Category: অপরাধ

  • গুদাম ঘরে আটকে রেখে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক-১

    গুদাম ঘরে আটকে রেখে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক-১

    সাতক্ষীরা : নতুন ব্যাগ দেখানোর কথা বলে নবম
    শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে গুদাম ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা
    চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে সাতক্ষীরা সদর
    উপজেলার বাঁশদহা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জনতা ওই যুবককে
    আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
    আটককৃত যুবকের নাম মোঃ নাঈম ইসলাম (২৩)। সে সাতক্ষীরা
    সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে ও বাঁশদহা
    বাজারের নাঈম কসমেটিকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী।
    সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের এক দরিদ্র ইজিবাইক চালক
    জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর
    ছাত্রী। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর তার
    মেয়ে একটি ব্যাগ কেনার জন্য বাঁশদহা বাজারের নাঈম
    কসমেটিকস সেন্টারে আসে। দোকানদার নাঈম পছন্দের ব্যাগ
    গুদামে আছে বলে তাকে সেখানে নিয়ে যায়। বিকেল তিনটার
    দিকে গুদামঘরের শার্টারের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকা মাত্রই ভিতর
    থেকে শার্টারের দরজা লাগিয়ে দেয় নাঈম। একপর্যায়ে মেয়েটির
    মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘণ্টাব্যাপি
    ধস্তা ধ্বস্তির একপর্যায়ে মেয়েটিকে ভিতরে রেখে সে বাইরে
    এসে শার্টারের দরজা লাগিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে
    আসে নাঈম। মেয়েটির চিৎকারে পার্শ্ববর্তী এক ব্যবসায়ি
    বাজার কমিটি ও মেয়েটির চাচাকে জানায়। মেয়ের চাচা আরো
    এক ঘণ্টা পরে খবর পেয়ে নাঈমের দোকান থেকে চাবি এনে
    গুদামঘরের তালা খুলে ফেলে। একপর্যায়ে তিনি (বাবা) ৯৯৯ এ ফোন
    করলে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ওই ভিকটিমকে উদ্ধার ও নাঈমকে আটক
    করে থানায় নিয়ে আসে।
    মেয়েটির বাবা আরো জানান, কিছু টাকা নিয়ে ঘটনাটি
    চেপে যাওয়ার জন্য বঁ^াশদহা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক
    আজাহারুল ইসলামের মাধ্যমে তার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি
    তাতে রাজী হননি।
    তবে আজাহারুল ইসলামের সাথে এ ব্যাপারে কথধা বলা সম্ভব
    হয়নি। এ ব্যাপারে আটককৃত নাঈম ইসলাম তার নিজ কৃতকর্মের কথা
    স্বীকার করেছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, এ
    ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে নাঈম ঈসলামের নাম উল্লেখ
    করে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের
    সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(৪) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
    আসামী নাঈম ইসলামকে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল
    হাজতে পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নয়ন
    বড়ালের কাছে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে তার বাবার
    জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

  • যে কারণে ২৫২ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি

    যে কারণে ২৫২ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি

    শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকরি থেকে পুলিশের ২৫২ জন প্রশিক্ষণার্থী উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে- শৃঙ্খলা ভঙ্গ ছাড়াও এর পেছনে আরও কারণ রয়েছে।

    এদিকে অব্যাহতি পাওয়া একজন প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে দেওয়া চিঠির কপি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, চিঠিটি গতকাল ২১ অক্টোবর ইস্যু করা হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে- আপনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট এসআই/২০২৩ ব্যাচে গত ২০২৩ সালে ৫ মে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণরত আছেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্যারেড মাঠে গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিট হতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচ-২০২৩ এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন প্যারেড কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়ে পুলিশ একাডেমি কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সকল প্রশিক্ষণার্থীকে প্যারেড বিরতিতে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়। কিন্তু আপনি (প্রশিক্ষণার্থী এসআই) উক্ত সরবরাহকৃত নাশতা না খেয়ে হৈ চৈ করে মাঠের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। আপনি অন্যান্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের পরস্পর সংগঠিত করে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন। এছাড়াও আপনি অন্যদের সাথে হৈ চৈ করতে করতে নিজের খেয়াল খুশিমত প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান।

    একজন প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই হিসেবে এরূপ আচরণ এবং বিনা অনুমতিতে প্যারেড মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলা পরিপন্থি। আপনার এরূপ আচরণ মাঠের সার্বিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে চরমভাবে ব্যাহত করেছে এবং অন্য প্রশিক্ষণার্থীদেরকে শৃঙ্খলা ভঙ্গে উৎসাহিত করেছে মর্মে আপনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি) পুলিশ পরিদর্শক (সঃ) মো. মহসিন আলী বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের প্রেক্ষিতে ৩ অক্টোবর পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (ফিল্ড উইং) মো. সিদ্দিকুর রহমান এতদসংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেন।

    উপরোক্ত অভিযোগের কারণে প্রিন্সিপালের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) তিন দিনের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্ণিত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আপনি নির্ধারিত তিন দিন সময়ের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করেন। আপনার দাখিলকৃত কৈফিয়তের জবাব পর্যালোচনান্তে সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী সরবরাহকৃত নাশতা আপনি না খেয়ে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে হৈ চৈ করে মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান। আপনি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী তথা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেন। একজন প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আপনার এ ধরনের আচরণ চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও অসদাচরণের শামিল। আপনার উপরোক্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদ হিসেবে বিবেচিত সাব-ইন্সপেক্টর পদে কাজ করার পথে বড় ধরনের অন্তরায় ও অযোগ্যতার শামিল।

    এমতাবস্থায় আপনার এহেন শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের কারণে মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে ডিসচার্জ করণের বিষয়ে অনুমোদনের জন্য গত ১২ অক্টোবর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় পত্র প্রেরণ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ট্রেনিং-২) বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১৫ অক্টোবর আপনাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে ডিসচার্জ করণের আদেশ জারির বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকা কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং পিআরবি-১৯৪৩ এর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করেন। এমতাবস্থায় প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অদ্য ২১ অক্টোবর পূর্বাহ্নে ডিসচার্জ করা হলো।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে অব্যাহতি পাওয়া কয়েকজন শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক জানান, ওই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আগে ৪০তম ক্যাডেট এসআই-২০২৩ ব্যাচের উপ-পরিদর্শকদের একাংশকে ১৯-২৩ অক্টোবর ছুটিতে পাঠানো হয়। আগের দিন ১৮ অক্টোবর এই ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় তাদের একাডেমিতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এর আগেই শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শকদের স্থানীয় থানাগুলোয় বরখাস্তের আদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    এ বিষয়ে একাডেমির অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভুঞা বলেন, প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের চাকরি থেকে ‘ডিসচার্জ’ করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেককে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। ৪০তম ব্যাচের আউটসাইডার ক্যাডেট হিসেবে মোট ৮০৪ জন প্রশিক্ষণরত ছিলেন। তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২৫২ জনকে ডিসচার্জ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না। শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাদের ডিসচার্জ করা হয়েছে।

    তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে কেউ বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ক্যাডেট এসআই সদস্যদের ট্রেনিং শুরু হয়েছিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৪ নভেম্বর।

    এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাজশাহীর বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজও হঠাৎ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে সারদায় ২৫২ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

  • সদর থানা ও এটিএম বুথ পোড়ানো মামলার শুনানী পিছালো ২দিন

    সদর থানা ও এটিএম বুথ পোড়ানো মামলার শুনানী পিছালো ২দিন

    সাতক্ষীরা : গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের
    পর সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ
    ও পার্শ্ববর্তী এটিমএম বুধ পোড়ানোর পৃথক মামলায়
    গ্রেপ্তারকৃত জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম
    ফারুক খান মিঠু’র জামিন শুনানী পিছিয়ে আগামি ২৪
    অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ
    চাঁদ মোঃ আব্দুল আলীম আল রাজী আসামী পক্ষের আইনজীবীদের
    জামিন শুনানী শেষে বৃহত্তর শুনানীর জন্য এ দিন ধার্য করেন।
    গ্রেপ্তারকৃত নাসিম ফারুক খান মিঠু সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ
    পলাশপোলের আব্দুস সোবহান খানের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা
    চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় এক
    থেকে দেড় হাজার ক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা, ভাংচুর,
    লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় একই সময়ে থানার
    পার্শ্ববর্তী একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ ভাংচুর ও
    অগ্নিসংযোগ করা হয়। থানা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
    ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক তাপস কুমার ঘোষাল
    বাদী হয়ে অজ্ঞাত এক থেকে দেড় হাজার আসামীর বিরুদ্ধে গত ১৯
    সেপ্টেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। সাবেক যুবদলের সাধারণ
    সম্পাদক নাসিম ফারুক খান মিঠুকে ৫ অক্টোবর শনিবার দিনগত
    রাতে সেনা সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে আটক
    করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন বিকালে তাকে সদর থানায় সোপর্দ
    করা হয়। তাকে থানা ভাংচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত
    ১৪ অক্টোবর তার ৭ দিনের রিমান্ড শুনানি শেষে আমলি আদালত-৩ এর
    বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিন আহম্মেদ তার একদিনের রিমান্ড নামঞ্জুর
    করেন। ওইদিন তাকে এটিম বুথ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
    মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নি¤œ আদালতে জামিন না হওয়ায়
    মিঠু খানের পক্ষে তার আইনজীবীগন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে

    দুটি ক্রিমিনাল মিস কেস দাখিল করেন। মঙ্গলবার ছিল শুনানীর জন্য
    ধার্য দিন।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রবিউল ইসলাম নাসিম
    ফারুক খান মিঠুর জামিন শুনানীর দিন পিছিয়ে ২৪ অক্টোবর
    ধার্য করা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার সুমন; ৫ দিনের রিমান্ডে

    গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার সুমন; ৫ দিনের রিমান্ডে

    যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারি বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

    এদিন সকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তারে আগে সোমবার রাত ১টা ২১ মিনিটে তিনি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তাসহ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই’।

    আর ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রথমেই জানাতে চাই আমি দেশেই রয়েছি। ঢাকা শহরেই আছি। ৫ আগস্টের পর আমি কোথাও যায়নি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে আমি আত্মগোপনে ছিলাম। ৫ আগস্টের পর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে তুমি বিদেশে চলে যাও। কিন্তু আমি যাইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি কোনো দিন দুর্নীতি করিনি। ঢাকা শহরে আমার কোনো প্লট ও ফ্লাট নেই। একটি গাড়ি ছাড়া আমার নামে আর কোন সম্পদ নেই। তারপরও কেন আমি দেশ ছেড়ে যাব।

    তিনি আরও বলেন, আমার নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। যেহেতু আমি আইনজীবী, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে।

    ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার সুযোগ ছিল অনেক সম্পদ করার। কিন্তু আমার পুরো টাকাটা আমি আমার এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগিয়েছি। একটা গাড়ি ছাড়া আমার নামে আর কোন সম্পদ নেই। যে কেউ সে বিষয়ে তদন্ত করতে পারে।

    তিনি আরও বলেন, সংস্কারের সময় আমি এমন এমন মানুষের নামে মামলা করেছিলাম যাদের নামে এখনও মামলা চলমান আছে। ক্ষমতাধর সেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সবার প্রথমে আমিই কাজ করেছিলাম। এগুলো আমি সবই করেছি দেশের জন্যে।

    প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

  • সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে আটক ২

    সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে আটক ২

    অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় এক
    দম্পতিকে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে
    ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কালিয়ানী সীমান্ত থেকে
    তাদের আটক করা হয়।
    আটক দুজনের বাড়ি বাংলাদেশে হলেও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার
    হয়েছে ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র।
    আটকৃতরা হলেন, জেলার কলারোয়া উপজেলার পশ্চিম খোরদো
    গ্রামের মৃত নরিম গাজীর ছেলে মোঃ আজিজুল গাজী (৪৫) ও তার
    স্ত্রী মোছাঃ শাহানারা খাতুন (৪২)।
    বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল
    আশরাফুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়ানি
    বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে
    কালিয়ানি সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে
    যাওয়ার সময় দুইজনকে আটক করে। বিজিবি’র উপস্থিতি টের
    পেয়ে পালিয়ে যায় দুই দালাল। এসময় তাদের কাছ থেকে দেড় হাজার
    বাংলাদেশি টাকা, দুই হাজার ৪৫০ ভারতীয় রুপী, দুটি ভারতীয়
    এনআইডি কার্ড ও একটি ভারতীয় স্মার্টকার্ড উদ্ধার করা হয়।
    তিনি আরো জানান, আটককৃতদের সাতক্ষীরা সদর থানায়
    সোপর্দ করা হয়েছে। একই সাথে তাদের ভারতে পারাপারে সহায়তার
    অভিযোগে দুই দালালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • দীপ্ত টিভি কর্মকর্তার হত্যায় বিএনপি নেতার নাম

    দীপ্ত টিভি কর্মকর্তার হত্যায় বিএনপি নেতার নাম

    রাজধানীর রামপুরায় ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান তামিমকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে তামিমের পরিবার।

    আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. রুহুল কবির খান।

    গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মো. আব্দুল লতিফ (৪৬), মো. কুরবান আলী (২৪), মাহিন (১৮), মোজাম্মেল হক কবির (৫২) ও বাঁধন (২০)।

    মো. রুহুল কবির খান বলেন, এ হত্যার ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মামুন এবং বিএনপি নেতা ও প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের কর্ণধার শেখ রবিউল আলম রবির প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

    ডিসি মো. রুহুল কবির খান বলেন, জমির মালিককে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের পাঁচটি ফ্ল্যাট দেয়ার চুক্তি থাকলেও, তারা দুটি হস্তান্তর করেছে। বাকি তিনটির মধ্যে একটি ফ্ল্যাট অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মামুনের শ্বশুরের কাছে বিক্রি করে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিসের কর্ণধার শেখ রবিউল আলম। ফ্ল্যাটটি তারা অবৈধভাবে জবরদখল করে রেখেছিল। যা নিয়ে গত তিন বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে অভিযুক্তরা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফ্ল্যাটে অতর্কিত হামলা করলে দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তানজিল ইসলাম জাহান তামিম গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির খান বলেন, আমরা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নিচ্ছি না, আমরা অপরাধ ও অপরাধী হিসেবে দেখছি। সে যেই হোক, তার দায় থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দেব।

    এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় শুরুতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবীর বলেন, ‘হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব অবহেলার কারণে ইতোমধ্যে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি।’

    জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পশ্চিম রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের ৪ নম্বর রোডের ডি-ব্লকের বাড়ির আটতলার একটি ফ্ল্যাটে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই লোকজন তামিমকে উদ্ধার করে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • সাতক্ষীরার সাবেক এমপি ও এসপিসহ ৬০ জনের নামে মামলা

    ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র করে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার উত্তর কুলিয়া গ্রামের মারুফ হোসেনসহ দুই জনকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ রুহুল হক, সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা র‌্যাব ক্যাম্পের মেজর আহম্মেদ হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেজাউল হক ও দেবহাটা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার গোলজারসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মারুফ হোসেনের ভাই মোকফুর রহমান বাদি হয়ে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

    আদালতের বিচারক চাঁদ মোঃ আব্দুল আলীম আল রাজী নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইন ২০১৩ এর ৫(৫) ধারা অনুযায়ী ডিআইজি খুলনাকে একই আইনের ২(৩), ২(৪),২(৫), ২(৭), ৭(১), ৮(১), ১৩(১), ১৪(১) ধারা মতে উল্লেখিত আইনে বর্ণিত ধারার আলোকে তিনি নিজে অথবা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পদমর্যাদার নীচে না এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগের তদন্ত করে আগামি ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

    মামলার অপর আসামীদের মধ্যে রয়েছেন, দেবহাটা থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হক, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পারুলিয়ার মনিরুজ্জামান মনি, সখীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার উত্তর কুলিয়া গ্রামের আশরাফুল আলমের ছেলে মারুফ হোসেনের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতা ও তৎকালিন কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হকের বিরোধ ছিল। সাবেক সাংসদ ডাঃ রুহুল হকের সুপারিশে ও পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে ৬ থেকে ৩৩ নং আসামী ও ৪৬ থেকে ৬০ নং আসামীরা ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি বিকেল চারটার দিকে আসামী গ্রাম পুলিশ মঞ্জুরুল ইসলামের কাছ থেকে ভিকটিম মারুফের অবস্থান নিশ্চিত করে নেয়। তারা উপজেলার গোবরাখালি গ্রামের শ্বশুর হাশেম গাজীর বাড়ি ঘেরাও করলে মারুফ পালাতে যেয়ে বালিথা গ্রামের কার্তিক সরকারের বাড়ির খাটের তলায় ঢুকে পড়ে।

    আসামিরা সেখান থেকে তাকে বের করে মারপিট করতে করতে পুলিশ পিকআপে করে দেবহাটা থানার দিকে নিয়ে যায়। পরদিন সকাল ১০টার দিকে কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদৃুল হকের কাছে যায় মারুফের স্বজনরা। ওই দিন সন্ধ্যায় চৌকিদার মঞ্জুর চেয়ারম্যান আসাদুল হকের কথামতো মারুফের শ্বশুর বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসে। ভিকটিমকে ছাড়াতে ওই দিন দুপুর দুটোর দিকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায় মারুফের স্বজনরা। একান্তে কয়েকজন আসামী আলোচনা করার সময়একটি অঙ্গ হানি হলেও জীবনে বাঁচিয়ে রেখে তাকে মুক্তির আবেদন জানান স্বজনরা। চেয়ারম্যান পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলেও এক লাখ টাকা দিয়ে মুক্তির পর বাকী টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।

    একপর্যায়ে গ্রাম পুলিশ মঞ্জুরের কথামত স্বজনরা বাড়ি চলে আসে। ২৬ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নারিকেলী গ্রামের জিয়ার বাড়ির নিকটবর্তী রাস্তার উপর মারুফ ও অপর একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে পিকআপ থেকে নামিয়ে গুলি করে পুলিশ। পরে তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় পিকআপে তুলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে ওই দিন দুপুরে মারুফসহ দুইজনের লাশ সদর হাসপাতালে দেখতে যান স্বজনরা।

    পরে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মারুফের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থনে মারুফের লাশ দাফন করা হয়।

    মারুফকে হত্যার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পুলিশ রাতেই দেবহাটা থানায় ভিকটিমসহ ৫০/৬০জনকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগপত্র শেষে মামলা দুটি বর্তমানে এসটিসি ১৮৭/১৭, ১৮৮/১৭ জজ কোর্টে বিচারাধীন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পেশকার টিটু মল্লিক।

  • সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নামে মামলা

    সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নামে মামলা

    ২০১৩ সালে সাতক্ষীরার সিটি কলেজ মোড়ে মিছিলে গুলিতে নিহত বিএনপি কর্মী মাহামুদুল হাসান
    সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নামে মামলা

    নিজস্ব প্রতিনিধি ২০১৩ সালের ২৮ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা
    সদর উপজেলার সিটি কলেজ এলাকায় মিছিলে চালানো গুলিতে
    বিএনপি কর্মী মাহামুদুল হাসান নিহত হওয়ার ঘটনায় আদালতে
    মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা গ্রামের
    আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল
    কবীর ও সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী
    মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে সোমবার সাতক্ষীরার
    জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
    বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি তদন্ত করে এফআইআর হিসেবে গণ্য
    করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
    কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন
    ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের
    সহসভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন
    সাঈদীর ফাঁসির রায়কে ঘিরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি
    বিকেল চারটার দিকে কদমতলা মোড় থেকে কয়েক হাজার মানুষের
    মিছিল সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মোড়ের দিকে যেতে থাকে। এ
    সময় ৪ থেকে ১৬ নং আসামীরা হাতে আগ্নেয়অস্ত্র, রাম দা,
    লাঠি, কুড়াল ও হকি স্টিক নিয়ে মিছিলে হামলা ও গুলি চালায়।
    পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সহকারি
    পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
    কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও আওয়ামী লীগের খুনী নেতা কর্মীরা
    মিছিলের উপর নির্বিচারে গুলি করিতে থাকে। একপর্যায়ে বাদির
    ছেলে ছাত্রদল কর্মী মাহামুৃদুল হাসানের বুকে গুলি লেগে পিঠ

    দিয়ে বের হয়ে যায়। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর মারা
    গেলে তাকে ভ্যানে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সুরতহাল
    প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই বালিয়াডাঙা সরকারি প্রাথমিক
    বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাযা শেষে মাহামুদুল হাসানের লাশ
    পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
    ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে
    মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ
    হওয়ায় মামলার বিলম্বের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস সামাদ
    জানান, তিন পুলিশ কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগের
    সহসভাপতি আবু আহম্মেদসহ ৪৪ জনের নামে আদালতে মামলা
    দায়ের করা হয়েছে। বিচারক এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য
    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।#

  • নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিসহ ৩১ জনের নামে মামলা

    কালিগঞ্জে বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট শেষে গাড়িসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রে আগুনের ঘটনায়

    নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিসহ ৩১ জনের নামে মামলা

    ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল
    সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাড়ির গেট বোমা মেরে
    উড়িয়ে দেওয়া, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, গাড়ি ও গাড়ির গ্যারেজ
    ভাংচুর শেষে প্রেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা
    দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের
    আকবর আলীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ বাদি হয়ে নলতা ইউনিয়ন
    আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিছুজ্জামান খোকনসহ ৩১ জনের নাম
    উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা
    বিঘœকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন তৎসহ বিষ্ফোরক দ্রব্য
    আইনে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন বড়াল তদন্ত করে
    প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে
    নির্দেশে দিয়েছেন।
    মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
    সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন পাড়সহ তার ছয় ভাই, নলতা
    মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম পাড়, সাবেক
    চেয়ারম্যান আনছার আলী বিশ্বাস ও আজাহারুল ইসলাম পাড়।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল
    সাড়ে চারটার দিকে সশস্ত্র আসামীরা বাদির বাড়িতে ঢুকে মহড়া
    দেয়। আসামী আনিছুজ্জামান খোকনের নেতৃত্বে আবুল
    হোসেন বাদির বাড়ির প্রবেশের মুখের গেট বোমা মেরে উড়িয়ে
    দেয়। সাত থেকে ১১ নং আসামীরা মোনায়েম মাষ্টারের বালতিতে
    থাকা বোমা প্রাচীরের বাইরে থেকে ভিতরে ছুঁড়ে রান্না ঘর ও
    গোয়ালঘর পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাস করতে থাকে। আনছার আলী
    বিশ্বাস তার কাছে থাকা প্লাস্টিক বোতলের প্রেট্রোল দিয়ে ১০
    লাখ ২০ হাজার টাকার মাইক্রোবাস ও আবুল হোসেন সাত লাখ ২০
    হাজার টাকার প্রাইভেটকার জ্বালিয়ে দেয়। কয়েকজন আসামী
    বাদির একটি মাইক্রোঘর ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। বাদি ও তার
    পরিবারের সদস্যরা ভয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে আশ্রয় নেয়।

    আসামীরা বাদির বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটসহ ২০
    লাখ টাকার মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতি করে।
    দেশে সুশাসন না থাকায় ও আসামীরা স্বৈরাচারী সরকারের দোসর
    হওয়ায় বর্তমানে অনুকুল পরিবেশ পাওয়ায় মামলা করিতে বিলম্ব
    হলো।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. হাফিজুর রহমান মামলা
    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • কোরআন তেলাওয়াতে বাধা দেওয়া ঢাবি শিক্ষক পদত্যাগ করে মোনাজাত ধরলেন

    কোরআন তেলাওয়াতে বাধা দেওয়া ঢাবি শিক্ষক পদত্যাগ করে মোনাজাত ধরলেনপদত্যাগের পর অধ্যাপক আব্দুল বাছিরকে নিয়ে কোরআন তেলাওয়াত এবং হাত তুলে দোয়া করেন শিক্ষার্থীরা।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির ডিনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর অধ্যাপক আব্দুল বাছিরকে নিয়ে কোরআন তেলাওয়াত এবং হাত তুলে দোয়া করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ডিন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে অধ্যাপক আব্দুল বাছির মৌখিক পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন।

    এর আগে দুপুর ১২টা থেকে কলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলা অনুষদের সামনে এবং ভিতরে পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তিনি পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন দিয়েছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

    এর আগে বটতলায় রমজান মাসকে স্বাগত জানিয়ে চলতি বছরের গত ১০ মার্চ কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের একদল শিক্ষার্থী।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করায় গত ১৩ মার্চ ওই শিক্ষার্থীদের শোকজ করেছিলেন অধ্যাপক বাছির। তখন বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা হয়। এ বিষয়েও শিক্ষার্থীরা তাকে জিজ্ঞেস করেন।

    শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করার সময় অধ্যাপক আব্দুল বাছির বলেন, আমি নিজ থেকেই আজ পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে যেতে চাইনি, কোরআন তেলাওয়াত নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে চাপের মুখে জবাবদিহি করতে হয়েছে।

    অধ্যাপক আব্দুল বাছির বলেন, প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাকে চাপ দেওয়া হয়েছে। পূর্বে কোরআন তেলাওয়াতে বাধা দেয়ার জবাব দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা ডিন অধ্যাপক আব্দুল বাছিরের রুমে কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দোয়া করেন।

    এ দিকে ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্বৈরাচারের পক্ষাবলম্বন’ করায় চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন পদত্যাগ করেছেন। এর আগে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা অনুষদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

  • আদালতে সাতক্ষীরার সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনের নামে হত্যা মামলা

    ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের মুকুল
    হোসেনের বাড়ির ছাত্রাবাসে পুলিশের গুলিতে
    ছাত্রশিবির নেতা আমিনুর রহমানের মৃত্যুু
    তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর
    সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী
    মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনের নামে আদালতে হত্যা
    মামলা

    ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরার শহরের
    কামাননগরের একটি ছাত্রবাসে ঢুকে ছাত্র শিবিরের নেতা
    আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালিন
    পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের তৎকালিন
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার তৎকালিন
    ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
    দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর
    ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে
    নিহত আমিনুর রহমানের ভাই সিরাজুল ইসলাম(৫৪) বাদি হয়ে
    সোমবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ
    মাম লা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত
    অভিযোগ আমলে নিয়ে (১৫৬(৩) ধারা মতে) এজাহার হিসেবে
    গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
    কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে একজন সহকারি
    পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার মর্যাদার একজন পুলিশ
    কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার তদন্ত করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া
    হয়েছে।
    মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী
    মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার
    কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
    ইনামুল হক, সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম, উপরিদর্শক
    হুমায়ুন কবীর, উপপরিদর্শক বিধান কুমার বিশ্বাস, উপপরিদর্শক

    ইয়াছিন আলী, সহকারি উপপরিদর্শক লিটন বিশ্বাস, সিপাহী
    জাহাঙ্গীর আলম, সিপাহী বেলায়েত হোসেন, সিপাহী জিল্লুর
    রহমান, সিপাহী বাবুল হোসেন, সিপাহী ফারুখ হোসেন,
    সিপাহী শেখ আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশে তৎকালিন কর্মরত
    উপপরিদর্শক আব্দুল হান্নান, উপপরিদর্শক হান্নান শরীফ,
    উপপরিদর্শক আবুজার গিফারী, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট
    থানার সোনাপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসের ছেলে গোয়েন্দা
    পুলিশে কর্মরত মোঃ আলী হোসেন, সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের
    তৎকালিন সিপাহী হাবিবুর রহমান, সিপাহী রাসেল মাহমুদ,
    সিপাহী ওমর ফারুক, সিপাহী আব্দুর রহমান, সিপাহী আবিদুর
    রহমান, সিপাহী আসাদুজ্জামান, সিপাহী বদরুল আলম, শহরের
    দক্ষিণ কামাননগরের আবুল কাশেমের ছেলে আনারুল ইসলাম রনি,
    একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে এসএম ইউসুফ সুলতান ও
    মোকছেদ সরদারের পালক পুত্র মোঃ বাবর আলী।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর
    ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে
    ছাত্রশিবির নেতা আমিনুর রহমান খুলনা ব্রজমোহন মহাবিদ্যালয়
    থেকে ২০১৪ সালে বাংলায় অনার্স মাস্টার্স শেষ করে সাতক্ষীরা
    শহরের কামাননগর কবরস্থানের পাশে জনৈক মুকুল হোসেনের
    বাড়িতে একটি ছাত্রাবাসে থাকতো। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল
    দুপুরে ভাত খাওয়া চলাকালিন তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী
    মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে পুলিশের সোর্স বাবর আলী , যুবলীগ
    কর্মী আনোয়ারুল ইসলাম রনি এসএম ইউসুফ সুলতান, সদর
    সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর
    থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ সদর থানার চারজন
    উপপরিদর্শক, একজন সহকারি উপপরিদর্শক, ছয়জন সিপাহী
    গোয়েন্দা পুলিশের তিনজন উপপরিদর্শক ও আট জন সিপাহী
    মুকুল হোসেনের বাড়ির বাইরে অবস্থান নেয়। বাড়ির গেট ধরে
    ধাক্কা ধাক্কি করার একপর্যায়ে ছাত্রাবাসে থাকা আব্দুল গফুর গেট
    খুলে দেয়। এ সময় পুলিশ ছাত্রাবাসের আটজন সদস্যকে অস্ত্রের
    মুখে জিম্মি করে ফেলে। সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম
    ছাত্রাবাসে থাকা আমিনুর রহমানের পিঠের বাম দিকে গুলি করে।
    আমিনুর মেঝেতে পড়ে গেলে তার পায়েও গুলি করা হয়। একপর্য়ায়ে
    অধিক রক্তক্ষরণে আমিনুর মারা হয়। এ সময় ছাত্রাবাসে থাকা
    কয়েকজন ছাত্র শিবিরের সাত কর্মী গুলিতে জখম হন। তাদেরকে

    পুলিশের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা ৫০০ শয্যা
    হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ ছাত্রাবাস থেকে মটর
    সাইকেল , বাই সাইকলেসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পিকআপ যোগে
    থানায় নিয়ে যায়। ময়না তদন্ত শেষে আমিনুরের লাশ তার ভাই
    হাবিবুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার তারিখে রাতে
    পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত আমিনুরসহ কয়েকজন জখমীর নামে সদর
    থানায় জিআর-৩২৮/১৪ ও ৩২৯/১৪ নং মামলা দায়ের করা হয়। ওই
    সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে
    মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ
    হওয়ায় মামলার বিলম্বের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
    বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ
    আইনজীবী অ্যাড. বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গীসহ পাঁচজন।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. তোজামম্মেল
    হোসেন তোজাম ২৫ পুলিশ সদস্যসহ ২৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে
    দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশের
    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • এবার হাসিনা ও নওফেলসহ ৮৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

    চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ৮৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

    শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে চাঁন্দগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা মোহাম্মদ পারভেজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

    ওসি জাহিদুল কবির বলেন,‘শিক্ষার্থী তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম রনি, চাঁন্দগাও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরার, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমর, কাউন্সিলর এসরারুলের সহযোগী মহিউদ্দীন ফরহাদ, ড্রিল জালাল, ফরিদ, সিটি কলেজের ভিপি তাহসীন, ফিরোজসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাত আরো ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’

    এর আগে, গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন তরুণ নিহত হন। তাদের একজন নগরের আশেকানে ডিগ্রি কলেজের ছাত্র তানভীর আহমেদ (১৯)। তার মাথায় গুলি লাগে। সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় কাউন্সিলর এসরারুল হকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মীকে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। ওইদিন তানভীর ছাড়া গুলিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ও দোকানকর্মী সাময়ন নিহত হন।

  • ছাত্রলীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গরু চুরির মামলা

    ছবি-সংগৃহীত

    সিলেটে পিকআপ ভর্তি গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচটি গরু উদ্ধারসহ ১ জন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। বুধবার (১৫ মে) দক্ষিণ সুরমা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন সুনামগঞ্জের ছাতকের মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজ উদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গৌঁছ উদ্দিন।

    জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত সোয়া নয়টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাতমাইল (ঢাকা-সিলেট) মহাসড়কের খাঁজাকালু গ্রামের রাস্তার সামনে গরু ছিনতাইয়ের অভিযোগে এই মামলা হয়।

    মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার জালালপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (২০), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিলাম গ্রামের ঠিকরপাড়ার মৃত মোবারক আলীর ছেলে সামসুদ্দোহা সাদি (২২), ছব্দলপুর গ্রামের মৃত নছব আলীর ছেলে খসরু মিয়া(৩৬), একই থানার লিটন (২৭), রনি (২৭), মুন্না (৩০), সেবুল (৩০) ও কোতোয়ালি থানার জল্লারপাড় এলাকার জেবু (২৫)। এর মধ্যে মো. বোরহান উদ্দিনকে (২০) গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

  • মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়া হলো আগুন

    পারিবারিক বিরোধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া ১১ মুসল্লিকে পুড়িয়ে মারা হলো। নাইজেরিয়া একটি মুসলিম দেশ। সেখানে প্রায় সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন।

    বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    তারা বলেছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আটকা পড়েন। বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়।

    পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

  • ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ৫০ বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরল

    ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ৫০ বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরল

    যশোর প্রতিনিধি : অবৈধ পথে ভারত গিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে যশোরের  বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরল ৫০ বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরী।
    বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া, চেকপোস্ট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহাবুবুর রহমান।
    ফেরত আসাদের মধ্যে কিশোর ২৮ জন, কিশোরী ২২ জন। তাদের মধ্যে ৪৬ জনের বয়স পাঁচ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে এবং বাকি চারজনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা তারা।
    ফিরে আসারা জানায়, তারা বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছে। দু’দেশের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে তারা। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে তিনটি এনজিও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যাবে।

  • বিজিবি সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অভিযানে   বাকাল চেকপোষ্ট থেকে স্বর্ণেরবার উদ্ধার

    বিজিবি সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বাকাল চেকপোষ্ট থেকে স্বর্ণেরবার উদ্ধার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অভিযানে দায়িত্বপূর্ণ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাজীপুর সীমান্তের (বাকাল চেকপোষ্ট) থেকে ০৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
    বিজিবি’র সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে অদ্য ১৮ মে ২০২৩ তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকায় সাতক্ষীরা গাজীপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ হতে ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, লে: কর্ণেল মো: আশরাফুল হক এর নেতৃত্বে বাকাল চেকপোষ্টের একটি চৌকষ আভিযানিক দল আলীপুর ইট ভাটা সংলগ্ন এলাকায় গোপনে অবস্থান করে। এ সময় চোরাকারবারীরা মোটর সাইকেলযোগে বর্ণিত এলাকায় আগমনের পর বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটর সাইকেল রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া মোটর সাইকেল তল্লাশী করে ০৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে । উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৮১৬ গ্রাম ৪২০ মিলিগ্রাম যার মূল্য ৬৮,০০,৭৭৮/- (আটষট্টি লক্ষ সাতশত আটাত্তর) টাকা। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করতঃ স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • কলারোয়ায় নিজ পুত্র বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার

    কলারোয়ায় নিজ পুত্র বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে নিজের পুত্র বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে যশোর জেলার খয়েরতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত শ^শুর এরশাদ গাজী (৫০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
    শুক্রবার সকাল ১১ টায় র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর জে.এম গালিব হোসেন এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
    তিনি জানান, গত ২ মে সকালে এরশাদ গাজীর পুত্র বধূ নিজ ঘরে অবস্থান করছিল। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে এরশাদ গাজী তার পুত্র বধূর ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গৃহবধূর চিৎকার শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ধর্ষক এরশাদ গাজী এ সময় দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর বোন বাদী হয়ে ধর্ষক এরশাদ গাজীর বিরুদ্ধে ওই দিনই কলারোয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না।
    তবে এ ব্যাপারে এারশাদ গাজী কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
    তিনি আরো জানান, আসামী এরশাদ গাজীকে গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প এর সদস্যরা গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ধর্ষক এরশাদ গাজী যশোর সদর এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প এবং যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথভাবে যশোর জেলার সদর থানাধীন নতুন খয়েরতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী জানায় সে যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে নিজের পুত্রবধূকে ধর্ষন করেছে। তাকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে এই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান।

  • বাল্যবিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি: ইউনিসেফ

    বাল্যবিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি: ইউনিসেফ

    ন্যাশনাল ডেস্ক : বাংলাদেশে ৫১ শতাংশ তরুণীর বিয়ে হয় তাদের শৈশবে। দেশে বাল্যবিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ও বিশ্বের মধ্যে অষ্টম। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৪৫ লাখ নারীর বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। ১ কোটি ৩ লাখ নারীর বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ বছর হওয়ার আগে।  আজ বুধবার বাল্যবিয়ে নিয়ে ইউনিসেফের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।  এতে বলা হয়, বাল্যবিয়ে নির্মূলের ক্ষেত্রে ধীরগতি সবচেয়ে বেশি সাব-সাহারান আফ্রিকায়। ওই অঞ্চলে বাল্যবিয়ের অবসানে ২০০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। গত এক দশকে বাল্যবিয়ে ধারাবাহিকভাবে কমা সত্ত্বেও সংঘাত, জলবায়ুজনিত অভিঘাত ও কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাবসহ একাধিক সংকট এক্ষেত্রে কষ্টার্জিত অর্জনগুলো নস্যাৎ করে দেওয়ার হুমকি তৈরি করেছে। বৈশ্বিক বহুবিধ সংকটে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কঠিন লড়াইয়ের মুখে।বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, শিশুদের বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশে শিশুবধূর সংখ্যা বিস্ময়কর। লাখ লাখ মেয়ের শৈশব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মেয়েরা যেন স্কুলে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে ও তারা যেন পরিপূর্ণভাবে নিজের মধ্যে থাকা সম্ভাবনা অনুযায়ী বেড়ে উঠতে পারে সে সুযোগ দিতে আমাদের জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার।তিনি বলেন, যেসব মেয়ের শৈশবে বিয়ে হয়ে যায়, তাদের তাৎক্ষণিক ও জীবনভর এর পরিণতি ভোগ করতে হয়। তাদের স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা খুবই কম থাকে ও তারা অল্প বয়সে গর্ভধারণের বাড়তি ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, ফলস্বরূপ যা শিশু এবং মাতৃস্বাস্থ্যের জটিলতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। বাল্যবিয়ের এই প্রচলন মেয়েদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব থেকেও বিচ্ছিন্ন করতে পারে এবং তাদের নিজেদের কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত রাখতে পারে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সার্বিক কল্যাণের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

    ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করা মেয়েদের ‘বাল্যবিয়ে’ হওয়ার ঝুঁকি বৈশ্বিক গড়ের প্রায় দ্বিগুণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর চলমান প্রভাবসমূহের কারণে বিগত এক দশকে বাল্যবিয়ের অবসান ঘটাতে মূল্যবান অর্জনগুলোও হুমকির সম্মুখীন বা এমনকি তা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, মহামারিটি ইতোমধ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিহতের সংখ্যা ২০২০ সাল থেকে এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে দিয়েছে।

    ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, বিশ্ব একের পর সংকটে জর্জরিত, যা ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের আশা ও স্বপ্নকে চুরমার করে দিচ্ছে, বিশেষ করে মেয়েদের যাদের বিয়ের কনে হিসেবে নয় বরং শিক্ষার্থী হিসেবে থাকা উচিত। স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব পরিবারগুলোকে বাল্যবিয়ের মতো মিথ্যা ধারণার আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত সর্বশেষ বৈশ্বিক হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী আজ জীবিত প্রায় ৬৪ কোটি মেয়ে ও নারীর বিয়ে হয়েছে তাদের ছোটবেলায়, অথবা বলা যায়, প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লাখ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের ছোটবেলায়। পাঁচ বছর আগে এ বিষয়ে সর্বশেষ হিসাব প্রকাশের পর এ পর্যন্ত শৈশবে বিয়ে হয়ে যাওয়া তরুণীর সংখ্যা ২১ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ের অবসান করার যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণের জন্য বিশ্বব্যাপী ওই কমার গতি ২০ গুণ দ্রুততর করতে হবে। 

    ক্যাথরিন রাসেল বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি যে বাল্যবিয়ের অবসানে অগ্রগতি সম্ভব। তবে এর জন্য বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে থাকা মেয়ে ও পরিবারগুলোর জোরালো সমর্থন প্রয়োজন। মেয়েদের স্কুলে টিকিয়ে রাখার বিষয়ে এবং তাদের অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করার দিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।