Category: অপরাধ

  • কলারোয়ায় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকান্ড সমুহের একটিরও বিচার পায়নি স্বজনরা

    কলারোয়ায় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকান্ড সমুহের একটিরও বিচার পায়নি স্বজনরা

    জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সংঘটিত কয়েকটি নৃশংস হত্যাকান্ডর একটিরও বিচার আজও পায়নি নিহতের স্বজনরা। সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে একই বাড়ির ৪ খুনের ঘটনার বিচার হবে কি হবে না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের।
    অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২ মার্চ তারিখে কলারোয়ার এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের কলেজ ভেন্যুতে ৪টি তরতাজা প্রান ঝরে যায়। তদন্তে এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা হলেও পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে সে সময়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন কলারোয়ার হঠাৎগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী কেড়াগাছি গ্রামের শামসুন্নাহার লিপি, যুগিখালী হাইস্কুলের শিক্ষিকা ফজিলাতুন্নেসা এবং সাবেক কলেজছাত্র হাবিবুর রহমান ও মামুনুর রশীদ। শেষোক্ত দুইজন তাদের স্বজন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হলে পৌছে দিতে এসেছিলেন।
    পরীক্ষা চলাকালে কলেজ ক্যাম্পাসের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারির কোন নির্দেশ না থাকায় বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের কলেজ ভেন্যুতে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে। এসময় হইহট্টগোলের সৃষ্টি হলে রেলিং বেয়ে ছাদে উঠে পুলিশ হুইসেল দেয়। এরই মধ্যে কে বা কারা নিচের কলাপসিবল গেট আটকে দেয়। এসময় প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে শিক্ষিকা ও পরীক্ষার্থীর ছাত্রীরা অপমানজনক অবস্থার শিকার হন। ভীড়ের চাপে ৪ জন পদদলিত হয়ে প্রান হারান। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত এ মামলা খারিজ হয়ে যায়। তার আগে পুনঃতদন্তে সিআইডি ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে আদালতে।
    এদিকে ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই রাতে কলারোয়ার সোনালী ব্যাংকে দুই নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। দুই নৈশ প্রহরীরা হলেন উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) ও সদর উপজেলার হরিসপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান রিপন (৩২)। সে দিনের এ হত্যার ঘটনায় তৎকালীন ব্যাংক ম্যানেজার মনতোস সরকার বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা নং (১৮) ১৫/৭/২০১৫ দায়ের করেন। এই জোড়াখুন মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির ওপর। সেটি এখনও শেষ নামেনি।
    অন্যদিকে ১৯৬৫ সালে কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামে একই পরিবারের গৃহকর্তা মোসলেম উদ্দিন, তার স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে সহ ৫ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী ও মাকে গ্রেফতার করে। পরে তারা ছাড়া পেয়ে যান। এই ৫ খুনেরও বিচার হয়নি এখনও।
    সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে একই পরিবারের স্বামী স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে সহ চার জনকে জবাই করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কোন একসময় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মাছের ঘের ব্যবসায়ী মোঃ শাহীনুর রহমান(৪০) তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন(৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী(৯) ও মেয়ে তাসমিন সুলতানা(৬)। খুনীদের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে যায় সাড়ে ৪ মাসের শিশু মারিয়া। এই হত্যা মামলায় নিহত শাহীনুরের ভাই রায়হানুলকে সিআইডি পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এখন পর্যন্ত অন্য কোন আসামী ধরা পড়েনি। এই হত্যারও বিচার হবে কি হবে না তা নিয়ে কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসীরা।

  • মণিরামপুরে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী ঘরছাড়া, আদালতে মামলা

    মণিরামপুরে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী ঘরছাড়া, আদালতে মামলা

    মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা: যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি, যৌতুক নেওয়া অপরাধ, এটা জেনেও যৌতুকের জন্য নিজের স্ত্রী পলি খাতুন (৩৪) কে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী শামীম হোসেন (৩৫)। শামীম হোসেন মণিরামপুর উপজেলার দেবীদাসপুর গ্রামের শের আলী দফাদারের ছেলে।
    খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শামীম হোসেন গত ৮/৯মাস আগে উপজেলার মাছনা বেগমপুর গ্রামের রিজউল সরদারের মেয়ে পলি খাতুনকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে বিবাহ করেন। বিয়ের কিছুদিন পর শশুরবাড়ীর লোকজন পলি খাতুনকে তার পিতার বাড়ী থেকে পুনরায় টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি পিতার বাড়ী থেকে সুদে করে আরো ১০ হাজার টাকা এনে পাষন্ড স্বামী শামীম হোসেনের কাছে দিন। এরপর পলি খাতুনের সংসার কিছুদিন ভাল চললেও পুনরায় টাকার জন্য আবার চাপ দিতে শুরু করে। টাকা আনতে অস্বীকার করায় তার স্বামী শামীম হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে এবং নির্যাতন চালায়। কিন্তু গরীব, অসহায় পলি খাতুন টাকা কোথায় পাবে? অস্বচ্ছল পরিবার যেখানে উপার্যন করার কেউ নেয়, সেখানে আবার নতুন করে টাকা দিতে দিশেহারা হয়ে যায় তিনি। গত ২৭ এপ্রিল মাসে ভূক্তভোগী পলি খাতুনের স্বামী শামীম হোসেনের যোগসাজনে রেহেনা বেগম, শের আল দফাদার, রফিকুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, মামুন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম দ্বয় যৌতুকের দাবীতে পলি খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করিয়া তার পিতার বাড়ীতে তাড়াইয়া দেয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পলি খাতুন মণিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কোন উপকৃত না হওয়ায় সম্প্রতি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত যশোরে মামলা দায়ের করেন।
    ভূক্তভোগী পলি খাতুন বলেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে আমার স্বামী মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে অনবরত হুমকি দিয়ে আসছে এবং আমি আমার স্বামীর বাড়িতে ফেরত গেলে আমাকে আবারো মারধর করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি ভয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারছি না। তাই পৌর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল হোসেন বলেন, এটা খুবই দুঃখ জনক। যৌতুকে জন্য নিজের স্ত্রীকে এভাবে মারপিট সহ্য করা যায়না। আমি নিজেই তাদের বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছি।

  • ব্যাংকের সিল ও বিআরটিএর নকল রশিসহ দালাল চক্রের ৩ সদস্য আটক

    ব্যাংকের সিল ও বিআরটিএর নকল রশিসহ দালাল চক্রের ৩ সদস্য আটক

    জহুরুল কবীর : সাতক্ষীরায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এনআরবিসি ব্যাংকের সিল ও ড্রাইভিং লাইসেন্সর ফি জমাদেওয়ার নকল রশিদসহ দালাল চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজীত সাহা এর নেতৃত্বে বিআরটিএ এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
    আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার কোরবান গাজীর পুত্র তুহিন ইসলাম, পলাশপোল সবুজবাগ এলাকার সাবুর আলীর পুত্র আবু সাঈদ, বেতলা এলাকার মোকবের আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন।
    বিআরটিএর সহকারী পরিচালক এ,এস,এম ওয়াজেদ হোসেন জানান, গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে বহুদিন ধরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি দালাল চক্র ভুয়া রশিদ বানিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহযোগিতায় কোর্টের উত্তর পাশে তুহিন কম্পিউটার নামক ফটোকপি ও কম্পোজের দোকানে অভিযান চালিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সর ফি জমা দেওয়ার নকল রশিদ ও এনআরবিসি ব্যাংকের নকল সিলসহ তিন জনের চক্রবদ্ধ একটি দলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, রবিবার সন্ধ্যায় তিনি নিজে বাদি হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. বুরহান উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আজ দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • আশাশুনির মৎস্য ঘের থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

    আশাশুনির মৎস্য ঘের থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

    জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের শোভনালী বিলে নিজেদের মাছের ঘেরে চন্দ্রশেখর সরকার নামের এক কলেজ ছাত্রের কাঁকড়ায় ক্ষতবিক্ষত করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ঘেরের বাসার পাশেই লাশটি ভাসমান ছিল।
    আশাশুনি থানার ওসি মোঃ গোলাম কবির এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, এটা হত্যা নাকি অন্যকিছু তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আমরা সাতক্ষীরা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি।
    প্রতিবেশীরা জানান, অন্যান্য দিনের মত রোববার রাতেও চন্দ্রশেখর শোভনালী বিলে তাদের নিজেদের মাছের ঘেরের বাসায় ঘুমিয়ে ছিল। রাতের কোন এক সময় তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। চন্দ্রশেখর(২৫) শোভনালী গ্রামের শংকর সরকারের ছেলে এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেছেন। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারন এখন জানা যায়নি।

  • মণিরামপুরে দুই কিশোরী বোনকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ


    মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা: মণিরামপুরের একটি ঋষিপলি¬তে ভিক্ষুক দম্পতির তরুণী দুই মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ করা হচ্ছে, ইত্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন কলোনিপাড়ার আবু দাউদ (৫০) নামে এক কবিরাজ ঝাড়ফুঁকের নাম করে ওই বাড়িতে গিয়ে ১৭ ও ১৩ বছরের দুই বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
    শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যার পর তা প্রকাশ পায়। রাতেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংশার চেষ্টা চলে। পরে শালিসে দুই পক্ষ হয়ে যাওয়ায় ঘটনাটি পুলিককে জানানো হয়।
    খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ দুই মেয়েসহ ভিক্ষুক দম্পতিকে থানায় নিয়ে আসে।
    অভিযুক্ত আবু দাউদ যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ঘুনি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। দীর্ঘদিন তিনি ইত্যা গ্রামে শ্বশুর আব্দুল আজিজের বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার দুই ছেলে বিদেশে থাকেন।এই ঘটনায় রোববার সকালে থানায় মামলা করেছেন দুই কিশোরীর মা।তবে ঘটনাটি নিয়ে বাদী ও দুই তরুণী ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে।
    বাদী বলেন, ‘আমার চার মেয়ে। বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। ছোট তিন মেয়ে বাড়ি থাকে। আমার মেজ মেয়ে অসুস্থ। শনিবার সকালে আমরা স্বামী-স্ত্রী ভিক্ষা করতে বের হই। এরপর বেলা ১১টার দিকে দাউদ কবিরাজ আমাদের বাড়ি যায়। তারপর সেজ মেয়ের হাতে দশ টাকা দিয়ে তাকে দোকানে খাবার আনতে পাঠায় কবিরাজ। সেই সুযোগে মেজ মেয়েকে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে মুখ বেঁধে খারাপ কাজ করে সে। সেজ মেয়ে দোকান থেকে ফিরে তার বোনের মুখ বাঁধা দেখে কবিরাজকে বকাঝকা করে। তখন কবিরাজ তারও গায়ে হাত দেয়।’
    তবে মেয়ে দুটির মধ্যে বড়জন বলছে, ‘কবিরাজ আমার মুখ বেধে গায়ে হাত দেয়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন আমি তাকে লাথি মেরে ফেলে দিই।’
    স্থানীয় ইউপি সদস্য নিখিল দাস বলেন, ‘বিকেলে ভিক্ষুক দম্পতি বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পারে। এরপর তারা আমার কাছে এসে ঘটনাটি খুলে বলে। আমি সাথে সাথে ঘটনাটি চেয়ারম্যানকে জানাই।’ঝাড়ফুঁক দিতে দাউদ আগেও ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন বলে জানান মেম্বার নিখিল।
    কাশিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার আগে মেম্বর আমাকে বিষয়টি জানায়। তখন দাউদকে ধরতে আমি দফাদারসহ গ্রামপুলিশদের সেখানে পাঠাই। তারা যেয়ে দাউদকে বাড়ি পায়নি। তার আগেই সে পালিয়েছে। পরে রাত তিনটার দিকে জানতে পারি ভুক্তভোগী পরিবারকে থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।’
    তবে দাউদের পরিবারসহ তার বাড়ির আশপাশের নারীদের দাবি, কবিরাজ ভালো মানুষ। তিনি এই কাজ করতে পারেন না।
    স্থানীয়রা বলছেন, ভিক্ষুকের মেজ মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। আগে তার একটা বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর বাড়ি থাকতে পারেনি। এখন তার পায়ে শিকল লাগিয়ে বাবা-মা ভিক্ষা করতে যান।
    মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছি। কবিরাজ ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছে দুই তরুণীর মা। অভিযুক্ত দাউদ কবিরাজ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

  • দেবহাটায় ফেন্সিডিলসহ ২ জন ও চুরি মামলায় আটক ১

    দেবহাটায় ফেন্সিডিলসহ ২ জন ও চুরি মামলায় আটক ১


    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় থানা পুলিশের অভিযানে ৪৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ জন এবং চুরি মামলায় ১ জন আসামী আটক হয়েছে। ফেন্সিডিল গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, দেবহাটা সার্কেল শেখ ইয়াছিন আলীর তত্ত্বাবধানে এবং দেবহাটা থানার বিপ্লব কুমার সাহা ও ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্রের নেতৃত্বে দেবহাটা থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ইং-১৮/১০/২০২০ তারিখ এসআই(নিঃ) আবু হানিফ সঙ্গীয় অফিসার এএসআই(নিঃ) রসিদুল ইসলাম এবং এএসআই(নিঃ)/ সোহেল উদ্দীন এর সহায়তায় দেবহাটার মাঝ সখিপুর গ্রামস্থ ফুটবল খেলার মাঠ সংলগ্ন জনৈক শফিকুল ইসলাম গাজীর বাড়ীর সামনে কালিগঞ্জ-সাতক্ষীরা সড়কের উপর ৪৪ বোতল ফেন্সিডিল সহ আসামী ১। মোফাজ্জেল (২৪), পিতা- আহমেদ আলী গাজী, সাং- নওয়াপাড়া, থানা- দেবহাটা ও ২। হারুন (২৬), পিতা- নজরুল মোড়ল, সাং- কাজলা কাশিবাটি, (এপি সাং শ্বশুর বাড়ি- নাংলা , নওয়াপাড়া, দেবহাটা), থানা-কালিগঞ্জ, উভয় জেলা-সাতক্ষীরাদের আটক করেন। তাদের বিরুদ্ধে এসআই আবু হানিফ দেবহাটা থানায় ৯ নং মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া অপর এক অভিযানে এসআই(নিঃ)/ আসিফ মাহমুদ চুরি মামলার হাসান আলী (৪০), পিতা-শমসের আলী সরদার, সাং- নওয়াপাড়া মির্জাপুর, থানা- পাটকেলঘাটা, জেলা- সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করেন। আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

  • ধর্ষন বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে তালায় মানববন্ধন

    ধর্ষন বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে তালায় মানববন্ধন


    সংবাদদাতা, তালাঃ সাতক্ষীরার তালায় রবিবার(১৮ অক্টোবর) তালা ডাক বাংলায় মুক্তি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নারীদের ধর্ষনবন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মুক্তি ফাউন্ডেশনের পরিচালক গোবিন্দ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তালা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, তালা প্রেসকøাবের সভাপতি প্রনব ঘোষ বাবলু,জেলা পরিষদ সদস্য ও রির্পোটাস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন, উপজেলা শ্রমীকলীগের সভাপতি ও তালা সদর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার, সদর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আকবর হোসেন, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান, মুক্তি ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী জোসেফ মন্ডল, মুক্তি ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদসহ সাংবাদিক, সুধিজন ও এলাকার অসংখ্য পুরুষ মহিলা উপস্থিত ছিলেন ।

  • কালিগঞ্জে ২শ’ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

    কালিগঞ্জে ২শ’ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার


    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২’শ বোতল ফেন্সিডিল সহ উজ্জ্বল কয়াল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার সময় কালিগঞ্জ থানা অফিসার্স ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক চিন্ময় মন্ডল ও জুয়েল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধামরাইল নামক এলাকা থেকে তাকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কয়াল ধামরাইল গ্রামের কমল কয়ালের পুত্র। উত্ত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কয়ালের নামে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

  • কালিগঞ্জে জমি বিরোধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখম

    কালিগঞ্জে জমি বিরোধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখম


    মশাশ প্রতিবেদক: জমির সীমানা নির্ধারণ কে কেন্দ্র করে রুহুল আমিন ওরফে কিছলু (৫৮) কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে বাড়ি ঘর লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ৮টার সময় কালিগ্ঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রামে। গুরুত্বর আহত রুহুল আমিন ওরফে কিছলু বাজারগ্রামের মৃত আবুল হোসেন মোড়লের পুত্র। উক্ত ঘটনায় গতকাল রবিবার থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
    এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাজারগ্রামের জামায়াত নেতা মৃত আদম আলী মোড়লের পুত্র আব্দুস সাত্তার মোড়লের সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধ কে কেন্দ্র করে শনিবার বিকাল আনুমানিক ৪টার সময় আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে তার ভাই আব্দুর রউফ, তার পুত্র সাদিকুল ইসলাম, সামছুদ্দীন মোড়লের পুত্র আসাফুর রহমান ও তার চাচা আব্দুল গফফার মোড়ল সহ ৪-৫জন সন্ত্রাসী নিয়ে জোর পূর্বক জমি ঘিরে নেয়। উক্ত ঘটনা শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় জিজ্ঞাসাবাদ করিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী কায়দায় লোহার রড, লাঠি, শাবল নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে ঢুকে রুহুল আমিন কে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে দেয়। ঐ সময় তার স্ত্রী শাহানারা পারভীন বাঁধা দিতে গেলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঐদিন রাতে তাকে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে।

  • জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ফেনসিডিল সহ আটক -৩

    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ফেনসিডিল সহ আটক -৩


    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থেকে ৬৫ বোতল ফেনসিডিল সহ তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জের রাজ উল্লাহ মোড় টু শুইলপুর বারইপাড়াগামী ইটের সলিং রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে ৬৫ বোতল ফেনসিডিল সহ তিনজন মাদক চোরাকারবারি কে আটক করাহয়। আটককৃতরা হলেন, কালীগঞ্জ শুইলপুর গ্রামের মৃত আঃ জমাত আলী মোড়ল এর ছেলে সায়েম মোড়ল(৩৬) একুই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সবুজ হোসেন গাজী (৩০) ও মোক্তার গাজীর ছেলে আবু বক্কার (৩০)।
    এব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের আফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোঃ মোস্তফা আলম, এএসআই ইমামুল মোল্যা, এএসআই ইদ্রিস আলী সহ আশিক গালিব ও বাবুল হোসেন কে সাথে নিয়ে কালীগঞ্জের শুইলপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬৫ বোতল ফেনসিডিলসহ তাদের আটক করাহয়। পরে তাদের মাদক মামলায় দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও নিরাপত্তা চেয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও নিরাপত্তা চেয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন


    নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুমিদস্যু ভাইয়ের কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু। রোববার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগদখল করতে পারছি না। এমনকি পৈত্রিক বাড়িতেও অবস্থান করতে পারি না। আমার সহোদর ভাই ভুমিদস্য আলতাফ ও শাফায়েত সম্পত্তির লোভে আমার পিতাকেও কয়েক বার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
    তিনি বলেন, আমার দুই ছেলে ঢাকাতে চাকুরীর সুযোগে আমার সম্পত্তি আলতাফ ও সাফায়েত অবৈধভাবে জবর দখল করে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে আমার ৩ বিঘা পৈত্রিক সম্পত্তি কৌশলে তাদের নামে রেকর্ড করেছে। তাছাড়া আমাদের পৈত্রিক কয়েক বিঘা জমি আমাকে না জানিয়ে অন্যত্র বন্ধক দিয়েছে। জমিভাগ বণ্টন নামা না হওয়া সত্ত্বেও অস্ত্রবাজ আলতাফ ও সাফায়েত জমি বিক্রি করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। যদিও আমি সখিপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং জেলা রেজিস্টারের কাছে এই বিষয় নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। যে কারণে রেজিস্ট্রি বন্ধ আছে। তারা আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের জমির ইজারা না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছে এবং অনৈতিকভাবে জমি বিক্রি করতে না পেরে তারা আমার চাচা ও আমার রুদ্ধে মিথ্যাচার করে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমার চাচা আতিয়ার রহমান তার জীবনের নিরাপত্তা ও সমাধান চেয়ে গত ২৬ আগস্ট আইজিপির কাছে আবেদন করেন। বিষয়টি অনুসন্ধান ও মিমাংসার জন্য গত ১১ অক্টোবর দেবহাটা সার্কেল কর্তৃক বাদী ও বিবাদী পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য লিখিতভাবে আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আলোচিত অস্ত্রবাজ ও ভূমিদস্যু আলতাফ সরকারি আদেশ অমান্য করে হাজির হয়নি। বিএনপি শাসনামলে আলতাফ প্রকাশ্যে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। এমতাবস্থায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ওই ভূমিদস্যু অস্ত্রবাজ আলতাফ ও শাফায়েতের কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তির সুষ্ঠু বণ্টনসহ জীবনের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসানুজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর করিম প্রমূখ।

  • কলারোয়ায় নৃশংস হত্যাকান্ডে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

    কলারোয়ায় নৃশংস হত্যাকান্ডে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

    মশাল সংবাদদাতা : কলারোয়ায় স্বামী-স্ত্রী, সন্তানসহ ৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে এলাকাবাসির উদ্যোগে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ওই মানববন্ধন করা হয়। উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ হাতে লেখা পোস্টার-প্লাকাডনিয়ে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার পূর্বক ফাঁসির দাবি জানান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছাত্তারসহ নিহত পরিবারের স্বজন ও এলাকাবাসী।
    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানাকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঐদিন রাতে নিহতের শ্বাশুড়ি বাদি হয়ে কোন আসামির না উল্লেখ না করে কলারোয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরদিন অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। শুক্রবার নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে সিআইডি। বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের সময় ঘাতকেরা নিহত ওই দম্পতির ৫ মাসের নিষ্পাপ শিশু কন্যা মারিয়াকে জীবিত অবস্থায় মা-বাবা, ভাই-বোনের মরদেহের পাশে রেখে যায়।

  • সাতক্ষীরায় কিশোর ইস্রাফিলকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তিন জনকে আসামী করে থানায় মামলা

    সাতক্ষীরায় কিশোর ইস্রাফিলকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তিন জনকে আসামী করে থানায় মামলা

    জহুরুল কবীর: পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার বালিথায় কিশোর ইস্রাফিলকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার দুপুরে তিন জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন গুরুতর আহত ওই কিশোরের বাবা মুনছুর আলী। তবে, এ মামলায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হননি।

    মামলার আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার বালিথা সরদার পাড়া গ্রামের আলমামুন মোড়লের ছেলে আলমগীর মোড়ল (২৬), আলমামুন মোড়লের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৬) ও একই এলাকার মৃত গহর আলী মেড়লের ছেলে জালাল মোড়ল (৪৫)

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বালিথা গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে কিশোর ইস্্রাফিল (১৪) গত ১২ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ির সামনে রাস্তার উপর আসা মাত্রই পারিবারিক শত্রæতার জের ধরে তাকে ধরে নিয়ে ১ নং আসামী আলমগীরের বাড়ীর পিছনে বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। ১ নং আসামী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ই¯্রাফিলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার পিছনে সজোরে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সময় ২ নং আসামী তাসলিমা ও ৩ নং আসামী জালাল তাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন অংশে থ্যাতলানো ও ফোলা জখম করে। এ সময় তার আতœচিৎকারে এ মামলার সাক্ষী আলাউদ্দীন মোড়ল এসে আসামীদের হাত থেকে ই¯্রাফিলকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায় ও স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করায়। পরে খবর পেয়ে ই¯্রাফিলের বাবা মুনছুর, মা জামিলা ও বোন রহিমা সেখানে যায়। এ সময় ২ ও ৩ নং আসামী জামিলা ও রহিমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং তাদের জুতা দিয়ে পিটায় ও মাথার চুল টানা হেচড়া করে। ৩ নং আসামী জামিলার পরনের কাপড়চোপড় টানা হেচড়া করে ¤øীলতাহানি ঘটায় । এ সময় সকল আসামীরা তাদের খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। এ মামলার অন্যান্য সাক্ষী কবির হোসেন, শাহিন হোসেন ও সাহেব আলী মিস্ত্রীসহ অনেকেই ঘটনাটি এ সময় দেখেন। এরপর সাক্ষীদের সহায়তায় এ মামলা বাদী মুনছুর তার ছেলে ইস্রাফিলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

  • কলারোয়ার চার জনকে মাডার

    কলারোয়ার চার জনকে মাডার

    আজ থেকে আর কেউ বলবে না সোনামণি কাঁদেনা দুধ খেয়ে নাও, কলারোয়ার চার জনকে মাডার,করেছে কে বা কারা এই ঘটনার এই পরিবারের একটি শিশু বেঁচে আছে,চার মাস বয়স তার

  • কালিগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

    কালিগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার


    জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ৭ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নির্মাণ শ্রমিক মাহাফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সকালে দেবহাটার কুলিয়া দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত মেনা মোল্যার ছেলে। এর আগে স্কুল ছাত্রীর পিতা গতকাল রাতে কালিগঞ্জ থানায় মাহাফিজুল ইসলামকে আসামী করে ধর্ষণ ও নারি শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।

    কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, নির্মাণ শ্রমিক মাহাফিজুলের খালার বাড়ি কালিগঞ্জের পোর্ট বসন্তপুর গ্রামে। খালার বাড়িতে মাঝে মাঝে বেড়াতে যাওয়ার সুবাদে মাহাফিজুলের কু-নজর পড়ে স্কুল ছাত্রীর ওপর। সোমবার সকালে খালার বাড়ির পাশে একটি বাগানে স্কুল ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে মাহাফিজুলের বিরু্েদ্ধ। স্থানীয়রা টের পেলে ধর্ষক পালিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। রাতে স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মাহাফিজুলকে আসামী করে থানায় মামলা করে। সকালে কুলিয়া দুর্গাপুরে আসামীর গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাহাফিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    ওসি আরো জানান, ধর্ষিতা ছাত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করানোর জন্য ভর্তি করা হয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দী রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে এবং আসামী মাহাফিজুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের

    সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের

    সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের

    মশাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে । নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে চরভদ্রাসন থানায় এই মামলা করেন। তিনি জানান, মামলায় শুধু নিক্সন চৌধুরীকেই একক আসামি করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানাকে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযাগ উঠেছে। এরকম একটি অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

    বুধবার (১৪ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সিইসি বলেন, ‘ফরিদপুর নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সংসদ সদস্য নিক্সন সাহেবের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করবো। হয়তো আজকে বা কালকের মধ্যে থানায় মামলা হয়ে যাবে। আমাদের নির্বাচনবিধি বহির্ভূত আচরণের জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট আলামত আছে, সেজন্য মামলা হবে। থানায় তদন্ত করে যেরকম পাবে, সেরকম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ভঙ্গের বাইরেও যদি কোনও অনিয়ম থেকে থাকে, সেগুলো নিয়ে আরেকটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

    তবে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘ওই ভয়েসটাই (কণ্ঠস্বর) আমার না। প্রথমে আমি এসিল্যান্ডকে (সহকারী কমিশনার, ভূমি) ফোন করেছিলাম। “আমি দেখতেছি”, বলে তিনি ফোনটা বন্ধ করে দেন। পরে আমি আপাকে (টিএনও) ফোন করলাম যে, “আপা আমার একটা লোক ধরা পড়ছে আপনি একটু দেখেন। সে কোনও অন্যায় করেনি, মাঠে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। তাকে বিজিবি ধরে নিয়ে গেছে। আপনি একটু ব্যবস্থা নেন।” এই কথাটুকুই আমি তাকে বলেছি।

    গত ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।

  • শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

    শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

    জহুরুল কবীর: বুধবার সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয় এঁর নির্দেশে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময়ে দেখা যায় লাইসেন্স গ্রহণ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের পূর্ব শর্তগুলো পূরণ ব্যতিরেকেই অনেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপরিউক্ত অপরাধের দায়ে প্রাইম ডায়াগনস্টিক ও সোনালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদ্বয়কে মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি( নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ- ১৯৮২ অনুযায়ী ৫০০০ টাকা করে অর্থ দন্ড ও ১০ দিন করে কারা দন্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।