নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড-২০১৮) এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে এবং জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে শহরের সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ক্লিনিক (এইউএইচসি) এর উদ্বোধন করা হয়। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শিশুদের মুখে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাইয়ে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড-২০১৮) এর উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রওশনারা জামান, সূর্যের হাসি নেটওর্য়াক ক্লিনিক (এইউএইচসি) এর মেডিকেল অফিসার ডা. সাবেরা সুলতানা, মেডিকেল অফিসার জয়ন্ত সরকার, জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক জগদীশ চন্দ্র হাওলাদার, সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ক্লিনিক (এইউএইচসি) ক্লিনিক ম্যানেজার মো. মফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এবার সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলার মোট ২হাজার ৩১টি টিকাদান কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৩৪হাজার ৩শ ৩৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ২৫ হাজার ১১ জন শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সি ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩শ ৩৮ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
Category: সাতক্ষীরা
-

সাতক্ষীরায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন
-

সাতক্ষীরায় বাষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯ অুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা জজশীপের আয়োজনে শনিবার সকাল ১০ টায় জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে উক্ত সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পাভেল রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার ) মোঃ ইলতুৎ মিশ, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জজ কোটের পিপি তপন কুমার দাস, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যডভোকেট আবুল হোসেন সাধারন সম্পাদক আ,ক,ম রেজওয়ান উল¬াহ সবুজ, সিনিয়র আইনজীবী আলাউদ্দিন আহম্মেদ, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ সময় বলেন, বিচারক ও আইনজী্িরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত সহজ হবে এবং সাতক্ষীরার ২২ লাখ মানুষের আশা-আকাংখার প্রতিফলন ঘটবে। তিনি আরো বলেন, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে মামলার জট কমাতে হবে। মামলার স্বাক্ষীরা আদালতে এসে যাতে ফিরে না যায় সেজন্য সরকারী কৌশলীদের তিনি দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। -

চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা-২০১৯ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় র্যালি
নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘সুন্দর প্রকৃতিতে গড়ি সুস্থ জীবন’ স্লোগানে চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা-২০১৯ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র্যালী করা হয়েছে। চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম সাতক্ষীরার ব্যবস্থাপনায় প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শুক্রবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব থেকে এ র্যালী বের করা হয়। র্যালী টি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়।
চ্যানেল আই দর্শক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে র্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিসতি, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আজহার হোসেন, সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দিলারা বেগম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, এম. কামরুজ্জামান ও মানবাধিকার কর্মি মাধব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ। -
জেল খানার এক কয়েদীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা জেল খানার এক কয়েদীকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে, জেল কতৃপক্ষের দাবী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি স্ট্রোকে মারা গেছেন। মৃত্য ব্যক্তির নাম মাজহারুল ইসলাম নামে। তিনি সাতক্ষীরা শহরের নাহার মটরস’র মালিক ও শহরের পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা।সাতক্ষীরা জেল সুপার আবু তাহের জানান, মাস দুয়েক আগে একটি মাদক মামলায় তিনি জেলে আসেন। আজ মঙ্গলবার বিকালে জেলখানায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। স্ট্রোক জনিত রোগে তার মৃত্যু হয়েছে।
-

পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় নিয়ামক : জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, পুষ্টি সম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে সুলতানপুর বড় বাজারস্থ খাদ্য গুদামে আলোচনা সভাস্থলে গিয়ে মিলিত হয়। জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সহকারি পুলিশ সুপার ইলতুত মিশ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ^াস, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন ও পৌর প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, ‘পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় নিয়ামক। অনিরাপদ খাদ্য ক্যান্সার, কিডনি রোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ ঘোষণা নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যসহ কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’ হোটেল রেস্তোরা, বেকারী, বাজারসহ সকল খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ভেজাল বিরোধী অভিযান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মার্কেটিং অফিসার আব্দুল্লাহ, সুলতানপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক শেখ নাসেরুল হক, জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, সুলতানপুর মুদী বাজার সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল হক, সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান মুকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির সাহা, সঞ্জীব পাল, সুলতানপুর কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি কাজী কবিরুল হাসান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী প্রমুখ। এসময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ডিলার ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুলতানপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব।
-
সাতক্ষীরায় ১ম দিনের এস. এস. সি পরীক্ষা সম্পন্ন : অনুপস্থিত ১৪৭
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। জেলায় ৪২টি কেন্দ্রের অধীনে প্রথম দিনের পরীক্ষায় ২৬ হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ১৪৭ জন অনুপস্থিত ছিল। তবে কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষক বহিস্কার হয়নি। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা টাউন গালস্ হাইস্কুলসহ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি এস এস. সি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পরীক্ষা সম্পর্ন্নের নির্দেশ দেন।’ এবারের এস. এস. সি পরীক্ষায় জেলার ২৪টি কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৭০৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১৬ হাজার ৬৬২ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৪৬ জন। দাখিল ১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৮৫১ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৭৫৭ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৯৪ জন। ভোকেশনাল শাখায় ৭টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৬ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৭ জন। এস.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সাতক্ষীরা প্রশাসন। এছাড়াও পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন অনেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি পরীক্ষার নীতিমালার বাইরে কাজ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ ও দেয়া হয়েছে। সে জন্য কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বহিস্কারের খবর পাওয়া যায়নি।
-

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শনিবার : সাতক্ষীরায় পরীক্ষার্থী প্রায় ২৭ হাজার
নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। যশোর বোর্ডের অধীনে এসএসসি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা। পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও নকলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,এবছর সাতক্ষীরা জেলায় ২৪ টি কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ১৪ জন, দাখিল পরীক্ষায় ১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫১ জন এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ১৯৭জন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঃ এসএস পরীক্ষায় সাতক্ষীরা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ৮৯ জন, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭১৭ জন, নবারুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৮০ জন, সাতক্ষীরা পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৩৪ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ৩১১ জন,দাখিল পরীক্ষায় সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে এক হাজার ২শত ৬৮ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
কলারোয়া উপজেলা ঃ কলারোয়া জি, কে, এম, কে পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ৫৩ জন, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৭৩ জন, খোর্দ্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৭০ জন, কলারোয়া গার্লস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯১৭ জন। এসএসসি (ভোকেশনাল) কলারোয়া জি, কে, এম, কে পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৩৫ জন ও দাখিল পরীক্ষায় কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭২৪ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
তালা উপজেলা ঃ এসএসসি পরীক্ষায় তালা সরকারি বি, দে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৪৯৯ জন, কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৭৬ জন, খলিষখালী মাগুরা এসসি কলেজিয়েট ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ৬৮২ জন, আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬ ৩৫জন,ভোকেশনাল পরীক্ষায় কুমিরা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৭৪জন। দাখিল পরীক্ষায় তালা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪৫২ জন ও পাটকেলঘাটা আল আমিন ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪১৯ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
আশাশুনি উপজেলা ঃ এসএসসি পরীক্ষায় আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ৮২ জন, দরগাপুর এস,কে, আর এইচ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬১৩ জন, বুধহাটা বি, বি, এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৫৬ জন, বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ৬১৫ জন। দাখিল পরীক্ষায় আশাশুনি আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫৪০ জন, গুনাকরকাটি আজিজিয়া খাইরিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২৩৩ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা ঃ এসএসসি পরীক্ষায় কালিগঞ্জ পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ৬৫৭ জন, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে৭৪৪ জন, চাম্পাফুল আ. প্র. চ. মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৮১ জন। (ভোকেশনাল) কালিগঞ্জ পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৬৫ জন। দাখিল পরীক্ষায় কালিগঞ্জ নাছরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪৩৩ জন, নলতা মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২৭১ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
দেবহাটা উপজেলা ঃ এসএসসি পরীক্ষায় দেবহাটা সরকারি বি, বি, এম, পি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৯৩ জন, পারুলিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৯৫ জন। (ভোকেশনাল) আহছানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৭ জন। দাখিল পরীক্ষায় সখিপুর আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ২৮৮ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
শ্যামনগর উপজেলা ঃ নকিপুর সরকারি এইচ, সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ১১০জন, নওয়াবেকী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৬৬ জন, নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৭৭ জন। (ভোকেশনাল) নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিবা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৯ জন, দাখিল পরীক্ষায় শ্যামনগর কেন্দ্রিয় ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০৭ জন, নওয়াবেকী বিড়ালক্ষী কাদেরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪১৬ জন পরীক্ষা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অনিন্দিতা রায় বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশিত সব ধরনের প্রস্তুতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। -

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন বাস্তবায়নে মতবিনিময়
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় স্থলবন্দর প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল’র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম, ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারি কমিশনার মনিরুল হক সরকার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, ভোমরা ইমিগ্রেশন চেক পোস্টের অফিসার ইনচার্জ জুয়েল আহমেদ, ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আরাফাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম আরো গতিশিল করার লক্ষ্যে এই অটোমেশন সিস্টেম চালু করা হলো। এতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত তাদের পণ্যের সঠিক পরিমাপ নির্ণয় করতে পারবেন। একটি নিসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। এতে কাজের গতি আরো বৃদ্ধি পাবে। প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলোও দ্রুত এটি সহজ হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীরা যদি অটোমেশন সিস্টেম ব্যবহারে কোন অসুবিধার সম্মুখিন হন তাহলে এই পদ্ধতি আরো বাড়ানো হবে। -

সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এবং এসডিজি কর্নারের উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি: “শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এবং এসডিজি কর্নারের উদ্বোধন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের সাতক্ষীরাস্থ উপ-পরিচালক শাহ্ আবদুল সাদী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অনিন্দিতা রায় চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেট বদিউজ্জামান, জেলা শিক্ষা মাধ্যমিক অফিসার ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সহকারি প্রধান শিক্ষক জি.এম জুলফিকার আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
এসময় জেলা প্রশসিক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বাঙালীর গৌরব উজ্জল ইতিহাসের সাথে আজকের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি করাতে হবে। যাতে তারা ইতিহাসের প্রতি সুবিচার করতে পারে। জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুর্দ্ধ করতে হবে। তাহলে এই উদ্যোগের তাৎপর্য় উপলব্ধি করবে এবং শিক্ষার্থীদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সমৃদ্ধি বিকাশে সক্রিয় ভুমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীরা আত্ম প্রত্যয়ে, কর্ম ও অধ্যাবসয়ের হাত ধরে এগিয়ে যাবে শেকড় থেকে শিখরে।’ এরপর একে একে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সিলভার জুবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা সীমান্ত কলেজ ও আগরদাঁড়ি কামিল মাদ্রাসাসহ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এবং এসডিজি কর্নারের উদ্বোধন করা হয়। -

জেলা প্রশাসকের শুভেচ্ছা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নবনির্বাচিতদের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ-সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন ও জিএম আদম শফিউল্লাহকে ফুলের শুভেচ্ছা জানালেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তাফা কামাল। বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের সাতক্ষীরাস্থ উপ-পরিচালক শাহ্ আবদুল সাদী, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-
সাতক্ষীরায় কাস্টমস দিবস পালন
বর্নাঢ্য র্যালি,সেমিনার ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় পালিত হলো আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস।
শনিবার সকালে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় র্যালি। এতে অংশ নেন কাস্টমস কর্মকর্তা , সিঅ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
পরে আলোচনা সভায় অংশ নেন কাস্টমস কমিশনার মো. মোস্তাক আলি, সহকারি কমিশনার মনিরুল হক সরকার, ডেপুটি কমিশনার সুমন দাস, উপপরিচালক রেজাউল ইসলাম, সিঅ্যান্ড এফ সভাপতি ও সম্পাদক যথাক্রমে এইচএম আরাফাত হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজি প্রমূখ। -

জেলা নাগরিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরা জেলার অর্থনৈতিক ও মানবিক উন্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন দাবীনামা প্রনয়নের জন্য জেলা নাগরিক কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় নাগরিক কমিটির সদস্যবৃন্দ একটি খসড়া দাবী নামার উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এর উত্থাপিত ১৫(পনের) দফা খসড়া দাবী নামার উপর আলোচনা করেন, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ. অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, আনোয়ার জাহিদ তপন, এড. আজাদ হোসেন বেলাল, মাধবচন্দ্র দত্ত, নিত্যানন্দ সরকার, এ্যাড. মুনিরউদ্দিন, এ্যাড. এবিএম সেলিম, জিএম মনিরুজ্জামান ও আলী নূর খান বাবুল প্রমুখ।
-

১৪ দলের উদ্যোগে ফুল, ক্রেস্ট ও সুরের মূর্ছনায় ৪ সারথী সংসদ সদস্যবৃন্দের নাগরিক সংবর্ধনা
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ১৪ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ১৪ দলের উদ্যোগে ফুল, ক্রেস্ট ও সুরের মূর্ছনায় সাতক্ষীরার চার সারথী সংসদ সদস্যবৃন্দের নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ১৪ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ১৪ দলের আহবায়ক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ’র সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার। এসময় সংবর্ধিত সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা দূর্বার গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সাতক্ষীরার চার এমপি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে কেউ যেন বাঁধাগ্রস্থ করতে না পারে সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রদান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ১৪ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী। অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বাংলাদেশের ওয়ার্র্কার্স পার্টি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহিবুল্লাহ মোড়ল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী, বাংলাদেশ জাসদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড তরিকুল ইসলাম ও ১৪ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী এড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ প্রমুখ। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদ, ত্রাণ ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামান রাশিসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দসহ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের দপÍর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ। -

সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্তাজ আলীর ২১তম মৃত্যু বার্ষিকী
নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রবীন রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এড. এ এফ এম এন্তাজ আলীর ২১তম মৃত্যু বার্ষিকী আগামীকাল শনিবার। সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ১৯৯৮ সালের ২৬ জানুয়ারি পবিত্র শবে কদরের রাতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ভিপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ৭১ এর যুদ্ধকালীন সময় মুজিব বাহিনীর সাতক্ষীরার (তৎকালীন সময় সাতক্ষীরা মহকুমা) প্রধান ছিলেন। এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ঢাকায় ৬ দফা আন্দোলনে (প্রথম দিনের আন্দোলনে) রাজধানীতে টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওই আন্দোলনে সাবেক কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী মৃত আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা ও সাবেক অর্থ মন্ত্রী মৃত শাহ এস এম কিবরিয়া, সাতক্ষীরার এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী অন্যতম ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী সাতক্ষীরায় চলে আসেন। এছাড়া তিনি ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি ছিলেন এবং সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও পিকে ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের সময় ১৯৯০ সালে সর্বদলীয় ও ১৯৯৬ সালে জেলার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি সাতক্ষীরার সামাজিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মরহুম এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ৭১সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতের সাথে যোগাযোগ রেখে অস্ত্র দেশে এনে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের কে সংগঠিত করেছিলেন। তিনি ৭০সালে বীরমুক্তিযোদ্ধা খসরু আলমগীর কে সাতক্ষীরার (পুরাতন কোর্ট) হাজতখানা হতে পালাতে ও ৭১সালে সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী মৃত আব্দুর রাজ্জাক কে ভারতে যেতে সাহায্য করেছিলেন। তাছাড়া ৭৫সালে বঙ্গবন্ধু কে স্ব-পরিবারে হত্যার পর তিনি বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সহযোগীতা করেন। এ নেতা আজীবনকাল দেশ ও দশের জন্য কাজ করে গেছেন। এদিকে এড. এন্তাজআলীর পরিবার অভিযোগের সুরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহযোগী এড. এন্তাজআলীর মৃত্যুর পর প্রায় ২ সপ্তাহের মাথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে তার সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলস্থ নিজ বাস ভবনে আসেন পরিবারকে সান্তনা জানাতে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রবীণ এ নেতার মৃত্যুর পর থেকে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত সময় কোন শোক ও স্মরণ সভাও করা হয়নি। এমনকি এ নেতার নামে আজ পর্যন্ত সাতক্ষীরার কোন জায়গা তার নামে নামকরণ করা হয়নি। সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন অলিগলির বিভিন্ন সড়ক সহ বিভিন্ন স্থানের নামে নাম করণ করা হয়েছে। এমনকি এক সময়ের মুসলিম লীগ নেতার নামে নামকরণ করা হয়। সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল প্রাণসায়ের খালের পাশের রাস্তাটি (পাকাপোল থেকে কাটিয়া বাজার ব্রীজ পর্যন্ত) এড. এন্তাজ আলীর নামে নামকরণ করার কথা থাকলেও তৎকালীণ পৌর মেয়র তা না করে ওই মুসলিম লীগ নেতার নামে নামকরণ করে। যেখানে দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের চিহৃ মূছে ফেলতে চাইলেও সাতক্ষীরা শহরের এ সড়কটির নামকরণ একজন নামকরা মুসলিম লীগ নেতার নামে করা হয়েছে। সেখানে কেন একজন আ’লীগ নেতা ও বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামকরণ করা হবেনা এ আক্ষেপ ওই পরিবারের। বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. এন্তাজ আলী স্মৃতি সংসদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, যেখানে বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. এন্তাজ আলীর নামে ওই সড়কটি করার কথা থাকলেও ওই মুসলীম লীগ নেতার নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা আ’লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের কোন সংগঠনের কেউ এ ব্যাপারে আজও পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ করেনি। যেখানে দেশব্যাপী যুদ্ধাপরাধী ও তাদের স্বপক্ষের নেতাকর্মীদের নামে যেসব ফলক আছে তাও তুলে ফেলা হচ্ছে। সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদও মূখে কলুপ মেখে আছেন। এমনকি জেলা আওয়ামীলীগের কোন দলীয় ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও এ নেতার কথা কেউ স্মরণ করেনা। তবে গত ২০১৭সালের ১২ডিসেম্বর শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক জনসভায় এড. এন্তাজ আলীকে স্মরণ করেন। এদিকে, এ নেতার স্মৃতি ও আদর্শ ধরে রাখতে সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়াম এড. এন্তাজ আলীর নামে নামকরণের দাবী জানিয়েছে। এব্যাপারে এড. এন্তাজআলীর পরিবার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. এন্তাজ আলী স্মৃতি সংসদ জেলা আ’লীগ, সদর এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও পৌর মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
-

সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে : নজরুল ইসলাম
শহর প্রতিনিধি: নব-দিগন্ত সংস্থার তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় মুকন্দপুর ঈদগাহ ময়দানে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. আজহারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বাবু, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল প্রসারী, নব-দিগন্ত সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, মো. বজলুর রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মো. আফছার উদ্দীন। এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়তে কাজ করছে। মানুষ মানুষের জন্য। একেকজন ব্যক্তি ৩টি করে কম্বল অসহায় মানুষকে দিলে দেশের সকল শীতার্থ মানুষ শীতের কষ্ট থেকে রক্ষা পাবে। বঙ্গবন্ধু সোনার দেশ গড়তে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটা বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন শেখ হাসিনা সরকারের সময় দেশের দারিদ্রের হার কমে গেছে। নব দিগন্ত সংস্থা যেভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করছে তেমনি অন্যান্য সংস্থাকে দেশ গড়তে মানুষের পাশে দাড়াতে হবে।
-
সাতক্ষীরার ৪টি আসনে নব নির্বাচিত এমপিদের নাগরিক সংবর্ধনা আজ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ৪টি আসনে নব নির্বাচিত এমপিদের নাগরিক সংবর্ধনা আজ ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সাতক্ষীরা জেলা ১৪দলের আয়োজনে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা ১৪ দলের আহবায়ক মুনসুর আহমেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহিবুল্লাহ মোড়ল, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলি, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, এম এল এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড তরিকুল ইসলাম। কর্মসূচির সমন্বয়কারী হিসেবে থাকবেন জেলা ১৪ দল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এড. ফাহিমুল হক কিসলু। উক্ত অনুষ্ঠানে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা ১৪দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-এ-এলাহী।
-

প্রতিবছর ১১ হাজার আত্মহত্যা : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে তথ্য প্রকাশ
বাংলাদেশে প্রতি বছর ১১ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এই হিসাবে বছরে প্রতি জেলায় গড়ে ১৭২ জন তাদের জীবন স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিচ্ছে। জাপানে এক সময় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতো খুব বেশি। গত দশ বছরে সে সংখ্যা কমে গেলেও বাংলাদেশে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য প্রকাশ করেন বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ঢাকা বিশ^দ্যিালয়ের সহকারি অধ্যাপক মো. সেলিম চৌধুরী। তিনি বলেন এই প্রবণতা থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষা করার তাগিদ এসেছে। বাংলাদেশে জেনেটিক হারে আত্মহত্যা বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন এই প্রবণতা রোধে বিভিন্ন কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহন করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ‘অনীকদের জন্য উদ্যোগ’ শীর্ষক একটি সংগঠনের আহবায়ক এনটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী। তিনি তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন গত ২০১৮ সালে সাতক্ষীরা জেলায় ৩৬৭ টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই হিসাবে এই জেলায় দৈনিক একজনের অপমৃত্যু ঘটছে। আত্মহননকারীদের মধ্যে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী ও পুরুষ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় কেনো এতো আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। অভিভাবকের আচরন , শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, লিঙ্গ বৈষম্য, সামাজিক অবক্ষয় নাকি অন্য কিছু তা তলিয়ে দেখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলা হয় এর থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে হবে। আমাদের শিশুরা নানা কারণে বিষন্নতা ও আশাহীনতায় ভোগে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় শিশু কিশোররা মাদকের দিকে ঝুঁকছে কিনা তা দেখতে হবে। এ প্রসঙ্গে তারা আরও বলেন শিশুর মেধা বিকাশের স্বাভাবিক সুযোগ দিতে হবে। চাপ প্রয়োগ করে তার কাছ থেকে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। এ ধরনের সাতটি প্রস্তাবও তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আত্মহত্যায় পুত্রহারা বাবা তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ প্রমূখ।
আত্মহত্যা প্রবণতা রোধে করনীয় শীর্ষক এক কর্মশালার উল্লেখ করে আয়োজকরা বলেন ‘অনীকদের জন্য উদ্যোগ’ নামের একটি প্লাটফরম গঠন করা হয়েছে । এর মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে কাজ করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। -

সংরক্ষিত নারী আসন : সাতক্ষীরায় আলোচনার শীর্ষে ছয়
এম. কামরুজ্জামান : জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত (সাতক্ষীরা ৩১২) নারী আসনে আওযামী লীগের কোটায় এমপি হওয়ার জন্য সাতক্ষীরা হাফ ডজন নেত্রী কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীসভার শপত গ্রহণ শেষে মূলত সাতক্ষীরায় আলোচনা শুরু হয়েছে নারী সংসদ সদস্যদের নিয়ে। লবিং,তদবির, দৌড়ঝাপে কে কার থেকে এগিয়ে যেতে পারে তানিয়ে রিতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের নাম ভাইরাল হয়েছে। প্রার্থীর আলোচনায় ছয় প্রার্থী শীর্ষে রয়েছেন।
সাতক্ষীরা ও যশোর জেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন ৩১২। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ পর্যন্ত যে ১০ টি জাতীয় সংসদ গঠন হয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ ও দশম জাতীয় সংসদে সাতক্ষীরার নারীরা জায়গা পেয়েছিল। ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে সাতক্ষীরা থেকে বিএনপি’র নেত্রী ¯িœগ্ধা হক সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নিহেবে শপত নেন। আর দশম জাতীয় সংসদে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিসেস রিফাত আমিন সংরক্ষিত আসনে এমপি হিসেবে শপত নেন। তিনি আবারও একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে লড়তে চান বলে গুঞ্জুন রয়েছে। তবে তিনি বয়েসের কারনে শারীরিক ভাবে বেশ অসুস্থ্য। বর্তমানে তিনি বিদেশে রয়েছেন।
সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন চাইবেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক , জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভিন সেজুঁথি। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার মরহুম পিতা সাতক্ষীরার বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স.ম আলাউদ্দিন সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন নিজ পত্রিকা অফিসে কর্মরত অকস্থায় আততায়ির গুলিয়ে তার পিতা নিহত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য লায়লা পারভিন সেজুঁথি দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু আসনটি শরীক দলের হাতে ছেড়ে দেওয়ার কারণে সে ইচ্ছা আর পূরন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে লায়লা পারভিন সেজুঁথি মাঠে কাজ করছেন। মাঠ কাঁপানো নেত্রী হিসেবে তিনি পরিচিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার জন্য তিনি এবার কোমর বেঁধে নেমেছেন। লায়লা পারভিন সেজুঁথি বলেন, আমার পিতা ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। ছোট বেলা থেকেই বাবার কাছে শিখেছি কি ভাবে মানুষের সেবা কিভাবে করতে হয়। আমি এমপি হতে পারলে মানুষের সেবা নিশ্চিত করবো, জেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইবনে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খ্যাতিমান কন্ঠশিল্পী, সাতক্ষীরা জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশানের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা শিল্পী ঐক্যজোটের সাংস্কৃতিক সম্পাদক চৈতালি মুখার্জ্জী। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
এপার বাংলার সন্ধ্যাকণ্ঠি হিসেবে খ্যাত চৈতালি মুখার্জ্জী। বয়েসে তরুণ এই কণ্ঠশিল্পীর নামের সাথে সবাই পরিচিত। একজন গুনিশিল্পী হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে পুরো দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। একজন ভালো কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তার জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে একজন গুণিশিল্পী হিসেবে একাধিক সম্মাননা পয়েছেন। দেশের জন্য বয়ে এনেছেন একাধিক পুরস্কারও। আওয়ামী লীগ পরিবারে জম্ম চৈতালী মুখার্জী একজন দক্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠক। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইবো। আমি জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিল্পিদের জন্য নিবিদিতপ্রাণ। দেশের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে আজ পর্যন্ত কোন কণ্ঠশিল্পীকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি করা হয়নি। সেদিক থেকে আমি আশাবাদি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার পেশাগত বিষয়টি নিশ্চই বিবেচনা করবেন। তিনি বলেন, আমার পিতা কাত্তিক চন্দ্র মুখার্জী দক্ষিণাঞ্চলের একজন খ্যাতিমান পুরোহিত। আওয়ামী লীগ ঘরেই আমার জম্ম। স্বামী টিটু চক্রবর্তী দেশের খ্যাতিমান সঙ্গীত পরিচালক। আমি সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে পারলে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সাতক্ষীরা তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করবো।সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক , সাতক্ষীরা পৌরসভার মহিলা কমিশনার জ্যোসনা আরা। তিনিও লবিং, তদবির, দৌড়ঝাপে পিছিয়ে নেই। জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এমপি হওয়ার জন্য। জ্যোসনা আরা বলেন, আমি দলের জন্য পরীক্ষিত কর্মী। দল আমাকে মনোনয় দিলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো।
সংরক্ষীত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের স্ত্রী,সাতক্ষীরা পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি চৌধুরী নুরজাহান মঞ্জুর। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নুরজাহান মজ্ঞুর জানান , স্বামীর ১৮ বছর পুলিশের চাকুরীর বয়স সীমা চাকরীর সুবাদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে কাঁটিয়েছি। ২০১৩ সালে অশান্ত সাতক্ষীরায় তখন কোন পুলিশ সুপার বেশী দিন থাকতে পারেননি। সে সময় আমি আমার পুলিশ সুপার স্বামীর সঙ্গে পরিবারের সকলকে নিয়েই থেকেছি। সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষকে সুখে ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য একযোগে সর্বক্ষণ কাজ করেছি। জীবনের বাকি দিনগুলো সাতক্ষীরাতেই কাঁটাবো মানুষের সেবাই নিয়োজিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হওয়ার জন্য সাতক্ষীরা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি , সাতক্ষীরা পৌরসভার মহিলা কমিশনার ফারহা দীবা খান সাথি মাঠে নেমেছেন। তিনি দর্ঘিদিন ধরে সাতক্ষীরা পৌরসভার মহিলা কমিশনার হিসেবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এমপি হতে পারলে সাতক্ষীরার সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য, সাতক্ষীরা জজ কোটের এপিপি অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভিন মিলি। সংরকি। সংরক্ষিত আসনে তিনিও মনোনয়ন চাইবেন। নারী নেত্রী হিসেবে তার রয়েছে বেশ পরিচিতি। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পাঁচ বছর কাজ করেছেন। বাল্য বিবাহ, যৌতুকের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত ১৫ জানুয়ারী থেকে আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম ছাড়বেন বলে ঘোষনা করেছেন। সাতক্ষীরার আলোচিত এসব প্রর্থীরা ইতোমধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। কেউ কেউ ঢাকায় পৌছে শুরু করেছেন লবিং।