Category: অপরাধ

  • নেপথ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ॥ ব্যবহার করা হচ্ছে ঈমাম মুয়াজ্জিনদের : সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা আমানাত সংগ্রহ করছেন আল-কারিম ফাউন্ডেশন

    নেপথ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ॥ ব্যবহার করা হচ্ছে ঈমাম মুয়াজ্জিনদের : সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা আমানাত সংগ্রহ করছেন আল-কারিম ফাউন্ডেশন


    সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা আমানাত সংগ্রহ করছে আল-কারিম ফাউন্ডেশন নামের একটি ভুইফোড় প্রতিষ্ঠিান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নাম ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন মসজিদের ঈমাম মুয়াজ্জিনকে সামনে রেখে এই বিপুল অংকের অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের নবারুন স্কুলের সামনে থেকে ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানে পাঁচজনকে আটক করেছে।
    আটককৃতরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে জেলা কর্মকর্তা রহমতউল্লাহ, সহকারি হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আব্দুল খালেক, সদর উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম ইহসানুর রহমানসহ পাঁচজন। এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে বেশি টাকা আত্মসাত কারি সদর উপজেলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চম্পট দেয়।
    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সমবায় অধিদপ্তর, এমনকি সমাজসেবা অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি না নিয়ে দেদারছে কোটি কোটি টাকা আমানত সঞ্চয় করে প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে সাতক্ষীরায় আলÑকারীম ফাউন্ডেশন। যে কোনো সময় প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের মোটা অংকের এ টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে পারেন বলে অনেক গ্রাহকের আশাংকা। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা সাধারন ও এফডিআর এর নামে হাতিয়ে নিয়েছে আল-কারীম ফাউন্ডেশন নামের এই প্রতিষ্ঠানটি।
    এর বিপক্ষে গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য সামান্য কিছু ঋনও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
    ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী কয়েকজন গ্রাহকরা জানান, ২০০৬ সালে সাতক্ষীরায় নবারুল স্কুলের সামনে আল-কারীম ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কয়েকজন ব্যক্তির সহযোগিতায়। এর মুল দায়িত্বে রয়েছেন যশোরের আলহাজ্ব সাজ্জাদ হোসেন নামের এক ব্যাক্তি। প্রথমে তারা তেমন কোন সাড়া না পেলেও প্রতারক চেয়ারম্যান সাতটি উপজেলায় ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গ্রাহককে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে স্থায়ী এবং অস্থায়ী আমানাত সংগ্রহ শুরু করেন। ঈমাম মুয়াজ্জিনদের দেখে সাধারন মানুষ সহজেই বিশ্বাস করে টাকা আমানত করতে শুরু করে দেদারছে। সাতটি উপজেলায় ৫০ জন মাঠকর্মীর মধ্যে অধিকাংশই ঈমাম ও মুয়াজ্জিন। ২০০৬ সাল থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত তারা সাড়ে আট হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। ভুক্তভুগিরা আরও জানান, আলÑকারীম ফাউন্ডেশনের নামে সাতক্ষীরায় কোন ব্যাংক হিসাব নেই। আছে চেয়ারম্যানের নামে যশোরে। প্রতিদিন যে টাকা আদায় হয় তা চেয়ারম্যানের একাউন্টে পাঠাতে হয়। কোনো গ্রাহক সঞ্চয়ের টাকা বা কোনো ঋন চাইলে চেয়ারম্যান যশোর থেকে তার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারের ব্যাক্তিগত একাউন্টে চাহিদার আর্ধেক টাকা পাঠান। সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশী টাকা সংগ্রহ করেছে সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন। তিনি একাই সংগ্রহ করেছেন প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক শ্যামনগর উপজেলার দাউদ গাজীর ছেলে আইয়ুব গাজী জানান, তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকা সঞ্চয় করেন। এর বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা লোন নেন। বাকী টাকা চাইতে গেলে বেলাল হোসেন বলেন আপনি ৫ লাখ টাকা ঋন নিয়েছেন বাকী টাকা পরিশোধ করুন তা না হলে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এভাবে তারা গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে। আল-কারীম ফাউন্ডেশনের জেলা কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ জানান, ২০০৬ সাল থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৮ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে সাধারন গ্রাহকের টাকা আছে ৩ কোটি ৬৩ টাকা ও এফডিআর আছে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক লাখ টাকায় ৭ শত টাকা তিন বছর মেয়াদি ৯শত টাকা ও ৫ বছর মেয়াদি ১ হাজার টাকা দেয়া মুনাফা দেয়া হয় গ্রাহকদের। কিভাবে এত বিপুল অংকের টাকা লেনদেন করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাশ বই ও মানি রিসিটের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকি। কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ছাড়া কিভাবে এত বিপুল পরিমান টাকা সংগ্রহ করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যশোরের সাজ্জাদ সাহেব যা করেন তাই হয়। আমরা এখানে সামান্য বেতনে চাকুরী করি।
    আল-কারীম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাজ্জাদ হোসেন সেলফোনে জানান, আমি ইসলামী আন্দোলনের একজন সদস্য। আমি যখন শুরু করি তখন এত আইন-কানুন দেখা হয়নি। এখন সরকার না চাইলে আমি ২০২০ সালের মধ্যে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেব। এতদিন কিভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে এত টাকা সংগ্রহ করলেন তার এবং তা নিজের একাউন্টে রাখেন তার কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি।
    এ ব্যাপারে জেলা সমবায় কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ভাবেই চালাতে পারেন না। এমনকি তাদের দপ্তরেরও কোনো নিবন্ধন নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
    জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দেবাশীষ সরদার জানান, গত এক সপ্তাহ আগে সমাজসেবা থেকে তারা একটি নিবন্ধন নিয়েছে। এই নিবন্ধনের আলোকে কোনো আর্থিক লেনদেন করার কথা নয়। তারা আরও আগে থেকে মোটা অংকের টাকা আমানাত সংগ্রহ করছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আয়ূব আলী নামের একজন গ্রাহক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। গ্রাহকরা যাতে তাদের টাকা ফেরত পায় সেজন্য অভিযোগ পেলে পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালানো সম্পূর্ণ বে-আইনী। কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সাতক্ষীরার দামারপোতায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ডাকাত নিহত

    সাতক্ষীরার দামারপোতায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছেন, নিহত ব্যক্তি হত্যা ও ডাকাতিসহ ১৩ মামলার আসামি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার দামারপোতা এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও দুটি ছুরি জব্দ করা হয়। এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
    নিহত জাকির হোসেন মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে।
    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান জানান, সদর উপজেলার দামারপোতা গ্রামের গণঘেরের সামনে ওয়াপদা রাস্তার উপর একদল ডাকাত বড় কোন অপরাধ সংগঠনের জন্য বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে সমবেত হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় জাকির বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দু’ইপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য জাকির গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ সময় তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
    পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, তার বিরুদ্ধে আব্দুর রশীদ হত্যা, চোরাচালান, ঘের দখল ও ডাকাতিসহ ১৩ টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও দুটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান। ##

  • আলফা ও আলিমকে জেল হাজতে প্রেরণ


    নিজস্ব প্রতিবেদক: আল ফেরদৌস আলফা ও তার সহোদর বিজিবি হত্যা মামলার আসামী আব্দুল আলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে তাদেরকে গ্রেফতারের পর বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আল ফেরদৌস আলফা ও আব্দুল আলিম সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে।
    মামলার বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার তদন্ত ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর ৩৩ বিজিবি’র একটি টহল দল ট্রাকভর্তি ভারতীয় বিভিন্œ প্রজাতির মাছসহ মামুনুর রশিদ ও আকবর হোসেন নামের দুই জনকে আটক করে। জব্দকৃত ৬ হাজার ৪৫০ কেজি এই মাছ সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভোমরা স্থল বন্দর এলাকা দিয়ে আনা হয় বলে বিজিবি মামলায় উল্লেখ করেছে। জব্দকৃত ট্রাকসহ ভারতীয় মাছের মূল্য ১ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
    তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় ৩০ ডিসেম্বর বিজিবি আলিপুর বাঁকাল চেকপোস্টের হাবিলদার মোঃ মোহসিন আলী বাদি হয়ে আটক দুইজনসহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৮। ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের (স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট) ২৫ বি (১) (বি)/২৫ডি। এই মামলায় আশিক এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধিকারী আল ফেরদৌস আলফা ও তার সহোদর আব্দুল আলিমকে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
    উল্লেখ্য, আল ফেরদৌস আলফা মাদক মামলায় ইতিপূর্বে সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কয়েক মাস জেলও খেটেছেন। পরবর্তীতে উচ্চআদালতের জামিনে বেরিয়ে আসেন। তিনি সরকারের তালিকাভুক্ত হুন্ডি ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী বলেও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা যায়। এছাড়া, আলফার সহোদর আব্দুল আলিম বিজিবি হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী বলে সদর থানায় দায়েরকৃত ৩নং মামলা সূত্রে জানা গেছে। এই মামলাটি ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে দায়ের করেন ভোমরা বিজিবি’র নায়েক মোঃ নাসির উদ্দীন। মামলাটি আদালতে এখনও বিচারাধীন রয়েছে।

  • এলাকায় ফিরে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরায় চঞ্চল্যকর মামুন হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামি


    সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রভাষক মামুন হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী ও জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা ভুমিদস্যু মোস্তফা মাহবুবুল আলম ও তার সহোদর রফিুকুল হাসান আবারো এলাকায় ফিরে এসে ত্রাস সৃষ্টি করছে। তার সাদ্দাম বাহিনী বেপোরোয়া হয়ে উঠায় সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
    আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের বদরুদ্দোজা চৌধুরির ছেলে কামরুল কবির জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের চান্দুলিয়া এলাকায় তার ১২ বিঘা একটি মৎস্য ঘের আছে। আদালত তাদের শান্তি শৃঙ্গলা বজার রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু মামুন হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী শ্রীউলা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান সরদারের ছেলে মোস্তফা মাহবুবুল আলম ও তার ভাই জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা রফিকুল হাসান তাদের হাতে গড়া সাদ্দাম বাহিনী রাতের অন্ধকারে ঘেরটি দখল করে নেয়। তিনি আরও বলেন এলাকায় যাদের জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা আছে এই সাদ্দাম বাহিনী সেখানে হাজির হয়ে জমি দখল করে নেয়। বিশেষ করে সংখ্যালগু সম্প্রদায় তাদের ভয়ে সবসময় আতংক থাকে। তারা এলাকায় সাধরন মানুষের নামে থানায় ও আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে। তার জাল দলিল ও ভুয়া পাওয়ারনামা তৈরি করে প্রতারনা করে থাকে।
    জামায়াতে অর্থযোগানদাত রফিকুল হাসানের স্ত্রী শারমিন সুলতানা জানান, তাকে জামায়াতের কাজ করার জন্য বলে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় তার উপর চলে নির্যাতন। তিনি আরও বলেন তার স্বামী সক্রিয়ভাবে জামায়াতে অর্থযোগানদাতা। সে বিভিন্ন ভাবে এলাকায় সাধারন মানুষের জমি দখল করে থাকে। এবং এলাকায় তার ত্রাস সৃষ্টির জন্য তার গড়া সাদ্দাম বাহিনী আছে। এ ঘটনায় তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ১৮৩৫ নং সাধারন ডায়রি করেন।
    এ বিষয়ে রফিকুল হাসান জানান তার নামে যে সব মামলা আছে তিনি জামিনে রয়েছেন।
    আাশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

  • সাদিক বাহিনী লুটে নিয়ে যায় তিয়েনসি কোম্পানির ৭০ হাজার টাকার মালামাল

    প্রতিষ্ঠান প্রধান পুলিশ হেফাজতে থাকাকালিন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান ও তার বাহিনীর সদস্যরা লুটে নিয়ে যায় শহরের পলাশপোলের তিয়েনসি কোম্পানীর অফিসের আসবাবপত্রসহ ৭০ হাজার টাকার মালামাল। এক বছর সাগে চার মাসেও ফিরে পাননি ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান।
    আশাশুনি উপজেলা সদরের মৃত মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম বুধবার সকালে এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সরদার মোটরস্ এর মালিক শহরের পলাশপোলের রফিকুল ইসলামের বাড়ি মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তারা তিয়েনসি কোম্পানীর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। ওই বছরের ১২ আগষ্ট রাতে গোয়েন্দা পুলিশ জামাত-শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগে তাকে মুন্নিপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে আটক করে। এ সময় তার বাসা থেকে শাওমী কোম্পানীর রেডমী ৫+ মডেল এর স্মার্টফোনসহ নয়টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ (এইচপি সিকিউইউ-৪৩ মডেল), একটি ডেক্সটপ, পাসপোর্ট, স্ত্রী ও তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র ও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিয়ে যায়। পরদিন অফিসের কেয়ারটেকার কালিগঞ্জের নলতার শরিফুল ইসলাম ও জনৈক নজরুল ইসলাম তাকে খাবার দেওয়ার জন্য গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে আটক করে রাখা হয়। ১৪ আগষ্ট ছাত্রলীগের সম্পাদক সাদিকের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে শরিফুল ও নজরুলকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই দিন দুপুরে শরিফুলকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে জোরপূর্বক অফিসের চাবি নিয়ে এক একটি আট হাজার টাকা দামের প্রতিষ্ঠানের চারটি বোর্ড টেবিল, একটি রিভলভিং চেয়ার, ২৪টি প্লাস্টিক চেয়ার, দু’টি হাতলওয়ালা চেয়ার, তিনটি সিলিং ফ্যান, একটি ওয়াল ফ্যানসহ বিভিন্ন ব্যবহারিক ইলেকট্রিক সরঞ্জামসহ ৭০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামের। ১৫ আগষ্ট তাকে (জাহিদুল) একটি নাশকতার মামলায় (জিআর-৫৯৯/১৮ সদর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরদিন তার বৃদ্ধ (৭০ বছর) বাবা মারা যান। জেলখানায় থাকায় বাবার লাশ দেখাও সম্ভব হয়নি তার। দু’ মাস পরে তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপরও তিনি অফিসের মালামাল ও পুলিশের নিয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে অপ্রাণ চেষ্টা করলেও সাদিক বাহিনীর লুট করা কোন মালামাল ফিরে পাননি। ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মোটর সাইকেল, ছয়টি মোবাইল ফোনসহ কিছু জিনিস ফিরে পেলেও ল্যাপটপ, শাওমী কোম্পানীর রেডমী ৫+ মডেল এর স্মার্টফোনসহ তিনটি মোবাইল ফোন, মোটর সাইকেলের কাগজপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র, পাসপোর্ট বই আজো ফিরে পাননি। ওইসব জিনিসপত্র পুলিশ আদালতে জব্দ তালিকাভুক্ত করে পাঠায়নি।
    জানতে চাইলে তিয়ানসি কোম্পানীর মালামাল লুট সম্পর্কে গৃহকর্র্তা রফিকুল ইসলাম তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন। এ লুট হওয়া মালামাল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধারে সাতক্ষীরা পুলিশ সপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জাহিদুল ইসলাম।
    তবে জেল হাজতে থাকায় এ ব্যাপারে কথা বলা সম্ভব হয়নি জেলা ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত সাদিকের সঙ্গে।

  • যুদ্ধকালীন খুনী-ডাকাত, ধর্ষণকারী মোহাম্মদ আলী এখন মুক্তিযোদ্ধা, অত্যাচারের হাত থেকে বাাঁচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    যুদ্ধকালীন খুনী-ডাকাত, ধর্ষণকারী মোহাম্মদ আলী এখন মুক্তিযোদ্ধা, অত্যাচারের হাত থেকে বাাঁচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা সদরের শিবপুর গ্রামের যুদ্ধকালীন সময়ের ডাকাত, লুণ্ঠনকারী, খুনী এখন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। শিবপুর গ্রামের মৃত. হাজের আলী বিশ্বাসের ছেলে বর্তমান নামধারী মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের যুদ্ধকালীন সময়ের তা-বলীলার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে আজও অনেক ভুক্তভোগীরা। তবে এখন সেই মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ আর হতাশা যুদ্ধকালীন সময়ের মোহাম্মদ আলীর হাতে খুন হওয়া ওমর আলী সরদারের স্ত্রী তফুরোন বিবিসহ তার হাতে ক্ষতিগ্রস্থদের। মোহাম্মদ আলীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে বুধবার বিকেল ৪টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তালার মাঝিয়াড়া বাজার এলাকার রওশন আরা বেগম।
    সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা নামধারী মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস আমার নাবালিকা মেয়ে মনজিলা খাতুন (১৩) কে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বেপোরোয়া মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস আমাকে ও আমার মেয়েরেক খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে তালার শিবপুর গ্রামের মৃত. এজাহার আলী সরদারের ছেলে ওমর আলী সরদারকে রাতের আধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ির পাশে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। মরদেহ টুকরো টুকরো করে দেয়। ডাকাত মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের সঙ্গে ছিল তার সহযোগীরা। স্বামীহারা তফুরোন বিবি যুদ্ধকালীন সময়ে স্বামী ওমর আলীকে হারিয়ে আজও কষ্টে বেঁচে আছেন। পাশ্ববর্তী ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত. সুধীর হোড়ের ছেলে জয় হোড়ের বাড়িতে ডাকাতি করার সময় মোহাম্মদ আলীকে জয় হোড় চিনতে পারায় জয় হোড়কে গুলি করে। এতে জয় হোড় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। জয় হোড় এখনো সেই ক্ষত নিয়ে জীবিত। মাঝিয়াড়া গ্রামের মির্জা নজরুল ইসলাম নজুর বাড়িতে ডাকাতিকালে মোহাম্মদ আলীকে চিনে ফেলায় মির্জা নজরুল ইসলামের মাতাকে কুপিয়ে জখম করে। একই গ্রামের মরহুম আব্দুল হান্নান চিশতির বাড়িতে শুপারী চুরিকালে হাতেনাতে আটক হয়। আটক হওয়ার পর এই ঘটনায় কারাগারেও যেতে হয় মোহাম্মদ আলীকে। মরহুম আব্দুল হান্নান চিশতির ছেলে উপজেলা আ.লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইদ্রিস আজও মোহাম্মদ আলীকে রাজাকার হিসেবে সম্বোধন করেন।
    ২০০৪ সালে ১৮ নভেম্বর তালার মাঝিয়াড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শেখ সিদ্দিকুর রহমান যুদ্ধকালীন সময়ে মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের খুন, ডাকাতি, চুরি, লুণ্ঠনসহ সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতনের বাস্তব ঘটনা তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে সিদ্দিকুর রহমান উল্লেখ করেন, মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস তালার বারুইহাটি গ্রামের তফেল জোয়াদ্দার, আনছার আলী বিম্বাস, আজেদ আলী মোড়ল, মাঝিয়াড়া গ্রামের মৃত. ছবেদ আলী মির্জার বাড়ি তিন বার, মৃত. আব্দুর রশিদ মির্জার বাড়ি দুইবার, শেখ আশরাফ আলীর বাড়িতে দুইবার, তার ছেলে শেখ সিদ্দিকীর বাড়িতে দুইবারসহ গোপালপুর গ্রামের ৭/৮টি হিন্দু বাড়িতে একাধিকবার ডাকাতি করেন। এছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে মদ, জুয়া, নারীদের জোরপূর্বক ধর্ষনের কথাও তুলে ধরে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভূক্তির না করাসহ মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
    লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, ২০০৯ সালে ১৫ অক্টোবর তালা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অমল কান্তি ঘোষ তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেন। উপজেলার ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষতির আবেদনে বলা হয় ভূয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উত্তোলন করেছেন মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস। ভূয়া তথ্যে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উঠিয়ে ভাতা উত্তোলন করছেন মোহাম্মদ আলী। মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম তুলতে তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে তালা সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন মোহাম্মদ আলী। যার নং ৩৬/২০০৫ ইং। তবে বিচারক দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলাটি খারিজ করে দেন। যুদ্ধকালীন সময়ে মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস তৎকালীন বিতর্কিত বামফ্রন্ট (নকশাল) কামেল বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিল। এই আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভন্ন দপ্তরে পাঠান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অমল কান্তি ঘোষ। মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে মোস্তফা বিশ্বাস ৩ বছর আগে ফেন্সিডিলসহ সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটে। সম্প্রতি ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপলপুর গ্রামের কালিপদ বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাসের জমি দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে চাঁদা চায়। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য সঞ্চয় দের বাঁধার কারণে সম্ভব হয়নি। বাস্তব এ ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাসহ তালাবাসীর সর্বজন স্বকৃত। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় নকশাল বাহিনীর সদস্য হয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম চলে যায় এই মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের। গেজেট নং ২৩০৯। মুক্তিবার্তা নং ০৪০৪০৬০১৯৯। আমি জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মুক্তিযোদ্ধা নামধারী মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের যুদ্ধকালীন সময়ে ডাকাত, খুনী, ধর্ষণকারী মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের ঘটনাবলী তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
    সংবাদ সম্মেলনকালে রওশন আরা বেগমের নাবালিকা মেয়ে মনজিলা খাতুন, মোহাম্মদ আলীর হাতে খুন হওয়া ওমর আলীর স্ত্রী তফুরোন বিবি, নির্যাতনের স্বীকার হামিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরার বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাদিকের তিন মামলায় রিমাণ্ড শুনানী ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর


    বহি®কৃত ও সদস্য বিলুপ্ত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের বিরুদ্ধে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের দায়েরকৃত পর্ণগ্রাফি ও চাঁদাবাজির মামলাসহ গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলামের দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় আগামি মঙ্গলবার রিমাণ্ড শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মোশার দায়েরকৃত পর্ণোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির মামলায় বৃহষ্পতিবার শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা গেছে, একজন ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে নারীর আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায় ও আরো ১৫ লাখ টাকা দাবি করার ঘটনায় গত ১৫ ডিসেম্বর ওই জনপ্রতিনিধি বহি®কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাািদকুর রহমান, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি, যুবলীগ নেতা তুহিনুর রহমান তুহিন, সোহরাব হোসেনসহ পাঁচজনের নামে মামলা(জিআর-৮৩৪/১৯) দায়ের করেন। একইভাবে অন্য একজনপ্রতিনিধির সঙ্গে নারীর আপত্তিকর ছবি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে চার লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে একই দিনে (জিআর-৮৩৫ নং) মামলা দায়ের করেন ওই জনপ্রতিনিধি। ওই মামলায় ২৯ নভেম্বর বন্দুকযুদ্ধে নিহত দীপ ও সাদিকুরের নামে সদর থানায় মামলা হয়। এ ছাড়া পিচ্চি রাসেল ও হাফিজুর রহমান বাবুর কাছ থেকে দেশী তৈরি পিস্তল ও ১৬৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় সাদিকের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা হয়। দু’ জনপ্রতিনিধির দায়েরকৃত দু’টি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান সাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার আদালতে পৃথক সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেন। একইভাবে সাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অস্ত্র মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হারান চন্দ্র পাল বুধবার সাদিককে জিজ্ঞাসাবদের জন্য সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেন। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর তিনটি রিমাণ্ড আবেদন শুনানী শেষে উপরোক্ত দিন ধার্য করেন।
    এদিকে পর্ণগ্রাফি আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিক আকাশ ইসলামের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি সাদিকের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ায় সাতক্ষীরা শহরের উত্তর পলাশপোলের মৃত আব্দুর রকিবের মেয়ে সুমাইয়া সিমু বুধবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাজীব রায় এর কাছে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে সাদিকের ডেরায় তাকেসহ কয়েকজন নারীকে কিভাবে ব্যবহার করা হতো, সাদিকের সহযোগী কারা, ব্লাক মেইলের জন্য ভিডিও কিভাবে করা হতো, সেখানে নারীলোভী বিশিষ্ঠ জনেদের কিভাবে টোপ দিয়ে আনা হতো, সাংবাদিক আকাশ, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি, তার ক্যামেরাম্যান কিভাবে কাজ করতো,জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ি, প্রশাসনের সঙ্গে জড়িতদের কিভাবে টোপ দেওয়া হতো তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে।

  • সাদিকের সাথে গ্রেফতার হয়েছে ব্লাকমেইলকারী শিমু

    সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে সুমাইয়া শিমু নামের এক নারীকে। সাদিকুর তাকে ব্যবহার করে ব্লাকমেইল  করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    সাদিক প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধায় ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ। 

    সাদিকের বিরুদ্ধে বিকাশ  এজেন্টের ২৪ লাখ টাকা ছিনতাই, বেআইনি অস্ত্র রাখা, চাঁদাবাজি ও পর্ণোগ্রাফি মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইয়ের চার লাখ টাকা।

    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হারান চন্দ্র জানান সাদিকুর ও শিমুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর আজ বুধবার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সাতক্ষীরার আদালতে পাঠানো হয়েছে

    উল্লেখ্য ঃ গত ৩১ অক্টোবর কালিগঞ্জের পাওখালিতে বিকাশ এজেন্টের ২৪ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এই ছিনতাই চক্রের মাস্টার মাইন্ড সাদিকুরের দুই সহযোগী সাইফুল ও মামুনুল ইসলাম দ্বীপ গত ৩০ নভেম্বর পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এর পর থেকে সে ছিল পলাতক। সংগঠনের শৃংখলা বিরোধী কাজের সাথে জড়িত থাকার দায়ে সৈয়দ সাদিকুরকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুই জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন নারীর সাথে অশালীন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে।

  • সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানকে গ্রেফতার

    সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

    তার বিরুদ্ধে বিকাশ এজেন্টের ২৪ লাখ টাকা ছিনতাই, বেআইনি অস্ত্র রাখা, চাঁদাবাজি ও পর্ণোগ্রাফি মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইয়ের চার লাখ টাকা।

    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হারান চন্দ্র জানান সাদিকুরকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর বুধবার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সাতক্ষীরার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
    উল্লেখ্য গত ৩১ অক্টোবর কালিগঞ্জের পাওখালিতে বিকাশ এজেন্টের ২৪ লাখ টাকা ছিনতাই চক্রের মাস্টার মাইন্ড সাদিকুরের দুই সহযোগী সাইফুল ও মামুনুল ইসলাম দ্বীপ পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এর পর থেকে সে ছিল পলাতক। সংগঠনের শৃংখলা বিরোধী কাজের সাথে জড়িত থাকার দায়ে সৈয়দ সাদিকুরকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুই জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজনকে নারীর সাথে অশালীন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে।

  • অস্ত্র সহ দুই বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার : আদালতে দোষ স্বীকার

    সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৬৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় বহিস্কৃত দুই ছাত্রলীগ নেতার নামে দুটি মামলা হযেছে। রোববার রাতে শহরের মুনজিতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর পূর্ব দিকে সাদিকের বাড়ি সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন বাড়ির পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়। এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মোস্তাফিজুর রহমান বাবু সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
    আটককৃতরা হলেন, মুনজিতপুরের জহুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল ওরফে পিচ্চি রাসেল (২১) ও সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (১৯)।
    সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে অস্ত্র ও মাদক কেনাবেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মুনজিতপুরে অভিযান চালানো হয়। এসময় মুনজিতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর পূর্ব দিকে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির পাশ থেকে পিচ্চি রাসেল ও মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৬৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
    উল্লেখ্য: গত ৩০ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের দুই সহযোগী সন্ত্রাসী দ্বীপ ও সাইফুল পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। আর এই নিহত সন্ত্রাসী দ্বীপ ও সাইফুলে অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত পিচ্চি রাসেল ও মোস্তাফিজুর রহমান বলে জানায় পুলিশ। এরমধ্যে পিচ্চি রাসেল নিহত দীপের ফুপাত ভাই।

  • সাংবাদিক আকাশ মনিসহ ৫ জনের নামে মামলা : অভিযোগ নগ্ন করে ভিডিও ধারনের মাধ্যমে প্রতারণা

    পৃথক দুটি ঘটনায় দুই জনপ্রতিনিধিকে নগ্ন করে নারী দিয়ে ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুই সাংবাদিকসহ ৫ জনের নামে দুটি মামলা হয়েছে। মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামী জয়যাত্র টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকাশ ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, তুহিন, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি ও সম্প্রতি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দীপ।


    আদালত সূত্র জানান, সাতক্ষীরা থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের করা ২৮ নং মামলার বাদী একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলেন আসামীরা তাকে এমটি রুমে ঢুকিয়ে নগ্ন করে নারী দিয়ে ভিডিও করে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। এই মামলায় উক্ত ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
    অপর মামলার বাদীও একজন জনপ্রতিনিধি। এই মামলার ঘটনায়ও একইভাবে ঐ জনপ্রতিনিধিকে নগ্ন করে ভিডিও করার অভিযোগ করা হয়েছে এবং ঐ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে থেকে ৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়। এই মামলার আসামী আকাশ ও সাদিক। এই মামলায় আকাশ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) ইলতুৎমিশ দৈনিক পত্রদূতকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী আকাশ ইসলামের নিকট থেকে বেশকিছু পর্ণোগ্রাফি উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায় করে আসছিল। উক্ত আকাশ ইসলাম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলে তিনি জানান।
    উল্লেখ্য, উক্ত আকাশ ইসলাম জয়যাত্রা টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। সে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য আমার এমপি ডটকমের এ্যাম্বাসেডর ছিল।

  • এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ফেঁসে যাচ্ছেন নাজমুল হুদা

    এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ফেঁসে যাচ্ছেন নাজমুল হুদা

    সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (ডানে)

    ক্ষমতার অপব্যবহার এবং উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা যে মামলা করেছিলেন, সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে এই তথ্য জানিয়ে কমিশনের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান গণমাধ্যমকে বলেন, মিথ্যা অভিযোগের কারণে দুদক নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে সোয়া তিন কোটি টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগে মামলাটি করেন বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার হুদা, যিনি এখন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। এরপর মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে দায়িত্ব দেয় আদালত। চলতি বছরের ২৮ জুলাই ওই মামলায় হুদার বক্তব্য গ্রহণ করে দুদক। ওইদিন দুপুর ৩টা থেকে কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল হুদার বক্তব্য গ্রহণ করেন। সেদিন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২০১৭ সালে আমার কাছে সোয়া তিন কোটি টাকার ঘুষ দাবি করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। সে সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে করা সবকটি মামলার রায় বিরুদ্ধে যাবে। ঘটনার তারিখ ছিল ২০ জুলাই। ওইদিন দুপুরে প্রধান বিচারপতি তার খাস কামরায় ডেকে ঘুষ দাবি করেন।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ শাখা জানায়, এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ শাহবাগ থানায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টর নাজমুল হুদার দায়েরকৃত মামলাটি দুদকের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতিকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দুদক। এ জাতীয় মিথ্যা মামলা দায়ের করায় নাজমুল হুদা-র বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৮(গ) (২) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজুর অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

    তদন্তে জানা যায়, মামলাটি কাল্পনিক সাজানো ঘটনা মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং এজাহারকারী অসৎ উদ্দেশে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার মানসে আলোচ্য মিথ্যা মামলাটি রুজু করেছেন মর্মেও প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। বর্ণিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অত্র মামলায় FR as IM (Final Report as Intentionally False) দাখিলের সুপারিশ করেছেন এবং একই সাথে নাজমুল হুদা জেনে শুনে অসৎ উদ্দেশ্যে বিজ্ঞ আদালতের ভাবর্মূতি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এবং তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত শাহবাগ থানা (ডিএমপি) মামলা নং : ১০১, তারিখ : ১৮-০৬-২০০৮ খ্রি: মামলাটি প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসে অত্র এজাহারে বর্ণিত মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করে মামলাটি রুজু করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে প্রমাণিত হওয়ায় জনাব নাজমুল হুদা, এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৮(গ) (২) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজুর অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

  • জেলা  ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ চারজনের নাম উল্লেখ  করে মামলা

    জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা

    হ ত্যা ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধারের ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে শনিবার সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
    মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুরের সৈয়দ মোখলেছুর রহমানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক, একই গ্রামের মৃত আরশাদ আলী সরদারের ছেলে আজিজুল ইসলাম, শহরের রসুলপুর মেহেদীবাগের এসএম আনিসুর রহমানের ছেলে শামীম হাসান ও একই এলাকার মো. আব্দুল বারেকের ছেলে আহম্মেদ বাবু। এদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের কাছের লোক বলে পরিচিত মুনজিতপুরের মাহামুদুর রহমান দীপ ও কালিগঞ্জের উজিরপুরের সাইফুল ইসলামকে কালিগঞ্জ থানার বিকাশ এজেন্ট এর ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে সাদেকের ব্যবহৃত পিস্তলটি তারই কাছের লোক বলে পরিচিত মুনজিতপুরের আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে শুক্রবার সকালে জব্দ করে পুলিশ। নিজের এক আত্মীয় জেলার বড় মাপের আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে সাদিক তার দলবল নিয়ে সশস্ত্র চাঁদাবাজি করাতো। আজিজুলের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি পুলিশ সাদিকসহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় সদর থানায় মামলা (৮৮নং) করেন।
    এদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাদিকসহ পলাতকদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আজিজুল ইসলামকে শনিবার বিকেলে আদালতের মধ্যেমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • আজ বহুল আলোচিত গুলশানের হলি  আর্টিজান হামলা মামলার রায়

    আজ বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়

    আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ তথ্য প্রসিকিউশনের উপকমিশনার জাফর হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
    তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বর ঘুরে দেখেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও মীর রেজাউল আলম। তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত নানা দিকনির্দেশনা দেন। এসময় উপকমিশনার জাফর হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
    গত ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেন। এ পর্যন্ত মোট ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
    ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ৮ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। একই বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
    অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২১ আসামির মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
    অভিযোগপত্রের ৮ আসামি হলো−হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তারা সবাই কারাগারে।
    ঘটনাস্থলে নিহত ৫ আসামি হলো রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
    আর বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ আসামি হলো তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
    ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।

  • সাতক্ষীরায় জালনোটসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

    সাতক্ষীরায় জালনোটসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইব্রাহিম গাজী ছোট (২৯) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে ভারতীয় জালনোটসহ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ৪৪ হাজার ভারতীয় জাল রুপি ও ১৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
    গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় কলারোয়া উপজেলার মাদরা বিওপির সদস্যারা তাকে আটক করে।
    গ্রেফতার ইব্রাহিম গাজী ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার সরুপনগর থানার দরকান্দা গ্রামের মৃত মনতাজ গাজীর ছেলে।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির আওতাধীন মাদরা বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা চান্দা গ্রামে মসজিদের পাশে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান ভারতীয় নাগরিককে জালনোট ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগি কলারোয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কিবরিয়া বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

  • বাঁকাল চেকপোস্টে ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা মূল্যের ২১ কার্টুন সামুদ্রিক মাছ জব্দ

    শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ ভারত থেকে অবৈধভাবে আনার সময় সাতক্ষীরার বাঁকাল চেকপোষ্ট এলাকা থেকে ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা মূল্যের ২১ কার্টুন বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেছে বিজিবি। রবিবার ভোরে শহরের অদূরে বাঁকাল চেকপোষ্ট এলাকা থেকে উক্ত মাছগুলো জব্দ করা হয়। তবে, এ সময় বিজিবি কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর সীমান্ত এলাকা দিয়ে কাষ্টমস ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমান সামুদ্রিক মাছ আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের গাজীপুর বিওপির আওতাধীন বাাঁকাল চেকপোষ্ট কমান্ডার হাবিলদার মোঃ মাহমুদ শরীফের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে সুন্দরবন ট্রেডিং এজেন্সি ভোমরার চারটি ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ১ হাজার ১৫৫ কেজি ওজনের ২১ কার্টুন বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছের সর্বমোট মূল্য ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জব্দকৃত মাছ গুলো সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করার পর সেখান থেকে ম্যাজিষ্টেটের উপস্থিতিতে তা নিলামে বিক্রি করা হয়।

  • ৮৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার

    ৮৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার

    সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে ১৭ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের সময় পুলিশ ৮৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া ১ জন, কালিগঞ্জ ১ জন, শ্যামনগর ৩ জন, আশাশুনি ১ জন ও পাটকেলঘাটা ১ জন। তিনি আরো বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক ও নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
    অপরদিকে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মানিক কুমার সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় শুক্রবার সকাল ৫.৪৫ টার সময় একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তর করা হয়।

  • মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার দেবনগরে আদালতের রায় পেয়ে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে বির্তকিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের মৃত বসন্ত কুমার বিশ্বাসের ছেলে ঠাকুরপদ বিশ্বাস।

    তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, যোগরাজপুর মৌজায় মহিরঙ্গীনী দাসীর নামে ৩০১৯ ও ৩৯৬৮ দাগে .৫৬ একর জমি ছিলো। তার সম্পত্তির খাজনাদী বাকী পড়ায় সাতক্ষীরা সার্টিফিকেট আদালতে সি,সি ৮৮/১৯৬২-৬৩ নং মামলায় উক্ত সম্পত্তি নিলাম হয়। এরপর গত ২৭/৭/১৯৬৪ তারিখে উক্ত সম্পত্তির নিলামে ক্রয় করার পর গত ২৯/৪/৬৬ তারিখে সরকারের মাধ্যমে দখল বুঝে নেই। এরপর উক্ত সম্পত্তির ৩৯৬৮ দাগের কিছু জমিতে বাড়ীঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। এছাড়া উক্ত সম্পত্তিতে বিভিন্ন প্রকার বনজ, ফলজ, বৃক্ষাদি লাগিয়ে এবং পুকুর কেটে শান্তিপূর্ণভাবে র্দীঘ ৪০ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছিলাম। উক্ত সম্পত্তির খাজনা দাখিলা, মিউটেশনসহ সকল কাগজপত্র আমার রয়েছে। কিন্তু গত ২০১২ সালে একই এলাকার মৃত রাজেন্দ্র দাসের ওয়ারেশ তার ৫ পুত্র যথাক্রমে জালিয়াতী চক্রের হোতা, তাপস কুমার দাস, স্বপন কুমার দাস,তপন কুমার দাস, তুষার কান্তি দাস, সঞ্জয় দাস, নব কুমার দাসসহ একাধিক জাল জালিয়াতী চক্রের হোতা গত ০১/৯/১৯৭৬ তারিখে ৫৯৩০ নং কবলা দলিল সৃষ্টি করে অবৈধভাবে আমার সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং হারান চন্দ্রকে ব্যবহার করে আমার ৩ শতক সম্পত্তি দখল করে ঘর নির্মাণ করে। এছাড়া আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। কোন উপায় না পেয়ে আমি ২০১৪ সালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে স্বত্ত্ব প্রচার, খাস দখল ও ডিক্রি উচ্ছেদের মামলা দায়ের করি।

    উক্ত মামলায় আদালত দীর্ঘ শুনানীঅন্তে উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদের কাগজপত্র জাল উল্লেখ করে। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারক আমার পক্ষে রায় দেন। এরপর উলে¬খিত ব্যক্তিরা উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দেওয়ানী আপীল মামলা নং- ৫৮/১৮ দায়ের করে। জেলা ও দায়রা জজ আদালত উক্ত মামলাটি অতিরিক্ত জেলা জজ, ২য় আদালতে বদলী করলে সেখানে দীর্ঘদিন শুনানী ও কাগজপত্র পর্যালোচনার পর বিচারক গত ১৪/১০/১৯ তারিখে তাদের আপীল খারিজ করে দেন এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এছাড়া উক্ত সম্পত্তিতে স্থাপিত ঘর ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণ করে নেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেন। ব্যর্থতায় বাদী (আমি) আদালত যোগে উক্ত গৃহ অপসারণ ও দখল নিতে পারবেন মর্মে নির্দেশ দেন।

    আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমার পরিবারের সদস্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ৮/১০ জন শ্রমিকের সাহায্যে উক্ত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ পূর্বক ঘেরাবেড়া দেই। এবিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাপন কুমারের স্ত্রী স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য অর্পণা, তাপস মাস্টার ও প্রভাত, হারান চন্দ্র সাংবাদিকদের মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে একটি ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করে। অথচ উক্ত সম্পত্তির সকল বৈধ কাগজপত্র আমার রয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ওই জাল জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা কনেরছেন।