Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 106 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • ডক্টরস ল্যাবের গাফিলাতিতে চলে গেলেন সৃজনশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিসেস মমতাজুন নাহার ঝর্ণা

    ডক্টরস ল্যাবের গাফিলাতিতে চলে গেলেন সৃজনশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিসেস মমতাজুন নাহার ঝর্ণা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অংগনের পরিচিত মুখ জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা চেয়ারম্যান মিসেস মমতাজুন নাহার ঝর্ণা গতকাল চলে গেলেন না ফেরার দেশে(ইন্নালিল্লাহি —- রাজিউন)। গত শক্রুবার বাসাতে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে দেখতে আসেন ডা. কাজী আরিফ। তিনি রোগিকে ভালো চিকিৎসার জন্য হাসপতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এসময় অসুস্থ ঝর্ণাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভালো ক্যাবিন না পাওয়ায় সকাল ১০ টায় ডক্টরস ল্যাবে ভর্তি করে এসি ক্যাবিন নিয়ে উঠান। কিন্তু ভর্তির পর থেকে রুগিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নাদিয়ে চরম গাফিলাতি দেখান। শক্রুবার থাকায় ল্যাবে বাইরের ডাক্তার আসায় রুগির ভীড় হয় এবং কতৃপক্ষ অত্যাধিক বানিজ্যিক ফয়দা নিতে সে সকল ডাক্তার ও রোগির নিয়ে ব্যস্থ হয়ে উঠে। এ অসুস্থ্য ঝর্ণার প্রতি উদাশিনতা দেখান। ফলে বেলা ১ টার দিকে তিনি একপ্রকার চিকিৎসা ছাড়াই মৃত্যু বরণ করেন। এ মৃত্যুতে মরহুমের স্বজন ও রাজনৈতিক কর্মিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা ডক্টরস ল্যাবের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। পরে অবশ্য নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মিরা লাশ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেণ।
    মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিন কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন। বড় মেয়ে ঢাকা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। মেঝ মেয়ে আমেরিকান প্রবাসী ও ছোট মেয়ে লন্ডন প্রবাসী। সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের শেখ আব্দুল মোতালেব এর জ্যেষ্ঠ কন্যা ছিলেন এবং একই গ্রামের এড. শেখ শামছুর রহমান সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতির স্ত্রী ছিলেন। তার মৃত্যু সংবাদে সারা সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগ পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুমের সুলতানপুরস্থ সদর উপজেলা মোড়ে বাসভবনে নেতাকর্মীরা হাজির হন। পরিবারিক সুত্রে জানায়, শনিবার সকাল ৯টায় সুলতানপুর ক্লাব মাঠে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে এবং পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে। মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুনসুর আহমেদ, সহ-সভাপতি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, সাবেক এমপি একে ফজলুল হক, সাবেক এমপি ডা: মোখলেছুর রহমান, এড. এস এম হায়দার, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, কৃষি সম্পাদক সরদার মুজিব, তথ্যগবেষনা সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এড. গোলাম মোস্তফা, শিক্ষা সম্পাদক শফিউল আযম লেলিন, যুব ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, উপ- দপ্তর সম্পাদক জে এম ফাত্তাহ, উপ-প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক প্রণব ঘোষ বাবলু, কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। অনুরূপ শোক জানিয়েছেন, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স ম জগলুল হায়দার এমপি, সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ অহেদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, আশাশুনি উপজেলার সভাপতি এ বিএম মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক এড. শহীদুল ইসলাম পিন্টু, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু, তালা উপজেলার সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, সদস্য এড. শাহানাজ পারভীন মিলি, কোহিনুর ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু, ডা.মুনসুর আলী প্রমুখ। অনুরুপ শোক জানিয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বেগম রিফাত আমিন এমপি, সাধারণ সম্পাদিকা কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বেগম নাদিরা আলী, সাধারণ সম্পাদিকা রেবেকা পারভীন রিক্তা প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শোক প্রস্তাব

    সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শোক প্রস্তাব

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির পাঠ কক্ষে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, গাজী আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তৃপ্তি মোহন মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ মোস্তফিজুর রহমান উজ্জল এবং নির্বাহী সদস্য মো. আমিনুল হক, প্রভাষক মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সহ-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি প্রমুখ। সভায় সদ্য প্রয়াত সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাবেক সাধারন সম্পাদক মরহুম এডভোকেট সামসুর রহমানের স্ত্রী ও সৃজনশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মি মোমতাজ নাহার ঝর্ণা মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহন করা হয়।

     

  • ভাড়ৃখালিতে রাস্তা ও গাছ কেটে খালের চরভরাটি জমিতে পাকা দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ

    ভাড়ৃখালিতে রাস্তা ও গাছ কেটে খালের চরভরাটি জমিতে পাকা দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ

    বিশেষ সংবাদদাতা: সদর উপজেলার ভাড়ৃখালি বাজারে চলাচলের রাস্তা ও সরকারি খালের বেড়িবাঁধের গাছ কেটে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি ১১৬ জন গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করেছেন।
    অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ভাড়ৃখালি ব্রীজের পশ্চিম পাশ দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের একটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তা সংলগ্ন ভাড়–খালি খালের চরভরাটি জায়গায় রয়েছে একটি হোটেল ও চায়ের দোকান। গত বৃহষ্পতিবার সকালে ওই দোকানের পাশে রাস্তা সংলগ্ন একটি নিম গাছ ও একটি খেজুর গাছ কেটে ফেলে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন ভাড়ৃখালি গ্রামের আব্দুর রহমান ও তার ভাই রবিউল মাষ্টার ও একই গ্রামের আজিজ হাসান।
    বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা-১ এর সেকশান অফিসার এসএম সাঈদুজ্জামানকে অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে তিনি কাটা নিম গাছ ও খেজুর গাছ জব্দ করলেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করেননি। এমনকি তিনি অবৈধ নির্মাণ করা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না। জনস্বার্থে এ অবৈধ নির্মাণ করা বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের অভিযোগ করেন তারা।
    জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। ভাড়–খালি খালের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় তারা একটি দোকন নির্মাণের চেষ্টার কথা অস্বীকার না করেই বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে তারা কাজ করছিলেন। পরে আপত্তি করায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা-১ এর সেকশান অফিসার এসএম সাঈদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেটে ফেলা গাছের গুড়ি জব্দ করা হয়েছে।

  • দেবহাটায় ইছামতি নদীর ভেড়ীবাঁধ ঝুকিপূর্ণ : বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্ক্ষা

    দেবহাটায় ইছামতি নদীর ভেড়ীবাঁধ ঝুকিপূর্ণ : বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্ক্ষা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার গা ঘেষে বয়ে যাওয়া ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত নদী ইছামতির কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
    চলতি বর্ষা মৌসুমে ভেড়ীবাধের ভাঙন ব্যাপক দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী। সহায় সম্পদ রক্ষার জন্য তাদের খাওয়া ঘুম প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। ভেড়িবাধের সামান্য যে অংশটুকু এখনো অক্ষত আছে যদি পানির চাপে সেটুকুও ভেঙ্গে যায় তাহলে নাংলা, ছুটিপুর, ঘোনাপাড়সহ কয়েকটি গ্রাম ইছামতি নদীর পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। নষ্ট হতে পারে ফসলি জমি, প্রানহাণি ঘটতে পারে মানুষ সহ প্রাণী সম্পদের।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গ্রামবাসীর আতংক আরও বেড়ে চলেছে। অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ এবং গুটিকয়েক মানুষের ঠেলা জাল নদীতে ফেলার কারণে দেবহাটা উপজেলার চরকোমরপুর, ভাতশালা, টাউনশ্রীপুর, সুশীলগাতী, শীবনগর ও নাংলা সহ কয়েকটি স্থানের ভেড়ীবাধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত বছরে যে সামান্য পরিমানের কাজ করা হয়েছিল সেসব স্থানে ছাড়াও নতুন নতুন স্থানে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
    গ্রামবাসীরা জানান, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীপাড় থেকে বালু তোলার কারণে নদীর বাধঁ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানেও উপজেলার সুশীলগাতি এলাকায় মেশিনের সাহায্যে বালু তোলা হচ্ছে। বড় কোন জোয়ার বা বৃষ্টি হলেই ভেড়ীবাধঁগুলো যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
    ভেড়ীবাধঁঁ গুলির মধ্যে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ নাংলা ছুটিপুর, সুশীলগাতী এলাকার বিজিবি পোষ্টের সামনে, টাউনশ্রীপুর ও ভাতশালা গ্রামের সামনের বাঁধ।
    এলাকাবাসীরা জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভেড়ীবাধঁগুলো ঝুকির মধ্যে থাকে। পাউবো মাঝে মাঝে সংষ্কার কাজ করে কিন্তু সেটাও নামমাত্র। এর মধ্যে আবার প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও নদীর মাটি কেটে নিয়ে কতিপয় অসাধু মহল।
    গ্রামবাসী আরও জানান, চিংড়ি চাষীরা খেয়ালখুশীমত মূল বাধেঁর গা ঘেষে ছোট-ছোট বাঁধ দিয়ে মূল বাঁধের সর্বনাশ করছে। বেড়িবাঁধের গা ঘেঁষে পোনা ধরা এবং বালু তোলার কারণে বাঁধগুলো ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কয়েক বছর আগে শীবনগরের পাশে রাজনগর মৌজা ইছামতির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
    এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
    নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লাভলু বিশ্বাস জানান, নাংলা এলাকার ভেড়ীবাধঁটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় তারা ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু অনেক দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
    দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান জানান, নাংলা এলাকার ভেড়ীবাধঁ সংষ্কারের বিষয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক কে সরেজমিনে দেখিয়েছেন। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও জানিয়েছেন। কিন্তু তারা এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
    এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ এর আওতাধীন ৩ নং পোল্ডারের কালীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও ওবায়দুল হক মল্লিক জানান, নাংলা এলাকার বাধঁ সংস্কারে এবং পাকা ব্লক দেয়ার জন্য প্রজেক্ট দেয়া আছে। বাজেট পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
    দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, তিনি ইতিমধ্যে ভেড়ীবাধঁ সংষ্কারের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত গ্রামবাসী নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
  • শহরের রেজিষ্ট্রী অফিসে দলিল লেখক শাহীনের কার্যালয়ের দু:সাহসিক চুরি

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শহরের রেজিষ্ট্রী অফিসের সামনে মসজিদের পাশে দলিল লেখক নাহিদ সুলতান শাহীনের কার্যালয়ের তালা ভেঙে দু:সাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি ডায়েরী করা হয়েছে। ডারেয়ী সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির মধ্যে কে বা কারা শাহীনের কার্যালয়ের তালার হ্যাজবল ভেঙে নগদ ২ হাজার ৫০০টাকা ও ৫০০টাকার ডেমিসহ কিছু দলিলের কাগজপত্র চুরি করে নেয় সংঘবদ্ধ চোরদল। সদর থানার সাধারণ ডাইরী নং- ১১২৪, তারিখ: ২১জুন ২০১৮।
    দলিল লেখক শাহীন জানান, শহরের রেজিষ্ট্রী অফিসের সামনে এ ধরনের চুরির ঘটনা নিয়মিতভাবে হচ্ছে। এর আগেও সাব্বিরের কম্পিউটারের দোকান থেকে কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, স্ট্যাম্প ভেন্ডার ফয়েজের ঘর থেকে টেবিল-চেয়ারসহ বিভিন্ন মালামালসহ বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুতের বাল্প ও তার চুরির ঘটনা ঘটে।

  • মেধাবী ছাত্র মাঈনের দাফন সম্পন্ন

     

    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই সিটি বিভাগের মেধাবী ছাত্র মাঈন মোহাম্মদ হকের (২১) জানাজা শেষে কামাননগর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বায়থল্লাহ জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে গতকাল সকাল ১০ টায় জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়। ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের এমপি আনোয়ার হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো: আনিসুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসানসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী বন্ধুরা জানাজা নামাজে শরীক হন।
    অর্থ মন্ত্রনালয়ের যুগ্নসচিব মো: আহমেদুর রহিম ও পত্রদুত সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি মো: আনিসুর রহিমের চাচাত ভাই আজিজুল হক বিরুর একমাত্র সন্তান মাঈন মোহাম্মদ হক দুরারোগ্য ব্যধি ব্লাড ক্যানসারে ভারতের এ্যাপলো হাসপাতালে চিকিৎসাসাধীন অবস্থায় গত ২০ জুন বেলা ১১ টা ১৫ মিনিটে মারা যান। আজ বাদ জুম্মা সুলতানপুরস্থ মসজদিয়ে দোয়া অনুষ্ঠানে শরীক হওয়ার জন্য মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ রিয়াজের মায়ের ইন্তেকাল

    এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ রিয়াজের মায়ের ইন্তেকাল

    নিজস্ব প্রতিনিধি: এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ রিয়াজের মা রাবেয়া বেগম আর নেই (ইন্নালিল্লাহে ——রাজেউন)।

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ঢাকার বাসায় বার্ধক্যজর্নিত কারণে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি ২ ছেলে ৬ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামে। তিনি ঘোনা গ্রামের মরহুম সৈয়দ নূরুল হোসেনের স্ত্রী।

    বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামে আনা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই তার গ্রামের বাড়ি ঘোনা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মরহুমের ছেলে সাংবাদিক সৈয়দ রিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৮

    জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা কর্মীসহ ৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

    বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযান চলাকালে হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানার ৮ জন, কলারোয়া থানার ৭ জন, তালা থানার ৪ জন, কালিগঞ্জ থানার ১০ জন, শ্যামনগর থানার ১৬ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।

    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • তালায় হাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

    তালায় হাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: তালায় হাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে জিহাদ হোসেন (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গঙ্গারামপুর পাঁকা ব্রীজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মৃত জিহাদ গঙ্গারামপুর গ্রামের হাসান গাজীর ছেলে।

    তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, ক্ষুব্ধ হাতিটা গঙ্গারামপুর পাঁকা ব্রীজের নিকট বাঁধা ছিল। উৎসুক অনেক লোকের সাথে শিশু জিহাদও হাতি দেখতে সেখানে আসে।

    হাতিটা হঠাৎ পাশে দাড়িয়ে থাকা শিশু জিহাদকে তার শুড় দিয়ে পেচিয়ে পায়ের তলায় পিষ্ট করে মেরে ফেলে। এ ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হাতিটিকে আটক করে। তবে হাতির মাহুত (পালক) পালিয়ে গেছে।

    এদিকে, শিশু জিহাদ নিহতের খবরে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

    খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ঝাউডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ঝাউডাঙ্গা বাজার থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক। গ্রেফতার এড়াতে বিক্ষোভ মিছিলটি দ্রুত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

    বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জোর দাবি জানানো হয়।

  • মাদক সন্ত্রাস জঙ্গীবাদে জড়িত ব্যক্তি ও তাদের তদবীরকারীরাও পার পাবে না .: উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম

    মাদক সন্ত্রাস জঙ্গীবাদে জড়িত ব্যক্তি ও তাদের তদবীরকারীরাও পার পাবে না .: উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম

    বিশেষ সংবাদদাতা: মাদক সন্ত্রাস জঙ্গীবাদে জড়িত ব্যক্তি ও তাদের তদবীরকারীরাও পার পাবে না কঠোর হস্তে দমন করা হবে। পারমানবিক অস্ত্রের চেয়েও ভয়ঙ্কার মাদককে না বলুন ও মাদক সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ মুক্ত দেশগড়ি। আপনারা জানেন ইতি মধ্যে সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের ব্যাপারে সকলকে সজাগ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। সরকারের একর পক্ষে মাদক মুক্ত দেশ গড়া সম্ভব নয় আমরা যদি সকলে সজাগ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগীতা করি তাহলে আগামী দিনের ভবিষ্যত ছাত্র ও যুব সমাজকে মাদকের এই ভয়ঙ্কার ছোবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। যারা মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে জড়িত তাদেরকে চি‎ি‎হ্নত করে আইনের আওতায় আনতে গোপনে তাদের নাম ঠিকানা প্রশাসনের কাছে দিয়ে যাবেন। আপনাদের নাম প্রকাশ করা হবে না তা গোপন রাখা হবে এ বিশ্বাস আমাদের উপর রাখতে পারেন। বুধবার সকালে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে দিনব্যাপী প্রশিক্ষিত যুব আতœকর্মী এবং যুব সংগঠনের সদস্যবৃন্দের অংশ গ্রহনে বিআরডিবি হলরুমে মাদক সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ বিরোধী জনসচেতনামূলক প্িরশক্ষণ-’১৮ উদ্বধন ঘোষনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা-৩ আসনের দলীয় এমপি মনোনয়ন প্রত্যাসী আ’লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম উপরোক্ত কথা গুলি বলেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার মিজাবে রহমতের সভাপতিত্বে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএস আজিজুল হক ও সাংবাদিক এমএম সাহেব আলীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান,সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের,বিআরডিবি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ।

  • সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা

    সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা

    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মন্তোষ কুমার দেবনাথ। প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন গাইন। এছাড়া সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বাসুদেব কুমার, সন্দিপ কুমার রায়, ইন্সট্রাক্টর আবু তাহের, সন্তোষ কুমার মন্ডল, নাজমুল, এস এম মফিজুল ইসলামসহ সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার ভূধর চন্দ্র সানা। সভায় প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়। বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রকে ঢেলে সাজিয়েছেন। সকলকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। যা অন্য কোন সরকারের পক্ষে ইতোপূর্বে সম্ভব হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্র ছাড়াও দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। সারা দেশ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সকলকে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

  • আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : সংবাদপত্র সমাজের দর্পন, সমাজ বিনির্মানে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বিকার্য

    স্টাফ রিপোটার ॥ সংবাদপত্র সমাজের দর্পন, সমাজ বিনির্মানে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বিকার্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজের ভালমন্দ দিক খুরধার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। ২০০৪ সালের এ দিনে সাতক্ষীরার মাটিতে আজকের সাতক্ষীরা নামক যে ফুল ফুটেছিল, তের বছর পেরিয়ে সেই ফুল প্রস্ফুটিত হয়েছে অন্যদিকে আলোক রশ্মির বিকিরণ ঘটিয়ে সাতক্ষীরার বিশ লক্ষাধিক মানুষের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তার দুর্বার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। আজকের সাতক্ষীরা জেলার মাটি আর মানুষের কথা বলে চলেছে, বঞ্চিত, অবহেলিত সাতক্ষীরার কথা বলে, অন্যায়, অনিয়ম, শোষন, নির্যাতন আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে সদা সর্বদা জাগ্রত। পাঠকের প্রতি বিশ্বস্থতা, আন্তরিকতা, সহমর্মিতা এবং বস্তুনিষ্ঠতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করে আজকের সাতক্ষীরা তার সৎ সাহসী নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং স্বাধীনতা সর্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী আজকের সাতক্ষীরা বরাবরই সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্র পাঠকের চাহিদার প্রতি বিশেষ সতর্ক । একারণে শত সহ¯্র পাঠকের হৃদয়ে পত্রিকাটি স্থান করে নিয়েছে। আজকের সাতক্ষীরা দেশ, জাতি, গণতন্ত্র, সরকার এবং সরকারের উন্নয়নমুখিতাকে প্রচারনা করে চলেছে। বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়েছে, আজকের সাতক্ষীরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তার লেখনীর মাধম্যে পাঠকের কাছে পৌছে দিয়ে গণতন্ত্রকে সহযোগিতা করছে। অনন্তকাল বেঁচে থেকে আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকা এ জনপদের উন্নয়নে সাহসী ভূমিকা রাখুক এ প্রত্যাশা রাখি পত্রিকাটির সম্পাদক ও সকল স্তরের সাংবাদিকদের উপর। গতকাল শহরের লেকভিউ এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সাতক্ষীনা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন সাতক্ষীরা কোন বিচ্ছিন্ন এলাকা নয়, বরং সাতক্ষীরা জেলার মানুষ অতি শান্তিপ্রীয়, বিনয়ী। বিধায় সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের আরও সতর্কতার সাথে কলম ধরতে হবে, সাদাকে সাদা ও কালকে কাল বলার সাহস সঞ্চয় করতে হবে। কোন অপশক্তি যেন এ জেলার ভাবমুর্তি নষ্ট করতে না পারে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান তিনি।
    দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলুর সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আহমেদ । স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক শ্হা আব্দুস শাদী , জেলা পুলিশি কমিটির সভাপতি ও তুফান গ্রুপের চেয়ার ম্যান আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা , জেলা আওয়ামী লীগের য ুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সাজেক্রীসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ে শখ নিজামুদ্দিন , জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুণার রশিদ . জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক জ্যো¯œা আরা , সহযাত্রী সম্পাদক কাজী স ুফিউল্লাহ ফারুকি আবু কাজী , ইচ্ছে নদীর সম্পাদক মকসুমুল হাকীম , দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান , বিটিভির জেলা প্রতিনিধি প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান । এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুদ্দীন , দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জেলা সংবাদ পত্র পরিষদের আহবায়ক জি এম নুর ইসলাম , সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক ওয়ারেশ খান চৌধুরি ,মুক্ত স ¦াধীন পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম , আজকের সাতক্ষীরার সহ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান ডাবলু, বার্তা সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, সহ- সম্পাদক শেখ আব্দুল মমিন, কাফেলার বার্তা সম্পাদক এম ইদ্রিস আলি প্রমুখ।

  • স্ট্রোকে হয়ে পাটকেলঘাটা থানার ওসির মৃত্যু

    স্ট্রোকে হয়ে পাটকেলঘাটা থানার ওসির মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম স্ট্রোক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…..রাজেউন)।

    বুধবার সকালে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে আসার পথে ফরিদপুর বাসষ্ট্যান্ডে তিনি ষ্ট্রোক করেন। স্থানীয় জনগণ তাঁকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

    মৃত রিয়াজুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার হাট ফাজিলপুর গ্রামের মৃত নিয়ামত আলী মোল্যার ছেলে।

    পাটকেলঘাটা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) উজ্জল মৈত্র জানান, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল পাটকেলঘাটায় ফেরার পথে ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসে ওঠার সময় তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

    ওসি রিয়াজুল ইসলাম স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ গভীর শোক জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন।

    উল্লেখ্য, তিনি চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল পাটকেলঘাটা থানায় যোগদান করেন।

  • মাগুরায় গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম

    মাগুরায় গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার মাগুরায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধু পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবার। বুধবার সকালে গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধু মাগুরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের কন্যা সালমা বেগম। এঘটনায় ভুক্তভোগী সালমা বেগম বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সদর থানা পুলিশ সালমা বেগমের ভাসুর মিজানুর রহমানকে আটক করেছে।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০ বছর পূর্বে একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক সরদারে ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে পরিবারিকভাবে বিবাহ হয় সালমা বেগমের। বিবাহের পর থেকে প্রায়ই ইসমাইল সালমা বেগমকে যৌতুকে দাবিতে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ইতোমধ্যে তাদের ৪টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এদিকে সম্প্রতি ইসমাইল হোসেন অন্য মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং সালমা বেগমের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। টাকা না দিলে খড়িবিলা এলাকার মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুনকে বিবাহ করার হুমকি দেয় সালমা বেগম। এর জের ধরে গত ১৮ জুন’১৮ তারিখে প্রেমিকা মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুনের বাড়িতে অবস্থান করাকালে সালমা খাতুন তার স্বামী ইসমাইলকে বাড়ি যেতে বলেন। এসময় পাষ- স্বামী ইসমাইল, ভাসুর মিজানুর রহমান এবং মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুন সালমা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ আটক-৪৭

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ মাদক মামলার আসামীসহ ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

    গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৭ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৭ জন, কালিগঞ্জ থানা ৬ জন,শ্যামনগর থানা ৮ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৫ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • ডা. আনিসের অদক্ষতায় প্রাণ হারাতে বসেছে শাহিন কাদির

    ডা. আনিসের অদক্ষতায় প্রাণ হারাতে বসেছে শাহিন কাদির

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আনিসুর রহমানের অদক্ষতায় প্রাণ হারাতে বসেছে যুবক শাহিন কাদির। অদক্ষ গাড়ি চালক ডা. শাহিনের প্রাইভেট কার চাপায় গুরুতর আহত শাহীন কাদির এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

    জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান নিজে দক্ষ চালক না হয়েও বেপরোয়াভাবে নিজের প্রাইভেটকার চালিয়ে শ্যামনগর অভিমুখে আসছিলেন। অপরদিকে শাহিন কাদির তার বন্ধু হাবিবুর রহমানের মোটর সাইকেলে বসে বিপরীতমুখে কালিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। শ্যামনগরের খানপুর ফিলিং স্টেশনের কাছে একটি ছোট কালভার্টের ওপর তার প্রাইভেট কারটি শাহিন কাদিরকে চাপা দেয়। তাকে গুরুতর আহত দেখেও চালক ডা. আনিস শ্যামনগরের দিকে পালিয়ে যান। এ সময় গ্রামবাসী তাকে তাড়া করেও ধরতে ব্যর্থ হন।

    স্থানীয়রা শাহীন কাদিরকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করলে ডা. আনিস তার চিকিৎসায় সাহায্য না কওে বরং তার সামনেও আসতে অস্বীকৃতি জানান।
    শাহীন কাদিরের বাবা এসএম মুজিবুর রহমান জানান, তার ছেলেকে শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরায় পরে খুলনা এবং সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।

    তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গত ৩ জুন থেকে ১৭ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি। ডাক্তাররা বলছেন তার মস্তিষ্কের ক্ষমতা ৭৫ ভাগ বিলুপ্ত হয়েছে। আঘাতজনিত কারণে মাথার ঘিলু নির্গত হয়েছে। কয়েকটি ¯œায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্তপাত হয়েছে। মেরুদ-ের উভয় স্কন্ধের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া স্পাইনাল কর্ড ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। সমস্ত শরীর থ্যাতলানো শাহীন কাদিরের লিভার বড় হয়ে গেছে। সে এখন অচেতন অবস্থায় বাকরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।

    শাহীন কাদির শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটি গ্রামের এসএম মুজিবর রহমানের ছেলে। সে সম্প্রতি কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করছিল।

    অপরদিকে শ্যামনগরের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান একই উপজেলার হাওয়ালভাঙ্গি গ্রামের আবু দাউদ সরদারের ছেলে।
    প্রথম দিকে চাপের মুখে ডা. আনিস শাহিন কাদিরের চিকিৎসার ভার বহন করার কথা বলেন।

    কিন্তু শাহিন কাদিরের পিতা মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘খরচ বহন করা তো দুরের কথা ডা. আনিস চিকিৎসার ব্যাপারে কোন সহায়তায় করেন নি।

    এলাকাবাসী জানান, ডা. আনিসের মালিকানাধীন সাদা রঙের প্রাইভেটকারটি (রেজি নং- ঢাকা মেট্রো -গ- ৩৫-১২১১) তিনি নিজে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আনাড়ি চালক হওয়ায় তার গাড়িতে থাকা জনৈক সোহরাব মোড়ল তাকে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। এসময় গাড়ির মধ্যে উচ্চস্বরে কথোপকথন, হাসিঠাট্টা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবে কথা বলছিলেন তারা। তাদের খামখেয়ালিপনার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    শাহীন কাদিরের বাবা এসএম মুজিবুর রহমানের অভিযোগ ডা. আনিসুর রহমান তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। চিকিৎসার শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। এসব টাকা তিনি জমি বিক্রি ও বন্ধক এবং সমিতি থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ করেছেন। এখন শাহীন কাদিরের চিকিৎসায় দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে থাকা শাহিন কাদিরের বাবা শাহিনের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করে বলেন, ‘আমি আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য মানবিক সহায়তা চাই’।

    এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘ওইদিন তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। তার ড্রাইভার সোহরাব মোড়ল গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।’

    এদিকে ডা. আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক সেবন এবং বিভিন্ন রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন কর্মচারি এবং সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, ডা. আনিসুর রহমান নিয়মিত ইয়াবা সেবন করেন। তার কাছে কোনো রোগী নিরাপদ নন। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার বিকারগ্রস্থতার কারণে বহু রোগী মারা যাওয়ারও অভিযোগ আছে।

    তবে ডা. আনিস এসব অভিযোগ অস্বীকার কওে বলেন, ‘আমি মাদকাসক্ত নই।’
    এদিকে এ ঘটনায় শ্যামনগর থানা পুলিশ শাহিনের বাবার দেওয়া মামলা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    এলাকাবাসী জানান, ওসির সাথে ডাক্তার আনিসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ওসি তার বিভিন্ন সময় গাড়ি ব্যবহার করেন। পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করায় বাবা এসএম মুজিবর রহমান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করে আবেদন করেছেন।

    এব্যাপারে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলি বলেন, ‘তারা কোনো এজাহার দেননি। এখনই এজাহার দিলে তিনি তা রেকর্ড করবেন।’

    কান্নাজড়িত কণ্ঠে দুর্ঘটনায় আহত শাহীন কাদিরের বাবা বলেন, আমার ছেলেটির জীবন বিপন্ন। তার বাক রুদ্ধ হয়ে গেছে। লাইফ সাপোর্ট খুলে দিলেই তার জীবনবায়ু শেষ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় তিনি ডা. আনিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

  • জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-২৯

    জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-২৯

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩ মাদক মামলার আসামীসহ ২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

    গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানার ৫ জন, কলারোয়া থানার ৫ জন, তালা থানার ২ জন, কালিগঞ্জ থানার ৪ জন, শ্যামনগর থানার ৫ জন, আশাশুনি থানার ৪ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।

    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।