Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 112 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জাতি গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে ‘ইচ্ছেনদী’

    শহর প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য প্রকাশের প্রত্যয়’ নিয়ে সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী’ রঙিন কলেবরে পথচলা শুরু করেছে। এ উপলক্ষ্যে রবিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নতুন এ পত্রিকাটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

    সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার সম্পাদক মকসুমুল হাকিমের সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপিস্থিত থেকে পত্রিকাটির উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘সাপ্তাহিক ইচ্ছে নদী’ পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক খবরাখবর পরিবেশনের মাধ্যমে জাতি গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশেনের মাধ্যমে জেলার সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্না এবং ঘটনাবলি তুলে ধরবে। তাৎক্ষণিক তথ্য নিয়ে শুভ আবির্ভাব হচ্ছে ‘ইচ্ছেনদী’। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সামাজিকতা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ জেলা বাংলার বুকে মাইল ফলক হবে। যুগোপযোগী এ পদক্ষেপের শুভ কামনা করি এবং প্রত্যাশা করি এ পদক্ষেপের সুদূর প্রসারি সফলতা। আমি প্রত্যাশা করি সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী-এর কলম সৈনিকেরা জেলার উন্নয়ন-অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সাতক্ষীরাসহ গোটা দেশের জন্য এটি একটি আনন্দের সংবাদ যে একটি নতুন সংবাদপত্র বের হয়েছে। সাতক্ষীরার সাংবাদিকতার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এখানে অনেক পত্রিকা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নতুন যাত্রা শুরু করল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হয়ে বিচরণ করবে ইচ্ছেনদী।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎন্সা আরা প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল’র সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, হেনরী সরদার, এ্যাড. শফিউল ইসলাম খান, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল ওয়াজেদ কচি, মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, দীলিপ কুমার দে ও আসাদুজ্জান আসাদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবি মণ¥য় মনির।

  • পাঁচ হাজার টাকার জন্য কৃষকের মাজায় দড়ি ওঠে অথচ কোটি টাকার দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপিদের নাম বলতে সাহস পান না অর্থমন্ত্রী

    শহর প্রতিনিধি: গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহাসীন মন্টু বলেন, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। পাঁচ হাজার টাকার জন্য কৃষকের মাজায় রশি বেধে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপিদের নাম বলতে সাহস পান না অর্থমন্ত্রী। এসবের বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার একটা যৌক্তিক দাবি। কিন্তু আমাদের এক প্রবীণ মন্ত্রী সংসদে আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে তরুণ সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ঠেলে দিলেন। এটা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব একটা সমাধান হওয়া উচিত।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে গণফোরাম সাতক্ষীরা জেলা শাখা আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মোহসীন হোসেন মন্টু আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠিাতা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানসহ অনেকেই হত্যা হয়েছে। দেশে বেশ কিছু সময়কাল ধরে সামরিক স্বৈরাচারী শাসকরা শাসন করেছে। সামরিক স্বৈরশাসকরা সংবিধানের মূল কাঠামো অসাম্প্রদায়িকতার রূপরেখা পরিবর্তণ করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছে।
    বর্তমানে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে উল্লেখ করে মন্টু বলেন, ভারতের কারগিলে পাকিস্তানের সঙ্গে যখন কঠিন যুদ্ধ হয়েছে তখন সকল রাজনৈতিক দল তাদের ব্যক্তিগত ইগো ভুলে জাতীয় স্বার্থে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই বাংলাদেশের গণতন্ত্র অক্ষুন্ন রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলকে দলীয় সংকীর্ণতার বাইরে এসে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
    কর্মী সম্মেলনে জেলা গণফোরামের সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গনফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আ,ও,ম শফিকউল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক, যুব বিষয়ক সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী, যুব গণফোরামের আহবায়ক কাজী হাবিব প্রমুখ।

  • জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন জেলা শাখার জরুরী সভা

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টা সাতক্ষীরা পুরাতন উকিলবারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এড. ফাহিমুল কিসলু। সভায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি আবুল খায়ের, রবিউল ইসলাম, ছাদিকুর রহমান, সদস্য আফাজ উদ্দীন মোড়ল, আলী হোসেন, হুমায়ুন কবির, মকবুল হোসেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম। আগামী ১৪জুলাই’১৮ তারিখ শনিবার শিল্পকলা একাডেমিতে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং একটি ৯ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় আমের বাজারে বেচাকেনার ধুম

    সাতক্ষীরায় আমের বাজারে বেচাকেনার ধুম

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় আমের বাজারে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। জমে উঠেছে আমের বাজার। চারিদিকে আম আর আম। আম কিনতে দেশের পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখন সাতক্ষীরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধুম পড়ে গেছে আম কেনা বেচায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আম চাষীদের কর্মব্যস্ততার যেন শেষ নেই। আম পাকতে শুরু করায় আম পাড়া এবং বেচাকেনার উৎসব শুরু হয়েছে। বুধবার ব্যবসায়ীরা এ মৌসুমের আমের প্রথম চালান ঢাকাতে পাঠিয়েছে। প্রথম দিনে জেলা থেকে প্রায় ১০ ট্রাক গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। ঢাকার শতাধীক ও সাতক্ষীরার সহ¯্রাধীক পাইকারী আম ব্যবসায়ী এখন ব্যস্ত সময় পার করছে আম প্রকিয়াজাতকরণে। চলতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার আম ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে আম ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। তবে বাজার মনিটরিং ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। এবার আমপাড়া কোন নির্ধারিত দিন ক্ষণ ঠিক করা হয়নি। জেলা কৃষি অধিদপ্তর খামারবাড়ির পক্ষ থেকে বিষমুক্ত আম সংগ্রহের জন্য গাছে পাকা শুরু করলেই আমই পাড়া যাবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর গরমের তীব্রতায় আগেভাগেই আম পেকেছে। বুধবার সাতক্ষীরার বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজার জুড়ে আম। সারি সারি ইঞ্জিনভ্যান আম নিয়ে ছুটছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরার বাজারের গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ আম উঠতে শুরু করেছে। বড় জাতের গোবিন্দ ভোগ আম ১৫শ’ থেকে ২৫শ’ টাকা দরে মণ বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গোপালভোগ আমের দাম তুলনামূলক কম। বরাবরের মতো এবারও সবার আগে বাজারে উঠেছে সাতক্ষীরার আম। সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের আমের আড়তে গেলে চোখে পড়ে এই দৃশ্য। ভ্যানে করে ঝুড়ি ঝুড়ি আম নিয়ে আসছেন চাষিরা। ক্যারেট ভর্তি করছেন কেউ কেউ। কেউবা ব্যস্ত ট্রাক লোডে। আর লোড করা ট্রাক চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
    ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে হিমসাগর ও ২৫ তারিখের পর থেকে ন্যাংড়া আম বাজারে উঠতে পারে। একইভাবে ১৫ মে’র পর থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কোয়ারেন্টাইন বিভাগ, বাংলাদেশ ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইসলাম এন্টারপ্রাইজও দীপ ইন্টারন্যাশনাল, হর্টেক্স ফাউন্ডেশন ও এফএওসহ সংশ্লিষ্ট চাষিরা।
    আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর জেলায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও জেলা থেকে প্রায় ১০০০ মেট্রিক টন আম বাইরে রপ্তানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৭০০ মেট্রিক টন ।
    তবে বাজার মনিটারিং এ সরকারের নেই তেমন তদারকি। চলতি মৌসুমে জেলাতে কোটি টাকার আম বেচা কেনার পরিকল্পনা থাকলেও বাজারে নেই কোন নিরাপত্তা কর্মী। ফলে চরম উদ্বিগ্নতার মধ্যে নগদ লেনদেন করতে হচ্ছে এ খাতে সংশ্লিষ্টদের।
    বড় ধরণের কোন পাইকারী বাজার না থাকায় সুলতানপুর বড় বাজারের দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা বড়বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মন্টু মিয়ার জমি ইজারা নিয়ে আম প্রক্রিয়া জাতের কাজ করছে। অর্ধশাধিক ব্যবসায়ী জমি ইজার নিয়ে আড়ত ঘর তৈরি করেছে। এখানে প্রতিদিন দুই শতাধিক শ্রমিক আমের ক্যারেট করে ট্রাক সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
    কয়েক জন ব্যসায়ীর সাথে কথা হয়, তারা জানান কয়েক বছর ধরে তারা সাতক্ষীরা থেকে আম কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলাতে বিক্রয় করে। কিন্তু তারা যথেষ্ট নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে সাতক্ষীরাতে অতিবাহিত করেন।
    আবার জেলার অনেক আম ব্যবসায়ী বাজারের আড়তদারদের কাছে জিম্মি বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আড়তদারদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে ব্যবসা করার কারণে বাগানের সমস্ত আম উঠার পর আড়তদারদের কাছে সেই আম বিক্রি করতে বাধ্য হতে হয়। ফলে সিন্ডিকেটের কবলে পড়তে হয় জেলার গোটা আম ব্যবসায়ীদের।
    একটি আম উৎপান থেকে চুড়ান্ত ভোগ পর্যন্ত কয়েকবার হাত বদল হয়। এতে আমের দামকয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। শুধু আড়তে আম উঠানোর করণে আড়তদারদের শতকরা আট টাকা হারে খরচ দিতে হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, সাতক্ষীরাতে যে আমের মণ ২ হাজার টাকা ঢাকাতে তা বেড়ে দাড়ায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আবার জেলার গ্রাম পর্যায়ে আমের মণ ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় জেলার পাইকারী বাজারে তা ২ হাজার থেকে ২২শত টাকা। ফলে প্রকৃত চাষীরা আমের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।
    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানান, জেলার সাতটি উপজেলায় চলতি বছর চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১১৯৫ হেক্টর জমিতে, কলারোয়া উপজেলায় ৬০২ হেক্টর, তালা উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ৩৬৮ হেক্টর কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ১২৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদরে আমের বাগান রয়েছে ১৫৩০টি, কলারোয়ায় ১৩১০টি, তালায় ১৪৫০টি, দেবহাটায় ৪৭৫টি, কালিগঞ্জে ১৪২টি, আশাশুনিতে ১৯০টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০টি আমের বাগান রয়েছে। সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের অনুকূল হওয়ায় অন্য অঞ্চলে উৎপাদিত আমের চেয়ে সাতক্ষীরার আম বাজারে উঠতে থাকে সবার আগে।
    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, সাতক্ষীরার আম গুণে-মানে সুস্বাদু। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। এ জেলার মাটি আম চাষের উপযোগী। গত চার বছর ধরে এ জেলার আম ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। এবারও বাগান পরিচর্যা করা হচ্ছে বিদেশে আম পাঠানোর জন্য। তিনি জানান আম দ্রুত পাকানোর জন্যে যদি কেউ ফরমালিনের আশ্রয় নেয় তবে কয়োর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন জানান, সাতক্ষীরার আম সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে। সুনাম ক্ষুণœ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোক্তার অধিকার ক্ষুণœ করে আম পাকাতে কেউ ফরমালিনের আশ্রয় নিলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করা হবে। সাথে থাকবে জরিমানার ব্যবস্থা।

  • নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের মতবিনিময়

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জলাবদ্ধতা, সুপেয় পানির সঙ্কট, ড্রেনেজ সমস্যা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মধুমোল্লারডাঙ্গীতে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার সকাল ৭টায় স্থানীয় বাসিন্দা সাতক্ষীরা জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অলোক তফরদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার আহ্বায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, যুগ্ম আহ্বায়ক শুধাংশু শেখর সরকার, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবেদুর রহমান, আনোয়ার জাহিদ তপন, নিত্যানন্দ সরকার, সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রেজোয়ান উল্লাহ সবুজ, সাতক্ষীরা পৌর আ. লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য মো: রাশেদুজ্জামান রাশি, হাফিজুর রহমান মাসুম, ইকবাল লোদী প্রমুখ।
    স্থানীয় নাগরিক সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এড. জিল্লুর রহমান (২), এড. রুহুল আমিন, ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আব্দুস সাত্তার, আবু তালেব মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. ইউনুস আলী, মধুমোল্লারডাঙ্গী উন্নয়ন কমিটির আশরাফ আলী, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
    এসময় বক্তারা সাতক্ষীরা পৌরসভার সাপ্লাই পানির নি¤œমান ও অপর্যাপ্ততা, দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা প্রভৃতি বিষয় সমাধানে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করার প্রয়োজনীতার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এসব সমস্যা নিয়ে নাগরিকরা চরম ভোগান্তিতে থাকলেও পৌরসভা ও স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অবহেলার তা সমাধান করা হচ্ছে না। বরং দিনদিন নাগরিক সুবিধা সঙ্কুচিত হয়ে আসছে এবং মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। তারা দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।
    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক।

  • কাশিমাড়ীতে চার দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ফাইনাল অনুষ্ঠিত

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী পল¬ীর জয়নগরে চার দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উক্ত খেলার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। জয়নগর চারদলীয় শাপলা স্মৃতি কাপ টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জয়নগর শাপলা জাতীয় সংঘ। উক্ত খেলায় রানার্সআপ হয় এ.আর দুরন্ত কিংস। ম্যানঅফদা সিরিজ নির্বাচিত হয় ইয়াসিন আরাফাত। উক্ত খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন কাশিমাড়ী ইউপি সাবেক সদস্য আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি আব্দুল গফুর, কাশিমাড়ী ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি হাবিবুল¬াহ পাড়, সাংবাদিক ডি এম আব্দুল¬াহ আল মামুন, আমির হোসেন ঢালী, আবু হীনা মিন্টু, মাহমুদ শেখ, গাজী আব্দুর রহমান, মোহর আলী শেখ, ফজলুর রহমান প্রমুখ। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক দেলোয়ার হোসেন ও রানার্সআপ দলের অধিনায়ক রায়হান হোসেন এর হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। উক্ত খেলার সার্বিকভাবে পরিচালনা ও আয়োজনে ছিলেন জয়নগর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ চেয়ারম্যান দেরোয়ার হোসেন। সমগ্র খেলা পরিচালনা করেন, রবি দাস ও জাহিদ হাসান।

  • প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে বড় বাজারে ফরমালিন দিয়ে পাকানো হচ্ছে অপরিপক্ক আম

    শহর প্রতিনিধি: প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে বড় বজারে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাবসায়ীরা অপরিপক্ক আম বাজারজাত করছে। গত ৯ মে জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে আম ব্যাবসায়ী, আমচাষি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দেন ১৫ মে হিমসাগর ও ২৫ মে ন্যাংড়া আম বাজারজাত করতে হবে। কিন্তু বড় বাজর ঘুরে দেখা গেছে প্রতিদিন হাজার হাজার মন অপরিপক্ক আম বড় বাজারে বাজারজাত হচ্ছে। এবং তা ফরমালিন দিয়ে পাকিয়ে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
    শুক্রবার বড় বাজর ঘুরে দেখা দেখা গেছে অপরিপক্ক হিমসাগর আম সয়লাব। ঝুড়ির উপর কিচু পরিপক্ক আম দিয়ে তলায় সব অপরিপক্ক আম। প্রশাসনের নজরদারী না থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন ভুক্তভুগিরা।
    বড় বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আবু সালেহ জানান, অপরিপক্ক আম বাজারজাত মোটেও কাম্য নয়। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মানতে হবে। তিনি বলেন, আনঅফিসায়ালি একটি কথা হয়েছে পরিপক্ক আম ব্যাবসায়িরা ভাংতে পারবে। তবে ১৫ তারিখে আম ভাঙ্গার নির্দেশ রয়েছে।

  • শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: পাটকেলঘাটা এলাকার কাশিনাথ সাহার ছেলে মিহির সাহার মাদক ও সুদের ব্যবসার প্রতিবাদ করায় একজন শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেনের নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া গ্রামের মৃত কওছার আলী দফাদারের ছেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর মাষ্টারের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন একজন আদর্শ স্কুল শিক্ষক। শিক্ষাকতার পাশাপাশি এলাকায় তিনি একজন সমাজসেবক হিসাবে বিশেষ পরিচিত। অপরদিকে একই এলাকার কাশিনাথ সাহা একজন সুদখোর হিসাবে পরিচিত। তার ছেলে মাদকসেবী মিহির সাহা এজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের কারণে এলাকার যুবসমাজ দিন দিন মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষক ফারুক হোসেন এলাকার যুবসমাজকে রক্ষা করতে মিহিরকে মাদকের ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তার কথা না শুনে এক পর্যায় পিতা কাশিনাথ ও ছেলে মিহির দু’জনেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। যুবসমাজকে রক্ষা করতে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করায় এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী সুদখোর কাশিনাথ সাহা ও তার ছেলে মিহির সাহা শিক্ষক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি এক মাদক বিরোধী অভিযানে মিহির সাহা গ্রেফতার হয় এবং ভ্রাম্যমান আদালত তাকে দুই দিনের সাজা প্রদান করে। সাজা খেটে বাড়ি ফিরে স্থানীয় কয়েকজন দুর্নীতিবাজদের মদদে মিহির সাহা তার পিতা কাশিনাথ সাহাকে দিয়ে গত ৫ মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শিক্ষক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধ একটি মিথ্যে সংবাদ সম্মেলন করায়। সংবাদ সম্মেলনে তার দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যে, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। পিতা ও ছেলের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় একজন আদর্শবান শিক্ষককে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে কাশিনাথ সাহা ওই সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সামনে মিথ্যে তথ্য উপস্থাপন করে। বর্তমানে তারা আমাকেসহ আমার ভাগ্নে ফারুক হোসেনকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে মিথ্যে মামলা দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। তিনি দুর্নীতিবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে এলাকার যুবসমাজকে রক্ষার পাশাপাশি ভাগ্নে শিক্ষক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ধানদিয়া পুলিশিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: তবিবুর রহমান, যুবলীগ নেতা প্রকাশ কুমার সাহা, পার্থ চক্রবর্ত্রী, প্রভাষক মো: আহাঙ্গির আলম ও উত্তর সারসা সর:প্রা: বিদ্যা: ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক হোসেন।

  • পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলার সাফল্যে জেলার কলারোয়া থানা শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়। একই সাথে আইন শৃঙ্খলায় বিশেষ অবদান রাখায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকস কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়। শ্রেষ্ঠ চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচিতরা হলেন, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মুনজুরুল হাসান ও কলারোয়া থানার এএসআইআহসান হাবিব। পুরস্কৃত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই বিপ্লব কুমার কান্তি ও মনির হোসেন, কলারোয়া থানার এসআই সোলায়মান আক্কাস, শরিফুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও এএসআই আহসান হাবিব, পাটকেলঘাটা থানার এএসআই হারুনর রশিদ, তালা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান, আশাশুনি থানার এএসআই উস্তার আলী ও জহুরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানার এস আই সোহরাব হোসেন, শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, এসআই শংকর কুমার ঘোষ, ইমদাদুল হক, এএসআই আমিরুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, ফজলুল হক ও তরিকুল(২)। সভা শেষে নির্বাচিতদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও আর্থিক উপহার তুলে দেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( কালিগঞ্জ সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ইন সার্ভিস ট্রেনিং) রাসেলুর রহমান। সভায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত এপ্রিল মাসে জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে মাদক, জঙ্গি, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভ’ক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে কাজ করায় জেলা পুলিশের পক্ষথেকে মোট ২২ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃৃত করা হয়।

  • ডিবি পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

    বিশেষ সংবাদদাতা: গোয়েন্দা পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শক ও তার টিমের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ ব্যাবসায়ীদের কারণে অকারণে হয়রানি এবং এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শক ও তার টিম। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভেঙে পড়বে পুলিশের ভাবমূর্তি।
    শহরের নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন মিলন জানান, গত ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রাধানগরের মকবুল হোসেন তাকে নিয়ে কাটিয়া কাস্টমস মোড়ের আশরাফ হোসেনের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ অর্ণব আটকের সত্যতা যাঁচাই এর জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান। একপর্যায়ে উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তারা বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিলে উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল পরিচয় জেনে তাকে (মিলন) নিমতলায় ডেকে নিয়ে হ্যা-কাপ পরিয়ে কথিত গারদঘরে ঢুকিয়ে দেয়। তার সন্ধান করতে থাকা মকবুলকেও আটক করেন মঞ্জুরুল হাসান। তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল রেখে দিয়ে রাত একটার দিকে হাতকড়া বিহীন মকবুলসহ তাকে হাতকড়া পরিয়ে কেষ্ট ময়রার ব্রীজের পাশে পুরাতন মোটর সাইকেলের শোরুম সরদার ট্রেডিং এর সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাড়ির চাবি খুঁজতে মকবুলের শোরুম খুলে কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে চাবি না পাওয়ায় মোটর সাইকেলের মিটার টেম্পারিং করার অভিযোগে তাকেসহ মকবুলকে একটি সাদা রং এর মাইক্রোবাসে করে তার বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
    বাড়ির গেটের দরজা খুলতে দেরী হওয়ায় মারপিট করতে করতে কোলাবসিগ্যাল গেটের তালা ভেঙে দোতলায় ওঠেন পরিদর্শক শাহারিয়ার, উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল, সহকারি উপপরিদর্শক মিজান, সহকারি উপপরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম, সহকারি উপপরিদর্শক জিয়া, সহকারি উপপরিদর্শক রাজু। পুলিশের কথামত তার স্ত্রী মনিরা পারভিন ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপরপরই উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল একটি ড্রয়ার ভেঙে বাড়ি বিক্রির শেষ সম্বল এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা বের করেন। দু’ লাখ সাত হাজার টাকা ছিল, বাকী টাকা কোথায় গেল সেটা তার কাছে জানতে চায় মঞ্জুরুল। একপর্যায়ে মঞ্জুরুল টাকা আবারো মনিরার কাছে দিয়ে দেন। কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে আসবাবপত্র তছনছ করে কিছুক্ষণ পর শাহারারিয়ারের কথামত আবারো ওই টাকা নিয়ে চলে আসেন মঞ্জুরুল। গভীর রাতের ঘটনা হলে মোটর সাইকেলের মিটার টেম্পারিং এর মেশিন খোঁজার নামে কৌশলে পুলিশের দস্যুতা অনেকেরই নজর এড়ায়নি। এ সময় শাহারিয়িারের মুখ থেকে মাদকের গন্ধ ভেসে আসছিল। পরে তাদের দু’জনকে আবারো শোরুমে নিয়ে এসে কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে খাতাপত্র নিয়ে আসে পুলিশ। তাদেরকে আটক রাখা হয় গোয়েন্দা পুলিশের কথিত গারদঘরে। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে মঞ্জুরুলের নেতৃত্বে পুলিশ শোরুম থেকে টিটু ও মিলনের ২৫টি মোটর সাইকেল ফিল্মি স্টাইলে নিয়ে আসার সময় কয়েকটি গাড়ি তেল অভাবে বিকল হয়ে যায়। পরে তেল ভরে নিয়ে আসা হয় ডিবি অফিসে। টিটুর ব্যবহৃত মকবুলের কাছ থেকে প্রথমেই আটকে রাখা মোটর সাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কির মুখ, স্টিকার, লুকিং গ্লাস, হর্ণ, ব্যাটারী ও শাড়ি গার্ড খুলে নেওয়া হয়।
    বাস টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা টিটু জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী আক্তার, কাজী ইকবাল, মোস্তফা, মাসুদ, সুলতানপুরের বাবু, রেজায়ান, মিস্ত্রী আফজাল, ও মা মোটরস এর মালিক ভাই জিল্লুর এর উপস্থিতিতে শোরুম থেকে তার ১৭টি গাড়ি বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি চ্যালেঞ্জ করলে তাকে কাগজপত্র নিয়ে ডিবি অফিসে যেতে বলা হয়। ডিবি অফিসে গেলে পরিদর্শক শাহারিয়ারের বরাত দিয়ে তাকে সন্ধ্যায় যেতে বলেন মঞ্জুরুল। একপর্যায়ে মিটার টেম্পারিং এর বিষয়টি স্বীকার করে মকবুল কিছু জানে না বলার পর মিলন ও মকবুলকে আবারো গারদে ঢোকানো হয়। এরপর ১৭টি গাড়ির কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে তারা চলে আসার আগেই মকবুলকে ছাড়াতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় তার স্ত্রী। কিন্তু এক লাখ টাকা ছাড়া ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শাহারিয়ার। ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়ায় অবস্থানকরাকালীন সহকারি উপপরিদর্শক জিয়া মোবাইল ফোনে তাকে (টিটু) ডিবি অফিসে যেতে বলেন। ভাই জিল্লুরকে নিয়ে সেখানে গেলে মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে সহকারি উপপরিদর্শক রাজু তাকে আটক করে গারদ ঘরে আটক করা হয়। পরে তার চোখ বেঁধে হাতে হ্যা- কাপ পরিয়ে শাহারিয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন শাহারিয়ার। পরে তাকে গারদ ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। রাজুর সঙ্গে চুক্তির শেষ পর্যায়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা ও গাড়ি ছাড়ানোর জন্য তার কাছ থেকে আরো ২২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরদিন সকালে ১৮টি গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০ এপ্রিল দিবাগত রাত দু’ টোর দিকে তাকে (টিটু) ছেড়ে দেওয়া হয়। ১১ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রী ও ভাগ্নের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে পরদিন ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে মকবুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের পরের দিন সন্ধ্যায় গাড়ি ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও বারবার তাকে ঘোরানো হয়। ওই দিন আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করে ১০ হাজার টাকা নেন মঞ্জুরুল। ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরো ১০ হাজার টাকা নিয়ে পাঁচটি গাড়ি, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে চারটি ও আরো ১০ হাজার টাকা নিয়ে ২৩ এপ্রিল চারটি ও ২৪ এপ্রিল দুপুরে দু’টি গাড়ি দিয়ে দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল তার দু’িট গাড়ি ও মিলনের একটি গাড়িসহ মিলনকে একটি মিটার টেম্পারিং এর প্রতারনার মামলায় চালান দেওয়া হয়।
    খালিদ হোসেন মিলন বলেন, গত বৃহষ্পতিবার তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে পরদিন থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা ফেরৎ নেওয়ার জন্য শাহারিয়ার ও মঞ্জুরুলের কাছে হাঁটতে থাকেন। কয়েকজনের তদ্বিরের পর সহকারি উপপরিদর্শক রাজুর সহায়তায় সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার সাতটি গাড়ি ফেরৎ দেওয়া হয়। টাকা চাইলে আবারো নতুন মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেন মঞ্জুরুল হাসান ও শাহারিয়ার।
    ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২৩ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে কালিগঞ্জেন রতনপুরের ব্যবসায়ি মন্টু ও তার সহযোগি একটি পুরাতন মোটর সাইকেল বিক্রি করে অন্য একটি কেনার জন্য ইজিবাইকে টাউন বাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে স্টেডিয়াম ব্রীজের কাছ থেকে শাহারয়িার টিমের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে হাত কড়া পরিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে এসে তাদের কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা নিয়ে নেয়। পরে এক ইউপি সদস্যের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এক পত্রিকা সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে শাহারিয়ারে বাক বিত-া হলে টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়। একই দিনে বুধহাটার এক ব্যবসায়ি তার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের সোর্সদের দিয়ে বিত্তশালীদের বাড়িতে বা সার্চ করার নামে জামাপ্যান্টের পকেটে হাতের আঙুলের ফাঁকে রাখা মাদক দিয়ে ধরানোর কোন বিকল্প নেই।
    ভুক্তভোগীরা আরো জানান, শাহারিয়ার তার ভাই সাতক্ষীরার ফায়ার সার্ভিসে কাজ করা ও নানার বাড়ি তালায় হওয়ার সুবাদে সাতক্ষীরায় পড়াশুনা করেছেন। বৈচিত্রময় পাঞ্জাবী পরে তিনি আটককৃত প্রায় নিরীহ ব্যক্তি ছাড়াও মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের চোখ বেঁধে ও হাতে হ্যা-কাপ পরিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে আটককৃতদের মোবাইল থেকে আটককৃতদের দিয়ে তাদের স্বজনদের মোবাইল করে লাখ লাখ টাকা আদায় করার ব্যাপারে সিদ্ধ হস্ত। ২ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সাতক্ষীরা মোটরস্ এর মালিক জাকির হোসেন বানিকে তার বাড়ির পাশ থেকে আটক করে পকেটে এক পুরিয়া গাজা পাওয়ার অভিাযোগে জেলা জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতার মাধ্যমে গভীর রাতে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন শাহারিয়ার। বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ সুপারের কোন অনুমোদন ছাড়াই নামমাত্র অভিযোগ পেলেই তুলে এনে চোঁখ বেঁধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে। আমদানি হয়না এমন পালচার ২২০ সিসি গাড়ি ফ্রি স্টাইলে চালিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহারিয়ার। সহকারি উপপরিদর্শক রাজু ডিবি অফিসের সামনে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ডিসকভার ১৩৫ সিসি গাড়ি যার রেজিঃ নং- সাতক্ষীরা-ল-১১- ১৬৭৫ (চেসিস নং-এমডি-২০৩ জে ডবল জেডএসডিএ ৫১৯৮২, ইঞ্জিন নং- জেএনজেবিএসএ-০৪৭৩৩) নিজে ব্যবহারের জন্য খুলনা রোড়ের মোড় এলাকার জনৈক আফজাল মিস্ত্রির কাছে গত ২২ এপ্রিল সকালে রিপেয়ার করতে দিয়েছেন। এজন্য প্রথম দফায় তিনি ১০ হাজার টাকার খুচরা যন্ত্রাংশ কিনে দিয়েছেন।
    স্থানীয় একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার আসার পর পুলিশের দূর্ণীতি ৮০ ভাগ থেকে কমে ২০ ভাগে নেমে এসেছে। তাবে তারা বাস্তবতা কতটা জানেন তা ডিবি পুলিশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হলেই জিহ্বা কাটবেন।
    জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহারিয়ার সাংবাদিকদের জানান, খালিদ হোসেন মিলন একজন মিটার প্রতারক। তার কাছ থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে বলেন, তাকে ছেড়ে না দিয়ে দু’ থেকে তিন দিন পর জামিনে মুক্তি পেতে পারে এমন মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়। তবে মকবুল ও টিটুর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা এড়িয়ে যেয়ে বলেন, অপরাধীরা নানা অপপ্রচার করে তাদের ভাল কাজকে কলুষিত করছে। তার টিমের সদস্যরা ভাল কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি।

  • ধুলিহর আদর্শ বিদ্যালয়ের নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটি ৬ মাস স্থগিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রিট পিটিশনের এক রায়ের আদেশের ফলে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক গাজী মনিবুর রহমান মঙ্গলবার (৮ মে) স্বাক্ষরিত স্মারক নং-বিঅ ৬/৫০৪৪/২২৪৩(১-৮) পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
    জানা যায়, সম্প্রতি ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তড়িঘড়ি করে সাধারণ নির্বাচন না দিয়ে চুপিসারে অভিভাবকদের মতামত উপেক্ষা করে একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে। এই ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদস্য ও গোবিন্দপুর গ্রামের জাহারুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ আরজিনা খাতুন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা দায়ের করে। যার রিট পিটিশন নং-৪৭৩৩/১৮। এই মামলায় গত ইং ২২/০৪/১৮ তারিখে হাইকোর্ট এক রায়ের আদেশে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদিত বিঅ-৬/৫০৪৪/১৮৩২ (১-৭), তারিখ ১৪/০৩/২০১৮ খ্রি. পত্রটি ১০/০৪/২০১৮ খ্রি. তারিখ হতে পরবর্তী ০৬ (ছয়) মাসের জন্য স্থগিত করে।
    এই রায়ের আদেশের ফলে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক গাজী মনিবুর রহমান মঙ্গলবার (৮ মে) স্বাক্ষরিত স্মারক নং-বিঅ ৬/৫০৪৪/২২৪৩(১-৮) পত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কয়েকটি দপ্তরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
    অপরদিকে রিট পিটিশনের বাদী মোছাঃ আরজিনা খাতুনকে মারধর, গালি-গালাজ, অপমান ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়নারী করার হুমকি ধামকি দেওয়ায় ৪ জনের নামে সাতক্ষীরা থানায় একটি জিডি হয়েছে। যার জি,ডি,নং-২১৪, তাং-০৪/০৫/২০১৮ ইং। যাদের নামে জি,ডি, হয়েছে তারা হলেন ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সদ্য গঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জাহানাবাজ গ্রামের শেখ সাহমত আলীর পুত্র শেখ আব্দুর রশিদ, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান ও ধুলিহর সানাপাড়া গ্রামের মৃত মানিক উদ্দীন সানার পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান (বাবু সানা), গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের দুই পুত্র মোঃ আছাফুর রহমান ও মোঃ মশিউর রহমান।
    এদিকে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন পত্র স্থগিত হওয়ার খবর মঙ্গলবার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হৈ চৈ পড়ে যায়। এ নিয়ে অনেকেই রসাত্মকভাবে মন্তব্য করে বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আবার কেউ বলেন দিন বদলায়ছে।
    এ ব্যাপারে জানার জন্য স্থগিত হওয়া ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদের ব্যবহৃত ০১৭২০-৫২৪৮৯৮ মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি ।

  • টাকা জমা দিয়েও হজ্বে যেতে পারলেন না ৩ জন

    শহর প্রতিনিধি: ঢাকার সুপ্রিম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর চাহিদা অনুযায়ী সমুদয় টাকা পরিশোধের পরও দেবহাটার মো. সাইফুল ইসলাম, রহিমা খাতুন ও মোস্তফা নুর মোহাম্মদ পবিত্র হ্জবব্রত পালন করতে পারলেন না। এর জন্য দায়ী ওই ট্রাভেলসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি যথাক্রমে সাঈদুর রহমান ও শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই।
    বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন দেবহাটার সখিপুরের মো. আবুবকর সিদ্দিক। তিনি দায়ী ব্যক্তিদের প্রতারক হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন তারা হজ্বে পাঠানোর ব্যবস্থা তো করেই নি এমনকি আমাদের দেওয়া টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুপ্রিম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর ডিরেক্টর সাঈদুর রহমান ২০১৬ সালে হাজি সংগ্রহের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেন। সে অনুযায়ী সাঈদুর রহমানের মনোনীত সাতক্ষীরার মুনজিতপুরের শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই হজ্বে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিলে জন প্রতি ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা হিসাবে মোট ৫ লাখ ১১ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন চেকে এই টাকা পরিশোধ করা হলেও ২০১৭ সালে তাদেরকে হজ্বে না পাঠিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত চাইলেও তা দিতে নানা বাহানা শুরু করে শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই।
    তিনি বলেন, হাজি ভাই ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তার নিজ নামের জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা করপোরেট শাখার ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার একটি চেক সাইফুল ইসলামকে প্রদান করেন। অথচ হিসাব নম্বর ০০২২৩৫৪০৭ এর এসবি ১০ এফএম ৯৩৩৪৬১৮ নম্বর চেক ব্যাংকে দেওয়া হলে যথেষ্ট পরিমান টাকা না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়ে যায়। এরপর সাইফুল ইসলাম সাতক্ষীরা জজ আদালতের এ্যাড. রবিউল ইসলামের মাধ্যমে একটি উকিল নোটিশও পাঠান। কিন্তু আহসানউল্লাহ প্রদীপ টাকাও দিচ্ছেন না। আদালতে হাজিরও হচ্ছেন না। উল্টো তিনি নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
    আবু বকর সিদ্দ্কি বলেন, তার ভায়রা জামাতা সাইফুল ইসলাম, সহোদর বোন রহিমা ও সহোদর ভাই মোস্তফা নুর মোহাম্মদ পবিত্র হজ্বব্রত পালনে ব্যর্থ হয়েও তাদের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাথন্ডা বাজার পরিদর্শন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কাথন্ডা বাজার পরির্দশন করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম।

    গত বুধবার সকালে এ পরিদর্শনে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।

    এসময়ে বাজারের হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বাসী পঁচা খাবার রাখা, ওজনে কম দেওয়া, মিস্টির প্যাকেট ও দইয়ের খুলির অস্বাভাবিক ওজন, ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ না করাসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এসময়ে মিলন মিষ্টান্ন ভান্ডার ও আমজাদ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৪৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময়ে জনগনকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করা হয়।

  • অভ্যান্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহের উদ্বোধন

    শহর প্রতিনিধি: অভ্যান্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহর উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা খাদ্য গুদাম অফিস চত্বরে রাইচ মিল মালিক সমিতি ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের নিয়ে ফিতা কেটে চাল সংগ্রহ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসোন।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা খাদ্য গুদাম চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন, জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জেলা মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, আব্দুল গফ্ফার, মশিউর রহমান প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামান। এবার জেলা থেকে চার হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হবে।

  • সাতক্ষীরার কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি আজ মৃতপ্রায়

    সাতক্ষীরার কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি আজ মৃতপ্রায়

    ডেস্ক রিপোর্ট: কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি (কদমতলা খাল) অপরিকল্পিত উন্নয়ন ব্যাবস্থাপনা ও দখলবাজীর কবলে পড়ে আজ প্রবাহ হারিয়ে মৃত খালে পরিণত হয়েছে। ফলে সাতক্ষীরা সদরের পশ্চিমাংশের পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত ও জলবায়ু পরিবর্তন ঝুকি মোকাবেলায় জলাধার তৈরিতে এ নদীকে সংস্কার করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

  • মিথ্যে অপহরণ মামলা থেকে অব্যহতি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
    আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
    তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।মিথ্যে অপহরণ মামলা থেকে অব্যহতি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
    আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
    তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সংবাদ সম্মেলনে অসহায় বিধবার আকুতি আমার দোকানঘর ফিরিয়ে দিন

    শহর প্রতিনিধি: সদ্য বিলুপ্ত জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক অসহায় বিধবা তার দোকানঘর ফেরত পাওয়ার দাবি জানান। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের ইটাগাছা পশ্চিমপাড়ার মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগম।
    তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী বেঁচে থাকাকালীন সুলতানপুর বড় বাজারের খাল ধারে মাছপট্টি সংলগ্ন এলাকায় কোবলা মূলে ক্রয়কৃত নিজ ভোগদখলীয় জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর সুলতানপুর বড়বাজার এলাকার আমির চাঁদ খানের ছেলে হেলাল উদ্দীন উক্ত দোকানটি মৌাখিকভাবে মাসিকভাড়া দেওয়ার শর্তে নেন। বিষয়টি সুলতানপুর বড়বাজারের ব্যবসায়ী নেতাসহ আশে পাশের সকল দোকানদাররা জানেন। দীর্ঘদিন ধরে হেলাল আমার ঠিকমত ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। হঠাৎ গত ৫/৬ মাস ধরে তিনি আর কোন ভাড়া না দিয়ে বকেয়া ফেলে রাখেন। এক পর্যায়ে গত ৩ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনকে নিয়ে ভাড়া চাইতে গেলে তিনি বলেন আর কোন টাকা দিতে পারবোনা, যা দিয়েছি এই পর্যন্ত শোধ। এ সময় আমরা তাকে দোকান ছেড়ে দিতে বললে তিনি জানান, এটি এখন তাঁতী লীগের অফিস, এই দেখো সাইন বোর্ড, এই ঘর আর তোদের নাই, এই ঘর এখন আমাদের দখলে। ‘দেখবি তোদের মজা দেখাবো’ এই বলে তিনি জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর শাহিনের কাছে ফোন করলে তিনি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সেখানে হাজির হন। এরপর হেলাল উদ্দীন মীর শাহিনের উপস্থিতিতে তার ইঙ্গিতে আমাদের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে ও আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনকে মারপিট করেন। খবর পেয়ে এ সময় আমাদের প্রতিবেশী মাহমুদ হোসেন ক্যাপ্টেন তাদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে গেলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হেলাল উদ্দীনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
    তিনি আরো বলেন, সদ্য বিলুপ্ত হওয়া তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর শাহিনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে আমাদের দীর্ঘদিনের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় দোকান ঘরটি যার বৈধ কাগজ পত্র থাকা শর্তেও তাঁতী লীগের সাইনবোর্ড তুলে তা দখলের জোর প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অথচ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে গত ৬ মে রোববার তারা হেলাল উদ্দীনকে দিয়ে জেলা তাঁতী লীগের বর্তমান সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    তিনি এ সময় ভরাক্রান্ত মনে বলেন, আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুনের দুটি ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করাতে না পেরে আমরা অসহায় জীবনযাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি তার দোকানঘরটি ফেরত পেতে ও ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছেলে শাহাবুদ্দিন, শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুন, মেয়ে রওশানারা, মজিদা বেগম প্রমুখ।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাছখোলা বাজার পরিদর্শন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদরের মাছখোলা বাজার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম। গত সোমবার এ পরিদর্শন কার্যক্রমে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।

    এ সময়ে বাজারে বিক্রয় পন্যে মেয়াদহীন ও উত্তীর্ণ খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বাসী পঁচা খাবার রাখা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এসময়ে মোহম্মদ আলী স্টোর, আলমগীর স্টোর ও শরিফুল মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৩৭, ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৩৫০০ টাকা জরিমানা। এসময়ে জনগনকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন দোকান ও বোরহান বেকারী পরিদর্শন করা হয়।