Category: অপরাধ

  • কলকাতায় গোপন কার্যালয় খুলেছে আ’লীগ

    কলকাতায় গোপন কার্যালয় খুলেছে আ’লীগ

    বিবিসি বাংলার অনুসন্ধান

    কলকাতা লাগোয়া উপনগরীটাতে শয়ে শয়ে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, রাত-দিন লাখ লাখ মানুষের ভিড় সেখানে। ব্যস্ত এই এলাকায় একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে এমন কয়েকজন যাতায়াত করছেন, যাদের কয়েক মাস আগেও সেখানে দেখা যেত না। ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করেন, এমন বেশিরভাগই চেনেন না এই নবাগতদের, চেনার কথাও নয়।

    তবে এদের অনেকেই মাত্র এক বছর আগেও বাংলাদেশের সবথেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলির শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের নেতা।

    তারা যে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটিতে যাতায়াত করছেন কয়েক মাস ধরে, সেখানেই ‘দলীয় দফতর’ খুলেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।  এই ‘পার্টি অফিস’টি নতুন।

    এর আগে, ২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা ভারতে অবস্থান করছেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দফতরের কাজকর্ম চালাতেন নিজেদের বাসাবাড়িতেই

    বড় বৈঠকগুলি অবশ্য করতে হত কোনো রেস্তরা বা ব্যাঙ্কয়েট হল ভাড়া করে। সেকারণেই একটা নির্দিষ্ট ‘পার্টি অফিস’এর দরকার ছিল বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

    কীরকম সেই ‘পার্টি অফিস’?

    বাণিজ্যিক পরিসরটির পেছনের দিকের ভবনটির আট তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সার দিয়ে বাণিজ্যিক সংস্থার দফতর। করিডোরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তারমধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। শুধু বাইরে কেন, পাঁচশো বা ছয়শো স্কোয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে।

    কোনো সাইন বোর্ড, শেখ হাসিনা অথবা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি কোথাও নেই ঘরটির বাইরে বা ভেতরে।

    “বঙ্গবন্ধু বা নেত্রীর কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখি নি খুবই সচেতন ভাবে। আমরা চাইনি যে এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় দফতরে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি,” বলছিলেন একজন আওয়ামী লীগ নেতা।

    তিনিই জানালেন, ৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই দফতরেই হয়ে যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনও হয়। তবে বড় বৈঠকগুলি, যেখানে শ দুয়েক নেতা-কর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্তরাঁর একটি অংশ ভাড়া নিয়ে নেওয়া হয়।

    কারা যাতায়াত করেন ‘পার্টি অফিসে’?

    গত বছরের পাঁচই অগাস্টের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলির অনেক শীর্ষ নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীই কলকাতা বা তার আশপাশের অঞ্চলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন।

    এর বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী, সরকারি কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও চলে এসেছেন ভারতে। মাস ছয়েক আগে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলি জানিয়েছিল যে অন্তত ৭০ জন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র সহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় দুশো জন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে থাকছেন।

    এদের কেউ সপরিবারে থাকেন, আবার কোথাও একসঙ্গে কয়েকজন মিলেও একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। কারও পরিবার মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে এসেও কিছুদিন কাটিয়ে যান।

    “এখন যে সংখ্যাটা খুব বেশী বেড়েছে তা নয়। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের ৮০ জনের মতো সংসদ সদস্য এবং তারও আগে সংসদ সদস্য ছিলেন, এমন ১০-১২ জন নেতা আছেন এখানে। আবার এমনও কয়েকজন এসেছেন যারা কলকাতায় এসে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে চলে গেছেন,” বলছিলেন এক আওয়ামী লীগ নেতা।

    সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারাও থাকেন কলকাতার আশেপাশেই।

    কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের যে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বাস করছেন, তাদের প্রায় সবাই ‘পার্টি অফিসে’ যাতায়াত করে থাকেন।

    “তবে অফিস খোলার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যেরকম প্রয়োজন, সেরকমই আসেন নেতারা। আবার রোজই যে সবাই আসেন, তাও নয়। আসলে প্রয়োজনীয়তা ছিল একটা নির্দিষ্ট জায়গা গড়ে তোলা, সে জন্যই এই পার্টি অফিস,” জানাচ্ছিলেন ওই নেতা।

    আওয়ামী লীগের এই নতুন পার্টি দফতরের ব্যাপারে ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষ যে কিছু জানবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।

    দলেরও কোন স্তরের নেতা-কর্মীরা এই দফতরের ব্যাপারে কতটা জানেন, সেটা জানা যায় নি।

    কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে ভারতীয় গোয়েন্দারা এই দফতরের ব্যাপারে জানেন এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ স্তরের অনুমোদন ছাড়া এই দলীয় দফতর থেকে আওয়ামী লীগের কাজকর্ম চলতে পারত না।

    যেভাবে দল চলছে এক বছর ধরে

    গত একবছরের কিছুটা কম সময় ধরে ভারত থেকেই আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। দলটির নেত্রী শেখ হাসিনা দিল্লির কাছাকাছি কোথাও থাকেন, আর বড় অংশ থাকেন কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে।

    তবে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্র লীগের সভাপতি সাদ্দাম হুসেইন বলছিলেন, “এই ধারণাটা ঠিক নয় যে ভারত থেকে দল চলছে। মূল দল বা সহযোগী সংগঠনগুলোর কতজন নেতা-ই বা ভারত অথবা অন্যান্য দেশে রয়েছেন? বেশিরভাগ তো এখনও বাংলাদেশেই আছেন।”

    কিন্তু দলের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ ভারতে আছেন বলে সেখান থেকেই যে রাজনৈতিক দিশা-নির্দেশ দেওয়া বা দলীয় অবস্থান চূড়ান্ত হবে, সেটাই স্বাভাবিক।

    তবুও দু সপ্তাহ আগে পর্যন্তও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি দেখা হয় নি দল-নেত্রীর।

    গত ৩১শে জুলাই শীর্ষ নেতৃত্বের কয়েকজনকে দিল্লিতে এক বৈঠকে ডেকেছিলেন শেখ হাসিনা।

    আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ওই বৈঠকের বিষয়টি বিবিসি বাংলার কাছে নিশ্চিত করেছিলেন, তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কোথায় বৈঠক হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি ওই নেতারা।

    দলের নেত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকটি ছাড়া এবং নিজেদের মধ্যে সশরীরে দেখা সাক্ষাৎ এবং বৈঠক ছাড়া দলটির বাকি সব কাজই চলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

    বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের জন্য আলাদা হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ ইত্যাদি গড়া হয়েছে। এছাড়া নিয়মিতই লাইভ অনুষ্ঠান করে থাকে দলটি। এরকম লাইভ অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝেই যোগ দেন শেখ হাসিনা নিজেও।

    সেসব আলোচনাগুলিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা যেমন হয়, তেমনই আবার মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মী – যারা বাংলাদেশেই থেকে গেছেন, তাদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়ে থাকে।

    প্রাক্তন সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলছিলেন, “তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের ফলে আমরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারছি, তাদের মতামত জানতে পারছি, কী করণীয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিতে পারছি।

    “এই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের। কোনো একটা ব্যবস্থা বদলানোতে এই তরুণ প্রজন্মের বড় ভূমিকা থাকে। আমরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের কাছেই পৌঁছানোর চেষ্টা করছি,” বলছিলেন মি. দেবনাথ।

    ‘কর্মীরা দেশে মার খাচ্ছেন, নেতারা কেন ভারতে?’

    সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে মাঝে মাঝেই এই প্রশ্ন ওঠে যে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা যখন দেশে মার খাচ্ছেন, গ্রেফতার হয়ে জেলে যাচ্ছেন, তখন শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ কেন ভারতে পালিয়ে আছেন।

    “এই প্রশ্ন ওঠা যে খুব অযৌক্তিক তা নয়। কিন্তু বাস্তবতা হল, ১৯৭১ এ যদি তখনকার নেতৃত্ব ভারতে চলে এসে প্রবাসী সরকার গঠন না করতেন, তাহলে কী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা সম্ভব হত? আমি ৭১-এর সঙ্গে তুলনা করছি না বর্তমান সময়ের, কিন্তু এরকম উদাহরণ আমাদের দেশেও রয়েছে, অন্যান্য দেশেও আছে যে বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করে, শক্তি সঞ্চয় করে দেশে ফিরে ক্ষমতা দখল করেছেন নেতারা। পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফ বা বেনজির ভুট্টো বলুন বা আমাদের দেশের তারেক রহমান। সবাই তো বিদেশ থেকেই দল পরিচালনা করেছেন বা এখনও করছেন,” বলছিলেন প্রাক্তন সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ।

    তার প্রশ্ন, “দেশে থাকলে হয় জেলে থাকতে হত, মেরেও ফেলতে পারত। কিন্তু তাহলে আমাদের যে রাজনৈতিক কাজকর্ম – বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা, দলকে আবারও সংগঠিত করা – সেগুলো কি আমরা করতে পারতাম?”

    নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র লীগের সভাপতিও ভারতে

    বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র লীগের সভাপতি সাদ্দাম হুসেইন ভারতে অবস্থান করছেন গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে।

    তিনি বলছিলেন, “গত একবছর ধরে ক্যাম্পাসটা খুব মিস করি। দেশে থাকলেও যে গত এক বছরে ক্যাম্পাসে যেতে পারতাম তা নয়।

    “হাজার হাজার ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থক তারা তো দেশে থেকেও ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না একবছর ধরে। তাদের ক্লাস করতে দেওয়া হয় না, তারা পরীক্ষা দিতে পারেন না, পাশ করলেও সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এদের সবার শিক্ষাক্রমটাই শেষ করে দেওয়া হয়েছে,” বলছিলেন মি. হোসেইন।

    “এটা যে শুধু ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে করা হচ্ছে তা নয়। আওয়ামী লীগ করেন বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এমন পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও এই একই ঘটনা হচ্ছে। শুধু যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে, তাও নয়। এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারে নি বহু ছাত্রছাত্রী – শুধুমাত্র তারা আওয়ামী লীগ ঘরানার পরিবারের সন্তান বলে,” বলছিলেন সাদ্দাম হোসেইন।

    অর্থায়ন কী ভাবে হচ্ছে?

    ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলীয় প্রচার প্রচারণার জন্য খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না ঠিকই, কিন্তু খরচ তো আছে।

    আবার যেসব নেতা কর্মীরা ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ব্যক্তিগত খরচও চালাতে হয়। কীভাবে সেসবের জন্য অর্থের সংস্থান হচ্ছে?

    আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বিবিসিকে বলেছেন, দেশে,বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্খীরাই তাদের খরচ চালাচ্ছেন।

    দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরের কথায়, “সাংগঠনিক ভাবে অগাস্টের পরে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, সেই অন্ধকার অতিক্রম করা কঠিন কাজ। যেসব নেতা-কর্মী দেশে বা বিদেশে আছেন, তারাই এই দু:সময়ে এগিয়ে আসছেন, অর্থ সাহায্য করছেন। কর্মীরা এখানে কষ্ট করেই আছেন, তবে মনোবলই আমাদের সম্বল।”

    আরেক নেতা নাম উল্লেখ না করার শর্তে বলছিলেন, দেশ থেকে তার পরিবার-পরিজন এবং সহকর্মীরা প্রয়োজন মতো অর্থ পাঠিয়ে দেন।

    “তবে এই একবছরে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে,” বলছিলেন পঙ্কজ দেবনাথ।

    তার কথায়, “আমরা যে এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছি, বা ৭১-এর যুদ্ধের সময়ের মতো শরণার্থী শিবিরে থাকছি তা নয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে যাদের মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত জীবনযাত্রা ছিল, সে সবই পরিবর্তন করতে হয়েছে। যারা ঢাকায় হয়তো গাড়ি ছাড়া চলতেন না, তাদের এখন কলকাতার গণ-পরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে।

    “যেমন আমি একটি ফ্ল্যাটে আরও তিনজনের সঙ্গে থাকি। বাসে, ট্রেনে বা মেট্রো রেলে যাতায়াত করি। আবার সহকর্মীদের মোটরসাইকেল বা বাইকেও চেপে ঘোরাঘুরি করি। যদি কয়েকজন মিলে একসঙ্গে কোথাও যেতে হয়, তখন হয়তো ট্যাক্সিতে উঠলাম। ভাড়াটা ভাগাভাগি করে নিলে গায়ে লাগে না। আসলে সঞ্চিত অর্থে যতটা স্বল্প খরচে চলা যায়,” বলছিলেন মি. দেবনাথ।

    কিন্তু কতদিন থাকবেন তারা দেশ ছেড়ে?

    ওবায়েদুল কাদের বলছেন, “দিনক্ষণ ঠিক করে ওভাবে তো রাজনৈতিক লড়াই হয় না, আবার লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই।”

     

    সৌজন্য : বিবিসি বাংলা

  • আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

    আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

    আদালত অবমাননার মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

    বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

    এর আগে, আদালত অবমাননার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

    আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় কোনো পক্ষের জন্য সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে এক আইনজীবী নিয়োগ দেন আদালত।

    অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের পর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানিতে একজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও শেখ হাসিনা ও অপর অভিযুক্ত হাজির না হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানের অভিমত ট্র্যাইব্যুনাল শুনবেন বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেদিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওইদিন কোনো জবাব দাখিল না করায় তাদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- গত কয়েক মাস আগে শেখ হাসিনা একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথোপকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সত্যতা পায়। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।

    প্রসিকিউশন জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেননি। এ অবস্থায়, ট্রাইব্যুনাল এখন আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দিতে পারে।

  • বিতর্কিত মন্তব্য: ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি চাকরিচ্যুত

    বিতর্কিত মন্তব্য: ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি চাকরিচ্যুত

    ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেওয়ায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে ওএসডি সহকারী সচিব, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    বুধবার (২ জুলাই) বিভাগীয় মামলায় তাকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ গুরুদণ্ড দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৬ অক্টোবর তিনি নিজ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি নিরাপত্তার কারণে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ না নিয়ে লিখিতভাবে জবাব দেন। তার জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

    এতে আরও বলা হয়, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এরপর তাকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব, পারিপার্শ্বিকতা এবং বিভাগীয় মামলার নথি পর্যালোচনা তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিধিমালা অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ সূচক গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    গত ৫ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে তাপসী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

    শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ছাড়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশকিছু স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন তাপসী তাবাসসুম।

  • জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি

    জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি

    জঙ্গি সংগঠন আইএস এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক মালয়েশিয়ার পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জুন) মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যম হারিয়ান মেট্রো”র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানান, সেলাঙ্গর এবং জোহর রাজ্যে গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া একটি পরিকল্পিত নিরাপত্তা অভিযানে তিন ধাপে এই আটকের ঘটনা ঘটে।

    এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাহ আলম এবং জোহর বাহরু সেশন কোর্টে দণ্ডবিধির অধীনে সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য অভিযোগ আনা হয়েছে।

    সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল আরও বলেন, অন্য ১৫ জনের বিরুদ্ধে নির্বাসনের আদেশ জারি করা হয়েছে। বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থি সংগঠন আইএস এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো উগ্র চরমপন্থি গোষ্ঠী বা বিদেশি ষড়যন্ত্রের স্থান মালয়েশিয়া হবে না। এ অভিযান পরিচালনায় নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা এবং দ্রুত পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশে বিশেষ শাখার প্রশংসা করেন।

    তিনি জানান, কেডিএন গোয়েন্দা ও নজরদারি জোরদার করছে। মালয়েশিয়াকে নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখার জন্য দেশ-বিদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ মালয়েশিয়াকে চরমপন্থি কার্যক্রম বা ট্রানজিট কেন্দ্র বানাতে চাইলে, তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

  • ছয় মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে অন্তর্বর্তী সরকার

    ছয় মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে অন্তর্বর্তী সরকার

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। এর ফলে এসব মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা চিরতরে সব কলঙ্ক ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’

    আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত (২৮ মে পর্যন্ত) ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কাজ চলছে। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কর্তৃক অবহেলার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

    মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করে কমিটি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছে।

    এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে রাজনৈতিক মামলার তালিকা পাঠাতে পারে।

    এর আগে ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল মধ্যে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল।

    তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে। ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

    আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল দুটিকে তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিটের (যেখানে প্রযোজ্য) মতো প্রাসঙ্গিক নথি না পাঠানোর জন্যও দোষারোপ করে বলেছেন যে, এটি মামলা প্রত্যাহার বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ।

    উপদেষ্টা সম্প্রতি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে জানান, ‘অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

    ইতোমধ্যে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলার তালিকাসহ এফআইআর ও চার্জশিট জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

  • শেখ পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

    শেখ পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

    ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা মোট ১৫৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ জব্দের বিষয়টি ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।

    দুদকের সূত্র জানায়, জব্দ করা টাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটি রয়েছে ‘শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর নামে। এ ট্রাস্টের নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ৪৭৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৪ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’ (সিআরআই)-এর নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৫৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৩৬ টাকা, আওয়ামী লীগের নামে আটটি ব্যাংক হিসাবে ৩৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৩১ টাকা এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ১১৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের নামে দুটি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪৪ টাকা, আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে পাঁচটি হিসাবে ৫৬ লাখ ৭ হাজার ৭৪৩ টাকা, সায়মা ওয়াজেদের নামে পাঁচটি হিসাবে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৮৫৪ টাকা এবং শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার যৌথ নামে থাকা চারটি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৮৬২ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের মধ্যে শেখ হাসিনার নামে ১২টি হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৫ টাকা, শেখ রেহানার নামে দুটি হিসাবে ৮১ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ টাকা, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি হিসাবে ১ কোটি ১৭ লাখ ১৫ হাজার ২৭১ টাকা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে দুটি হিসাবে ১ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৪ টাকা এবং ববির বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিকের নামে রয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫০ টাকা।

    দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতের অনুমোদন নিয়ে আইনানুগভাবে এসব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে কমিশনের উপপরিচালক মনিরুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সময়কালীন বিভিন্ন ধাপে জব্দের আদেশ দিয়েছেন।

    দুদক আরও জানায়, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রাদওয়ান মুজিব ববি, শফিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাদের নিকটাত্মীয়দের নামে বিদেশে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে—বিলাসবহুল সম্পদেরও খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের উৎস ও বৈধতা খতিয়ে দেখতে বর্তমানে আন্তর্জাতিক তদন্ত সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

  • ১২ ভুয়া কোম্পানি, ২ হাজার কোটি টাকা পাচার! সাবেক হাইকমিশনার ফাঁস

    ১২ ভুয়া কোম্পানি, ২ হাজার কোটি টাকা পাচার! সাবেক হাইকমিশনার ফাঁস

    প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ও তার স্বামী জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমেটেডের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
    তাদের (মুনা ও তার স্বামী) ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
    সোমবার (১৬ জুন) দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন।
    তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পরস্পর যোগসাজশে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসহ ১২টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নাম সর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক) থেকে ঋণ নিয়ে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেন।

  • ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

    ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজার থেকে বান্দরবান পর্যন্ত এলাকাকে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এমন সংবাদ ভারতীয় অনলাইন গণমাধ্যম ‘Northeast News’-এ প্রকাশিত খবরকে সরাসরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রোববার (১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    আইএসপিআর জানায়, এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বিনষ্টের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়ার মতো গুরুতর ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা একেবারেই অসত্য এবং বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার।

    আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে যে ধরনের অসত্য ও প্রমাণবিহীন দাবি তোলা হয়েছে, তা এক ধরনের কল্পনাপ্রসূত ষড়যন্ত্র এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে ভুল বার্তা ছড়ানোর অপচেষ্টা।

    আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সর্বদা পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে আপস না করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

    প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীকে ঘিরে যেভাবে সন্দেহের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর মতে তা কোনোভাবেই সাংবাদিকতার মানদণ্ডে পড়ে না। বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কুৎসা রচনার অংশ, যা দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনরায় জানিয়ে দিয়েছে-দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও সংবিধান রক্ষায় বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ ধরনের অপপ্রচারে তারা ভীত কিংবা বিচলিত নয়।

  • ফের সীমান্তে রক্ত! বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেলো বিএসএফ

    ফের সীমান্তে রক্ত! বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেলো বিএসএফ

    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি চালিয়ে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করেছে এবং পরে তার মরদেহ নিয়ে গেছে। শনিবার (৩১ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ব্যক্তির নাম প্রদীপ বৈদ্য। তিনি কুলাউড়ার দত্তগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং শৈলেন্দ্র বৈদ্যের ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি কৃষিকাজে যুক্ত ছিলেন।

    শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জয়নুল ইসলাম জানান, সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে বিএসএফ তাকে গুলি করে এবং পরে মরদেহ নিয়ে যায়। বর্তমানে নিহতের পরিবার থানায় অবস্থান করছে। তারা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয়েছে।

    ঘটনার বিষয়ে ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, এটি ভারতের ভেতরে সংঘটিত হয়েছে। নিহতকে কৈলাশহর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

  • ১৬ জুনের আগেই হাজিরা দিতে হবে শেখ হাসিনাকে? জারি হলো পরোয়ানা!

    ১৬ জুনের আগেই হাজিরা দিতে হবে শেখ হাসিনাকে? জারি হলো পরোয়ানা!

    জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১ জুন (রোববার) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আদালত আগামী ১৬ জুনের মধ্যে তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।

    উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠামো পুনর্গঠন করা হয় এবং এরপরই এই ঘটনায় প্রথম একটি বিবিধ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা এখন একটি পূর্ণাঙ্গ মামলায় রূপ নিয়েছে। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেয়। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী, তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়, যা তিনি পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।

    পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে মোট তিনটি মামলা চলছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত ঘটনাটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হয়েছে। এছাড়া, তাঁর শাসনামলে গুম ও হত্যার অভিযোগ এবং হেফাজতে ইসলামের মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় আরও দুটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।

  • ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

    ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

    বাংলাদেশ ‘দন্ডবিধি ১৮৬০’ আইনের ১০০ ধারার ৩য় ধাপে বলা আছে – “কোন ব্যাক্তি যদি ধর্ষণের অভিপ্রায়ে আক্রমণ করে, তাহলে ঐ আক্রমণকারী হতে দেহের রক্ষার জন্য আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু ঘটানো যায়। এবং এই মৃত্যু ঘটানো ‘খুন’ বলে বিবেচ্য হবে না।”

    বাংলাদেশের দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০০ ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনের জন্য বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়ে এবং আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তা খুন হিসেবে গণ্য হবে না। এই ধারাটি আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কে বলে, বিশেষ করে ধর্ষণের বা যৌন নিপীড়নের পরিস্থিতিতে, যেখানে ভুক্তভোগী নিজেকে রক্ষা করার জন্য আইনগতভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।

    ধারা ১০০ এর ৩য় উপধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি আক্রমণ করে, তাহলে আত্মরক্ষার জন্য ঐ আক্রমণকারীকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা যেতে পারে, এমনকি তার মৃত্যু ঘটানোও জায়েজ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ঐ মৃত্যুকে “খুন” হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। অর্থাৎ, এটি আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।

    তবে, এই আইনের প্রয়োগের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে:

    ১.আক্রমণকারীর আক্রমণ ধর্ষণের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
    ২.ভুক্তভোগী যদি নিজের রক্ষা করার জন্য আক্রমণকারীকে আঘাত করেন এবং তা পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ও যুক্তিসঙ্গত হয়।
    ৩.আত্মরক্ষার প্রয়োজনে করা পদক্ষেপটি অতিরিক্ত সহিংসতার কারণে না হয়ে থাকে।
    ৪.এটা আইনের একটি ব্যতিক্রমী বিধান, যেখানে প্রয়োগকারী ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে আত্মরক্ষা করতে পারবেন। তবে, এই ধরনের ঘটনা বিচারক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করবে।

  • ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজী‌বি হত্যার বিচার দাবি খুলনা ইমাম পরিষদের

    ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজী‌বি হত্যার বিচার দাবি খুলনা ইমাম পরিষদের

    খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ইমাম পরিষদ। চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

    শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বাইতুন নূর মসজিদের অভিমুখে যাত্রা শুরু করে।

    এসময় বক্তারা দেশ বিরোধী চক্রান্ত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতার কারণে ইসকন কে নিষিদ্ধের দাবী তোলেন।

    বক্তারা বলেন, দেশের পরাজিত শক্তি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এতে ভারতে বসে মদদ যোগাচ্ছে এদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ইসকনের অপতৎপরতা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টারই অংশ। চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা বিষয়টি দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর অপপ্রয়াস।

    খুলনা জেলায় ইমাম পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন, এটা বাংলাদেশ। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব একটা রাষ্ট্র। এটা ইন্ডিয়া না, এটা দাদাদের দেশ নয়। আমরা শান্তিপ্রিয় মুসলমান, মুসলমানরা কখনো উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আপনাদের মন্দির আমাদের ছেলেরা পাহারা দেয়, এটাই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র এমনই।

    বক্তারা আরও বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের ভাই অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করে তাওহীদের জনতার হৃদয় থেকে রক্ত ক্ষরণ করা হয়েছে। য়ারা এই হত্যার পিছনে আছে তারা যেন ভারতে পালাতে না পারে এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে যার সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে সে হলো শেখ হাসিনা, যিনি ভারতে বসে এই ষড়যন্ত্র করছেন। অনতিবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

    সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ইসকন একটি উগ্রবাদী সংগঠন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই তারা সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের উগ্রবাদী তার কারণে যেখানেই তারা সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করেছে সেখানেই নিষিদ্ধ হয়েছে। প্রতিটা সরকারের দোসর হয়ে কাজ করার ফলে তারা শক্তি অর্জন করেছিলো। স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ার কারণে এই ইসকন তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে।

    জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এএফএম নাজমুস সউদ, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা আনম আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মুশতাক আহমেদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ হুসাইন, মাওলানা আসাদুজ্জামান, মাওলানা জাহিদুল হক প্রমুখ।

  • ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

    ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

    ইসকনকে আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থি সংগঠন হিসেবে দাবী করে সংগঠনটি নিষিদ্ধ এবং আইনজীবী হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল ১০ আইনজীবীর পক্ষে এই নোটিশ পাঠান।

    নোটিশ পাঠানো দশ আইনজীবী হলেন, মফিজুর রহমান মোস্তাফিজ, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল হান্নান ভূঞাঁ হৃদয়, তৌহিদুল ইসলাম শান্ত, আতিকুল ইসলাম, মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. রাসেল মাহমুদ, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহফুজুর রহমান ও আল মোমেন।

    নোটিশে বলা হয়েছে, ইসকন একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে উসকানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। সংগঠনটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধিকাংশ মৌলিক বিষয় স্বীকার করে না।

  • ইসকন নেতা চিন্ময় দাস বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

    ইসকন নেতা চিন্ময় দাস বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

    রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।

    জানা গেছে, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দর আসেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গত ৫ আগস্টের পর দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীর নামে কয়েক দফা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসব সমাবেশ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমান সরকারের উদ্দেশে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে বক্তব্য দেন। এর আগে থেকে তিনি আলোচনায় থাকলেও গত ২৫ অক্টোবর বিকালে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশের বেশি আলোচনায় আসেন।

    ওই সমাবেশ করা হয় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নামে। সমাবেশে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসই বাংলাদেশের হিন্দুদের মন্দিরে হামলা ও বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগ করেন। অথচ তার বিরুদ্ধেই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন।

    চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আলোচিত হিন্দু সংগঠন ইসকনের অন্যতম সংগঠক। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।

    উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আলোচিত সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ। ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

  • দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক

    দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক

    জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিবকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

    পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে একে একে ১৩ জনকে বের করে পুলিশের প্রিজনভ্যানের দিকে নেওয়া হয়।

  • শেখ হাসিনা কোথায়, জানতে চাইলেন ট্রাইব্যুনাল

    শেখ হাসিনা কোথায়, জানতে চাইলেন ট্রাইব্যুনাল

    জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

    এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত শেষ করতে আদালতে সময় প্রার্থনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনাল এ সময় জানতে চান শেখ হাসিনা কোথায়। তখন তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের দিন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন।

    তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে অনুরোধ জানাবে সরকার।

    পরে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালতে হাজির হওয়া আনিসুল হকসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

    আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।।

    এর আগে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে।

  • জুলাই গণহত্যা : প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালে তোলা হচ্ছে ১৪ জনকে

    জুলাই গণহত্যা : প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালে তোলা হচ্ছে ১৪ জনকে

    জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার মামলায় আগামীকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এরা সবাই কারাগারে রয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক এলাহি, আ. রাজ্জাক, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

    এর আগে গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা

    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা

    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও ২১৮৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করে।

    কমিশনার আরও জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।