Category: অপরাধ

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৮ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নস্থ শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, ফ্রিজে মিষ্টির সাথে কাঁচা মাংশ রাওা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, দোকানে মেয়াদ উর্ত্তীণ, মেয়াদ ছাড়া পন্য বিক্রয় ও পন্যে অগ্রিম তারিখ দেওয়াসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে করিম স্টোর, গোলাম রসুল ষ্টোর ও তৌহিদ হোটেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৭০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ তদন্ত করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক উপ-সচীব হোসেন আলী খন্দকার।

    বাস্তবতার আলোকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়টি দালিলিক আকারে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল।

    অভিযোগ উপন্থাপনকালে এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল বলেন, জেলা পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলা ১৪১৫ সাল থেকে ১৪২৪ সাল পর্যন্ত আশাশুনির ঘোলা-হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১০ বছরের মোট ইজারা মূল্য ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫১০ টাকা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা ১৪১৮ সালে একইভাবে হাজরাখালি-বিছট খেয়াঘাটের ১০ বছরের ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫ টাকা।

    বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ওই খেয়াঘাট বাবাদ গ্রহণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৫২৮ টাকা। ওই দু’টি খেয়াঘাট ইজারা নেন আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা শাকিল। একইভাবে ইজারা নেওয়ার কিছুদিন পর খেয়াঘাটের শ্রেণী পরিবর্তণ করার অভিযোগে কেন তার ইজারা বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান নোটিশ করেন। এরই বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে দু’টি খেয়াঘাটের বিপরীতে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি ২৫/১২ রিট পিটিশন দাখিল করেন।

    রিট পিটিশনে ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর খেয়াঘাট বাবদ বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১২ লাখ ৪০০ টাকা ইজারা গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ তিন লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকা ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৭৩ হাজার ৫৮৪ টাকা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ২০১১ সালের ২৬ জুন রশিদ বই এর মাধ্যমে গ্রহণ করেন। একই তারিখে হাজরাখালি বিছট খেয়াঘাটে বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১০ লাখ ৫২৮ টাকার ইজারা গ্রহণ করার পর ১৪১৮ সাল বাবদ দু’ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ দেখানো হয়েছে। যেখানে আত্মসাতের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

    ঘোলা- হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১৪১৯ সালের ইজারামূল্য ইজারাদার আবু হেনা শাকিল পরিশোধ করেছেন। কিন্তু তিনি ওই বছর ভ্যাট বাবদ ৫২,৫৬০ টাকা পরিশোধ করেন নাই।
    সেক্ষেত্রে ঘোলা- হিজলা ও কল্যাণপুর খেয়াঘাট থেকে দু’ বছরে দু’ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেখানোয় ইজারা মূল্য ৯ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    একইভাবে মানিকখালি খেয়াঘাটটি ১০ বছরে ২৫ লাখ ৩১২ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা গ্রহীতা কওছার আলী কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে ২২৭৯/২০০৫ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। ফলে ওই খেয়াঘাটে আদায়কৃত রাজস্ব যথাযথভাবে জেলা পরিষদ পাচ্ছে না।

    তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ইজারা নোটিশের শর্তাবলীতে সর্বোচ্চ বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত যে কোন কোটেশনে উদ্ধৃত দর অনুমোদনের পর নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ অবশিষ্ঠ ৫০ শতাংশ ইজারা মূল্যসহ ৫শতাংশ আয়কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ প্রিমিয়াম এককালিন জেলা পরিষদে জমা দিতে হবে। ব্যর্থতায় ইজারা চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা তা না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইজারা চুক্তি করেছেন।

    অভিযোগ শুনানীকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ১৫জন সদস্য, কয়েকজন কর্মচারি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানসহ সাংবাদিকরা। শুনানীকালে জেলা পরিষদ সদস্যরা এসএম মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা পরিচালনা, এইচএসসি পাশ করে তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ অবৈধ ও তিন বার বদলী করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন খারিজ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে সাতক্ষীরায় চাকুরি করা সংক্রান্ত বিষয়গুলি যথাযথভাবে উপস্থাপন করার পরও একই তদন্তকারি কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে প্রতিবেদন দেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইভাবে মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়ার পরও তাকে বদলী ও এক বছর ছুটি নেওয়ার আইনি বৈধতা সংক্রান্ত তদন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা হল থেকে বেরিয়ে যান।

  • শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় প্রথম শ্রেণিতে পড়–য়া এক কন্যা শিশুকে পাচারের অভিযোগে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
    সাজাপ্রাপ্ত নারী আসামী হলেন, শ্যামনগর উপাজেলার পরানপুর গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে মোছাঃ আফরোজা ও ওরফে তাছলিমা খাতুন। বর্তমানে তারা কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামে বসবাস করেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, পাচারের শিকার শিশু কন্যাটি শ্যামনগর উপাজেলার ৮৬নং পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রণিতে পড়তো। ২০০৩ সালের ৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যায় সে। স্কুল শেষে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সহপাঠি ময়না ও টুম্পার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে স্কুল শেষে তাকে খালা পরিচয়ে এক নারী মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

    জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল করিম বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করে শিশুটির সন্ধান নেয়ার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় বৈশখালি গ্রামের লোকজন পাচারকারী আফরোজাকে আটক করলেও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর দাদা বারী সরদার বাদি হয়ে পাচারকারী আফরোজা খাতুন, রতনপুর গ্রামের বাবু, বাবলু ও আবু হান্নানের নাম উল্লেখ করে পরদিন শ্যামনগর থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেন।

    ২০০৩ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক ফয়সাল জামান এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

    ১০জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে বুধবার আসামি আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। একই সাথে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তবে, এ রায়ের সময় পাচারকারী আসামি আফরোজা পলাতক ছিলেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।

  • সাতক্ষীরায় ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যা : ঘাতক গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আক্তারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গৃহবধুর নাম বাঁচাখুকি(৪৫)। সে ফিংড়ি ইউনিয়নের ফয়জুল্যাপুর গ্রাামের আব্দুল মজিদ কারিকরের স্ত্রী।

    ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মধুসুদন মন্ডল জানান, বুধবার সকালে ওই গৃহবধূ পালিচাঁদ বিলে ছাগল চরাতে যান। সেখানে আগে থেকেই ওৎপেতে ছিলো একই গ্রামের আহাদ আলির ছেলে মাদকাসক্ত আক্তারুল ইসলাম(২৬) নামের এক যুবক।

    আক্তারুল ওই গৃহবধূকে পাশের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে মেহগনি গাছের ডাল দিয়ে ওই গৃহবধূর মাথায় আঘাত করে। ফলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ পালিচাঁদ বিলের একটি খালে সে পুতে রাখে ঘাতক আক্তারুল। স্থানীয় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

    এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক আক্তারুলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু কওে পুলিশ। পরে আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিরাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাাফিজুর রহমান জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ঘাতক আক্তারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৬০

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৬০

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াতকর্মী ও মাদক মামলার আসামীসহ ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত  জেলার ৮ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে ২২ পিস ইয়াবা, ১৪০ বোতল ফেন্সিডিল,  ৪০২ গ্রাম গাজা এবং ১৯ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১০ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১৮ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন  ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৫৫

    জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৫৫

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ জামায়াতকর্মী ও ৮মাদক মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    অভিযানে ২২ বোতল ফেন্সিডিল ও ১১০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা জামায়াতের ১ সুরা সদস্যসহ ১৭ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানার ইসলামকাটি ইউনিয়ন জামায়াতের রোকনসহ ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৭ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৫ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

     

  • কাটিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

    কাটিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় শহরের একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৭ ভরি স্বর্ণলাংলকার ও নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
    মঙ্গবার ভোর রাতে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকার পাড়া এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

    সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটে অবস্থিত আল বারাকা জুয়েলার্সের ম্যানেজার লিটন হোসেন জানান, ৬/৭ জনের একদল মুখোসধারী ডাকাত তার ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে।

    তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে বাড়ির মালিক লিটন, তার মা ফাতেমা বেগম, স্ত্রী হাজেরা খাতুন ও শ্যালক মুকিতকে একটি ঘরের মধ্যে রশি দিয়ে হাত বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেয়। এরপর ডাকাতরা আলমারি খুলে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও চারটি মোবাইল সেট নিয়ে চম্পট দেয়। ডাকাতরা যাবার সময় কাপড় দিয়ে তাদের চোখ ঢেকে রুমে তালা ঝুলিয়ে যায়। ভোরে প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে।

    এদিকে, ডাকাতার একই এলাকার শ্যামল রাহার বাড়িতে হানা দেয়। তার বাড়ির গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করার সময় বাড়ির মালিক জানতে পারলে ডাকাতরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মালামাল উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে বলে তিনি আরো জানান।

  • টাউন বাজার বাজার পরিদর্শনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ টিম

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৬ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা শহরস্থ কাটিয়া টাউন বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, পঁচাবাঁসি খাবার রাখা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, মেয়াদ উর্ত্তীণ পন্য ও পানীয় বিক্রয়সহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে নিউ সাতক্ষীরা সুইটস, বিসমিল্লাহ ষ্টোর ও মণ্ডল ট্রেডার্সকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৪

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৪

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ৮ নেতাকর্মী ও মাদক মামলার ১২ আসামীসহ ৫৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার সন্ধ্যা হতে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১১ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৬ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ বিএনপি ও ৬ জামায়াত নেতাকর্মী, পাটকেলঘাটা থেকে ১ জামায়াতকর্মী ও অন্যান্য মামলার ৪ জনকে আটক করা হয়।
    অভিযান থেকে ১৩ পিস ইয়াবা, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার সন্ধ্যা হতে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মী ও মাদক মামলার আসামীসহ মোট ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

  • বন্দুকযুদ্ধ : ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত, ৫ পুলিশ সদস্য আহত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
    উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। এ সময় আহত হয়েছে ৫ পুলিশ সদস্য।
    গুলিবিদ্ধ নিহত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তারা দুজনেই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
    আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রিয়াদুল, এএসআই সুমন ,এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে আজ রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।
    তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি আরো জানান, গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
    তাদের কাছ থেকে এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এদিকে, আহত পুলিশ সদস্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

  • কুশখালী সীমান্ত থেকে ২৫ কেজি রূপা ও অস্ত্র উদ্ধার

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ কেজি ভারতীয় রূপা ও একটি এয়ারগান উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

    রোববার ভোরে সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত থেকে উক্ত রূপা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে বিজিবি এসময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত রূপার মূল্য ১৬ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা।

    সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন কুশখালী বিওপির নায়েক সুবেদার হানিফ জানান, সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে রূপার একটি বড় চালান আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় সেখান থেকে ২৪ কেজি ৯৫০ গ্রাম ভারতীয় রূপা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত রূপার আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা।

  • বাড্ডায় ফরহাদ হত্যা : মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৫

    ঢাকা ব্যুরো : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাড্ডার আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ আলী হত্যা মামলার মূলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (১৩ জুলাই) গুলশান ও মিরপুর শাহআলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪টি ম্যাগাজিনসহ ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন, মো. আরিফ মিয়া, মো. আবুল কালাম আজাদ অনির, মো. বদরুল হুদা সৌরভ ও মো. বিল্লাল হোসেন রনি।
    আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

    তিনি বলেন, গত ১৫ জুন বাড্ডা থানাধীন আলীর মোড় এলাকায় শুক্রবার বাদ জুম্মা বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ আলীকে মসজিদের সামনে অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনার পরে থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও ডিস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধে ফরহাদ আলী খুন হয়।

  • ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন দখল নিয়ে সংঘর্ষ : আহত-৫

    মোঃ মুশফিকুর রহমান রিজভি: সাতক্ষীরার ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন দখল নিয়ে দু’ পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির কাছে পুরাতন কমিটি দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় নতুন কমিটি জোরপূর্বক দখল করতে গেলে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। শনিবার সকালে সংগঠনটির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
    জানা গেছে, গত দুই মাস আগে ভোমরা স্থল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে এরশাদ-তরিকুল পরিষদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেও সাবেক কমিটির সভাপতি আনারুল ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম নতুন কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে টালবাহানা করতে থাকে। সম্প্রতি নতুন কমিটির সভাপতি-সাধরণ সম্পাদকসহ তাদের গ্রুপের লোকজন শ্রমিক ইউনিয়নে গিয়ে সাবেক কমিটির লোকজনদেরক বের করে তাদের দখলে নেয়। এরপর পুরাতন কমিটির লোকজন আবারও একত্রিত হয়ে সে অফিস তারা পাল্টা দখলে নেয়। একপর্যায়ে আজ শনিবার সকালে নতুন কমিটির লোকজন আবারও ওই অফিসে দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে এতে উভয় গ্রুপের পাঁচ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, ভোমরা স্থল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি এরশাদ আলী, সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি আনারুল ইসলাম (কালো আনারুল), শ্রমিক আব্দুর রহিম ও আজিজুল ইসলাম। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শরিফুল আলম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ভোমরা স্থল বন্দরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নটি বর্তমানে নতুন কমিটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন পক্ষই থানায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি। বন্দরের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬৪

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ৯ মাদক মামলার আসামীসহ ৬৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যা হতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০, কলারোয়া থানা থেকে ৭, তালা থানা থেকে ৩, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৮, শ্যামনগর থানা থেকে ১১, আশাশুনি থানা থেকে ৯, দেবহাটা থানা থেকে ৩ এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
    এ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ পিস ইয়াবা, ১০৫ গ্রাম গাজা, ৫টি মহিষ এবং ১টি মিনি ট্রাক। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

    স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে আদালত। তবে, এ মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
    বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
    সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও আমের আলী সরদারের ছেলে শওকত হোসেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু তার স্ত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক লাখ টাকার বিনিময়ে ২০০৫ সালের ২৫ আগস্ট স্থানীয় শওকত হোসেন, মক্ষ্মী রানী সুন্দরী ওরফে ময়না, আব্দুল গফুর ও সাগর মাতব্বরের সহযোগিতায় ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। পরে সে পালিয়ে দেশে ফিরে আসে। এ ঘটনায় তার খালু আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ গাজীর ছেলে আতিয়ার রহমান গাজী বাদী হয়ে থানায় উল্লিখিত পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
    বুধবার এ মামলায় ছয়জন স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
    সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলো।
  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামীসহ আটক-৭২

    জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামীসহ আটক-৭২

     
    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি) : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১১ মাদক মামলার আসামী এবং ২ জামায়াত কর্মীসহ ৭২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা হতে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার সবকটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২৯, কলারোয়া থানা থেকে ৭, তালা থানা থেকে ৩, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১৮, শ্যামনগর থানা থেকে ৫, আশাশুনি থানা থেকে ৫, দেবহাটা থানা থেকে ২ এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
    উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০ পিস ইয়াবা, ৪ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৫০ গ্রাম গাজা, দুটি গরু, একটি মোটরসাইকেল এবং ২৫ প্যাক চা পাতা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪৭

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪৭

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৯ মাদক মামলার আসামি ও ১ জামায়াত কর্মীসহ ৪৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
    রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃত আসামিদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানার ১৪ জন, কলারোয়া থানার ৮ জন, তালা থানার ৩ জন, কালিগঞ্জ থানার ৬ জন, শ্যামনগর থানার ৬ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবেকী এলাকা থেকে ৩ টি হরিণ ও ৩টি অস্ত্রসহ ২ চোরাশিকারী আটক

    সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবেকী এলাকা থেকে ৩ টি হরিণ ও ৩টি অস্ত্রসহ ২ চোরাশিকারী আটক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবেকী এলাকা থেকে ৩টি হরিণ, ৩টি একনালা বন্দুক ও একটি নৌকাসহ দুই চোরাশিকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
    সোমবার ভোর রাতে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদী সংলগ্ন দোবেকী নামকস্থান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
    আটক চোরাশিকারীরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার কদমতলা গ্রামের ইমান গাজীর ছেলে মঞ্জু গাজী ও পাতাখালি গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ গাজী।
    শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল মান্নান জানান, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের গহীনে বনদস্যু জাকির বাহিনীর সদস্যরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনকুড়ি নদী সংলগ্ন দোবেকী নামকস্থান পুলিশের একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ৩টি জবাই করা হরিণ, ৩টি একনালা বন্দুক ও একটি নৌকাসহ দুই চোরাশিকারীকে আটক করা হয়।
    তিনি আরো জানান, আটক দুই ব্যক্তির নামে শ্যামনগর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।