সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা
জেলা ব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক মামলার ৬ জনসহ ১১০ জন
আসামীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযানের সময় পুলিশ ৫১ পিচ ইয়াবা,২০ বোতল
ফেনসিডিল ও ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে আজ শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত
সাতক্ষীরার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে
পুলিশ। সাতক্ষীরা জেলা
পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৩৪
জন,কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন,তালা থানা থেকে ২ জন,কালিগঞ্জ থানা থেকে ২০
জন,শ্যামনগর থানা থেকে ১৪ জন,আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, পাটকেলঘাটা থানা থেকে
১ জন সহ মোট ১১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক ও নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
Category: অপরাধ
-
সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ৬ জনসহ ১১০ জন আসামি গ্রেফতার
-
কাটিয়ায় জোর পূর্বক পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : কাটিয়ায় আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে জোর পূর্বক পৈত্রিক সম্পত্তির উপর যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ২২ এপ্রিল’১৯ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ সরদার সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কাটিয়া (জেল খানা গেটেরপাশে) এলাকার সামছুদ্দীন সরদারের পুত্র আব্দুল্লাহ সরদার কাটিয়া মৌজায় ৪.৮ শতক সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি আব্দুল্লাহ সরদারের পিছনের সম্পত্তির মালিক আব্দুল মুজিদ তার সম্পত্তি উত্তর পাশে যাতায়াতের জন্য ১২ ফুট রাস্তা থাকার পরও আব্দুল্লাহ সরদারের বসতঘর ভেঙে রাস্তা তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে ২২ এপ্রিল ১৯ সামছুদ্দীন সরদারের পুত্র আব্দুল আলিম, মৃত ফয়জদ্দীনের ষড়যন্ত্রকারী পুত্র আব্দুল মুজিদ সরদার, পাগলা সরদারের পুত্র জাহিদ হোসেন, আব্দুল মজিদ সরদারের পুত্র রানাসহ কয়েকজন ব্যক্তি অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক আব্দুল্লাহ সরদারের বসতঘর ভাংচুর করে রাস্তা তৈরি করে। এতে আব্দুল্লাহ সরদার অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বলে তিনি জানান। অথচ ওই আব্দুল মুজিদের সেখানে কোন সম্পত্তি নেই। তার যাতায়াতের জন্য উত্তরপাশে ১২ফুট চওড়া বড় রাস্তা রয়েছে। তারপরও সম্পূর্ণ গায়ের জোরে তিনি এটি করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ সরদার। এছাড়া ওই সম্পত্তি দখল করে রাস্তা তৈরি করতে পারে এমন উড়ো খবর পেয়ে আব্দুল্লাহ গত ২১ এপ্রিল’১৯ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং-১০৯১। ডায়েরি করার মাত্র একদিন পরেই তার সম্পত্তি দখল করে ওই চক্র রাস্তা তৈরি করেছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল্লাহ সরদার। -

শ্যামনগরে দুই শিক্ষার্থীকে পাচারের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শ্যামনগরের দুই শিক্ষার্থীকে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থীরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের খোকার কন্যা রিফুজা খাতুন(১৪) এবং কুবাত আলীর কন্যা ছাদিয়া খাতুন। রিফুজা খাতুন চাদনীমুখা পিজে আলিম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ছাদিয়া খাতুন নাপিতখালী প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একই এলাকার হযরত আলীর কন্যা করুনা শিক্ষার্থী রিফুজা ও ছাদিয়া খাতুনকে নিয়ে চৌদ্দরশী লঞ্চে উঠতে দেখেন বলে জানিয়েছেন স্থানীরা। এরপর থেকে ওই দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া চাঁদনীমুখা থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত পৌছে দেন চাদনমুখা গ্রামের রুহুল আমিন গাইনের পুত্র আমিনুর। কারুনা ও আমিনুর একই সাথে বসে চা সিগেরেট খেয়েছেন বলে তারা জানান। এরপর থেকে আমিনুরের মোবাইল(০১৯৩৯৪৪৪৩৯০) নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থী রিফুজা খাতুনের মাতা মাফুজা জানান, শনিবার দুপুর ১ টার দিকে রিফুজা আমার মোবাইলে (০১৭০৭৫২৮৭৬৫ নাম্বারে) ফোন করে জানায় আজ(শনিবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের বিক্রয় করা হবে বলে হাওমাও করে কান্নাকাটি করতে। এরপরই করুনা তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর থেকে তাদের আর কোন যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। এঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। তিনি তার কন্যাসহ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি শুনেছেন জানান। -
গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও ॥ দারুস সালাম সমিতি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক : শত শত গ্রাহকের জমানো কয়েক কোটি টাকা নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে উধাও হয়ে যাওয়া দারুস সালাম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় জিডি করা হয়েছে। গ্রাহকদের পক্ষে ভুক্তভোগী রহিম নামে এক ব্যাক্তি সাতক্ষীরা থানায় এ সাধারণ ডায়েরি করেন। যার ডায়েরি নং-৭৯৪। কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে তারা হলেন সমিতির চেয়ারম্যান মাও. রুহল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান, আবুল হোসেন, আজিজুল হক। এসব ব্যাক্তিদের প্রলোভনে পড়ে সর্বশ^ হারিয়ে গ্রাহকরা দিশেহারা হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তবে জানা গেছে গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে কর্মকর্তা মাও. আমিন ঢাকা শহরে জমি কিনে প্লাট বাড়ি করেছেন। ওহিদুজ্জামান নিজের গ্রামের বাড়ি কাশিমাড়ী এলাকায় বিলাশ বহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন জমিও কিনেছেন। এছাড়া তিনি বর্তমানে সেখানে একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। সদর উপজেলা ঝুটিতলার আবুল হোসেন নিজের এলাকায় জমি কিনেছেন ও বাড়ি করেছেন। আজিজুল হক মেহেদীবাগ এলাকায় বিলাশ বহুল বাড়ি করেছেন। তবে ক্ষমতাশীনদলের স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে আবুল হোসেন এলাকায় প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর বাকি কর্মকর্তারা কেউ ঢাকায় আবার নিজের এলাকায় পলাতক রয়েছেন বলে গ্রাহকরা জানান।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে শহরের পলাশপোল জর্জকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় সরদার প্লাজা ভবনে ২০০৪ সালে গড়ে ওঠে দারুস সালাম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর নামে জামায়াত শিবির পরিচালিত একটি সংগঠন। সেখান থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সংগঠনটির শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি পায়। সমিতিতে যোগ দেয় কয়েক হাজার সদস্য। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, বার্ষিক, শেয়ার কিস্তিতে মোটা অংকের লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় কয়েক কোটি টাকা। গ্রাহকরা জানান জামায়াত শিবির পরিচালিত সংগঠনটি বিগত রোজা ঈদের কয়েক মাস আগে সরদার প্লাজা ভবন থেকে কর্মকর্তারা স্থান পরিবর্তন করে বর্তমান পলাশপোল বৌ বাজারস্থ এলাকায় হেনা কঞ্জু নামে বাড়িতে সংগঠনের কার্যালয়ের অফিস নেয়। ওই জামায়াত শিবির পরিচালিত সংগঠনটির পলাশপোল বৌ বাজারস্থ কার্যালয়ের সাইন বোর্ড নামিয়ে তালা ঝুলিয়ে উধাও হয়ে যায় সমিতির কর্মকর্তারা। গত ৩ আগষ্ট থেকে ওই অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সংগঠনটির চেয়ারম্যান পৌর জামায়াতের ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাও রুহল আমিন উধাও হয় আরো ১০ দিন আগে। মাও রুহলআমিন যশোর জেলার শার্শা থানার কালিনি গ্রামের এন্তাজ আলি সরদারের ছেলে। রুহল আমিন শহরে রসুলপুর গ্রামে বসবাস করতেন। সংগঠনটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক জামায়াত নেতা হাফেজ মাও আবুল হোসেন। আবুল হোসেন ঝুটিতলা এলাকার বাসিন্দা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও জামায়াত নেতা মোঃ ওহিদুজ্জামান। ওহিদুজ্জামান (বর্তমানে) পুরাতন সাতক্ষীরার বজলুর রহমানের ছেলে। এছাড়া ওহিদুজ্জামান জামায়াতের সাবেক এমপির রিয়াসাত আলির আপন শ্যালক। সংগঠনটির আরএমও আজিজুল হক সদরের হাওয়ালখালী গ্রামের ইয়াছিন সরদারের ছেলে। সংগঠনের মাও রুহল আমিন, ওহিদুজ্জামান, আবুল হোসেন, আজিজুল হক সহ তাদের লোকজন শত শত গ্রাহকের জমানো টাকা ভাগবটোয়ারা করে পালিয়ে যায়। গ্রাহকদের জমানো টাকায় কেনা ওই সংগঠনের অফিসের মটরসাইকেল, কম্পিউটার সহ অফিসের মুল্যবান আসবাবপত্র গুলো জামায়াত নেতা ওহিদুজ্জামান, আবুল হোসেন, সহ অন্যরা বাগবটোয়ারা করে তাদের বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন বলে সূত্রে জানান। গ্রাহকরা জানান গ্রাহক দের জমানো টাকা জর্জকোর্ট ভান্ডার ব্যবসায়ী শওকতের ৯ লাখ, রহিমের ৭০ হাজার, সেলিম মুদি দোকানদারের পরিবারে ৮০ হাজার, সংগঠনের অফিস সহকারী শাহাদাতের ১ লাখ, আশাশুনির থানার বসুখালী গ্রামের আসমত আলির ৮০ হাজার, আসমত আলির শ্যালকের ৩ লাখ, রসুলপুর এলাকার ফরিদ হোসেনের ৭০ হাজার টাকা সহ এরকম গ্রাহকের মত শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। তবে গ্রাহকের টাকা আতœসাতকারী আবুল হোসেন উপরে মহলের ছত্রছায়ায় থেকে শহরে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। এঘটনায় কয়েকজন গ্রাহকরা সাতক্ষীরা থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন বলে জানাগেছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল ও সমিতির গ্রাহকরা। -

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার মালামাল জব্দ
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার দুটি সীমান্তে বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে। শুক্রবার ভোরে সাতক্ষীরার বৈকারী ও কাকডাঙ্গা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদ, কাপড়, গরু ও বাই সাইকেল।
তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন বৈকারী ও কাকডাঙ্গা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিজেবি সুত্রে প্রকাশ, গত ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ২১০০ ঘটিকায় বৈকারী বিওপি’র টহল কমান্ডার সুবেদার মোঃ হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-৯/২-এস হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খইতলা মাঠ নামক অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১৩,৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের ভারতীয় ০৯ বোতল অফির্সাস চয়েজ মদ আটক করে।
এছাড়া গত১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ০৩১৫ ঘটিকায় কাকডাংগা বিওপি’র টহল কমান্ডার নাঃ সুবেঃ মোঃ কামরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩-এস এর ৫ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গাড়াখালী নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা মূল্যের ৪০ পিচ ভারতীয় কাপড় আটক করে। অপর দিকে ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ০৫০০ ঘটিকায় একই বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ নুর আলম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩-এস এর ৫ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খেয়াঘাট নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা মূল্যের ৪০ পিচ ভারতীয় কাপড় আটক করে। অন্যদিকে ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ০৫০০ ঘটিকায় একই বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ নুর আলম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩-এস এর ৬ আরবি হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাকডাংগা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যের ০৩টি ভারতীয় গরু আটক করে। এছাড়াও ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ০৯০০ ঘটিকায় একই বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ নুর আলম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩-এস এর ৮ আরবি হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বালিয়াডাংগা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা মূল্যের ০১টি ভারতীয় বাই সাইকেল আটক করে।
উল্লেখ্য, অত্র ব্যাটালিয়ন কর্তৃক সর্বমোট-৩,৭০,৫০০/-(তিন লক্ষ সাত্তর হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়।
-

রাফি হত্যায় দোষীদের শাস্তির দাবীতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট এনসিটিএফ’র স্মারকলিপি
স্টাফ রিপোর্টার: রাফি হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা এনসিটিএফ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা এনসিটিএফ মেধাবী মাদ্রাসা ছাত্রী রাফি হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার বরাবর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ’র নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। সকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এনসিটিএফ সদস্যরা বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাতক্ষীরা জেলা অফিসে এসে জড়ো হয়। সকাল ১১টায় এনসিটিএফ সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল নিকট মেধাবী মাদ্রাসা ছাত্রী রাফি হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে স্মারক লিপি প্রদান করেন। এরপর জেলা এনসিটিএফ সদস্যরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ এর নিকট দোষী দের শাস্তির দাবীতেও স্মারক লিপি প্রদান করে। জেলা এনসিটিএফ সভাপতি পুজা দাশ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে এনসিটিএফ সদস্যরা দেশের সকল শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান, তারা শিশুদের উপর শারিরীক ওমানসিক নির্যাতনসহ যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করার দাবী জানান। শিশুদের নির্যাতনকারী ঐ সকল নরপিশাচদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান। স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন পূজা, সুজিত, আশা, রাখি, লিটন, মামুন, বাবু, শ্রাবন, মিনু , রাজিব, কৃষ্ণ, প্রীতমসহ জেলা এনসিটিএফ এর সদস্যরা । -

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
পুরাতন সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার জন্য মারপিট ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবা দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুরাতান সাতক্ষীরার নূর ইসলামের স্ত্রী হাসিনা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন সাতক্ষীরা সদরের দহাকুলা মৌজার জি, এস ৯৭৫/৪ এস এ খারিজ খতিয়ান নং- ৯২৯/৫/১ সাবেক ২৯২৩ বর্তমান ৯২০৮ দাগে ১শতক জমি আমার দেবর রফিকুল ইসলাম পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন। আমার শ^শুরের মৃত্যুর পর দেবর রফিকুল ইসলাম তার ভাগের সম্পত্তি গোপনে বাগানবাড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী আনজুয়ার পারভীনের কাছে বিক্রয় করেন। জমি বিক্রয়ের কয়েকদিন পর আমার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের স্ত্রীর কাছ থেকে সম্পত্তি ফেরতের জন্য সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে টাকা জামানাত করেন। আদালত আমার স্বামীর জামানতের মামলাটি গ্রহণ করে সকল কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে ০৮.০৬.২০০৪ সালে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের স্ত্রীর টাকা ফেরত পূর্বক সম্পত্তি আমার দখল নেওয়ার জন্য রায় দেন। ১৪/২/২০০৭ সালে সাতক্ষীরা জজকোর্ট এবং ১.০১.২০১৮ তারিখে হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দেন।
তিনি আরো বলেন আদালতের রায় থাকার পরও আমরা এখনো পর্যন্ত ওই সম্পত্তিতে যেতে পারিনি। আমরা আর্থিকভাবে অসচছল এবং অসহায় হওয়ার কারণ ওই আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অগাদ টাকার মালিক হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আমার স্বামীকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করছে। ওই সম্পত্তিতে গেলে আমাদের স্ব পরিবারে হত্যা করবে, মারপিট করবে এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। এর জের ধরে গত ১৩/০৪/২০১৯ তারিখে আকস্মিকভাবে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে তার পুত্র শেখ মমিনুর রহমান তপু, শেখ জামিনুর রহমান অপু, শেখ ইহছানুর রহমান দিপুসহ ১০/১৫ জন ব্যক্তি অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা আমার স্বামীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের লোহার রড নিয়ে তাড়া করে। আমাদের ডাক চিৎকারে ¯’ানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে। এতে আমার স্বামী নুর ইসলাম গুরুতর আহত হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপরও তারা প্রকাশ্যে আমাদের খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাছে। আমরা তাদের ভয়ে ভীতুসস্থস্ত্র হয়ে পড়েছি। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি। সংবাদ সম্মেলনে মো. লাবলু ও মো. ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে তিনি আদালতের নির্দেশ অমান্যকারী ওই আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং পুত্ররা কর্তৃক মারপিট ও হুমকি ধামকির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

খরিয়াটিতে মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের জুয়ার আসরে থানা পুলিশের অভিযানে ৪জুয়ারী গ্রেফতার
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার খরিয়াটিতে মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মাদক ও জুয়ার আসরে আশাশুনি থানা পুলিশের অভিযানে ৪জন জুয়ারী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানাগেছে, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নেতৃত্বে থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে খরিয়াটি গ্রামে জুয়া ও মাদকের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে খরিয়াটি গ্রামের রউফ গাজীর ছেলে ময়নুদ্দীন গাজী, ইমান গাজীর ছেলে আছাফুর গাজী, একই উপজেলার ঝাউবুনিয়া গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ বাইনের ছেলে উদয় কুমার বাইন, পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী গ্রামের আবুল গাজীর ছেলে ইলিয়াস গাজীকে জুয়া খেলার সময় তাস ও টাকাসহ গ্রেফতার করেন। তবে এসময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে স্থানীয় মাদক স¤্রাট বারীক গাজীসহ কয়েকজন জুয়ারী ও মাদকসেবী দ্রুত জুয়ার আসর থেকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলার ফটিকখালী গ্রামের মৃত যতীন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে সিসি-১২৩/২০১২ ওয়ারেন্ট আসামী সুধীর কুমার মন্ডলকে গ্রেফতার করেন। সকল আসামীকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
-
মাসাধিক সময় চলে গেলেও চুকনগরে সাংবাদিকের চুরি হওয়া মটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ
শেখ আব্দুল মজিদ: এক মাসের অধিক অতিবাহিত হলেও চুকনগেরর কর্মরত সাংবাদিক শেখ আব্দুস সালামের চুরি হওয়া মটরসাইকেলটির কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা শংঙ্কা দেখা দিয়েছে। মটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় চোর সেন্ডিকেটের এক সদস্য সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু এক মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও আজও তার কোন ক্লু উদঘাটন হয়নি। প্রসঙ্গত গত ৬ মার্চ বুধবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে চুকনগরের কর্মরত সাংবাদিক শেখ আব্দুস সালামের নিজ ব্যবহৃত খুলনা হ ১২-৪৩১৬ নম্বর ডিসকভার ১২৫ সিসি কালো লাল রঙের মটরসাইকেলটি চুকনগর আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের নীচে জৈনক বাবলু সাহেবের মার্কেটের গলির ভিতর রেখে ২য় তলায় হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্স অফিসে যায়। কিছুক্ষণ পর নিচে এসে দেখে মটরসাইকেলটি কে বা কাহারা লক তালা ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজির পর কোন সন্ধান না পেয়ে এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং ৫ তারিখ ০৬-০৩-২০১৯। যাহা সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি চুরি হওয়া উক্ত মটরসাইকেলটির কোনো ক্লু উদঘাটন হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবী, চুরি, ডাকাতি, চোরাকারবারি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধীদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক সালামের সাংবাদিকতা ব্যাহত করতে অপরাধ জগতের চিহ্নিত সদস্যরা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘটনার দিনে অপরাধীরা তার ব্যবহারিত মটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে নানা শংঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য জেলা ডিবি পুলিশের ওসিকে বলব।
-

সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযানে এক দালাল আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুদক অভিযান চালিয়ে শহিদুল আলম নামের এক চিহিৃত দালালকে আটক করেছে। সোমবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আটক শহিদুল আলম শহররে কাটয়িা রজেস্ট্রিার অফিসপাড়া এলাকার মৃত বাশারত আলীর ছেেল
পরে আটক তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে দু’হাজার টাকা জরিমানাসহ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
খুলনার দুর্ণীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ জানান, সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে দালালদের মাধ্যমে বাড়তি দু’হাজার টাকা ছাড়া পাসপোর্ট করতে পারেননা বলে জানা যায়। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে সেখানে অভিযান চালায় তার নেতৃত্বে একটি টিম। ঘটনাস্থলে পৌছে দালালদের দৌরাত্বের সত্যতা পায় দুদক। এ সময় শহিদুল আলম নামের এক চিহিৃত দালালকে আটক করেন তারা। তবে, অন্যরা এ সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এরপর তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে তাকে দু’হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। -
আশাশুনিতে মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার-২
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতারী পরোয়ানার এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নেতৃত্বে এএসআই মাহাবুব হাসান কুলতিয়া গ্রামের শাহারত মোড়লের পুত্র তাজউদ্দীন মোড়লকে কুল্যা গ্রাম হতে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। তার কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে এসআই বিজন কুমার সরকার অভিযান চালিয়ে সিআর-৫৪/১৮ (ওয়ারেন্ট) আসামী তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের শাহিনুর ইসলাম সরদারের পুত্র খায়রুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন।
-

আশাশুনির বড়দলে তৌহিদ সানাকে পিটিয়ে হত্যা ॥ মামলা দায়ের
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বড়দলে তৌহিদ সানা নামে একজনকে পিটিয়ে জখমের ১০ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহতের বোন রীনা রহমান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। বড়দল গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সিদ্দিক সানার পুত্র তৌহিদকে (৪৫) গত ২৬ মার্চ বিকাল ৫ টার দিকে একই গ্রামের মৃত শফিকুল সানার পুত্র কাজল সানা, হাফিজুল সানার পুত্র ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ রানা বাবু, নূর ইসলাম সরদারের পুত্র ইয়াছিন মোবাইলে বড়দল বাজারের খেয়াঘাটের মুখে ডেকে নেয়। তৌহিদ সেখানে পৌছান মাত্রই প্রকাশ্যে লাঠি ও রড ইত্যাদি নিয়ে তাকে বেদম মারপিট করে। প্রাণ বাঁচাতে তৌহিদ কোন রকমে পাশের শুকুর আলির দোকানের মধ্যে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে আরাফাতের টিভি শো রুমের কাছে পৌছে পায়খানা করে ফেলেন। রাতেই স্থানীয় চিকিৎসককে দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন এম্বুলেন্স যোগে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১০ দিন মূমুর্ষূ অবস্থায় থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩.৪৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃতদেহ বাড়িতে আনা হলেও প্রতাপশালী হত্যাকারীদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত পরিবার অভিযোগ না করে গোপনে লাশ কবরস্থ করার উদ্যোগ নেয়। পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার দেবনাথ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থানে পৌছে নিহতের পরিবারকে অভয় দিয়ে লাশ ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন। নিহতের বোন রীনা রহমান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা (নং ৫) রুজু করেছেন। আসামীরা এলাকা থেকে উধাও হয়ে গেছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহতের পরিবারের লোকজন ও বড়দল বাজারের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩ মাস পূর্বে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী তৌহিদকে আটক করে মাদক মামলায় চালান করেন। তার স্বীকারুক্তিতে পুলিশ আরেক মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার শফিকুল ইসলামের পুত্র কাজলকে আটক করেন। তৌহিদ তার নাম পুলিশকে বলে দেওয়ায় কাজল প্রতিশোধ নিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। কারাগার থেকে ২৬ মার্চ তৌহিদ বাড়িতে ফিরলে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র মাথায় নিয়ে দলবদ্ধভাবে তাকে আক্রমন করা হয়। এসময় উপরোক্ত ৩ জনসহ বারী মালীর পুত্র আইয়ুব মালী রড হাতে মহড়া দিয়েছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হত্যাকারীরা মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসাবে বড়দলকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে থাকে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। প্রকাশ্য দিবালোকে বাজারের উপর নির্মমভাবে পিটিয়ে তৌহিদকে হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সাথে সাথে এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে তাদেরসহ ব্যবসার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত রাখতে জোর দাবি জানান হয়েছে।
-

সাতক্ষীরায় বিনায়ক মন্ডলের সংবাদ সম্মেলন : শ্যামনগরের কুপোটে জমি বিক্রি করে ষড়যন্ত্রের শিকার দুই ভাই
শ্যামনগরের কুপোটে জমি বিক্রি করে ষড়যন্ত্রের শিকার দুই ভাই
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। ওয়ারেশসূত্রে মালিক আমরা দুই ভাই ২০১৭ সালে ১২১ সিএস খতিয়ানে শ্যামনগরের কুপোট মৌজার ১৪১১ দাগের এক একর সাড়ে ৪৯ শতক জমি সাতক্ষীরার সুলতানপুরের খোকন ওরফে বাবলু গাজির নামে উপযুক্ত মূল্যে রেজিষ্ট্রি কোবালা দলিলমূলে বিক্রি করে দেই। সে সময় এ জমি নিয়ে কোনো মোকদ্দমা ছিল না। অথচ এখন আমাদের দুই ভাইয়ের সম্পদ আত্মসাত করার জন্য আমাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিন বড় কুপোট গ্রামের বঙ্কিম চন্দ্র বৈদ্য, নিশিত কুমার, বাপ্পা কুমার, তাপস কুমার, ঠাকুর চন্দ্র ও আকরাম হোসেন মালি মিথ্যা তথ্য দিয়ে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছেন।
শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন তালা উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের দেবদাস মন্ডলের ছেলে বিনায়ক মন্ডল । তিনি বলেন তাদের পিতৃ ও মাতৃকুল বিয়োগের পর তিনি ও তার ভাই দ্বৈপায়ন মন্ডল বাগডাঙ্গা সৎসঙ্গ বিহারে পালিত হন। কুপোট না থাকার কারণে প্রতিপক্ষ ওই জমির হাল রেকর্ড তাদের নামে করে নেন। অথচ কোবালা দলিল ও এসএ রেকর্ড ছিল তাদের বাবা দেবদাস মন্ডলের নামে। এ ঘটনাকে প্রতারণা বলে দাবি করেন বিনায়ক মন্ডল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন সঠিক কাগজপত্র ও ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ন্যায্য মূল্যে ওই জমি বিক্রির পরও প্রতিপক্ষ বঙ্কিম চন্দ্র সাতক্ষীরার এডিম কোর্টে ১৪৫ ধারা, র্যাব বরাবর দরখাস্ত, এসি ল্যান্ড বরাবর দরখাস্ত, ভূমি অফিস, ইউএনও অফিস, চেয়ারম্যান, থানা, এসপি অফিস, দুদক, সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করছেন। তাছাড়া মাছের ঘেরে প্রবেশ করে লুটপাট করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন। আমাদের জমির ক্রেতাসহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং এলাকায় যেতে পারছি না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন জমির ক্রেতা বাবলু গাজি ওরফে খোকন এসবের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় মামলা করেছেন । আমি ও আমার ভাই বঙ্কিম চন্দ্র দিংয়ের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে ১১/১৯ নম্বর মামলা করেছি। বিনায়ক এ ঘটনার প্রতিকার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাবলু গাজি ওরফে খোকন। -

সংবাদ সম্মেলন: শত শত গ্রাহকের মাথায় হাত, সাতক্ষীরা হতে উধাও সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ‘সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানির লোকজন তাদের সাতক্ষীরা অফিস গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের খুঁজে হয়রানি হচ্ছেন আমার মতো অনেক গ্রাহকই। আমরা এখন আমাদের টাকা ফেরত পাচ্ছি না , তাদের খুঁজেও পাচ্ছি না’ ।
বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন সাতক্ষীরা শহরের বদ্দিপুর কলোনির আবদুস সবুর গাজি। তিনি বলেন ‘সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স এখন উধাও। কোথায় যাব্ োকার কাছে যাবো’।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন সাতক্ষীরা সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা একই এলাকার মো. ভন্টুর পুত্র ইয়াসিন আলির মাধ্যমে তিনি ৫২৯০ টাকার একটি পলিসি খোলেন ২০১১ সালের ২০ জুন তারিখে। কিন্তু আর্থিক টানাপড়েনের কারণে তিনি পলিসি টানতে ব্যর্থ হন। তিনি জানান ২০১৮ সালে ইয়াসিন আলি তাকে জানান ‘ এখন জরিমানাসহ বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হলে ১৭ বছর পর এককালিন ৩ লাখ টাকা পাওয়া যাবে’। সবুর গাজি আরও জানান এ অনুযায়ী তিনি ২০১৮এর ৩০ জানুয়ারি ইয়াসিনের হাতে ৪২ হাজার ৩২০ টাকা তুলে দেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত মানি রিসিট দেওয়ার কথা থাকলেও ইয়াসিন তা দেন নি। এমনকি তাকে আর খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বলেন সম্প্রতি সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স এর সাতক্ষীরা জেলা অফিস বড় বাজার সড়কের ওয়ান ব্যাংকের উপরতলায় যেয়ে দেখা যায় তালা বন্ধ। সেখানে কোনো সাইন বোর্ড নেই। এমনকি জেলার দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিথা গ্রামের সোহেল উদ্দিনের পুত্র আবুল কালাম আজাদ ও তার সহকর্মী কালিগঞ্জের বাগানলতা গ্রামের আছিরুদ্দিনের পুত্র ফারুক হোসেন সাগরও নিখোঁজ। তিনি জানতে পারেন যে ইয়াসিন ও আবুল কালাম আজাদ ভারতে অবস্থান করছেন অনেকদিন ধরে। আর তাদের কাছে পলিসি খুলে সাতক্ষীরার বিপুল সংখ্যক গ্রাহক হায় হায় করছেন। আবদুস সবুর জানান এরা আসলে একটি প্রতারক চক্র। এই চক্রটি নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আবদুস সবুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন তিনি সম্প্রতি সাতক্ষীরা আমলি আদালতে ইয়াসিন , আবুল কালাম আজাদ ও সাগরের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার পর থেকে তাদের ভাড়াটিয়া ছট্টু ও আসাদুজ্জামান নামের দুই ব্যক্তি তাকে টেরিফোনে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা তাকে খুন করারও হুমকি দিচ্ছে।
গ্রাহক আবদুস সবুর এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। -

সাতক্ষীরার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৯ লক্ষাধিক টাকার মালামাল জব্দ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার চারটি সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ১শ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত থেকে বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার মাদরা, কাকডাংগা, পদ্মশাখরা এবং ভোমরা সীমান্ত থেকে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, ০৫ কেজি ভারতীয় রৌপ্য, ৫০ কেজি ভারতীয় গরুর মাংস, ১৪০ কেজি ভারতীয় চাপাতা, ৩০ জোড়া ভারতীয় জুতা এবং ২০১ টি ভারতীয় শার্ট/প্যান্টের পিচ।
তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন মাদরা, কাকডাংগা, পদ্মশাখরা ও ভোমরা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ৯ লাখ ৪৯ হাজার ১শ টাকা।
মালামাল জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের সকল সদস্যগণ সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত সুরক্ষা এবং চোরাচালান দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো রক্ষার্থে চোরাচালান এবং মাদকদ্রব্য নির্মূল করাই সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের মূল লক্ষ্য। -

কালিগঞ্জে চৌমুহনী মাদ্রাসার গাছ কর্তন করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
কালিগঞ্জে চৌমুহনী দারুল উলুম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার মেহগনি ও শিশুফুল গাছ কর্তন করে অর্থ আতœসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। কর্তনকৃত গাছের মুল্য আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা। উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর শেখ সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানাগেছে চৌমুহনী দারুল উলুম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মনিরুজ্জামান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কমিটির সদস্য আবু তালেব সরদার সহ আরও অনেকে ২০১৬ সাল হতে অদ্যবধি মাদ্রাসার আওতাধীন শিশুফুল ও মেহগনি গাছ বিক্রি করে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা আতœসাৎ করেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শেখ আব্দুল গনির পুত্র ইউপি সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। -

তালায় সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুজুনশাহা ঋর্ষি পাড়া এলাকায় সড়কের পাশের ৪টি মেহগনি গাছ কাটার সময় বুধবার সকালে বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এরপর থেকে গাছ মালিক ফের গাছ কাটার জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে।
জানা গেছে,তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের সুজুনশাহা ঋর্ষি পাড়া এলাকায় সরকারী রাস্তার লাগানো ৪টি মেহগনি বড় সাইজের গাছ যার মূল্য ৪০ হাজার টাকার স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ী উজিরের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছে সুজুনশাহা গ্রামের মহাসীন শেখ ।
বুধবার সকালে কাঠ ব্যবসায়ী গাছগুলো কাটতে থাকলে এলাকাবাসী উপজেলা সহকারী ভুমি অফিসে জানায়। সহকারী ভুমি কমিশনার অনিমেষ বিশ্বাস স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিসকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভুমি অফিসার ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন।
ঐ ৪টি গাছের মধ্য থেকে দু’টি গাছ আগেই নিয়ে যায় কাঠ ব্যবসায়ী। গাছ কাটা বন্ধ করার পর থেকে গাছ মালিক গাছগুলো তার নিজের দাবী করে বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে দৌড় ঝাপ শুরু করে দিয়েছে। তবে গাছের মালিক মহাসীন শেখ তার নিজের জমিতে গাছ দাবি করেছেন। -
কুলিয়ায় সরকারী খাল দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের নুনেখোলা এলাকায় সরকারী খাল দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এলাকা বাসী জানান, নুনে খোলা হতে বিধান বর্মন এর বাড়ি অভিমুখে লাবণ্যবতীর শাখা খালটি অত্র এলাকার ঘের গুলোর পানি উঠানো ও নিষ্কাশনের একমাত্র রাস্তা।শুধু তাইনা বর্ষায় যখন পুরো এলাকা ও ঘের গুলোপ্লাবিত হয় তখন উক্ত খালটি পানি নিষ্কাশন করে শত শত ঘের ব্যবসায়ী দের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির হাত থেকে বাচায় খালটি।কিন্তু নুনে খোলা গ্রামের মনিরুদ্দীন গাজীর ছেলে ইব্রাহীম গাজী ও একই এলাকার প্রসন্ন সরকারের ছেলে অমল সরকার ক্ষমতার জোরে উক্ত খালটি দখল করে মাছ চাষ করছে।এব্যাপারে কুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ এর সভাপতি রুহুল কুদ্দুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দখলকারীরা এলাকায় ভূমি দস্যু হিসাবে পরিচিত।এলাকাবাসী খাল দখলের বিষয়ে আমাকে অবহিত করেছিল তবে খালটি দখল মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।এলাকাবাসী আগামী বর্ষার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে খালটি দখল মুক্ত করার জোর দাবী জানিয়েছে প্রশাসনের উদ্ধর্ত্বন কর্তৃপক্ষের কাছে।