Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 111 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইচিপ’র কার্যক্রম স্থগিত

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইচিপ’র কার্যক্রম স্থগিত

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ণ চিকিৎক পরিষদ(ইচিপ) এর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গত ২৪ মে’ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এস জেড আতীক স্বাক্ষরিত এক পত্রে অনিবার্য কারণবশত গত ২২মে১৮ তারিখে গঠিত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন।

  • জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে ১২ মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৪৪

    জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে ১২ মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৪৪

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ১২ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

    গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে ।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ১৩ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • বাঁকালে গুলিবিদ্ধ ২ লাশ উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঁকালে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি তারা মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে তারা নিহত হয়েছে।


    সোমবার ভোরে সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের বাঁকালের আগুনপুর গ্রামে রাস্তার পাশে লাশ দুটি পড়ে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে ।

    গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গি এলাকার মৃত এরাদ আলী মিস্ত্রীর ছেলে ইমদাদুল হক(৪৮) ও সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষিদাড়ি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে খলিলুর রহমান পুটে (৪৬)।

    তবে নিহত ইমদাদের ভাই মফিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন জানান, ইমদাদকে সাদা পোশাকধারী কয়েক ব্যক্তি গত বুধবার রাতে তারাবীর নামাজের পরপরই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে ছাড়ানোর জন্য তারা খোঁজ খবরও নেন সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। তবে তাদের বলা হয় গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করেনি। এ ব্যাপারে তারা থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন।

    সদর থানার উপ-পরিদর্শক প্রবীর কুমার দাস জানান, আজ ভোরে খবর আসে যে বাঁকালের পাশে আগুনপুরে দুটি লাশ পড়ে রয়েছে। আমি দ্রুত সেখানে পৌছায়। লাশ দুটির প্রত্যেকের দেহে একটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদের পরনে ছিল লুঙ্গি ও গেঞ্জি। মাত্র ১০ গজের ব্যবধানে লাশ দুটি পড়ে ছিলো। লাশের পাশেই পাওয়া গেছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল। এ ছাড়া মদের খালি বোতলও পাওয়া গেছে।

    উপ-পরিদর্শক প্রবীর কুমার দাস আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে তারা মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে উক্ত দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। ময়না তদন্তের জন্য লাশ দুটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য ও মানবতার কবি

    কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য ও মানবতার কবি

    শহর প্রতিনিধি: ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতার শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি স্বভাবকবি, হৃদয়নির্ভর, রোমান্টিক কবি। তিনি সফল কবি-পুরুষ। তার জন্য বাঙালি মুসলমানরা পেল বাংলা সাহিত্যের যোগ্য অংশীদারিত্ব। বাঙালি পেল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নিরপেক্ষ ব্যক্তিত্ব। কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য ও মানবতার কবি। কবি নজরুল ইসলাম কবিতা, গান, গজল ও নাটকের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণের কথা বলেছেন’।
    গতকাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান, এডিএম অনিন্দিতা রায়। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারি অধ্যাপক অলিউর রহমান, তালা সরকারি কলেজের সহযোগি অধ্যাপক আশুতোষ সরকার, সহকারি অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেনরী সরদার, আবৃত্তিকার মনিরুজ্জামান ছট্রু, কষ্ঠশিল্পী শামীমা পারভীন রত্মা, কণ্ঠশিল্পী আবু আফ্ফান রোজ বাবু, শামীমা পারভীন রত্মা, মনজুরুল হক, মো. শহিদুল ইসলাম, তৃপ্তি মোহন মল্লিক, পল্টু বাশার, চৈতালী মুখার্জী, মণ¥য় মনির, শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসাইন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন।

  • তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রত্যাহার করতে হবে

    শহর প্রতিনিধি: সংবিধানে বলা হয়েছে জনগন সকল ক্ষমতার মালিক। প্রশাসনিক ব্যাক্তিরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। জনতার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর আচারণ জনগণের প্রতিনিধিদের মর্যাদা ও সম্মানহানীর কারণ হলে অপমানিত হয় জনসাধারণ। যা তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আচরণে মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হয়েছে। ফলে স্থানীয় জনগণের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় তালার সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদমুখর হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জনপ্রতিনিধিদের দাবি অবিলম্বে নির্বাহী অফিসারকে প্রত্যাহার করা না হলে জনতাকে সাথে নিয়ে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।
    গতকাল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে তালা উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে নির্বাহী অফিসারের অনিয়ম দুর্নীতি ও বিধিবহির্র্ভূত আচারণের তথ্য তুলে ধরেন।
    লিখিত বক্তব্যে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ তোপ দাগলেন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের সাথে যোগ দিলেন তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
    তারা ঘুষ দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা অসদাচরন ও নানা অনিয়মের কারণে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রত্যাহার দাবি করেছেন। এ ছাড়া তার স্বেচ্ছাচারের প্রতিবাদে ৩ জুন পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের যাবতীয় কাজ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। পরদিন ৪ জুন এক সমাবেশের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন । শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, দুইজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১২ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এ সময় তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ উপস্থিত থেকে তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও চেয়ারম্যানগণ বলেন, ২০১৬ সালের ৯ মে তারিখে যোগদানের পর থেকে নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন ঘুষ গ্রহণ ও নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম করছেন। ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে তিনি উপজেলা পরিষদকে ভীতিকর জায়গায় পরিণত করেছেন।
    তাকে ‘দুস্কৃতিকারী’ আখ্যায়িত করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৪ জুন মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি কয়েকজন চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে উদ্যত হন। এমন কি তাদেরকে আটকে রেখে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন।
    অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, নির্বাহী অফিসার আইন কানুনের তোয়াক্কা না করেই নিজের খেয়াল খুশীমতো যাবতীয় সিদ্ধান্ত পরিষদের ওপর চাপিয়ে দেন। বিভিন্ন প্রকল্প এবং ইজারাসহ নানা খাতে তাকে নির্ধারিত ঘুষ দিতেই হয়। তিনি বিনা কারণে জনপ্রতিনিধিদের সাথে অসদাচরণ করেন। এমনকি কথায় কথায় তেড়ে আসেন।
    এ প্রসঙ্গে তারা তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, উপজেলা মৎস্য অফিসার, নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান ও ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে তার অসৌজন্যমূলক আচরণ এমনকি মারপিট করতে যাওয়ার বিষয়ও তুলে ধরেন।
    সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ইউএনও ফরিদ হোসেন তালা উপজেলার সাড়ে পাঁচ লাখ জনগোষ্ঠীর কাছে এখন এক আতংক হিসাবে দেখা দিয়েছেন। তার সাথে বসে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার কোনো পরিবেশ নেই। সংবাদ সম্মেলনে তালা উপজেলার ১২ টি ইউনয়নের চেয়ারম্যানগন ছাড়াও দুই ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকতিয়ার হোসেন ও জেবুন্নেসা খানম এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের চার সদস্য ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন।
    তবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছর জুন মাস আসতেই পরিষদের কয়েকজন সদস্য কিছু অনিয়মতান্ত্রিক কাজ আদায়ের জন্য এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। এবারও তারা একইভাবে তাদের তদবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসব কথা বলছেন। তিনি কোনো ধরনের ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত নন।’

  • ভোমরা স্থলবন্দরে ৮ ট্রাক শুকনা মরিচ মালিক বিহীন পড়ে আছে

    নিজস্ব প্রতিনিধি: গত একমাস সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ০৮ ট্রাক শুকনা মরিচ (ঝাল) অবৈধভাবে আমদানি হয়ে ইয়াডে পড়ে আছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই পন্যের প্রকৃত কাগজপত্র ও মালিক কাউকে পাচ্ছে না বলে দাবি করলেও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অন্য রকম। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘কাস্টমস ইয়ার্ড ও ব্যবসায়ী যোগসাজস করে উক্ত ঝাল বন্দরে প্রবেশের পর তা জানাজানি হওয়ায় কেউ দায় দায়িত্ব না নেয়ায় এখন আর মালিক খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ৩১ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির টার্গেট ভেস্তে যেতে বসেছে এই চক্রটির।’ ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা বখতিয়ার আহম্মেদ গত বুধবার রাতে গনমাধ্যমকে জানান, গত মাসের ২৬ ও ২৮ তারিখে ৪ ট্রাক করে মোট ৮ ট্রাক শুকনা ঝাল বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর ওই ঝালের ট্রাক আজও ইয়ার্ডের মধ্যে অবস্থান করছে। বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র কেউ দাখিল করেননি বলে জানান। এমনকি কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট এই পন্যটি প্রবেশ করিয়েছে তাও বলতে পারে না কাস্টম ও ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিষয়টি নোট থাকার কথা থাকলেও সেখানেও তেমন কোন তথ্য মিলছে না। ভোমরা বন্দরের একজন ব্যবসায়ী (ঝাল আমদানিকারক) জানান, প্রতিটি ট্রাকে ১৮ টন করে ঝাল রয়েছে। প্রতি টনে সরকার রাজস্ব পায় ২১ হাজার ৩৪৫ টাকা। সে হিসেবে ৮টি ট্রাকে থাকা ঝাল থেকে সরকার রাজস্ব পাবে প্রায় ৩১ লাখ টাকা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কাস্টমস, ইয়ার্ড, আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট যৌথভাবে এই পন্য পরিকল্পনা করে অবৈধভাবে প্রবেশ করায়। কিন্তু যে কারণেই হোক দরদামের মিটমাট না হওয়া এবং বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এখন আর এই পন্যের মালিক মিলছে না।’ সার্বিক বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা।

  • ঘরে ফিরতে পারেনি অনেকেই

    ঘরে ফিরতে পারেনি অনেকেই

    ঘূর্ণিঝড় আইলার ৯ বছরে খুলনার কয়রা উপজেলার শত কিলোমিটার ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ অধিকাংশই অরক্ষিত থাকায় যে কোন মহুর্তে ঘটে যেতে পারে আরও একটি আইলা। ৯ বছর আগে জৈষ্ঠের এক দুপুরে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকুলবর্তী এলাকায় আঘাত এনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সে দিন সামুদ্রিক জলোচ্ছাসে উপকূল এলাকায় ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ ভেঙ্গে প্রবাল জোয়ারে লবন পানি ঢুকে পড়ে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে এবং ভেসে যায় হাজার হাজার ঘরবাড়ী, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ পানিতে ভেসে মারা যায় বৃদ্ধ ও শিশু সহ ৪১ জন। ধ্বংস হয় অধিকাংশ পাকা ও কাচা রাস্তা তবে ক্ষতির পরিমাণ আজও প্রকাশ করেনি সরকারি অথবা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান। এছাড়া গৃহ হারা অনেকেই আজও বাস করছে ওয়াপদা বেঁড়ীবাঁধ অথবা সরকারি কোন জায়গায়। ২৫ মে ২০০৯ দুপুরে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে আইলার পানিতে ভেসে যায় কয়রা সদর, মহারাজপুর, উঃবেদকাশি, দঃবেদকাশি, মহেশ্বরীপুর ও বাগালী ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে অনেক এলাকায় আইলার স্মৃতি এখনও বহন করে চলেছে রাস্তাঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির ও নিম্ম মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরবাড়ী। এছাড়া উল্লেখযোগ্য ভাবে আইলার স্মৃতি আজও বয়ে চলেছে সর্বনাসা পবনা বাঁধের পাশ্ববর্তী পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামে। এখানে প্রতাপ স্মরণী হাইস্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ উত্তরচক কামিল মাদ্রাসায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম খেয়া নৌকা পারাপার। অথচ পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামের এই রাস্তাটি ইট বিছানো পাকা রাস্তা ছিল এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় চলাচল করত প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হজার মানুষ কিন্তু সেখানে এখন ৪০ থেকে ৫০ ফুট পানি থাকায় পাশাপাশি ৩ টি খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শতশত কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে এসব খেয়া নৌকায় পারাপার হতে। কিন্তু আইলার ৯ বছর পরও নির্মাণ হয়নি মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামের এই রাস্তাটি। অনুরুপ আইলায় গৃহহারা হয়ে ৪নং কয়রা লঞ্চঘাটের পাশে, পবনা, দশাহালিয়া ও পাতাখালী গ্রামে বেঁড়ীবাঁধের উপর আজও অনেকেই বাস করছে। অপর দিকে উপজেলার কপোতাক্ষ, শাকবাড়ীয়া ও কয়রা নদীর শত কিলোমিটার ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ অধিকাংশ এলাকায় ঝুকিপূর্ণ হলেও সরকারি বরাদ্ধ না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধের মধ্যে দঃ বেদকাশি জোড়শিং, আংটিহারা, মাটিয়াভাঙ্গা, চরামুখা ও খাসিটানা। উঃ বেদকাশি ইউনিয়নের গাববুনিয়া, কাটকাটা, গাজী পাড়া, গাতিরঘেরি ও কাটমারচর। কয়রা ইউনিয়নের মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ২নং কয়রা, হরিণখোলা ও ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট। মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ী, দশহালিয়া, আটরা, গোবিন্দপুর ও লোকা। মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শেখ পাড়া, নয়ানি, হড্ডা ও কালীবাড়ী লঞ্চঘাট। এসব এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে আমাবশ্যা ও পূর্ণিমায় অধিক জোয়ারের সময় অনেক স্থান দিয়ে বেঁড়ীবাঁধ ছাপিয়ে লবন পানি ভেতরে প্রবেশ করে। এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধের যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দরকার সে পরিমাণ অর্থ না পাওয়ায় অনেক এলাকা অরক্ষিত রয়েছে। তিনি বলেন জরুরি কোন বরাদ্দ এই মহুর্তে না থাকায় ক্ষতি গ্রস্থ এলাকার জন্য অর্থ চাওয়া হয়েছে কিন্তু অর্থ পেতে দেরি হওয়ায় এবং চাহিদা মত অর্থ না পাওয়ায় সময় মত কাজ করা সম্ভব হয় না। উপজেলা চেয়ারম্যান মাওঃ আখম তমিজউদ্দীন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন ইউনিয়নের বেঁড়ীবাঁধের ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে সচিব মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, সচিব মহোদয় কয়রা উপজেলার ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধ পরিদর্শনের জন্য খুব শীঘ্রই কয়রা উপজেলায় আসবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়নে এবং স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা জানান,বিভিন্ন ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এবং গৃহহারাদের সেখানে পূর্ণবাসন করা হবে। তবে দঃ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান কবি শামছুর রহমান জানান তার ইউনিয়নে চারদিকে নদী বেষ্ঠিত এবং অধিকাংশ বাঁধ অরক্ষিত থাকায় ইউনিয়নের ৩২ হাজার জনগণ সব সময় আতঙ্কের মধ্যে আছে। অথচ পাউবোর কর্মকর্তাদের বার বার জানানো সত্বেও গুরুত্ব না দেওয়ায় যে কোন মহুর্তে ভেসে যেতে পারে সমগ্র ইউনিয়ন।

  • পুনর্বাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনপদের হাজার হাজার পরিবার

    পুনর্বাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনপদের হাজার হাজার পরিবার

    আজ ভয়াল ২৫ মে। সর্ব গ্রাসী আইলার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উপকূলজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত হাজার হাজার পরিবার এখনও পূর্নবাসিত হয়নি। আশ্রয়হীন জনপদে এখনও চলছে অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান ও খাবার পানির জন্য তীব্র হা-হা-কা-র। সর্বগ্রাসী আইলা আজও উপকুলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাজার, হাজার মানুষকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

    জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ মে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট সর্বনাশা ‘আইলা’ আঘাত হানে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনপদে। মুহুর্তের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও খুলনা জেলার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার উপকুলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ল-ভ- হয়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪-১৫ ফুট উচ্চতায় সমুদ্রের পানি এসে নিমিষেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ, হাজার হাজার গবাদী পশু আর ঘরবাড়ি। ক্ষণিকের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়ে লাখো পরিবার।

    লক্ষ লক্ষ হেক্টর চিংড়ি আর ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় উপকুল রক্ষা বাঁধ আর অসংখ্য ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বনাশা ‘আইলা’র আঘাতে শুধু সাতক্ষীরায় নিহত হয় ৭৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আর আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। প্রলংয়করী আইলা আঘাত আনার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর ও আশশুনির প্রতাপনগর এলাকায় মানুষের হাহাকার এতটুকু থামেনি। দু‘মুঠো ভাতের জন্য জীবনের সাথে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। আইলার পর থেকে এসব এলাকায় সুপেয় পানি সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। খাবার পানির জন্য ছুটতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল।

    আইলা কবলিত এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, উপকূলীয় বেড়িবাঁধ এখনও ঠিকমত সংস্কার হয়নি। ফলে উচ্চ বিত্ত থেকে শুরু করে নিম্মবিত্ত সবাই চালাচ্ছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত এ বিশাল জনপদে খুবইকম সংখ্যক সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

    আইলা’র ভয়াবহতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ও গাবুরা ইউনিয়নে বসবাসরত মানুষের চোখে মুখে এখনও ভয়ংকর সেই স্মৃতি। আইলার আঘাতের পর থেকে গোটা এলাকা উদ্ভীদ শুন্য হয়ে পড়ে।

    কৃষি ফসল ও চিংড়ী উৎপাদন বন্ধ থাকায় গোটা এলাকাজুড়ে তীব্র কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিয়েছে। কর্মহীন মানুষ অনেকেই এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে বাইরে চলে গেছে। অপরদিকে, বনদস্যুদের অত্যাচারে সুন্দরবন, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর উপর নির্ভরশীল এ এলাকার মানুষের জীবন যাপন দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

    ফলে বিকল্প কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারছেননা উপকূলীয় এ জনপদের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। আইলার পরপরই কিছু সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কাজের বিনিময় খাদ্য প্রকল্পের কাজ হলেও এখন আর কোনো কাজ হচ্ছে না। আর এ কারণেই ক্রমে ক্রমে বাড়ছে দরিদ্র ও হত দরিদ্রের সংখ্যা।
    এদিকে, আইলার ৯ বছর অতিবাহিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধগুলোর ভয়াবহ ফাঁটল দেখা দেয়ায় এবং সংস্কার না করায় সামান্য ঝড় কিম্বা বৃষ্টিতে ঝূঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে এ জনপদের কয়েক লাখ মানুষের। তাই উপকূলীয় এ জনপদের মানুষের সরকােেরর কাছে দাবি টেকসই উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও বেকার জনগোষ্ঠির কর্মস্থানের ব্যবস্থা করা।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভার খসড়া বাজেট পর্যালোচনা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় শীর্ষক সভা

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম সাতক্ষীরা শহর উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক পৌর বাজেট ২০১৮-১৯ প্রণয়নে আরআইইউডি প্রকল্প জিআইজেডের সহায়তায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা পৌরসভার আসন্ন খসড়া বাজেট পর্যালোচনা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় শীর্ষক শহর পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র মো. তাজকিন আহমেদ চিশতী।

    এসময় পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ বলেন, পৌর-সেবাসমূহ নাগরিকদের কাছে সহজপ্রাপ্য করা, পৌরসভার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পৌর সম্পদ সমূহের সুষম বন্টন ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণমূলক পৌর-বাজেটের গুরুত্ব অপরিসীম। মেয়র জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে জিআইজেড বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাতক্ষীরা পৌরসভার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্যে জিআইজেড ও জার্মান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    তিনি সাতক্ষীরা শহরকে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিউ মার্কেট থেকে রাজ্জাক পার্ক পর্যন্ত রাস্তার ডিভাইডার, রাজ্জাক পার্কের সৌন্দর্য বর্ধন, প্রাণসায়ের খালের পাশের রাস্তার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনার কথা বলেন এবং বাস্তবায়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    সভায় সকল কাউন্সিলরগণ, টিএলসিসির অন্যান্য সদস্যবৃন্দসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করে মতামত প্রদান করেন। সমগ্র অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন আরআইইউডি প্রকল্প জিআইজেড’র উপদেষ্টা রতন মানিক সরকার। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে জিআইজেডের সহায়তায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক পৌর মেয়র এর সভাপতিত্বে সকল ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি প্রাক বাজেট সংলাপ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি নিরসনে দরিদ্র এলাকা/বস্তি ভিত্তিক জলবায়ুপরিবর্তন অভিযোজনে অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়।সি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম সাতক্ষীরা শহর উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক পৌর বাজেট ২০১৮-১৯ প্রণয়নে আরআইইউডি প্রকল্প জিআইজেডের সহায়তায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা পৌরসভার আসন্ন খসড়া বাজেট পর্যালোচনা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় শীর্ষক শহর পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র মো. তাজকিন আহমেদ চিশতী। এসময় পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ বলেন, পৌর-সেবাসমূহ নাগরিকদের কাছে সহজপ্রাপ্য করা, পৌরসভার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পৌর সম্পদ সমূহের সুষম বন্টন ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণমূলক পৌর-বাজেটের গুরুত্ব অপরিসীম। মেয়র জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে জিআইজেড বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাতক্ষীরা পৌরসভার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্যে জিআইজেড ও জার্মান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    তিনি সাতক্ষীরা শহরকে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিউ মার্কেট থেকে রাজ্জাক পার্ক পর্যন্ত রাস্তার ডিভাইডার, রাজ্জাক পার্কের সৌন্দর্য বর্ধন, প্রাণসায়ের খালের পাশের রাস্তার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনার কথা বলেন এবং বাস্তবায়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় সকল কাউন্সিলরগণ, টিএলসিসির অন্যান্য সদস্যবৃন্দসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করে মতামত প্রদান করেন। সমগ্র অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন আরআইইউডি প্রকল্প জিআইজেড’র উপদেষ্টা রতন মানিক সরকার। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে জিআইজেডের সহায়তায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক পৌর মেয়র এর সভাপতিত্বে সকল ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি প্রাক বাজেট সংলাপ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি নিরসনে দরিদ্র এলাকা/বস্তি ভিত্তিক জলবায়ুপরিবর্তন অভিযোজনে অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়।সি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম সাতক্ষীরা শহর উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক পৌর বাজেট ২০১৮-১৯ প্রণয়নে আরআইইউডি প্রকল্প জিআইজেডের সহায়তায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা পৌরসভার আসন্ন খসড়া বাজেট পর্যালোচনা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় শীর্ষক শহর পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র মো. তাজকিন আহমেদ চিশতী।

    এসময় পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ বলেন, পৌর-সেবাসমূহ নাগরিকদের কাছে সহজপ্রাপ্য করা, পৌরসভার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পৌর সম্পদ সমূহের সুষম বন্টন ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণমূলক পৌর-বাজেটের গুরুত্ব অপরিসীম। মেয়র জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে জিআইজেড বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাতক্ষীরা পৌরসভার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্যে জিআইজেড ও জার্মান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    তিনি সাতক্ষীরা শহরকে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিউ মার্কেট থেকে রাজ্জাক পার্ক পর্যন্ত রাস্তার ডিভাইডার, রাজ্জাক পার্কের সৌন্দর্য বর্ধন, প্রাণসায়ের খালের পাশের রাস্তার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনার কথা বলেন এবং বাস্তবায়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    সভায় সকল কাউন্সিলরগণ, টিএলসিসির অন্যান্য সদস্যবৃন্দসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করে মতামত প্রদান করেন। সমগ্র অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন আরআইইউডি প্রকল্প জিআইজেড’র উপদেষ্টা রতন মানিক সরকার। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে জিআইজেডের সহায়তায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক পৌর মেয়র এর সভাপতিত্বে সকল ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি প্রাক বাজেট সংলাপ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি নিরসনে দরিদ্র এলাকা/বস্তি ভিত্তিক জলবায়ুপরিবর্তন অভিযোজনে অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়।সি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম সাতক্ষীরা শহর উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক পৌর বাজেট ২০১৮-১৯ প্রণয়নে আরআইইউডি প্রকল্প জিআইজেডের সহায়তায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা পৌরসভার আসন্ন খসড়া বাজেট পর্যালোচনা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় শীর্ষক শহর পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র মো. তাজকিন আহমেদ চিশতী।

    এসময় পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ বলেন, পৌর-সেবাসমূহ নাগরিকদের কাছে সহজপ্রাপ্য করা, পৌরসভার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পৌর সম্পদ সমূহের সুষম বন্টন ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণমূলক পৌর-বাজেটের গুরুত্ব অপরিসীম। মেয়র জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে জিআইজেড বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাতক্ষীরা পৌরসভার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্যে জিআইজেড ও জার্মান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    তিনি সাতক্ষীরা শহরকে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সক্ষম একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিউ মার্কেট থেকে রাজ্জাক পার্ক পর্যন্ত রাস্তার ডিভাইডার, রাজ্জাক পার্কের সৌন্দর্য বর্ধন, প্রাণসায়ের খালের পাশের রাস্তার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনার কথা বলেন এবং বাস্তবায়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় সকল কাউন্সিলরগণ, টিএলসিসির অন্যান্য সদস্যবৃন্দসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করে মতামত প্রদান করেন। সমগ্র অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন আরআইইউডি প্রকল্প জিআইজেড’র উপদেষ্টা রতন মানিক সরকার। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে জিআইজেডের সহায়তায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক পৌর মেয়র এর সভাপতিত্বে সকল ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি প্রাক বাজেট সংলাপ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি নিরসনে দরিদ্র এলাকা/বস্তি ভিত্তিক জলবায়ুপরিবর্তন অভিযোজনে অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়।

  • দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক স. ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন লুৎফুন্নেছা বেগম

    দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক স. ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন লুৎফুন্নেছা বেগম

    ডেস্ক রিপোর্ট: দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ স. ম আলাউদ্দীন হত্যা মামলায় আরো একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

    নিহত স. ম আলাউদ্দিনের স্ত্রী দৈনিক পত্রদূতের প্রকাশক ও সম্পাদক লুৎফুন্নেছা বেগম মামলায় ২২তম সাক্ষী হিসেবে জেরা ও জবানবন্দি প্রদান করেছেন। মঙ্গলবার জনাকীর্ণ আদালতে বিজ্ঞ দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার উক্ত জবানবন্দি ও জেরা গ্রহণ করেন। আগামী ২৯ জুন আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

    ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন দৈনিক পত্রদূত অফিসে কর্মরত অবস্থায় ঘাতকের গুলিতে প্রাণ হারান পত্রিকার সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ স. ম আলাউদ্দীন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই স. ম নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৫দিন পর পুলিশ শহরের সুলতানপুর থেকে যুবলীগ কর্মী কাজী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার এবং সাইফুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাটা রাইফেলসহ পাইপগান, বন্দুক, ইয়ারগান, গন্ধক, মোমছাল, রাইফেলের বাট, স্প্রিংসহ বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।

    দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি সুলতানপুরের সাইফুল্লাহ কিসলু (বর্তমানে মৃত) তার ভাই খলিলুল্লাহ ঝড়–, তার আর এক ভাই মোমিন উল্লাহ মোহন, আলিপুরের আব্দুস সবুর, নগরঘাটার আব্দুর রউফ, তার শ্যালক আবুল কালাম, সুলতানপুরের কাজী সাইফুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, এসকেন্দার মির্জা ও প্রাণসায়রের সফিউর রহমানকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন পিপি এড. ওসমান গনি। তাকে সহায়তা করেন এড. আজাহারুল ইসলাম ও এড. ফাহিমুল হক কিসলু। আসামী পক্ষে ছিলেন, যশোরের এড. হাসান ইমাম, এড. আব্দুল মজিদ, জিএম লুৎফার রহমান প্রমুখ।

  • না ফেরার দেশে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি

    সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত মুক্তামনি।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার সকালে বিরল রোগ হেমানজিওমায় আক্রান্ত মুক্তামনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেছে।

    মুক্তামনি তার নিজ বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামে মারা যায়। এ খবর জানাজানি হতেই সাতক্ষীরার মানুষ শোকাতুর হয়ে ওঠেন। মুক্তামনির বাড়িতে তাকে শেষ বারের মত দেখতে শতশত মানুষ সকাল থেকেই ভীড় জমাতে শুরু করেছে। মৃত্যুর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।

    উল্লেখ্য, কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে ১৩ বছরের মুক্তামনির দেহে দেড় বছর বয়সে একটি মার্বেলের মতো গোটা দেখা যায়। সেটি ধীরে-ধীরে বড় আকার ধারণ করতে থাকে। এক সময় তার ডান হাতটি একটি গাছের ডালের আকার ধারন করে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তামনির রোগের কথা প্রচারিত হলে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামনির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।মুক্তামনির চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ছয় মাসের চিকিৎসায় খানিকটা উন্নতি হওয়ায় ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর মুক্তামনিকে এক মাসের ছুটিতে বাড়ি পাঠানো হয়। বাড়ি আসার পর থেকে তার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকে। তার দেহে নতুন করে পচন ধরে। পোকা জন্মায়, রক্ত ঝরে। তার ওষুধপত্র বন্ধ হয়ে যায়। দিনে একবার করে তার ড্রেসিং করা হতো।

    মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন মুক্তামনির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, বুধবার সকাল সোয়া ৮ টার দিকে মুক্তা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। এদিকে, মুক্তামনির মৃত্যুতে সাতক্ষীরাজেলাসহ দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • বাংলাদেশের আমের রাজ্য সাতক্ষীরা

    শহর প্রতিনিধি: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহাসীন বলেন, ‘বাংলাদেশের আমের রাজ্য সাতক্ষীরা। দেশে ও বিদেশে চিংড়ির পাশাপাশি আমে যে সুনাম অর্জন করেছে এটা ধরে রাখতে হবে। সাতক্ষীরার আম, দেশ ও দেশের বাহিরের আমের চাইতে বেশি সুস্বাদু ও মিষ্টি। সাতক্ষীরার আম বিভিন্ন প্রজাতির হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা অনেক বেশি। সঠিক সময়ে এবং বালাই কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন করতে হবে আম চাষীদের।’ গতকাল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহযোগ্য বালাইমুক্ত নিরাপদ আম উৎপাদন ও বিপণন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহাসীন এ কথা বলেন। সদর উপজেলা মিলনায়তনে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং, পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আজহার আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ^াস, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সলিডারিডাড এর কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান, উত্তণের পরিচালক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, উপসহকারি কৃষি অফিসার রঘুজিৎ গুহ, আম রপ্তানীকারক মো. আবুল হোসেন, আম চাষী শিখা রাণী, শাহীন বিশ^াস প্রমুখ। কর্মশালায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহযোগ্য বালাইমুক্ত নিরাপদ আম উৎপাদন ও বিপণন বিষয় উপাস্থাপন করেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কালিগজ্ঞ উপজেলা কৃষি অফিসার ফজলুল হক মনি।

  • মৌলবাদকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে

    নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘মৌলবাদকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যে বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে।’ গত শুক্রবার সকালে জেলা শিল্পকলা একডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মশালায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড প্রফেসর ড. সুশান্ত দাস।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি ও পলিট ব্যুরোর সদস্য সংসদ সদস্য কমরেড এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিট ব্যুরোর অন্যতম সদস্য কমরেড নূর আহম্মেদ বকুল।
    সভায় বক্তারা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঘোষিত ২১ দফা আশু কর্মসূচির ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতেÑখাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা, আধনিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জবাবদিহিতাপূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, সুষম উন্নয়নে নগরায়ন ও গ্রাম উন্নয়ন, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বার বিকাশ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন, ক্ষমতার গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাধাহীন তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে পার্টির কর্মীদের করণীয় সম্পর্কে গঠনমূলক বক্তব্য রাখেন।
    কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মোহিবুল্লাহ মোড়ল, সম্পাদকম-লীর সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক সাবীর হোসেন, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, সদস্য যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সরদার, স্বপন কুমার শীল, আব্দুল জলিল মোড়ল, অধ্যাপক পাল সুভাশীষ, নাসরিন খান লিপি, মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, নির্মল মন্ডল, ইঞ্জিনিয়ার আবেদুর রহমান প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরার আম ইউরোপের পথে

    সাতক্ষীরার আম ইউরোপের পথে

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার আম বিদেশ পথে যাত্রা শুরু করেছে। শনিবার সদর উপজেলা ধুলিহর গ্রামের আমচাষি জাহাঙ্গীরের বাগান থেকে হিমসাগর আম রফতানির মধ্যদিয়ে এ যাত্রার শুরু। দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আমের এ বিদেশ যাত্রা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের পরিচালক ড. আজাহার আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস, সাতক্ষীরা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান, সলিডারিডাডের কান্ট্রি ডিরেক্টর সেলিম রেজা হাসান প্রমুখ।
    চলতি মৌসুমে আমচাষি জাহাঙ্গীরের বাগান থেকে চার মেট্রিক টন আম রফতানির মধ্য দিয়ে জেলার আম রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়। এসব আম যাচ্ছে ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও স্পেনে। একই সঙ্গে পাওয়া যাবে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে।
    রফতানি মৌসুমের প্রথম দিনেই আম পাঠাতে পেরে আমচাষি জাহাঙ্গীর হোসেন এক গণমাধ্যমকে বলেন, গত মৌসুমের শেষ দিন থেকেই চলতি মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে বিষমুক্ত আম উৎপাদন ও রফতানি করে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি আরও বলেন, প্রতি মণ আম তিন হাজার ২৫০ টাকা দরে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে কিনেছে। লোকাল বাজারে যা দুই হাজার ২০০ টাকা।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া আম উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী। এ জেলার আম অন্যান্য জেলার চেয়ে ১৫-২০ দিন আগে পাকে। খেতেও বেশ স্বুস্বাদু। তাই রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জকে পেছনে ফেলে রফতানির বাজারে বিশেষ গুরুত্ব পায় সাতক্ষীরার ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি আম। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় ৪০ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য চার হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পাঁচ হাজার ২৯৯টি বাগান।

    দেশের খাদ্য উৎপাদনের চিত্র পাল্টে দিতে পারে ‘লেবুয়াত ধান’

    ডেস্ক রিপোর্ট: বাগেরহাটের কৃষক লেবুয়াত শেখ উদ্ভাবিত ‘লেবুয়াত ধান’ পাল্টে দিতে পারে দেশের খাদ্য উৎপাদনের চিত্র। আর এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা। এমনটাই মনে করছে বাগেরহাটের সাধারণ কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
    সম্প্রতি এমন একটি বিস্ময়কর জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের কৃষক লেবুয়াত শেখ। আর এই বিশেষ জাতের ধানের খবর ছড়িয়ে পড়ায় কৃষক লেবুয়াত শেখের বাড়ি ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক সাধারণ মানুষ।
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই ধানের খবর ছড়িয়ে পড়ায় অন্যান্য জেলা থেকেও কৃষকরা এই ধানের বীজ সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয়রা নতুন এই জাতের ধানের নামকরণ উদ্ভাবক কৃষক লেবুয়াত শেখের নাম অনুসারে ‘লেবুয়াত ধান’ করেছেন।
    এই ধান কেজিপ্রতি ৪’শ টাকা দরে অনেকে সংগ্রহ করেছেন। এখনও তার বাড়িতে শত শত কৃষক এই ধানের বীজ সংগ্রহ করতে ভিড় জমাচ্ছেন। শুধু সাধারণ কৃষক নয় নতুন এই জাতের ধান নিয়ে উৎসুক বাগেরহাটের কৃষি বিভাগও।
    মাত্র ৩ ছড়া (ধানের শীষ) ধান দুই বছরে বেড়ে হয়েছে প্রায় ১‘শ মণ। খোদ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই জাতের ধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দিলে পাল্টে যাবে খাদ্য উৎপাদনের চিত্র।
    কৃষি বিভাগের মতে, ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের একজন আদর্শ কৃষক লেবুয়াত শেখ।
    প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ধান ও মাছের চাষ এবং মাছের ব্যবসা করে জীবন ধারণ করেন। স্থানীয় বেতাগা বাজারে তার একটি মাছের আড়তও রয়েছে। তিনি ও তার স্ত্রী স্থানীয় আইপিএম ক্লাবের সদস্য।
    কৃষক লেবুয়াত শেখ জানান, ২০১৬ সালে তিনি বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ক্ষেতে আফতাব-০৫ জাতের হাইব্রিড ধানের চাষ করেন। মাঠে ধান কাটতে থাকা দিনমজুরদের তার মা ফাতেমা বেগম পানি খাওয়ানোর জন্য যান। এসময় তিনি (ফাতেমা বেগম) সেই ধানের ক্ষেতের মধ্যে একটি তুলনামূলকভাবে অনেক বড় ধানের শীষ (ছড়া) দেখতে পান। তিনি আর একটু সামনে গিয়ে আরো দু‘টি শীষ দেখতে পান। এই শীষগুলো নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। পরে তিনি এই ধানগুলো সংরক্ষণ করার জন্য লেবুয়াতকে নির্দেশ দেন।
    ২০১৭ সালে মাত্র ১ শতক জমিতে তিনি ওই ধান রোপন করে সেখান থেকে ২.৫ কেজি বীজ সংগ্রহ করেন। এবছর তিনি ৭৫ শতক জমিতে সেই ধান রোপন করেন। ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথম থেকেই তিনি কাজ করছেন বলে জানান।
    লেবুয়াতের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘দুই বছর আগে ধানের ভেতর পাওয়া একটি বড় ধরনের ধানের বাইল (শীষ) একটি কাচের বোতলে সংরক্ষণ করি। পরের বছর এই ধান থেকে ৩ আঁটি পোতা হয়। সেখান থেকে যে ধান হয় তা আবার পরের বছরের জন্য বীজ হিসেবে রেখে দেই। সেখান থেকে আজ এতগুলো ধান হয়েছে।
    সরেজমিনে গিয়ে ও কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ধানের গাছ, ফলন, পাতা, শীষ সবকিছু অন্য যেকোনো জাতের ধানের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি গোছে একটি চারা রোপণ করা হয়। যা বেড়ে ৮/১২টি হয়েছে। প্রতিটি ধান গাছ ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। এক একটি ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬- ৪০ সেন্টিমিটার। প্রতি ছড়ায় দানার সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১২‘শটি। যার ওজন ৩০-৩৫ গ্রাম। ধানগাছের পাতা লম্বা ৮৮ সেন্টিমিটার, ফ্লাগলিপ ( ছড়ার সাথের পাতা) ৪৪ সেন্টিমিটার। ধানগাছের পাতা চওড়া দেড় ইঞ্চি। এই জাতের গাছের কা- ও পাতা দেখতে অনেকটা আখ গাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। একর প্রতি ফলন প্রায় ১৩০ মণ। অন্য যেকোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।
    অপরদিকে আফতাব-০৫ জাতের হাইব্রিড ধান প্রতি ছড়ায় ১৮০ থেকে ২৫০টি দানা হয়। এই ধানের বীজ প্রতিবারই বাজার থেকে কিনতে হয়। হেক্টর প্রতি এই ধান উৎপাদন হয় ৫ টন। একই জমিতে কৃষক লেবুয়াত উদ্ভাবিত জাতের ধানের উৎপাদন ১১ টন।
    চাকুলী গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, এই ধান নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা অসম্ভব। মাত্র ৩টি শীষ থেকে আজ ৭৫ শতক জমিতে এই ধানের চাষ করেছেন লেবুয়াত। আর এই ভিন্ন জাতের ধান দেখতে প্রতিদিনই অনেক লোক বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন। এবং তারা ধান সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তিনি সরকারিভাবে কৃষক লেবুয়াতের নামেই এই ধানের নামকরণের জন্য সবার কাছে দাবি জানান।
    কৃষানী রীনা বেগম জানান, সকলের আগ্রহ এখন লেবুয়াতের ধানের দিকে। এই ধান বীজ হিসেবে সংগ্রহ করতে প্রতিদিনই অনেক লোক আসছে। তিনি নিজেও প্রতিকেজি ৪শ টাকা দরে ৪ কেজি ধানের বীজ কিনেছেন বলে জানান।
    স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোলায়মান আলী জানান, প্রথমে তারা লেবুয়াতের ধানের ক্ষেতে গিয়ে ধানের নমুনা দেখে অবাক হয়ে যান। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে তার পরামর্শে লেবুয়াতকে হাতে কলমে ও সর্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হয়।
    ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোতাহার হোসেন জানান, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে খবর পেয়ে তিনি নিজে সার্বক্ষণিক এই ধানের ক্ষেতে বিশেষ নজরদারি করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা লেবুয়াতের এই ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কৃষক লেবুয়াতের উদ্ভাবিত এই বিশেষ জাতের নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি অনেক বেশি লবণ সহিষ্ণু জাত। গাছের কা- অনেক বেশি মোটা ও শক্ত, ফলে ঝড়ে হেলে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বৈরী আবহাওয়ায়ও পাতায় কোনো স্পট নেই। এই জাতের ধানের শীষ ( বাইল) অনেক বেশি লম্বা।
    গবেষণা করে এটি যদি কৃষকদের জন্য উপযোগী হয় তাহলে সারাদেশে এই জাত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
    বাগেরহাট জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, কৃষক পর্যায়ে উদ্ভাবিত এটি একটি নতুন জাতের ধান। এই ধান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালনো হচ্ছে। কৃষক পর্যায়ে যে এত উন্নত ধরনের ধান উদ্ভাবন হয়েছে তা স্থানীয়দের মাঝে চমক সৃষ্টি হয়েছে। বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির মাধ্যমে এটি ছাড় করানোর ব্যবস্থা করা হবে।

  • দেশের বাইরে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম

    দেশের বাইরে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আম আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

    জেলায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আমের বাজারজাতকরণের জন্য।


    গত ৪ বছর যাবৎ সাতক্ষীরার আম রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সাতক্ষীরার আম। আজ শনিবার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আম রপ্তানি কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা প্রক্রিয়াগত কোনো জটিলতা তৈরি না হলে শনিবার থেকেই রপ্তানি শুরু হবে সাতক্ষীরার আম। যা যাবে ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক, জার্মানি, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

    সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের অনুকূল হওয়ায় অন্যান্য অঞ্চলে উৎপাদিত আমের চেয়ে সাতক্ষীরার আম বেশি সুস্বাদু। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় সাতটি উপজেলায় চলতি বছরে প্রাায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১১৯৫ হেক্টর জমিতে, কলারোয়া উপজেলায় ৬০২ হেক্টর, তালা উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ৩৬৮ হেক্টর, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ১২৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।

    এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে আমের বাগন রয়েছে ১৫৩০টি, কলারোয়ায় ১৩১০টি, তালায় ১৪৫০টি, দেবহাটায় ৪৭৫টি, কালিগঞ্জে ১৪২টি, আশাশুনিতে ১৯০টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০টি আমের বাগান রয়েছে।

    এ জেলায় গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, ক্ষিরসরাইসহ নানা জাতের আম বাগান রয়েছে। আমের পরিচর্যার জন্য নানামুখী কর্মযজ্ঞে মেতে উঠেছে জেলার শত শত মৌসুমী শ্রমিক। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৭’শ মেট্রিক টন।

    কলারোয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছর কলারোয়া উপজেলা থেকে ৪০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানী হয়েছিল। যা অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশী। এবার এ উপজেলা থেকে ৮০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানী করা হবে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    কলারোয় উপজেলায় আমের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার বাউড়ি বেলতলা ও সিংগা বাজার।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, কলারোয়ার সিংগা আমবাজারে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম বাজারজাত করণের লক্ষ্যে আমের পাইকারী বাজার বসেছে। এই বাজারের আমে কোন রাসায়নিক মেশানো হয় না।

    উপজেলার সিংড়া বাজার আম ব্যবমসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ জানান, এখানকার পাইকারী বাজার থেকে আম কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান করছেন। তিনি আরো জানান, চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট, রাজশাহী, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আম ব্যবসায়ীরা বর্তমানে এখানে অবস্থান করছেন। এখানকার আম ইউরোপেও রপ্তানি হচ্ছে।

    কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন জানান, কলারোয়া উপজেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই আমে যাতে কোন রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয় না হয় সেজন্য আম চাষীদের নিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

    তিনি আরো জানান, আম ব্যবসায়ী ও আম চাষিদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক ঋণের সুবিধা দিলে তারা আরও ভালোভাবে আম চাষ ও আমের ব্যবসার প্রসার বাড়িয়ে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচারক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান জানান, গত চার বছর ধরে এ জেলার আম ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার মেট্রিকটন আম এবারও ইউরোপের বাজারে রপ্তানী হবে।

  • আজ থেকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান

    আজ থেকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান

    ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের আকাশে গত বুধবার কোথাও পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রোজা।
    শুক্রবার রোজা রাখার মধ্য দিয়ে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। এই প্রেক্ষিতে, আগামী ১২ জুন দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।
    গত বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
    সভাশেষে ধর্মমন্ত্রী দেশবাসীকে রমজানের শুভেচ্ছা এবং মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
    বুধবার দেশের কোথাও রমজানের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষরাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সাহ্রি খান।
    ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার পবিত্র রমজান মাসের রহমতের প্রথম ১০ দিনের প্রথম দিন।
    সাতক্ষীরায় বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাত ৩টা থেকে শুরু হয়ে ৩টা ৫৪ মিনিটে সাহ্রির সময় শেষ হবে। ইফতার হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে।
    বাংলাদেশের আকাশে বৃহস্পতিবার কোথাও ১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৭ মে বৃহস্পতিবার পবিত্র শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছে। আজ ১৮ মে শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হয়েছে। প্রেক্ষিতে, আগামী ১২ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।

  • জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশ্ব মা দিবস পালিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    সদর উপজেলা:
    সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। শহরের মীর মোকছেদ আলী কিন্ডারগার্টেনে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুল: মা কথাটি ছোট্ট অতি, কিন্তু জেনো ভাই, ইহার চেয়ে নাম যে মধুর তিন ভুবনে নাই” সেই মায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসার আহ্বান জানিয়ে মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুলে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব মা দিবস। রবিবার সকাল ১০টায় স্কুল ক্যাম্পাসে মা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক লায়লা পারভীন সেঁজুতি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আফরোজা খাতুন লাভলী, মিলি আফরোজা, চৈতালী মুখার্জী, উপাধ্যক্ষ সেলিনা সুলতানা প্রমুখ। প্রতিটি শিশু তার মাকে সম্মান করতে শিখুক এই শ্লোগান নিয়ে স্কুলের পরিচালক ও অধ্যক্ষ শেখ আমিনুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার মনিরুজ্জামান ছট্টু। গান পরিবেশন করেন, চৈতালী মুখার্জী ও সম্পা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সৌমিতা অধিকারী।
    শ্যামনগর:
    শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা উপজেলা শাখার আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস-২০১৮ পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল ১১ টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলার সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন হল রুমে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় সাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শাহানা হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ রফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক, নকশী কাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক শাহানা আক্তার, উপস্থিতিদের মধ্যে বক্তব্য ও বিষয়ের উপর গান পরিবেশন করেন সুমাইয়া পারভীন, পপি, সাবিনা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার উপজেলা সংগঠক মোঃ আনিছুর রহমান মল্লিক।
    দেবহাটা: দেবহাটায় বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী, আলোচনা সভা, রতœগর্ভা মায়েদের সম্মাননা ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৩ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বে-সরকারি সংস্থা আশার আলো, নারী কণ্ঠ উন্নয়ন সংস্থা ও ইউমেন জব ক্রিয়েশন সেন্টার’র সহযোগীতায় উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে উপজেলা চত্বর হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, বিআরডিবি অফিসার ইসরাইল হোসেন, একটি বাড়ি একটি খামারের সমন্বয়কারী মুক্তা রানী মন্ডল। উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিসার আব্দুস সামাদের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, আব্দুল হক, রতœাগর্ভা মা সুফিয়া খাতুন ও ফরিদা হক, নারী নেত্রী হাসিনা পারভীন, সাইমা খাতুন প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক মিজানুর রহমান, অফিস সহায়ক দিপুআর রহমান, ডিআরআরএ’র কমিউনিটি মবিলাইজার করবী স্বর্ণকার, নারী কণ্ঠ উন্নয়ন সংস্থার সুপারভাইজার মুজিবর রহমান, হিসাবরক্ষক সাবিয়া সুলতানা, প্রোগ্রাম অফিসার পিকু মন্ডলসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, নারী উন্নয়ন সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ও ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা। পরে, মা দিবসের বিভিন্ন বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
    আশাশুনি: আশাশুনিতে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও স্বপ্নজয়ী মায়েদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম. মোনায়েম হোসেন, আ ব ম মোছাদ্দেক, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল হক, প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম মুজিবর রহমান প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, মা দিবসের মুল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেয়া। যে মা জন্ম দিয়েছেন, লালন পালন করেছেন, তাকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য দিনটি পালন করা হয়। জন্মদাত্রী মা যেন কোন ভাবে অবহেলা অনাদরে না থাকে সে জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। সভায় উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের স্বপ্নজয়ী মা আজিমুন্নেছা ও শোভনালী গ্রামের দুই পুলিশ কর্মকর্তার গর্বধারণী মা রীনা’কে এ বছর পুরস্কৃত করা হয়েছে।
    কালিগঞ্জ: বিশ^ মা দিবস উপলক্ষে কালিগঞ্জে মা সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ মে রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা লেডিস ক্লাব চত্ত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলীর স্ত্রী ফারজানা শারমিন। উপজেলা লেডিস ক্লাবের সহযোগিতায় এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা লেডিস ক্লাবের সম্পাদিকা ইলাদেবী মল্লিক প্রমুখ। মা দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভায় নারীরা তাদের বক্তব্যে মায়েদের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সুখস্মৃতি তুলে ধরেন।

  • মীর মোকছেদ আলী কিন্ডারগার্টেন স্কুলে বিশ্ব মা দিবস

    শহর প্রতিনিধি: মীর মোকছেদ আলী কিন্ডারগার্টেন স্কুলে বিশ্ব মা দিবসে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

    সভার সভাপতিত্ব করেন স্কুলের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট এস. এম হায়দার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোৎন্সা আরা, দাতা সদস্য মীর মাসুদ আলী ও সদস্য শেখ আজিজুল হক, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সৈয়দ মহিউদ্দিন হাশেমী প্রমুখ। -দক্ষিণের মশাল