Category: অপরাধ

  • জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঠিকাদাররা।
    সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক ঠিকাদাররা জানান, সরকারি বিধি মেনে দীর্ঘদিন তারা ঠিকাদারী করে আসছেন। কিন্তু বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে তার পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ কাজ পাচ্ছেন না। সম্প্রতি ২৩ সেপ্টেম্বর কলারোয়ায় পানির লাইনের একটি টেন্ডার হয়। সেখানে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার জমা দেন। এদের মধ্যে সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৯৭ হাজার ১২০ টাকার টেন্ডার জমা দেন মেসার্স জিলানী ট্রেডার্স। কিন্তু বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী তার থেকে প্রায় ২০লক্ষ টাকা বেশি দরদাতা মেসার্স ফাতিমা এন্টারপ্রাইজকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন। তার দর ছিলো ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৫১ টাকা।
    এতে করে সরকার ২০ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বলে ঠিকাদাররা দাবি করেন। তারা জানিয়েছেন ওই ২০লক্ষ টাকাই নির্বাহী প্রকৌশলী নিজের পকেটস্থ করেছেন। যে কারণে অযুহাত দেখিয়ে জিলানী ট্রেডার্সকে কাজটি দেওয়া হয়নি।
    তবে এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, টেন্ডারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম দরদাতার কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় সেটি বাতিল হয়ে গেছে। প্রথম দরদাতা কোনক্রমে বাতিল হলে দ্বিতীয় দরদাতা টেন্ডারটি পাবেন। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় দরদাতা টেন্ডারটি পেয়েছেন। এছাড়া আর কিছু না।

  • আবরার হত্যা মামলার আসামি শামিম বিল্লাহ  শ্যামনগরে  গ্রেফতার

    আবরার হত্যা মামলার আসামি শামিম বিল্লাহ শ্যামনগরে গ্রেফতার

    শ্যামনগর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী শামিম বিল্লাহকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ১১ অক্টোবর শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া গ্রামের নানা বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সে পাশর্^বর্তী খানপুর ইছাকুড় গ্রামের আমিনুর রহমান বাবলুর রহমানের একমাত্র ছেলে। শামিম বিল্লাহ বুয়েট ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন বলে তার পরিবার সুত্রে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার বাবার দায়ের করা মামলার ১৪ নং আসামী ছিলেন শামিম বিল্লাহ। শামিমের চাচা লাভলুর রহমান এবং দাদা আতিয়ার রহমান জানান, শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে সাদা পোশাকধারী একদল পুলিশ সদস্য ভুরুলিয়া গ্রাম থেকে শামিম বিল্লাহকে আটক করে নিয়ে যায়। তারা আরও জানায় শামিম বিল্লাহ ভুরুলিয়া গ্রামে বসবাসরত তার নানা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গঞ্জর আলীর বাড়িতে অবস্থান করছিল।

    এদিকে শামিম বিল্লাহর দাদি মমতাজ বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে শামিম বিল্লাহ দু’দিন আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছিল। আত্মসমর্পনের বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করার জন্য সে বাড়িতে আসে বলেও দাবি তাদের।

    শামিম বিল্লাহকে উদ্ধৃত তার দাদি মমতাজ বেগম আরও দাবি করেন আবরার ফাহাদকে মারধরের সময় ‘সিনিয়র’ ভাইদের ‘ডাকে’ সাড়া দিয়ে সে অমিত সাহার কক্ষে যায়। ‘সিনিয়র’ ভাইয়ের কথা উপক্ষো করতে না পারার কারণে মারধরের সময় সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে বাড়িতে ফিরে স্বজনদের জানিয়েছিলেন।

    জানা গেছে, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামী শামিম বিল্লাহ নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছিল। সে শেরে বাংলা হলের ২০৪ নং কক্ষের ছাত্র। ১৭ ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামিম ঢাকার মোহাম্মদপুরের সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এইচএসসি ও শ্যামনগরের নকিপুর এইচসি পাইলট ম্যাধমিক বিদ্যালয় থেকে সে গোল্ডেন জিপিএ পাঁচ নিয়ে এসএসসি পাশ করে।

  • প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা প্রাইম মিডিয়া কর্তৃক ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে বিকাশ এজেন্টদের মানববন্ধন

    প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা প্রাইম মিডিয়া কর্তৃক ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে বিকাশ এজেন্টদের মানববন্ধন


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউশন প্রাইম মিডিয়ার স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক এজেন্টদের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা জেলার বিকাশ এজেন্টদের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্করস্থ শহিদ মিনার পাদদেশে জেলা বিকাশ এজেন্ট সংগঠনের সভাপতি পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিকাশ এজেন্ট সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামান রাশি, সহ-সভাপতি রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল আরেফিন রাজু, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার রাজু, আনন্দ রায় প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্র্যাক এনজিও সংস্থার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ। সাতক্ষীরা জেলা বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউশন প্রাইম মিডিয়ার স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক তাদের নিয়োগ দেওয়া লোক। আমরা বিকাশ প্রতিষ্ঠানকে চিনি ওমর ফারুককে চিনিনা। ব্র্যাক যদি আমাদের পাওনা টাকা ফেরত না দেয় তাহলে আমরা সাতক্ষীরাসহ বিকাশের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ ব্র্যাকের সকল কর্মকান্ড কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেব এবং এজেন্টের সকল সমস্যার সমাধান না করে সাতক্ষীরায় কোন ডিস্ট্রিবিউটর না দেওয়ার অনুরোধ জানান বক্তারা। এছাড়া আগামী রবিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

    সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের (৪৫) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের কাশেমপুর হাজামপাড়া নামকস্থান থেকে পুলিশ তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে।
    নিহত নজরুল ইসলাম আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীর সহ-সভাপতি ও আগরদাড়ি ইউনিয়নের কুঁচপুকুর গ্রামে মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে।
    আওয়ামীগ নেতা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
    আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি জানান, নিহত নজরুল ইসলাম কদমতলা থেকে বাজার করে মটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পিছন দিক থেকে মটরসাইকেল যোগে এসে দুবৃত্তরা তার পিছন দিক থেকে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
    নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ হোসেন জানান, স্থানীয় সাবেক মেম্বর তৌহিদুলের সাথে তার বাবার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে তার বাবাকে তৌহিদ মেম্বরের লোকজন হত্যা করতে পারে বলে তিনি জানান।
    সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিস জানান, নিহত আওয়ামীলীগ নেতার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকারিদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। তবে কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।
    উল্লেখ্য ২০১৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এ পরিবারের উপর নয় বার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সে হামলায় তার ভাই সিরাজুল ইসলাম ও ভাইপো যুবলীগ নেতা রাসেল নিহত হন। নজরুল নিজের নিরাপত্তার জন্য সে সময় তিনি সদর থানায় রাত্রি যাপন করতেন।

  • পাটকেলঘাটায় প্রভাষক জাহানারা খাতুনের হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    পাটকেলঘাটায় প্রভাষক জাহানারা খাতুনের হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
    পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ ডিগ্রী কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জাহানারা খাতুন শনিবার (৬ জুলাই) সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর পাটকেলঘাটা অফিসের সামনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় পাটকেলঘাটার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১০ টায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহসড়কের পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলটি বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পাটকেলঘাটা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে থানার সকল স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বাকশিসের সভাপতি তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাক্ষ আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা সিমান্ত আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক, শালিখা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র সাধু, সুভাষিনি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম সেলিম, শহিদ জিয়াউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, কুমিরা মহিলা কলেজের উপধাক্ষ শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবায়ন মঞ্চের সভাপতি এ্যাড. আব্দুস সামাদ, কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম রেজা, পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক সুব্রত কুমার দাশ, স ম আতিয়ার রহমান, আব্দুল গফ্ফার, নাজমুল হক, সুভাষিনি কলেজের অধ্যাপিকা শাহিনা আক্তার বিলকিস, কুমিরা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক আসাদুল হক, প্রসান্ত রায়, তালা মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা জাহিদ হাসান, একরামুল হক রায়হান প্রমুখ। উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তারা ট্রাক চাপায় পিষ্ট করে প্রভাষক রহিমা খাতুনের হত্যায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শস্তি দাবী করেন। নিরাপদ সড়ক, পাটকেলঘাটা ওভারব্রীজ থেকে পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ কলেজ পর্যন্ত মহাসড়কের দু’ধারে অবৈধভাবে রাখা বালু, ইট, কাঠ, যানবাহন, দোকানপাট উচ্ছেদ ও পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ ডিগ্রী কলেজের সামনে স্পিড ব্রেকার ও যাত্রী ছাউনি কার্যকরার দাবী জানান।
    উল্লেখ্য, শনিবার (৬ জুলাই) সকল সাড়ে ১০ টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মজুমদার ফিলিং স্টেশনের একটি তেলবাহী ট্রাক তাকে বহনকারী ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থালেই তার মৃত্যু হয়। জাহানারা খাতুন (৪০) তালা পাটকেলঘাটা থানার নওয়াপাড়া গ্রামের শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার শ্যামনগর থানার নূরনগর গ্রামের মৃত নাজের আলী কারিগরের পুত্র নজরুল ইসলাম (৫৫) ও তার হেলপার একই গ্রামের আব্দুল বারীর পুত্র আহম্মদুল্লাহ (২১)’র বিরুদ্ধে শনিবার (৬জুলাই) রাতে ৩০২ ধারায় একটি মামলা হয় মামলা নং-৩।

  • সাতক্ষীরা শহরবাসীর মধ্যে চুরি আতংক


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরবাসীর মধ্যে ব্যাপকভাবে চুরির আতংক বিরাজ করছে। সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন স্থানে এক ডজনেরও বেশী চুরির ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে এক ধরনের অজানা আতংক বিরাজ করছে। আর এসব চুরি ঘটনা গুলো বেশীর ভাগই দিনের বেলায় ঘটছে। তবে, আশ্চার্য্য হলেও সত্য এ সব চুরির ঘটনাগুলো বেশী সংঘটিত হচ্ছে কাটিয়া এলাকায়। যেখানে একটি পুলিশ ফাঁড়িও রয়েছে। আর শহরের বিভিন্ন স্থানে চুরির ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে শহরের তিনটি ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে কলেজ রোড এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে ঢুকে চোরেরা বাড়ির আসবাব পত্রসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র নিয়ে গেছে।
    কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা অজয় শীল জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে তার স্ত্রী যখন ঘুমাচ্ছিলেন এ সময় দুই চোর তার ভাড়া বাড়িতে ঢুকে থালা বাসন ও আসবাব পত্র নেয়ার পর তার রুমে ঢুকে আলমারীর তালা ভাঙার সময় তার স্ত্রী টের পেয়ে আতœচিৎকার শুরু করেন। এ সময় চোরেরা তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজয় শীল বাদী হয়ে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, এ নিয়ে তার এলাকায় সম্প্রতি মোট চারটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
    জানা গেছে, এর আগে গত ১৮ মে শনিবার সন্ধ্যায় মাগুরা কামারপাড়া এলাকার অনীল কুমার সাহার ছেলে অজয় কুমার সাহা পরিবার নিয়ে পাশে কীর্ত্তণ শুনতে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন তার জানালার গ্রিল কাটা। তারা বাড়ি না থাকার সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরেরা তার ঘরের আলমারি ভেঙে ১৪ ভরি সোনা, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ২৫ টি শাড়ী চুরি করে নিয়ে যায়।
    এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগও করেছিলেন। এরপর গত ২০ মে সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা টিবি হাসপাতালে কর্মরত মধ্যকাটিয়া এলাকার শংকর শেখর তার পরিবার নিয়ে বাজারে আসেন। বাড়ি ফিরে দেখেন তার জালানার গ্রিল কেটে ৩ ভরি ওজনের সোনার চেইন, দুটি সোনার আংটিসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া ২১ মে রাতে শহরের নারকেলতলাস্থ রূপালী ট্রেডার্সের সার্টার কেটে ১৩ পিচ টায়ার, ৫ বালতি মবিল ৫০ পিচ টিউব ও ১০০ পিচ রিং টেপ অজ্ঞাত চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৭লক্ষ টাকা। সাতক্ষীরা শহরের প্রায়ই এ ধরনের বড় বড় চুরির ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
    স্থানীয় এলাকাবাসীরা অবিলম্বে এ সব চুরির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
    এ বিষয়ে কাটিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ তছলিম হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে এক চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চোরদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪/৫ জন চিহ্নিত চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই জব্দ

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই জব্দ


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মৌতলা বাজার থেকে স্থানীয়রা উক্ত বইগুলো জব্দ করেন।
    স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের শামীম হোসেন নামের এক ব্যক্তি ৩ হাজার চার’শ কেজি বই বিক্রি করতে যান মৌতলা বাজারের ভাঙড়ি ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ কুমারের দোকানে। এ সময় জনতা তাকে ধরে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।
    তবে বই বিক্রির বিষয়ে শামীম হোসেন বলেন, তিনি বইগুলো শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেনের কাছ থেকে কিনেছেন।
    এ বিষষয়ে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, স্থানীয় জনতা বইসহ শামীমকে ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পর তিনি বইগুলো পরিষদের হেফাজতে রাখতে বলেন।
    শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন বলেন, রেজুলেশন করে বইগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তবে ভুলক্রমে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের কিছু বই চলে গেছে। বইগুলো চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখতে বলা হয়েছে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
    এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, গত কয়েক দিন আগের একটি সভায় ৬ষ্ঠ-দশম শ্রেনীর ২০১৫ সালের আগের পুরাতন বই বিক্রির বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের বই বিক্রি করেছে এ বিষয় শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বুঝবেন সেটা তার ব্যাপার।

  • সাতক্ষীরাসাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে আড়াই লাখ টাকার মালামাল জব্দ


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৫১ হাজার ২৬০ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার ভোমরা, মাদরা, কাকডাঙ্গা, কালিয়ানী ও পদ্মশাখরা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ভিভেল শ্যাম্পু, গরু, বাই সাইকেল, বাই সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশ, এ্যাপেল জুস, জুতা/সেন্ডেল, আগরবাতি, পাতার বিড়ি, হরলিক্স ও চা পাতা। তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন ভামরা, মাদরা, কাকডাঙ্গা, কালিয়ানী ও পদ্মশাখরা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ২ লাখ ৫১ হাজার ২৬০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।###
    প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৫১ হাজার ২৬০ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার ভোমরা, মাদরা, কাকডাঙ্গা, কালিয়ানী ও পদ্মশাখরা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ভিভেল শ্যাম্পু, গরু, বাই সাইকেল, বাই সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশ, এ্যাপেল জুস, জুতা/সেন্ডেল, আগরবাতি, পাতার বিড়ি, হরলিক্স ও চা পাতা। তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন ভামরা, মাদরা, কাকডাঙ্গা, কালিয়ানী ও পদ্মশাখরা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ২ লাখ ৫১ হাজার ২৬০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৪ লাখ টাকার মালামাল জব্দ


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে। মঙ্গলবার ভোরে সাতক্ষীরার বৈকারী, পদ্মশাখরা, বাঁকাল, কাকডাঙ্গা ও মাদরা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ভিভেল শ্যাম্পু, গরু, চকলেট বাজি ও চা পাতা । তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন বৈকারী, পদ্মশাখরা, বাঁকাল, কাকডাঙ্গা ও মাদরা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান তৌহিদ সানা খুন গ্রেফতার হয়নি ছয় আসামির একজনও




    প্রতিনিধি । সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তৌহিদ সানা হত্যার আসামীরা গত এক মাসেরও বেশী সময়ে ধরা পড়েনি। তারা গ্রামজুড়ে দাপিয়ে বেড়ালেও পুলিশ বলছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তৌহিদ সানার বোন শামিমা সুলতানা অভিযোগ করে বলেন উল্টো আসামীরা তাদের পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
    গত ১ এপ্রিল মাদক বেচাকেনা সংক্রান্ত বিরোধের জের হিসাবে ছয় জন সন্ত্রাসী তৌহিদ সানা(৪৫) কে গরান কাঠ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় একটি মামলা করা হয় ছয় জনের বিরুদ্ধে।
    তার বোন শামিমা সুলতানা জানান বড়দল গ্রামের ইসলামুল হক টুটুল নামে এক মাদকাসক্ত যুবক তৌহিদ সানাকে গত ১ এপ্রিল তাদের ঘেরের বাসায় ডেকে পাঠায়। সেখানে উপস্থিত অন্যান্যদের উদ্দেশ্য করে বলে ‘আমি তৌহিদ সানাকে ডেকে এনেছি, তোরা যা পারিস কর’। একথা বলার পরপরই তার সহায়তায় বুড়িয়া গ্রামের নাহিদ বাবু , বড়দল গ্রামের আরিফুল ইসলাম কাজল, শরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, মোঃ আইয়ুব মালী ও ইয়াসিন আরাফাত তৌহিদ সানাকে নির্মমভাবে আঘাত করতে থাকে। চিৎকার দিয়ে আত্মরক্ষায় পালিয়ে তৌহিদ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছে আসতেই মাটিতে পড়ে যায়। এসময় ইউপি সদস্য হামিদ গাজী সহ অন্যরা তাকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। পরে তাকে খুলনায় নেওয়া হলে ৪ এপ্রিল বিকালে মারা যান তৌহিদ সানা। তিনি আরও বলেন, মারপিট করার সময় আসামী আরিফুল ইসলাম কাজল তার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে বলে, ‘তুই খবর দেওয়ায় পুলিশ আমাকে মাদক মামলায় ধরে নিয়ে যায়। এই মামলা থেকে বাঁচতে আমার ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে’।
    শামিমা সুলতানা আরও বলেন তার ভাই তৌহিদ সানার বিরুদ্ধেও একটি মাদক মামলা ছিল। এই মামলায় জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরতেই একই দিনে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা । এ সংক্রান্ত মামলার ছয় আসামী এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে । অথচ পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না।
    তাকে গ্রেফতার না করা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার সিআইডি পরিদর্শক মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বলেন আমরা আসামী ধরার চেষ্টা করছি। শুনেছি ঈদের সময় ওরা বাড়ি এসেছিল। তাদের গ্রেফতারের জন্য আবারও অভিযান চালানো হবে।

  • সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর’র বিরুদ্ধে সীমাহীন স্লিপ বানিজ্য ও জন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত শুরু


    সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর (টিআই) মমিন উদ্দীনের বিরুদ্ধে সড়ক-মহাসড়কে যত্রতত্র মটরযানে অভিযান,চালক ও যাত্রী সাধারনের হয়রানি, কেস স্লিপের নামে লাখ লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্য এবং মাসোয়ারা আদায়ের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
    জানা গেছে জেলার কলারোয়া উপজেলাধীন তুলসীডাঙ্গা গ্রামের মুত শামসুদ্দীন আহম্মদের পুত্র ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের খুলনা মেট্রো-ট ১১-০৮৮৫ ট্রাকটি গত বছরের ১৭মে ভোমরা হতে মাল বোঝাই করে খুলনা দিকে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরা হাসপাতাল মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ওয়াসিম মল্লিক গাড়ী থামিয়ে কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে ৩হাজার টাকা দাবি করেন। চালক দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ঐ কর্মকর্তা তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ দিয়ে কেস স্লিপ ধরিয়ে দেন। এ ঘটনার ১০দিন পর ২৭/৫/২০১৮ ইং তারিখ ট্রাক মালিক আব্দুর রহমান সাতক্ষীরা ট্রাফিক অফিসে গিয়ে টিআই মমিন উদ্দীনের হাতে কেস স্লিপ দিলে তিনি প্রথমে ১৪ হাজার পরবর্তীতে ১২ হাজার টাকার কম হলে কেস ভাঙ্গানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। ঐ সময় গাড়ীর মালিক অনেক অনুনয় বিনয় করলেও তিনি কোন কথায় কর্নপাত না করে উল্টো গাড়ীর মালিকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন । এক পর্যায়ে তার অফিস থেকে গাড়ীর মালিককে বের করে দেন।
    নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি কমপ্লেন সেল,ডিআইজি খুলনা,ডিআইজি ডিসিপ্লিন পুলিশ হেড কোয়াটার্স ঢাকা ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ৮জুন (শনিবার) পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স’র ডিসিপ্লিন শাখার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. হেলালউদ্দীন কলারোয়া থানায় এসে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। ঐদিন বিকালে তার সাথে সেল ফোনে এ প্রতিবেদকের আলাপ হলে সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের নানাবিধ অনৈতিক কর্মকান্ডের সত্যাতা মিলেছে বলে জানান।
    তথ্যানুসন্ধান করে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের মটরযান আইনের যানবাহন ও চালকদের কাগজপত্র ক্রটির কারনে ১৭টি ধারা ও অপরাধের বর্ননা অস্থায়ী কেস স্লিপে উল্লেখ করা হয়। আইনটি ১৯৮৮(সংশোধিত) ১৫৯(১) ও ১৬২ ধারা মতে জরিমানা আরোপের জন্য উক্ত কেস স্লিপের ধারার উপর আবশ্যিক টিক চিহ্ন দেয়ার কথা ।
    অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, দেশের অন্যান্য জেলা ট্রাফিক পুলিশের অস্থায়ী কেস স্লিপের উল্লেখিত ধারায় আবশ্যিক টিক চিহ্ন লেখা থাকলেও সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের কেস স্লিপে এসব কথা উল্লেখ না করে যানবাহান মালিক ও চালকদের সাথে অব্যাহত ভাবে স্লিপ বানিজ্য করে আসছেন।
    প্রকৃত পক্ষে মটরযান আইনে ১৩৭ ধারায় ২০০ টাকার পরিবর্ত্তে ৫০০ টাকা আদায় করে সরকারী খাতে জমা হয় ২০০ টাকা ,১৪০ ধারার অপরাধে ১০০০টাকা আদায় করে জমা করা হয় ৫০০ টাকা,১৪৯ ধারায় ২০০০ টাকা আদায় করে জমা করা হয় ২৫০ টাকা ১৫২ ও ১৫৫ ধারায় ২০০০ টাকা আদায় করা কথা থাকলেও ২/৩ গুন আদায় করা হয়। যা সরকারী খাতে জমা হয় কিনা ভুক্তভোগীরা জানেন না । ১৫১ ধারায় ৫০০০ টাকার পরিবর্তে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া ১৩৮ ধারায় অপরাধ আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি করার বিধান থাকলেও সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশ এসবের তোয়াক্কা না করে নিজেরাই নিস্পত্তি করে থাকেন ভুক্তভোগিদের অভিযোগ। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ কেস স্লিপের টাকা জমা দিলে রশিদ দেয়ার নিয়ম থাকলেও সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশ কাউকে কোন রশিদ না দিয়ে দিনের পর দিন প্রতারনা করে আসছেন।
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর(টিআই) মমিন উদ্দীন বিরুদ্ধে নানাবিধ অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। কেস স্লিপ ভাঙ্গানোর সময় ভুক্তভোগিদের রশিদ দেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে প্রেসার উঠে গেছে বলে সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।

  • ৩৩ বিজিবি দুই লক্ষ পাঁচ হাজার একশত টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার মালামাল আটক

    ৩৩ বিজিবি দুই লক্ষ পাঁচ হাজার একশত টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার মালামাল আটক

    সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর দায়িত্বপুর্ণ এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধের নিমিত্তে কঠোর নজরদারী এবং আভিযানিক কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৮-০৯ জুন ২০১৯ তারিখ দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে নি¤œবর্ণিত ভারতীয় সেন্ডেল, ফেন্সিডিল, মদ, গরু ও ঔষধ আটক করা হয় ঃ

    ১। ০৯ জুন ২০১৯ তারিখ ০১৩০ ঘটিকায় হিজলদী বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ মাহবুবুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি টহল দল মেইন পিলার ১৫/৪ এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুলতানপুর মাঠ নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ৬০,০০০/-(ষাট হাজার) টাকা মূল্যের ১৫০ জোড়া ভারতীয় সেন্ডেল আটক করে।

    ২। ০৮ জুন ২০১৯ তারিখ ২২০০ ঘটিকায় কুশখালী বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার খোকন মিয়া এর নেতৃত্বে একটি টহল দল কর্তৃক মেইন পিলার ১০/৪এস হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খৈতলা মাঠ নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের ০১ বোতল ভারতীয় মদ ও ৩১,২০০/- (একত্রিশ হাজার দুইশত) টাকা মূল্যের ৭৮ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল আটক করে।

    ৩। ০৯ জুন ২০১৯ তারিখ ০৩৩০ ঘটিকায় পদ্মশাখরা বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার ফারুক কামাল এর নেতৃত্বে একটি টহল দল মেইন পিলার ২/২এস হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মশাখরা মাঠ নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা মূল্যের ০২ টি ভারতীয় গরু আটক করে ।

    ৪। ০৯ জুন ২০১৯ তারিখ ০৭৩০ ঘটিকায় ভোমরা বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ জহির উদ্দিন বাবর এর নেতৃত্বে একটি টহল দল মেইন পিলার ২/৪ এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘোষপাড়া কাচা রাস্তা নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ৩,২০০/-(তিন হাজার দুই শত) টাকা মূল্যের ০৮ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল ও ৯,০০০/- (নয় হাজার) টাকা মূল্যের ০৬ বোতল ভারতীয় মদ এবং ২০০/- (দুইশত) টাকা মূল্যের ০৮ পিস ঊুপ/পধফ-ফঢ়ড়ঢ়ং আটক করে।

    উল্লেখ্য, অত্র ব্যাটালিয়ন কর্তৃক সর্বমোট ২,০৫,১০০ /- (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার একশত) টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়।

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার মালামাল জব্দ


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঃ সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে। রবিবার ভোরে সাতক্ষীরার কুশখালী ও পদ্মশাখরা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ফেন্সিডিল, ও গরু। তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন কুশখালী ও পদ্মশাখরা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • চালতেতলায় পৌর কাউন্সিলর শাহিন কর্তৃক মালিকানাধীন সম্পত্তি দখলের পায়তারা!

    চালতেতলায় পৌর কাউন্সিলর শাহিন কর্তৃক মালিকানাধীন সম্পত্তি দখলের পায়তারা!


    স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর কর্তৃক শহরের চালতেতলা মেজ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিতে জোর পূর্বক ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নজরুল ইসলাম ও হাবিবুল্লাহ’র মালিকানাধীন সম্পত্তিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে মোমিন গাজী, আব্দুস সামাদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ ১০/১৫ জন সংঘবদ্ধভাবে উক্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করে। এসময় জমির মালিক পক্ষ ড্রেন নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে পৌর কাউন্সিলর শাহিনুর রহমান মারমুখী হয়ে উঠে এবং অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। অত:পর, পৌর সভার সার্ভেয়ার মামুন উক্ত সম্মত্তিতে গিয়ে মাপ-জরিপ করে দেখেন সেটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে আনছার আলীর মালিকানাধীন সম্পত্তি দখল করতে যায় পৌর কাউন্সিলর শাহিনুর রহমান। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই এমদাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পৌর কাউন্সিলর এসআই এমদাদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তার নামে একটি মামলা দায়ের করে। জমির মালিক নজরুল ইসলাম ও হাবিবুল্লাহ জানান, পৌর কাউন্সিলর শাহিনুর রহমান একাধিক নাশকতা মামলার আসামী। তিনি জামাত-বিএনপির অর্থ যোগানদাতা হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত। সোমবার স্থানীয় স্থানীয় একটি দৈনিকে তার বিরুদ্ধে সিটি এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিেিটড এর সম্পত্তি দখলের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদের ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর শাহিনুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি গালি দিয়ে বলেন, ‘পত্রিকার সংবাদ প্রকাশে আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।’

  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মাটির নিচে পুঁতে রাখা বিপুল পরিমান ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মাটির নিচে পুঁতে রাখা বিপুল পরিমান ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
    এদিকে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনের পেছনে সেপটিক ট্যাংকের কাছে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ওষুধের স্যাম্পল পুলিশ নিয়ে এলেও প্রায় সব ওষুধই সেখানে পড়ে রয়েছে। কয়েকজন আনসার সদস্য এলাকাটি ঘিরে রেখেছেন।
    এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওষুধ চুরির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যেয়ে তা প্রত্যক্ষ করার পর সেসব ওষুধ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হবে।
    ওষুধ চুরির বিষয়ে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, তিনি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. বদিউজ্জানকে আহবায়ক করে অপর সদস্যরা হলেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের প্রতিনিধি এবং ইউএনও সদর দেবাশীষ চৌধুরী। জেলা প্রশাসক জানান, আগামি সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটির তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
    এদিকে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহজাহান আলি জানান, তার নির্দেশে একই বিষয়ের ওপর তিন সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইউরোলজি বিভাগের ডা. রুহুল কুদ্দুসকে আহবায়ক করে কমিটির অপর সদস্যরা হলেন ডা. প্রবীর কুমার বিশ^াস ও ডা. আক্তারুজ্জামান। এ কমিটিও আগামি সাতদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেবে বলে কথা রয়েছে।
    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তত্ত্ব¡াবধায়ক ডা. শাহজাহান আলি জানান, উদ্ধার হওয়া কোনো ওষুধের গায়ে সরকারি সিল নেই। এতে লাল সবুজ চিহ্নও নেই। এ ওষুধ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোরের নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যে গজ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করি তা থান কাপড়ের তৈরি। অথচ যা পাওয়া গেছে তা কাগজের। তা ছাড়া স্টোরে থাকা কোনো ওষুধ খোয়া যায়নি বলে আমি স্টোর কীপার আহসান হাবিব ও স্টোর অফিসার বিভাস চন্দ্রর কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ওষুধ ক্রয় বা গ্রহনের পর তা সার্ভে কমিটি দিয়ে পর্যবেক্ষন করানো হয়। সেসব তালিকা অনুসরন করলে পরিস্কার হবে যে এ ওষুধ সরকারি নয়। এমনকি তার স্টোর থেকে তা খোয়া যায়নি। তিনি বলেন ঘটনা যে বা যারাই ঘটাক তা ঘটেছে তিনি সাতক্ষীরায় যোগদানের আগে। তিনি বলেন, আমি এখানে যোগ দান করেছি ২০১৭ এর ১৪ অক্টোবর।
    এদিকে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত সবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল ওষুধ চুরির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন অতি দ্রুত তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইন আমলে আনতে হবে। তিনি বলেন সরকার ওষুধ দেয় বিনামূল্যে রোগীদের মাঝে বিতরনের জন্য। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ এ ওষুধ বিক্রি করে খায় । তিনি তাদের দেশের শত্রু বলে সমালোচনা করেন। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন ‘ ওষুধ চোরদের যে কোনো মূল্যে ধরে জনগনের সামনে আনতে হবে। তাদের তুলতে হবে বিচারের কাঠগড়ায়’। তিনি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
    উল্লেখ্য ঃ গত শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরের সেপটিক ট্যাংকের কাছ থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় ১০ বস্তা ওষুধ উদ্ধার করা হয়। এদিন বুষ্টির পানিতে ওষুধ ভর্তি বস্তাগুলি বেরিয়ে পড়লে তা সবার নজরে আসে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় এসব ওষুধ, ক্যানোলা, জিপসোনা, গজ ব্যান্ডেজ ও চিকিৎসা সামগ্রী । বেরিয়ে পড়া এসব ওষুধ ফের মাটি চাপা দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের সাথে দরকষাকষির সময় তা জানাজানি হয়ে যায়।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন



    মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলার অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খান (৬৭) মারা গেছেন। তিনি সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের মৃত আইজুদ্দিন মোল্যার ছেলে। ভারতে পালিয়ে থাকা অবস্থায় তিনি সেখানে মারা যান। এরপর গোপনে তার লাশ আনা হয় বৈকারী গ্রামে।
    জানা যায়, একাত্তরে পাকিস্থানী হানাদারদের পক্ষে নৃশংসতার কারণে জহিরুল ইসলাম সবার কাছে সাতক্ষীরার ‘টিক্কা খান’ নামে পরিচিতি পান। একাত্তরের এই কসাইয়ের মৃতদেহ সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে তার গ্রামের বাড়ি বৈকারীতে আনা হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। জহিরুলের বাড়ির আঙিনার ধারে সোনাই নদী পার হলেই ভারত সীমান্ত শুরু। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    উল্লেখ্য: ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাতক্ষীরার ৪ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী যথাক্রমে, সদর উপজেলার আলীপুরের আব্দুল্লাহিল বাকী, জামাতের সাবেক এমপি বৈকারী গ্রামের আব্দুল খালেক মন্ডল, শহরের পলাশপোল নবজীবন এনজিওর সাবেক নির্বাহী পরিচালক খান রোকনুজ্জামান ও বৈকারীর জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলমান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ গত ৬ মে ২০১৯ তারিখে শেষ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রোকন ও টিক্কাখান শুরু থেকেই দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
    আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করার পর ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।


  • সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮ লাখ টাকার মালামাল জব্দ


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে। সোমবার ভোরে সাতক্ষীরার ভোমরা, পদ্মশাখরা, ঝাউডাঙ্গা ও মাদরা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় মদ, জুতা, স্যােেন্ডল, চা পাতা, গরু, খেলনা, কাপড়, ফিজ আপ জুস ও পালসার মটর সাইকেল। তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন ভোমরা, পদ্মশাখরা, ঝাউডাঙ্গা ও মাদরা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ৮ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • রোহিঙ্গা আতংকে ভুগছেন সাতক্ষীরার মানুষ

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রোহিঙ্গা আতংকে ভুগছেন সাতক্ষীরার মানুষ। দিনে অথবা রাতে ছদ্মবেশে অপহরণ কিংবা অন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এমন গুজবে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন রোহিঙ্গাকে ছেলেধরা কথিত অপরাধে আটক করেছে পুলিশ।
    তবে, পুলিশ বলছে এরা রোহিঙ্গা নয়, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা ধারণা করা যায় এরা বিকৃত মস্তিষ্ক।
    গ্রামবাসীরা জানান, তাদের এলাকায় সন্ধ্যা নামতেই খবর আসছে যে, ওই পাড়ায় রোহিঙ্গা ঢুকছে। তারা শিশু অপহরণ কিংবা অন্য কোন অপরাধের চেষ্টা করছে। এক কান দু’কান করে এ খবর গ্রামময় ছড়িয়ে পড়তেই নীরিহ গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে রাত জেগে রোহিঙ্গা ধরার চেষ্টা করছে। এমন ঘটনা জেলার তালা, সাতক্ষীরা, দেবহাটা ও কলারোয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ঘটেছে।
    দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উজ্জল কুমার মৈত্র জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পারুলিয়া ইউনিয়নের কদবেল তলা এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গা নারীকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ওই নারী কয়েকদিন ধরে সেখানে ঘোরাফেরা করছিলেন।
    গ্রামবাসীর ধারণা, তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে ছেলে ধরার চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার বাশদহা এলাকা থেকে জিতেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। গ্রামবাসীর অভিযোগ, রোহিঙ্গা সদস্য জিতেন ভবানীপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
    এদিকে, তালা ও পাটকেলঘাটা থানা এলাকা থেকে আরও তিন ব্যক্তিকে পৃথক স্থান থেকে গ্রামবাসীর সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ বলছে, তারা অপ্রকৃতিস্থ।
    তবে, গ্রামবাসীর ধারণা, তারাও রোহিঙ্গা সদস্য এবং ছেলে ধরার মতো অপরাধের চেষ্টা করছে।
    নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে বেশ কিছু সংখ্যক নারী ও পুরুশ রোহিঙ্গা সদস্য সেখানকার আশ্রয় শিবির থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মানব পাচারকারী দালালদের মাধ্যমে তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এই লক্ষ্যে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা সদস্যকে সাতক্ষীরা সীমান্তে আনার পর দালালরা তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। পরে এসব রোহিঙ্গা গ্রামের দিকে ঢুকে পড়েছে। তারাই নানা ধরণের অপরাধের চেষ্টা করছে। এদেরই কারণে জেলাব্যাপী ছেলে ধরা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি রোহিঙ্গা নাম শুনলেই গ্রামবাসী আতংকিত হচ্ছেন।
    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, ছেলে ধরা রোহিঙ্গা বিষয়ে যা প্রচার হচ্ছে তার সবই গুজব। কলারোয়ায় যে দুই নারী ধরা পড়েছেন তারা মূলত ভিখারী। সেখানকার একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তারা ভিক্ষা করেন। গ্রামবাসী তাদের ছেলে ধরা রোহিঙ্গা মনে করে আটক করে। প্রকৃতপক্ষে এই কয়দিনে সন্দেহভাজন যে কয়জনের সন্ধান মিলেছে তারা কেউই রোহিঙ্গা নন। এমনকি তারা কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত এমন প্রমাণও মেলেনি। তিনি গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন