জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গোবিন্দকাটি গ্রামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, গত ১১ জুন শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়মকে পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, জমি জায়গার বিরোধের জের তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ১১ জুন শুক্রবার বিকাল আনুঃ সাড়ে ৪ টায় মরিয়মের বাড়িতে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে গোবিন্দকাটি এলাকার মৃত. ফজর আলীর ছেলে হাফিজুল গাজী, সোহারাফ গাজী, শাহজুল গাজী, মূসা গাজী, আজীম গাজী, ইসারাত গাজীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন একযোগে ধারালো দা, লোহার রড, লোহার হাতুড়ী, কুড়াল, শাবল, বাঁশের লাঠি নিয়ে বাদীনিকে মারপিট করতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাদের মারপিটের কারণে বাদীনি মাটিতে পড়ে গেলে হাফিজুল গাজী মরিয়মের মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মেরে গুরুতর জখম করে এবং তাকে শ্লীতাহানীর চেষ্টা করে। এছাড়াও মূসা গাজী মারপিটের সময় রফিকুলের স্ত্রীর ৮ আনা ওজনের একটি সোনার চেইনও কেড়ে নেয়। এসময় মরিয়মের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে গুরুত্বর অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, মরিয়মকে দা দিয়ে মাথায় কোপ দিয়েছে তা সত্য ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী সাতক্ষীরা থানায় একটি এজহার দায়ের করলেও তা রেকর্ড না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন। মামলাটি রেকড করে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি সম্পর্কে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এজাহারটি আমার কাছে কেউ নিয়ে আসেনি। কার কাছে এজাহারটি জমা দিয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে কোনো অফিসার এজাহারটি আমার কাছে নিয়ে আসলে তা আন্তরিকতার সাথে দেখবো।
এ ব্যাপারে সদর থানার উপ-পরিদর্শক শরিফ এনামুল জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ এ একজন ব্যক্তি ফোন করলে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে দু’পক্ষ মারামারি করছে তার সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা দু’পক্ষকে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট নেওয়ার কথা বলেছিলাম। গত রাতে মরিয়মের স্বামী বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের কপি আমাদের স্যারের কাছে আছে। স্যার নির্দেশ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে এজাহারটি রেকর্ড করবো।
Category: অপরাধ
-

গোবিন্দকাটি গ্রামে গৃহবধূ মরিয়মকে পিটিয়ে জখম : থানায় এজাহার
-
সাতক্ষীরা শহরে সরকারি আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ দিনে মানহীন মাংস বিক্রি: ভয়াবহ রোগ সংক্রমণের আশংকা
নিয়ম নীতির কোন বালাই নেই সাতক্ষীরা পৌরসভার কসাই খানায়। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সপ্তাহে ৩ দিন গরু-ছাগল জবাই নিষিদ্ধ। এই আইন অমান্য করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিদিন ইচ্ছা মতো যত্রতত্র গরু ছাগল জবাই করছে। জবাইয়ের পূর্বে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নেই কোনো ডাক্তার। ওলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গোশতের দোকান। সাতক্ষীরা শহর পরিণত হয়েছে কসাই খানায়। ফলে শহরের গোশত বাজার থেকে ভয়াবহ রোগ সংক্রমণের আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভার একমাত্র কসাইখানা সুলতানপুর বাজারে অবস্থিত। কসাইখানায় প্রতিদিন গরু ছাগল জবাই চলছে। জবাইয়ের সময় প্রত্যেক মাংস বিক্রেতার লাইসেন্স ও জবাইকৃত পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। সপ্তাহে চারদিন শুক্র, শনি, মঙ্গল ও বুধবারে জবাই করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। জেলা প্রশাসন কর্তৃক উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেনারী সার্জন, কম্পাউন্ডার ইসমাইল ও ড্রেসার মোঃ আবুল হোসেন সমন্বয়ে একটি পশু স্বাস্থ্য পরীক্ষণ কমিটি গঠন করা হয় এবং ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত জবাইখানায় পশু জবাইয়ের কথা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের পশু কসাইখানায় পশু না এনে তাদের দোকানে, এমনকি জনবহুল রাস্তার ধারে তাদের ইচ্ছা মতো পশু জবাই করছে। এভাবে প্রতিদিন কত পশু বিভিন্ন জায়গায় জবাই হচ্ছে তার কোন হিসাব নেই। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মীদের সহায়তায় এসব অনিয়ম হচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। এ কারণে মানহীন ও পচা মাংস হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত গরু ও মহিষের গোশতও দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল জবাইয়ের ক্ষেত্রেও নেই কোন ভিন্নতা। ব্যবসায়ীরা তাদের নিজের মতো করে নিজ নিজ দোকানে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ছাগল জবাই করছে, ভেড়া-বকরি ছাগল জবাইয়ের পরপরই হয়ে যাচ্ছে খাঁশি ছাগল। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোন কার্যক্রম নেই। সরকার কর্তৃক গৃহীত স্লাটার এ্যাক্ট মিট কন্টোল অনুসারে ৫০,০০০/- হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল থাকলেও তা কার্যকরী হচ্ছে না। এছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের নির্ধারিত মার্কেট ছেড়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও জনবহুল এলাকায় ইচ্ছা মতো গোশের দোকান স্থাপন করেছে। যার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষুরা রোগ, ম্যাড কাউ, ল্যাম্পিজ, সোয়াইন ফ্লু, এ্যানথ্রাক্স অত্যন্ত ছোঁয়াচে, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত গরু ছাগলের গোশত, রক্ত, লালা যে কোন মানব দেহে সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়া পোল্ট্রি মুরগির দোকানও শহরের যত্রতত্র গড়ে ওঠেছে। সেখান থেকেও মাত্রাতিরিক্ত রোগ সংক্রমণের আশংকা রয়েছে। রাস্তার ধারে ধুলাবালি, পোল্ট্রি মুরগির জবাইকৃত বর্জ্য এবং যত্রতত্র মাংসের দোকান হওয়ায় স্বাস্থ্যনীতি ঝুকির মধ্যে নিপতিত হচ্ছে। মাংসের দোকানগুলো একই মার্কেটে প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।
গরু ছাগলের গোশত স্বাদে অতুলনীয়, পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। উচ্চ মাত্রার প্রাণীজ প্রোটিন। কোষ রক্ষণাবেক্ষণ ও রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। সুস্থ পশুর থেকেই উৎকৃষ্ট মাংস পাওয়া সম্ভব। এব্যাপারে সচেতন মহল, জেলা প্রশাসক মহোদয় ও পৌর মেয়র মহোদয়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
-
পাটকেলঘাটায় আঃ রহমান ও ফরিদ কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পাটকেলঘাটায় গাঁজাসহ সহ আওয়ামী পেশাজীবী লীগের সাতক্ষীরা জেলার নেতা আব্দুর রহমান(৫২) ও তার সহযোগী ফরিদ মোড়ল(৪৩) কে আটক করেছে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ।
এই অপরাধে পাটকেলঘাটা আঃ রহমান ও ফরিদ কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন।
রবিবার ৭ই জুন রাত গভীর রাতে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে আটকের ঘটনাটি ঘটে । পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা সহকারী পুলিশ (তালা-সার্কেল) সুপার হুমায়ন কবির তাদেরকে আটক করেন। এ সময় তাদের নিকট থেকে গাঁজা উদ্ধারও করা হয় ।
আটককৃত আসামীদের পাটকেলঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ৬ মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। -

দেবহাটার চিহ্নিত মামলাবাজ ওহাব আলী কর্তৃক একাধিক মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি সংবাদ সম্মেলন
অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল করতে দেবহাটার চিহ্নিত মামলাবাজ ওহাব আলী কর্তৃক একাধিক মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দেবহাটা উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত. আব্দুর রহিম সরদারের পুত্র আব্দুস সামাদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন অসহায় নিরিহ প্রকৃতির মানুষ। ধোপাডাঙ্গা মৌজায় বিভিন্ন স্থানে থাকা পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্তে লিপ্ত হয় একই এলাকার ওহাব আলী ও তার পুত্র মহিউদ্দীন। অথচ ওই সব সম্পত্তি ১৯৭১ সালের পূর্বের আমার পিতা ক্রয় করেন। সে অনুযায়ী আমার দীর্ঘদিন খাজনাদি পরিশোধ পূর্বক ভোগদখল করে আসছি। বর্তমান রেকর্ডও আমার নামে রয়েছে। এরপরও পর সম্পদ লোভী ওহাব আলী ও তার পুত্র মহিউদ্দীন জনৈক হারান গাজীর কাছ থেকে একটি পাওয়ার অব এ্যাটার্নী করে নিয়েছে। ওই পাওয়ার অব এ্যাটার্নীর বুনিয়াদে তারা আমাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু হারান গাজীর পিতা মৃত. সোনাই গাজী জীবিত থাকা অবস্থায় ওই সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রয় করেন। তাহলে হারানের পাওয়ার অব এ্যাটার্নী দেওয়ার কোন ক্ষমতায় নেই।
তার মৎস্যঘেরের মধ্যে থাকার আমার ১৫ শতক সম্পত্তি কোন হারির টাকাও পরিশোধ করে না। কিন্তু বিগত ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই ব্যক্তিই আমাকে হারির টাকা প্রদান করেছে। ২০১৫ সাল থেকে আর পরিশোধ করে না। এবিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে মামলাবাজ ওহাব আলী আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। অথচ উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে সেই আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলার রায় আসার অপেক্ষা না করে সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে গায়ের জোরে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি পবিত্র ঈদ উল ফিতরের পরের আমি আতœীয় বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে শুনতে পাই ওই ওহাবের মৎস্যঘেরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেছে। সেখানেও নাকি আমাকেসহ কয়েকজনকে আসামী করার চেষ্টা করছে ওহাব আলী। অথচ ঘটনার সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম না। আর ঘটনার বিষয়টি বাড়ি ফিরে শুনেছি। তাহলে কিভাবে ওই মৎস্যঘেরে বিষ প্রয়োগ করলাম।
ওই ওহাব আলীর উদ্দেশ্যে আমাকে মামলায় মামলায় জর্জরিত করে জেল খাটিয়ে ভিটেমাটি ছাড়া করে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে নিবে। আর সে উদ্দেশ্যেই একবার পিতা বাদী হয়ে, আরেক বার পুত্র বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে যাচ্ছে। শুধু আমার বিরুদ্ধেই না আমার ভাইসহ প্রতিবেশী অনেকের বিরুদ্ধে সে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমি বর্তমানে মিথ্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনি ওই পরসম্পদ লোভী মামলাবাজ ওহাব আলী ও তার পুত্র কর্র্তৃক দেওয়া মিথ্যা মামলার হাত থেকে পরিত্রাণ এবং আমার পৈত্রিক সম্পত্তির রক্ষার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার নেপথ্যে ৪ ট্রাভেল এজেন্সি
ন্যাশনাল ডেক্স:
লিবিয়ায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ২৬ বাংলাদেশি। এছাড়া আরও ১১ জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে দেশের চারটি ট্রাভেল এজেন্সি ও অর্ধশতাধিক দালাল চক্র।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য উদঘাটন করেন। এর ভিত্তিতে চার ট্রাভেল এজেন্সি ও ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
সিআইডির এক সূত্রে জানা যায়, অর্গানাইজড ক্রাইমের হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের উপপুলিশ পরিদর্শক এএইচএম রাশেদ ফজল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেছেন। মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে করা মামলাটিতে চারটি ট্রাভেল এজেন্সিসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০-৩৫ জনকে।
মামলার এজাহারের ভাষ্য মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা হতাহতরাসহ আরও অনেককে ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় অবৈধভাবে পাচার করেন। এর মধ্যে ২৬ জনকে লিবিয়ায় হত্যা করা হয়েছে, পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ১১ বাংলাদেশি।
এই ঘটনার পেছনে রাজধানীর নাভীরা লিমিটেড এবং ফ্লাইওভার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে বলে সিআইডির তদন্তে উঠে আসে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক শেখ মো. মাহবুবুর রহমান ও শেখ সাহিদুর রহমান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার মুকুন্দপুরের মৃত আব্দুল মোতালেব শেখের ছেলে। এ দুটি ট্রাভেল এজেন্সি ছাড়াও পুরানা পল্টনের স্কাই ভিউ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও বাংলামোটরের লালন নামের আরেকটি ট্রাভেল এজেন্সির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিআইডির হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের অনুসন্ধান বলছে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকসহ অন্য আসামিরা প্রলোভন দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রতারণামূলকভাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের পাচার করেছে। কিন্তু সেখানে পাঠিয়ে তাদেরকে কম বেতনে কঠিন শ্রমের কাজে নিয়োজিত করা হতো।
এই মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের নাম : তানজিদ, বাচ্চু মিলিটারি, নাজমুল, জোবর আলী, জাফর, স্বপন, মিন্টু মিয়া, হেলাল মিয়া, কামাল উদ্দিন ওরফে হাজী কামাল, আলী হোসেন, সাদ্দাম, কামাল হোসেন, রাশিদা বেগম, নুর হোসেন শেখ, ইমাম হোসেন শেখ, আকবর হোসেন শেখ, বুলু বেগম, জুলহাস সরদার, আমির শেখ, দিনা বেগম, নজরুল মোল্লা, শাহদাত হোসেন, জাহিদুল শেখ, জাকির মাতুব্বর, আমির হোসেন, লিয়াকত শেখ, আ. রব মোড়ল, কুদ্দুস বয়াতী, নাসির, সজীব মিয়া, রেজাউল বয়াতী, শেখ মো. মাহবুবুর রহমান, শেখ সাহিদুর রহমান, হাজী শহীদ মিয়া, মো. খবি উদ্দিন ও মুন্নি আক্তার রূপসী।
অর্গানাইজড ক্রাইমের হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের উপ পুলিশ পরিদর্শক এএইচএম রাশেদ ফজল জানান, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগীদের লিবিয়ার বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখে। মে মাসের মাঝামাঝি তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ত্রিপোলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদায়। সেখানে আসামিরা লিবীয় সহযোগীদের মাধ্যমে তাদের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। সেসব ছবি দেশে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসিমেদের সঙ্গে দরকষাকষির মধ্যে এক সুদানি স্থানীয় মানবপাচারকারীকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিহত মানবপাচারকারীর স্থানীয় সহযোগীরা গত ২৮ মে আসামিদের সহায়তায় হতভাগ্য পাচারকৃতদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় তাদের গুলিতে জুয়েল, মানিক, আসাদুল, আয়নাল মোল্লা, জুয়েল-২, মনির, মনির-২, সজীব, ফিরোজ, শামীম, আরফান, রহিম, রাজন, শাকিল, আকাশ, সোহাগ, মো. আলী, সুজন. কামরুল, রকিবুল, লাল চন্দ ও জাকির হোসেনসহ মোট ২৬ বাংলাদেশী নিহত হন। এছাড়া গুরুতর আহত হন আরও ১১ জন।
-

যৌতুক দিতে না পারায় স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন কতৃক স্ত্রীকে মারপিট করে ফিনিস পাউডার খাইয়ে হত্যার চেষ্টা !
স্টাফ রিপোটার : যৌতুকের দাবীতে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোক জন কর্তৃক পুরাতন সাতক্ষীরার শেখ মোহাম্মাদ আলীর ছোট কন্যা মরিয়ম সুলতানা মিতুকে মারপিটের পর গালে ফিনিস পাউডার (বিষ) ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের স্বীকার মিতুর বাবা মোহাম্মদ আলী জানান, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে এসে আমার একমাত্র কন্যা মিতুকে পছন্দ করে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের হাকিম মল্লিকের পুত্র শাহাবুদ্দিন সুমন। দুই জনের পছন্দ হওয়ায় উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে বিগত ২০১৪ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। সে সময় সুমন ঢাকা এক্সচেঞ্জ অফিসে চাকুরি করতো। বিবাহের সময় যৌতুকের দাবি মেটাতে জামাতা সুমনকে ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয় মটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য। তারপরও সে আমার কন্যার উপর চাপপ্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম আদায় করেছে। এতে সে ক্ষ্যন্ত হয়নি সম্প্রতি আমার জামাতা সুমন চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে এসে ব্যবসার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ব্যবসা করতে পুঁিজ লাগবে, আর পুুঁজির যোগান দিতে আবারো আমার কন্যার উপর চাপপ্রয়োগ করতে থাকে জামাতা সুমন। সে আমার কন্যাকে বলে তোমার পিতার জমি বিক্রয় করে ১০লক্ষ টাকা এনে দাও। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় জামাতা আমার কন্যাকে আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত ২ জুন আমার কন্যা মোবাইলে জানায়, আমাকে জীবিত দেখতে হলে এক্ষুনি চলে আসো। কন্যা মিতুর বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, টাকা না দেওয়ায় তার স্বামী সুমন, তার যৌতুক লোভী শ্বশুর হাকিম মল্লিক, মাহিমা খাতুন মারপিট করে আমার কন্যাকে হত্যার জন্য জোরপূর্বক ফিনিস পাউডার খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আমার কন্যা খেতে না চাইলে লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় আমার কন্যা ওই পাউডার খেতে বাধ্য হয়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌছে কন্যাকে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে তাকে ওয়াশ করে ফেলে রাখা হলে আমরা তাকে নিয়ে সাতক্ষীরায় চলে আসি। সাতক্ষীরায় উন্নত চিকিৎসার পরে আমার কন্যা জীবনে রক্ষা পেলেও গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় রয়েছে। একা একা হাটা চলা করতে পারে না। অথচ ওই যৌতুক লোভীরা একটি বারও তার কোন খবর নেই নি। তিনি ওই যৌতুক লোভী স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য তার স্বামী সুমনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ না করায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। -

তালায় ধর্ষনের অভিযোগে সোহাগ নামের একজন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি : তালায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সোহাগ সরদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতারকৃত সোহাগ সরদার উপজেলা মহান্দি গ্রামের হায়দার সরদারের ছেলে।। বৃহস্পতিবার তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান. গত শুক্রবার তালা উপজেলার জেয়ালা গ্রামে শিশুটির বাড়িতে কেউ না থাকায় সোহাগ ধর্ষন করে। এসময় শিশুটির আতœচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সোহাগ পালিয়ে যায়। শনিবার তার বাবা বাদী হয়ে তালা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশের এঘটনায় সোহাগকে গ্রেফতার করে। -

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে তিনজনকে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বৈশ্বিক মহামারিতে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় মাস্কবিহীন উপজেলা ভূমি অফিসে অযথা ঘোরাঘুরি করার অপরাধে তিনজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে জরিমানাসহ সর্তক করলেন সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) দুপুরে সদর ভূমি অফিসের মধ্যে তিনজন ব্যক্তি জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক বিহীন ঘোরা-ঘুরি করছিল। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় মাস্কবিহীন উপজেলা ভূমি অফিসে অযথা ঘোরাঘুরি করার অপরাধে তিনজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সদরের কুখরালী এলাকার জামশেদ এর ছেলে রুহুল কুদ্দুস, সদরের মাগুরা গ্রামের মেছের আলীর ছেলে কবির ও শহরের পলাশপোল এলাকার হাসান গাজীর ছেলে নজরুল ইসলামকে দন্ডবিধির ১৮৬০ আইনে প্রত্যেককে ২০০ শত টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এসময় ঐ তিন ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়। সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। -

কালিগঞ্জ থেকে ৪৮ মেট্রিক টন সরকারী গম জব্দ, এক ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার-৩
স্টাফ রিপোটার ঃ গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত ৪৮ মেট্রিক টন সরকারি গম সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের একটি রাইসমিল থেকে জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আব্দুল গফফারের মালিকানধীন মনিমুক্তা রাইসমিল থেকে উক্ত গম জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউপি সদস্য পরানপুর গ্রামের উপেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে পবিত্র মন্ডল, কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্বনলতা শানপুকুর গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে মনিরুজ্জামান ও দেবহাটা উপজেলার আস্কারপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মোজাহিদুল আলম মুকুল।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার(কাবিখা)’র ২য় পর্যায়ের কর্মসূচীর আওতায় সাধারণ ৯নং প্রকল্পের গম (খাদ্যশস্য) অবৈধভাবে পাচার করে মেসার্স মনিমুক্তা রাইস মিলের মালিক ও তার সহযোগিরা পরস্পর যোগসাজসে মিলের গুদামে গুদামজাত করে রাখে। উক্ত সরকারি প্রজেক্টের খাদ্য শস্য অবৈধভাবে পাচার ও গুদামজাতকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ৪৮ মে.টন গম উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে রাখেন। এ ঘটনায় পরষ্পর যোগসাজসে জালজালিয়াতি, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে সরকারি গম (খাদ্য শস্য) আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে উক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দেয হয়েছে।
খুলনা দূর্ণীতি দমন সমন্বিত কার্যালয়ের পরিচালক নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক নীল কোমল পাল বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আজ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। -
আশাশুনি থানায় গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম এর নেতৃত্বে এসআই বিল্লাল হোসেন শেখ ও এএসআই মিলন হোসেন অভিযান চালিয়ে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামের হাকিম বিশ্বাস এর ছেলে ইব্রাহিম বিশ্বাস ওরফে ছাক্কারকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করেন। এসময় তার কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এব্যাপারে থানায় ১৯(৪)২০২০ নং মামলা রুজু করা হয়েছে।
-

র্যাব- সাতক্ষীরা কর্তৃক ৯৭৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এক আসামি গ্রেফতার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিয়মিত মাদক দ্রব্য ও অন্যান্য অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
গত ০৫ এপ্রিল ২০২০ অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ মোতাহার হোসেন এর নেতৃত্বে র্যাব-৬, সাতক্ষীরা (সিপিসি-১) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়া থানাধীন মাদরা সরদার পাড়া গ্রামস্থ এলাকায় জনৈক পারভিন আক্তার, পিতাঃ মৃত আবু বক্কার ছিদ্দিক সরদার এর নির্মানাধীন একতলা পাকা বাড়ীর সামনের কেচি গেইট সংলগ্ন স্থান হতে আসামী ১। মোঃ শাহিনুর রহমান (২৮), পিতা-মোঃ আইজ উদ্দিন, সাং-মাদরা সরদার পাড়া, থানা- কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরাকে ১। ইয়াবা-৯৭৫ (নয়শত পঁচাত্তর) পিছ, ২। মোবাইল ফোন ০১ টি ও ৩। সীম কার্ড- ০১টি, সহ হাতে নাতে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
-
ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুরে ৪ র্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের, ধর্ষক পলাতক
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুরে চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে, ধর্ষক আব্দুস ছালাম পলাতক থাকায় পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি। এদিকে, ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষক আব্দুস ছালাম (৪৫) সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনয়নের জিফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ছদরুদ্দীনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী ধর্ষক আব্দুস ছালাম ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ির উপর দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করতো। এই সুবাদে তার সঙ্গে কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে গত ২৯ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী তাদের বাড়ির পাশে একটি বিলে গবাদী পশুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা লম্পট আব্দুস ছালাম তাকে খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে পাশ্ববর্তী একটি আমবাগানে নিয়ে তার হাত ও মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষন করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনাটি তাদের পাশে থাকা জনৈক সাগর নামের ১৩ বছরের অপর এক কিশোর দেখে ফেলে। কিন্তু সেও ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। এ ঘটনার দুই দিন পর বুধবার বিকালে কিশোর সাগর ঘটনাটি ওই স্কুল ছাত্রীর ভাইকে জানানোর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে রাতেই ধর্ষক আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে, ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক ধর্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। -
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব কতৃক ৩৩৫ ইয়াবা আটক
আজ ০২ এপ্রিল আনুমানিক ১২.টার সময় অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ মোতাহার হোসেন এর নেতৃত্বে র্যাব-৬, সাতক্ষীরা (সিপিসি-১) এর একটি দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে ভিত্তিতে কলারোয়া থানাধীন কাকডাঙ্গা বাজার এলাকা হতে একজন আসামি আটকসহ ৩৩৫ পিস ইযাবা, মোবাইল ফোন-০২ টি, সীম কার্ড- ০৩টি মালামাল উদ্ধার করে।
-
সদরের ধুলিহর থেকে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী অহেদ আলী গাজীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার ধুলিহর থেকে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী অহেদ আলী গাজীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকার একটি আমবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি। পুলিশের দাবী দুইদল সন্ত্রাসীর গোলাগুলির মুখে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহত অহেদ আলী গাজী ধুলিহর ইউনিয়নের তমালতলা গ্রামের মৃত নবাত আলী গাজীর ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকার একটি আমবাগানে সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের গোলাগুলি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রসীরা এ সময় পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে এ সময় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী অহেদ আলী গাজী মারা যায়। পরে পুলিশ তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি বড় ছোরা। ওসি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা সিটি কলেজ প্রভাষক মামুন হত্যা এবং ২০১৯ সালের ২২ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে -
লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা করার অপরাধে সনি ব্রিক্স এর মালিককে ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড
আজ ২০ জানুয়ারী রোববার সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর বাঁশঘাটার সনি ব্রিক্স নামক ইটভাটায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা কালে লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা পরিচালনার করার অপরাধে ইট ভাটার মালিক শেখ সিরাজুল হক কে ৩০০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে । অভিযান চালান সদর এসি ল্যান্ড মো: আসাদুজ্জামান।
-

আশাশুনিতে মটর সাইকেল চালক অপহৃত, থানায় এজাহার দাখিল
আশাশুনি প্রতিবেদক : আশাশুনিতে ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক বাবলুকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে অপহৃতের পিতা আবুল কালাম সরদার থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন। এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক বাবলু রহমান (৩০) বুধহাটা গ্রামের মৃত গহর আলি সরদারের ছেলে তার (বাবলুর) মামা রবিউল ইসলামের বাড়িতে থেকে ভাড়ায় মটর সাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মটর সাইকেল নিয়ে দাঁদপুর সোহরাব মার্কেট সংলগ্ন আল-আকসা মসজিদের সামনে তিনি যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় পিতা ও ঠিকানা অজ্ঞাত বাবু (৪০) নামের এক ব্যক্তিসহ ৫/৬ জন সাদা রঙের নোহা মাইক্রোবাস নিয়ে ঘটনাস্থানে পৌছে বাবুলকে জোরপূর্বক মাইক্রোতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে চলে যায় একটি চক্র। উপস্থিত লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। স্থানীয়রা অপহৃতের (বাবলুর) মটর সাইকেলটি উক্ত অপহরণকারীদের আত্মীয় আগরদাড়ি গ্রামের ওমর আলির ছেলে আঃ ছাত্তারের বাড়িতে হেফাজতে রেখেছেন। এব্যাপারে অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত এজহার দাখিল করেছেন।
-
আর নয় চোরাচালান, এবার স্বাভাবিক জীবন। সাতক্ষীরায় ১৫ চোরাচালানির আত্মসমর্পন
আর নয় চোরাচালান। এবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গিকার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের ১৫ জন চোরাচালানি। তারা দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানের সাথে জড়িত থেকে বাংলাদেশের পণ্য ভারতে এবং ভারতের পণ্য বাংলাদেশে পাচার করে আসছিলেন। এক বা একাধিক সিন্ডিকেট করে তারা চোরাচালানে নিজেদের জড়িয়ে রেখেছিলেন। চোরাচালানে ঘৃণা ছুড়ে দিয়ে এখন থেকে তারা ভিন্ন কর্মসংস্থান বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান তারা নিজেদের উপলব্ধি এবং পুলিশের আহবানে আজ শনিবার সদর থানা চত্বরে এসে আত্মসমর্পন করেন। তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় তারা লিখিত অঙ্গিকার করেন। তিনি জানান তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আত্মসমর্পনকারীরা হলেন জামাল হোসেন, মনিরুল ইসলাম মনি,মো. আলাউদ্দিন , ফারুক হোসেন, বাবলুর রহমান, আলি হোসেন , শহিদ হোসেন, কামরুজ্জামান রানা, মফিজুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম, মিজানুর টিক্কা, শাহিন , আজিজ ও আজিজার রহমান। -
পৈত্রিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে মা ও মেয়েকে পিটিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার: পৈত্রিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে সোহেল উদ্দীন সরদারের স্ত্রী ছফুরা খাতুন ও মেয়ে এসনায়ারা খাতুনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার আড়–য়াখলী মাঝেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুত্বর জখম অবস্থায় ছফুরা খাতুন ও এসনায়ারা খাতুনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছফুরা খাতুন বলেন, ‘মৃত মিয়াজান গাজীর ছেলে নুর উদ্দীন ও মইনুদ্দীন, নুর উদ্দীনের ছেলে শফি ও রজিব উল্লা। এছাড়াও মইনুদ্দীনের স্ত্রী আবেদা, শফি’র স্ত্রী রেহেনাসহ অনেকেই দুপুরে আমার উপর হামলা চালায়। প্রথমে শফি আমার মাজায় লাঠি মেরে ফেলে দেয় পরে সবায় মিলে পিটিয়েছে। আমার মেয়ে তাদের বাঁধা দেওয়ায় তার মাথায় বাকের আঘাত দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে লোকজন এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ জমি-জমা সংক্রান্ত এ বিরোধ মিমাংশায় ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসাবসি হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল ও ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের সমাধানের দায়িত্ব থাকলেও তারা সেটি চেষ্টা করেনি। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।