Category: অপরাধ

  • কালিগঞ্জে হত্যাসহ আটটি নাশকতা মামলার আসামী বহিস্কৃত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হেলালী বেপোরায়া


    সংবাদ দাতা: হত্যা ও নাশকতাসহ আটটি মামলার আসামী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের হেলালী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান গত রোববার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
    দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক সরদার জানান, নয় বছরে দাখিল পাশ করা অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের হেলালী ২০১২ সালের ৩১ মার্চ ফতেপুর গ্রামের মিতা রানী বালা, লক্ষীপদ মণ্ডলসহ বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর জেল হাজতে যান। এক মাস ১২দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পেলেও বিধি মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া তিনি ২৯১২ সালের ৩১ মার্চ আব্দুল হাকিম এর বাড়ি ভাঙচুর , ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসয়ংযোগ, ফতেপুর হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলে ভাঙচুর মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী। এ ছাড়া তিনি বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলী হত্যা মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে শ্রীধরকাটি গ্রামের ইউপি সদস্য ছিদ্দিকুর রহমানের উপর হামলা, গড়ের কান্দায় পুলিশের সঙ্গে বনদুকযুদ্ধে আশরাফুল ইসলাম বাবু আহত হওয়ার মামলা, কালিগঞ্জের নলতা ও কালিকাপুরে নাশকতাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। তার দায়েরকৃত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কথা বলে চিঠি দিলেও তা না মেনে প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর না আসার অভিযোগ রয়েছে। এরপরও তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য জামায়াত শিাবরের পৃষ্টপোষক সিরাজুল ইসলাম ও রঘুনাথপুর গ্রামের রেজাউল করিমকে নিয়ে গত ২৮ মার্চ মাদ্রাসায় এসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে হুমকি ধামকি দেন। তাকে অধ্যক্ষের চেয়ার না দিলে অফিসরুম ভাঙচুর করার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গত ৩১ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরীর খবর পেয়ে হেলালীসহ তাদের পক্ষের লোকজন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান সাধারণ ডায়েরীর তদন্ত করতে বুধবার মাদ্রাসায় এলে তার সামনে হুমকি ধামকি দেন সিরাজুল ইসলাম ও রেজাউল করিম।
    বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসায় গেলে আব্দুল কাদের হেলালী, সিরাজুল মেম্বর ও রেজাউল করিমকে শিক্ষকদের রুমে ঢুকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে দেখা যায়। কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান সেখানে ইউনিফর্ম ছাড়া জিডি তদন্তে এসেছেন বলে দেখা যায়।
    জানতে চাইলে আব্দুল কাদেতর হেলালী বলেন, তিনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বঞ্চনার শিকার। তাই সিরাজুল ইসলাম ও রেজাউল করিমের সহযোগিতায় চাকুরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
    কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর আব্দুল কাদের হেলালীকে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বা আদালতের আদেশ ছাড়া প্রতিষ্ঠানে না আসার জন্য বলা হয়েছে। এর ব্যত্তয় হলে আব্দুল কাদের হেলালীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • শ্যামনগরে বৃদ্ধ পিতাকে ব্যবহার করে ভাই-বোনদের সম্পত্তি আত্মসাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগরে বৃদ্ধ  পিতাকে ব্যবহার করে ভুল বুঝিয়ে আত্মসাতের চেষ্টায় দুই ভাই ষড়যন্ত্র করে অপর একভাই ও ৫ বোনের শরীক অংশ আত্মসাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে বোনদের পক্ষে বড় ভাই শ্যামনগর সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড় ভাই হাজী শাহাদাৎ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী গ্রামের এম এম সামসুল হকের ৪ পুত্র ও ৫ কন্যা। শাহাদাৎ হোসেন সামছুল হকের বড় পুত্র। পিতা সামছুল হক নওয়াবেঁকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিল। বর্তমান তিনি ৯৫ বছরের বৃদ্ধ ও মতিভ্রম হয়ে পড়েছেন। এ সুযোগে পরসম্পদ লোভী দুই ভাই এম এম সাইফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান বৃদ্ধ ও মতিভ্রম পিতাকে ব্যবহার করে অন্য ভাইবোনদের শরীক অংশ আত্মসাতের লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ষড়যন্ত্র করে আটুলিয়া ও নওয়াবেঁকী মৌজার জেএল নং- ১০৭ ও ১০৮, ডিপি খতিয়ান- ৬২২,৪৪৫, সাবেক দাগ- ৫০৯৯, ৫০৯৫, হাল দাগ- ১০৮৫, ১০৮৪, ১০৮৩, ১০৯১, জমির পরিমান ৬ একর ৭ শতক সম্পত্তিতে তাদের শরীক অংশ যাহাতে আত্মসাৎ করতে না পারে সে দাবিতে সেলিনা আক্তার, নার্গিস আক্তার, নাসরিন আক্তার, নাজমা আক্তার ও কামরুন নাহার-এ ৫ বোনের পক্ষে বড় ভাই শাহাদাৎ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সাব রেজিষ্ট্রার শ্যামনগর বরাবর অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।

  • আশাশুনিতে শিক্ষক বদলীতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ


    আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলীর ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে উপজেলার অপেক্ষাকৃত যোগাযোগে দুর্বল এবং উপরের কর্তাদের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ শিক্ষকরা বদলীর সুযোগ বঞ্চিত হয়ে স্ব-কর্মস্থলে কষ্টের ঘানি টানতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে সোনার হরিণ নামে খ্যাত শিক্ষক বদলীর গোপনীয়, চাতুরতায় ভরপুর ও কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থের ব্যবহারের কারবার ঘটার অভিযোগ বেশ জোরে শোওে জেটে উঠেছে। বিশেষ করে মার্চ মাসের পুরো সময়টাই উপজেলা শিক্ষা অফিস বেশ শোরগোলের মধ্যে শিক্ষকদের পদচরনায় উঠছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত)-এ বলা হয়েছে, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃবিদ্যালয় বদলির অনুমোদন প্রদান করে থাকেন। সহকারী শিক্ষক পদে চাকরীর মেয়াদ ন্যুনতম ২বছর পূর্ণ হলে এবং পদশূণ্য থাকলে বদলী করা যাবে। এছাড়া যে কোন বদলির পর ৩ বছর অতিক্রান্ত না হলে কোন শিক্ষক পুনঃ বদলির জন্য বিবেচিত হবেন না। কিন্তু আশাশুনিতে সে নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খেজুরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেহেনা খাতুনকে ৩ বছর পূর্ণ না হলেও গুনাকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। অপরদিকে চাপড়া পূর্বপাড়া সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয় ও বেউলা সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে বদলির খেলায় বেশ চমক দেখান হয়েছে। চাপড়া স্কুলের সহকারী শিক্ষক পিতর বসাককে বেউলা বদলির জন্য সিনিঃ হিসাবে তালিকা নোটিশ বোর্ডে দিয়ে চাপড়া স্কুলে পদ শূন্য দেখিয়ে নোটিশ বোর্ডে তালিকা টানানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আবেদনের সময় শেষ হয়ে গেলেও এবং নোটিশ বোর্ডে বদলি ও পদশূন্য সংক্রান্ত তালিকা লটকানোর পরে সকল নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেউলা স্কুলের জন্য পুনরায় তহমিনা খাতুন নামে এক শিক্ষকের আবেদন নেওয়া হয়। কিন্তু আরও আশ্চার্যের বিষয় হলো, তহমিনা বা পিতর বসাককে বদলির জন্য নির্বাচিত করা হলেও তদন্তস্থলে বিধান নামে এক শিক্ষককে প্রতিস্থাপনের নোটিশ টানানো হয়েছে। যা শিক্ষকমহলকে হতভম্ব করে দিয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উপজেলা/থানায় কোন পদ শূন্য হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থীগণ সেই পদে বদলির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন। তবে একাধিক পদ শূন্য থাকলে অন্য উপজেলার শিক্ষকগণও একই ভাবে বদলির জন্য বিবেচিত হতে পারবেন। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার তার নিজ অধিক্ষেত্রের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যালয় ভিত্তিক শূন্য পদের তথ্যাদি প্রধান শিক্ষকদের ডিসেম্বর-মার্চ মাসে অনুষ্ঠেয় মাসিক সমন্বয় সভায় ঘোষণা করবেন এবং বহুল প্রচারের নিমিত্ত তা উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসের নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শণের ব্যবস্থা করবেন। নিয়ম থাকলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়মের তুয়াক্কা না করে, আশাশুনি উপজেলার যোগ্য ও বদলিতে আগ্রহি শিক্ষকদের না জানিয়ে গোপনে ও কিছুটা চাতুরতার মাধ্যমে আবেদনের সময়ের শেষ দিনে পদ শূণ্য দেখিয়ে (আশাশুনির শিক্ষকরা না জানলেও বাইরের উপজেলার শিক্ষকদের জানার ব্যবস্থা করে) ৮টি পদে অন্য উপজেলার শিক্ষক বদলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মধ্যে দেবহাটা থেকে প্রমিলা সরকারকে সবদালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, শ্যামনগর থেকে মনিরুল ইসলামকে বসাখুলী স্কুলে, শ্যামনগর থেকে শরীফা খাতুনকে কল্যানপুর স্কুলে, তালা থেকে বিথিকা রায়কে উত্তর বড়দল স্কুলে, কয়রা থেকে ফারহানা সুলতানাকে পাইকপাড়া স্কুলে, তালা থেকে রীতারানী কুন্ডুকে বেউলা স্কুলে, দাকোপ থেকে রেহেনা পারভিনকে দঃ চাপড়া স্কুলে ও শ্যামনগর থেকে সাথী রানীকে কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। আরও আশ্চার্যের বিষয় হলো এসব স্কুলের অধিকাংশতে একই সাথে একাধিক পদ শূণ্য দেখানো হয়নি। বরং একটি গোপনে শেষ মুহুর্তে ও অন্যটি নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে প্রকাশ্যে দেখান হয়েছে। যাতে গোপনে ও শেষ মুহুর্তের শূন্য ঘোষিত পদে স্থানীয়দের আবেদনের সুযোগ না পায়। এদিকে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেনা খাতুনকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা অফিসার প্রভাব খাটিয়ে বদলির আবেদনে স্বাক্ষর নিয়ে উক্ত স্কুলে শূন্যপদ সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিকরা রোববার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে গেলে তাদের সামনে উপজেলা শিক্ষা কমিটির একজন সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট একজন উপরোক্ত অভিযোগ আনেন। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে শিক্ষা অফিসার হেনা খাতুনকে বদলি হতে চান না এমন আবেদন করতে পরামর্শ প্রদান করেন। কিন্তু কেন তার থেকে এমনটি করা হলো সে ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসাঃ শামছুন্নাহার বলেন, রেহেনার বিষয়টি কিভাবে হয়েছে বুঝতে পারছি না। তবে বেউলা ও চাপড়ার বিষয়টি নিয়ে এলোমেলো ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেন। অন্য উপজেলা থেকে আগতদের ব্যাপারে আশাশুনির শিক্ষকরা জানতে পারলো না কেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি শেষ মুহুর্তে নোটিশ বোর্ডে ঝুলানো হয়েছিল, কেবল একজন করে আদেবন করায় তাদেরকে বদলির তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক ও স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।

  • শ্যামনগর  অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে : প্রশাসন নিরব

    শ্যামনগর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে : প্রশাসন নিরব


    শ্যামনগর ব্যুরে॥ মহামান্য হাইকোর্ট এর ১৬৩৯২/২০১৭ নং রীটপিটিশন আদেশ অমান্য করে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদী ভাঙন এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বালী উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। এমন অবস্থা অব্যহত থাকলে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। ১৪২৪ ও ১৪২৫ সালে শ্যামনগর উপজেলায় কোন বালু মহল ঘোষনা না হলেও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন চলছে। রীটপিটিশনের আদেশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাগফারা তাজনীন গত ১৮/০১/২০১৮ তারিখে ৭৮ নং স্মারকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র প্রেরন করে। এরপরও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ কৌশলী এ্যাডঃ মোঃ হুমায়ন কবীর গত ১৯/১১/২০১৮ ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পর গত ০৩/১২/২০১৮ ইং তারিখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এম,এম মাহমুদুল রহমান ১৯৭৯ নং স্মারকে রীটপিটিশনের উধৃতি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আর একটি পত্র প্রেরন করেন। অথচ এ সমস্থ নির্দেশ অমান্য করে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান মোটা অংকের উকোচ নিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা নদী ভাঙন এলাকায় ড্রেজার মেশিনে ও লোকালয়ে বোরিং করে বালু উত্তোলন করছে। বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের পাশে ফেরদৌস নামে এক ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছে। এ বিষয়ে ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শ্যামনগর ইউএনও স্যারের নির্দেশে বালু উত্তোলন করছি। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছে ফেরদাউস। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার জানা নেই , তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দেখি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এম এম মাহমুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে জানান। এরপরও বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
    সম্প্রতি বুড়িগোয়ালিনী মাসুদ মোড়ে আব্দুর রশিদ তরফদার এর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে সেখানে সংশ্লিষ্ট তহশিলদার পাঠিয়ে পয়সা নিয়ে নিশ্চুম রয়েছে। অথচ অবৈধ ভাবে উঠানো বালু জব্দ করে প্রকাশ্যে নিলাম দেন নাই। কলবাড়ী গ্রামের মকছেদ মোল্যার বাড়ীর পাশে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি ওই একই ভাবে রয়েছে।

  • রায়ের আগেই জমি জবরদখলের অভিযোগ: তালায় প্রশাসনকে ভূল বুঝিয়ে একই জমির দ্বিতীয় দফায় বন্দোবস্ত গ্রহন ॥ উচ্চাদালতে আপীল


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
    সাতক্ষীরা তালায় কলাপোতা এলাকায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে প্রায় ১ বিঘা জমির বন্দোবস্ত নিয়ে অন্যের দখলীয় পুকুর থেকে মাছ মেরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ভূক্তভোগী মহিউদ্দীন বিশ্বাস তালা থানায় উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন।

    ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগে প্রকাশ,তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের আ: মজিদ বিশ্বাসের ছেলে মো: মহিউদ্দীন বিশ্বাস গং ১৯৪৭ সালের পূর্ব থেকে পৈত্রিক সূত্রে ভোগ-দখল করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ঐ সম্পত্তির দীর্ঘ দিন খাজনা বকেয়া থাকায় খাস খতিয়ানে চলে গেলে সরকার তা অন্যত্র ব্যাংক অব কমার্স খুলনার নিকট বিক্রি করে দেয়। পরে ব্যাংকের নিকট থেকে জনৈক বাদল চন্দ্র সাধ ও পরে ফের তারা বাদল চন্দ্রের নিকট থেকে কোবলা মূলে খরিদ করে সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভোগ-দখল করে আসছিল।

    ইতোমধ্যে উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকার জনৈক আ: সাত্তার গং সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষদের ভূল বুঝিয়ে ও তথ্য গোপন করে ঐসম্পত্তির প্রায় ৩১ শতাংশ সম্পত্তি ফের সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয়। বিষয়টির খবর পেয়ে জমির মালিক মোছাম্মাৎ সখিনা খাতুন গং প্রথমে সাতক্ষীরা এডিশনাল জেলা ৩য় আদালতে একটি মামলা করেন। এতে সরকারের পক্ষে রায় হলে পরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি আপিল মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

    সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদার বিবাদমান সম্পত্তির পুকুরে স্যালো মেশিন লাগিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সেচ কার্যক্রম শুরু করে। খবর পেয়ে তারা তাদেরকে পুকুরের পানি না সেচতে অনুরোধ করলেও তারা কারো কোন কথায় কর্ণপাত না করে সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এমতাবস্থায় তারা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় তালা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

    এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দফায় দফায় শালিসী বসলেও তারা কারো কথা মানতে নারাজ। ভূক্তভোগী পরিবারসহ শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর দাবি,এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা আ: সাত্তার শেখ গংদের প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    এব্যাপারে তালা উপজেলার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাঈদুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে তারা উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজ পত্রাদিসহ পুলিশ ক্যাম্পে উপস্থিত হয়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিে উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • অবহেলা ও অবব্যস্থাপনার মধ্যে চলছে সাতক্ষীরা সরকারী বক্ষব্যধি ক্লিনিক : ব্যবস্থাপত্র লিখছেন নার্সে, টেকনিশিয়ান না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এক্স-রে মেসিন

    অবহেলা ও অবব্যস্থাপনার মধ্যে চলছে সাতক্ষীরা সরকারী বক্ষব্যধি ক্লিনিক : ব্যবস্থাপত্র লিখছেন নার্সে, টেকনিশিয়ান না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এক্স-রে মেসিন




    গোলাম সরোয়ার ॥ চরম অবহেলা ও অবব্যস্থাপনার মধ্যে চলছে সাতক্ষীরার একমাত্র সরকারী বক্ষব্যধি ক্লিনিক। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ শুন্য দীর্ঘদিন। একজন মেডিকেল অফিসার ভারপ্রাপ্ত থাকলেও সপ্তাহে ৫দিন আসেন না। প্যাথলজিষ্ট নেই, টেকনিশিয়ান না থাকায় নষ্ট হতে চলেছে মুল্যবান সরকারী এক্স-রে মেসিন। উচ্চমান সহকারী যিনি অন্যত্র ডেপুটেশনে রয়েছে। রোগী এলে রোগের বিবরন শুনে ব্যবস্থাপত্র লিখছেন একজন নার্স।

    গতকাল সাতক্ষীরা শহরের বাটকেখালী এলাকায় অবস্থিত বক্ষব্যধি ক্লিনিকে সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেল এই ক্লিনিকে আগত বক্ষব্যধি রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখছেন সনিয়া খাতুন নামে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা একজন স্টাফ নার্স। কি ভাবে বক্ষব্যধির মত জটিল রোগীর ব্যবস্থাপত্র বা ওষুধ লিখছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ডাক্তার না থাকায় রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখছি। কিন্ত এটি আসলে আমার কাজ নয়।

    কথা হয় এ হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের হামিজদ্দীনের সাথে। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে কাশির সাথে রক্ত উঠছে। তাই জরুরী ভাবে চিকিৎসা নিতে আসেন বক্ষব্যধি হাসপাতালে। কিন্ত এখানে এসেই হতাশ হয়েছেন তিনি। ডাক্তার না থাকায় একজন নার্স ওষুধপত্র লিখে দিলেন তাকে। এমনকি বুকের এক্স-রে অন্যান্য পরিক্ষাও করতে পারেননি তিনি।

    সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা বদর উদ্দীন জানান, বুকের চিকিৎসা করতে এসে পর পর দুই দিন ফিরে গেছেন ডাক্তার না থাকার কারনে। এই হাসপাতালের একজন মহিলা অফিস সহায়কের পরামর্মে বাইরে থেকে বুকের এক্স-রে করে নিয়ে এসেছিলাম। এক্স-রে করার পর একজন নার্স তাকে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

    এই হাসপাতালের ফার্মাসিষ্ট পদে নিয়জিত নিভা মজুমদার জানান, এখানে বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। একজন মেডিকেল অফিসার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করলেও তিনি সপ্তাহে একদিন বুধবার আসেন। সপ্তাহের অন্যান্য দিন সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালে থাকেন। এছাড়া টেকনিশিয়ান না থাকায় এ হাসপাতালের এক্স-রে মেসিনটি ঘরের মধ্যে তালা বদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্যাথলজিষ্টের পদও বহুদিন শুন্য থাকায় মুমুর্ষ রোগীরা পরিক্ষা-নিরিক্ষা করতে পারছেন না। একই ভাবে এ হাসপাতালের বড়বাবু বা উচ্চমান সহকারীও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন।

    এব্যাপারে বক্ষব্যধি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানভীর আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার রফিকুল ইসলাম অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন জানিয়ে বলেন, মুলত দেশব্যাপী সরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোতে ডাক্তারসহ অন্যান্য লোকবল সংকট। তার পরও এব্যাপারে সাতক্ষীরা ফিরে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।

  • কুলিয়ায় সরকারী খাল দখলের মহোৎসব

    কুলিয়ায় সরকারী খাল দখলের মহোৎসব


    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের শশাডাঙ্গায় সরকারী খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, কুলিয়া ইউনিয়নের শশাডাঙ্গা ডেতপোতা খালটি কুলিয়া ইউনিয়নের বৃহত্তম৭, ৮ও ৯ নং ওয়ার্ড এর হাজার হাজার বিঘা ঘেরের পানি উঠানো ও নিষ্কাশনের একমাত্র পথ।কিন্তু অত্র এলাকার কিছু প্রভাবশালী স্বার্থন্বেশী মহল গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে উক্ত খালটির দুইপাশে দখলদারিত্ব উৎসবে মেতে উঠেছে। শশাডাঙ্গা ব্রীজের দুই পাশে কেয়ামদ্দীন গাজীর পুত্র বিএনপি নেতা বহু নাশকতা মামলা ও অস্ত্র মামলার আসামী মোকছেদ আলী, বিমল সরকারের ছেলে ইন্দ্রজিৎ, সাহাবুদ্দীন সহ দোকানঘর, হ্যাচারী, মাছের ডিপো, মাছের সেঠ নির্মান করেছে।এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন খাল গুলি দখল করার কারনে প্রতি বছর সুষ্ঠ ভাবে ঘেরে পানি উত্তোলন ও নিষ্কাশন সম্ভব হয় না।যার কারনে বর্ষায় ঘের গুলি প্লাবিত হয়ে ঘের ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।অনেকবার খালটি দখল মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও আমরা কোন সুফল পায়নি।এব্যাপারে আগামী বর্ষার আগে উক্ত খালটি দখল মুক্ত করার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোর হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।

  • বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ভোঁ দৌড় সাতক্ষীরা সীমান্তে খাটাল মালিক মন্টুর গোয়ালঘর থেকে দু’টি ভারতীয় চোরাই গরু উদ্ধার

    বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ভোঁ দৌড় সাতক্ষীরা সীমান্তে খাটাল মালিক মন্টুর গোয়ালঘর থেকে দু’টি ভারতীয় চোরাই গরু উদ্ধার


    অবৈধপথে নিয়ে আসা অন্যের মালিকানাধীন দু’টি ভারতীয় গরু উদ্ধার করেছে বিজিবি। রোববার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী পদ্মশাঁখরা গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে খাটাল মালিক মন্টু সরদারের গোয়ালঘর থেকে এ গরু উদ্ধার করা হয়।
    সরেজমিনে রোববার দুপুরে পদ্মশাঁখরা গ্রামে গেলে কোহিনুর ক্লাবের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা রজব আলী, সালেহা খাতুন, সাহেব আলীসহ কয়েকজন জানান, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ি বাবুর আলী ও আব্দুস সালাম চার দিন আগে সাতটি ভারতীয় গরু হাড়দ্দহ এক নং ঘাট দিয়ে এলাকায় নিয়ে আসে। বিজিবি খবর পেয়ে ধাওয়া করায় দু’টি গরু ভেড়িবাঁধের উপর রেখে তারা পাঁচটি গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। বাকী দু’টি খাটাল মালিক মন্টু সরদার, লম্বা খোকন ও আমিন মাষ্টার কৌশলে অন্যত্র আটকে রাখে। ২৩ মার্চ মন্টু সরদার ওই গরু বাড়ির গোয়ালঘরে নিজের বকনা গরুর সঙ্গে রেখে দিয়ে তালা দরজায় তালা মেরে রাখে। বিষয়টি তারা জানতে পেরে ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে মন্টু ভোঁ দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। রোববার রাত আটটার দিকে ভোমরার বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ওই গরু উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত গরুর দাম প্রায় দু’ লাখ টাকা।
    খাটাল মালিক মন্টু সরদার সোমবার বিকাল চারটায় মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় ব্যবসায়িদের কথামত হারানো দু’ গরুর সন্ধানদাতাদের ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে রোববার ভোটগ্রহণ চলাকালিন তার গোয়ালে রাখা হয়। বিজিবি খবর পেয়ে ওই গরু নিয়ে যায়। সে সময় তিনি শাখরা বাজারে ছিলেন।
    ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মজিবুর রহমান সোমবার দুপুর আড়াইটায় সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারকৃত ভারতীয় গরু জব্দ তালিকা করে ৩৩ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে।
    বিজিবি’র ৩৩ ব্যাটালয়নের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার গরু দু’টি নিলামের জন্য কাস্টমস এ জমা দেওয়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আশাশুনির সরাপপুরে লাল্টু বাহিনীর সন্ত্রাস

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আশাশুনির সরাপপুরে লাল্টু বাহিনীর সন্ত্রাস


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
    সন্ধ্যা হতেই এলাকার চিংড়ি ঘেরগুলি হয়ে যায় লাল্টু বাহিনীর। ইচ্ছামতো লুটপাট করে লাল্টু ও তার বাহিনী। ১৩ টি নাশকতার মামলার এই দুর্ধর্ষ আসামি লাল্টু পথে ঘাটে যাকে তাকে মারধর করে এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করেছে। সে এলাকায় চাঁদা দাবি করে থাকে। চাঁদা না দিলে উল্টো মারধর করে। প্রতিবাদ করলেও বাহিনী নিয়ে হামলা করে।
    মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার সরাপপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক হুমায়ুন কবির। তিনি ফিংড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। এ সময় তার সাথে চিলেন এলাকার মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য আলমগীর কবির, মো. নাসরুল্লাহ ফিরোজ, মো. শহিদুল ইসলাম ও বায়েজিদ শরাফিসহ এলাকার কয়েক ব্যক্তি।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তার ছেলে আবেদিন শরাফী ব্যাংদহা কউিনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে কর্মরত। গত নভেম্বর মাসে তাকে সরাপপুরের শাহাদাত হোসেনের পুত্র লাল্টু এলাকার ঘের তেকে লুটপাট করে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় সে ও তার দুই সহযোগী রশিদ ও সাইফুল্লাহ ভেলু আবেদিন শরাফীকে মারধর করে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হলে সে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিতে থাকে। এরপর আরও একদিন আবেদিনকে মারধর করার চেষ্টা করলে তার স্ত্রীর বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়। লাল্টু এলাকার মানুষের গরু ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। বাধা দিলে বলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবো। বাড়াবাড়ি করলে লাশ ফেলে দেবো। এ নিয়ে সাতক্ষীরার পত্র পত্রিকায় রিপোর্টও প্রকাশিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির আরও বলেন গত ১০ মার্চ তার পুত্র আবেদিন শরাফি শান্ত অফিসে যাচ্ছিল। এ সময় লাল্টু , সাইফুল্লাহ ভেলু ও রশিদ তাকে লোহার রড, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তার হাত পা ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
    হুমায়ুন কবির এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান । তিনি এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি বলেন কেবলমাত্র প্রতিবাদ করায় তার ছেলের ওপর হামলা হয়। তিনি লাল্টু ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

  • সুন্দরবন: র‌্যাবের সাথে বনদস্যু বাহিনীর গুলি বিনিময়:বাহিনী প্রধান সহ নিহত-২

    সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছি এলাকায় বনদস্যু সাহেব আলী বাহিনীর সাথে র‌্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় বাহিনী প্রধান সাহেব আলীসহ দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় আটক করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

    ঘটনা স্থল থেকে র‌্যাব সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্যামনগর উপজেলার কলাগাছিয়া খালে এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, গোলাগুলিতে র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন কনস্টেবল আরিফ ও শাকিল।
    নিহত বনদস্যুরা হলেন, বাহিনী প্রধান সাহেব আলী (৩৫) ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হাবিবুর রহমান (২৮)।

    র‌্যাব -৬ এর লে. কমান্ডার জাহিদুল কবির জানান, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া খালে বনদস্যু সাহেব আলী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি ও অপারেশন অফিসার এ.এসপি তোফাজ্জেলের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা র‌্যাবের উপর গুলি বর্ষণ করে। র‌্যাব ও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি বন্দুকযুদ্ধে সাহেব আলী বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বাহিনী প্রধান সাহেব আলীসহ দুইজনকে আটক করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, ঘটনা ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবরুদ উদ্ধার করা হয়েছে এবং র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

  • সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেতা বাড়ির ছাদে অস্ত্র ফেনসিডিল


    সাতক্ষীরা সীমান্তের দক্ষিন তলুইগাছায় এক যুবলীগ নেতা বাড়ির ছাদের ওপর থেকে একটি পাইপ গান ও ৮৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বাঁশদহা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মাসুদ রানাকে। মাসুদ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক।
    তলুইগাছা বিজিবি ক্যাম্প অধিনায়ক সুবেদার অলিউল ইসলাম জানান গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাসুদ রানার বাড়িতে সোমবার রাতে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় তার বাড়ির ছাদের ওপর থেকে জব্দ করা হয় একটি পাইপ গান , নয় রাউন্ড গুলি ও ৮৮ বোতল ফেনসিডিল।
    এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।

  • কৃষ্ণনগরে পল্লীতে রাতের আঁধারে কৃষকের লাউ গাছ কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা

    কৃষ্ণনগরে পল্লীতে রাতের আঁধারে কৃষকের লাউ গাছ কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা


    কৃষ্ণনগর(কালিগঞ্জ)প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে হোসেনপুর গ্রামে এক লাউচাষীর লাউ গাছ রাতের আঁধারে কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর গ্রামের বেলায়েত মোল্যার পুত্র আরশাদ আলী পার্শ্ববর্তী নজরুলর ইসলামের ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ১৬০০ লাউয়ের চারা রোপণ করেন। কয়েকদিন যেতে না যেতেই লাউ গাছ গুলো ফুলে ফলে ভরে যায়। কিন্তু হায়রে কপাল! কে বা কাহারা রাতের আঁধারে লাউযুক্ত গাছগুলো উপড়ে বিনষ্ট করে দেয়। ভোর না হতেই আরশাদ আলী ক্ষেতে যেয়ে এ ক্ষতিকারক দৃশ্য দেখতে পায়। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিষয়টি জানালে এদৃশ্য দেখার জন্য ক্ষেতে আসেন এবং এ ঘটনার জন্য তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। ঘটনার তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক সহ এলাকাবাসী।

  • জেল খানার এক কয়েদীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা জেল খানার এক কয়েদীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে, জেল কতৃপক্ষের দাবী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি স্ট্রোকে মারা গেছেন। মৃত্য ব্যক্তির নাম মাজহারুল ইসলাম নামে। তিনি সাতক্ষীরা শহরের নাহার মটরস’র মালিক ও শহরের পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা।

    সাতক্ষীরা জেল সুপার আবু তাহের জানান, মাস দুয়েক আগে একটি মাদক মামলায় তিনি জেলে আসেন। আজ মঙ্গলবার বিকালে জেলখানায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। স্ট্রোক জনিত রোগে তার মৃত্যু হয়েছে।

  • জেলায় ৬৩ জন আসামি গ্রেফতার ও ৪ শত ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঃ জেলায় ৬৩ জন আসামি গ্রেফতার ও ৪ শত ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
    প্রকাশ, সাতক্ষীরা সদর থানায় ১৪ জন আসামি ও ৪ শত ২৫ বোতল ফেনসিডিল, কলারোয় থানায় ৬ জন আসামি, তালা থানায় ৭ জন, কালিগজ্ঞে ৭ জন, শ্যামনগরে ১০ জন, আশাশুনিতে ৮ জন, পাটকেলঘাটাতে ৭ ও দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন আসামি গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • তালার সন্ত্রাসী আব্দুর রব’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন

    তালার সন্ত্রাসী আব্দুর রব’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন


    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি আব্দুর রবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন হাজরাকাটি গ্রামের মুনছুর গাজীসহ কয়েকজন গ্রামবাসী।
    গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মুনছুর গাজী বলেন, একটি অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তসহ একাধিক মামলার আসামি তালা উপজেলার আব্দুল ওহাব সরদারের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুর রব আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অল্প বয়সে নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টিতে নাম লিখিয়ে একপর্যায় অঞ্চল প্রধানের দায়িত্ব পান। শুরু করেন অস্ত্র-বোমাবাজি, হামলা, দখলসহ নানা ধরনের অপকর্ম। হাজরাকাটি গ্রামের ইছারুদ্দিন মোড়লকে প্রকাশ্যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। হাজরাকাটি বাজারে গ্রামীণ ফোনের টাওয়ার নির্মাণের সময় এক শ্রমকিকে ধরে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। ১৯৯৯ সালে রইচ মিস্ত্রির মালিকানাধিন হাজরাকাটি-কাঠবুনিয়ার এক হাজার বিঘা জমির ঘের দখল করে নেয় আব্দুর রব। ২০১৪ সালে হাজারাকাটি এলাকার ১২০ বিঘার নলবুনিয়া মাছের ঘের বোমাবাজি করে দখল করে নেয়। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোকছেদ শেখের এক বিঘা জোর পূর্বক রেজিস্ট্রি করে নেয়। এছাড়া ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি, শালিশের নামে অন্যের জমি নিজের নামে লিখে নিয়ে আর ফেরত না দেয়াসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এভাবে সে এলাকার বহু মানুষের জমি লিখে নিয়ে নিজে মালিক হয়েছেন। তার অত্যাচারে নিরব কান্না এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে। শালিশের নামে প্রতিনিয়ত মানুষকে হয়রানি করে চলেছে সে। কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই নানা ধরনের হয়রানি ও হামলার শিকার হতে হয়েছে তাকে। এলাকার দিনমজুর থেকে শুরু করে সকলের কাছে আতংকিত একটি নাম হচ্ছে আব্দুর রব।
    গ্রামবাসী আরো জানান, ২০০১ সালে আব্দুর রব অস্ত্রসহ তালা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। পরে এই মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। কারাগারে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়। এলাকায় এসে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। আমাকেসহ এলাকার বহু লোককে প্রকাশ্যে হত্যার হহুমকি দেয় আব্দুর রব। এসব ঘটনায় তালা থানায় তার বিরুদ্ধে একাধক সাধারণ ডায়েরি ও করা হয়েছে। তার অত্যাচারের মাত্রা সাধারণ মানুষের সহ্যক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এক্ষুনি তাকে নিয়ন্ত্রন করা না হলে শত শথ নিরিহ মানুষকে এলঅকা ছাড়তে হবে। তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুর রবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাহারুল, লুৎফার, জালাল শেখ, শেখ তুহিন প্রমূখ।

  • শ্যামনগরে আসামী কর্তৃক মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ এলাকা সুধী মহাল সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শ্যামনগর উপজেলার ৮ নং ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের একমাত্র নৌকার প্রচারক বংশীপুর গ্রামের মৃত দরবার গাজীর পুত্র মোহাম্মদ আলী। সে ডকুমেন্টধারী একজন আওয়ামীলীগ কর্মী। তার উপরে বিভিন্ন নির্যাতন ও জুলুম করায় বিভিন্ন মামলার আসামীরা মোহাম্মদ আলীকে সব সময় ক্ষতি করে আসছে। ২৯/১২/১৮ তারিখ বংশীপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলীর নৌকার প্রচার মাইক সহ প্রচার অফিস ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতি করে। তারা ১৩/০৫/১৮ তারিখ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা নং ৪৪৫/১৮ ও পারিবারিক আদালতে মামলা নং ৫০/১৮ এর আসামী। আসামীরা হলো- হালিম, আমির আলী ও সালাম সহ ৬ জন। এদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা স্বর্তেও আক্রোশমুলক আসামীরা বাদী পক্ষকে দা, লাঠি সহ মারতে উর্দত হয় ও বিভিন্ন হুমকি দেয় এবং থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করায় ১৬/১০/১৮ তারিখ বাদী পক্ষ সহকারি পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ করে। সহকারি পুলিশ সুপার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ১১/১১/১৮ তারিখ ১১৪২ নং স্মারকে থানায় পাঠায়। এঘটনায় বাদী পক্ষ মোহাম্মদ আলী ও তার দুই কন্যা শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি সহ বিভিন্ন পত্রিকায় এ খবর প্রকাশ হয়। এরপরেও থানায় কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিরুপায় হয়ে বাদীপক্ষ পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা বরাবর দরখাস্ত করে। আসামীরা পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে নাশকতা মামলার ১৫৪ নং চার্জশিটে বাদী পক্ষের নাম দেওয়া সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে হয়রানি করায় এঘটনাও বাদী পক্ষ পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা নিকট দরখাস্ত করে। পুলিশ সুপার সার্কেল সাহেব কে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সার্কেল সাহেব ৭/১২/১৮ তারিখ ৯৬৫ নং স্মরকে থানায় পাঠায়। এসব সত্য দরখাস্ত থাকা স্বর্ত্বেও থানা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ১০/১/১৯ তারিখ আসামীদের নিকট থেকে মিথ্যা দরখাস্ত নিয়ে পুলিশ বাদী পক্ষ মোহাম্মদ আলীর কন্যা মরিয়ম ও সুমাইয়াকে থানায় ডেকে শুনানী কালে বাদী পক্ষ বলে আসামীদের নামে আদালতে মামলা আছে। একথা বলায় পুলিশের সামনে আসামীরা বাদী মরিয়ম, সুমাইয়া ও তার মাকে বেপরোয়া মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে। বাদী পক্ষ শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এঘটনা ১১ ও ১২ জানুয়ারী ২ দিন ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়। আরও জানা যায়, বাদী পক্ষ মোহাম্মদ আলী ও তার মেয়েদের নামে আসামীরা অশ্লীল কথা রটিয়ে সমাজে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করে। এরা ২০০১ সাল হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ আলীর বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ক্ষয়ক্ষতি করে। মোহাম্মদ আলীর রান্না ভাত-তরকারি ও বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং তারা মোহাম্মদ আলীর রেকর্ডভুক্ত জমি দখলকারী ব্যক্তি হইতেছে। এর পরেও আসামীরা মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারকে খুন জখম ও থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের পায়তারা করছে। আসামীদের এসকল অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বাদী পক্ষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

  • রোববার ২০ জানুয়ারি দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আত্মহত্যার প্রবনতা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরায় আত্মহত্যার ঘটনা ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি
    পাচ্ছে। এর শিকার হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন
    শ্রেণির নারী ও পুরুষ।
    এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে কিভাবে প্রতিকার পাওয়া যায় তা নিয়ে আজ রোববার ২০
    জানুয়ারি  দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
    করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ঢাকা
    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী । এতে উপস্থিত থেকে
    অভিব্যক্তি প্রকাশ করবেন  তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট
    মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও তার সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক নাসরিন খান লিপি।

  • লাখ টাকায় দৈনিক হাজার টাকা সুদের জালে আটকা পড়েছে সাতক্ষীরার আশাশুনির গ্রাহকরা


    নি জস্ব প্রতিনিধি। লাখ টাকায় দৈনিক সুদ এক হাজার টাকা। জরুরি প্রয়োজনে এই শর্তে টাকা নিয়ে দেনার জালে জড়িয়ে পড়েছেন আশাশুনির লতিকা সরকার। মহাজনের দাবি তার কাছে এখনও পাওনা সাত লাখ ৪০ হাজার টাকা। একইভাবে ঋণ নিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষক তাপস চক্রবর্তী। ঋণ শোধের পরও মহাজন তার ঘাড়ে এখন চাপিয়েছেন ২৪ লাখ টাকার দেনা।
    আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধান্যহাটি গ্রামের প্রায় ২০টি পরিবার এ ধরনের ঋণের জালে আটকা পড়েছেন। তাদের মহাজন নাজমা বেগম ও তার স্বামী আব্দুর রশিদের দাপটের মুখে স্কুল-কলেজে ছেলে মেয়েদের পাঠাতে পারছেন না। স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্পে তাদের জমি লিখে নিয়েছে নাজমা-রশিদ দম্পতি। টাকা আদায়ে মাছের ঘেরও লুট করে নিয়েছে তারা। এখন আইনি নোটিশ দিয়ে ঋণ গ্রহীতাদের পিছু নিয়েছে নাজমা-রশিদ দম্পতি।
    রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আশাশুনির ধান্যহাটি গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী পুরুষ ঋণ গ্রহীতা এসে এই অভিযোগ করে বলেন, এখন তারা বাড়িতে টিকতে পারছেন না। তাদের সহায় সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দেনার দায়ে তারা এখন খানিকটা গা ঢাকা দিয়ে চলছেন।
    ওই গ্রামের কুন্দুড়িয়া হাইস্কুলের শিক্ষক তাপস চক্রবর্তী জানান, তিনি নিজের কিডনি জটিলতা এবং মেয়ের অসুস্থতার কারণে টাকার প্রয়োজনে গ্রাম্য মহাজন নাজমা বেগমের কাছ থেকে শতকরা মাসিক ১০ টাকা সুদে সাড়ে চার লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ২০১০ সালে। পর্যায়ক্রমে তিনি শোধ করেছেন সাত লাখ ৬০ হাজার টাকা।
    তিনি জানান প্রতি লাখে একটি করে খালি চেক এবং নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প স্বাক্ষর করে দেওয়া ছিল মহাজনের কাছে। মহাজন নাজমা বেগম এখন এই খালি চেকে ২৪ লাখ টাকা বসিয়ে আমার উপর চাপ দিচ্ছেন। এমনকি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন কোথায় পাবো ২৪ লাখ টাকা।
    ওই গ্রামের বাবু লাল অধিকারীর স্ত্রী লতিকা অধিকারী জানান, তিনি দুটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন নাজমা বেগমের কাছ থেকে। দৈনিক এক হাজার টাকা সিাবে ৭৬ হাজার টাকা সুদ দিয়েছেন ৭৬ দিনে। ঋণের বিপরীতে কয়েক বছরে তিনি সাড়ে ৬ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এখন নাজমা বেগমের দাবি, তাকে আরও সাত লাখ ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরে লতিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নাজমা। রোজই তার বাড়িতে যেয়ে টাকার তাগিদ দিচ্ছেন। তার হুমকির মুখে তার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এমনকি ২ ফ্রেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় পরিক্ষায়ও সে যাতে যেতে না পারে সেই হুমকিও দিয়েছেন নাজমা ও তার স্বামী।
    এদিকে একই গ্রামের তারক সরকারের স্ত্রী যমুনা সরকার জানান তার দুই ছেলে আশুতোষ ও শুকলাল সরকার ৬৫ হাজার টাকার ঋণ নিয়েছিলেন একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ভিত্তিতে । এই টাকা থেকে তিনি দফায় দফায় আড়াই লাখ ও দেড় লাখসহ চার লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এছাড়াও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১১ শতক জমি কোবালা দলিল করে নিয়েছেন মহাজন নাজমা।
    এখন নাজমা এই দলিল ফেরত দিচ্ছেন না, উল্টো আরও দাবি করছেন সাত লাখ ৪০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে নাজমা দম্পতি তাদের আড়াই বিঘা জমির মাছ লুট করে নিয়েছেন।
    আশাশুনির বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুলের প্রভাষক দেবদত্ত চক্রবর্তী জানান, তিনি তিনটি খালি চেক এবং ৫০০ টাকার স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্পের বিনিময়ে দেড় লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এ যাবত তিনি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। তা সত্ত্বেও এখনও তার কাছে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাবি করে নাজমা বেগম তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
    একইভাবে ঋণের জালে আটকা পড়েছেন ওই এলাকার প্রেম সরকার, সুকুমার সোম, নেপাল সরকার, সনদ অধিকারী, গোবিন্দ সরকার, চাম্পাফুলের অনয় সরকারসহ অনেকেই।
    অভিযোগ করে তারা বলেন আমরা ঋণের টাকারও অনেক বেশি সুদসহ দেনা পরিশোধ করেছি। তারপরও আমাদের উপর মহাজনী স্টিম রোলার চালাচ্ছে নাজমা ও স্বামী আব্দুর রশিদ।
    তাদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার শর্ত হলো বেলা ডুববার আগেই সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে। এখন বাড়ি-ঘর ছেড়ে আমরা নাজমার হাত থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
    স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানান, নিরীহ ও দরিদ্র এসব পরিবারের উপর নাজমা ও রশিদ দম্পতির মহাজনী নির্যাতন চরমে উঠেছে। মহাজনরা তাদের গরু ছাগল ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি তাদের ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে টাকা উশুল করে নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
    জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান নাজমা বেগমের মহাজনী দাপট চরমে ওঠায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিয়ে আমি বৈঠক করেছি। উভয়পক্ষকে কিছুটা শর্ত দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার পরামর্শও দিয়েছি। এ ঘটনার পর থেকে মহাজন নাজমা বেগম পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।
    তিনি আরও বলেন, ঋণগ্রহীতা পরিবারের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    মহাজনী কারবার এবং ঋণের বেশি টাকা আদায় ও জমি দখল সম্পর্কে জানতে মহাজন নাজমা বেগমের ০১৭২২৩০৮৫৮৮ নম্বরে বারবার ফোন করেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তার স্বামী আবদুর রশীদকেও পাওয়া যায়নি।