আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির বুধহাটায় জমি কেন্দ্রিক বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রভাষক ফিরোজ আলমসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ ঘটনায় আহতর বড় ভাই ফারুক আহম্মেদ থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে ও মৌখিকভাবে জানান, তিনি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই চাকুরী সূত্রে উপজেলার বুধহাটা বাজার সংলগ্ন এক খন্ড জমি ক্রয় করে বসতঘর বেধে দীর্ঘদিন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। ওই জমি লাগোয়া জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে আছেন বুধহাটা গ্রামের মৃত. মাধব আঢ্যর পুত্র তুলসী কুমার আঢ্য। জমির সিমানা নির্ধারণ কেন্দ্রি উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসে মিমাংশা না হওয়ায় সর্বশেষ উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক শালিসের মাধ্যমে মাপ জরিপঅন্তে সিমানা নির্ধারণ করে দেন। সে মোতাবেক ব্যাংকার ফারুক আহম্মেদ বৃহস্পতিবার বাড়ীর সিমানার ঘেরা বেড়া সংস্কার করছিলেন। এ সময় তুলসি আঢ্য, তার পুত্র হিরণ কুমার আঢ্য ও অপর পুত্র কিরণ আঢ্য দা, শাবল ও লাঠি সোটা নিয়ে তাদের পক্ষীয় আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে সাথে নিয়ে ফারুক আহম্মেদের বাড়ী ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এসময় ফারুকসহ অপর সহোদর আশাশুনি সরকারি কলেজের প্রভাষক ফিরোজ আলম ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিজিপি সদস্য ফাইজুল মৌখিকভাবে প্রতিবাদ বা চুপ থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে তুলসি আঢ্য, তার দু’পুত্র হিরণ আঢ্য ও কিরণ আঢ্যসহ ৭/৮ জন আচকা চড়াও হয়ে হামলা চালিয়ে প্রথমে ফিরোজ আলমের রক্তাক্ত জখম করে। ঠেকাতে গেলে ফারুক, স্ত্রী শিক্ষিকা সাবিনা ইসলাম ও সহোদর ফাইজুলকেও মারপিট করে আহত কওে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ফিরোজ আলমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারুক, সাবিনা ও ফাইজুল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরে গেছে। এ ব্যাপারে ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখপূর্বক এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে আশাশুনি থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। অপরদিকে, তুলসি আঢ্যও একটি পাল্টা এজাহার দাখিল করেছেন বলে জানগেছে।
সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দীনকে জীবননাশের হুমকি
নিজস্ব প্রতিনিধি: পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও নিউজ সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করায় আশাশুনিতে সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দীনকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ০৬.৩৪ মিনিটে ০১৭১৭৭৭১৪৫৯ নাম্বার থেকে ধান্যহাটি গ্রামের আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম এ জীবননাশের হুমকি ও গালিগালাজ করেন। সাপ্তাহিক জনতার মিছিল, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দক্ষিণের মশাল ও যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার আশাশুনি প্রতিনিধি এবং আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রচার সম্পাদক বি এম আলাউদ্দীনকে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাসের কমেন্ট এর সত্যতা প্রকাশ করায় তাকে এ হুমকি প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ৮ ই ডিসেম্বর শনিবার সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় “আশাশুনিতে সুদের চক্রবৃদ্ধির চক্রে নিঃস্ব হয়েছে কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখান থেকেই সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দিনসহ অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ানো সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসে সুদে কারবারী পরিবারের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সাংবাদিক বিএম আলাউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি দেয় আলোচিত রশিদ সরকারের স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার পুত্র। সংবাদিক বিএম আলাউদ্দীনের জীবনের নিরাপত্তা ও অসহায় পরিবার গুলোকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন
Category: অপরাধ
-

বুধহাটায় জমি কেন্দ্রিক বিরোধে ৪ জন আহত
-

অভিজিৎ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
- নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তমনা ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান। এছাড়া আসামি শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক। বাকি চারজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান। মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।
-

আশাশুনিতে পুলিশী অভিযানে আটক-২
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি থানা পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত ২ আসামীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থানার পুলিশ ওয়ারেন্ট মূলে (সাজাপ্রাপ্ত) উপজেলার আনুলিয়া গ্রামের সুলতান শেখ এর ছেলে কামরুল শেখ ও ওয়ারেন্ট মূলে গকুল নগর গ্রামের রজব আলী মোড়ল এর ছেলে বাচ্চু মোড়লকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করেন। আটককৃত আসামীদ্বয়কে বিচারার্থে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
-

সাতক্ষীরার রাজারবাগান এলাকায় সাবেক সেনাসদস্যের বাড়িতে প্রকাশ্যে হামলা, ভাংচুর, নির্যাতিতা গ্রেফতার
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকায় সাবেক সেনাসদস্য রবিউল হাসানের বাড়িতে প্রকাশ্যে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুসের পরিবারের লোকজন ও তার সমর্থক ছাড়াও বেশ কয়েকজন বহিরাগতকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মধ্যে ঢুকে এই হামলা চালানো হয়।
সাবেক সেনাসদস্য রবিউল হাসান জানান, হামলাকারীরা তার ঘরের টিনের চাল উল্টে ফেলে। ভেতর থেকে ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র টেনেহিচড়ে ফেলে দেয় এবং তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন ও দুই মেয়েকে মারধর করে। তারা তাসলিমা খাতুনকে বাড়ির মধ্য থেকে চুলের মুঠো ধরে টেনেহিচড়ে বাইরে আনে এবং তার পরনের কাপড়চোপড় ছিড়ে ফেলে। এসময় তাসলিমা খাতুন ও তার দুই মেয়ে আহত হন। পরিবারের পক্ষ থেকে তারা বাধা সৃষ্টি করলেই এসব ঘটনা ঘটে। সাবেক এই সেনা সদস্য আরও জানান, প্রতিবেশীরা ছুটে এলে এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আসার পরপরই হামলাকারীরা চলে যায়। তার বাড়িঘর. আসবাবপত্র ভাংচুর করে অনেক টাকা ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এসময় তিনি ও তার ছেলে বাড়িতে না থাকার সুযোগে হামলাকারীরা আরও বেশী করে শাসিয়ে গেছে।
এদিকে, পুলিশ সেনাসদস্য রবিউল হাসানের স্ত্রী তাসলিমাকে উল্টো থানায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে বসিয়ে একটি মামলা করে বিকালে তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, গৃহবধূ তাসলিমা বটি হাতে নিয়ে বাড়ির বাইরে আসে। ভিডিও ফুটেজে সেটা ধরা পড়েছে। এসময় দুইজন নারী আহত হন বলে জানান তিনি। তবে রবিউল হাসান জানান, বাড়িতে হামলার পর আত্মরক্ষার জন্য তার স্ত্রীসহ অন্যরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এসময় তাদেরকে টেনেহিচড়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকালে তিনি থানায় একটি মামলা জমা দিয়েছেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা রেকর্ড হয়নি বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট রবিউল হাসান আরও জানান, আব্দুল কুদ্দুস এবং তিনি পাশাপাশি বসবাস করেন। বছর কয়েক আগে আব্দুল কুদ্দুস একটি বহুতল ভবন নির্মান করে মেয়েদের ছাত্রীনিবাস করেছেন। এই ছাত্রীনিবাস থেকে দিনে দুপুরে ও রাতে জানালা দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যবর্জ্য, থুতু কাশি, মাথার চুল, পেপসি বোতলসহ নানা অপদ্রব্য বাড়ির মধ্যে ফেলে থাকে। এ নিয়ে বারবার ঝগড়াঝাটি হয়েছে। প্রতিবাদ করার পরও ছাত্রীনিবাস থেকে তা বন্ধ করা হয়নি। বরং আব্দুল কুদ্দুসের উস্কানিতে তারা এ কাজ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাতে জানালা খুলে রেখে উচ্চস্বরে গানবাজনা করিয়ে ছাত্রীনিবাসের সদস্যরা প্রতিবেশীদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রবিউল হাসান আরও জানান, তিনি বারবার এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এসে তদন্ত করে প্রতিপক্ষের পক্ষেই কথা বলে গেছেন এবং তাকে জানিয়েছেন, আপনিও একটি বহুতল ভবন তৈরী করুন। তার অভিযোগ, পুলিশ এ সংক্রান্ত আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার এই ঘটনাগুলো ঘটে। তিনি এর প্রতিকার দাবি করেছেন। -

মানবতাবিরোধী অপরাধ
৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছর জেল
মানবতাবিরোধী অপরাধ

- মশাল ডেস্ক:
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৩ জনের যাবজ্জীবন এবং পাঁচজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৪২টি মামলার ১১৪ জন আসামির মধ্যে এই প্রথম আব্দুল লতিফ নামে একজন বেকসুর খালাস পেলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এ এফ এম ফয়জুল্লাহ (পলাতক), আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে (পলাতক)।
২০ বছর করে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান (পলাতক) ও সিরাজুল ইসলাম তোতাকে।
আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় চারজনকে হত্যা ও ৯ জনকে আটক এবং নির্যাতনের চারটি অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ তাদের বিচার শুরু হয়। বিচারকাজ শেষ হয় গত বছরের ২৬ জানুয়ারি। আসামির মধ্যে ৪ জন পলাতক রয়েছেন। ৫ জনকে হাজির করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।
তবে রায়ের দিন সকালে এসে পলাতক এক আসামি আলিমুদ্দিন খান ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রায় ঘোষণা শেষ হলে সে আসল আসামি কিনা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হলে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রসিকিউনে জমা হয়েছে। তদন্তে ৬০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলেও ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। এছাড়া জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন আরও দুজন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) মোট ১৮ জন সাক্ষী দেন আদালতে।
অভিযোগ গঠনের পর ২০১৮ সালের ১০ মে থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) মোট ১৮ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্কের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্যে সিএভি অপেক্ষমান রাখেন।
-

ডুমুরিয়ায় লোকালয়ে ২টি স্কুলের পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইট ভাটা, হচ্ছে পরিবেশ দূষণ, যেন দেখার কেউ নেই!
শেখ আব্দুল মজিদ, চুকনগর, খুলনা :
ডুমুরিয়ার লোকালয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে মিনি ইট ভাটা। দেদারসে পুড়ছে কাঠ, আর কালো ধোঁয়ায় দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। যেন বিষয়টি দেখার কেউ নেই! স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের চেঁচুড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চেঁচুড়ি বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় দু’টি স্কুল ঘেষে পাড়া-মহল্লার ভিতরে গড়ে উঠেছে এ সকল অবৈধ ইটভাটা। অধিক মুনফা লাভের আশায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ভাটার মালিক তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কোন দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই নিময়-নীতি উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছেন, ওই সকল ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ। কয়লা ব্যতিরেকে পোড়ানো হচ্ছে নারকেল ও খেজুর গাছের কাঠের গুড়ে। এর ফলে কাঠের কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। অপরদিকে ফলদ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রয়েছে চরম হুমকির মুখে। অন্য দিকে উজাড় করা হচ্ছে বনজ সম্পদ। ফলে মৌসুমী নারকেল ও খেজুর রসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সরজমিনে দেখা গেছে চেঁচুড়ি গ্রামের একটি মহাল্লার মধ্যে দুটি স্কুল ঘেষে অন্তত ২০ টির অধিক ইট ভাটা গড়ে উঠেছে। চেঁচুড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চেঁচুড়ি বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ ঘেষে মাত্র ২শ’ গজের ভিতরে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা গুলো। এছাড়া অতিরিক্ত লোডবাহি কাঠ ও ইট বহনের ফলে গ্রাম্য রাস্তার ধসে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন, দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ স্থানীয়রা। আবার কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় কোমল মতি শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা গেছে, অসিম পাল, মোহন পাল, বাসুদেব পাল, মহাদেব পাল, সন্তোষ পাল, পঙ্কজ পাল, নকুল পাল, মিলন পাল, শুভাংকর পাল, ললিত পাল, সুবোল পাল, ভোলা পাল, অসীম পাল, শেখর পাল, লক্ষণ পাল, অমল পাল, ভাস্কর পাল, পরেশ পাল, সাধন পাল, বিষ্ণু পাল, যশোধর পাল, গৌতম পালসহ ২০ টির অধিক ভাটা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ভাটা মালিক অসিম পালসহ একাধিক মালিক এ প্রতিবেদকে জানান, সরকারি কোন দপ্তরের অনুমতি ছাড়ায় স্থানীয় মন্টু পালকে ম্যানেজ করে তারা ভাটার সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন সমস্যা দেখা তিনি দেখভাল করে থাকেন। এ প্রসংগে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নিয়ম নীতি অমান্য করে অবৈধ ভাবে পরিচালিত সকল ইটভাটার বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-

শ্যামনগর উপজেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে চলছে কোম্পানির বিরামহীন বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি: তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপণ বন্ধে, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষে শ্যামনগর এর বিভিন্ন হাটে-বাজারে তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের বিরুদ্ধে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর বিকাশ চন্দ্র সরকার এর নেতৃত্বে নকিপুর বাজার ও শ্যামনগর বাস স্টান্ডে গত ৮/০২/২০২১ তারিখে মোবইল কোট পরিচালনা করা হয় এবং সমস্ত অবৈধ বিজ্ঞাপন অধিকতর জনসমাগম স্থলে পুড়িয়ে ধংস করা হয় ।
উক্ত মোবাইল কোটটি দি -ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সার্বিক সহযোগিতায় বড়কুপট গনচেতনা ফাউন্ডেশন এর বাস্তবায়নে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এনজিও বড়কুপট গনচেতনা ফাউন্ডেশন এর পরিচালক জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ( নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সম্পুর্ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাজার ও স্টান্ডে মুদিখানা এবং চায়ের দোকানে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। যা জনকল্যাণে প্রনীত ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন এর ৫ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন । কিন্তু উপজেলার সব বাজারে বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যের দোকানগুলোতে এই অবৈধ বিজ্ঞাপনে সয়লাব হয়ে গেছে এভাবে চলতে থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধূমপান- মুক্ত ঘোষণা করা প্রধানমন্ত্রীর লালিত সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন কারা সম্ভব হবে না
-

সিরিজ বোমা হামলা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ: রায় আজ
নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা শহরের ৬টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) এর বিচারক মোঃ শরিফুল ইসলামের আদালতে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আদালত তা রেকর্ড করেন। আজ এ মামলার রায় প্রদান করা হবে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়। এসময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন ৬টি মামলার আসামী মনিরুজ্জামান মুন্না, বিল্লাল হোসেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিটন, শামীম হোসেন গালিব, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আনিসুর রহমান খোকন ও মিন্টু সহ সকল জামিনপ্রাপ্ত এবং জেলহাজতে আটক আসামী।
রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন জজ আদালতের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ। তাকে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. আব্দুস সামাদ। এসময় তারা বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমান এবং আলামত জব্দের মধ্য দিয়ে প্রমানিত হয় এ মামলার সকলেই দোষী। তিনি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন।
অপরদিকে আসামীপক্ষে ছিলেন এ্যাড. জিএম আবুবকর সিদ্দীক। তিনি আইনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে ৩,৪,৬ ধারা প্রযোজ্য নয়। ন্যায়বিচার হলে সকল আসামী খালাস পাবে। আজ বুধবার এ মামলার রায় ঘোষনার কথা রয়েছে। -

মণিরামপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, বিচার দাবিতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
সংবাদদাতা: কলারোয়া উপজেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা মণিরামপুরে মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী সন্দেহে বোরহান কবির (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। এর আগে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার খালিয়া এলাকায় পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় বোরহানকে। বোরহান হত্যাকা-ের ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে প্রথমে পৌর শহরের রাজাগঞ্জ মোড়ে ও পরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে বোরহানের সহপাঠী সহ এলাকাবাসীরা। এসময় ইউএনও বরাবর স্বারকলিপি জমা দেয় তারা।এর আগে গতকাল বিকালে মারপিটের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে মণিরামপুর থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। প্রায় ১ঘন্টা থানার সামনে অবস্থান করার পর মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল রাহমানের আশ্বাসে থানা চত্বর ত্যাগ করে তারা। নিহত বোরহান মণিরামপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
-

কলারোয়ায় যুগল হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বামী ও দেবরসহ দুই জন আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ায় যুগল হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী ও দেবরসহ দুই জনকে আটক করেছে। সোমবার দুপুরে কলারোয়া পৗর সদরের শ্রীপতিপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক হয়। এ সময় জ¦দ করা হয় এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রডসহ আলামত৷
আটককৃতরা হলেন, নিহত ফাতেমা বেগমের স্বামী বাক প্রতিবন্ধী শেখ আহসান ওরফে হাসান ও তার আপন ছোট ভাই শেখ আসাদ৷
পুলিশ জানায়, নিহত ফাতেমা বেগমের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্কে ছিল শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকার জয়নাল পাড়ের ছেলে নিহত করিম পাড়ের সাথে৷ এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশকিছু দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। একপর্যায়ে রবিবার রাতে নিহত ফাতেমার শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত এক কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দুজনকে দেখেন তার স্বামী৷ এরপর ফাতেমার বাক প্রতিবন্ধী স্বামী আহসান তার ছোট ভাই আসাদের সহযোগিতায় তাদের দুজনকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে৷ পরে নিহত ফাতেমার গায়ে ব্যবহৃত কালো রঙের ওড়না ও গামছা দিয়ে গলায় বেঁধে প্রেমিক যুগলকে আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিয়ে আতœহত্যার নাটক সাজায়৷
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহত করিমপাড়ের বাবা জয়নাল পাড় বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলার উক্ত দুই প্রধান আসামিকে আটক করা হয়৷ তিনি আেেরা জানান, আটককৃতদের এই হত্যা মামলায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে৷ -

কলারোয়ায় প্রেমিক প্রেমিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রমে আমগাছের ডালে ঝুলে আতœহত্যা করেছেন প্রেমিক প্রেমিকা। রবিবার ভোর রাতে তারা আতœহত্যা করেন। পরকিয়া প্রেমঘটিত বিষয়ে এই আতœহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তবে পুলিশ বলছে, এখনই বলা সম্ভব নয় এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যার ঘটনা এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
মারা যাওয়া গৃহবধু ফাতেমা বেগম (৪০) উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ হাসানের স্ত্রী ও যুবক করিম পাড় (৩০) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট দক্ষিণপাড়ার জয়নাল পাড়ের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সকালে শেখ আব্দুল হাই ফোন করে জানায় তার বাড়িতে দুইজন আতœহত্যা করেছে। থানা পুলিশে খবর দেয়ার জন্য তাকে বলা হয়। মারা গেছে শেখ আব্দুল হাইয়ের পুত্রবধু ও অপর এক যুবক। আব্দুল হাইয়ের ছেলে শেখ হাসান মানুসিক ভারসমস্যহীন। প্রেমঘটিত কারনে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে সকলেই ধারণা করছেন। তবে এ ঘটনায় শেখ আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি থানায় জানানোর পর মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। একটি আমগাছে ডালে একই রশ্নিতে দুই পাশে ঝুঁলছিল দুই মরদেহ। কি কারণে তারা আতœহত্যা করেছে সেটির কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যুবকের শরীরে আমরা কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি তবে গৃহবধুর মুখে ও গলায় আচড়ের দাগ রয়েছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানা যাবে। -

সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে নলকূপ বসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামে মোঃ জুলফিকার আলী (জুলু) কর্তৃক উচ্চ আদালতের আদেশ ও সরকারি নীতিমালা অমান্য করে একই স্থানে আরো একটি গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি সরবাহের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত খোদ বক্সের ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার অনুমোদিত বিআরডিবি’র মাধ্যমে ১৯৮৯ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা মৌজার ১৭০ নং খতিয়ানের ৬৮৫ দাগে ৬ শতক জমিতে একটি গভীর নলকূপ বসাই। সেই থেকে এই নলকূপের মাধ্যমে আশেপাশের প্রায় ৩৩ একর জমিতে স্থনায় কৃষকের ইরি ব্লাকে পানি সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাথন্ডা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে মোঃ জুলফিকার আলী (জুলু) ও মৃত সামছুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম গত ৬/০৭/২০ তারিখে একই এলাকায় আমাদের নকূপ থেকে আনুমানিক ১৫০ মিটারের মধ্যে আরো একটি গভীর নলকূপ বসানো শুরু করে। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একটি গভীর নলকূপ এর ৮০০ মিটারের মধ্যে আর কোন গভীর নলকূপ বসবে না। এছাড়া সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন গভীর নলকূপ বসানো যাবে না। এঘটনায় আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সভাপতি উপজেলা সেচ কমিটি, বিএডিসি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, আমার অভিযোগে প্রেক্ষিতে ৭/০৭/২০ তারিখ সকাল ১০ টায় বিএডিসি’র পক্ষ থেকে সরেজমিনে তদন্তে এসে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় জুলফিকার গংদের নকূপ স্থাপন বন্ধ রাখার জন্য বলা হয় এবং লাল ফ্লাগ স্থাপান করা হয়। এছাড়া ৯/০৭/২০ তারিখে বিএডিসি’র সহকারি প্রকৌশলী মোঃ হাফিজ ফারুক তার তদন্ত প্রতিবেদনে নীতিমালা অনুযায়ী সিরাজুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হয়েছে এবং জুলফিকার আলীর গভীর নলকূপ স্থপানের কাজ সরকারি নীতিমালা পরিপন্থি হওয়ায় আপতত স্থগিত রাখা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে জুলফিকার আলী লাল ফ্লাগ তুলে ফেলে কাজ শুরু করে। আমরা নিষেধ করলে লাঠিসোটা নিয়ে আমাদেরকে মারপিট করতে আসে। পরে আমরা উচ্চ আদালতে গেলে আদালত ইনজাকশন জারি করেন। এঘটনায় জুলু গংরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমাদেরকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করাসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এঘটনায় আমরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করি। পরে এডিএম কোর্টে ১৮৫ ধারায় মামলা করি। কিন্তু এসবর পরও জুলফিকার আলী গংরা উচ্চ আদালতের আদেশ ও সরকারি নীতিমালা অমান্য করে একই স্থানে গভীর নলকূপ স্থপানের কাজ অব্যহত রাখার চেষ্টা করছে। একই সাথে জুলফিকার আমাদের গভীর নলকূপের মেশিন চালাাতে বাধা দিচ্ছে এবং তার মেশিন চালানোর পায়তারা করছে। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য ও সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে জুলফিকার আলী গংরা যাতে কাথন্ডা মৌজায় একই স্থানে কোন গভীর নলকূপ চালু করতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

ট্রাক্টরের দখলে কলারোয়ার রাস্তা: অতিষ্ঠ জনজীবন
কলারোয়া প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের দখলে কলারোয়া উপজেলার সকল রাস্তা। ট্রাক্টরের দৌরাত্বে প্রতিনিয়ত নস্ট হচ্ছে কাঁচা পাকা রাস্তা। এছাড়াও এ সকল ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গ্রামীণ সড়কের চলাচলকারী জনসাধারণ অবৈধ ট্রাক্টরের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে অবাধে ধাবিয়ে বেড়োচ্ছে নিষিদ্ধ যন্ত্রদানব ট্রাক্টর। চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টর এখন অবৈধ ট্রাক বা পরিবহন হয়ে গ্রামীণ জনপদে সর্বনাশ ঘটাতে শুরু করেছে। বিরামহীন চলাচলে শব্দ দুষণেও আশপাশের গ্রামের মানুষ, রাস্তায় চলাচলকারী জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এসব অবৈধ যন্ত্রদানবের প্রতি নজর নেই কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের। জানা যায়, উপজেলার সবকয়টি ইট ভাটার ইট ও মাটি পরিবহনের কাজেই মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে এসকল ট্রাক্টর। এসকল ট্রাক্টরের নেই কোন বৈধ রোডপার্মিট। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় ১৫ থেকে ২০ বছরের শিশু-কিশোররাও এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাবার সুযোগ পাচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তাঘাট ধ্বংস করছেন গুটিকয়েক ইটভাটার মালিক। তারা স্বল্পমূল্যে ফসলি জমির মাটি কিনে ভাটায় পরিবহনের ফলে বিলীন হচ্ছে রাস্তাঘাট এবং ট্রাক্টরের চাকায় প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে গ্রামের সদ্য নির্মিত কাঁচা, আধা পাকা-পাকা সড়কগুলো। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অবৈধ যন্ত্রদানবের প্রতি স্থানীয় প্রশাসন উদাসিন। এলাকার প্রভাবশালীদের খুঁটির জোরে এসকল ট্রাক্টর চলছে বহাল তবিয়তে। সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচল গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। কৃষি জমির উর্বর টপসয়েল কেটে ইটভাটার সরবরাহ এবং পুকুর-দীঘিনালা ভরাট চলছে। ট্রাক্টরের অত্যাচারের মুখে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোড পারমিশন বিহীন ট্রাক্টর ও লাইসেন্স বিহীন চালকের কারণে দোকার পাট, রাস্তা-ঘাটে চলাচলকারী মানুষ সার্বক্ষনিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে চলাচল করছে। বিকট শব্দে মাটি বোঝাই নিয়ে সাদা পাউডারের মত ধুলো উড়িয়ে ধাবিয়ে চলছে এরা। এভাবেই কলারোয়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের পাড়া মহল্লার সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তা সহ উপজেলার প্রত্যেক সংযুক্ত সড়ক গুলোতেই দিনরাত চষে বেড়াচ্ছে অর্ধ শতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর। পথচারী তুলসীডাঙ্গা গ্রামের কাজল কুমার ও লক্ষণ বিশ^াস জানান, এ গাড়ি চলাচলের সময় আশপাশ এলাকায় কুয়াশার মতো ট্রাক্টরের সৃষ্ঠ ধুলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আর ধুলোর মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করায় সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগ আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষেরা। অতি দ্রুত মানুষের জীবন অতিষ্ঠকারী এসব যন্ত্রদানব প্রতিরোধ করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তবে এলাকাবাসীরা সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে ট্রাক্টর বন্ধের দাবি করে বলেন, আমরা বুঝতে পারি না, ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের কাজটি কেন এতো কঠিন। ট্রাক্টর চলাচলে যাদের স্বার্থরক্ষাহয়, তারা কি অকাল ও অস্বাভাবিক মৃত্যুরোধে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ আদালত নিজের বিবেকের রায়ে স্বার্থ জলাঞ্জলির কথা মোটেও ভাবতে পারবে না? এ বিষয়ে কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন বলেন, এসব টলি ট্রাক্টর রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি করে। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী জেরিন কান্তা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি নিষিদ্ধ ট্রাক্টর বন্ধের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোপূর্বে উপজেলায় কয়কেটি ভাটা মালিককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে। এনিয়ে নিয়মিত অভিযান চলবে। উপজেলায় খুব দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।
-

আশাশুনিতে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি থেকে ১’শ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব। শনিবার ভোরে উপজেলার বড়দল বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, বড়দল গ্রামের লতিফ শেখের ছেলে রেজাউল শেখ (৩৮) ও ফকরাবাদ গ্রামের আব্দুল মান্নান বিশ^াসের ছেলে রেজাউল বিশ^াস (৪৪)।
র্যাব জানায়, আশাশুনি উপজেলার বড়দল বাজার এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ ভাবে মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এ.এস.পি বজলুর রশীদের নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় মেসার্স মায়ের দোয়া সু ষ্টোরের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে উক্ত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ১’শ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় একটি এনড্রয়েট মোবাইল ও দুটি সিমকার্ড।
র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এ.এস.পি বজলুর রশীদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আশাশুন থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। -

কালিগঞ্জে অজ্ঞান করে পরিবারের স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা
কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে গভীর রাতে চেতনানাশক ঔষধ ছিটিয়ে পরিবারের সকলকে অচেতন করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার মূল্যবান জিনিজপত্র নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাড়াশিলা ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামে। দূর্বৃত্তদের ছিটানো চেতনানাশক স্প্রের কারণে মারাত্মক অসুস্থ্য হয়েছেন পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের সুরত আলী মোড়ল এর পুত্র সালাহ উদ্দীন মোড়ল (৫২), তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৪০), কন্যা হানিফা খাতুন (১৪) ও তাকিয়া সুলতানা (১২)। হাসপাতাল ও স্থানীয়দের সুত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে সালাহ উদ্দীন তার স্ত্রী ও দু’ কন্যা রাতের খানা খেয়ে নিজ নিজ রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) ছোট মেয়ে তাকিয়া সুলতানার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে পিতা, মাতা ও বোনকে ডেকে সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি দ্রুত প্রতিবেশীদেরকে অবহিত করে। তারা যেয়ে বাড়ির গ্রীলের দরজার তালা ও গ্রীল কাটা অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সংবাদকর্মী এ প্রতিনিধিকে জানান, ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো ছিল। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নগদ ৭৩ হাজার টাকা , প্রায় ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কারসহ চার ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এ প্রতিনিধিকে জানান, হানিফা ও তাকিয়া অনেকটা শঙ্কামুক্ত, তবে সালাহ উদ্দীন ও তার স্ত্রী খাদিজা খাতুনের অবস্থার কথা পরীক্ষা না করে বলা যাবে না। কালিগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন বলেন, এ ব্যাপারে এখনও থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
-

প্রাইভেটকার ও ফেন্সিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ী আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাইভেটকারের সিটের তলায় বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি প্রাইভেটকার জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় আটক করা হয়েছে ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারীসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে। সোমবার ভোর রাতে সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের শিকড়ী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে আসাদুল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার যোগরাজপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে জেলা ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী সাদ্দাম হোসেন, একই উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু সাঈদ ও বৈকারী গ্রামের ইয়াসিন সরদারের ছেলে শাহিনুর রহমান।
পুলিশ জানায়, ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী সাদ্দাম হোসেন বহুদিন যাবত সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদক ও অস্ত্রের ব্যাবসা করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অস্ত্র ও মাদকের মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও মাদক ছিনতাইয়ের অভিযোগও রয়েছে। ভোর রাতে সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের শিকড়ী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ভাবে উক্ত প্রাইভেটকারটি আটক করে তল্লাশী চালানো হয়। এ সময় প্রাইভেটকারের সিটের তলায় বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪২ বোতল ফেন্সিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয় এবং জব্দ করা প্রাইভেটকারটি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।




