Category: অপরাধ

  • আশাশুনির বুধহাটা বাজারে চুরিনিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার,দেখার কেউ নেইআশাশুনির বুধহাটা বাজারে চুরিনিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার,দেখার কেউ নেই

    আশাশুনির বুধহাটা বাজারে চুরিনিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার,দেখার কেউ নেইআশাশুনির বুধহাটা বাজারে চুরিনিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার,দেখার কেউ নেই

    আশাশুনি,সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : আশাশুনি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বুধহাটা বাজার অবহেলা ও অব্যাবস্থাপনা,চুরির কারণে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। সাথে সাথে বাজারের মধ্যে ক্রমশ অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    দীর্ঘদিন বাজারে পুর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় দিনে দিনে অগ্রগতি ও উন্নয়ন কমে যাচ্ছে। বাজারটিতে পাহারাদার না থাকায় অহরহ চুরি সংগঠিত হচ্ছে। প্রশাসন চোর ধরা বা মালাামল উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে পারছেনা। বাণিজ্যিক কেন্দ্র বুধহাটা বাজারে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হলেও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা। ব্যবসায়ীদের অব্যবস্থাপনা ও অনীহার কারনে রাস্তায় পলিথিন টানানোর কারনে সিসি ক্যামেরা কার্যকর হচ্ছেনা। বাজারটিতে ব্যাংক, এনজিও, ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ হাজার হাজার ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল কারখানা আছে। রাত হলে সৃষ্টি কর্তার উপর ভরসা রেখে তালা বন্ধ করে বাড়ি যেতে হয় দোকানীদের। বাজার কমিটির উদ্যোগের অভাবে সাধ্য থাকলেও অদ্যবদি রাতে পাহারাদার টহল ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে বাজারের দোকানে এবং বাজারের আশ পাশের বাড়ীতে চুরির মত ঘটনা ঘটেই চলেছে অহরহ। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা রাতে ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। রাতের যে কোন সময় সংঘবদ্ধ চোরেরা বাজারের প্রাচীন এ্যলোমনিয়ামের দোকান আলহাজ্ব আঃ সালামের ভাই ভাই এলোমনিয়াম ষ্টোরের টিনের চাল কেটে ভিতরে ঢুকে নগদ টাকাসহ অনুমনা ১০ সহ¯্রাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া বৃহৎ চাউলের পাইকারী ব্যবসায়ী বিল্ব মঙ্গল দেবনাথে চালের দোকানের চাল কেটে ভিতরে ঢুকে নগদ টাকাসহ অনুমান ২০ সহ¯্রাধিক টাকার মালামাল, নজরুল ইসলামের কাপড়ে দোকানের চাল কেটে অনুমান ২০/২৫ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এবং তাপস মন্ডলের বিবেকানন্দ বস্ত্রালয়ের টিনের চাল কেটে সিলিং থাকায় ভিতরে ঢুকতে না পেরে ফিরে যায়। এব্যাপারে বাজারের কয়েকজন দোকানী এ প্রতিবেদককে বলেন, কয়েক বছর আগে বাজারের দোকানীদের উদ্যোগে রাতে বাজারে পাহারাদারের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। কিন্তু পাহারাদার থাকার পরও দোকান ঘরের পিছন থেকে এবং ছাউনী কেটে চোরের দল দোকানের মালামাল চুরি করায় পাহারাদার টহল বন্দ করে দেওয়া হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেকের উদ্যোগে বাজারের অলিতে গলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও রক্ষনাবেক্ষনের অভাব ও ব্যবসায়ীদের অনীহার কারনে সে গুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বর্তমানে থেমে নেই চুরি, নেই পাহারাদার, থাকতেও নেই সিসি ক্যামেরা। অন্যদিকে বাজার উন্নয়নে কোন অগ্রগতি বা তদারকি না থাকায় বাজারের মধ্যে খাস সম্পত্তিতে যে যার মত নির্মান করছে পাকা দোকান ঘর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকজনকে নোটিশ করলেও থেমে নেই অবৈধ দখল। এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক চুরি সংগঠিত হওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তাদের চুরি যাওয়া মালামালের হয়নি উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা। চুরির ঘটনা ঠেকাতে রাতে বাজারের মধ্যে পুলিশি টহল জোরদার, পাহারাদার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পূণরায় সিসি ক্যামেরার কার্যকরিতার জোর দাবী জানিয়েছেন বাজারের সকল দোকানী ও এলাকার সচেতন মহল।

  • পাকিস্তানের মাদ্রাসায় শক্তিশালী বোমা হামলায় নিহত ৭, আহত ১০৯

    পাকিস্তানের মাদ্রাসায় শক্তিশালী বোমা হামলায় নিহত ৭, আহত ১০৯

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের পেশওয়ারের একটি মাদ্রাসায় শক্তিশালী বোমা হামলা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছে শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৭জন। আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০৯ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশটির পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। খবরে বলা হয়, স্পিন জামাত মসজিদে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ৮টা ৩০ এর সময় ওই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এটি মাদ্রাসা হিসেবেও ব্যবহৃত হত। পেশওয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মদ আলি খান সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীরা কোরান পড়ছিল। সেসময়ই বিস্ফোরণটি ঘটে।
    প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে প্রায় ৬ কেজি ওজনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। হামলাকারী ব্যাগে করে এটি এনে রাখে এখানে। হামলায় স্থাপনারও ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানে প্রায়ই ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঘটনা ঘটে। মতাদর্শজনিত নানা ভিন্নতার কারণে প্রায়শই তাদেরকে মসজিদকে টার্গেট করতে দেখা যায়। সর্বশেষ এ হামলার ধরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোই এর সঙ্গে জড়িত। তবে এখনো কোনো সংগঠন এর দায় স্বীকার করেনি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান পুলিশ। হতাতদের খোঁজ নিতে হাসপাতাল পরিদর্শন গেছেন খাইবারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাইমুর সালিম। শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ দেশটির বিরোধী নেতারাও।

  • শ্যামনগরে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা

    শ্যামনগরে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা

    শ্যামনগর (সদর) প্রতিনিধি: পরিবারের কাছে নেশার টাকা না পেয়ে নাজমুল হোসেন (২৮) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রোববার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নিজ গৃহে আড়ার সাথে গলায় রশি পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। নাজমুল উপজেলার পশ্চিম পোড়াকাটলা গ্রামের আলমগীর হোসেন মোল্যার পুত্র।
    পারিবারিক সূত্র ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল জানান, নাজমুল দীর্ঘদিন নেশাগ্রস্থ ছিল। নেশার টাকার জন্য পিতা মাতার উপর প্রায় অত্যাচার করত। ঘটনার দিন নেশার টাকা নিয়ে পরিবারের সাথে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় রাত্রে গলায় রশি দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের কাছে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। থানায় অপমৃত (ইউডি) মামলা হয়েছে।

  • যানজটে দূর্ভোগ শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা সড়ক

    যানজটে দূর্ভোগ শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা সড়ক

    শ্যামনগর (সদর) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাসস্ট্যান্ড হতে গোপালপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভ পর্যন্ত সড়কে যানজটের দূর্ভোগে এলাকাবাসী। বাস স্ট্যান্ড হতে ইউএনও অফিস, মডান স্কুল, সদর হাসপাতাল, মুক্তিযোদ্ধা সড়কে অবস্থিত। প্রতি নিয়ত হাসপাতাল, ইউএনও অফিস মানুষের কর্মচঞ্চল্য ও ব্যস্ততম স্থান। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক সমাগম হয় বিভিন্ন সেবা নিতে। বর্তমানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কটি একটি ভ্যানগাড়ি বা কোন প্রাইভেটকার প্রবেশ করলে শুরু হয়ে যায় যানজট। রাস্তার দুই পাশে দোকান নির্মানে সড়কের আরো সংকির্নতা সৃষ্টি হয়। এবং রাস্তার পাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর ফলে সমস্যা প্রকট। মটর ভ্যান ও অনিবন্ধিত পরিবহনের চলাচল ও গতি নিয়ন্ত্রক না থাকায় যে কোন মুহুত্বেই ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা। বর্তমান ইউএনও উপজেলার গ্রাম পুলিশ দ্বারা যানজট নিয়ন্ত্রের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবুও এ যানজট যেন থামছে না। এলাকাবাসী এর থেকে স্থায়ী মুক্তির সমাধান প্রত্যাশা করছে।

  • ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগী গ্রেপ্তার

    ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগী গ্রেপ্তার

    নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সাংসদ হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম এ বি সিদ্দিক ওরফে দিপু। তিনি হাজি সেলিমের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    আজিমুল হক বলেন, এ বি সিদ্দিক ওরফে দিপুকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    তার আগে গতকাল এই মামলায় গ্রেপ্তার হন—ইরফান সেলিম, তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান।

    ইরফান ও তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে গতকাল সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহম্মেদ খান।

    আগের দিন রোববার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।

    ওই গাড়িতে ছিলেন হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান এবং তাঁর লোকজন। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিয়ে গাড়িটিকে থামতে ইশারা করেন ও কথা বলতে চান। তখন তাঁকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন ইরফান ও তাঁর লোকজন।

    পরে গতকাল সকালে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ। এরপর শুরু হয় পুলিশ ও র‍্যাবের তৎপরতা।

    গতকাল সকালে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ জানায়, ইরফানের গাড়িচালক মিজানুর গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকালই আদালত তাঁকে এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।

  • শ্যামনগরে অবৈধ পন্থায় বোরিং করে বালু উত্তোলন

    শ্যামনগরে অবৈধ পন্থায় বোরিং করে বালু উত্তোলন

    শ্যামনগর সংবাদদাতা: শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কৈখালী এলাকায় কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের অজুহাতে ফসলী জমি থেকে বোরিং করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারের পক্ষে পাতড়াখোলা গ্রামের নুরুল ইসলাম ও আনছার আলী লোকজন নিয়ে টানা পনের দিন ধরে অবৈধভাবে প্রায় দেড় লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে। ভাঙন কবলিত উপকুলীয় জনপদ থেকে বালু উত্তোলনের ঘটনায় মারাত্বক পরিবেশ বিপর্যয়ের শংকা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
    স্থানীয় সুত্রে যায় জাদা গ্রামে পাশের আমন ধানের ক্ষেত লাগোয়া পুকুরে দুটি ড্রেজিং মেশিন স্থাপন করে জমির তলদেশ হতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু মুলত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণের জন্য ‘স্যান্ড ফিলিং’ এর কাজে ব্যবহার করছে সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় এস আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত দুই হাজার নয় শত মিটার রাস্তা ভরাটের কাজে একই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করা হবে বলেও জানান তারা।
    দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকার পর ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এসে এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সন্ন্যাসী ডাক্তারের বাড়ি হয়ে সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ইটের সোলিংকৃত রাস্তার কার্পেটি এর কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে দুই হাজার নয় শত মিটার রাস্তার কাজ চলতি অর্থ বছরে সম্পন্নের নির্দেশনাও রয়েছে স্থানীয়রা জানান বক্স কাটিং এর কাজ সম্পন্ন করেই স্যান্ড ফিলিং এর জন্য দুর-দুরান্ত থেকে প্রয়োজনীয় বালু না এনে পাশের ফসলী জমির প্রায় সত্তর ফুট গভীর থেকে ড্রেজার মেশিনের সহায়তায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
    আহম্মদ আলী সহ কয়েক গ্রামবাসী জানান, ঠিকাদারের নিকট থেকে পাতড়াখোলা গ্রামের নুর ইসলাম ও আনছার আলী ঐ রাস্তার স্যান্ড ফিলিং এর কাজ সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়েছে। সাড়ে ছয় টাকা ঘন ফুট হিসেবে চুক্তি মোতাবেক তারা রাস্তার কাজের জন্য বালু সরবরাহের দায়িত্ব নিলেও এখন পাশের জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন কয়েকজন জমির মালিককে দেড় টাকা ফুট হিসেবে অগ্রীম টাকা পরিশোধ করে নুর ইসলাম ও আনছার আলী নিজেদের লোকজন নিয়ে দিন রাত ধরে দু’টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। কয়েকজন জমির মালিক টাকা নিতে সম্মত না হওয়ায় রাস্তার কাজে বালু উত্তোলনের সুযোগ দিতে তাদের নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন।
    আবুজার রহমানসহ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন ও ভারত সীমান্তবর্তী এলাকাটি অত্যন্ত দুর্যোগ প্রবণ। বাঁধ ও নদী ভাঙন এখানে নিত্যকার ঘটনা। এমতাবস্থায় ফসলী জমি থেকে বোরিং করে বালু উত্তোলনের কারনে সামনের দিনগুলোর কথা ভেবে তারা রীতিমত শংকিত।
    স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সবাইকে ম্যানেজ করেই সেখানে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন নিয়ে কথা বললে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানীরও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন।
    সড়ক নির্মাণ কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় নুর ইসলাম ও আনছার আলী বালু সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছে। তবে কোথা থেকে বালু দিচ্ছে বা দিবে তা আমার জানা নেই।


    পারুলিয়ায় মিল কামালের ছেলে বাবু’র বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগেমামলা দায়ের
    বিশেষ প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া কামালের (মিল কামাল) ছেলে বাবুর বিরুদ্ধে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।কামালের ছেলে বাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে ঐ নারী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। (না: শিশু: পিটিশন ৪০০/২০ )। ইতোমধ্যে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করেছে এবং বাদী মিতা খাতুনের (ছদ্মনাম) মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
    বাদী মিতা খাতুন (ছদ্মনাম)এর ভাষ্যমতে, আমি ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে গৃহকর্মীর কাজে যাই এবং ২০১৭ সালে দেশে ফিরে এসে বাড়িতে ছাগলের খামার পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসতে থাকাকালীন পারুলিয়ার মিল কামালের ছেলে বাবুর সাথে ফোন সূত্রে আমার পরিচয় হয়। এরূপে আলাপ-আলোচনা থাকাকালে বাবু প্রথমে প্রেম নিবেদন করে ও পরে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। বাবুর বিয়ের প্রস্তাবে নতুন জীবনের আশ্বাসে আমি রাজি হই। তখন থেকে বাবু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং আমার সাথে আমার পিত্রালয় এসে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করে। আমি বাবুকে বিবাহ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বাবু বিবাহ করার শর্তে আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি ওমানে থাকাকালে জমানো টাকা হতে বাবুকে ২ লক্ষ টাকা দেই। তারপর থেকে বাবু আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি জানতে পেরেছি বাবু আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে।
    বাদী আরও জানান, বাবু ও তার পিতা স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ও মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে। আমি সুবিচার পাবার আশায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ০৩ এর ৯(১) ধারায় মামলা করেছি।
    ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আমার বাড়িতে এসে তদন্ত করে গেছে এবং আমার মেডিকেল পরীক্ষা করেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করায় বাবুর বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • আশাশুনিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা

    আশাশুনিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা


    আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির প্রতাপনগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে মোবাইল কোর্টে ড্রেজার মেশিন মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আায়ুব আলি গাজীর পুত্র হাফিজুল দীর্ঘদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালি উত্তোলন করে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে গড়–ইমহল খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় দোষি আইয়ুব আলী কে প্রাকৃত্রিক জলাধার সংরক্ষণ আইন- ২০০০ এর ৮(১) ধারায় ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

  • পাইকগাছায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি অস্ত্র উদ্ধার

    পাইকগাছায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি অস্ত্র উদ্ধার

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছায় দেশীয় তৈরী ২টি পাইপগান ও ১টি রিভালবার পরিত্যক্ত অবস্থায় থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের গেওয়াবুনিয়া স্লুইজ গেটের পাশে এলাকাবাসী মাটি কাটার সময় মাটির নীচে তিনটি আগ্নেয়অস্ত্র দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয় এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র তিনটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে বলে থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। ওসি মোঃ এজাজ শফী জানিয়েছেন, দেশীয় তৈরী ২টি পাইপগান ও ১টি রিভালবার পরিত্যক্ত অবস্থায় মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

  • কালিগঞ্জে উপজেলা আ’লীগ নেতা সহ ৫জন গ্রেফতার, ইয়াবা উদ্ধার

    কালিগঞ্জে উপজেলা আ’লীগ নেতা সহ ৫জন গ্রেফতার, ইয়াবা উদ্ধার


    নিজস্ব প্রতিবেদক:কালিগঞ্জে মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে ১হাজার ২শ’ পিস ইয়াবা, নগদ ৩৮ হাজার টাকা সহ কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি (৪৮) সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সাদপুর ও রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাজিমগঞ্জ বাজার এলাকার একটি বাসাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্যান্যরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলা এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬), গিলাতলা এলাকার মোস্তফা কাইয়ুম এর ছেলে জাহিদ পারভেজ (৪০), কালিগঞ্জ উপজেলার শীতলপুর গ্রামের মৃত শেখ শহীদ এর ছেলে মনিরুজ্জামান মনি (৪৮), মৌতলার রাফায়াত আলী (৪৭) ও তার ছেলে ঈশান (১৮)। কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • মথুরাপুর ও লাবসায় অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    মথুরাপুর ও লাবসায় অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “টুটুল, আবু বাক্কার ও আবু সাইদ বাহিনী অবৈধ ভাবে মথুরাপুর ও লাবসায় জমি দখল করে হজম করার পায়তারা করছে। কোর্টের নির্দেশে ভূমি অফিসার তদন্ত সম্পন্ন করে ফিরে গেলে টুটুল, আবু বক্কার ও আবু সাইদসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশিয় অস্ত্রসহ আমাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আহত হয় আবু রায়হান ও আলমগীর হোসেন সহ চারজন। তারা আমাদের পৈত্রিক ভিটা পরিকল্পিত ভাবে দখল করার পায়তারা করছে। তারা একের পর এক মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। টুটুল, বক্কার ও সাইদদের অত্যাচারে দেবনগরের ২০টি পরিবার আজ ভিটা ছাড়া হয়েছে। আমরা সবাই তাদের দেওয়া মিথ্যা মামলার ঘানি টানছি। আমরা দেবনগর বাসীরা এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে সাথে এই বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি চাই।”

  • কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হচ্ছেপশ্চিম সুন্দরবন

    কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হচ্ছেপশ্চিম সুন্দরবন

    নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পশ্চিম সুন্দরবন। প্রকাশ্যে দেখাগেছে যে, মিরগাং, কালিঞ্চী ও কৈখালীর কিছু কু-চক্রী মহল প্রকাশ্য দিবালকে সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে উজাড় করে দিচ্ছে। ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন।
    একটি বিশেষ সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সন্দরবনের কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেন গোপন উৎকোচ গ্রহণ করে এই সব চোরাচালানীদের সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার সুযোগ করে দিচ্ছে। যদিও গত ২০১৪ সালের পর সুন্দরবনের চোরাচালানী বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু নতুন কওে তা আবারও শুরু হয়েছে। গরান, গেওয়া, সুন্দরী, পশুর মিরগাং বিভিন্ন প্রজাতিরগাছ টহলফাঁড়ীর পাশ দিয়ে যতিন্দ্রনগর গ্রামের উপর দিয়ে শ্যামনগর চলে যায়।
    তবে চোরাচালানীদের দু’একজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে যে, বাড়ীতে কিছু জ¦ালানির প্রয়োজনে তারা ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেনকে বলে সুন্দরবনে যায়।
    গত কয়েকটা প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এর পরও যদি এভাবে চোরাচালানীরা সুন্দরবনের গাছ কেটে উজাড় করতে থাকে তবে ধ্বংস হয়ে যাবে সুন্দরবন- এমন মন্তব্য সচেতন মহলের।
    এ ব্যাপাওে মিরগাং টহলফাঁড়ীর অফিসার ইনচার্জ মহাসিন হোসেন বলেন, আমার জানামতে এমন ধরনের কোন কাজ চলছে না। তবে আমাদের অফিস ষ্টাফ কম হওয়ায় হয়তো এ ধরনের ঘটনা আমাদের জানার বাইরে ঘটতে পারে।
    কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেনের সাথে ০১৭৮৮০৮০৮৭৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে গেলে ফোনটি বন্ধ থাকার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

  • সিআইডির প্রেস ব্রিফিং এ রায়হানুলের স্বীকারোক্তির দাবী: ‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’

    সিআইডির প্রেস ব্রিফিং এ রায়হানুলের স্বীকারোক্তির দাবী: ‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’

    জহুরুল কবীর: কলারোয়ার চার খুনের রহস্য উদঘাটন, ভাই রায়হানুলের স্বীকারোক্তি , সিআইডির প্রেস ব্রিফিং‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারে সংঘটিত চার খুন ঘটনার নেপথ্য রহস্য উদঘাটিত হয়েছে দাবি করে সিআইডি কর্মকর্তারা জানান ‘ নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুল পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে একাই এহ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে’।বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় সাতক্ষীরাস্থ সিআইডির জেলা অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির খুলনাস্থ অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন গ্রেফতারকৃত রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজন্য তাকে হাজির করা গেল না।জনাকীর্ন প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি বলেন রায়হানুল তার ভাই শাহিনুর , ভাবী সাবিনা খাতুন এবং তাদের দুই শিশু সন্তান মাহি ও তাসনিম সুলতানাকে একাই বাড়ির ধারালো চাপাতি দিয়ে জবাই করেছে। এর আগে সে বাজার থেকে ঘুমের ওষুধ ডিসোপেন ২ ও এনার্জি ড্রিংক কিনে আনে। ১৪ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে সে তার দুই শিশু ভাতিজা, ভাতিজি এবং ভাবীকে ওষুধ মেশানো এই ড্রিংক খাওয়ায়। পরে রাত দেড়টার দিকে তার ভাই শাহিনুর মাছের ঘের থেকে বাড়ি এলে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায়। রায়হানুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান ‘সে নিজে ঘরের ছাদের কার্নিশ বেয়ে উপরে উঠে খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমে তার ভাই শাহিনুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে হাতের রগ কেটে পায়ে রশি বেঁধে দেয় । এরপরই সে পাশের কক্ষে ভাবী সাবিনাকে জবাই করে হত্যা করে। তার চিৎকারে শিশুরা জেগে গেলে সে তাদেরকেও এইভাবে জবাই করে। সে সিআইডিকে জানিয়েছে ‘তার ওপর শয়তান ভর করেছিল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও শিশু দুটিকে হত্যা করে’। খালি গায়ে হত্যার পর সে রক্তমাখা তোয়ালে ও চাপাতি মাছের ঘেরে ফেলে দেয়। পরে ঘের থেকে তার দেখানো মতে তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।কেনো সে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার জবাবে রায়হানুলের বরাতে সিআইডি অফিসার জানান রায়হানুল একজন বেকার মানুষ। ৯/১০ মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সেই থেকে সে ভাইয়ের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতো। নিজে কোনো কাজ করেনা খরচও দেয়না এসব কারণে প্রায়ই ভাই ভাবীর সাথে তার ঝগড়া হতো। তারা তাকে গালাগাল দিতো। রায়হানুলের জবানবন্দির বরাতে তিনি আরও জানান ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাবীর সাথে তার একই বিষয়ে বাদানুবাদ হয়। ভাবী তাকে বকাবকি করেন। পরে সে ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় ভাবী ও তার দুই সন্তানকে। এতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে’।রায়হানুল আরও জানিয়েছে ‘রাত দেড়টার দিকে সে ঘরে বসে টিভি দেখছিল। এ সময় তার ভাই শাহিনুর ঘের থেকে এসে তাকে বকাবকি করে বলেন এতো টিভি দেখিস, বিদ্যুতের বিল দেবে কে’। এ নিয়ে তাকে খানিকটা বকেনও শাহিনুর। রায়হানুল তাকে জানায় ‘ তুমি মাথা ঠান্ডা করো , এবারের বিদ্যুত বিল আমি দিয়ে দেবো।এই বলে সে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় । পরে শাহিনুরও ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় সে এক এক করে তাদের খুন করে। সিআইডি কর্মকর্তা ১০ মিনিটেরও বেশি সময়ের এই প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন হত্যার সময় রায়নুলের সাথে আর কেউ ছিল না। কেবলমাত্র ভাই ভাবীর বকাবকির কারণেই সে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে সিআইডিকে। রিমান্ডে থাকা রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য যে গত ১৪ অক্টোবর রাতে কলারোয়ার খলিসা গ্রামে একই পরিবারে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। সেদিনই পুলিশ ঘাতক ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার করে।

  • অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির কামরুল, শওকত, নিজামের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির কামরুল, শওকত, নিজামের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ২০১৬-২০১৯ মেয়াদ কালের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দীনের বিরুদ্ধে। আত্মসাৎকৃত অর্ধ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ শেয়ার সদস্যবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা সমবায় কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
    লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ রেজিঃ নং- ৮৬/ সাত ২০০৯ এর সাবেক ২০১৬-২০১৯ সালের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও বহুদিন সমিতির আয়ব্যয়ের হিসাব সাধারণ সদস্যদের মাঝে উপস্থাপন না করায় ওই কমিটির দ্বায়িত্বে থাকা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকে শেয়ার সদস্যরা হিসেব দিতে চাপ প্রয়োগ করে। চাপের মুখে পড়ে সেসময় সাধারণ সভার আয়োজন করেছিল, ওই সভায় তারা একটি মনগড়া হিসাব উপস্থাপন করে। সেই হিসাবের বিপরীতে সমিতির সদস্যরা প্রশ্ন করলে তারা প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যার্থ হয়। এক পর্যায়ে সাধারণ সভা শেষ না করেই কৌশলে সভাস্থল ত্যাগ করেন তারা। ফলে সমিতির হিসাব নিকাশ অমিমাংসিত থেকে যায় এবং প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব শুন্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জেলা সমবায় কতৃক একটি আদেশের মাধ্যমে মোঃ ফিরোজ হোসেন কে সভাপতি করে ১২০ দিন মেয়াদে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি অন্তর্বতীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির ঘোষণা দেয়াহয়। ওই আদেশ পত্রের অনুলিপির ৬নং কলামে সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম কে আদেশ পত্র প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে অন্তর্বতীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে সমিতির দ্বায়িত্ব ও হিসাব নিকাশ হস্তান্তরের জন্য বলা হলেও সে বিষয়ে কোনো প্রকার কর্ণপাত করেনি তিনি। পরবর্তীতে বিষয়টি পত্রের মাধ্যমে জেলা সমবায় কর্মকর্তা কে জানানো হয়েছিল। ওই পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ১২০ দিন মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পুনরায় জেলা সমবায় তিন সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি কমিটি গঠন করে। যার সভাপতি ছিলেন, উপজেলা সমবায়ের কর্মকর্তা খান তৈয়েবুর রহমান। তিনিও সাবেক সভাপতি কামরুলের কাছ থেকে হিসাব নিতে ব্যর্থ হন। পরপর দুটি কমিটির আদেশ পত্র পেয়েও পুরো হিসাব দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে আবারো ক্ষমতায় পূর্নবহাল হওয়ার জন্য আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে আসছেন তারা বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই লিখিত অভিযোগে।
    এব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির একাধিক সাধারণ শেয়ার সদস্যরা অভিযোগ করে বলেছেন, সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন তাদের ৩৬ মাস মেয়াদ কালে সমিতির ৮৮ জন নতুন সদস্য নিয়োগের অর্থ সহ বিভিন্ন খাত থেকে আয় ও ব্যয়ের হিসেব অনুযায়ী তাদের কাছে সমিতির পঞ্চান্ন লক্ষের ও বেশি টাকা রয়েছে। তারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
    আজিজুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ সাব্বির, শাহিনুর রহমান শাহীন, ফরহাদ হোসেন সহ আরও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ওই কার্যকরী কমিটি আামাদের ৪০-৫০ জনের কাছ থেকে নির্ধারিত ভর্তি ফি নিয়েও সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত না করে তালবাহানা শুরু করছে। যারা সদস্য পদ পেতে তাদের চাপ প্রয়োগ করছে তাদের ভুয়া পরিচয় পত্র দিয়েছে তারা।
    ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠা কালীন শেয়ার সদস্য মোঃ সামছুরজ্জামান বলেন, সাবেক পরিষদের আত্মসাৎকৃত অর্ধ কোটিরও বেশি টাকা পুনঃউদ্ধরের হলে প্রতিষ্ঠানটি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে। আত্মসাৎকৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা ও করেছেন তিনি।
    এব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা সমবায় কর্মকর্তা খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির সদস্যরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কাজ চলছে। খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসবে। তদন্ত শেষ হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

  • জলবায়ু ট্রাষ্টের ঘর দেওয়ার নাম করে প্রতারক শহিদুলের লক্ষ টাকার অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

    জলবায়ু ট্রাষ্টের ঘর দেওয়ার নাম করে প্রতারক শহিদুলের লক্ষ টাকার অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

    কালিগঞ্জ সংবাদদাতা : জয়বালু ট্রাষ্টের অধীনে এলাকার হতদরিদ্র নিরীহ লোকদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ঘর দেওয়ার নাম করে প্রতারক শহিদুলের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকার অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিগঞ্জ উপজেলা ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুলখালী গ্রামে। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সোমবার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলাকার নিরীহ যুবকদের চাকুরী দেওয়ার নাম করে পরিবার হতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অফিসার ইনচার্জ কালিগঞ্জ থানা কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ এবং ভুক্তভোগী ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল খালী গ্রামের মৃত রূপচাঁদ গাজীর পুত্র হোসেন গাজী (৬৫), শহর আলী গাজীর পুত্র কাশেম গাজী (৬০), ঝড়ো গাজীর পুত্র সামাদ গাজী সহ একাধিক ব্যক্তি সাতনদীকে জানান আব্দুল খালী গ্রামের সামছুদ্দীনের পুত্র শহিদুল ইসলাম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজ সরল নিরীহ গরীব ব্যক্তিদের প্রতারনার ফাঁদে ফেলে নতুন ঘর নির্মান করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পরিবার প্রতি ৬ হাজার টাকা করে প্রায় ৩০টি পরিবারের নিকট হতে ২ লক্ষাধিক টাকা আদায় আত্মসাত করেছে। দীর্ঘদিন ঘর না পেয়ে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের কে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ভুক্তভোগীরা উপায়ন্তর না পেয়ে বিষয়টি এলাকার মেম্বর, চেয়ারম্যানদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।
    এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, “শহিদুল একজন বড় মাপের প্রতারক। এছাড়াও সে এলাকার নিরীহ যুবকদের নিকট হতে চাকুরী প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।”
    মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “শহিদুল একজন ঠক প্রতারক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে সে আরও মানুষ কে ঠকিয়ে সর্বশান্ত করে ছাড়বে।”
    ঘটনার সত্যতা জানানার জন্য শহিদুলের ব্যবহৃত ০১৯——-৭৮ নাম্বার মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যায়।

  • চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ডিবির হাতে গ্রেফতার-১

    চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ডিবির হাতে গ্রেফতার-১

    জহুরুল কবীর: পুলিশ কন্সটেবলসহ বিভিন্ন সরকারি পদে চাকুরি দেওয়ার নামে অন্ততঃ কুড়ি জনের কাছ থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নুরুল ইসলাম নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।
    গ্রেফতারকৃত নুরুল ইসলাম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে। সে বিভিন্ন সময়ে শ্যামনগর সহ সাতক্ষীরা জেলার একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান চাকুরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ২০ টি লিখিত অভিযোগ রয়েছে আমাদের হাতে। এই অভিযোগে মঙ্গলবার গভীর রাতে রাতে নুরুল ইসলামকে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বহুদিন যাবত পালিয়ে ছিল।
    তিনি আরও জানান, আটক নুরুল ইসলাম সরকার দলীয় উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সাথে ছবি তুলে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলো সে। তার বিরুদ্ধে আগের দুটি প্রতারণার মামলা রয়েছে। একাধিক প্রতারণার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলে ও জানান তিনি।

  • সাতক্ষীরাতে ফেনসিডিল সহ আট মামলার আসামি আটক

    সাতক্ষীরাতে ফেনসিডিল সহ আট মামলার আসামি আটক

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির অভিযানে ৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ আট মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
    মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা উপজেলার বহেরা উত্তর পাড়ার নছিমুদ্দনের বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেনসিডিল বিক্রি কারার সময় তাকে গ্রেফতার করাহয়।
    গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেন দেবহাটা উপজেলার বহেরা উত্তর পাড়ার মৃত আহম্মদ আলী মৃধার ছেলে হাসান মৃধা।
    জেলা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ওসি মোঃ ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোঃ মুনিরুল ইসলাম, এএসআই মোঃ নাসির উদ্দিন ,রাজু আহমেদ কে সাথে নিয়ে দেবহাটার বহেরা থেকে হাসান মৃধা নামের এক মাদক ব্যবসায়ী কে ৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করি। আটককৃতের নামে আট টি মাদক মামলা রয়েছে। সে বহুদিন যাবত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই এলাকায় মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। মাদকের মামলাদিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

  • সুজনশাহা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়

    সুজনশাহা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সুজনশাহা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া নিয়োগে অর্থ লেনদেন নিয়ে তোলপাড় চলছে। আট প্রার্থীর কে নিয়োগ প্রাপ্ত হবে তা নিয়ে চলছে হিসেব নিকেশ। ঘটনাটি নিয়ে সুজনশাহা বাজারের চায়ের দোকানে ঝড় তুলছেন কেউ কেউ।
    সম্প্রতি তালা উপজেলা সুজনশাহা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয় ১১ই মার্চ ২০২০ তারিখে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আয়া পদে নিয়োগ লাভের জন্য ৮ জন আবেদন করে। তবে আয়া পদে নিয়োগের জন্য প্রায় প্রত্যেকের কাছ থেকেই কিছু না কিছু অর্থ আদায় করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি এমনই অভিযোগ অনেকের। বিষয়টি এখন সুজনশাহা বাজারের চায়ের দোকানের হট টপিক। এটি নিয়েই চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন কেউ কেউ। অনেকেই বলছেন নিয়োগের জন্য সুজনশাহার মফিজুল ইসলামের স্ত্রী আসমাই নিয়োগ পাবে। কারন তিনি নাকি ৮ লাখ টাকা খরচ করেছেন। আবার অনেকে বলছেন রবিউল ইসলামের স্ত্রী তাছলিমা (সুমি) পাবে নিয়োগ। সেও ৫ লাখের মত খরচ করেছে। এছাড়াও প্রত্যেকেই নিজ নিজ পরিচিতদের নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টাও চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও খরচ করেছেন তারা।
    একটি সুত্রের বরাতে জানা যায়, আসমা ও সুমির নিয়োগ নিয়ে একাধিকবার গোপনে শালিসি বৈঠকও হয়েছে। শালিসের বিষয়বস্তু ছিল আসমা নাকি তাছলিমা কাকে নিয়োগ দেয়া হবে তা নিয়ে। তবে আসমা ৫ লাখ টাকা দিলেও আরও ৩ লাখ টাকা নিয়োগ প্রাপ্তির পর দেয়া হবে বলে সুত্রে জানা গেছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সারাদিনই বিক্ষিপ্তভাবে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে মিসাংসারও চেষ্টা করা হয়।

  • শ্যামনগরের কাশিমাড়িতে ভেজাল মধুর শিল্প! ধরা ছোয়ার বাইরে চক্রটি

    শ্যামনগরের কাশিমাড়িতে ভেজাল মধুর শিল্প! ধরা ছোয়ার বাইরে চক্রটি

    জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরায় ভেজাল মধু তৈরি সিন্ডিকেটের সন্ধান মিলেছে। রিতিমত তারা এটাকে শিল্প হিসাবে রুপ দিতে যাচ্ছে। জেলার শ্যামনগর কাশিমাড়ি এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে তৈরি হচ্ছে ভেজাল দ্রব্য দিয়ে তৈরি নকল মধু। মধু তৈরির ৩/৪ দিন পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই আসল আর নকলের পার্থক্য। আর এভাবেই মধু তৈরি করে সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরবারাহ করছে প্রতার চক্রটি।
    সূত্র জানায়, জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে মোঃ আব্দুল মান্নান সরদার, আবুল হোসেনের ছেলে নূর হোসেন গাজীসহ একই গ্রামের ৫/৭ টি পরিবার নকল মধু তৈরি কাজে সরাসরি জড়িত। এদের থামানোর কেও নেই।
    কাশিমাড়ি এলাকার আবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, শওকাত আলীসহ আরো অনেকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত মোঃ আব্দুল মান্নান সরদার, নূর হোসেন গাজীসহ এই গ্রামের আরো কয়েকটি পরিবার নকল মধু তৈরি কাজে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে কোন লাভ হয়না বলেও জানান এলাকাবাসি। তাদের সাথে রয়েছে অনেকের সখ্যতা।
    মধুতে রয়েছে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। আর সুন্দরবনের মধুর কথা শুনলে সবাই আগ্রহ ভরে সেই মধু কিনতে চায়। আর সেই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে সংগৃহীত মধুর সাথে ভেজাল মিশিয়ে দেদারছে বিক্রি করছে। আর ক্রেতারা হচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার। বিভিন্ন বাড়িতে অস্থায়ী ভাবে তৈরি হচ্ছে ভেজাল মধু তৈরির কারখানা তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাশিমাড়ি। সেখানে পানি, চিনি ও হানি এথেন্স দিয়ে ভেজাল মধু তৈরি করা হয়। এব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন এলাকাবাসী।