Category: অপরাধ

  • আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩৩ বছরের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে প্রবেশ করে  কমান্ড স্টাইলে মারপিট করে ঘর নির্মাণ ॥ থানায় মামলা করায় প্রাণনাশের  হুমকি

    আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩৩ বছরের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে প্রবেশ করে কমান্ড স্টাইলে মারপিট করে ঘর নির্মাণ ॥ থানায় মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঃ
    আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে কমান্ড স্টাইলে ১ একর ২৯ শতক জমির উপর নির্মীত সীমানা প্রাচীরের মধ্যে প্রবেশ করে বাঁশ খুটি পুতে টিনের ঘর নির্মাণ করে জমি দখলের পায়তারা করছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার আলীর ছেলে সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু শেখ বোরহান উদ্দীন। ঘর নির্মাণ বাঁধা দিতে গেলে জমির মালিক সাতক্ষীরা পৌরসভার পলাশপোল গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ মাসুদ আহম্মেদ ওরফে মামুনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় লোহার শাপল দিয়ে তার উপর হামলা চালানো হয়। মারপিটকরে রক্তাক্ত জখম করে মাটিতে ফেলে রাখা হয়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় তার স্ত্রী মোছাঃ লুৎফা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করায় মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
    শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন মাসুদ আহম্মেদ ওরফে মামুন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তার পিতা মৃত আব্দুস সামাদ ১৯৮৭ সালে এবং তিনি ও তার ছোট ভাই মাহমুদ আহম্মেদ মুন্না ১৯৮৮ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ব্রম্মরাজপুরের প্রকাশ ঘোষের নিকট থেকে ব্রম্মরাজপুর মৌজার এসএ ১৫১ খতিয়ানে (দাগ নম্বর-৬৫৯৯,৬৬০১,৬৬০০) বর্তমান ৮৪৭০,৮৪৭৮,৮৪৭৯ ও ৮৪৮১ যথাক্রমে এই চার দাগে দুই দফায় মোট ১ একর ২৯ শতক জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পরপরি সীমানা প্রাচীর দিয়ে রাখেন। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ধুলিহর গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার আলীর ছেলে ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী শেখ বোরহান উদ্দীন ওই জমি থেকে ৪ শতক জমি দখলের পায়তারা করে। তার বাড়ী ধুলিহর সাহেব বাড়ী মোড় সংলগ্ন সরকারি রাস্তা হওয়ার কারনে তার জমি সরকারি রাস্তার মধ্যে চলে যাওয়ার কারনে সরকারি ম্যাপে তার জমির পরিমান কমে যায়। আর সে কারনেই সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন জমির পেছনে থাকা আমাদের ৩৩ বছর ধরে সীমানা প্রাচীর দিয়ে রাখা ওই জমি দখল নিতে হঠাৎ মরিয়া হয়ে উঠে। শেখ বোরহান উদ্দিন গত দেড় বছর আগে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এমত অবস্থায় জমির মালিক মাসুদ আহম্মেদ ওরফে মামুন গং আদালতের আশ্রয় নিয়ে একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর দেওয়ানি ১৯/২০২২। বিজ্ঞ আদালত ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি জমিতে ইস্তিথিশীল অবস্থা (এস্টাটাসকো) জারি করে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের জমির সীমানার মধ্যে জোর পূর্বক পবেশ করে টিনসেটের ঘর নির্মান করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে ওই দিন রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন তার উপর হামলা চালায় এবং ঘর নির্মাণ করতে থাকা লোহার শাপল দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে আমি আত্মরক্ষা করি এবং ওই শাপলের বাড়ী আমার মুখ মন্ডলে লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এসময় সে ও তার সন্ত্রসাী বাহিনী আমাকে বিভিন্ন লাঠি সোটা দিয়ে পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও পকেটে থাকা ৩৫ হাজার ২০০ টাকা জোর করে ছিনতাই করে নেয়। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ও সংবাদ পেয়ে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় আমার স্ত্রী মোছাঃ লুৎফা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৬৬। মামলা দায়েরর পর থেকে সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মাসুদ আহম্মেদ ওরফে মামুন ও তার পরিবারকে হত্যার জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ওই মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমি ও আমার স্ত্রীসহ পরিবারের অনান্য সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি ওই জমিতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এমত অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। #

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামি এবং সাবেক শিবিরের নেতা কতৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুর

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামি এবং সাবেক শিবিরের নেতা কতৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুর


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী এবং সাবেক
    শিবিরের ভিপি কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুরের
    প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে
    অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, পুরাতন সাতক্ষীরা এলঅকার মৃত বীর
    মুক্তিযোদ্ধা আফসার মোল্যার পুত্র মো: বজলুর রহমান। লিখিত অভিযোগে তিনি
    বলেন, পুরাতন সাতক্ষীরায় ডাঙ্গীপাড়ায় মসজিদুর রহমান জামে মসজিদের সভাপতি
    হিসেবে একই এলাকার পুঞ্জু বেশের পুত্র যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আশরাফ
    আলী সিদ্দিকী দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরবর্তীতে তার ভাইপো
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিবিরের সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের সভাপতির
    দায়িত্ব পালনের নামে মসজিদে ফান্ডের টাকা তছরুপকরাসহ মসজিদের মধ্যে বসে
    জামায়াতের নাশকতার পরিকল্পনাকরা এবং বিভিন্ন এলাকার জামায়াত-শিবির
    নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে মসজিদের মধ্যে মিটিং পরিচালনা করেন। এসব কারণে
    এলাকাবাসী কাদেরের দ্রুত অপসারণ দাবি করে। মুসুল্লীদের যৌক্তিক দাবির
    সাথে আমিও একমত পোষন করি। গত ১১ এপ্রিল ২০২২ তারিখে আসরের নামাজের পর আমি
    বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। সে সময় একই এলাকার সুবারেক সরদারের পুত্র আব্দুস
    সাত্তার আমাকে ডেকে বলেন, আশরাফ মাস্টার তোমাকে ডাকছে। আমি বাড়ি থেকে
    বেরিয়ে মসজিদের মধ্যে প্রবেশের সাথে সাথে যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আশরাফ
    মাস্টারের নেতৃত্বে তার সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্র নিয়ে আমাকে হুমকি
    ধামকি প্রদর্শন করে বলে তুই স্বাক্ষী দিলি কেন বলেই মারপিট শুরু করলে আমি
    জীবনের ভয়ে দৌড়ে বাড়ির মধ্যে চলে যায়। বাড়িতে চলে যাওয়ার পর আশরাফ
    মাস্টারের নেতৃত্বে তার ভাইপো শিবিুরের ভিপি কাদের, হামিদ উল্লাহের পুত্র আব্দুল
    মালেক, আশরাফ আলীর পুত্র হুমায়ুন কবির পিন্টু, আব্দুল গফুরসহ ১০/১২জন
    সন্ত্রাসী বাহিনী লোহার রড, দা, বাঁশের লাঠি সোটা নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা
    করে। বাড়িতে থাকা আমার পিতার বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার বিভিন্ন সম্মাননা
    স্মারক পদক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ মহান
    মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি সম্মলিত জরুরী ডকুমেন্ট এবং মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক
    বিভিন্ন গ্রন্থ ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধী মামলার
    আসামী আশরাফ মাস্টারগং মহান মুক্তিযোদ্ধা ও মুুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অশ্লীল
    ভাষায় কটুক্তি করে। এঘটনায় ১২ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায়
    একটি এজাহার দায়ের করি। যদিও এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা
    গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে উল্লেখিত যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আশরাফ মাস্টার,
    শিবিরের সাবেক ভিপি কাদেরসহ তাদের সহযোগিরা আমাকে খুনজখমসহ বিভিন্ন হুমকি
    প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। আমি তাদের হুমকিতে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায়
    ভূগছি। ওই যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আশরাফ মাস্টার, শিবিরের সাবেক ভিপি
    কাদেরসহ তাদের সহযোগিদের গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং
    জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট
    কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেণে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
    বজলুর রহমান।

  • ছাত্রদলের ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয় কৃর্তক ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিকে মারপিটের প্রতিবাদে বর্ধিত সভা ও বিক্ষোভ মিছিল

    ছাত্রদলের ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয় কৃর্তক ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিকে মারপিটের প্রতিবাদে বর্ধিত সভা ও বিক্ষোভ মিছিল

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরায় ছাত্রদলের ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য কৃর্তক ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিকে মারপিটের প্রতিবাদে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ব্রক্ষরাজপুর ডিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু নিলীপ কুমার মল্লিককের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বাবু, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-অর-রশিদ,নির্বাহী সদস্য এস.এম. শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মো.শাহাজান আলী, এহসান বাহার বুলবুল, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আলাউদ্দিন প্রমূখ।
    বক্তারা বলেন, সাবেক ছাত্রদলের ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয় বর্তমানে সেচ্ছাসেবকলীগের সাথে যুক্ত হয় কিভাবে? যখন বাবু নিলীপ কুমার মল্লিককে মারা হলো আপনার কেন সাথে প্রতিবাদ করা হয়নি? দলে হাইব্রিড ঢুকে গেছে। কিভাবে ছাত্রদলের ক্যাডার হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে উঠাবসা করে। আমরা সকলে একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয়কে জেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংঠনের আজীবন তাকে দলে কোন জায়গা হবে না। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু নিলীপ কুমার মল্লিকের মারধর ও লাঞ্ছিত করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    সভা শেষে ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিকে মারপিটের প্রতিবাদ ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউনিয়ন আওয়ামীগের নেতৃবৃন্দ।

  • তহবিল তছরুপের অভিযোগে ভোমরা সিএন্ডএফ এর আহ্বায়ক স্বপন অপসারণ, নতুন আহবায়ক মিজান!

    তহবিল তছরুপের অভিযোগে ভোমরা সিএন্ডএফ এর আহ্বায়ক স্বপন অপসারণ, নতুন আহবায়ক মিজান!

    একদিনে যাতায়াত খরচ আড়াই লক্ষ টাকা দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিভাগের বালিশ কান্ডকেও হার মানিয়ে এবার সমালোচনার মুখে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের (রেজিঃ নং-খুলনা-২০৪৬) সদ্য সাবেক আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন। এখানেই শেষ নহে, এভাবেই বিভিন্ন খ্যাত দেখিয়ে গত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার তহবিল তচ্ছরুপ, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এতে ক্ষুব্ধ ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির সদস্যরাও। এদিকে, তহবিল তছরুপ, অনিয়ম ও স্বেচ্ছারিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক (রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স) ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়কের পদ থেকে এজাজ আহমেদ স্বপনকে অপসারণ করে মিজানুর রহমানকে নতুন আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ওই চার সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং এসোসিয়েশন সচল রেখে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষে কার্যক্রম শুরু করেছে। অপরদিকে, জনমানুষের সামনে ওই আদেশকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের বিদায়ী আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন এর অনুসারীরা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বুধবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় কতিপয় পত্রিকায় বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক এর বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন বলে জানা যায়।

    জানা গেছে, বিগত কয়েক মাসে ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের বিদায়ী আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন কমিটির অনুমোদন ছাড়াই প্রায় অর্ধকোটি টাকার তহবিল তচ্ছরুপ করেছেন সেই খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও চাউর হয়েছে। এছাড়াও তিনি তার একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালনা করায় কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হতে থাকে। যার ফলশ্রতিতে আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মাকসুদ খানের সভাপতিত্বে গত ২৯ মার্চ আহ্বায়ক কমিটির চারজন সদস্য জরুরি সভায় মিলিত হয়ে আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাকে পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গত ৫ এপ্রিল ওই সভার গৃহীত সিদ্ধান্তের রেজুলেশনের কপিসহ কমিটির সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মাকসুদ খান ও মিজানুর রহমান অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর এর পরিচালক বরাবর আবেদন করেন। ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির চার জন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনার বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক উভয় পক্ষকে গত ১০ এপ্রিল তার দপ্তরে হাজির হওয়ার নোটিশ প্রদান করেন। চারজন আবেদনকারী সশরীরে ও ভার্চুয়ালি বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালকের কাছে পৃথকভাবে জবানবন্দি প্রদান করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত বিদায়ী আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন লিখিতভাবে তার বক্তব্য পেশ করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য ও অভিযোগ পর্যালোচনা করে গত ১১ এপ্রিল ২০২২ ইংরেজি তারিখে বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক (রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স) স্বাক্ষরিত ৪০.০২.০০০০.১০৩.৩৪.২১.২০১৩.৮৪২ নম্বর স্মারকে ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়কের পদ থেকে এজাজ আহমেদ স্বপনকে অপসারণ করেন। একই আদেশে তিনি অত্র অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম সচল রাখা ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আহ্বায়ক কমিটির চার জন সদস্যের প্রস্তাব অনুযায়ী মিজানুর রহমানকে আহ্বায়কের পদে নিযুক্ত করেছেন।

  • কলারোয়ায় এবার মহাসড়কের জায়গা  দখল নির্মিত হচ্ছে দ্বিতল ভবন

    কলারোয়ায় এবার মহাসড়কের জায়গা  দখল নির্মিত হচ্ছে দ্বিতল ভবন

    কলারোয়া  প্রতিনিধি:

    সড়ক ও জনপদের জায়গা দখলমুক্ত করার দাপ্তরিক  নির্দেশনা থাকলেও সকল নির্দেশনা উপেক্ষা করে  সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায়  সড়ক ও জনপদের জায়গা দখলে নিয়ে অদৃশ্য ক্ষমতায় নির্মিত হচ্ছে ঝুকিপূর্ণ দ্বিতল ভবন। শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পৌর সদরের পশু হাসপাতালে সামনে সরেজমিনে মহাসড়কের জায়গায় অবৈধ ভাবে ভবন নির্মানের এমন দৃশ্য দেখা যায়। অভিনব কৌশল অবলম্বন করে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে ভবন নির্মানের এমন কারসাজিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে । অন্যদিকে উপজেলা পশু হাসপাতালের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের যত্রতত্র ইট পাথর এবং ময়লা-আবর্জনা ও মিনি পিক-আপ গাড়ি রেখে দখল করা হয়েছে সরকারি হাসপাতালের বেশ কিছু জায়গা। সেখানে নির্মাণাধীন ভবনের যত্রতত্র ইট পাথর এবং ময়লা-আবর্জনা ও  ২৪ ঘন্টা  গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। এমনকি সরকারি  ছুটির দিন থাকলেও হরহামেশাই তালা খুলে হাসপাতালের মধ্যে যাতায়াত করছে  ভবন নির্মানের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা।  সরকারি জায়গা দখল নিয়ে  মানুষের চলাচলের ব্যস্ততম রাস্তা  অবৈধভাবে দখলদারিত্বের  সাথে যারা লিপ্ত হচ্ছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন।

    তালিকাভুক্ত রাজাকারের ছেলের ছত্রছায়ায় ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মহাসড়কের  সরকারি  জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার হিজলদি এলাকা থেকে উঠে আসা পৌরসদরের গদখালী এলাকার ইয়াসিন আলির ছেলে আলম হোসেন ও দেয়াড়া ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গার মুনতাজ রাজাকারের ছেলে কথিত সাংবাদিক পরিচয় ধারি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে । 

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে আবার সেখানেই বহুতল ভবনও নির্মাণ হচ্ছে এসকল নেক্কারজনক কাজের সাথে যে বা যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন। একদিকে সরকারি রাস্তা দখল করে বহুতল ভবন নির্মান করছে অপরদিকে পশু হাসপাতালের জায়গাও দখল করে অবাধে  মালামাল রাখছে তারা এ যেন মগের মুল্লুক পেয়েছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বা  প্রশাসন কি বিষয়টি দেখছে না।

    এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত আলম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

    কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডক্টর অমল কুমার সরকার বলেন,  হাসপাতালে জায়গা দখল মুক্ত করার জন্য তাদেরকে বারবার বলা হলেও তারা কোনো কথাই তোয়াক্কা করছে না। অবাধে তারা চলাফেরা করছে | তাদের মালামাল ও অবৈধভাবে রাখছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হবে।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, মহাসড়কের রাস্তার জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে সরোজমিনে গিয়ে নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।  সরকারি  জায়গা দখলে নিয়ে যাতে তারা অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য  তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভার পাম্প অপারেটর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ


    সংবাদ দাতা : সাতক্ষীরা পৌরসভার পাম্প অপারেটর মো: শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেবা গ্রহীতাদের সাথে খারাপ আচারণ,ঠিকমত অফিস না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছ্ড়াাও তার বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও আছে।
    সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর চাকুরি যাওয়ার পর পুরাতন সাতক্ষীরা মুন্সিপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলাম কৌশলে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিয়মিত কর্মচারি হিসাবে নিয়োগ পান। একজন প্রভাবশালী মেয়র’র মাধ্যমে তিনি নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
    পৌর এলাকার শরিফুল ও আলিম জানান, পৌরসভার পাম্প অপারেটর মো: শহিদুল ইসলাম পাম্প অপারেটর হিসাবে কাজ করলেও তিনি বিভিন্ন সময়ে পৌরসভা অফিসের বিভিন্ন সেকশনে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি মানুষের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেন থাকেন সবসময়। তিনি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় বর্তমান পৌর কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেই না। শহিদুল ইসলাম জামায়াত নেতা হিসাবে এলাকায় পরিচিত। তিনি তৎকালিন সময়ে জেলা জামায়াত অফিসের বই বিক্রির দায়িত্বে ছিলেন। সাবেক শিবিরের সভাপতি নাছির উদ্দিনের ব্যাংক একাউন্ট থেকে স্বাক্ষর জাল করে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জামায়াত অফিসে বেধড়ক মারপিটের স্বীকার হন তিনি।
    সাতক্ষীরার একজন পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে ফার্ণিচারের কাঠ চুরির সাথে জড়িত ছিলেন শহিদুল ইসলাম এসংক্রান্ত মামলা এখনো চলমান আছে।
    এলাকাবাসির প্রশ্ন বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরেও কিভাবে শহিদুল ইসলামের মত কর্মচারি এখনো বহাল তবিয়াতে পৌর সভার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তার খুটির জোর কোথায়?
    এব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার পাম্প অপারেটর মো: শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর চাকুরি শেষে আমি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পৌর সভায় যোগদান করে কর্মরত আছি। জামায়াত সংশ্লিষ্টতা ও সেবা গ্রহীতাদের সাথে খারাপ আচারণ কথা অস্বীকার করে আরো জানান, ফার্ণিচারের কাঠ চুরির একটা মামলা হয়েছিলো সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে।

  • দৈনিক কালের চিত্র অফিসে হামলা: সাবুসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

    দৈনিক কালের চিত্র অফিসে হামলা: সাবুসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

    স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের চিত্র অফিসে ককটেল হামলা, ভাঙচুর ও তিনজন সাংবাদিককে মারপিটের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। দৈনিক কালের চিত্রের ব্যবন্থাপনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খোকন বাদি হয়ে মঙ্গলবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম (দ্রুত বিচার) আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক ইয়াসমিন নাহার মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের (দীঘির ধার) এর আব্দুল করিমের ছেলে সাইফুল করিম সাবু, পলাশপোলের শেখ আবু সালেহ এর ছেলে শেখ জাহিদুর রহমান, তার ছেলে জাহিদ হাসান, দক্ষিণ পলাশপোলের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে রাসেদ সরদার, মধুমোল্লারডাঙির কওছার আলীর ছেলে শাহজাহান সিরাজ, একই এলাকার কওছার মোল্লার ছেলে আক্তারুজ্জামান, খোরশেদ আলমের ছেলে আক্তার হোসেন, শেখ মোশাররফ হোসেনের ছেলে শেখ আরিফ, পলাশপোল সবুজবাগের আবু বক্করের ছেলে রাজু, দক্ষিণ পলাশপোলের মধহবেগ এর ছেলে মুকুল হোসেন, উত্তর পলাশপোলের আব্দুস সবুর খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান, তালা উপজেলার কলাপোতা গ্রামের ইসমাইল মোড়লের ছেলে হামিদুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার উত্তর কুলিয়া গ্রামের নূর আলী গাজীর ছেলে আরশাদ আলী খোকন, সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের ফটিক ডাকাতের ছেলে সাহেব আলী, আশাশুনি উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গোলাম হোসেন খোকনের ছেলে মিলন হোসেন ও কালিগঞ্জের বাজারগ্রামের ছোট খোকনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, গত শনিবার সাতক্ষীরা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
    মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে শ্রমিক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম মহমান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন। আদালতের আদেশ গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। এরপর থেকে শ্রমিক নেতা শেখ জাহিদুর রহমানের সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। শেখ জাহিদুরের পক্ষের শ্রমিকরা শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালের চিত্র অফিস লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। 
    একইভাবে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রমিক লীগ নেতা সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে জাহিদুর রহমানসহ তার সমর্থক ১৫ জন শ্রমিক ও ৩০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী কালেল চিত্র অফিসের সামনে এসে ককটেল ও বোমা ছুঁড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে।
    পরে তারা কালের চিত্র অফিসে ঢুকে সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে ককটেল ছোঁড়ে, লোহার রড, হকি স্টিক, জিআই পাইপ দিয়ে পত্রিকা অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। একপ্লোচর মেশিন, দু’টি মোবাইল, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করা হয়। হামলা ও ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় সাংবাদি আশারাফুল ইসলাম খোকনসহ তিন সাংবাদিককে মারপিট করা হয়। 
    এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম খোকন বাদি হয়ে রবিবার রাতে থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। 
    উপরন্তু শেখ জাহিদুর রহমানের দায়েরকৃত কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যাপক আবু আহম্মেদসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে মামলা নেয় পুলিশ। কালের চিত্র অফিসে বসে খবরের কাগজ পড়ার সময় শ্রমিক নেতা আক্তারুজ্জামান মহব্বত ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীরের আদালত থেকে জেল হাজতে থাকা দু’ আসামীসহ সকল এজাহারভুক্ত আসামী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
    সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন অধ্যাপক আবু আহম্মেদসহ ১৭জনের জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আশরাফুল ইসলাম খোকনের দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনের মামলাটি এজাহার হিসেবেন গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ইয়াসমিন নাহার।

  • মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

    মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গত ০৪ এপ্রিল ২০২২ র‌্যাব-৬, (সাতক্ষীরা ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি সদর থানাধীন সদর হাসপাতাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১ মোঃ মনিরুল গাজী@ চামড়া মনির (৪৫), পিতা- মৃত মোজাম্মেল গাজী, মাতা- ফজিলা খাতুন, সাং- বোয়ালিয়া ৫ নং ওয়ার্ড, ইউপি- ৫ নং কেরাগাছি, থানা- কলারোয়া, জেলা- সাতক্ষীরা’কে গ্রেফতার করে। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ হতে ১৭৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ০১ টি মোবাইল ফোন, ০১ টি সিমকার্ড উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। উল্লেখ্য যে, উক্ত মনিরুল গাজী @ চামড়া মনিরের নামে কলারোয়া থানায় মাদক মামলার ওয়ারেন্ট আছে। জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

  • নারী আইনজীবীকে আসামিদের হুমকি ; থানায় সাধারণ ডায়েরি

    নারী আইনজীবীকে আসামিদের হুমকি ; থানায় সাধারণ ডায়েরি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
    এক নারী আইনজীবীকে জীনবনাশের হুমকি দেওয়ায় সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
    সূত্র জানায়, বাবুলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী জর্জ কোর্টের সিআর ৩৭৭/২১ মামলার বাদী। উক্ত মামলার আইনজীবী শিউলি সুলতানা শুনানী অন্তে বিজ্ঞ আদালত আসামি পক্ষের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ৩০ মার্চ রাতে বাবুলিয়া গ্রামের শওকাত আলীর পুত্র সাইদুজ্জামান সাইদ, রসুলপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের পুত্র ওয়াজেদ আলী, ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র চঞ্চল, আব্দুল গফুরের পুত্র কামরুল আইনজীবী শিউলির বাড়িতে এসে খুন, জখমের হুমকি ধামকি প্রদান করেন। এ সময় তারা আইনজীবী শিউলির বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলেও শাসিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনজীবী শিউলি সুলতানা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আইনজীবী শিউলি সুলতানা জানান, আমি ঢাকা কোর্টে প্রাকটিস করি। কিন্তু বাবার মামলা হওয়ার আমি নিজে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় এসে শুনানি করি। আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তারা আমাকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করছে। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • পাইকগাছায় সুখেন হত্যার খুনি প্রকাশ গ্রেফতার 

    পাইকগাছায় সুখেন হত্যার খুনি প্রকাশ গ্রেফতার 

      বি.সরকার। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি। পাইকগাছায় সুখেন সরদার হত্যার খুনি প্রকাশ সরদার (৩৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।  মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন ও স্থানীয়দের সহয়তায় কয়রার আমাদী  ইউপির চক গোয়ালবাড়ী শুশ্বরবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে নিহত সুখেন এর প্রতিবেশি খড়িয়া ভড়েঙ্গারচকস্থ জয়দের সরদারের পুত্র।গ্রেফতারের পর  পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে খুনির দেখানো মতে সুব্রত ঢালীর চিংড়ি ঘেরের পশ্চিম পাশের পাড়ে পানিতে পুতে রাখা ক্ষেত নিংড়ানো ধারালো লোহার রড উদ্ধার করেছে। এদিকে কোন হয়রানী ছাড়াই  হত্যাকান্ডের ১৫ দিনেই খুনের মোটিভ উদ্ধার ও একমাত্র আসামী গ্রেফতারে এলাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আটক প্রকাশের স্ত্রী জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সুকান্ত কর্মকার জানান। যা মামলা তদন্তে যথেষ্ঠ সহয়তা করবে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রকাশ সরদারের স্ত্রীর সাথে নিহত সুখেন সরদার দীর্ঘদিন পরকিয়ায় জড়িত ছিল। এক সময়ে মোবাইলে কথাপোকথন জানতে পেরে প্রকাশ তার স্ত্রী ও সুখেন কে সতর্ক করে দেয়। কিন্তু সতর্কতায় কোন কাজ না হওয়ায় প্রকাশ স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে বলেন। এর পর সে নিজেকে শেষ করে দেওয়া নতুবা সুখেনকে  মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। হত্যাকান্ডের ৩ দিন পুর্বে প্রকাশ ক্ষেত নিংড়ানো লোহার রডের মাথা আগুনে তাপ দিয়ে ধারালো করে।  ঘটনার দিন ৭ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার পর বাড়ীর অদূরে সুখেন নিজ চিংড়ি ঘেরে পৌছিয়ে কাত হয়ে বাসার দরজা খোলার মুহুর্তে পিছন থেকে প্রকাশ ধারালো রড দিয়ে চোয়ালে আঘাত করে বুকে উপুর্যপুরী চুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর প্রকাশ পুলিশের কাছে প্রাথমিক ভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের মা অমেলা সরদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন, যার নং-৮। হত্যাকান্ডের পর স্থানীয়রা এক ধরনের আতঙ্কে ছিল। হত্যা সম্পর্কে নিহতের পরিবার বা স্থানীয়রা সঠিক কোন তথ্য দিতে না পারায় পুলিশের উপর নির্ভরতা বেড়ে যায়। সর্বশেষ খুনি গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ হত্যা মামলা সম্পর্কে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, পরকিয়ার জেরে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। যা গ্রেফতারের পর প্রকাশ সরদার সবই স্বীকার করেছেন।

  • ভোমরায় ইমিগ্রেশন অফিসে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি’র সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা ॥ থানায় জিডি

    ভোমরায় ইমিগ্রেশন অফিসে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি’র সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা ॥ থানায় জিডি


    নিজস্ব প্রতিনিধি:
    সাতক্ষীরার ভোমরায় ইমিগ্রেশন অফিসে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি’র সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে দু’প্রতারকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় বুধবার সাতক্ষীরা সদর থানায় জিডি করা হয়েছে।
    ভোমরা ইমিগ্রেশন অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সাহেদ করিম ও অজ্ঞাত পরিচয় একজন বেলা এগারটার দিকে ভোমরা ইমিগ্রেশন অফিসে আসেন। তারা নিজেদের ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি’র সাংবাদিক ও ক্যামেরাপার্সনের পরিচয় দেন। ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজখবর নেন তারা। পরবর্তীতে অনিয়মের রিপোর্ট প্রকাশের কথা বলে টাকা দাবি করেন।
    জাহাঙ্গীর হোসেন আরও জানান, অনিয়ম হচ্ছেনা, আমি এমন দৃঢ়তা দেখালে সুযোগ বুঝে তারা সটকে পড়েন।
    এঘটনায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি’র ক্যামেরা পার্সন হাবিবুর রহমান পলাশ সাতক্ষীরা সদর থানায় সাহেদ করিমসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। জিডি নং-১০৯০। তাং ১৬.০৩.২২।
    এবিষয়ে কথা বলতে সাহেদ করিমের ০১৩১৭০৭৪২২০ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
    সদর থানার ওসি গোলাম কবির জানান,তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • অভিনেত্রী গ্রেপ্তার

    টাকা চুরির অভিযোগ, কলকাতা বইমেলা থেকে অভিনেত্রী গ্রেপ্তার

    বিনোদন ডেস্ক

    কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় টাকা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক অভিনেত্রী  রূপা দত্ত। শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ। রূপা দত্ত নামের ওই নারী নিজেকে বলিউড অভিনেত্রী দাবি করেন। তিনি নায়ক অঙ্গুশ হাজারা অভিনীত প্রথম ছবি ‘কেল্লাফতে’ এ অভিনয় করেন। 

    জানা গেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অন্যদিনের মতো কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলায় টহলে ছিল পুলিশ। সেই সময় দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য লক্ষ্য করেন ডাস্টবিনে একটি ব্যাগ ফেলে চলে যাচ্ছেন তিনি। সন্দেহ হলে ওই সময় তার পথ আটকায় পুলিশ। প্রশ্ন করা হলে যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি রূপা। পরে তাকে তল্লাশি করেন নারী পুলিশ। তখনই বের হয়ে আসে ব্যাগের মধ্যেই একাধিক মানিব্যাগ। তাতে অনেক টাকাও রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় বিধান নগর উত্তর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। অবশেষে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেন রূপা।

    ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন হাইপ্রোফাইল অনুষ্ঠান এবং জনবহুল জায়গায় উপস্থিত হয়ে পকেট মেরে দিতেন রূপা। তার ব্যাগ থেকে শনিবার প্রায় ৭৫ হাজার রুপি উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় অবাক পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু কেন তিনি এমন কাজ করছেন, সেই বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিনেত্রী রূপা দত্তের একটি বড় চক্রও রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।

    রূপা দত্ত এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। মুম্বাই শোবিজ, বাংলা ছবি, রাজনৈতিক ময়দান— সব ক্ষেত্রেই রূপার অবাধ বিচরণ। খুব পরিচিত মুখ না হলেও ২০২০ সালে বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে ‘অশ্লীল বার্তা’ পাঠানোর অভিযোগ তোলার পরে শিরোনামে আসেন রূপা। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ‘অনুরাগ কশ‌্যপ’-এর সঙ্গে হওয়া কথাবার্তার ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন তিনি। পরে জানা যায়, ‘অনুরাগ কাশ্যপ’ নামে অন্য আর এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন রূপা। সেই ব্যক্তি আর বলি পরিচালক এক ব্যক্তি নন।

  • তালায় ৫ জুয়াড়ী আটক

    তালায় ৫ জুয়াড়ী আটক

    তালা সংবাদাতা: তালা থানার পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে জুয়া খেলার সময় ৫ জুয়াড়ীকে আটক করেছে তালা থানার পুলিশ। ৮ মার্চ গভীর রাতে তালা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি চৌকস দল উপজেলার বারুইহাটি গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে ৫ জুয়াড়ী কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় এই চিহ্নিত জুয়াড়ীদের কাছ থেকে জুয়া খেলার নানা সরঞ্জাম আটক করা হয়ে বলে তালা থানা সূত্রে জানা গেছে। আটককৃত ৫ জুয়াড়ীর নামে জুয়া আইনের ৪/৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তালা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন বিষয়চি নিশ্চিত করেন।

  • দেড় কোটিতে রাজি জাহিদুল!

    দেড় কোটিতে রাজি জাহিদুল!

    ► কাস্টমস উপকমিশনারের ঘুষ দাবি
    ► প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে চলছে তদন্ত

    ‘ওই দিন আপনারা যাওয়ার পর স্যারকে আমি ম্যানেজ করেছি। আজকে বিষয়টি আরো পরিষ্কার করলাম। এই জন্য স্যার দেড় কোটি টাকায় রাজি হয়েছেন।’ গত বছরের ১২ এপ্রিল ‘ইউনিভার্সাল গ্রুপ’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তার কাছে এভাবেই ঘুষ দাবি করেছিলেন পাবনার ভ্যাট সুপার মো. শাহাজুল। আর যে ‘স্যারের’ কথা বলে ঘুষ চাওয়া হয়েছিল তিনি পাবনার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওই দুই কর্মকর্তার সঙ্গে মো. শাহাজুলের এই কথোপকথনের সময় সেখানে জাহিদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

    শাহাজুলের কথার জবাবে ডেপুটি কমিশনার জাহিদুল ইসলাম ওই দুই কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে সার্বিকভাবে সব কিছুতেই সেভ করে দিব। এখানে আমি ও কমিশনার স্যার নতুন। আমাদের উভয়ের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রেখে আপনারা সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে যাবেন। আপনাদের কোনো সমস্যা হবে না।’

    ওই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় জানালে মো. শাহাজুল এক কোটি টাকার কথা বলেন। এর পরও প্রতিষ্ঠানটি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হন তাঁরা। তারপর ঘটে অদ্ভূত ঘটনা! হঠাৎ পাবনার দিলালপুরে ইউনিভার্সাল গ্রুপের প্রধান কার্যালয় তরঙ্গ বিজনেস কমপ্লেক্সসহ কারখানা ও তাঁদের মালিকানাধীন রত্নদ্বীপ রিসোর্টে চালানো হয় অভিযান। জব্দ করা হয় গুরুত্বপূর্ণ নথি ও কম্পিউটার। আর অভিযান চলেছিল সেই জাহিদুল ইসলামেরই নেতৃত্বে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর মানসিক-শারীরিক নির্যাতনও চালায় জাহিদুল ও তাঁর দলবল।

    এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানী হোসেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন জাহিদুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। সঙ্গে সেদিনের ঘুষ চাওয়ার অডিও রেকর্ডটিও সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে অভিযোগের তদন্তে নামে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দুদক। ডেপুটি কমিশনার জাহিদুল ইসলাম ও ভ্যাট সুপার মো. শাহাজুলের ঘুষ চাওয়া সেই অডিও রেকর্ড কালের কণ্ঠ’র হাতেও এসেছে।

    এ বিষয়ে ইউনিভার্সাল গ্রুপের এজিএম হিমানী শাহারিয়ার কণক বলেন, ‘আমরা দেশের প্রচলিত নিয়মে সরকারকে নিয়মিত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। অতীতে কোনো সময়ই আমাদের নিয়ে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু ডেপুটি কমিশনার জাহিদুল ইসলাম পাবনা আসার পর থেকেই আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। সবশেষে তাঁর চাহিদামতো ঘুষ না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ নথি ও কম্পিউটার নিয়ে গেছেন। আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। নিরপেক্ষভাবে অভিযোগের তদন্ত করলেই সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। শুধু আমরাই নই, পাবনার অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছেই ঘুষ দাবি করেছেন তিনি। যারা চাহিদামতো ঘুষ দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদেরই বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।’

    কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়াবাজার গ্রামের মৃত হাজি মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম। ২৯তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১১ সালে সহকারী কমিশনার (কাস্টম) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। দুদক সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় জাহিদুলের ব্যাংক হিসাবে ছিল মাত্র ১১ হাজার টাকা। বর্তমানে পাবনার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত মো. জাহিদুল ইসলাম। চাকরির বেতন ছাড়া আর কোনো উপার্জন না থাকলেও কয়েক বছরে ২০০ বিঘা জমির মালিক বনে গেছেন তিনি। এ ছাড়াও অল্প দিনেই কোটিপতি বনে গেছেন তাঁর শ্বশুর ও ভাগ্নে। চাকরির টাকায় পরিবারের খরচ চালিয়ে এত অল্প সময়ে জাহিদুলের এমন ধনী হওয়ার কথা জেনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন অনেকেই। অবশেষে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ২৩ মে কমিটি গঠন করে জাহিদুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের আদেশ দিয়েছে। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, রংপুরের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, রাজশাহীর উপকমিশনার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেনকে নিয়ে গঠিত এই কমিটিকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মো. শামসুদ্দীন সাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, ‘কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, রাজশাহীর উপকমিশনার জাহিদুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হাবিবুল ইসলাম ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমানের সমন্বিত টিম রাজস্ব আহরণের নামে ভ্যাটের মামলা, জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে স্থানীয় শিল্প ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি টাকা উৎকাচ গ্রহণ ও আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হলো।’

    এ বিষয়ে সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। এ বিষয়ে এখনই কোনো তথ্য জানাতে পারব না। শুধু বলতে পারি, নিরপেক্ষভাবে অভিযোগের তদন্ত করে সময়মতো প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

    শুধু অন্য মানুষকে নয়, পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের সঙ্গেও প্রতারণার অভিযোগ আছে ডেপুটি কমিশনার জাহিদুলের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধ মা সামছুন্নাহারও ছেলে জাহিদুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছিলেন। সামছুন্নাহারের অন্য সন্তানদের অভিযোগ, পরে জাহিদুল ইসলাম ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বৃদ্ধ মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেই মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করেন। এ ছাড়াও ২০১৮ সালে আপন বড় ভাই সামছুল ইসলাম ডেপুটি কমিশনার জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন। এতে জাহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বড় ভাইয়ের ছেলে ও রাজধানীর একটি কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মো. হাসিনুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    এ বিষয়ে মো. হাসিনুর রহমান জানান, পারিবারিক অর্থ লেনদেনের জন্য ব্যাংকে তাঁর বাবা ও দাদির যৌথ অ্যাকাউন্ট আছে। কয়েক বছর আগে কিছুদিনের জন্য দাদি তাঁর ছেলে জাহিদুল ইসলামের বাসায় ছিলেন। সেই সুযোগে জাহিদুল মায়ের কাছ থেকে চেক নিয়ে এবং বাবার স্বাক্ষর নকল করে অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের অর্থ তুলে নেন।

    প্রভাষক হাসিনুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় বাবা চেক জালিয়াতির মামলা করলে চাচা (জাহিদুল) বাংলা বিড়ি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নকল ব্যান্ডরোল সরবরাহকারীর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আমাকেও আসামি করেন। একই মামলা পাবনার মোট চারটি থানায় দায়ের করা হয়েছে। অথচ আমি কখনোই বাংলা বিড়ির সঙ্গে চাকরি বা অন্য কোনোভাবে জড়িত ছিলাম না। শুধু হয়রানি করতে আমাকে এসব মামলার আসামি করেছেন চাচা।’

    জাহিদুলের ভাই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অন্য সব ভাইকে বঞ্চিত করে জালিয়াতির মাধ্যমে পারিবারিক জমিজমা নিজের নামে লিখে নিয়েছে জাহিদুল। তার ক্ষমতার দম্ভে ভয়ে আমরা কেউ মুখও খুলতে পারি না।’

    এসব বিষয়ে জানতে ডেপুটি কমিশনার জাহিদুল ইসলামকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এ সময় এসব বিষয়ে তিনি কোনো কিছু বলবেন না বলে জানান। একই সঙ্গে যাঁরা তাঁর অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন সরকারের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। -সুত্র কালের কণ্ঠ

  • পারুলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-২

    পারুলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-২


    সংবাদদাতা: পারুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের দুই জন আহত হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টায় দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে রাস্তার উপর বৃষ্টির পানি আটকে থাকাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে সৈয়েদার রহমানের স্ত্রী সালমা বেগম এবং আইয়ুব আলীর ছেলে মুজাহিদ আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সালমা বেগমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এবং মুজাহিদকে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সালমা বেগমের স্বামী সৈয়েদার রহমান জানান, আমার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে নিচু জায়গা হওয়ায় বৃষ্টি পানি জমে থাকে। সেকারণে আমার স্ত্রী সালমা বেগম এবং আমি জমে থাকা পানির উপরে ইট বালি ও খোয়া দিয়ে ভরাট করছিলাম। এসময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্ত্রী সালমা ও ছোট ছেলে আজিজুর ইসলামকে প্রতিবেশী আবু বক্করের ছেলে আইয়ুব হোসেন, ইউনুছের ছেলে মেহেদী হাসান, রফিকুলের ছেলে রবিউল মারধর করে। এতে আমার স্ত্রী গুরুত্বর আহত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে রবিউল ইসলাম জানান, রাস্তার পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ইট, বালি ও খোয়া দিয়ে ভরাট করার ফলে এলাকাবাসী তাদের পানি যাতায়াতের জন্য বলে। কিন্তু তারা কোন কথা না শুনে এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী ও জীবননাশের হুমকি দেয়। প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নিজেরা নিজেদের উপর আঘাত করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাদের উপর দোষারোপ করছে। মূলত তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

  • সাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৩

    সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় চা খাওয়াকে কেন্দ্র তর্ক-বিতর্কের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত নারী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাচানি এলাকার জাঙ্গালের ব্রিজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলীপুর পাচানি গ্রামের সাহেব আলী প্রতিবেশি রাজু আহমেদকে চা পান করতে বলেন। এরই মধ্যে আরেকজন এসে চা পান করেন। তার বিল দিতে অস্বীকার করেন সাহেব আলী। তার চায়ের টাকা রাজু আহমেদ পরিশোধ করেন। এসময় সাহেব আলী রাজু আহমেদকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। এর জের ধরে উভয়ের মধ্যে তর্কা-তর্কি ও মৃদু সংঘর্ষ হয়। পরের দিন সাহেব আলী আরিফুল,হাবিবুর রহমান,শাহিন আলমসহ ৮/১০ দুর্বৃত্ত রাজু আহমেদের বাড়িতে লাটি-সোটা নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। তারা পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় রাজু আহমেদের মা তানজিলা বেগমকে। পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রাজু আহমেদ ও তার ভাই আলতাফ আহমেদকে। হামলার শিকার রাজু আহমেদ জানান,তার মা তানজিলা খাতুন বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। এছাড়া দুর্বৃত্তদের লাটির আঘাতে তার ভাই আলতাফ হোসেনের হাত ভেঙে গেছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • দেবহাটায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা: আটক-২

    দেবহাটায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা: আটক-২

    দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় হামলা, ভাংচুর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে দেবহাটা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুটু গাজীর ছেলে সিদ্দিক গাজী (২৫) ও পুটু গাজীর স্ত্রী সবজান বেগম (৫০) কে আটক করে।
    গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মাঘরী গ্রামের অমল ঘোষের বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার সময় বাধা দেওয়ায় তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে প্রতিবেশির পরিবার। এঘটনায় মাঘরী গ্রামের মৃত ছগীর উদ্দীন গাজীর পুত্র পুটু গাজী (৫৮), মেছের গাজী (৫০), পুটু গাজীর পুত্র সিদ্দিক গাজী (২৫), পুটু’র স্ত্রী সবজান বেগম (৪৫) ও সিদ্দিক গাজীর স্ত্রী খাদিজা বেগম (২৩)কে আসামী করে মাঘরী গ্রামের অমল ঘোষের ছেলে মিলন ঘোষ বাদি হয়ে দেবহাটায় থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩,তাং ০৫/০৬/২১।
    উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ দিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে মাঘরী গ্রামের মিলন ঘোষের পরিবারের সাথে পাশের বাড়ির মৃত ছগীর উদ্দীন গাজীর পুত্র পুটু গাজীর বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিলন ঘোষের বসত ভিটার জমি দখল করাসহ বাড়ির সীমানার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বসত ভিটার দক্ষিন পাশের সীমানার পাকা প্রাচীর জোরপূর্বক ভেঙ্গে আনুমানিক এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় মিলন ঘোষ সহ তার পিতা অমল ঘোষ ও মাতা শুভদ্রা ঘোষ তাদেরকে মৌখিক ভাবে বাধা প্রদান করলে মিলন ঘোষের পিতা-মাতাকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে এবং তারা শুভদ্রা ঘোষে পরোনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় এবং গলায় থাকা ৪০ হাজার টাকার একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
    এবিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, হামলা, ভাংচুর ও ক্ষতিসাধনের বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। উক্ত মামলায় ২জন আসামী আটক হয়েছে। বাকিদের আটকের প্রস্তুতি চলছে।

  • থমথমে আদালত এলাকা

    থমথমে আদালত এলাকা

    • পাল্টাপাল্টি হাফ ডজন মামলা
    • জেলা বারের সাবেক সভাপতি কারাগারে
    • নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যহত


    জহুরুল কবীর: স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ও আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. এম শাহ আলমের মধ্যকার বিতন্ডার ঘটনাকে কেন্দ্রকরে জেলা আইনজীবীর সমিতির সিনিয়র আইনজীবীগণ পরষ্পর মুখোমুখি অবস্থানে। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি হাফ ডজন মামলা হয়েছে। উভয় মামলায় আসামী বারের সাবেক সভাপতি সেক্রেটারিসহ সিনিয়র আইনজীবীগণ। এক মামলায় কারাগারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম। বিষয়টি নিয়ে আদালত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চলছে পাল্টাপালটি কর্মসুচি। একদিকে গ্রেপ্তার অ্যাড. শাহ আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারপূর্বক মুক্তির দাবী অন্যদিকে দুর্ণীতি মুক্ত বার গঠণের দাবীতে সোমবার আদালত প্রঙ্গণে পৃথক মানববন্ধর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ভার্চুয়াল আদালতে ধর্ষণ মামলার জনৈক আসামীর জামিন শুনানীর জন্য গত ২৬ এপ্রিল সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দিন ধার্য ছিল। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. গোলাম মোস্তফা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম। দুপুর একটার দিকে যার যার চেম্বারে বসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন শুনানীকালে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ করেছেন ও তাদের মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে আদালতকে অবহিত করেন এ্যাড. এম শাহ আলম। এ সময় ভিকটিম ও তার বাবা মামলার বাদি এ্যাড. এম শাহ আলমের চেম্বারে বসে আছেন জানালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড আব্দুল লতিফ আপত্তি জানান। জামিনের আপত্তি জানিয়ে তিনি ভিকটিম ও বাদিকে স্বশরীরে দেখতে চান। বাদি ও ভিকটিম প্রকৃত কিনা তা নিশ্চিত হতে তাদেরকে তার চেম্বারে আনতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এম শাহ আলম পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য অশালীন মন্তব্য করেন। বিষয়টি জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানসহ বেশ কিছু জেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আদালত ওই আসামীকে দু’ হাজার টাকার ব-ে চার সপ্তাহের জন্য জামিন দেন।
    এই ঘটনার জের ধরে ২৭ এপ্রিল বিকালে পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের অনুসারিগণ অ্যাড শাহ আলমের ল.চেম্বারে হামলা ও ভাঙচুর করে। এব্যাপারে অ্যাড শাহ আলম সদর থানায় একটি এজাহা করেন। যেটি সাধারণ ডায়েরী হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরদিন পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে একই থানায় পৃথক মামলা করেন। অ্যাড শাহ আলম তার এজাহা থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে অন্তরভুক্ত না করায় গতকাল সাতক্ষীরা আমলী প্রথম আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা করেন। উক্ত মামলায় ১০জন আইনজীবীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০জনকে আসামী করা হয়েছে।
    বিচারক মোঃ রেজোয়ানুজ্জামান আগামি ১৬ মে এর মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার আসামীরা হলেন, এ্যাড. এসএম হায়দার আলী, এ্যাড. এসএম সালাহ উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), এ্যাড. নিজামউদ্দিন, এ্যাড. এখলেছার আলী বাচ্চু, জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. এবিএম সেলিম, এ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান বাচ্চু, এ্যাড. নুরুল আমিন ও এ্যাড. সাইদুজ্জামান জিকো।
    এরই মধ্যে গত ১৬ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় অ্যাড. এম শাহ আলমকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলেশ। শিক্ষানবীশ আইনজীবী শ্যামনগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ফজলুল হক গাজীর ছেলে মোঃ লিয়াকত আলী এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীর গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ এমন লেখা ঝুলিয়ি ছবি তুলে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ও সম্মানহানি করার অভিযোগে উক্ত মামলা দায়ের করেন।
    উক্ত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ মামলার ব্যাপারে অ্যাড. ফেরদৌসি সুলতানা জানান, “২৭ এপ্রিল ল-চেম্বার ভাংচুর ঘটনায় মামলা করার পর থেকে অ্যাড. আব্দুল লতিফ গং নানা ভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে অ্যাড. আব্দুল লতিফ গং অ্যাড. শাহ আলমের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি ‘দ্রুত বিচার আইনে’ মামলা করেছেন যাহা তদন্তাধীন। এরই মধ্যে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগে মামলা করে অ্যাড. শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে।”
    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ কুমার জানান, শিক্ষানবীশ লিয়াকত আলীর মামলায় রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাড. এম শাহ আলমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পরদিন সোমবার উভয়পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেল ও রিমান্ড শুনানী আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।