Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 93 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • জমে উঠেছে সাতক্ষীরার আমের বাজার

    জমে উঠেছে আমের বাজার: হতাশ চাষীরা

    সাতক্ষীরার আম বাজারে উঠা শুরু করেছে। বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই জমে উঠেছে জেলার আমের বাজার। ফলে আমের পক্কতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর পরও দেশের পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখন জেলার ব্যস্ত সময় পার করছে। ধুম পড়ে গেছে আম কেনা বেচায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আম চাষীদের কর্মব্যস্ততার যেন শেষ নেই। প্রথম দিনে জেলা থেকে প্রায় ১৫ ট্রাক গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে বড় মানের গোবিন্দ ভোগ। এছাড়া জেলার পাইকারী বাজারে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছোট আম। আম চাষীরা বলছেন, আম পাকতে থাকায় তারা আম পাড়ছে। আগাম মুকুল আসা ও পর্যাপ্ত গরমের কারণে এবছর আগাম আম পাকতে শুরু করেছে বলে চাষীরা জানান।
    জেলায় আমের জন্য পৃথক বাজার না থাকায় আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগী দালালদের খপ্পরে পড়ে আমচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাইকারী ব্যাবসায়ী ও বাগান মালিকদের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসসহ কিছু ব্যক্তি গোষ্ঠিকে চাঁদা দেয়ার কারণে আমের বাজার মূল্যে তারতম্য হয়।
    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভোক্তার অধিকার ক্ষুণœ করে আম পাকাতে কেউ ফরমালিনের আশ্রয় নিলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কেউ যেন ফরমালিন দিয়ে আম পাকাতে না পারে তার জন্য প্রশাসেনর মোবাইল কোটের ব্যবস্থা রয়েছে।
    জেলা কৃষি খামারবাড়ি সূত্র জানায়, চলতি মাসের, ১৫ তারিখ থেকে গোবিন্দভোগ, ২২ তারিখের পর থেকে হিমসাগর ও ২৯ তারিখের পর থেকে ল্যাংড়া এবং ৮ জুন থেকে আ¤্রপালি আম বাজারে উঠতে পারে। একইভাবে ২২ মের পর থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
    আম চাষীদের অভিযোগ এবছর আমের আগাম মুকুল আসায় দ্রুত আম পাকতে শুরু করেছে। পাঁকা আম গাছে ধরে রাখা যায় না। তাই ৮ এপ্রিল থেকে জেলার বাজারের পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। ঢাকার শতাধীক ও সাতক্ষীরার সহ¯্রাধীক পাইকারী আম ব্যবসায়ী এখন ব্যস্ত সময় পার করছে আম প্রকিয়াজাত করণে। চলতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার আম ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে আম ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। তবে বাজার মনিটার ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বীগ্ন ব্যবসায়ীরা।
    আমচাষীরা বলছে,এ বছর গরমের তীব্রতায় আগেভাগেই আম পেকেছে। শুক্রুবার সাতক্ষীরার বড় বাজারে গিয়ে সেই সত্যতা মিলল। বাজার জুড়ে আম। সারি সারি ভটভটি ও ভ্যান আম নিয়ে ছুটছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরার বাজারের গোপালভোগ ও গোবিন্দ ভোগ আম উঠতে শুরু করেছে।
    কুয়াশা ও ঝড় বৃষ্টির পর এবছর জেলায় আমের উৎপাদন কম হয়েছে। এরপরও চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও জেলা থেকে প্রায় ১০০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
    বড় ধরণের কোন পাইকারী বাজার না থাকায় সুলতানপুর বড় বাজারের দীর্ঘ জান-জটের কবলে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা বড়বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মন্টু মিয়ার জমি ইজারা নিয়ে আম প্রক্রিয়া জাতের কাজ করছে। অর্ধশাধিক ব্যবসায়ী জমি ইজার নিয়ে আড়ত ঘর তৈরি করেছে। এখানে প্রতিদিন দুইশতাধী শ্রমিক আমের ক্যারট করে ট্রাক সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
    আবার জেলার অনেক আম ব্যবসায়ী বাজারের আড়তদারদের কাছে জিম্মি বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আড়তদারদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে ব্যবসা করার কারণে বাগানের সমস্ত আম উঠার পর আড়তদারদের কাছে সেই আম বিক্রি করতে বাধ্য হতে হয়। ফলে সিন্ডিকেটের কবলে পড়তে হয় জেলার গোটা আম ব্যবসায়ীদের।
    একটি আম উৎপান থেকে চুড়ান্ত ভোগ পর্যনমশ কয়েকবার হাত বদল হয়। এতে আমের দামকয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। শুধু আড়তে আম উঠানোর করণে আড়তদারদের শতকরা আট টাকা হারে খরচ দিতে হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, সাতক্ষীরাতে যে আমের মণ ২ হাজার টাকা ঢাকাতে তা বেড়ে দাড়ায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আবার জেলার গ্রাম পর্যায়ে আমের মণ ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় জেলার পাইকারী বাজারে তা ২ হাজার থেকে ২২ শত টাকা। ফলে প্রকৃত চাষীরা আমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।
    আম ব্যবসায়ি জালেম খাঁ বলেন, তিনি তিন লক্ষ টাকা দাদন নিয়ে তিনি কয়েকটি আমবাগান কিনেছেন। কিন্তু সম্প্রতি সাতক্ষীরার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে তার বাগানের বেশির ভাগ আম নষ্ট হয়েছে। এখন তিনি পথে বসার উপক্রম।
    সদরের লাবসা এলাকার মথুরাপুর গ্রামের পুরস্কারপ্রাপ্ত আমী চাষী জাহাঙ্গীর আলী ইউরোপের বাজার ধরার জন্য তার ৫শ’ আম গাছ প্রস্তুত। আমের ফলনও ভাল। সরকারিভাবে পৃষ্টপোষকতার দাবি তার।
    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, জেলার আম গুণে-মানে সুস্বাদু। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। এ জেলার মাটি আম চাষের উপযোগী। বিগত বছরগুলোর মতো এবছরর এখানকার আম ইউরোপে রফতানি হবে। যে কারণে টার্গেটকৃত বাগান পরিচর্যা করা হচ্ছে বিদেশে আম পাঠানোর জন্য। তিনি আরো জানান চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে গোবিন্দভোগ, ২২ তারিখের পর থেকে হিমসাগর ও ২৯ তারিখের পর থেকে ল্যাংড়া এবং ৮ জুন থেকে আ¤্রপালি আম পাড়ার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরার আম সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে। সুনাম ক্ষুণœ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সাতক্ষীরায় উন্নত বিদ্যুৎ সেবা প্রদানে ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর উদ্যোগ

    সাতক্ষীরায় উন্নত বিদ্যুৎ সেবা প্রদানে ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর উদ্যোগ


    নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে একযোগে পুরাতন তার অপসারণ করে নতুন তার সংযোগর কারণে সাময়ীক গ্রাহক সেবার ত্রুটি হচ্ছে। অন্যান্য সমস্যা কাটিয়ে খুব দ্রুত সাতক্ষীরার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আধুনিক ও নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা প্রদান করা হবে।’ এব্যাপারে ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ সাতক্ষীরা’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কার্যকর দিকনির্দেশনায় বিদ্যুৎ বিভাগ সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। লোড শেডিং এখন নেই। এক সময় বিদ্যুতের জন্য রাস্তা ঘাট অবরোধ করা হতো, বিদ্যুৎ অফিস ভাঙচুর করা হতো। ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে নিমজ্জিত থাকতো মানুষ। কলকারখানা, ব্যবসা বাণিজ্য, উৎপাদন স্থবির হয়ে থাকতো বিদ্যুতের অভাবে। প্রধানমন্ত্রীর একক জাদুকরী নেতৃত্বে সে সকল খবর আজ জাদুঘরে। শত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়ে শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তেমনিভাবে সাতক্ষীরাতে বিদ্যুৎ বিভাগ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। যার কারণে একদিকে যেমন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে এবং অন্যদিকে জনগণও নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে। তার মানেই দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি দেশের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ আবশ্যক এবং সেটা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসটি হচ্ছে মুসলমানদের জন্য ইবাদত বন্দেগীর মাস। তাই রমজান মাসে সাতক্ষীরাতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। বিদ্যুতের উন্নয়নের স্বার্থে ইতিমধ্যে সাতক্ষীরায় ১৮ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের প্রায় ৯৬ কি.মি. সঞ্চালনের তার পুরাতন ও জরাজীর্ণ হওয়ায় ছোটখাট কারণে লিকেজ সৃষ্টি হয়। এসব লিকেজ খুঁজে বের করতেও অনেক কষ্ট হয়। সম্প্রতি ক্রুটিপূর্ণ ওই ৯৬ কিমি তার সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের চাহিদা অনুযায়ী ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। কোন লোড শেডিং নেই। সঞ্চালন লাইন সংস্কার ও মেরামতের কারণে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও সড়ক সম্প্রসারণের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তরের কারণে বিনেরপোতা ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে হয়। রাতে অনেক সময় বহু বাড়িতে অননুমোদিত এসি চালানোর কারণে ওভারলোড হয়ে ট্রান্সমিটারের ফিউজ আউট হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। তিনি সাময়ীক সমস্যার কারণে শহরবাসীর কষ্টে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দ্রুত সকল সংস্কার কাজ শেষ করে সাতক্ষীরা শহরবাসীকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে এবং পুরনো তার বদলসহ অন্যান্য সমস্যাও কাটিয়ে খুব দ্রুত সাতক্ষীরার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আধুনিক ও নিরবচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।

  • রোহিঙ্গা আতংকে ভুগছেন সাতক্ষীরার মানুষ

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রোহিঙ্গা আতংকে ভুগছেন সাতক্ষীরার মানুষ। দিনে অথবা রাতে ছদ্মবেশে অপহরণ কিংবা অন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে এমন গুজবে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন রোহিঙ্গাকে ছেলেধরা কথিত অপরাধে আটক করেছে পুলিশ।
    তবে, পুলিশ বলছে এরা রোহিঙ্গা নয়, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা ধারণা করা যায় এরা বিকৃত মস্তিষ্ক।
    গ্রামবাসীরা জানান, তাদের এলাকায় সন্ধ্যা নামতেই খবর আসছে যে, ওই পাড়ায় রোহিঙ্গা ঢুকছে। তারা শিশু অপহরণ কিংবা অন্য কোন অপরাধের চেষ্টা করছে। এক কান দু’কান করে এ খবর গ্রামময় ছড়িয়ে পড়তেই নীরিহ গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে রাত জেগে রোহিঙ্গা ধরার চেষ্টা করছে। এমন ঘটনা জেলার তালা, সাতক্ষীরা, দেবহাটা ও কলারোয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ঘটেছে।
    দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উজ্জল কুমার মৈত্র জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পারুলিয়া ইউনিয়নের কদবেল তলা এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গা নারীকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ওই নারী কয়েকদিন ধরে সেখানে ঘোরাফেরা করছিলেন।
    গ্রামবাসীর ধারণা, তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে ছেলে ধরার চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার বাশদহা এলাকা থেকে জিতেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। গ্রামবাসীর অভিযোগ, রোহিঙ্গা সদস্য জিতেন ভবানীপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
    এদিকে, তালা ও পাটকেলঘাটা থানা এলাকা থেকে আরও তিন ব্যক্তিকে পৃথক স্থান থেকে গ্রামবাসীর সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ বলছে, তারা অপ্রকৃতিস্থ।
    তবে, গ্রামবাসীর ধারণা, তারাও রোহিঙ্গা সদস্য এবং ছেলে ধরার মতো অপরাধের চেষ্টা করছে।
    নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে বেশ কিছু সংখ্যক নারী ও পুরুশ রোহিঙ্গা সদস্য সেখানকার আশ্রয় শিবির থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মানব পাচারকারী দালালদের মাধ্যমে তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এই লক্ষ্যে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা সদস্যকে সাতক্ষীরা সীমান্তে আনার পর দালালরা তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। পরে এসব রোহিঙ্গা গ্রামের দিকে ঢুকে পড়েছে। তারাই নানা ধরণের অপরাধের চেষ্টা করছে। এদেরই কারণে জেলাব্যাপী ছেলে ধরা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি রোহিঙ্গা নাম শুনলেই গ্রামবাসী আতংকিত হচ্ছেন।
    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, ছেলে ধরা রোহিঙ্গা বিষয়ে যা প্রচার হচ্ছে তার সবই গুজব। কলারোয়ায় যে দুই নারী ধরা পড়েছেন তারা মূলত ভিখারী। সেখানকার একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তারা ভিক্ষা করেন। গ্রামবাসী তাদের ছেলে ধরা রোহিঙ্গা মনে করে আটক করে। প্রকৃতপক্ষে এই কয়দিনে সন্দেহভাজন যে কয়জনের সন্ধান মিলেছে তারা কেউই রোহিঙ্গা নন। এমনকি তারা কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত এমন প্রমাণও মেলেনি। তিনি গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন

  • ক্ষতি গ্রস্তদের দ্রুত পূর্নবাসন ও টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মান করা হবে : ——সাতক্ষীরায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডা. এনাম

    ক্ষতি গ্রস্তদের দ্রুত পূর্নবাসন ও টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মান করা হবে : ——সাতক্ষীরায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডা. এনাম


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ আমরা ত্রান চাইনা, বেঁড়িবাধ চাই, দূর্গত অঞ্চল পরিদর্শন কালে সাধারন মানুষের কাছ থেকে এমনই দাবী শুনেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এ.কে.এম এনামুল হক শামীম।
    দূর্গম এলাকা সাতক্ষীরার শ্যানগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন ঘূর্ণিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাঁধগুলো প্রশস্ত ও উচু এবং টেকসই করা হবে। মন্ত্রী আগামী তিন দিনের মধ্যে উপকুলের ১২ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ সংষ্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেভাবে ঘূর্ণিঝড় ফনীর গতিবেগ ছিল সেভাবে আমাদের দেশে আঘাত আনার আগেই তা দূর্বল হয়ে পড়ে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এ সময় বলেন, সাতক্ষীরা ও খুলনার ঘূর্ণিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির বিবরন চোখে পড়েনি। তবে, কালবৈশাখী ঝড়েও আমাদের দেশে কম বেশি ক্ষয় ক্ষতি হয়। মন্ত্রী এ সময়, ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নির্মানে টিন ও নগদটাকা প্রদানসহ সাতক্ষীরা জেলায় আরো ১০০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মান ও বেঁিড়বাধ সংস্কারের আশ্বাস দেন।
    বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে দুই মন্ত্রী খুলনা ও সাতক্ষীরার উপকুলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে এ সব কথা বলেন ।
    এরপর তারা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করেন। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন, সদর এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা আওয়ালীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ,সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ। মন্ত্রীদ্বয় এ সময় প্রতিটি পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরন করেন।
    এ সময় তারা ঘূর্নিঝড় ফনীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ ও বেঁড়িবাধসহ উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন সমস্যার খোঁজ খবর নেন

  • সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে প্রায় ৬’শ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত, ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি, হুমকির মুখে ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ এক বৃদ্ধার মৃত্যু, আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ,

    সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে প্রায় ৬’শ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত, ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি, হুমকির মুখে ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ এক বৃদ্ধার মৃত্যু, আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ,


    নিজস ¦ প্রতিনিধি ঃ ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকুলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬’শ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
    এদিকে, শ্যামগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের গাইনবাড়ি আশ্রয় কেন্দ্রে আয়না মতি বিবি (৯২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত কওছার আলীর স্ত্রী। রাতে তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
    অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কুড়িকাউনিয়া ও প্রতাপনগর এবং দেবহাটা উপজেলার খানজিয়া নামক স্থানে ইছামতী নদীর বেঁড়িবাধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুরের কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বেঁড়িবাধ ভাঙনের আতংকে রয়েছে উপকুলীয় এলাকাবাসী। তবে, অনেক স্থানে বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
    উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগরসহ কিছু কিছু এলাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে মানূষ নিজ গৃহে ফিরতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। সেখানে আবহাওয়া এখন অনেকটা শান্ত রয়েছে। তবে সেখানকার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে রাতে সুপেয় পানি ও শুকনা খাবারের অভাব দেখা দেয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
    জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬’শ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিদ্ধস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান, দূর্যোগ কবলিত মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে ২৭’শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি বিতরন করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ১৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখনও দুর্যোগ কবলিত মানুষ অবস্থান করছেন।

  • সাতক্ষীরার উন্নয়নে নাগরিক সমাজের ২১ দফা

    সাতক্ষীরার উন্নয়নে নাগরিক সমাজের ২১ দফা


    নিজস্ব প্রতিনিধি। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত খাদ্য শস্যের অর্ধেক ব্যবহৃত হয়। উৎপাদিত মৎস্য সম্পদের এত তৃতীয়াংশ ব্যবহারের পর তা দেশের ঘাটতি এলাকায় চলে যায়। সাতক্ষীরার আম যাচ্ছে ইউরোপ, মাটির টালি যাচ্ছে ইটালিতে। এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্য রফতানিতে সাতক্ষীরা বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় জেলা। অথচ এই জেলায় উন্নয়নের ধারা হতাশাব্যঞ্জক।
    এমন সব তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি এই জেলার উন্নয়নে ২১ দফা দাবি তুলে ধরে তা এবারের বাজেটে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছে। তারা জানিয়েছেন দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠলেও জেলা হিসাবে সাতক্ষীরা পিছিয়ে পড়েছে। বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরায় উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
    শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম। এ সময় এড. আবুল কালাম আজাদ, মাধব চন্দ্র দত্ত, আনোয়ার জাহিদ তপন, নিত্যানন্দ সরকার , আজাদ হোসেন বেলাল, আলি নুর খান বাবুল প্রমূখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
    ২০১০ সালের ২৩ জুলাই সাতক্ষীরা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরায় রেল সংযোগ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আজও বস্তবায়িত হয়নি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন সাতক্ষীরায় পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় , সুন্দরবনে পর্যটন কেন্দ্র নির্মান এবং দক্ষিণ বাংলার উন্নয়ন সিংহদ্বার ভোমরা স্থল বন্দর ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজকে পূর্নাঙ্গতা প্রদান করতে হবে। নদী ভাঙ্গন , জলাবদ্ধতা এবং আইলা সিডর উপদ্রুত উপকূলীয় এলাকাকে ‘দুর্যোগ প্রবণ এলাকা’ ঘোষনা করে অভিবাসনরোধ করা, পলি পড়ে ভরাট হওয়া নদী খাল খনন , সুন্দরবনে সম্পদ ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা, মৎস্য শিল্প উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ গ্রহন, সাতক্ষীরা শহরের মধ্যকার প্রাণ সায়ের খাল খনন এবং রাস্তাঘাট সেতু নির্মান ও সংস্কার দরকার। সাতক্ষীরায় ইকোনমিক জোন স্থাপন, সব উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপন, আর্সেনিক ও লবনাক্ততামুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহ , জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় কর্মসূচি প্রণয়ণ এবং কৃষি পণ্য সংরক্ষন জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়া জনসম্পদের উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, সব উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ, সকল পুরাকীর্তি ও মুক্তিযুদ্ধের সমুদয় স্মৃতি সংরক্ষন , বিনোদন এবং ক্রীড়া খাত উন্নয়নের ওপরও জোর দেওয়া হয়।
    এ ধরনের ২১ টি প্রধান দাবি তুলে ধরে তারা বলেন সাতক্ষীরার ২৪ লাখ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে এবং তাদের কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে তা বাস্তবায়ন দরকার। আগামি বাজেটে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে তা জনস্বার্থে বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের এই দক্ষিন পশ্চিম সীমান্ত অর্থনৈতিকভাবে উজ্জীবিত হয়ে উঠবে।

  • তালার প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল আলীমের ইন্তেকাল : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক প্রকাশ



    সাতক্ষীরা তালার প্রবীন সাংবাদিক সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কাফেলার
    তালা ব্যুরো প্রধান ও তালা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম
    (৬০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না………..রাজিউন)। শুক্রবার বিকালে খুলনা
    মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বেশ কিছুদিন
    যাবত পিবিএম ভাইরাস জনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের
    মৃত ছানু মোড়লের ছেলে। মৃত্যুকালে স্ত্রী ২ পুত্র ১ কন্যাসহ অসংখ্য
    গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার সকাল ১০ টায় বারুইহাটি গ্রামে তার জাযানা
    নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে গভীর
    শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে সাতক্ষীরা
    প্রেসক্লাবে সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী,
    সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস
    সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন,
    সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম
    খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন,
    জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের
    সকল সদস্যবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযানে এক দালাল আটক

    সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযানে এক দালাল আটক


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুদক অভিযান চালিয়ে শহিদুল আলম নামের এক চিহিৃত দালালকে আটক করেছে। সোমবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আটক শহিদুল আলম শহররে কাটয়িা রজেস্ট্রিার অফিসপাড়া এলাকার মৃত বাশারত আলীর ছেেল
    পরে আটক তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে দু’হাজার টাকা জরিমানাসহ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
    খুলনার দুর্ণীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ জানান, সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে দালালদের মাধ্যমে বাড়তি দু’হাজার টাকা ছাড়া পাসপোর্ট করতে পারেননা বলে জানা যায়। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে সেখানে অভিযান চালায় তার নেতৃত্বে একটি টিম। ঘটনাস্থলে পৌছে দালালদের দৌরাত্বের সত্যতা পায় দুদক। এ সময় শহিদুল আলম নামের এক চিহিৃত দালালকে আটক করেন তারা। তবে, অন্যরা এ সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
    এরপর তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে তাকে দু’হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

  • মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস কাবাডি প্রতিযোগিতার চাম্পিয়ান দেবহাটা

    মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস কাবাডি প্রতিযোগিতার চাম্পিয়ান দেবহাটা


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ও ক্রিয়া সংস্থা আয়োজনে এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সহযোগিতায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আট দলিয়ো কাবাডি প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর চাম্পিয়ান হয়েছে দেবহাটা থানা।
    রবিবার বিকেল চারটায় শুরু হয় সাতক্ষীরা সদর থানা ও দেবহাটা থানার মধ্যকার ফাইনাল খেলা। সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম এর সভাপতিতে দুইদিন ব্যাপি আট দলিয়ো কাবাডি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কিার তুলেদেন। অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিশ, সহকারি পুলিশ সুপারের সদও সারর্কেল মেরিনা আক্তার, দেবহাটা সারর্কেল অপু সারয়ার সহ বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, ক্রীড়ামোদী দর্শক।

  • সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপিতে বলা হয়, ‘গত ৬ এপ্রিল ২০১৯ জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন ব্যক্তির অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ২/৩ জন বক্তা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব ও কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক সম্পর্কে অশালীন অশোভন বক্তব্য প্রদান করেন। যা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত। সভায় এ প্রসঙ্গে যে সব কথা বলা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
    বিনম্র শ্রোদ্ধার সাথে জানাই, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব আওয়ামী লীগসহ কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ নয়। বিষয়টি অনুধাবন করার জন্য সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

  • জেলা জাসদের সভা অনুষ্ঠিত

    জেলা জাসদের সভা অনুষ্ঠিত


    গতকাল জাসদ সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে জেলাজাসদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদের সভাপতি ও কেন্দ্রিয় জাসদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ। সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্করের সঞ্চলনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, জাতীয় কৃষক জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ কামাল, দেবহাটা সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, তালা সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, কলারোয়া সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, শ্যামনগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফিজুল হক তালেব, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপ কুমার মন্ডল, ছাত্রলীগ তালা জেলার সভাপতি আব্দুল আলিম প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ভেড়ি বাধের বেহাল দসা

    সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ভেড়ি বাধের বেহাল দসা


    আব্দুল জলিল ঃ নদী ,নৌকা, জাল আর মাছ এদের নিত্য দিনের সঙ্গী। মানবতা এখানে বিপন্ন। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পরে বেচে থাকার জন্য এরা জীবনের সাথে সংগ্রাম। সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার এই মানুষ গুলো জীবন কেড়ে নিয়ে ছিল আইলা ও সিডর । মুহুর্তেও মধ্যে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল তাদের জীবন। বাড়িঘর,হাস মুরগী, ফসল, ঘের সবকিছু ভেসে গিয়ে ছিল। প্রান হারিয়ে ছিল অসংখ্যা মানুষ। সেই জের এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি তারা। সহায় সম্বল হরিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে । কিন্তু আজও বাধ গুলো সংস্কার হয়নি। ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটে তাদের। যে কোন মূহুর্তে বাধ ভেঙ্গে আবার সব কিছু নদীতে বিলিন হয়ে যেতে পারে। জনপ্রতিনিধিরা বলছে বর্ষার আগে বাধ মেরামব করতে হবে। পাউবো কর্মকর্তারা বলছে অস্থায়ী ভাবে বাধ সংস্কার করার টেন্ডার হয়ে গেছে। তবে কাজ শুরু হয়নি আজও ।
    উপকূলীয় এলাকায় ঘুরে জানাযায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিশ অঞ্চলের সুন্দরবন ঘেষা উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা । এই জেলার শ্যামনগর. আশাশুনি দূযোগ প্রবন এলাকা । নদীতে মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বহ করে তারা। দুবেলা পেট ভরে খাওয়ার জোটে না তাদের। আইলা ও সিডর তাদের সবকিছু কেড়ে নিযেছে । সেই ক্ষত আজও কাটিয়ে উঠতে পারিনি । আজ আবার তাদেও ঘুম কেড়ে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোডের ভেড়ি বাধ । বাধে ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারণ করেছে । সব চেয়ে বেশি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে কপোতক্ষও খোলপেটুয়া নদীর গাবুরা, পদ্মপুকুর, কাশিমাড়ি,ও প্রতাপনগর এলাকায়। যে কোন মুহুর্তে এই এলাকার বাধ ভেঙ্গে যেতে পারে। তবে মানুষের মত বাধ গুলো লড়াই করে টিকে আছে । জোয়ার বেশি হলে বাধ আর ধরে রাখা যাবে না । এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বলছে বর্ষার আগে বাধ মেরা মত করতে হবে । আর পানি উন্নয়ন বোডের কর্মকর্তারা বলছে অস্থ্ায়ী ভাবে বাধ মেরা মতের জন টেন্ডের হয়ে গেছে ।
    শ্যামনগরের গাবুরা এলাকার মতিন,আকবার ,রুহুল জানান, আগে দুইবার তারা ভেসে গেছে, অবদা বাধের ধারে খুপরি ঘরে বসবাস করে। এবার ভাঙ্গলে তাদের আর এদেশে বসবাস হবে না । সব হারিয়ে তারা এখন পথে বসেছে । তারা স্থ্য়াী ভবে বাধ নির্মানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান ।
    শ্যামনগর কাশিমাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ জানান, উপকূলীয় বাধ গুলো খুবই ঝুকির মধ্যে রযেছে । আইলা ও সিডরের সময় যে লবন পানি ডুকে ছিল সেই রেষ এখন ও কাটিয়ে উঠতে পারিনি । সামনে কাল বৈশাকি ঝড় আসতেছে । কাশিমাড়ি উইনিয়নের ঝাপালি এলাকায় ভেড়ি বাধ ভেঙ্গে যায় তবে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের বিস্তর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। বষার আগে এই বাধ মেরামত করতে হবে ।
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোডের উপসহকারি প্রকৌশলী মাসুদ রানা জানান, অস্থায়ী ভাবে বাধ সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে । স্থায়ী ভাবে বাধ মেরামতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে

  • রেডক্রিসেন্টের সামনে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা!

    রেডক্রিসেন্টের সামনে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা!


    নিজস্ব প্রতিনিধি: একদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অন্য দিকে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রাস্তার ফুটপাথের জায়গা ডিসিআর নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। সাতক্ষীরা শহরের রেড ক্রিসেন্ট অফিসের সামনে কয়েক দিন ধরে এমন চিত্র লক্ষ করছে সাতক্ষীরা শহরবাসী। এ অফিসের সামনে থেকে সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনের অভিযানে সরিয়ে ফেলা হয় সকল অবৈধ স্থাপনা। স্থাপনা অপসারণের কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হয় একটি দ্বিতল ভবনের কাজ। নিচ তলায় পৌরসভার ডিসিআরকৃত ৬ ফুট প্রস্থ এবং ১৭ ফুট লম্বা ঘরটি নির্মিত হলেও উপরে রাস্তার দিকে বাড়ানো হয়েছে। আবার পিছনে রেডক্রিসেন্টের ভিতরে কমপক্ষে ৩ ফুট ঢোকানো হয়েছে ছাদ।
    সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে এ জায়গা ৪ বছরের জন্য ডিসিআর প্রদান করা হয়েছে মুনজিতপুর এলাকার মীর এশরাক আলী’র ছেলে মীর মাঈনুল ইসলামকে। ২০১৭ সালের ২১ মে তারিখে তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ২০১৭ সালের ২১ মে তারিখে ১৮৯৭৯৮ ও ১৮৯৭৯৯ নং পৌর রশীদে ১২ হাজার ৬শ ১৬ টাকা জমা দেখানো হয়েছে। এদিকে জায়গা ডিসিআর নিয়ে নিচে ৬ ফুট প্রস্থ এবং ১৭ ফুট লম্বা একটি ঘর করলেও উপরে সেই দৈর্ঘ্য প্রস্থ বাড়িয়ে সামনের অংশে এবং পেঠনে কয়েক ফুট জায়গা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে মাদকসহ বিপুল মালামাল জব্দ

    সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে মাদকসহ বিপুল মালামাল জব্দ


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কয়েকটি সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদকসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ্য মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সাতক্ষীরার ভোমরা, মাদরা, কুশখালী, কাকডাঙ্গা, তলুইগাছা ও ঝাউডাঙ্গা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, ভারতীয় ফেন্সিডিল, মদ, চা পাতা, বাই সাইকেল, গরুর মাংস ও ব্যাগসহ বিভিন্ন মালামাল। তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।
    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন ভোমরা, মাদরা, কুশখালী, কাকডাঙ্গা, তলুইগাছা ও ঝাউডাঙ্গা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • ৭ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় ‘বিআরডিবি’ -সিবিএর অবস্থান কর্মসূচি

    ৭ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় ‘বিআরডিবি’ -সিবিএর অবস্থান কর্মসূচি


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কে ‘বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর’ এ রূপান্তরসহ ৭দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী সংসদ-সিবিএ। বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
    সাতক্ষীরা সিবিএ’র সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জি এম সালাউদ্দিন, মাঠ সহকারী শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মানিক (ইরোশপো), তালা উপজেলার কোহিনুর ইসলাম, কলারোয়া উপজেলার তাজমিনুর রহমান তাজু, কালিগঞ্জ উপজেলার আলেয়া খাতুন, আশাশুনি উপজেলারর অলোক মন্ডল, প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচি পরিচালনা করেন, শ্যামনগরের (সদাবিক) আনিছুর রহমান।
    এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিআরডিবিকে বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তরে রূপান্তর করতে হবে। প্রকল্পে কর্মরতদের আয় থেকে দায় প্রথা বাতিল করে ১০০% বেতন প্রথা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ঘোষিত দাবি সমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
    পরে বেলা ১২টার দিকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিবিএ নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউদ্দীজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

    ৭ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় ‘বিআরডিবি’র অবস্থান কর্মসূচি
    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কে ‘বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর’ এ রূপান্তরসহ ৭দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী সংসদ-সিবিএ। বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
    সাতক্ষীরা সিবিএ’র সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জি এম সালাউদ্দিন, মাঠ সহকারী শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মানিক (ইরোশপো), তালা উপজেলার কোহিনুর ইসলাম, কলারোয়া উপজেলার তাজমিনুর রহমান তাজু, কালিগঞ্জ উপজেলার আলেয়া খাতুন, আশাশুনি উপজেলারর অলোক মন্ডল, প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচি পরিচালনা করেন, শ্যামনগরের (সদাবিক) আনিছুর রহমান।
    এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিআরডিবিকে বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তরে রূপান্তর করতে হবে। প্রকল্পে কর্মরতদের আয় থেকে দায় প্রথা বাতিল করে ১০০% বেতন প্রথা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ঘোষিত দাবি সমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
    পরে বেলা ১২টার দিকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিবিএ নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউদ্দীজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

  • সাতক্ষীরার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৯ লক্ষাধিক টাকার মালামাল জব্দ

    সাতক্ষীরার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৯ লক্ষাধিক টাকার মালামাল জব্দ


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার চারটি সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ১শ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত থেকে বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার মাদরা, কাকডাংগা, পদ্মশাখরা এবং ভোমরা সীমান্ত থেকে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, ০৫ কেজি ভারতীয় রৌপ্য, ৫০ কেজি ভারতীয় গরুর মাংস, ১৪০ কেজি ভারতীয় চাপাতা, ৩০ জোড়া ভারতীয় জুতা এবং ২০১ টি ভারতীয় শার্ট/প্যান্টের পিচ।
    তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।

    বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন মাদরা, কাকডাংগা, পদ্মশাখরা ও ভোমরা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ৯ লাখ ৪৯ হাজার ১শ টাকা।
    মালামাল জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের সকল সদস্যগণ সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত সুরক্ষা এবং চোরাচালান দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো রক্ষার্থে চোরাচালান এবং মাদকদ্রব্য নির্মূল করাই সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের মূল লক্ষ্য।

  • মানবতার সেবায় ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের সন্তাান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান

    মানবতার সেবায় ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের সন্তাান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান


    সৈয়দ সাদিকুর রহমান:

    মো: সাজ্জাদুর রহমান-এর শিক্ষাজীবনের ফলাফল ছিল সাড়া জাগানো । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা । নিজ পেশায় দক্ষতরা পরিচয় দিয়ে তিনি পুলিশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করেছেন । সারা দেশে সর্বোচ্চ সম্মান অর্জনকারী পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনি অন্যতম । সততার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানব সেবায়ও তিনি পিছিয়ে নেই । তিনি কখনও অসহায় এতিমদের পাশে, কখনও গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে, কখনও ছিন্নমূল মানুষের পাশে থেকে, আবার কখনও সমাজ উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । সাজ্জাদুর রহমান ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার কাকলাশ গ্রামের মরহুম ছবেদ আলী মন্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন ।

    পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে তাঁর জন্ম ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে । বাবা মায়ের ৬ সন্তা নের মধ্যে তিনি সকলের বড় । বোন নাদিরা খাতুন ও নাছিরা খাতুন – এর বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগেই । ভাই আতাউর রহমান, রবিউল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম সকলেই পড়াশুনা শেষ করে চাকুরীসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত আছেন । পারিবারিক সুত্রে আরও জানা গেছে ২০০০ সালে সাজ্জাদুর রহমান মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জনাব মো: কোহিনুর হোসেনের কন্যা আকিদা রহমান নীলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । বর্তমানে তাদের ৩ সন্তানের মধ্যে সাদিক-বিন-সাজ্জাদ ঢাকা সিটি কলেজে এইচএসসি’র মেধাবী ছাত্র । ২য় পুত্র হৃদিক-বিন-সাজ্জাদ দিনাজপুর বিকেএসপি’তে ৯ম শ্রেণীতে পড়ে ও ক্রিকেট খেলে, কন্যা নাফিসা-বিনতে-সাজ্জাদ সাতক্ষীরা নবজীবন ইনষ্টিটিউটে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে । সাজ্জাদুর রহমান শিক্ষা জীবন ঐতিহ্যবাহী কোলাবাজার স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হণ কোলাবাজার ইউনাইটেড হাই স্কুলে । এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৯০ সনে এসএসসি’তে যশোর বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে মেধা তালিকায় ৪র্থ স্থান লাভ করেন । ১৯৯২ সনে যশোরের এমএম কলেজ থেকে এইচএসসি’তে একই বিভাগ হতে মেধা তালিকায় ১৫তম স্থান পান । এরপর তিনি ১৯৯৬ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজ কল্যান ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট হতে এমএসএস – এ প্রথম শেণীতে ৫ম স্থান অধিকার করেন । ২০০৩ সনে ২১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ওই বছরেই বাংলাদেশ পুলিশে এএসপি পদে যোগদান করেন । এরপর সময়ের সাথে সাথে তিনি পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় পুলিশ সুপার-এর দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি ২০১০ সালে লাইবেরিয়াতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে টঘচঙখ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে জাতিসংঘ পদক লাভ করেন ।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, এসপি সাজ্জাদুর রহমান নিজ এলাকায় বাবার নামে খুলেছেন ছবেদ আলী ফাউন্ডেশন। উক্ত ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে এলাকার দু:স্থদের মাঝে প্রতি বছর শীতবস্ত্র সরঞ্জাম বিতরণ, গরীব মেধাবী শিক্ষার্র্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছেন । নিজ এলাকায় এসে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন । এছাড়াও এলাকায় উক্ত ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী র‌্যালী, বাল্য বিবাহ রোধে বিভিন্ন প্রকার কর্মসুচীর মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করার চেষ্টা করে থাকেন । তিনি এলাকায় এসে খোঁজ নিয়ে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী ছাড়াও ছিন্নমুল মানুষদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন ।

    মো: সাজ্জাদুর রহমানের বর্তমান কর্মস্থল সাতক্ষীরা’র চাকুরীর সুবাদে তিনি বেশ কিছুদিন সাতক্ষীরাতে আছেন । এখানকার স্থায়ী বাসিন্দাদের মত তিনি সাতক্ষীরা’র সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নানা কর্মসূচী পালনসহ বিভিন্ন ধরণের ভালো কাজ করে আসছেন । তার ধারাবাহিকতায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাতক্ষীরা শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছেন । পেশাগত দায়িত্ব পালনে সঠিক জবাবদিহিতার জন্যে এবং জনসাধারণের অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলার প্রতিটি গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে অভিযোগ বক্স্র স্থাপন করেছেন । সম্প্রতি তিনি একশত টাকায় পুলিশে চাকুরী দিয়ে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন । নিজ অর্থায়নে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের দু-পাশে প্রায় ১০(দশ) হাজারসহ সারা জেলায় ৩০ হাজার বৃক্ষরোপন করে বিরল

    নজির স্থাপন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা। পুলিশ কন্ট্রোলরুমে কল করলে মিলবে প্রয়োজন মোতাবেক রক্ত এবং সকল প্রকার সহযোগিতা । এছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে খাবার নিয়ে তিনি চলে যান এতিমখানায় অথবা দু:স্থদের মাঝে । এছাড়াও চরম অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়া ছাড়াও নিজের টাকা খরচ করেন তিনি । সর্বোপরি মানবতার সেবায় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন ।

    কোলাবাজার ইউনাইটেড হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব কওছার আলী জানান, সাজ্জাদ ছাত্রজীবনে অত্যান্ত মেধার সাক্ষর রেখেছে । এছাড়াও সে ছিল সর্বদা জ্ঞান পিপাসু, নম্র, ভদ্র প্রকৃতির ছেলে । তখন তাকে দেখে মনে হত সে বড় হয়ে কিছু একটা হবে । কথায় আছে, সকালের সূর্য্য দেখে দিনটা কেমন যাবে তা অনুমান করা যায় । সাজ্জাদের ক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটেছে । বর্তমানে পুলিশের একজন বড় কর্মকর্তা হয়ে দেশ সেবা করার সাথে সাথে সমাজ উন্নয়নে ও মানবতার সেবায় যেভাবে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সেজন্য আমি তার শিক্ষক হিসেবে নয়, ঝিনাইদহ জেলার একজন মানুষ হিসেবে গর্ববোধ করি । কালীগঞ্জ কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আইয়ুব হোসেন জানান, সাজ্জাদুর রহমান তার গ্রামের ছেলে, ছোটবেলা থেকেই তার চলাফেরা ছিল অন্যদের চেয়ে খানিকটা আলাদা । এ এলাকার অনেক মেধাবী ছেলে লেখাপড়া শেষ করে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে । তবে সাজ্জাদ তাদের চেয়ে আলাদা, বেশ ভিন্ন । কেননা ছুটিতে যখন সে বাড়ী আসে তখন এলাকার সকল জায়গায় সে ঘুরে বেড়ায় । শিক্ষাজীবনে সে অত্যন্ত মেধাবী ছিল তাই মেধাবী শিক্ষার্থীদের বেশি করে খোঁজ নিয়ে থাকে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে লেখাপড়ায় উৎসাহ ও সহযোগিতা করে থাকে । অসহায় গরীব দু:স্থদের পাশে দাঁড়ায় সাজ্জাদ । মুঠোফোনে সাজ্জাদুর রহমানর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও লেখাপড়ায় মধ্যবিত্ত ছিলাম না । পড়াশুনা শেষ করার পর এদেশ আমাকে কর্মসংস্থান দিয়েছে । আমি ভাবি সমাজের অনেক মানুষের চেয়ে শারিরীক ও মানসিক ভাবে ভালো আছি । কিন্তু সবাই মিলে ভালো থাকতে পারলে সেটাকেই ভালো বলা যাবে । পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে আমি কিছুটা কাজ তরি । তারপরও সমাজের একজন মানুষ হিসেবে যতটুকু করা প্রয়োজন তার সবটুকু আমি করতে পারি না । বর্তমানে আমার ভাইয়েরাও আমাকে কিছুটা আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকে । সে কারনেই আমার জন্য এ ধরণের কাজ করা সহজ হচ্ছে, তিনি আরও বলেন, সমাজের একজন মানুষ হিসেবে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অনেক কিছু করতে হয় । সবটা করতে না পারলেও অসহায়দের জন্য কিছুটা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র ।

    মো: সাজ্জাদুর রহমানকে আমরা সাধুবাদ জানাই । একজন পুলিশ কর্মকর্তা’র এ ধরণের মহতী কর্মকান্ড আমাদের উজ্জিবীত করে । তিনি আগামীতে মেহনতি মানুষের কল্যানে আরও অনেক কিছু করবেন – এ আশাবাদ ব্যক্ত করি । আমাদের তাঁর আদর্শে অনুপ্রানিত হওয়া দরকার ।