Category: অপরাধ

  • ভিজিএফের ১৩ বস্তা চালসহ সাতক্ষীরার রেজাউল মেম্বর আটক

    ভিজিএফের ১৩ বস্তা চালসহ সাতক্ষীরার রেজাউল মেম্বর আটক

    নিজস্ব  প্রতিনিধি: নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ১৩ বস্তা ভিজিএফ কার্ডের চালসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাল্ল্যে গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।
    আটককৃত ইউপি সদস্যের নাম রেজাউল ইসলাম (৫২)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার পিতার নাম মৃত ইমান আলী।

    প্রত্যক্ষদর্শী শাল্যে পশ্চিমপাড়ার নুর ইসলাম, আলাল হোসেন, আরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন , রুস্তুম আলী, ইমমাইল হোসেন ও ফয়সাল আহম্মেদ সহ কয়েকজন জানান, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত দরিদ্রদের মাঝে পরিবার পিছু ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২০ কেজি করে চাল বিতরনের সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ি ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে চাল বিতরনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওনের বাবা ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তাহমিনা খাতুনের স্বামী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল ইসলাম ভিজিএফ কার্ডের চাল যথাযথভাবে বিতরন না করে আত্মসাৎ করেন। এর একাংশ তিনি স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। কিছু চাল বিক্রির জন্য নিজের কাছের লোকদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন।
    তারা আরো জানান, স্থানীয় সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির কাছের লোক বলে পরিচিত রেজাউল ইসলামের বাড়িতে ভিজিএফ কার্ডের চাল মজুত রয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রেজাউল কয়েক বস্তা চাল পাশের কয়েকটি বাড়িতে সরিয়ে ফেলে নিজে চাচাত ভাই হাবিবুর রহমানের ধানের গোলার মধ্যে আত্মগোপন করেন।
    পুলিশ প্রথমে রেজাউলের স্ত্রী তাহমিনা ও ছেলে ফজলে রাব্বি শাওনের উপস্থিতিতে তাদের বাড়ির রান্না ঘরের ট্রাঙ্ক থেকে তিন বস্তা চাল, ইউপি সদস্য ও যমোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজের সাংবাদিক পরিচয়দানকারি রেজাউলের চাচা মাওলানা গোলাম কাদেরের বাড়ি থেকে এক বস্তা, মতিয়ার রহমানের বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, খোদাবক্সের বাড়ি থেকে এক বস্তা, অঞ্জনা রানী সরকারের বাড়ি থেকে তিন বস্তা, সুনীল দাসের বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, কানা বিশ্বনাথ দাসের বাড়ি থেকে এক বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। তবে সুনীল দাস আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে দু’ বস্তা ও কানা বিশ্বনাথ দাস ৯০০ টাকার বিনিময়ে এক বস্তা চাল ওই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে কিনেছেন মর্মে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানানোয় তিনি ওই টাকা সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানকে বুধবার সকালে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। চাল উদ্ধার হলেও পালিয়ে থাকা রেজাউল ইসলামকে ধরতে উপপরিদর্শক প্রদীপ সানার নেতৃত্বে পুলিশ বাড়ি বাড়ি চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালায়। রাত ৮টার দিকে চাচাত ভাই হাবিবুর রহমানের ধানের গোলার ভিতর থেকে তাকে টিনে হিচড়ে বের করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী তাহমিন কে একাধিক জনপ্রতিনিধির কাছে জোরে জোরে মোবাইল করতে দেখা যায়। কিন্তু চুরির দায় ঘাড়ে পড়া কোন আওয়ামী লীগ নেতা নেত্রীর পক্ষে কোন জনপ্রতিনিধিকেই সাড়া দিতে দেখা যায়নি। একপর্যায়ে যে জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সার্বক্ষণিক সময় দেন তিনিই তার আহবানে সাড়া না দেওয়ায় হতাশ হন তাহমিনা। পুলিশ যখন স্বামী রেজাউলকে গাড়িতে তুলছিল তখন তাহমিনাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। লজ্জায় মুখ ঢাকছিলেন রেজাউল। কয়েক’শ মানুষের মাঝে এমন দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
    তবে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তাহমিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাসানো হয়েছে।
    নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামসহ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৮৭ কেজি ১২০ গ্রাম চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই ইউপি সদস্যকে। চালসহ ওই ইউপি সদস্যকে থানায় আনা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বা ইউপি সচীব আমিনুর রহমান বা চৌকিদার আফছার আলী বাদি হয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করবেন। তাকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

  • বড়বাজার থেকে ৮’শ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যাবসায়ী আটক

    বড়বাজার থেকে ৮’শ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যাবসায়ী আটক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ আরিফুল ইসলাম আরিফ নামে এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার রাতে শহরের সুলতানপুর বড়বাজার পদ্মা ফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

    আটক আরিফুল ইসলাম চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালি থানার পশ্চিম বাঁশখালা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।

    সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান জানান, চট্রগ্রাম থেকে বড় একটি ইয়াবার চালান সাতক্ষীরা শহরে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল সুলতানপুর বড়বাজারের মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে পদ্মা ফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ী আরিফের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দেয়া হয়েছে।

  • লাবসায় ভিজিএফ’র চাউল বিতরণে অনিয়ম

    নিজস্ব প্রতিবেদক: লাবসা ইউপিতে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে চাউল বিতরণ সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত।
    মঙ্গলবার সকাল ১১টায় লাবসা ইউপিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে লাবসা ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমসহ ইউপি মেম্বরবৃন্দ। কিন্তু চাউল বিতরণে মূল তালিকার সাথে স্লীপের ব্যাপক গড়মিল দেখতে পান স্থানীয়রা।

    এধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সহকারী কমিশনার এবং সাতক্ষীরা কালেক্টরেটের ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আসফিয়া সিরাত সরেজিমনে পরিদর্শনে যান। সেখানে উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক চাউল বিতরণ বন্ধ করে দেন।

    এবিষয়ে সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত বলেন, “কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা পেয়ে আমি লাবসা ইউপি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। চাউল বিতরণে তালিকায় গড়মিল থাকায় তা সাময়িক বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু ওই চাউলগুলো সরকারের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ। তারা যেন সঠিকভাবে পায় সেকারণে সঠিকভাবে বিতরণের জন্য গড়মিল ঠিক করতে বলা হয়েছে।”

    অন্যদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল আলিম বলেন, “ইউনিয়নে ১/২টি ওয়ার্ডের তালিকায় কিছু গড়মিল ভুল বশত হয়েছে। সেকারনে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব আজকে চাউল বিতরণ বন্ধের জন্য বলেছেন। আমরা পরবর্তীতে মেম্বরদের সমন্বয়ে সঠিক তালিকা প্রস্তুত করে চাউল বিতরণ করা হবে।

    এদিকে লাবসা ইউপিতে যখন এসব ঘটনা ঘটছিল তখন সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা -২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তবে পরিস্থিতি দেখে তিনি সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে চলে যান। এসময় সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে, শিবনগর গ্রামের বৃদ্ধা রিজিয়া খাতুন বলেন, আমি কখনো চাউল পাই না। আমি হক কথা বলি একারণে আমাকে কার্ড দেয় না। কিছু বলতে গেলে মারতে উদ্যত হয়। তবে এবার ১টি কার্ডের চাউল দুজনের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে। শুধু আমাদেরই না এলাকার অনেকের মধ্যে এভাবে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়নের দূরদূরান্ত থেকে আসা হতদরিদ্র পরিবারের অনেকই মঙ্গলবার চাউল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাবো ২০ কেজি চাউল তাও যদি আবার দুইবার আসতে হয়। তাহলে গাড়ি ভাড়া বেশি খরচ হবে।

    উল্লেখ্য, লাবসা ইউপিতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ভিজিএফ, ভিজিডির কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও কাজ না করে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ তো আছেই। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। দুদকে তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন এই বিএনপি নেতা ও অসংখ্য নাশকতা মামলার আসমি আবউদল আলিম। জনশ্রুতি আছে সাতক্ষীরার একজন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতার আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় বারবার দুর্নীত করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন এই বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান।

  • সাময়িক বরখাস্ত হলেন কলারোয়ার পৌর মেয়র

    সাময়িক বরখাস্ত হলেন কলারোয়ার পৌর মেয়র

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তার গাড়ি বহরে হামলার মামলার আসামি কলারোয়া পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার বিকালে কলারোয়া পৌরসভা অফিসে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ পৌঁছেছে। গত ৮ আগস্ট স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত পত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

    পত্রে উল্লেখ করা হয় যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে কলারোয়ায় ২০০২ এর ৩০ আগস্ট তার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। গত ১৫.১০.১৪ তারিখে এ সংক্রান্ত ১৪ নম্বর মামলার ৯ নম্বর আসামি কলারোয়া পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলাম। জিআর ২৫৯/১৪ নম্বর মামলার ৬৯ নম্বর চার্জশীটে ৪৯ জন আসামির মধ্যে তিনিও একজন। গত ২৬.০৪.১৫ তারিখে দেওয়া উক্ত চার্জশীট সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।

    পত্রে আরও বলা হয় মো. আক্তারুল ইসলাম চার্জশীটভূক্ত আসামি হওয়ায় মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি পৌর সেবা গ্রহনকারী নাগরিক এবং পৌর কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে আতংক ও ভীতি সঞ্চারের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ অবস্থায় তার দায়িত্ব পালন সমীচিন নয়। এ কারণে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩১ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আদিষ্ট হয়ে তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

  • সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

    সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ঠিকাদাররা। নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার অফিসের কয়েকজনের দুর্নীতির কারণে ঠিকাদাররা কর্ম বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় এবং কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন তারা। রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা।
    ঠিকাদারদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খন্দকার আলি হায়দার। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার মো. রুহুল আমিন, সৈয়দ হারিজ হোসেন, মো. শাহেদুজ্জামান, অসীম কুমার দাস, বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পের তিনটি আইডি এবং অগ্রাধিকারমূলক পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৮টি টেন্ডার আহবান করা হয়। ঠিকাদার হিসাবে আমরা এসব আইডির মূল্য (রেট) জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ‘খুলনায় প্রকল্প পরিচালক (পিডি) অফিসে যোগাযোগ করুন।’ সেখানে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও একই কথা বলা হয়। প্রকল্পের মূল্য (রেট) না পেয়ে আমরা নিজেদের মতো করে দরপত্র জমা দেয়। টেন্ডার ওপেনিংয়ের পর দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী তার খয়ের খা দুই-তিনজন ঠিকাদারের রেট ১০% নি¤œদরে মিলিয়ে দিয়েছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে ঠিকাদাররা বলেন, ‘সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা রেট না পেলেও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রিয়ভাজন লোকজন কিভাবে তা পেলেন?’
    এ কাজে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘এর সাথে জড়িত রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ছাড়াও সরোয়ার হোসেন, অমল রায় ,ইমরানসহ অফিসের কয়েকজন।’
    ঠিকাদারদের অভিযোগ কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শতকরা ১০ টাকা হিসাবে অবৈধ টাকা নিয়ে কার্যাদেশ দিয়ে আসছেন।
    অভিযোগ করে ঠিকাদাররা আরও বলেন, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পে পাঁচটি টেন্ডার আইডিতে ১২ জন ঠিকাদার অংশ গ্রহণ করেন। ওই পাঁচটি টেন্ডারের বিপরীতে ত্রিশ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে দুই তিনজন ঠিকাদারকে সাত কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এর মধ্যে চারটি আইডির কাজ তার নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে দিয়েছেন।’
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রিয়ভাজন ঠিকাদারদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আরেকটি টেন্ডারের পাইপ লাইন কাজ মোটা টাকার বিনিময়ে তিনি ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লাইসেন্সে কাজ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও মোটা টাকার ঘুষ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যাদেশ দিয়েছেন।
    ঠিকাদাররা জানান, টেন্ডার ওপেন করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী তা সর্বসাধারণের অগোচরে রাখার চেষ্টা করেন। এর ফলে বঞ্চিত ঠিকাদারা কে কত রেট দিলেন কিংবা কে কাজ পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না সাধারণ ঠিকাদাররা তা জানতে পারেন না ।
    সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা অবিলম্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি মো. সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় ও কমপিউটার অপারেটর ইমরানকে দুর্নীতির দায়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে সবই বিধি মোতাবেক হয়েছে।’
    দুর্নীতির অভিযাগে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ছোট-ছোট ঠিকাদাররা অনেক সময় কাজ পান না। এতেই তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পিডবলিউডিএর সিডিউল মোতাবেক বাজার অনুযায়ী দরপত্র আহবানের নিয়ম রয়েছে। ফলে কোন ঠিকাদার কোন দর দেবেন না দেবেন তা তার নিজস্ব বিষয়। আমি কাজের অনুমোদন দিতে পারি না। সুপারিশ করি, অনুমোদন দেন ঢাকার প্রকল্প পরিচালক।’
  • কালিয়ানি সীমান্তে থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ 

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ করেছে বিজিবি। ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এ গহনা জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
    শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উক্ত রূপার গহনাগুলো জব্দ করা হয়। কিন্তু এসময় কোন চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। জব্দকৃত রূপার গহনার মূল্য ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
    এ ব্যাপারে বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে অবৈধ পথে একদল চোরাকারবারী রূপার একটি বড় চালান নিয়ে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈকারী বিওপির নায়েক আবু হানিফের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্তের মেইন পিলার ৭ সাব পিলার ৫৮ এর কাছাকাছি স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা রুপার গহনা গুলো সীমান্তের একটি খালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো জব্দ করে।’
  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জামায়াতকর্মীসহ আটক ৫৬

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জামায়াতকর্মীসহ আটক ৫৬

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জামায়াতকর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    জেলাব্যাপি চালানো পুলিশের এই বিশেষ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ পিস ইয়াবা এবং ৫০ বোতল ফেন্সিডিল। অভিযান শেষে তিনটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৭জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১২ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলা পুলিশের মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে মোট ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

  • আন্দোলনে উস্কানির দায়ে ২৯ ব্যক্তি ও নিউজপোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা

    ডেস্ক রিপোর্ট: নিরাপদ সড়ক দাবির চলমান আন্দোলনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ২৯ ব্যক্তি ও নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এ মামলা করা হয়।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইয়াসিন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

    রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা এ মামলায় (মামলা নং-১) অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর মধ্যে জুম বাংলা নিউজ পোর্টাল, বিএনপি সমর্থক গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদ, অ্যাক্সিডেন্ট নিউজ, বাংলামেইল৭১, বাঁশেরকেল্লা, ফাইট ফর সারভাইভার্স রাইট, ফাঁকিবাজ লিংক, আন্দোলন নিউজ এবং সনাক্ত করা ব্যক্তিদের আইডিগুলোর মধ্যে Ray han, Ariful islam Jihad, Habibur Rahman, Sabin Rahman Nomun, Saidul Apu, সাইদুল ইসলাম তহিদ, Gazi Abu Yousah, Nasif Wahid Faizal ও নুরুল হক রয়েছেন। এছাড়া কয়েকটি টুইটার ও ইউটিউব লিংকও রয়েছে বলে জানান রমনা থানার এই কর্মকর্তা।

    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও নিউজ পোর্টালগুলো উস্কানিমূলক ছবি, ভিডিও ও লেখা পোস্ট করে ছাত্রদের আন্দোলন উসকে দিয়েছে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও ব্লগ ব্যবহার করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। তারা ৯ দফা দাবিতে প্রত্যেক দিন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করছেন। এতে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

  • এবার সাতক্ষীরায় ৪ বছরের শিশুকে পিষে মারলো যাত্রীবাহী বাস

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): এবার সাতক্ষীরায় ৪ বছরের শিশুকে চাকার তলায় পিষে মারলো যাত্রীবাহী বাস।  ।নিহত ঐ শিশুর নাম বুশরা আক্তার।  বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের মাধবকাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও চালক বা বাসের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
    নিহত শিশু বুশরা আক্তার সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
    স্থানীয়রা জানান, চাচা সঙ্গে সাইকেলে মাধবকাটি বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল বুশরা আক্তার ।  এ সময় সাতক্ষীরা থেকে যশোরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়।  ধাক্কায় সাইকেলের পেছনে বসে থাকা বুশরা ছিটকে পড়ে।  এরপর বাসটি বুশরাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।  ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাচ্চাটি।
    কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, সাতক্ষীরা সদর থানা এলাকা থেকে বাচ্চাটিকে চাপা দিয়ে বাসটি কলারোয়া থানা এলাকার একটি পাম্পে রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
    নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশ যখন উত্তাল তখন সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে শিশু বুশরার মৃত্যু আরো একবার প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে কবে পাবো আমরা নিরাপদ সড়ক? কবে আমাদের সন্তানরা নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে চলতে পারবে সড়কে?
  • ফিটনেস সনদ নেই ২০ লাখ পরিবহনের!

    ডেস্ক রিপোর্ট: গণপরিহনের ট্রিপ বাড়াতে চান চালকরা, এ কারণে হুমকির মুখে যাত্রী নিরাপত্তাবর্তমানে সারা দেশে ৫০ লাখের মতো পরিবহন চলাচল করছে। তবে এর মধ্যে ২০ লাখ পরিবহনেরই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ফিটনেসবিহীন এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে কার্যত কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। ফলে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যের সংখ্যা। এ অবস্থায়ও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ)। প্রতিষ্ঠানটির কাছে দেশে কী পরিমাণ ফিটনেস সনদবিহীন পরিবহন রয়েছে তারও সঠিক কোনও তথ্য নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

    বেসরকারি পরিসংখ্যানে দেশে ৫০ লাখেরও বেশি পরিবহন চলাচলের কথা বলা হচ্ছে। তবে চলতি বছরের ৩১ জুন পর্যন্ত বিআরটিএ’র তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে বাস, মিনিবাস ও হিউম্যান হলারসহ মোট নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭০। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে ১১ লাখ ৪৩ হাজার ২৪৩টি পরিবহন। এই পরিবহনের মধ্যে শুধু সাড়ে ২২ লাখই হচ্ছে মোটরসাইকেল। তবে এসব পরিবহনের মধ্যে কী পরিমাণ যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই এর সঠিক কোনও তথ্য বিআরটিএর কাছে সংরক্ষিত না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি বলছে এর সংখ্যা কোনও অংশেই ২৫ শতাংশের কম নয়।

    অপরদিকে বেসরকারি হিসাবে, সারাদেশে যানবাহনের চালকের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি হলেও এসব চালকদের মধ্যে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিআরটিএ অনুমোদিত লাইসেন্স রয়েছে ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮১৬ জনের। এর মধ্যে পেশাদার চালক ৮ লাখ ৩০ হাজার ৯০ জন। আর অপেশাদার ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৬ জন। অবশিষ্ট সাড়ে ৫১ লাখ অবৈধ ও অদক্ষ চালকই সড়কে নৈরাজ্যের মূল কারণ। ফলে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য-দুর্ঘটনা।

    তবে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির চলমান এক জরিপের তথ্য মতে বিআরটিএর নিবন্ধিত মোট পরিবহনের ৪০ শতাংশই ফিটনেসবিহীন। প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৫০ লাখ যানবাহনের মধ্যে মাত্র ৩৫ লাখের মতো যানবাহনের নিবন্ধন রয়েছে। বাকি ১৫ লাখের কোনও সনদ নেই। আইন অনুযায়ী যেসব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন নেই সেগুলোর ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই। এছাড়া রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের মধ্যেও অনেক পরিবহনের ফিটনেস নেই। সব মিলিয়ে এর সংখ্যা কোনও অংশেই ২০ লাখের কম নয়। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবদনটি প্রকাশ করবো।’

    এদিকে, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফিটনেস নবায়ন না করা ৫৫ হাজার যানবাহনের তালিকা করেছে বিআরটিএ। এর মধ্যে তিন হাজার ৭৪০টি গাড়ি বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের। ফিটনেস সনদবিহীন সরকারি যানবাহন সবচেয়ে বেশি পুলিশের। এ বাহিনীর প্রায় ১১০০ যানবাহনের ফিটনেস সনদ ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে নবায়ন হয়নি। এসব পরিবহনকে গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সনদ নবায়নের নির্দেশও দেয় প্রতিষ্ঠানটি। নির্দেশনা পেয়ে কিছু মালিক সনদ নবায়ন করলেও এখনও প্রায় ৫০ হাজার যানবাহন ফিটনেস সনদ নবায়ন করেনি। এই সনদ প্রদানে করসহ বিভিন্ন ফি বাবদ ২২ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হয় সরকারকে।গণপরিবহন

    বিআরটিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিআরটিএর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ওই তালিকায় থাকা যানবাহনগুলো নিবন্ধন নেওয়ার পর কোনও দিনই ফিটনেস নিতে আসেনি। এর মধ্যে আবার অনেক পরিবহন তখন রাস্তায়ও ছিল না। তখন রাজধানীতে পাঁচ লাখের মতো যানবাহন চলতো। বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের সংখ্যা কোনও অংশেই মোট পরিবহনের ৪০ শতাংশের কম হবে না। মূলত ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় পরিবহনের কারণেই যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটছে।’

    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অথরিটি (বিআরটিএ) ২০টি ক্যাটাগরিতে পরিবহনের লাইসেন্স দিচ্ছে। এই ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮২ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪১৮টি অ্যাম্ব্যুলেন্স, ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫০টি অটোরিকশা, ২০ হাজার ৪৭৩টি অটো-টেম্পু, ৪৫ হাজার ৩৭৭টি বাস, ৯ হাজার ৩২৯টি কার্গো ভ্যান, ২৮ হাজার ৪৭০টি কভার্ড ভ্যান, ২৮ হাজার ৪২৯টি ডেলিভারি ভ্যান, ১৮ হাজার ২৫টি হিউম্যান হলার, ৫৫ হাজার ৮৬৩টি জিপ (হার্ড/সপ্ট), ৯৯ হাজার ১৮৭টি মাইক্রোবাস, ২৮ হাজার ৬৩টি মিনিবাস, ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৯২টি মোটরসাইকেল, এক লাখ আট হাজার ৬৯০টি ফিক-আপ (ডাবল/সিঙ্গেল কেবিন), তিন লাখ ৪০ হাজার ২৮৯টি প্রাইভেট প্যাসেঞ্জার কার, ৯ হাজার ৮৭১টি স্পেশাল পারপাস ভিইক্যাল, পাঁচ হাজার ৬০টি ট্যাঙ্কার, ৪৫ হাজার ২৯৫টি ট্যাক্সিক্যাব, ৪১ হাজার ৬০৬টি ট্রাকটর, এক লাখ ৩৪ হাজার ৪১০টি ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন রয়েছে ১৭ হাজার ৮০৩টি।

    এর আগে ২০১০ সালের শুরুতে রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে বিআরটিএ। এতে দেখা যায় শুধু রাজধানী ঢাকায় ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলছে ফিটনেস (চলাচলের উপযোগী সনদ) ছাড়া। সে সময় ওই সব পরিবহনের তালিকা করে পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় ব্যক্তিগত কার, বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন রয়েছে।

    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশে যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সত্যিকারে সে পরিমাণ যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেই। আমরা পরিবহন মালিকদের বারবার তাগিদ দিচ্ছি কাগজপত্র নবায়ন করে নেওয়ার জন্য। চিঠি দিয়েও জানিয়েছি। অনেকেই নবায়ন করছেন। আবার অনেকেই এখনও করেনি।’

    মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী, একবার ফিটনেস সনদ সংগ্রহ করলে তা নবায়নের তারিখ থেকে পরের এক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ফিটনেস সনদ পেতে হলে গাড়িসহ বিআরটিএ কার্যালয়ে হাজির হতে হবে। সেখানে অন্তত ৩০ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ফিটনেস সনদ দেওয়া হয়।

    গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারিয়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীবের মর্মান্তিক মৃত্যু দেশের মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিমের মৃত্যু পরিবহন জগতের চিত্র ফুটে উঠেছে। বাসচালকদের প্রাণঘাতী প্রতিযোগিতায় দিন দিন যোগ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে কঠোর আইনের আওতায় আনার পরামর্শ তাদের।

    এদিকে গত ২৯ জুলাইয়ের ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী তানভীর আহমেদ জনস্বার্থে রিটটি দায়ের পর শুনানি শেষে আদালত গণপরিবহনের ফিটনেস বিষয়ে জরিপ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব ও বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    জানতে চাইলে বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. নূরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক পরিবহনের ফিটনেস সনদ নেই এটা সত্য। তবে কী পরিমাণ পরিবহনের সনদ নেই সেই সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। কারণ রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার পর অনেক পরিবহন সড়কে থাকে না। অনেক পরিবহন নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে নষ্ট গাড়ির তো আর ফিটনেস সনদ মালিক নেবে না। এজন্য বিষয়টি নিরূপন করা কঠিন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা কমিটি গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৫২

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ জামায়াতকর্মী এবং ৫ মাদক মামলার আসামিসহ ৫২ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযান থেকে ৭০০ গ্রাম গাঁজা, একটি তেলবাহী ট্রাক, একটি মোটর সাইকেল ও ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানা থেকে ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৮ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৭ জন, আশাশুনি থানা থেকে কাদাকাটি ইউপি জামায়াতের সভাপতিসহ ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার আটটি থানার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে ২ জামায়াত নেতাকর্মীসহ মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • জেলায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৫৫

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে চার মাদক মামলার আসামী ও এক জামাত কর্মীসহ ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৮ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন,দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় তেলবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায়  মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায় এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক ট্যাঙ্ক ও তার চাললকে আটক করা হয়েছে।
    নিহতের নাম মোশাররফ হোসেন (৪০)। তিনি  সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নবাকী গ্রামের শেখ আবু ইউসুফের ছেলে ও তিব্বত কোম্পানীর জ্যেষ্ঠ রিপ্রেজেনটেটিভ।
    প্রত্যক্ষদর্শী এ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী জানান, মোশাররফ হোসেন পেশাগত কাজে বুধবার পৌনে ১০টার দিকে মোটর সাইকেলে সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে পৌঁছালে মজুমদার ফিলিং স্টেশনের একটি জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকার তার মোটর সাইকেলের পিছন দিকে ধাক্কা মারে। এতে তিনি রাস্তার উপর পড় গেলে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্যাংক ও তার চালককে আটক করা হয়েছে। নিহত মোশাররফ হোসেন তিববত কোম্পানীতে চাকুরি করেন বলে জানতে পেরেছি।
  • জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৫৭, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামি ও দুই জামায়াত নেতাসহ ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
    শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে একটি শুটার গান, এক রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৯ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • আজ বিশ্ব বাঘ দিবস : দু’দশকে বনদস্যুদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বাঘ

    আজ বিশ্ব বাঘ দিবস : দু’দশকে বনদস্যুদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বাঘ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এদিনে ঘটা করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও নানা সংকটে গত দু’যুগে বনদস্যু ও চোরা শিকারীদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের রেকর্ড পরিমাণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বন উজাড়, আন্তর্জাতিক বাজারে বাঘের চাহিদা এর অন্যতম কারণ।
    বিভিন্ন সময় উদ্ধার হওয়া বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বাঘের শাবক সর্বোপরি বাঘ শুমারী তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৬ বছরে ৫৭ টি বাঘ হত্যার তথ্য থাকলেও বাস্তবে এর সংখ্যা অনেক বেশী বলে জানিয়েছেন বনজীবিরা।
    বিভিন্ন সময়ে নানা গবেষণা, ব্যক্তি বা সংস্থা বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে নানা মন্তব্য করলেও বনজীবি ও সুন্দরবন বিশেষজ্ঞরা আশংক্সক্ষাজনকহারে বাঘ হত্যার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বনবিভাগসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দূর্বলতাকেই দায়ী করছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ পদ্ধতিতে গণনা শেষে দেখা যায়, সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে মাত্র ১০৬টি। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের শরু হওয়া বাঘ শুমারীর মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয় মে মাসে। তবে এখনো প্রকাশিত হয়নি শুমারীর প্রতিবেদন। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।
    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে থাইল্যন্ডের হুয়ানে অনুষ্ঠিত হয় টাইগার রেঞ্জ দেশ সমূহের ‘এশিয়া মিনিষ্ট্রয়াল কনফারেন্স’। সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণে ৯দফা পরিকল্পনাসহ সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতি বছর ২৯ জুলাই পালিত হবে বিশ্ব বাঘ দিবস। তখন থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা।
    জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালে মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে সবোর্চ্চ ৯ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়। এর মধ্যে কয়রার গোলখালী থেকে অক্টোবর মাসে একসাথে ৩ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হওয়ায় বনবিভাগের ভূমিকা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন দেখা দেয়। ঐ বছরের ৮ আগস্ট ৬৯ পিচ বাঘের হাড়সহ কয়রার এনায়েত হোসেন ও বাবু হোসেন নামে দু’চোরা শিকারীকে খুলনার লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রমজাননগরের টেংরাখালী গ্রামের চোরা শিকারীদের দ্বারা পাচারকৃত ৪ টি বাঘের শাবক উদ্ধার হয় ঢাকার শ্যামলী থেকে।
    ২০১৫ সালের ২৬ জুলাইয়ের ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতির শুমারী অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে মোট ১০৬ টি বাঘের অস্তিত্ব থাকলেও এর আগে ‘পাগ মার্ক’ পদ্ধতির শুমারী অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৫০ টি। শুমারী অনুযায়ী মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে সুন্দরবন থেকে বাঘ কমেছে ৩৪৪টি। ২০০৪ সালের এক গবেষনায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। এর মধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং বাচ্চা ২১টি। সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কয়েক বার বাঘ শুমারী হলেও বাঘের প্রকৃত সংখ্যা কত তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।

    ২০১৫ সালের ৬ জুলাই প্রকাশিত বাঘের ঘনত্ব শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয় অবৈধ শিকার, খাদ্যের অভাব ও প্রকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনে বাঘের অস্তিত্ব কমেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বনদস্যুসহ চোরা শিকারীদের বাঘ শিকার, সুন্দরবনের ভেতরের নদী সমূহে নৌচলাচল ও বনের পাশে শিল্প অবকাঠামো নির্মাণ বাঘের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    ২০১৬ সালে আমেরিকার দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি অর্থায়নে ‘বাঘ প্রকল্পে’ ক্যামেরার সাহায্যে গণনার জন্য খুলনা বিভাগীয় বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ প্রকল্পকে জনবল ও ৭০টি ডিজিটাল ক্যামেরা সরবরাহ করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের বাঘ প্রকল্প ক্যামেরা ট্রাপিং এর মাধ্যমে গণনার কাজ শুরু করে এবং মে মাসে এর কাজ সম্পন্ন করে। এখনো তার ফলাফল পাওয়া যায় নি। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়বে না কমতে পারে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করলেও সুন্দরবনের ৩টি অভয়ারণ্য এলাকায় গাছের সাথে ক্যামেরা বেঁধে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
    বন সংরক্ষক কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মন্দিরা বলেন, সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এখন পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। খুলনা সার্কেলের উপ-বন সংরক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঘ গনণার প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে আগের চেয়ে এখন অধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গণনা কার্যক্রম হচ্ছে। বাঘ প্রকল্পের গবেষনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল¬াহ আল মোজাহিদ বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করেন এ গবেষক।
    পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন বলেন, বাঘ শুমারী একটা কঠিন কাজ। আধুনিক পদ্ধতি গনণা হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
    সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের সূত্র জানায়, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের লোকালয়ে ঢুকে পড়ে গণ পিটুনি, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের জলোচ্ছ্বাসে, বার্ধক্যজণিত কারণে এবং চোরা শিকারীদের হাতে মোট ১৭ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার মারা পড়েছে। এর মধ্যে বন সংলগ্ন মোংলা ও শরণখোলা উপজেলার লোকালয়ে ঢুকে পড়লে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা, স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৪ টি ও সিডরের জলোচ্ছ্বাসে ১ টি বাঘ মারা যায়। আর ৮ টি নিহত হয় চোরা শিকারীদের হাতে। একই সময়ে ১ নারী সহ মোট ২৬ জন বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে ময়না নামের মোংলার জয়মনি এলাকার বৃদ্ধা গ্রাামবাসী ছাড়া সবাই বনজীবি।
    সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন জানান, গত দু’দশকে পশ্চিম বন বিভাগে ১৫ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিহত হয়। এর মধ্যে লোকালয়ে ঢুকে গণপিটুনির শিকারে নিহত হয় ৮ টি। এছাড়া ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রায় দু’দশকে সেখানে ২৩৪ জন নারী-পুরুষ বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই বনজীবি ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে চিংড়ি রেণু আহরণকারী।
    সুন্দরবনের বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মোঃ মদিনুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণে সরকার ‘বাংলাদেশ টাইগার এ্যকশন প্ল্যান ২০০৯-১৭’ বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি, বাঘের আক্রমণ থেকে বন সংলগ্ন লোকালয়ের জানমাল এবং মানুষের হাত থেকে লোকালয়ে চলে আসা বাঘ রক্ষায় ৮৯ টি টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে মানুষের হাতে ৯ টি বাঘ মারা পড়েছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘ রক্ষায় ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআর) কাজ করছে। বাঘ অচেতনে তাদের ৬ টি বন্দুক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
    এদিকে সুন্দরবনের রেকর্ড সংখ্যক বাঘ হ্রাসের জন্য অন্যান্য কারণের সাথে বনজীবিরা জোর দিয়ে যোগ করেছেন বনদস্যুদের কথা। দীর্ঘ দিন সুন্দরবনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কাছ থেকে দেখেছেন অনেক কিছু। তারা বলছেন, প্রায় দু’যুগ ধরে সুন্দরবনে নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রায় ২ ডজন বনদস্যু বাহিনী। একই বনে বাঘের সাথে বসবাস দস্যুদেরও। সুন্দরবন অভ্যন্তরে অবাধ বিচরণ ও রাত্রি যাপনে বাঘের সাথে দেখা হলেই দস্যুরা তাদের হত্যা করে। এর সাথে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে সুন্দরবনের বাঘের চাহিদার বিষয়টিকে যোগ করে এতে বনদস্যুদের দস্যুতা বৃত্তির পাশাপাশি অধিক মুনাফা লাভে বাঘ হত্যার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। অভিযোগ রয়েছে, বাঘ বিলুপ্তির জন্য দায়ী চোরা শিকারীদের গ্রেফতার ও মামলায় র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা দেখালেও বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তেমন কোন সফলতা নেই।

    এব্যাপারে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়ার ষাটোর্দ্ধ আনসার আলী, বনজীবি রাহুল, মান্নান, কওছার, রাশেদুল, আঃ করিম, খালেক গাজী, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামের আমিনুর, নওশাদ, সাত্তার, মুন্সীগঞ্জের দাউদ সানা, মন্তেজ, রাজ্জাক, মুনছুর, রমজাননগর গফুর, সিদ্দিক, জবেদ আলী, সফেদ আলীসহ শতাধিক বনজীবিরা জানান, সুন্দরবন থেকে বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে গবেষক থেকে শুরু করে বনবিভাগ বা দেশী-বিদেশী সংস্থা যাই বলুক বাঘ হত্যার জন্য বনদস্যুরাই সবচেয়ে বেশী দায়ী।
    জানা গেছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড সীমান্তে আন্তর্জতিক বাজারে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল এ সুন্দরবনের বাঘের চামড়া থেকে শুরু করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চড়া মূল্য থাকায় মূলত সুন্দরবনে বনদস্যুরা বাঘ হত্যায় মেতে উঠে। সুন্দরবন বনদস্যুদের এক সময়ের অভয়ারণ্য থাকায় ঐসময়ে ব্যাপক সংখ্যক বাঘ শিকার হয় তাদের হাতে। বর্তমানে সরকার সুন্দরবন রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে তা বাঘ রক্ষায় ঠিক কি ধরণের প্রভাব ফেলছে তা নির্ভর করবে চলতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ে বাঘ শুমারীতে বাঘের প্রকৃত সংখ্যার উপর। তবে আশার কথা, বাঘ সংরক্ষণে মনিটরিং, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কতগুলো বাঘ হত্যা করা হয়েছে বা কতটি মামলা হয়েছে এ ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও জনববল সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট হয় বন কর্মকর্তাদের বক্তব্যে। সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৯ জুলাই পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।

  • জেলায় ৮ জামায়াত নেতা-কর্মীসহ গ্রেফতার ৬৮

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি):  সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮ জামায়াত নেতা-কর্মী এবং ৪ মাদক মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ৬৮ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে শনিবার (২৮ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    এ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০পিস ইয়াবা, ৪৯০ বোতল ফেনসিডিল, ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং একটি মোটরসাইকেল।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ২০পিস ইয়াবা এবং ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ২ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪৯০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৯ জন, শ্যামনগর থানা থেকে উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা ফারুক হোসাইনসহ ১৫ জন, আশাশুনি থানা থেকে ২ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ৬৮ আসামিকে আটক করা হয়েছে।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ আটক ৭২

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয় ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার আট থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    গত মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে (২৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ পিস ইয়াবা, ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং বেশ কিছু জিহাদী বই।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০পিস ইয়াবা, বেশ কিছু জিহাদী বই ও প্রচারপত্রসহ ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে যার মধ্যে ৪ জন জামায়াত-শিবিরকর্মী। কলারোয়া থানা থেকে ১০০গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে ৭ জনকে। ৪ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে তালা থানা থেকে। এ থানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি জিহাদী বই। এছাড়াও কালিগঞ্জ থানা থেকে ৯ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৩জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার সবকটি থানায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু জিহাদী বই ও প্রচারপত্র সহ ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ মোট ৭২ জনকে আটক করা হয়েছে।
  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬১

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ২ জন মাদক মামলার আসামীসহ ৬১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ অভিযান থেকে বেশ কিছু মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।

    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ২৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৯ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন, আশাশুনি থেকে ১ জামায়াতকর্মী এবং ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার আসামীসহ মোট ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।