকে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের ব্যাক্তিগত মোবাইল ০১৭১৩৯৩৩৫৫৩ নাম্বারে ফোন করে চার দফায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। তাছাড়া ফেসবুকেও কয়েকটি আইডি থেকে মাহমুদুল হাসান শাওনকে উদ্দেশ্য করে তার ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর ও আপত্তিকর পোষ্ট দিয়ে সম্মানহানী করে হুমকিদাতারা। এঘটনায় রবিবার উপজেলার ঘড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের হাফিজুল ইসলাম ও তার ছেলে সাইদুর রহমান সোহাগের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ডায়েরী নং- ৫৪৯/২০২১। ডায়েরী পরবর্তী পুলিশ তাৎক্ষনিক তদন্তে হুমকি দেয়ার সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান শাওনকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দরা। প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে।
Category: অপরাধ
-

দেয়াড়ায় মানব পাচার প্রতিরোধে সংলাপ
খোরদো প্রতিনিধি : কলারোয়া উপজেলার ১১ নম্বর দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদে সি ডব্লিউ সি এস এর উদ্যোগে মানব পাচার প্রতিরোধে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী মাহবুবুর রহমান (মফে)। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সি ডব্লিউ সি এস কাউন্সিলর তামান্না আঞ্জুমান। মানব পাচার সম্পর্কিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক বক্তব্য ও পাচারের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন এই এনজিওটি।
-

সংঘবদ্ধ ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের আসামি গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সংঘবদ্ধ ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের ৯জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া দু’টি ইজিবাইক। সাতক্ষীরার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাদারীপুর সদর থানার গোলাবাড়ি গ্রামের মিন্টু মাদবর,মাহবুব ব্যাপারী,রাসেল হাওলাদার,একই থানার নয়াচর গ্রামের অন্তর ঢালী,শিবচর থানার সুমন ফরাজী,জাহাঙ্গীর ব্যাপারী, মুন্সিগঞ্জ জেলার রুবেল হোসেন,বোরহান ব্যাপারী এবং মিজানুর রহমান।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন জানান, ১২ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা ও বিনেরপোতা এলাকায় সদর থানার ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের আনিসুর রহমান, দক্ষিণ কামালনগর এলাকার মিজানুর রহমান ও দেবহাটার পারুলিয়া এলাকার আজিবর রহমানের তিনটি ইজিবাইক ছিনতাই হয়। ভাড়া নেওয়ার কথা বলে গন্তব্যে পৌছানোর আগেই পথিমধ্যে চেতনানাশক স্প্রে ও তরল পদার্থ খাওয়ানোর মাধ্যমে চালকদের অজ্ঞান করে জনমানবহীন স্থানে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এঘটনায় ইজিবাইকের মালিক আনিসুর রহমান ও মিজানুর রহমান বাদি হয়ে সদর থানায় পৃথক দু’টি মামলা করেন। তদন্তে জানা যায়,ছিনতাইচক্রের সদস্যরা মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার অধিবাসি। সাতক্ষীরা সদর থানার একটি টিম দু’টি জেলায় ৪দিন অভিযান পরিচালনা করে বুধবার ৯ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার বনশেমন্ত গ্রাম থেকে জব্দ করা হয় চুরি হওয়া দু’টি ইজিবাইক। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বৃহষ্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। -

নিখোঁজের ৬ দিন পর ঘের থেকে অবসরপ্রাপ্ত এনএসআই কর্মকর্তার ছেলের মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: নিখোঁজের ৬ দিন পর সাতক্ষীরার গোদাঘাটার একটি মাছের ঘের থেকে আরাফাত হোসেন মল্লিক ওরফে রিংকু মল্লিক নামের অবসরপ্রাপ্ত এক এনএসআই কর্মকর্তার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা মল্লিকপাড়ার জনৈক আফসার উদ্দীন মল্লিকের মাছের ঘের থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিংকু মল্লিক (২৩) ওই গ্রামের সাবেক এনএসআই এর প্রধান অফিস সহকারী আব্দুল জব্বারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল রিংকু মল্লিক। পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। একপর্যায়ে আজ রোববার সকালে তার মরদেহ জনৈক আফসার উদ্দীন মল্লিকের মাছের ঘের থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত রিংকু হালকা অপ্রকৃতিস্থ ছিল। তবে, রিংকুকে শস্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি আরও জানান। -

ঝাউডাঙ্গায় মালিকানা দ্বন্দ্বে দেশি মদের দোকান!
সংবাদ দাতা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে সরকার অনুমোদিত দেশি মদের দোকানের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত দুই দিন দোকান বন্ধ থাকার পর রবিবার (৩ জানুয়ারি) অবশেষে দোকান খুলেছে।
গত ১, ২ ও ৩ জানুয়ারি দোকান বন্ধ থাকায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর এমন আলোচনার পর রনজিৎ ঘোষ (দোকানের অর্ধেক মালিক) সাতক্ষীরা জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে যোগযোগ করে দোকানের অপর মালিক ববিতা রানী ঘোষকে রবিবার দোকানের চাবি হস্তান্তর করেন। এরআগে ৩১ ডিসেম্বর রনজিৎ ঘোষ জেলা মাদকদ্রব্য কর্মকর্তাদের ৩০ লাখ টাকায় ম্যানেজ করে দোকান পার্টনার ববিতা রানীকে বাদ দিয়ে নিজের নামে দোকানের লাইসেন্স করে নিয়েছেন-এমন দাবি করে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এদিকে ঘটনার দিনই ববিতা রানীকে (অর্ধেক মালিক) দোকানের চাবি প্রদানের জন্য সাতক্ষীরা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিকট অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে তারা গত তিন দিন পার হলেও স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত দোকানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ রাখার বিষয়ে অভিযুক্ত রনজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নিরব ভূমিকায় থাকার অভিযোগ করেন। যদিও ঘটনার তিন দিন পর সাতক্ষীরা জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নুরুজ্জামান এঘটনা তাদের জানা নেই বলে জানান। অপরদিকে, ঝাউডাঙ্গায় দেশি মদের দোকানের দুই মালিকের মধ্যে একজনের সাথে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তাদের গভীর সখ্যতা ও মাসিক চুক্তিতে মোটা অংকের আর্থ নেয়ায় প্রতিনিয়ত বাজারে এ ধরনের ঘটনা ঘটায় এলাকার পরিবেশ ও যুব সমাজকে রক্ষায় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও এলাকার অবিভাবক মহল অবিলম্বে ইউনিয়ন পর্যায়ের এই মদের দোকান বন্ধ এবং দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ঝাউডাঙ্গায় দেশি মদের দোকান প্রথম পরিচালনা করেন পাথরঘাটা গ্রামের কেষ্টপদ ঘোষ। তার মৃত্যুর পর উত্তরসুরী হিসেবে ছেলেরা দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন। গত চার বছর আগে মৃত কেষ্ট পদ ঘোষের দৌহিত্র অশোক কুমার ঘোষ দোকানের অর্ধেক মালিকানা নিজ ভাই রাধেশ্যাম ঘোষকে দেন এবং কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটি গ্রামের রনজিৎ ঘোষের নিকট বিক্রি করে দেন। গত ২৫ সেপ্টেস্বর ২০২০ রাধ্যেশ্যাম ঘোষের মৃত্যু হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী তার স্ত্রী ববিতা রানী ঘোষ (নোমিনি) হিসেবে অর্ধেক দোকানের মালিকানা পেয়ে দোকান পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি রাধেশ্যাম ঘোষের মৃত্যুর পর জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ৩০ লাখ দিয়ে ম্যানেজ করে অপর দোকান মালিক রনজিৎ ঘোষ প্রকৃত মালিক ববিতা রানীকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নিজের নামে করে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এঘটনার পর আকষ্মিক ১ জানুয়ারি-২০২১ রনজিৎ ঘোষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক বিশেষ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে জানান, ববিতা রানীকে বাদ দিয়ে ঝাউডাঙ্গা দেশি মদের দোকান তার নিজ নামে দোকান পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যার কারণে গত তিনদিন দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জানান।
দোকান মালিক ববিতা রানী ঘোষের দাবি, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে দোকানের অর্ধেক মালিক রনজিৎ উর্ধতন কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে দোকান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত লাইসেন্স নিজের নামে করে নেয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া জোরপূর্বক গত তিনদিন দোকান বন্ধ রাখায় আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তিনি বলেন, চলতি মাসে আমি দোকান পরিচালনা করলেও রনজিৎ ঘোষ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খুলনা সরকারি ডিপো থেকে আমাকে দেশি মদ উত্তোলন করতে দেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে রনজিৎ ঘোষ তার নিজস্ব গোডাউনে রাখা পানি মেশানো মদ তাকে বিক্রি করার জন্য দিচ্ছেন। সেটাই আমি বিক্রি করছি। এসময় তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে আমাকে দোকানের মালিকানা থেকে বাদ দিলে সন্তানদের নিয়ে আমার রাস্তায় বসতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত রনজিৎ ঘোষ জানান, স্যারেরা যে সিদ্ধান্ত দিবে, আমি সেভাবেই দোকান পরিচালনা করবো। এবিষয়ে আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উক্ত দপ্তরের উপ-পরিদর্শক বিজয় কুমার জানান, নতুন স্যার (সহকারি পরিচালক) যোগদান করেছেন। তিনি বিষয়টি শুনে সমাধান করবেন। -

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বিভাগের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি রোগীদের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার। যার ফলে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ, গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা, দ্রুত ওয়ার্ক অডারের দাবী ভুক্তভোগীদের। সরেজমিনে গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘সাতক্ষীরা মেডিকেলে এসেছিলাম অনেক আশা নিয়ে কিন্তু এখানে রোগীদের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয় সামগ্রী না থাকার কারনে প্রতিদিন তাদেরকে ছুটতে হচ্ছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে, গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা’, অনেকে আবার অর্থের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় কান্না ভরা কন্ঠে কেশবপুরের কোহিনুর বেগম জানান, তিনি প্রায় দেড় বছর যাবৎ তার স্বামীকে নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে আছেন , স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা নিঃস্ব প্রায়, এখন অর্থের অভাবে তার স্বামীকে চিকিৎসা করাতে পারছে না , আজ ও তাকে ডায়ালাইজার, ব্লাডলাইন, নিডিল, সিরিঞ্জ বাবদ ২ হাজার টাকার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করতে হয়েছে ।অপর একটি সুত্র জানায়, টেন্ডার হওযার পরও কন্টাক্টরের সাথে কমিশন নিয়ে দরকশাকশির কারণে মাল ক্রয়ে বিলম্ব হচ্ছে।
এ বিষয়ে হিসাব রক্ষক মোত্তাজুল জানান, গত ৩০ নভেম্বর ডায়ালাইসিস বিভাগের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হয়েছে, কিন্তু টেন্ডার পাশ হলেই কার্যক্রম শুরু করা যায় না, টেন্ডার পাশ, মুল্যায়ন ও ওপেনিং করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়, সে সকল কার্যক্রম শেষে ডায়ালাইসিস বিভাগের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য খুব শীঘ্রই মেডিকেল তত্ত্বাবধায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে মেডিকেল অফিসারদের নিয়ে একটি বোর্ড মিটিং হবে, তারপর কন্টাক্টরের এর কাছে হস্তান্তর করা হবে। অপর একটি সুত্র জানায়, টেন্ডার হওযার পরও কন্টাক্টরের সাথে কমিশন নিয়ে দরকশাকশির কারণে মাল ক্রয়ে বিলম্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে মেডিকেল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে অতিশীঘ্রই কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগের টেন্ডারকৃত সকল যন্ত্রপাতির ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে।
-
নাভারন পাঁচ লক্ষ আমেরিকান ডলারসহ আটক ২
শার্শা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা নাভারন এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) ইউএস ডলারসহ হদয় মিয়া (২০)ও আশরাফুল (২৮)নামে ২ জন হুন্ডি ব্যবসায়ী কে আটক করেছে বিজিবি। যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল সেলিম রেজা জানান গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ ১৪৪০ ঘটিকায় যশোর ব্যটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)’র বিশেষ টহল দল নাভারন, উলশী পাঁকা রাস্তার উপর হতে ঢাকাগামী একটি টয়োটা (ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-৭৮০৯) প্রাইভেটকারসহ চোরাচালানী দলকে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত প্রাইভেটকারের দরজায় ও গিয়ার বক্সে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৫০ বান্ডিল প্রতিটিতে ১০ হাজার করে মোট ৫,০০,০০০ ইউএস ডলার আটক করা হয়। যার আনুমানিক সিজারমূল্য ৪,৪০,০৫,৩০০/- (চার কোটি চল্লিশ লক্ষ পাঁচ হাজার তিনশত) টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককারীরা স্বীকার করেছে যে, তারা হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাকারবারীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত রয়েছে। আটককৃত আসামীদের নাম ১। মোঃ হৃদয় মিয়া (২০), পিতা-মোঃ রশিদ বেপারী, গ্রাম-খাগুড়ীয়া, ডাকঘর-বাগানবাড়ী, থানা-মতলব উত্তর, জেলা-চাঁদপুর, ২। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৮), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, গ্রাম-তুলাতুলা, ডাকঘর-পাঁচগাছিয়া, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা। অত্র ব্যাটালিয়নের পক্ষ হতে মাদক, চোরাচালান, হুন্ডি ও স্বর্ণ পাচারের বিরুদ্ধে সীমান্তে সার্বক্ষনিক কঠোর নজরদারী রাখাসহ প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আটককৃত হুন্ডিসহ আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
-

মশ্বিমনগর দাখিল মাদ্রাসায়নাশকতা মামলার আসামীকে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টা
সুপার ও সভাপতির অনিয়ম এবং দূর্নীতির প্রতিবাদে মানবন্ধন- মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যশোরের মণিরামপুরের মশ্বিমনগর দাখিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে হান্নান নামের এক শিবির নেতাকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে রোববার মানববন্ধন করেছে মশ্বিমনগর ইউনিয়নের জনসাধারণ। দাবী করা হয়েছে নোয়ালী গ্রামের ওয়াজেদ ক্বারীর ছেলে শিবির নেতা একাধিক মামলার আসামী হান্নানকে নিয়োগ করা হলে ইউনিয়নবাসী কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না। লিখিতভাবে জানানো হয়, মাদ্রাসার জমি দাতা মৃত বাসতুল্লাহ সরদারের ছেলে এস এম রবিউল ইসলাম চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকারী করে। অভিযোগ রয়েছে, তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার দাবী করে প্রতিষ্ঠান প্রধান, সুপার মাওলানা নজরুল ইসলাম এবং পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শাহরিয়ার খান কাবিল। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শিবির নেতা হান্নানকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিতে চলেছে। এহেন ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান খাঁন, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী সরদার, কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মহাসিন খান, কুটির বিষয়ক সম্পাদক রেশমা বেগম, স্থানীয় আওয়ামলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন, অশোক, সেলিম রেজা, সীতা রানী, অলোক বিশ্বাস, আব্দুল জব্বার, হাসিনা বেগম, সাদিয়া বেগম, কুদ্দুস সরদার, মর্জিনা বিশ্বাস, আনার হোসেনসহ বিভিন্ন পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে সুপার নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই আমার। নিয়োগের বিষয়ে যারা কর্মকর্তা রয়েছেন উনারাই ভালো বলতে পারবেন। -

সাতক্ষীরায় নিখোঁজ নবজাতক শিশুপুত্র সোহানের মরদেহ উদ্ধার, বাবা-মা গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় মায়ের পাশ থেকে চুরি হওয়া ১৫ দিন বয়সের নবজাতক সোহান হোসেনের লাশ তার বাবা-মায়ের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
-দক্ষিনের মশার
নিহত নবজাতক সোহান ও ঘাতক পিতা
শনিবার রাত ১ টার দিকে সদরের হাওয়ালখালী গ্রামে শিশু সোহানের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি হতে তার লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। সাতক্ষীরা পুলিশের কাছে নবজাতকের পিতা সোহাগ হোসেন ও তার মাতা ফাতেমার স্বীকারোক্তিতে এ লাশ উদ্ধার হয়। এঘটনায় নিহত নবজাতকের পিতা সোহাগকে পুলিশ আটক করে। মাতা ফাতেমা অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) ভোর রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামের তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নবজাতক সোহানের খুনি গর্ভধারিনী মাকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে
পুলিশ জানায়, দু’বছর আগে নানির বাড়িতে আশ্রিতা ফাতেমা কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারও স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়ি সদর উপজেলার হাওয়ালখালিতে। গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের একটি পুত্র সন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যেতে হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেভাজন শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, যে
নিহত সোহানের খুনি মা ও বাবা শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট ও নিউমোনিয়া, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন
তিনি জানান, এ সমস্ত কারনে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনের যোগসাজশে শিশু হত্যা এবং মরদেহ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
তিনি আরো জানান, শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন শিশশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে মরদেহটি ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগীতা করে তার মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শনিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানাবেন বলেও জানান তিনি। -

পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের ছেলে নেতৃত্বে চাচা, চাচী ও তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিনিধি : মাপ জরিপের পর জমিতে ভিত করতে গেলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার আপন চাচা, চাচী ও তিন চাচাত ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে বলে জানা গেছে। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে আহাদ আলী (৬৯), তার ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন তোফা (৪৮), মজনুর রহমান (৪৫), মোজাম্মেল হক (৩৫) ও আহাদ আলীর স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫৫)। আহতদের মধ্যে তিনজন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকী দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধ আহাদ আলী জানান, তার ভাই সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিটি এ্যাড. আব্দুল লতিফের বাড়ি সংলগ্ন ভিটায় তিনি সাড়ে ১২ শতক জমি পান। এ নিয়ে কয়েকবার শালিসও হয়েছে। গত শুক্রবার আমিন আব্দুর রাজ্জাক ওই জমি মাপ জরিপ করেন। মাপ জরিপ শেষে উভয়পক্ষ সীমানা মেনে নেন। একপর্যায়ে এ্যাড. আব্দুল লতিফ ওই জমিতে তাকে (আহাদকে) ঘর করার অনুমতি দেন। সে অনুযায়ি তিনি তার ছেলেদের নিয়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে চিহ্নিত জায়গায় ঘরের জন্য ভিত কাটতে থাকেন। খবর পেয়ে এ্যাড. লতিফের ছেলে রাসেলের নেতৃত্বে রমজান আলীর ছেলে আমির আলী, আদম আলীর ছেলে মঞ্জুরুল ও মোমিন আলী, শফিকুলের ছেলে শরিফ হোসেন ও উজ্জ্বল এবং অহেদ আলীর ছেলে জিয়ারুল ইসলামসহ ১০/১২ জন হাতে রাম দা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারিরা তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। স্ত্রী সেলিনা তাদেরকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বাবলুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, আকবর আলী ও আব্দুল মান্নান জানান, ইতিপূর্বে আব্দুল আহাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করায় পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে রাসেলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। তারা আরো জানান, রাসেল পরিকল্পিতভাবে আহাদসহ তার পরিবারের পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ তৈয়েবুর রহমান জানান, ভারী জিনিস দিয়ে আঘাতের ফলে বৃদ্ধ আব্দুল আহাদের দু’টি দাঁত ভেঙে গেছে। এ ছাড়া আহাদ, তোফাজ্জেল ও মজনুর মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো জিনিস দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে এবং সেলিনা ও মোফাজ্জেল এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এ্যাড. আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল জানান, তিনি এলাকার বাইরে থাকাকালিন ঘটনাটি ঘটেছে। হামলার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. লতিফ জানান, তিনি কোর্টে ছিলেন। খবর পেয়ে আহতদের দেখতে সদর হাসপাতালে যান। এ ধরণের হামলার তিনি নিন্দা জানান।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, দক্ষিন কামারবায়সা গ্রামে একটি মারামারির খবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক হানিফ ও ইফতেখারকে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -

দেবহাটার নওয়াপাড়ায় চোরাকারবারী কতৃক পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা, অভিযোগ করে উল্টো মারপিটের শিকার ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা
স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নে এক চোরাকারবারী কতৃক নওয়াপাড়া গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় অভিযোগ করে উল্টো মারপিটের শিকার হয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে বিচারের আসায় নিজেদের শেষ সম্বল টুকু ধরে রাখতে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঐ অসহায় পরিবার। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সমাজের প্রভাবশালী হওয়ায় বীরদর্পনে রয়ে গেছেন।
ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল জলিল গাজী জানান, আমার পিতার ওয়ারেশ সূত্রে নওয়াপাড়া মৌজার এস.এ খতিয়ান-২৭১ ও ২৭২, হাল-১৭৬, এস.এ দাগ নং- ৩৩৭, ৩৩৮ ও ৩৭০, হাল দাগ নং-৮৫৮, ৮৫৯ ও ৮৬০ মোট ১.১৮ একর মধ্যে ৩৯ শতক জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিন্তু চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী তারিখে তফসিলকৃত জমিতে মোহাম্মাদালীর পুত্র বিশিষ্ট চোরাকারবারী আব্দুল মালেক, তার ভাই আব্দুল খালেক, আব্দুল আজিজ সহ কয়েক জন মিলে জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করি। তিনি আমাদের বৈধ কাগজপত্র দেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন। বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ তৎকালিন এসআই দরবেশ ফকিরকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিছুদিন পর এসআই বদলী হয়ে গেলে পুনরায় দখলের চেষ্টা চালায় তারা। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তারা আমাদের জমি থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। আমরা বাধা দিতে গেলে উল্টো তাদের হাতে মারপিটের শিকার হই। বর্তমানে তারা আমাদের মাদক সহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিসপত্র দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরূপায় হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মালেকের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ভাই ঐ জমি কিনেছে তার বেশি বলতে পারব না। তিনি চোরাচালান করেন কি না জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সংযোগটি কেটে দেন।দেবহাটার মাঘরীতে ব্যানার টানানো নিয়ে হামলায় আহত-৪
স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটার মাঘরীতে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়ে আহতবস্থায় হাসপতালে ভর্তি ৪জন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মাঘরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতের স্বজনরা জানান, মাঘরী গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে শফিকুল ইসলাম তাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ব্যানার টানাতে গেলে তার চাচা বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শফিকুলের উপর তার চাচা আব্দুস সালাম ও তার দুই ছেলে সবুজ এবং ইমরোজ, অপর এক চাচা জামাত আলী, তার ছেলে ইমাদুল ইসলাম, তার উপর হামলা চালায়। এসময় শফিকুলের পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এতে আব্দুস সামাদ(৬৮), তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৬৫), ছেলে শফিকুল ইসলাম(২৭), শফিকুলের স্ত্রী আরিফা খাতুন(১৯) আহত হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলার সময় আহত নব বধূর গায়ে থাকা প্রায় এক ভরি স্বর্ণলঙ্কার ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের পক্ষ থেকে দেবহাটা থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানায় ভূক্তভোগীরা। -

আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে এক যুবক (৩০) নিহত হয়েছে। পুলিশের ধারণা নিহত যুবক ডাকাত দলের সদস্য। আজ শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার ইলুমদী আমবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। আড়াইহাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার ভোররাতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার ভাইয়ের মোটরসাইকেলটি ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একদল ডাকাত। এ সময় মোটরসাইকেলটি চালু হচ্ছিল না। পরে তার ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ডাকাতদের ধাওয়া করে। এ সময় একজন ছাড়া অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে একজনকে আটক করে গণপিটুনী দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ইলুমদী আমবাগ এলাকায় ডাকাত দলের সদস্য সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে একজন মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাত দলের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল। ব্যর্থ হয়ে তারা মোটরসাইকেলটি ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওসি আরও জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিচয় সনাক্ত হলে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
-

র্যাব-৬ কর্তৃক ১ কেজি গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিয়মিত মাদক দ্রব্য ও অন্যান্য অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৪ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখ আনুমানিক ১৬.১০ ঘটিকার সময় সিনিঃ এএসপি মোঃ বজলুর রশীদ এর নেতৃত্বে র্যাব-৬, সাতক্ষীরা (সিপিসি-১) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, সাতক্ষীরা জেলার সদর থানাধীন সঙ্গীতা এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া তাহার নির্দেশে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানাধীন সাতক্ষীরা পৌরসভাস্থ সঙ্গীতার মোড়ে ড়ঢ়ঢ়ড় শো-রুমের সামনে ফাঁকা যায়গায় রাস্তার উপর হইতে আসামী ১। মোঃ মোহন গাজী (১৮), পিতা-মোঃ মোকছেদ আলী, সাং-ঘোষপাড়া, থানা ও জেলা- সাতক্ষীরাকে ০১ (এক) কেজি গাঁজা, মোবাইল-০১ টি এবং সিমকার্ড-০২ টি সহ হাতে নাতে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করতঃ মামলা নং-০৯, তাং-০৪/১১/২০২০ইং রুজু করা হয়। -

ফেনসিডিল ও কেজি গাজা সহ জেলায় ২১ আসামী গ্রেফতার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরায় ১৪০ বোতল ফেনসিডিল ও এক কেজি গাজা সহ ২১ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে উক্ত মাদকদ্রব্য ও আসামীদের আটক করা হয়। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের অভিযানে ১৪ বোতল ফেনসিডিল ও ১ কেজি গাজা সহ ৩ আসামী এবং কলারোয়া থানা পুলিশের অভিযানে ১২৬ বোতল ফেনসিডিল সহ এক আসামীকে আটক করা হয়। এছাড়া তালা কলারোয়া থানা পুলিশের অভিযানে এক আসামী, কালিগঞ্জ কলারোয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৩ আসামী, আসামী কলারোয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৫ আসামী, দেবহাটা কলারোয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪ আসামী ও পাটকেলঘাটা কলারোয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪ জন আসামীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। -

শ্যামনগরে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ
মশাল ডেক্স: শ্যামনগর উপজেলা সদরে শতবর্ষী ঐতিহাসিক নকিপুর সরকারি এইচ.সি (হরিচরণ) পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফটক সংলগ্ন স্থানে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ড. মুহাঃ আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে। অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ চেয়ে ভূক্তভোগী মোঃ রহমত আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ.এন.ও) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে রহমত আলী বলেন, ইং- ২০১০-১১ সালে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত মতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিজ নামে দোকান ঘর বরাদ্দ গ্রহণ করি। পরবর্তীতে দোকান ঘরের ভীত নির্মাণ করি। হঠাৎ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ড. মুহাঃ আব্দুল মান্নান প্রভাব খাটিয়ে আমার নির্মাণকৃত ভীতের উপরে দোকানঘ র নির্মাণ করিতেছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে প্রভাব খাটিয়ে অন্যের নির্মাণকৃত দোকানঘরের ভীতের উপরে জোর পূর্বক দোকানঘর নির্মাণ করার বিষয়টি স্থানীয় সূধী সমাজের মধ্যে বিরুপ আলোচনা চলছে। তাছাড়া জায়গাটি স্কুলের ভোগ দখলীয়। ওই জায়গায় দোকানঘর তৈরী হলে স্কুল প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য্য নষ্ট হবে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ড. মুহা আব্দুল মান্নান বলেন, আমি জেলা পরিষদ হতে ডি.সি.আর নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করিতেছি। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, দোকানঘরের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। -

সাতক্ষীরায় টিসিবির পণ্য আত্মসাৎ, ডিলার সিরাজুল গ্রেফতার
By SK Ferdous On নভে ৪, ২০২০ 0৩৭1313
জহুরুল কবীর:
সাতক্ষীরায় টিসিবির পন্য সাধারন মানুষের মাঝে যা দেয়ার কথা তা না দিয়ে আত্মসাৎ করে বাজারে উচ্চ মুল্যে বিক্রির অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডিলার সিরাজুল ইসলামকে আটক করেছে। বুধবার সকালে শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পন্য দেয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দিন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে টিসিবি পন্য নিয়ে নয় ছয়ের অভিযোগ বহুদিনের। শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তীর্থের কাকের মত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে মধ্যবিত্ত মানুষ পন্য ক্রয়ের জন্য। অথচ পণ্য ক্রয় না করতে পরে অবশেষে ফিরে যায় খালি হাতে। অল্প কিছু লোককে মালামাল দিয়েই শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়ে দেন ডিলার।
এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে টিসিবি ডিলার আয়ুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সিরাজুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। সাধারণ মানুষের মাঝে যে পরিমান টিসিবি পন্য বিক্রির কথা তিনি তা না দিয়ে তার প্রায় অর্ধকের বেশী আত্মসাৎ করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাজারে উচ্চ মুল্য বিক্রি করে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভুগীরা।
পণ্যের বরাদ্দ পত্র অনুযায়ী বুধবার তালিকায় চিনির পরিমান ৩০০ কেজি থাকার কথা থাকলেও স্পটে গিয়ে দেখা যায় রয়েছে মাত্র ১৯৪ কেজি, যা পরিমান ১০৬ কেজি কম। একই ভাবে মসুরের ডাল ৭০০ কেজি থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২০২ কেজি, যা পরিমান ৪৯৮ কেজি কম। পেঁয়াজ ৭০০ কেজি থাকার কথা থাকলে রয়েছে মাত্র ৪১৩ কেজি, যা পরিমান কম ২৮৭ কেজি। সোয়াবিন তেল ৮০০ লিটার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৭৪০ লিটার, যা পরিমান কম রয়েছে ৬০ লিটার।
অভিযুক্ত ডিলার সিরাজুল ইসলাম জানান, মালামাল নিয়ে আসার পথে জেলা নাজির ও সিটি কলেজের মোড়ে কিছু লোকজনের মালামাল দিয়ে এসেছি যার ফলে নির্ধারিত মালামাল থেকে কিছু কম দেখাচ্ছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দিন জানান, অনেক দিন থকই খবর পাচ্ছিলাম জনগনর কাছ বিক্রির জন্য নির্ধারিত পরিমান পেঁয়াজ, চিনি, তেলসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসার কথা থাকলেও কম পরিমান মালামাল এনে অর্ধকের বেশী জনগনকে খালি হাতে ফেরত দিচ্ছিলো টিসিবি ডিলার আয়ুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সিরাজুল ইসলাম।
সেই খবরের ভিত্তিতে বুধবার সকালে পুলিশ স্পটে অবস্থান নেয় এবং প্রথম কি পরিমান মালামাল থাকার কথা সেই তালিকা নেন এবং আছে কি পরিমান তা চেক করে ডিলারের বিশাল কারসাজি ধরে ফেলেন তিনি। এটি সরাসরি জনগন ও রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা। রাষ্ট্র ও জনগনের সাথে এই প্রতারণার জন্য এ ডিলারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থ্য গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি আরো জানান।
-

খুলনা সিটি মেয়রের গাড়ির সঙ্গে করিমনের সংঘর্ষ
মশাল ডেস্ক: খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেককে বহনকারী পাজেরো গাড়ির সঙ্গে করিমনের (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার বাহন) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সুকদাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষের সময় সিটি মেয়র গাড়িতে ছিলেন।বাগেরহাটের রামপালে একটি উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে তিনি খুলনা থেকে ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। দূর্ঘটনায় গাড়ির পেছনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও মেয়র বা অন্য কেউ আহত হননি। এ ঘটনায় করিমনের চালক পালিয়ে গেছেন। তবে ঘাতক করিমনটিকে জব্দ করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সুকদাড়া এলাকায় সিটি মেয়রের গাড়ির সামনে হঠাৎ একটি করিমন এসে থামে। এসময় মেয়রের গাড়িটির চালক গাড়ির গতি কমালে পেছন থেকে আরেকটি করিমন এসে ধাক্কা দেয়।এতে গাড়ির পেছনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে গাড়িতে থাকা মেয়রসহ চারজনের কেউই আহত হননি।
কাটাখালি হাইওয়ে থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় সিটি মেয়রের গাড়িটির পেছনের গ্লাস ভেঙে গেছে। বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক করিমনের চালক পালিয়ে গেছেন। তবে করিমনটিকে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের গাড়ি সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। আড়ংঘাটা বাইপাস সড়কের মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মেয়রকে বহনকারী গাড়িটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাইভেটকারটির সামনের অংশের বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। -

কলারোয়ায় ২ আসামি গ্রেপ্তার
কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ১ ব্যক্তি এবং ওয়ারেন্টভুক্ত ১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। থানা সূত্র জানায়, সোমবার থানার এসআই হামিদুল ইসলাম এবং এএসআই নুরুজ্জামান, কামাল হোসেন ও রকিবুল হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী মদনপুর গ্রামের নিছার আলি মোল্যার ছেলে রাসেল মোল্যার বসত বাড়ি থেকে ৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ১শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। এসময় রাসেল মোল্যাকে(৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে, উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত ১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত মোছাব্দি মোড়লের ছেলে মো: হারুন।
